পরিচ্ছেদঃ
৬৮৯। সালাতের সৌন্দর্য হচ্ছে পাদুকা পরিধানে।
হাদীছটি জাল।
এটিকে ইবনু আদী "আল-কামিল" (১/২৯২) গ্রন্থে আবু ইয়ালা হতে, তিনি আব্দুল মালেক ইবনু উমায়ের হতে ... বর্ণনা করেছেন।
অতঃপর বলেছেনঃ আব্দুল মালেক ইবনু উমায়ের হতে এটির কোন ভিত্তি নেই। এটিকে মুহাম্মাদ ইবনুল হাজ্জাজ আব্দুল মালেকের উপর জাল করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তার সূত্রে তাম্মাম "আল-ফাওয়ায়েদ" (২/১৩৮) গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। ইবনু আদী একদল ইমাম হতে তার মিথ্যুক হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। এ কারণে সুয়ূতী “আল-জামেউস সাগীর” গ্রন্থে হাদীছটি উল্লেখ করে ঠিক করেছেন। তার ভাষ্যকার মানবী বলেনঃ হায়ছামী বলেনঃ তার সনদে মুহাম্মাদ ইবনুল হাজ্জাজ আল-লখমী রয়েছেন তিনি মিথ্যুক। অতএব লেখকের (সুয়ুতীর) উচিত ছিল হাদীছটি তার কিতাবে উল্লেখ না করা।
زين الصلاة الحذاء
موضوع
-
أخرجه ابن عدي في " الكامل " (292 / 1) : أخبرنا أبو يعلى قال: حدثنا يحيى بن أيوب: أخبرنا محمد بن الحجاج اللخمي: حدثنا عبد الملك بن عمير عن النزال بن سبرة عن علي مرفوعا. وقال: " هذا ليس له أصل عن عبد الملك بن عمير، وهو مما وضعه محمد بن الحجاج على عبد الملك
قلت: ومن طريقه رواه تمام في " الفوائد " (138 / 2) . وابن الحجاج هذا هو صاحب حديث الهريسة، وقد روى ابن عدي تكذيبه عن جماعة من الأئمة، ولهذا فقد أساء السيوطي بإيراده لهذا الحديث في " الجامع الصغير " من رواية أبي يعلى، قال المناوي في " شرحه ": وقال الهيثمي: فيه محمد بن الحجاج اللخمي وهو كذاب. انتهى
فكان ينبغي للمصنف حذفه من الكتاب ". وحديث الهريسة المشار إليه هو الآتي
পরিচ্ছেদঃ
৬৯০। আমাকে জিবরীল জান্নাতের হারীসাহ (এক প্রকারের খাদ্য বিশেষ) আহার করিয়েছেন, যাতে করে আমি কিয়ামুল লাইলের জন্য আমার পিঠকে তা দ্বারা শক্তিশালী করতে পারি।
হাদীছটি জাল।
এটি উকায়লী "আয-যোয়াফা" (৩৭৪) গ্রন্থে, অনুরূপভাবে ইবনু হিব্বান (২/২৯০), ইবনু আদী (২/২৯১) এবং তাম্মাম (২৯/১১৪-১১৫) মুহাম্মাদ ইবনুল হাজ্জাজ আল-লাখমী সূত্রে আবদুল মালেক ইবনু উমায়ের হতে ... বর্ণনা করেছেন।
তাম্মাম বলেনঃ একমাত্র মুহাম্মাদ ইবনুল হাজ্জাজ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন। ইবনু আদী বলেনঃ এ হাদীছটি বানোয়াট। মুহাম্মাদ এটিকে জাল করেছেন। তার সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেনঃ মুহাম্মাদ নির্ভরযোগ্যদের উদ্ধৃতিতে জাল হাদীছ বর্ণনাকারী। তার থেকে বর্ণনা করাই হালাল নয়।
হাদীছটিকে ইবনুল জাওয়ী “আল-মাওযূ’আত” গ্রন্থে এই মিথ্যুকের সূত্রেই বিভিন্ন বাক্যে বর্ণনা করে (৩/১৮) বলেছেনঃ এ হাদীছটি বানোয়াট। মুহাম্মাদই এটিকে বানিয়েছেন। তিনিই সূত্রগুলোর কেন্দ্রবিন্দু। তার থেকে মিথ্যুকরাই চুরি করেছে।
সুয়ূতী "আল-লাআলী" (২/২৩৪-২৩৭) গ্রন্থে তার সমালোচনা করে বলেছেনঃ এটির বহু শাহেদ রয়েছে। সেগুলোর সর্বোত্তম শাহেদ যেটি সেটির সনদে সম্পর্কে বলেনঃ তিনি সাকেত। তিনি হাদীছটি চুরি করে তাতে সনদ লাগিয়ে দয়েছেন।
শুধুমাত্র আযদীই তার সমালোচনা করেননি। তার সম্পর্কে সাজী বলেনঃ তিনি মুনকার এবং মিথ্যা হাদীছ বর্ণনাকারী যেমনটি "আত-তাহষীব" গ্রন্থে এসেছে।
আমি (আলবানী) তার হাদীছটি মিথ্যা হওয়ার ব্যাপারে কোন প্রকার সন্দেহ পোষণ করছি না। যদি তিনি এটির সমস্যা নাও হন, তাহলে তার শাইখ আমর ইবনু বাকর আস-সাকসাকী হচ্ছেন হাদীছটির সমস্যা। কারণ তার সম্পর্কে ইবনু হিব্বান (২/৭৮) বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্যদের উদ্ধৃতিতে বহু বিপদ বর্ণনা করেছেন ... তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যায় না। ইমাম যাহাবী বলেনঃ তার হাদীছগুলো জালের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। এ ছাড়া আরেক বর্ণনাকারী আব্দুল আযীয ইবনু মুহাম্মাদ ইবনে যাবালাও দুর্বলের নিকটবর্তী। তার সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্য মাদানীদের থেকে মু’জাল হাদীছগুলো বর্ণনাকারী।
أطعمني جبريل الهريسة من الجنة لأشد بها ظهري لقيام الليل
موضوع
-
أخرجه العقيلي في " الضعفاء " (374) وكذا ابن حبان (2 / 290) وابن عدي (291 / 2) وتمام (29 / 114 - 115) من طريق محمد بن الحجاج عن عبد الملك بن عمير عن ربعي بن خراش عن حذيفة، وقال تمام: " لم يرو هذا الحديث إلا محمد بن الحجاج ". وقال ابن عدي: " وهذا حديث موضوع، وضعه محمد بن الحجاج ". وقال فيه ابن حبان: " كان محمد يروي الموضوعات عن الأثبات، لا تحل الرواية عنه ". وقد أورده ابن الجوزي في " الموضوعات " من طريق هذا الكذاب بألفاظ مختلفة ثم قال: (3 / 18) : " هذا حديث وضعه محمد بن الحجاج وكان صاحب هريسة (!) وغالب طرقه تدور عليه، وسرقه منه كذابون
وتعقبه السيوطي كعادته في " اللآلي " بأن له شواهد كثيرة (2 / 234 - 237)
ولو أردنا الكلام عليها لطال بنا المقال فحسبي أن أتكلم على شاهد واحد منها هو خيرها باعتراف السيوطي لتعرف حقيقة أمر هذا الشاهد ثم تقيس عليه ما غاب عنك من الشواهد الأخرى
قال الأزدي: حدثنا عبد العزيز بن محمد بن زبالة: حدثنا إبراهيم بن محمد بن يوسف الفريابي: حدثنا عمر [و] بن بكر عن أرطاة عن مكحول عن أبي هريرة قال: شكى رسول الله صلى الله عليه وسلم إلى جبريل قلة الجماع
فتبسم جبريل حتى تلألأ مجلس رسول الله صلى الله عليه وسلم من بريق ثنايا جبريل، ثم قال: أين أنت عن أكل الهريسة فإن فيها قوة أربعين رجلا؟ قال الأزدي: " إبراهيم ساقط، فنرى أنه سرقه وركب له إسنادا
قال السيوطي (2 / 236) : " قلت: إبراهيم روى له ابن ماجه، وقال في " الميزان ": قال أبو حاتم وغيره: صدوق، وقال الأزدي وحده: ساقط
قال: ولا يلتفت إلى قول الأزدي فإن في لسانه في الجرح رهقا. انتهى
وحينئذ فهذا الطريق أمثل طرق الحديث ". قلت: لم ينفرد الأزدي بجرح إبراهيم هذا بل سبقه إلى ذلك الساجي فقال كما في " التهذيب ": " يحدث بالمناكير والكذب
ولست أشك أن حديثه هذا كذب فإن لم يكن هو آفته فهو شيخه عمرو بن بكر وهو السكسكي قال ابن حبان (2 / 78) : " روى عن الثقات الأو ابد والطامات التي لا يشك من هذا الشأن صناعته أنها معمولة أو مقلوبة، لا يحل الاحتجاج به ". وقال الذهبي: " أحاديثه شبه موضوعة
على أن ابن زبالة قريب منه في الضعف، قال ابن حبان (2 / 132) : " يروي عن المدنيين الثقات الأشياء المعضلات
পরিচ্ছেদঃ
৬৯১। ভূপৃষ্ঠের গচ্ছিত সম্পদ হচ্ছে তিনিটিঃ লুকিয়ে সাদকাহ করা, অভিযোগ গোপন করা এবং বিপদাপদকে গোপন করা। আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ আমি আমার বান্দাকে বিপদ দিয়ে পরীক্ষা করলে সে যদি তার নিকট আগমনকারীদের কাছে কোন অভিযোগ উপস্থাপন না করে ধৈর্য ধারণ করে, তাহলে আমি তার বর্তমান মাংসকে ও রক্তকে আরো উত্তম মাংস ও উত্তম রক্ত দ্বারা পরিবর্তন করে দি। আর যদি তাকে ছেড়ে দি তাহলে এমনভাবে ছেড়ে দি যে তার কোন গুনাহই অবশিষ্ট থাকে না। যদি তার মৃত্যু দিয়ে দি, তাহলে সে আমার রহমতের নিকট চলে আসে।
হাদীছটি জাল।
এটি তাম্মাম (৬/১১৯/২), তার থেকে ইবনু আসাকির (১৫/১২০/২), তাবারানী “আল-মুজামুল কাবীর” গ্রন্থে, আবুল কাসেম আল-হান্নাঈ "আল-ফাওয়ায়েদ" (১/১৪৭) গ্রন্থে এবং আবু নোয়াইম "আল-হিলইয়াহ" (৭/১১৭) এবং "আল-আরবাউনুস সূফিয়াহ" (২/৬০) গ্রন্থে আল-জারূদ ইবনু ইয়াযীদ সূত্রে সুফিয়ান আছ-ছাওরী হতে তিনি আশয়াছ হতে তিনি ইবনু সীরীন হতে ... বর্ণনা করেছেন। আল-হান্নাঈ এবং আবু নোয়াইম বলেনঃ আল-জারূদ হাদীছটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন। হান্নাঈ বলেনঃ তিনি হাদীছের ক্ষেত্রে দুর্বল। ইবনুল জাওযী “আল-মাওযূ’আত” (৩/১৯৯) গ্রন্থে অনুরূপ কথাই বলেছেন। তবে তিনি বলেছেনঃ তিনি মাতরূক।
সুয়ূতী তার সমালোচনা করে “আল-লাআলী” (৪/৩৯৫) গ্রন্থে বলেছেনঃ জারূদকে জাল করার দোষে দোষী করা হয়নি।
আমি (আলবানী) বলছিঃ জি হ্যাঁ, তার সম্পর্কে ইবনু আবী হাতিম "আল জারহু ওয়াত-তা’দীল" (১/১/২২৫) গ্রন্থে বলেনঃ আবু উসামাহ তাকে মিথ্যার দোষে দোষী করেছেন। আর আমার পিতা বলেছেনঃ তিনি মিথ্যুক। উকায়লী বলেনঃ তিনি মিথ্যুক, হাদীছ জালকারী। হাকিম বলেনঃ তিনি ছাওরী হতে বানোয়াট হাদীছ বর্ণনা করেছেন। ইবনু হিব্বানের বক্তব্যও অনুরূপ, তিনি বলেনঃ তিনি প্রসিদ্ধদের উদ্ধৃতিতে এককভাবে মুনকার হাদীছ বর্ণনা করেছেন, নির্ভরযোগ্যদের উদ্ধৃতিতে ভিত্তিহীন কিছু বর্ণনা করেছেন। অতঃপর তিনি আলোচ্য হাদীছটি সম্পর্কে বলেনঃ এটির কোন ভিত্তি নেই।
ثلاث من كنوز البر: إخفاء الصدقة، وكتمان الشكوى، وكتمان المصيبة، يقول الله عز وجل: إذا ابتليت عبدي ببلاء فصبر، لم يشكني إلى عواده أبدلته لحما خير من لحمه، ودما خير من دمه، فإن أرسلته أرسلته ولا ذنب له، وإن توفيته فإلى رحمتي
موضوع
-
تمام (6 / 119 / 2) وعنه ابن عساكر (15 / 120 / 2) والطبراني في " الكبير " وأبو القاسم الحنائي في " الفوائد " (147 / 1) وأبو نعيم في " الحلية " (7 / 117) وفي " الأربعين الصوفية " (60 / 2) من طريق الجارود بن يزيد: حدثنا سفيان يعني الثوري عن الأشعث عن ابن سيرين عن أنس بن مالك مرفوعا. وقال الحنائي وأبو نعيم: " تفرد به الجارود. وزاد الأول: وهو ضعيف الحديث ". وكذا قال ابن الجوزي في " الموضوعات " (3 / 199) إلا أنه قال: " وهو متروك وتعقبه السيوطي في " اللآلي " بقوله (4 / 395) : " قلت: لم يتهم الجارود بوضع
قلت: بلى، فقد قال ابن أبي حاتم في " الجرح والتعديل " (1 / 1 / 225) : " كان أبو أسامة يرميه بالكذب، وقال أبي: هو كذاب ". وقال العقيلي: " يكذب ويضع الحديث ". وقال الحاكم: " روى عن الثوري أحاديث موضوعة ". ونحوه قول ابن حبان: " ينفرد بالمناكير عن المشاهير، وروى عن الثقات ما لا أصل له ". ثم قال في حديث الترجمة: " لا أصل له
ثم ذكر السيوطي له شواهد منها
পরিচ্ছেদঃ
৬৯৪। আমি নবীকুলের শেষ আর তুমি হে আলী! ওয়ালীকুলের শেষ।
হাদীছটি জাল।
এটি আল-খাতীব (১০/৩৫৬-৩৫৮) ওবায়দুল্লাহ ইবনু লুউলুউস সুলামী হতে তিনি উমার ইবনু ওয়াসিল হতে ... বর্ণনা করেছেন। অতঃপর আল-খাতীব বলেনঃ কিসসা বর্ণনাকারীদের থেকে এটি একটি বানোয়াট হাদীছ। হাদীছটি উমার ইবনু ওয়াসিল জাল করেছেন অথবা তার উপর জাল করা হয়েছে।
হাদীছটি ইবনুল জাওয়ী “আল-মাওযু’আত” (১/৩৯৮) গ্রন্থে উল্লেখ করে আল-খাতীবের বক্তব্য উল্লেখ করে তিনি নিজে এবং সুয়ূতী তাকে সমর্থন করেছেন।
হাফিয ইবনু হাজার "আল-লিসান" গ্রন্থে ইবনু লুউুলুউস সুলামীর জীবনী আলোচনা করতে গিয়ে বলেছেনঃ তিনি উমার ইবনু ওয়াসিল হতে জাল হাদীছ বর্ণনা করেছেন।
আশ্চর্যের ব্যাপার এই যে, তা সত্ত্বেও সুয়ূতী "আল-জামেউস সাগীর" গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।
أنا خاتم الأنبياء، وأنت يا علي خاتم الأولياء
موضوع
-
رواه الخطيب (10 / 356 - 358) عن عبيد الله بن لؤلؤ السلمي: أخبرنا عمر بن واصل قال: سمعت سهل بن عبد الله يقول: أخبرني محمد بن سوار خالي: حدثنا مالك بن دينار: أخبرنا الحسن بن أبي الحسن البصري عن أنس مرفوعا في حديث طويل ساقه في فضل علي، هذا منه. ثم قال الخطيب: " هذا الحديث موضوع من عمل القصاص، وضعه عمر بن واصل، أو وضع عليه ". وأورده ابن الجوزي في " الموضوعات " (1 / 398) ونقل كلام الخطيب هذا واقره هو والسيوطي (1 / 379 - 380) . وذكره الحافظ في " اللسان " في ترجمة ابن لؤلؤ هذا وقال: " روى عن عمر بن واصل حديثا موضوعا ساقه الخطيب في ترجمته ". ثم ذكره. وإن من عجائب السيوطي أن يذكر لهذين المتهمين عنده - فضلا عن غيره حديثا آخر في كتابه " الجامع الصغير "، وهو الآتي بعده
পরিচ্ছেদঃ
৬৯৫। লোকদের শিক্ষা দানের জন্যই আমাকে প্রেরণ করা হয়েছে।
হাদীছটি জাল।
এটি আবু সা’আদ আল-মালীনী "আল-আরবাউন ফি শুয়ুখিস সূফিয়াহ" (২/৬) গ্রন্থে ওবায়দুল্লাহ ইবনু লুউলুআতুস সূফী হতে তিনি উমর ইবনু ওয়াসিল হতে ... বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবনী) বলছিঃ এ হাদীছটি বানোয়াট। এ ব্যাপারে ইবনু লুউলুআহ অথবা তার শাইখ উমার ইবনু ওয়াসিল মিথ্যার দোষে দোষী। কারণ তারা উভয়েই হাদীছটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন। হাদীছটি নিংসন্দেহে বানোয়াট। তাদের যে কোন একজন এটিকে জাল করেছেন। তা সত্ত্বেও সুয়ূতী হাদীছটিকে “আল-জামেউস সাগীর” গ্রন্থে বাইহাকীর “আল-শু’আব” গ্রন্থের বর্ণনা হতে উল্লেখ করেছেন। এ কারণে মানবী মিথ্যার দোষে দোষী দুই ব্যক্তির কথা উল্লেখ করে তার সমালোচনা করেছেন। তিনি আরো বলেছেনঃ তাতে মালেক ইবনু দীনার আয-যাহেদ রয়েছেন। তাকে ইমাম যাহাবী "আয-যোয়াফা" গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। আবার কেউ কেউ তাকে নির্ভরযোগ্যও বলেছেন।
بعثت بمداراة الناس
موضوع
-
رواه أبو سعد الماليني في " الأربعين في شيوخ الصوفية " (6 / 2) عن عبيد الله بن لؤلؤة الصوفي: أخبرني عمر بن واصل قال: سمعت سهل بن عبد الله يقول: أخبرني محمد بن سوار: أخبرني مالك بن دينار ومعروف بن علي عن الحسن عن محارب بن دثار عن جابر بن عبد الله قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لما نزلت سورة (براءة) : فذكره
قلت: وهذا موضوع المتهم به ابن لؤلؤة أو شيخه عمر بن واصل فإنهما تفردا برواية الحديث الذي قبله، وهو موضوع قطعا، وأحدهما هو الذي اختلقه، ومع هذا فالسيوطي لا يتورع عن أن يروي لهما هذا الحديث في " الجامع الصغير " من رواية البيهقي في " الشعب " وقد تعقبه المناوي بهذين المتهمين ثم قال: " وفيه مالك بن دينار الزاهد، أورده الذهبي في " الضعفاء "، ووثقه بعضهم
পরিচ্ছেদঃ
৬৯৮। নিশ্চয় সূরা ফাতিহাহ, আয়াতুল কুরসী এবং সূরা আল-ইমরানের দুই আয়াত-
(شهد الله أنه لا إله إلا هو الملائكة وألوالعلم قائما بالقسط لا إله إلا هو العزيز الحكيم. إن الدين عند الله الإسلام)
(قل اللهم مالك الملك تؤتي الملك من تشاء وتنزع الملك ممن تشاء وتعز من تشاء وتذل من تشاء ... وترزق من تشاء بغير حساب)
পর্যন্ত পাঠকারীর জন্য সবই গ্রহণীয় শাফায়াত। সেগুলো এবং আল্লাহর মধ্যে কোন পর্দা থাকে না। অতঃপর আমরা বললাম হে প্রতিপালক। তুমি কি আমাদেরকে তোমার যমীনে এবং তোমার অবাধ্য ব্যক্তির নিকট নামিয়ে দিবে? আল্লাহ বললেনঃ আমি আমার নিজের কসম করে বলছিঃ আমার বান্দাদের থেকে যদি কেউ প্রতিটি সালাতের পরে সেগুলো পাঠ করে, তাহলে জান্নাতকে তার আশ্রয় স্থল বানিয়ে দিব। পরিবেষ্টিত জান্নাতুল ফিরদাউসকে বাসস্থান হিসাবে নির্ধারিত করে দিব। প্রতিদিন তার সত্তরটি প্রয়োজনীয়তাকে পূর্ণ করে দিব, যার সর্ব নিম্নটা হচ্ছে তাকে ক্ষমা করে দেয়া।
হাদীছটি জাল।
এটি ইবনু হিব্বান "আল-মাজরূহীন" (১/২১৮) গ্রন্থে, ইবনুস সুন্নী (৩২২) এবং আব্দুল খালেক আশ-শাহহামী "আল-আরবাউন" (২/২৬) গ্রন্থে মুহাম্মাদ ইবনু যাম্বূর হতে তিনি আল-হারেছ ইবনু উমায়ের হতে তিনি জাফার ইবনু মুহাম্মাদ হতে ... বর্ণনা করেছেন।
ইবনু হিব্বান বলেনঃ হাদীছটি বানোয়াট, এটির কোন ভিত্তি নেই। এই আল-হারেছ নির্ভরযোগ্যদের উদ্ধৃতিতে জাল হাদীছ বর্ণনাকারীদের অন্তর্ভুক্ত।
আমি (আলবানী) বলছিঃ পূর্ববর্তীগণ যেমন ইবনু মাঈন ও অন্য বিদ্বানগণ তাকে নির্ভরযোগ্য বলেছেন। কিন্তু হাফিয যাহাবী “আল-মীযান” গ্রন্থে বলেনঃ তার মধ্যে শুধুমাত্র দুর্বলতাই সুস্পষ্ট। কারণ ইবনু হিব্বান "আয-যোয়াফা" গ্রন্থে বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্যদের উদ্ধৃতিতে বহু বানোয়াট হাদীছ বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেনঃ তিনি হুমায়েদ এবং জাফার আস-সাদেক হতে বানোয়াট হাদীছ বর্ণনা করেছেন। তিনি "আল-মুগনী" গ্রন্থে আরো বলেনঃ আমি আশ্চর্য হচ্ছি ইমাম নাসাঈ তার থেকে কিভাবে হাদীছ বর্ণনা করেছেন। তার পর যাহাবী তার কতিপয় হাদীছ উল্লেখ করেছেন। এটি সেগুলোর একটি। অতঃপর বলেছেনঃ ইবনু হিব্বান বলেনঃ হাদীছটি বানোয়াট, এটির কোন ভিত্তি নেই। তিনি নিজেও "আল-মীযান" গ্রন্থে তা স্বীকার করেছেন। হাফিয ইবনু হাজারও “আত-তাহীব” গ্রন্থে তাকে সমর্থন করেছেন। তবে তিনি বলেছেনঃ হাদীছটির সমস্যা হচ্ছে হারেছের নীচের ব্যক্তির মধ্যে।
আমি (আলবানী) বলছিঃ বরং এই হারেছই সমস্যা। কারণ তাদের নীচের ব্যক্তি মুহাম্মাদকে কেউ মিথ্যার দোষে দোষী করেননি।
ইবনুল জাওয়ী হাদীছটি “আল-মাওযূ’আত” (১/২৪৫) গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেনঃ হারেছ হাদীছটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন। ইবনু হিব্বানের মন্তব্যগুলোও উল্লেখ করেছেন। অতঃপর বলেছেন, ইবনু খুযায়মাহ বলেছেনঃ হারেছ মিথ্যুক। এ হাদীছটির কোন ভিত্তি নেই।
সুয়ূতী "আল-লাআলী" (১/২২৯-২৩০) গ্রন্থে দুটি কথা উল্লেখ করে তার সমালোচনা করেছেনঃ
১। কেউ কেউ হারেছকে নির্ভরযোগ্য বলেছেন। তাদের একথা গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ পূর্বের ইমামদের বক্তব্য তাদের প্রতিবাদের জন্য যথেষ্ট।
২। অন্য সূত্রেও হাদীছটি বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু তার সনদে মিথ্যুক বর্ণনাকারী রয়েছেন। তার সম্পর্কে আগত হাদীছটিতে আলোচনা আসবে।
إن فاتحة الكتاب وآية الكرسي والآيتين من (آل عمران) : (شهد الله أنه لا إله إلا هو الملائكة وألوالعلم قائما بالقسط لا إله إلا هو العزيز الحكيم. إن الدين عند الله الإسلام) و (قل اللهم مالك الملك تؤتي الملك من تشاء وتنزع الملك ممن تشاء وتعز من تشاء وتذل من تشاء) إلى قوله: (وترزق من تشاء بغير حساب) هن مشفعات، ما بينهن وبين الله حجاب، فقلن: يا رب! تهبطنا إلى أرضك وإلى من يعصيك؟ قال الله: بي حلفت لا يقرؤهن أحد من عبادي دبر كل صلاة إلا جعلت الجنة مأو اه على ما كان فيه، وإلا أسكنته حظيرة الفردوس، وإلا قضيت له كل يوم سبعين حاجة أدناها المغفرة
موضوع
-
رواه ابن حبان في " المجروحين " (1 / 218) وابن السني (رقم 322) وعبد الخالق الشحامي في " الأربعين " (26 / 2) عن محمد بن زنبور عن الحارث بن عمير: حدثنا جعفر بن محمد عن أبيه عن جده عن علي بن أبي طالب مرفوعا.
وقال ابن حبان: " موضوع لا أصل له، والحارث كان ممن يروي عن الأثبات الموضوعات ". قلت: وثقه المتقدمون مثل ابن معين وغيره، لكن قال الذهبي في " الميزان ": " وما أراه إلا بين الضعف، فإن ابن حبان قال في " الضعفاء ": روى عن الأثبات الأشياء الموضوعات، وقال الحاكم: روى عن حميد وجعفر الصادق أحاديث موضوعة ". زاد في " المغني ": " قلت: أنا أتعجب كيف خرج له النسائي ".
ثم ساق له الذهبي أحاديث هذا أحدها، ثم قال: " قال ابن حبان: موضوع لا أصل له ". وأقره في " الميزان " والحافظ في " التهذيب " ولكنه قال: والذي يظهر لي أن العلة فيه ممن دون الحارث "، ومال إليه الشيخ المعلمي رحمه الله في " التنكيل " (2 / 223) . قلت: بل علته الحارث هذا، لأن مدار الحديث على محمد بن زنبور عنه، وابن زنبور لم يتهمه أحد، بخلاف الحارث فقد علمت قول ابن حبان والحاكم فيه، بل كذبه ابن خزيمة كما يأتي فهو آفة هذا الحديث، وقد أورده ابن الجوزي في " الموضوعات " وقال: (1 / 245) : " تفرد به الحارث قال ابن حبان: كان يروي عن الأثبات الموضوعات، روى هذا الحديث ولا أصل له.
وقال ابن خزيمة: الحارث كذاب، ولا أصل لهذا الحديث ". وتعقبه السيوطي في " اللآليء " (1 / 229 - 230) بأمرين: الأول: ما سبق من توثيق بعضهم للحارث، وهذا لا يجدي شيئا بعد طعن ابن حبان وغيره فيه وروايته لهذا الحديث الذي يعترف ابن حبان والذهبي بوضعه ويوافقهم الحافظ ابن حجر كما يشير إليه قوله السابق في " التهذيب ". الثاني: بقوله: وقد ورد بهذا اللفظ من حديث أبي أيوب. ثم ساقه. وفي إسناده كذاب كما يأتي، فما فائدة الاستشهاد به؟! (فائدة هامة) : قال ابن الجوزي عقب الحديث: " قلت: كنت قد سمعت هذا الحديث في زمن الصبا فاستعملته نحوا من ثلاثين سنة لحسن ظني بالرواة، فلما علمت أنه موضوع تركته، فقال لي قائل: أليس هو استعمال خير؟ قلت: استعمال الخير ينبغي أن يكون مشروعا، فإذا علمنا أنه كذب خرج عن المشروعية ". أقول: وإذا خرج عن المشروعية فليس من الخير في شيء، فإنه لوكان خيرا لبلغه صلى الله عليه وسلم أمته، ولوبلغه، لرواه الثقات، ولم يتفرد بروايته من يروي الطامات عن الأثبات. وإن فيما حكاه ابن الجوزي عن نفسه لعبرة بالغة، فإنها حال أكثر علماء هذا الزمان ومن قبله، من الذين يتعبدون الله بكل حديث يسمعونه من مشايخهم، دون أي تحقق منهم بصحته، وإنما هو مجرد حسن الظن بهم. فرحم الله امرأ رأى العبرة بغيره فاعتبر. وحديث أبي أيوب المشار إليه هو (الاتي)
পরিচ্ছেদঃ
৬৯৯। যখন (আলহামদুলিল্লাহ রাব্বিল আলামীন), (আয়াতুল কুরসী), (শাহিদাল্লাহু আয়াত) এবং (কুলিল্লাহুম্মা মালেকিল মুলক) (বিগাইরে হিসাব) পর্যন্ত নাযিল হল, তখন সেগুলো আরশে টাংগিয়ে দেয়া হল। আমরা বললাম ঃ আপনি আমাদেরকে এমন একটি সম্প্রদায়ের নিকট নাযিল করলেন যারা আপনার নাফারমানী করে? আল্লাহ বললেনঃ আমার ইযযত, আমার মর্যাদা ও আমার সুউচ্চ আসনের শপথ প্রতিটি ফরয সালাতের পর কোন বান্দা যদি উক্ত আয়াতগুলো পাঠ করে তাহলে আমি তার যাবতীয় গুনাহ ক্ষমা করে দিব। জান্নাতুল ফিরদাউসে তার স্থান বানিয়ে দিব। প্রতিদিন তার দিকে সত্তর বার দৃষ্টি প্রদান করব আর তার সত্তরটি প্রয়োজনীয়তাকে পূর্ণ করে দিব। তার সর্ব নিম্নটি হচ্ছে তাকে ক্ষমা করে দেয়া।
হাদীছটি জাল।
এটি দাইলামী “মুসনাদুল ফিরদাউস” গ্রন্থে মুহাম্মাদ ইবনু আবদির রহমান সূত্রে আমর ইবনু রাবী’ হতে তিনি ইয়াহইয়া ইবনু আইউব হতে তিনি ইসহাক ইবনু উসায়েদ হতে ... বর্ণনা করেছেন। সুয়ূতী “আল-লাআলী” (১/২২৯-২৩০) গ্রন্থে পূর্বের হাদীছটির শাহেদ হিসাবে উল্লেখ করে চুপ থেকে ক্রটি করেছেন। কারণ মুহাম্মাদ ইবনু আবদির রহমান সম্পর্কে যাহাবী বলেনঃ তাকে ইবনু আদী মিথ্যার দোষে দোষী করেছেন। ইবনু ইউনুস বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্য নন। আবু বাকর আল-খাতীব বলেনঃ তিনি মিথ্যুক। অতঃপর যাহাবী তার দুটি হাদীছ উল্লেখ করে বলেছেনঃ হাদীছ দুটি বাতিল। ইবনু হিব্বান (২/২৬০) বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্যদের উদ্ধৃতিতে এককভাবে মুযাল বর্ণনাকারীদের অন্তর্ভুক্ত। তিনি প্রসিদ্ধদের উদ্ধৃতিতে মুনকার হাদীছও বর্ণনা করেছেন।
لما نزلت (الحمد لله رب العالمين) ، وآية (الكرسي) ، و (شهد الله) ، و (قل اللهم مالك الملك) إلى (بغير حساب) ، تعلقن بالعرش وقلن: أنزلتنا على قوم يعملون بمعاصيك؟ فقال: وعزتي وجلالي وارتفاع مكاني لا يتلوكن عبد دبر كل صلاة مكتوبة إلا غفرت له ما كان فيه وأسكنته جنة الفردوس، ونظرت إليه كل يوم سبعين مرة، وقضيت له سبعين حاجة، أدناها المغفرة
موضوع
-
رواه الديلمي في " مسند الفردوس " من طريق محمد بن عبد الرحمن بن بحير بن ريسان: حدثنا عمرو بن الربيع بن طارق: حدثنا يحيى بن أيوب: حدثنا إسحاق بن أسيد عن يعقوب بن إبراهيم عن محمد بن ثابت بن شرحبيل عن عبد الله بن يزيد الخطمي عن أبي أيوب مرفوعا. ذكره السيوطي في " اللآلي " (1 / 229 - 230) شاهدا للحديث الذي قبله، ثم سكت عليه فأساء، لأن ابن ريسان هذا قال الذهبي: " اتهمه ابن عدي، وقال ابن يونس: ليس بثقة، وقال أبو بكر الخطيب: كذاب ". ثم ساق له حديثين ثم قال: " وهذان باطلان "! وقال ابن حبان (2 / 260) : " كان ممن ينفرد بالمعضلات عن الثقات، ويأتي بالمناكير عن المشاهير
পরিচ্ছেদঃ
৭০১। যখন কোন ব্যক্তিকে নেতৃত্ব প্রদান করা হয় তখন আল্লাহ তার থেকে দূরে সরে যান।
হাদীছটির কোন ভিত্তি নেই।
এটিকে গাযালী "আল-ইহইয়া" (২/১২৯) গ্রন্থে আবু যার (রাঃ) হতে মারফু’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন । হাফিয ইরাকী তার "তাখরীজ" গ্রন্থে বলেনঃ এটির ভিত্তি সম্পর্কে অবহিত হইনি।
إن الرجل إذا ولي ولاية تباعد الله عز وجل منه
لا أصل له
-
ذكره الغزالي في " الإحياء " (2 / 129) من حديث أبي ذر مرفوعا، فقال الحافظ العراقي في " تخريجه ": " لم أقف له على أصل
পরিচ্ছেদঃ
৭০২। সুলায়মান (আঃ)-এর আংটির নকশায় লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ লিখা ছিল।
হাদীছটি জাল।
এটি উকায়লী "আয-যোয়াফা" (১৮৫) গ্রন্থে, ইবনু আদী (১/১৯৮), তাম্মাম আর-রাযী (৬/১১১/১) এবং ইবনু আসকির (৭/২৮৮/১) শাইখ ইবনু আবী খালেদ তিনি জাবের (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। উকায়লী এটিসহ আরো দুটি হাদীছ শাইখের জীবনীতে উল্লেখ করে বলেছেনঃ সবগুলোই মুনকার। এই শাইখ ছাড়া অন্য কারো হাদীছে এগুলোর কোন ভিত্তি নেই। ইবনু আদী বলেনঃ এগুলো বাতিল। ইবনু হিব্বান (১/৩৬০) বলেনঃ কোন অবস্থাতেই তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যায় না। তিনি তার তিনটি হাদীছ উল্লেখ করেছেন, এটি সেগুলোর একটি, অতঃপর বলেছেনঃ তিনটিই বানোয়াট। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেননি, জাবের (রাঃ)-ও বর্ণনা করেননি। আমর এবং হাম্মাদ ইবনু সালামাও হাদীছটি বর্ণনা করেননি। যাহাবী তার জীবনীতে বলেনঃ ’শাইখ’ মাজহুল, দাজ্জাল। হাকিম বলেনঃ তিনি হাম্মাদ ইবনু সালামা হতে কতিপয় ৰানোয়াট হাদীছ বর্ণনা করেছেন। অতঃপর হাফিয যাহাবী বলেনঃ হাম্মাদ হতে তার বাতিলগুলোর একটি হচ্ছে এ হাদীছটি। ইবনুল জাওয়ী হাদীছটি “আল-মাওযুআত” গ্রন্থে ইবনু আদীর বর্ণনা হতে উল্লেখ করে (১/২০১) বলেছেনঃ এটি সহীহ নয়। শাইখ বাতিল হাদীছ বর্ণনাকারী, তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যায় না।
সুয়ূতী তার সমালোচনা করে বলেছেনঃ ওবাদাহ ইবনুস সামেত হতে অন্য সূত্রে হাদীছটি বর্ণিত হয়েছে।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তাতে মিথ্যার দোষে দোষী বর্ণনাকারী রয়েছেন।
তিনি ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে মওকুফ হিসাবেও বর্ণনা করেছেন! এটিকে আস-সাহমী “তারীখু জুরজান’ (১৬৯) গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। তাতে দাউদ ইবনু সুলায়মান আল-জুরজানী নামক এক বর্ণনাকারী আছেন, তিনি মিথ্যুক।
আর ও উবাদার হাদীছটি হচ্ছেঃ (দেখুন পরেরটি)
كان نقش خاتم سليمان: لا إله إلا الله، محمد رسول الله ".
موضوع
-
رواه العقيلي في " الضعفاء " (185) وابن عدي (198 / 1) وتمام الرازي (6 / 111 / 1) وابن عساكر (7 / 288 / 1) من طريق شيخ بن أبي خالد البصري: حدثنا حماد بن سلمة عن عمرو بن دينار عن جابر مرفوعا. ساقه العقيلي في ترجمة شيخ هذا وساق له حديثين آخرين يأيتان قريبا، ثم قال: " كلها مناكير ليس لها أصل إلا من حديث هذا الشيخ
وقال ابن عدي فيها: " بواطيل ". وقال ابن حبان (1 / 360) : " لا يجوز الاحتجاج به بحال ". ثم ساق له ثلاثة أحاديث هذا أحدها. ثم قال: " ثلاثتها موضوعات، لا رسول الله صلى الله عليه وسلم قاله، ولا جابر رواه، ولا عمرو حدث به، ولا حماد بن سلمة "، والثاني من الأحاديث الثلاثة يأتي بعد حديث
وقال الذهبي في ترجمته: " شيخ مجهول دجال، قال الحاكم: روى عن حماد بن سلمة أحاديث موضوعات في الصفات وغيرها ". ثم قال الذهبي: " فمن أباطيله عن حماد ... " فذكر له هذا الحديث والذي بعده
والحديث أورده ابن الجوزي في " الموضوعات " من رواية ابن عدي ثم قال: (1 / 201) : " لا يصح، شيخ يروي الأباطيل، لا يحتج به ". وتعقبه السيوطي بأنه ورد من طريق آخر عن عبادة بن الصامت. قلت: وفيه متهم فلا طائل من هذا التعقب كما يأتي بعده. وروي موقوفا على ابن عباس! أخرجه السهمي في " تاريخ جرجان " (169) ، وفيه داود بن سليمان الجرجاني وهو كذاب. وأما حديث عبادة فهو (الاتي)
পরিচ্ছেদঃ
৭০৩। সুলায়মান ইবনু দাউদ (আঃ)-এর আংটির পাথর ছিল আসমানী। সেটিকে তার নিকট নিক্ষেপ করা হলে তিনি তা ধরে ফেলেন, অতঃপর তিনি তার আংটিতে রেখে দেন। তাতে ’আমি আল্লাহ, আমি ছাড়া সত্যিকার অর্থে কোন উপাস্য নেই, মুহাম্মাদ আমার বান্দা ও রাসূল’ (বাক্য দুটি) নকশা করা ছিল।
হাদিছটি জাল।
তাবারানী এবং তার থেকে ইবনু আসাকির (৭/২৮৮/১) মিখলাদ আর-রু’আইনী হতে তিনি হুমায়েদ ইবনু মুহাম্মদ আল-হিমসী হতে তিনি আরতাত ইবনুল মুনযির হতে ... বর্ণনা করেছেন। সুয়ূতী “আল-লাআলী” (১/১৭১) গ্রন্থে পূর্বের হাদীছটির শাহেদ হিসাবে উল্লেখ করে ক্রটি করেছেন। কারণ এই রু’আইনী সম্পর্কে ইবনু আদী বলেনঃ তিনি বাতিল হাদীছ বর্ণনা করেছেন। অতঃপর তিনি তার বাতিল হাদীছগুলোর দুটি উল্লেখ করেছেন। যার একটি ৪১০ নম্বরে আলোচনা করা হয়েছে। আরেকটির আলোচনা ১২৫২ লম্বরে আসবে ইনশাআল্লাহ।
كان فص خاتم سليمان بن داود سماويا، فألقي إليه فأخذه فوضعه في خاتمه، وكان نقشه: أنا الله لا إله إلا أنا، محمد عبدي ورسولي
موضوع
-
رواه الطبراني وعنه ابن عساكر (7 / 288 / 1) عن مخلد الرعيني: حدثنا حميد بن محمد الحمصي عن أرطاة بن المنذر عن خالد بن معدان عن عبادة بن الصامت مرفوعا
ذكره السيوطي في " اللآليء " (1 / 171) شاهدا للحديث الذي قبله فأساء، لأن الرعيني هذا قال ابن عدي: " حدث بالأباطيل " ثم ذكر له من أباطيله حديثين سبق أحدهما وهو " التراب ربيع الصبيان " رقم (410) . والآخر يأتي بعد برقم (1252) إن شاء الله تعالى. وحميد بن محمد الحمصي لم أجده. والله أعلم
পরিচ্ছেদঃ
৭০৪। মূসা ইবনু ইমরান ব্যতীত জান্নাতীরা পশমহীন হবে। তার দাড়ি তার নাভি পর্যন্ত দীর্ঘ হবে।
হাদিছটি বাতিল।
এটি উকায়লী “আয-যোয়াফা" (১৮৫) গ্রন্থে, ইবনু আদী (১/১৯৮) এবং তাম্মাম আর-রাযী তার "আল-ফাওয়ায়েদ" (৬/১১১/১) গ্রন্থে শাইখ ইবনু আবী হতে ... বর্ণনা করেছেন। উকায়লী বলেনঃ হাদীছটি মুনকার। এই শাইখের হাদীছ ছাড়া এটির কোন ভিত্তি নেই।
ইবনু আদী তার কতিপয় হাদীছ উল্লেখ করে বলেছেনঃ এ সবগুলোই বাতিল।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি জাল করার দোষে দোষী। হাফিয যাহাবী তার বাতিল হাদীছগুলো উল্লেখ করেছেন। এটি সেগুলোর একটি। তার আরেকটি হাদীছ (নং ৭০২) সম্পর্কে পূর্বে আলোচনা করা হয়েছে। এ হাদীছটিকে ইবনুল জাওয়ী “আল-মাওযু’আত” গ্রন্থে ইবনু আদীর বর্ণনায় শাইখ হতে উল্লেখ করে (৩/২৫৮) বলেছেনঃ ইবনু হিব্বান বলেনঃ এ হাদীছটি বানোয়াট। শাইখ ইবনু আবী খালেদ নির্ভরযোগ্যদের উদ্ধৃতিতে মু’যাল হাদীছ বর্ণনা করতেন। তার দ্বারা কোন অবস্থাতেই দলীল গ্রহণ করা যায় না। সুয়ূতী “আল-লাআলী” (২/৪৫৬) গ্রন্থে তা সমর্থন করেছেন।
أهل الجنة جرد إلا موسى بن عمران، فإن له لحية إلى سرته ".
باطل
-
رواه العقيلي في " الضعفاء " (185) وابن عدي (198 / 1) والرازي في " فوائده " (6 / 111 / 1) عن شيخ بن أبي خالد البصري: حدثنا حماد بن سلمة عن عمرو بن دينار عن جابر مرفوعا
وقال العقيلي: " منكر ليس له
أصل إلا من حديث هذا الشيخ ". وقال ابن عدي بعد أن ساق له أحاديث أخرى: " وهذه بواطيل كلها ". قلت: وهو متهم بالوضع، وقد ذكر له الذهبي أباطيل هذا أحدها، والثاني سبق قبله بحديث. وهذا الحديث أورده ابن الجوزي في " الموضوعات " من رواية ابن عدي عن شيخ به. وقال (3 / 258) : " قال ابن حبان: موضوع، شيخ بن أبي خالد كان يروي عن الثقات المعضلات لا يحتج به بحال ". وأقره السيوطي في " اللآلئ " (2 / 456)
পরিচ্ছেদঃ
৭০৬। তিনি যখন মুয়াযযিনকে বলতে শুনতেনঃ কল্যাণের দিকে আস, তখন তিনি এই দোআ বলতেনঃ হে আল্লাহ আমাদেরকে মুক্তিপ্রাপ্তদের দলে অন্তর্ভুক্ত কর।
হাদীছটি জাল।
এটি ইবনুস সুন্নী "আমলুল ইয়াউম ওয়াল লাইলাহ" (নং ৯০) গ্রন্থে আবু দাউদ সুলায়মান ইবনু সায়েফ হতে তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু ওয়াকেদ হতে তিনি নাসর ইবনু তুরায়েফ হতে তিনি আসেম হতে ... বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি বানোয়াট। তার সমস্যা হচ্ছে নাসর ইবনু তুরায়েফ। তার সম্পর্কে নাসাঈ ও অন্য বিদ্বানগণ বলেনঃ তিনি মাতরূকুল হাদীছ।
ইয়াহইয়া ইবনু মাঈন বলেনঃ তিনি পরিচিত হাদীছ জালকারীদের অন্তর্ভুক্ত।
আল-ফাল্লাস বলেনঃ আহলে ইলমরা যাদের হাদীছ বর্ণনা না করার বিষয়ে একমত হয়েছেন, তিনি তাদের একজন।
আরেক বর্ণনাকারী আব্দুল্লাহ ইবনু ওয়াকেদ আল-হাররানী হচ্ছেন নিতান্তই দুর্বল। ইমাম বুখারী তার সম্পর্কে বলেনঃ মুহাদ্দিসগণ তাকে পরিত্যাগ করেছেন, তিনি মুনকারুল হাদীছ। তিনি অন্যত্র বলেনঃ সাকাতু আনহু। (এ শব্দ দ্বারা তিনি কী বুঝিয়েছেন তার বিবরণ ৪৫৮ নং হাদীছে আলোচনা করা হয়েছে)। নাসাঈ বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্য নন। আল-জারীরী তাকে খুবই দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন।
আশ্চর্যের ব্যাপার এই যে, সুয়ূতী "আদ-দূরারল মুনতাসিরাহ" (পৃঃ ৮৬) গ্রন্থে ইবনুস সুন্নীর বর্ণনা হতে উল্লেখ করে চুপ থেকেছেন। অথচ এ কিতাবের উদ্দেশ্য হচ্ছে হাদীছের অবস্থার বিবরণ দেয়া।
আরো আশ্চর্য হতে হয় “আল-জামেউস সাগীর” গ্রন্থে হাদীছটি উল্লেখ করা দেখে।
كان إذا سمع المؤذن قال: (حي على الفلاح) قال: اللهم اجعلنا مفلحين
موضوع
-
رواه ابن السني في " عمل اليوم والليلة " (رقم 90) عن أبي داود سليمان بن سيف: حدثنا عبد الله بن واقد عن نصر بن طريف عن عاصم بن بهدلة عن أبي صالح عن معاوية بن أبي سفيان مرفوعا
قلت: وهذا إسناد موضوع، آفته نصر بن طريف، قال النسائي وغيره: " متروك الحديث
وقال يحيى بن معين: " من المعروفين بوضع الحديث ". وقال الفلاس: " وممن أجمع عليه أهل العلم أنه لا يروى عنهم قوم منهم نصر هذا
وعبد الله بن واقد هو الحراني، وهو ضعيف جدا، قال البخاري: " تركوه منكر الحديث ". وقال في موضع آخر: " سكتوا عنه ". وقال النسائي: " ليس بثقة ". وضعفه الجريري جدا
وسليمان بن سيف (وفي الأصل: يوسف خطأ) هو الحراني ثقة، فالآفة ممن فوقه. ومن عجائب السيوطي أنه أورد الحديث برواية ابن السني هذه في " الدرر المنتثرة " (ص 86) وسكت عليه مع أنه ألفه لأجل " بيان حال الأحاديث التي اشتهرت على ألسنة العامة ومن ضاهاهم من الفقهاء الذين لا علم لهم بالحديث "! وأسوأ من ذلك أنه أورده في " الجامع الصغير من حديث البشير النذير
পরিচ্ছেদঃ
৭০৮। তিনি অন্ধকার ঘরে আলো না জ্বালানো পর্যন্ত বসতেন না।
হাদীছটি জাল।
এটি ইবনু সা’আদ (১/৩৮৭) এবং তাম্মাম (৯/১৪১/১) ইয়াহইয়া ইবনু ইমরান সূত্রে সুফিয়ান হতে তিনি জাবের হতে তিনি উম্মু মুহাম্মাদ হতে ... বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ হাদীছটি বানোয়াট। তার সমস্যা জাবের ইবনু ইয়াযীদ আল-জুফী। তিনি মিথ্যুক, যেমনটি আবু হানীফাহ, ইবনু মাঈন, জুযজানী ও অন্য বিদ্বানগণ বলেছেন। তার শাইখ উম্মু মুহাম্মাদকে চিনি না। সম্ভবত তিনি যায়েদ ইবনু যাদ’আনের স্ত্রী।
এ ছাড়া ইয়াহইয়া ইবনু ইয়ামান হেফযের দিক দিয়ে দুর্বল।
অন্য সূত্রে উম্মু মুহাম্মাদের স্থলে আবু মুহাম্মাদ রয়েছেন। ইবনু হিব্বান তার সম্পর্কে বলেনঃ তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যায় না। আর জাবেরের যিম্মা হতে আমরা মুক্ত।
كان لا يقعد في بيت مظلم حتى يضاء له بسراج
موضوع
-
ابن سعد (1 / 387) وتمام (9 / 141 / 1) من طريق يحيى بن يمان عن سفيان عن جابر عن أم محمد عن عائشة مرفوعا
قلت: وهذا موضوع، وآفته جابر، وهو ابن يزيد الجعفي، وهو كذاب كما قال أبو حنيفة وابن معين والجوزجاني وغيرهم. وأم محمد هذه لم أعرفها، ولعلها زوجة زيد بن جدعان. ويحيى بن يمان ضعيف من قبل حفظه، ولكن الحديث أورده الذهبي عن أبي محمد عن عائشة به. ثم قال: " رواه إبراهيم بن شماس عن يحيى القطان عن سفيان عن جابر الجعفي عن أبي محمد، قال ابن حبان: وجابر قد تبرأنا من عهدته، وأبو محمد هذا لا يجوز الاحتجاج به ". قلت: فقد تابع يحيى بن يمان يحيى القطان، فالآفة من جابر أو شيخه. والحديث أورده في " الجامع الصغير " من رواية ابن سعد في الطبقات " عن عائشة، وتعقبه المناوي بقول ابن حبان المذكور آنفا. وذكر أن البزار رواه أيضا. وبالجملة فالحديث موضوع بهذا الإسناد والله أعلم! ثم رأيت الحديث في " المجمع " (8 / 60 - 61) وقال: " رواه البزار، وفيه جابر بن يزيد الجعفي وهو متروك
পরিচ্ছেদঃ
৭০৯। আমার উম্মাতের উপর জাহান্নামের আগুনের গরম একটি গোসলখানার পানির গরমের ন্যায়।
হাদীছটি জাল।
এটি তাবরানী "আল-মুজামুল ওয়াসীত" গ্রন্থে মুহাম্মাদ ইবনু আবদির রহমান ইবনে রাসান হতে তিনি মুহাম্মাদ ইবনু ওয়াকেদী হতে তিনি শু’আয়িব ইবনু তালহা হতে তিনি তার পিতা তালহা হতে ... বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) হাদীছটি “আল-মীযান” গ্রন্থ হতে নকল করেছি, হাফিয যাহাবী তাতে ওয়াকেদীর জীবনী আলোচনা করতে গিয়ে উল্লেখ করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ সনদটি ধ্বংসপ্রাপ্ত। তাতে বহু বিপদ ও সমস্যা রয়েছেঃ
১। তালহা ইবনু আবদিল্লাহ মাজহুলুল হাল। (তার অবস্থা সম্পর্কে জানা যায় না)। ইয়াকুব ইবনু শায়বাহ বলেনঃ তার সম্পর্কে আমার কিছু জানা নাই।
২। শু’আয়িব ইবনু তালহা তার পিতার ন্যায়। ইবনু মাঈন তার সম্পর্কে বলেনঃ তাকে আমি চিনি না। আবু হাতিম বলেনঃ তার ব্যাপারে কোন সমস্যা নেই। দারাকুতনী বলেনঃ তিনি মাতরূক।
৩। মুহাম্মাদ ইবনুল ওয়াকেদী মিথ্যুক যেমনটি ইমাম আহমাদ বলেছেন। ইবনুল মাদীনী, ইবনু রাহওয়াইহ, আবু হাতিম ও নাসাঈ বলেনঃ তিনি হাদীছ জালকারী।
৪। ইবনু রীসান সম্পর্কে আল-খাতীব এবং মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামাহ বলেনঃ তিনি মিথ্যুক।
সতর্কবাণীঃ
উপরে ওয়াকেদী সম্পর্কে ইমামদের ভাষ্য উল্লেখ করে যা আলোচনা করা হলো তা হচ্ছে ব্যাখ্যাকৃত দোষারোপ যাতে কোন প্রকার লুকানোর কিছু নেই। এর পরে ইবনু সাইয়েদিন্নাস কর্তৃক "উয়ুনুল আছার" (পৃঃ ১৭-২১) গ্রন্থের মুকদ্দিমাতে নির্ভরযোগ্য বলে উল্লেখকৃত বক্তব্যের দিকে দৃষ্টি দেয়া যায় না। কারণ তার কাছে মূল তথ্যটিই উদঘাটিত হয়নি। এ ছাড়া ইবনুল হুমামের কথার দিকেও দৃষ্টি দেয়া যায় না।
অনুরূপভাবে আবু গুদা আল-কাওসারীর এবং থানবী (রহঃ)-এর কথার দিকেও দৃষ্টি দেয়া যায় না। কারণ হাফিয ইবনু হাজার ফতহুল বারীর মধ্যে বলেনঃ মুগলাতাঈ ওয়াকিদীর ব্যাপারে গোড়ামি করেছেন। তাকে যারা নির্ভরযোগ্য বলেছেন তিনি তাদের ভাষ্যগুলোই উল্লেখ করেছেন। তাকে যারা দুর্বল এবং মিথ্যার দোষে দোষী করেছেন তাদের ভাষ্যগুলো উল্লেখ করেননি। অথচ তাকে যারা খুবই দুর্বল এবং মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন সংখ্যায় তারাই বেশী এবং জ্ঞানের দিক দিয়েও তারা বেশী অগ্রগামী। বাইহাকী ইমাম শাফে’ঈ হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি তাকে (ওয়াকেদীকে) মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ যারা ওয়াকে দীকে নির্ভরযোগ্য বলেছেন, তাদের বক্তব্যের দিকে দৃষ্টি দেয়া যাবে না। কারণ তারা ঐকমত্যের থিওরীর বিরোধিতা করেছেন। থিওরীতে বলা হয়েছে যে, ব্যাখ্যাকৃত দোষারোপ নির্ভরযোগ্য বলার উপর প্রাধান্য পাবে। হানাফীরা গোড়ামি করে যেমন আবু হানীফাহ (রহঃ)-এর ব্যাপারে মুহাদ্দিছগণের মন্তব্যকে মানতে চাননি, অনুরূপভাবে ওয়াকেদীর সম্পর্কে তাদের সুস্পষ্ট মন্তব্যগুলোকেও মানতে চাননি। নিজেদের মাযহাবী মতকে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে হাদীছ শাস্ত্রের ইমামগণের বক্তব্যগুলোর বিরোধিতা করতে তারা কোন পরওয়াই করেন না।
দেখুন আল-কাওসারী নিজে তার "মাকালাত" (পৃঃ ৪১-৪৪) গ্রন্থে, যে ব্যক্তি ওয়াকেদীর হাদীছ গ্রহণ করেছেন তার প্রতিবাদ করে (১৪ নম্বর হাদীছটিতে) বলেছেনঃ “এ হাদীছটি সেই ব্যক্তি এককভাবে বর্ণনা করেছেন যাকে জামহুরে ওলামা মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন। নাসাঈ "আয-যোয়াফা" গ্রন্থে বলেছেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি প্রসিদ্ধ মিথ্যারোপকারী হচ্ছে চারজন। (তার মধ্যে) মদীনার ওয়াকেদী। ইমাম বুখারী বলেনঃ ইমাম আহমাদ বলেছেনঃ ওয়াকেদী মিথ্যুক। ইবনু মাঈন বলেনঃ তিনি দুর্বল, নির্ভরযোগ্য নন। ইমাম আবু দাউদ বলেনঃ তিনি যে হাদীছ তৈরি করতেন তাতে আমি কোন সন্দেহ পোষণ করছি না। আবু হাতিম বলেনঃ তিনি হাদীছ জাল করতেন। যেমনটি "তাহযীবুত তাহযীব" সহ অন্যান্য গ্রন্থে এসেছে। তাদের দোষারোপ হচ্ছে ব্যাখ্যাকৃত...।”
শাফে’ঈ মাযহাবের কোন কোন গোড়া ব্যক্তিও অজ্ঞতা বশত তাকে নির্ভরযোগ্য বলার চেষ্টা করেছেন।
এ ছাড়া আলোচ্য হাদীছটি বহু সহীহ হাদীছ বিরোধী, যেগুলোতে কঠিন শাস্তির কথা আলোচিত হয়েছে। সেগুলো প্রমাণ করছে যে, আলোচ্য হাদীছটি বাতিল।
إنما حر جهنم على أمتي كحر الحمام
موضوع
-
رواه الطبراني في " المعجم الأوسط " قال: " حدثنا محمد بن عبد الرحمن بن ريسان: حدثنا محمد بن الواقدي: حدثنا شعيب بن طلحة بن (1) عبد الله بن عبد الرحمن بن أبي بكر الصديق: حدثني أبي، عن أبيه عن جده عن أبي بكر مرفوعا
نقلته من " الميزان "، أورده في ترجمة الواقدي. قلت: وهذا سند هالك، وفيه آفات وعلل
طلحة بن عبد الله، مجهول الحال، قال يعقوب بن شيبة: " لا علم لي به "، ووثقه ابن حبان على قاعدته
شعيب بن طلحة، مثل أبيه، قال ابن معين: " لا أعرفه ". وقال معن (ابن عيسى) : " لا يكاد يعرف ". وتباين فيه رأي أبي حاتم، والدارقطني فقال الأول: " لا بأس به "! وقال الآخر: " متروك
الواقدي وهو كذاب كما قال الإمام أحمد، وقال ابن المديني وابن راهويه وأبو حاتم والنسائي: " يضع الحديث
ابن ريسان قال الخطيب ومحمد بن مسلمة: كذاب
(تنبيه) وما سبق من أقوال الأئمة في الواقدي، جرح مفسر لا خفاء فيه، فلا تلتفت بعد ذلك إلى محالة ابن سيد الناس في مقدمة كتابه " عيون الأثر " (ص 17 - 21) المدافعة عنه اعتمادا منه على توثيق من وثقه، ممن لم يتبين له حقيقة أمره، ولا إلى قول ابن الهمام معبرا عن رأي الحنفية فيه: " والواقدي عندنا حسن الحديث "، كما نقله الشيخ أبو غدة الكوثري (!) في تعليقه على " قواعد في علوم الحديث " للتهانوي (ص 349) ، بمناسبة قول التهانوي هذا في صدد رده على قول الحافظ في " الفتح ": " وقد تعصب مغلطاي للواقدي، فنقل كلام من قواه ووثقه، وسكت عن ذكر من وهاه واتهمه، وهم أكثر عددا وأشد إتقانا، وأقوى معرفة من الأولين ... وقد أسند البيهقي عن الشافعي أنه كذبه
فرده التهانوي بقوله: " ولم يتعصب مغلطاي للواقدي، بل استعمل الإنصاف، فإن الصحيح في الواقدي التوثيق "! أقول: فلا تغتر بهؤلاء الذين مالوا إلى توثيقه، فإنهم خالفوا القاعدة المتفق عليها عند المحدثين أن الجرح المفسر مقدم على التعديل، ولعل الحنفية يقولون هنا كما قالوا فيما جرح به أبو حنيفة رحمه الله
إن مصدر ذلك التعصب! وبذلك طعنوا في أئمة المسلمين بغير حق، في سبيل تخليص رجل منهم مما قيل فيه بحق. فاعتبروا يا أولي الأبصار
وبعد كتابة ما سبق رأيت للشيخ زاهد الكوثري كلاما حسنا حول جرح الواقدي اتبع هنا سبيل أئمة الحديث وأقوالهم، فأرى أنه لا بأس من نقل كلامه ملخصا، لا احتجاجا به - فليس هو عندنا في موضع الحجة - وإنما ردا به على متعصبة الحنفية - وهو منهم - الذين لا يبالون بمخالفة أقوال أئمة الحديث ونقاده، إذا كان لهم في ذلك هوى، كما فعل التهانوي، وقلده أبو غدة الكوثري، مع أنه خلاف قول شيخه الكوثري الذي يفخر بالانتساب إليه، فقد قال في " مقالاته " (ص 41 - 44) في صدد رده على من احتج بحديث الواقدي المتقدم برقم (14) : " انفرد بروايته من كذبه جمهرة أئمة النقد بخط عريض، فقال النسائي في " الضعفاء
الكذابون المعروفون بالكذب على رسول الله صلى الله عليه وسلم أربعة: الواقدي بالمدينة
وقال البخاري: قال أحمد: الواقدي كذاب. وقال ابن معين: ضعيف ليس بثقة. وقال أبو داود: لا أشك أنه كان يفتعل الحديث. وقال أبو حاتم: كان يضع. كما في " تهذيب التهذيب " وغيره. وجرح هؤلاء مفسر لا يحتمل أن يحمل التكذيب في كلامهم على ما يحتمل الوهم كما ترى، وإنما مدار الحكم على الخبر بالوضع أو الضعف الشديد من حيث الصناعة الحديثية هو انفراد الكذاب أو المتهم بالكذب أو الفاحش الخطأ، لا النظر إلى ما في نفس الأمر، لأنه غيب. فالعمدة في هذا الباب هي علم أحوال الرواة، واحتمال أن يصدق الكذاب في هذه الرواية مثلا احتمال لم ينشأ من دليل فيكون وهما منبوذا
ومن الغرائب أن يغتر بتوثيق الواقدي بعض متعصبة الشافعية، ما سبب ذلك إلا غلبة الأهواء، والجهل بهذا العلم على كثير من الكتاب كالدكتور البوطي الذي اعتمد على روايات الواقدي وصححها في كتابه " فقه السيرة
"، كما تراه مفصلا في ردي عليه في رسالة مطبوعة، فليراجعها من شاء
وقد قصر الكلام على الحديث بعض الأئمة! فأعله الهيثمي في " المجمع " (10 / 360) بالواقدي فقط، فقال: " وهو ضعيف جدا ". ونقله عنه المناوي في " الفيض " بإسقاط لفظ " جدا "! وأغرب منه قول الحافظ السخاوي في " المقاصد " (206)
" ورجاله موثقون، إلا أنه نقل عن الدارقطني في شعيب أنه متروك، والأكثر على قبوله ". قلت: وهذا قصور فاحش من مثل هذا الحافظ، فكيف يصح إعلال الحديث برجل مختلف فيه ولم يتهم، وفي الطريق إليه كذابان؟! وممن قصر فيه أيضا الشيخ العجلوني في " كشف الخفاء " (1 / 213) ، فإنه نقل كلام السخاوي باختصار، وأقره! ولا عجب في ذلك فهو في الحديث ناقل مقلد، وليس بالعالم المجتهد
أقول: وحري بمثل هذا الحديث الباطل أن لا يرويه إلا مثل هذين الكذابين، فإنه حديث خطير يقضي على باب كبير من أبواب التربية والإصلاح في الشرع، ألا وهو باب الوعيد وما فيه من الآيات والأحاديث في إيعاد العصاة من هذه الأمة بالنار الموقدة (التي تطلع على الأفئدة) ، والأحاديث الصحيحة في بيان هذا كثيرة جدا أذكر بعض ما يحضرني الآن منها على سبيل المثال
" ثلاث لا يكلمهم الله يوم القيامة ولا ينظر إليهم ولا يزكيهم ولهم عذاب أليم: المسبل إزاره والمنان الذي لا يعطي شيئا إلا منة، والمنفق سلعته بالحلف الكاذب ". رواه مسلم عن أبي ذر وهو مخرج في " إرواء الغليل " (892) و" تخريج الحلال " (170)
" ثلاثة لا يكلمهم الله يوم القيامة ولا يزكيهم ولا ينظر إليهم ولهم عذاب أليم: شيخ زان، وملك كذاب وعائل مستكبر ". رواه مسلم عن أبي هريرة
قوله صلى الله عليه وسلم في حديث الشفاعة: " حتى إذا فرغ الله من القضاء بين عباده وأراد أن يخرج من النار من أراد أن يخرج ممن كان يشهد أن لا إله إلا الله أمر الله الملائكة أن يخرجوهم، فيعرفونهم بعلامة آثار السجود، وحرم الله على النار أن تأكل من ابن آدم أثر السجود، فيخرجونهم قد امتحشوا " رواه الشيخان عن أبي هريرة. وفي حديث أبي سعيد: فيخرجون خلقا كثيرا قد أخذت النار إلى نصف ساقيه، وإلى ركبتيه و ... ". رواه مسلم
فهذه الأحاديث وغيرها صريحة في بطلان هذا الحديث، إذ كيف يكون العذاب أليما وهو كحر الحمام؟! بل كيف يكون كذلك وقد أحرقتهم النار، وأكلت لحمهم، حتى ظهر عظمهم؟! وبالجملة فأثر هذا الحديث سيء جدا لا يخفى على المتأمل فإنه يشجع الناس على استباحة المحرمات، بعلة أن ليس هناك عقاب إلا كحر الحمام
পরিচ্ছেদঃ
৭১১। তোমরা যখন (আযানের) আওয়ায শুনবে, তখন দাঁড়িয়ে যাবে। কারণ তা আল্লাহর প্রাপ্য।
হাদীছটি জাল।
এটিকে আবু নোয়াইম (২/১৭৪) আহমাদ ইবনু ইয়াকুব হতে তিনি ওয়ালীদ ইবনু সালামা হতে তিনি ইউনুস ইবনু ইয়াযীদ হতে তিনি ইবনু শিহাব যুহরী হতে ... বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি বানোয়াট। তার সমস্যা হচ্ছে ওয়ালীদ ইবনু সালামা আত-তাবারী। দুহায়েম ও অন্য বিদ্বানগণ তার সম্পর্কে বলেনঃ তিনি মিথ্যুক। ইবনু হিব্বান বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্যদের উদ্ধৃতিতে হাদীছ জলকারী। আর আহমাদ ইবনু ইয়াকুব সম্পর্কে দারাকুতনী বলেনঃ তাকে আমি চিনি না, দুর্বলদের সাথে তার সাদৃশ্যতা রয়েছে।
إذا سمعتم النداء فقوموا، فإنها عزمة من الله
موضوع
-
رواه أبو نعيم (2 / 174) عن أحمد بن يعقوب قال: حدثنا الوليد بن سلمة عن يونس بن يزيد عن ابن شهاب الزهري عن سعيد (الأصل أحمد وهو خطأ) ابن المسيب عن عثمان بن عفان مرفوعا. قلت: وهذا إسناد موضوع آفته الوليد بن سلمة وهو الطبراني قال دحيم وغيره: " كذاب ". وقال ابن حبان: " يضع الحديث على الثقات ". وأحمد بن يعقوب قال المناوي: " هو الترمذي، قال الدارقطني: لا أعرفه ويشبه أن يكون ضعيفا
পরিচ্ছেদঃ
৭১২। সেই ফাকীহ ব্যক্তি সর্বোত্তম যার মুখাপেক্ষী হলে তা দ্বারা সে উপকৃত হয় আর তার মুখাপেক্ষী না হলে সে নিজেকে স্বাবলম্বী ভাবে।
হাদীছটি জাল।
এটি ইবনু আসাকির (১৩/১৭৩/১) আব্বাদ ইবনু ইয়াকুব রাওয়াজেনী হতে তিনি ঈসা ইবনু আব্দিল্লাহ হতে তিনি তার পিতা হতে ... বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এটি বানোয়াট। তার সমস্যা হচ্ছে ঈসা ইবনু আবদিল্লাহ। দারাকুতনী বলেনঃ তিনি মাতরূকুল হাদীছ। ইবনু হিব্বান (২/১১৯) বলেনঃ তিনি তার বাপ-দাদাদের থেকে বানোয়াট বহু কিছু বর্ণনা করেছেন।
হাফিয যাহাবী তার কতিপয় হাদীছ উল্লেখ করেছেন। বাহ্যিকতা প্রমাণ করছে যে সেগুলো বানোয়াট। সেগুলোর একটি সম্পর্কে বলেনঃ সম্ভবত এটি বানোয়াট।
এই ঈসা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে আবু হাতিম আর-রাযী শিথিলতা করেছেন। তিনি বলেছেনঃ তিনি হাদীছের ক্ষেত্রে শক্তিশালী ছিলেন না।
نعم الرجل الفقيه، إن احيتج إليه انتفع به، وإن استغني عنه أغنى نفسه
موضوع
-
رواه ابن عساكر (13 / 173 / 1) عن عباد بن يعقوب الرواجني: أنبأنا عيسى بن عبد الله بن محمد بن عمر بن علي: حدثني أبي عن أبيه عن جده عن
علي رفعه
قلت: وهذا موضوع آفته عيسى بن عبد الله هذا العلوي، قال الدارقطني: " متروك الحديث "، وقال ابن حبان (2 / 119) : " يروي عن آبائه أشياء موضوعة ". وساق له الذهبي أحاديث ظاهر عليها الوضع، وقال في أحدها
" هذا لعله موضوع ". ومن تلك الأحاديث: " كان يعجبه النظر إلى الحمام الأحمر والأترج ". وسيأتي برقم (1393) . وقد تساهل في عيسى هذا أبو حاتم الرازي - على خلاف عادته، فقال ابنه في " الجرح والتعديل " (3 / 1 / 280) عنه: " لم يكن بقوي الحديث
পরিচ্ছেদঃ
৭১৩। তিনি যখন তার চুল ছাটতেন বা তার নখ কাটতেন অথবা শিঙ্গা (চুঙ্গি দিয়ে মরা রক্ত বের করা) লাগাতেন, তখন তা দাফন করার জন্য বাকীতে প্রেরণ করতেন।
হাদীছটি বাতিল।
হাদীছটি বাতিল, আমার নিকট তার কোন ভিত্তি নেই। ইয়াকুব ইবনু মুহাম্মাদ হাদীছের ক্ষেত্রে খুবই দুর্বল। হাফিয ইবনু হাজার "আত-তাকরীব" গ্রন্থে বলেনঃ তিনি সত্যবাদী, বহু সন্দেহ প্রবণ এবং দুর্বলদের থেকে বহু হাদীছ বর্ণনাকারী।
এ ছাড়া তিনি হিশাম ইবনু উরওয়ার সাথে মিলিতই হননি। যেমনটি হাফিয যাহাবী তার অন্য একটি জাল হাদীছে (১০৪) উল্লেখ করেছেন।
كان إذا أخذ من شعره أو قلم أظفاره، أو احتجم بعث به إلى البقيع فدفن
باطل
-
قال ابن أبي حاتم (2 / 337) : " سئل أبو زرعة عن حديث رواه يعقوب بن محمد الزهري عن هشام بن عروة عن أبيه عن عائشة قالت: فذكره. قال أبو زرعة: " حديث باطل ليس له عندي أصل وكان حدثهم قديما في كتاب " الآداب " فأبى أن يقرأه، وقال: اضربوا عليه، ويعقوب بن محمد هذا واهي الحديث ". وقال الحافظ في " التقريب ": " صدوق كثير الوهم والرواية عن الضعفاء
قلت: ولعل الآفة من بعض الضعفاء الذين تلقى هذا الحديث عنه فإنه لم يسمع من هشام بن عروة بل لم يلحقه كما جزم بذلك الذهبي في حديث آخر له موضوع تقدم برقم (104) فراجعه
পরিচ্ছেদঃ
৭১৬। যে ব্যক্তি হলুদ রঙয়ের জুতা পরিধান করবে, সে যতক্ষণ তা পরে থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত আনন্দে থাকবে। এটিই হচ্ছে আল্লাহর বাণী "গাঢ় হলুদ কর্ণের গাভী যা দর্শকদের চমৎকৃত করবে।"
হাদীছটি জাল।
এটিকে ইবনু আবী হাতিম “আল-ইলাল” (২/৩১৯) গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেনঃ এটি সাহাল ইবনু উছমান আল-আসকারী ইবনুল আযরা হতে তিনি ইবনু জুরায়েয হতে ... বর্ণনা করেছেন। অতঃপর বলেছেন, আমার পিতা বলেছেনঃ এ হাদীছটি মিথ্যা ও বানোয়াট।
আমি (আলবানী) বলছিঃ হাফিয ইবনু হাজার "তাখরাজু আহাদীছিল কাশশাফ (পৃঃ ৭ নং ৫২) গ্রন্থে তার মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন। সুয়ূতী “আদ-দুরার” (১/৭৮) গ্রন্থে বলেনঃ হাদীছটি ইবনু আবী হাতিম, তাবারানী, আল-খাতীব এবং দাইলামী ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। মওকুফ হিসাবেও বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ সমস্যা হচ্ছে বর্ণনাকারী ইবনুল আযরার মধ্যে। হাফিয যাহাবী তাকে পিতার পরিচয়ে পরিচিতি লাভকারীদের অধ্যায়ে উল্লেখ করে ইবনু জুরায়েজ হতে বর্ণিত জুতার হাদীছটি সম্পর্কে বলেছেনঃ কিছুই না। অনুরূপ কথা ইবনু হাজারের "আল-লিসান" গ্রন্থেও এসেছে।
ইবনুল আযরা মাজহুল হওয়ার কারণে আবু হাতিম তাকে মিথ্যার দোষে দোষী করেছেন।
من لبس نعلا صفراء لم يزل في سرور ما دام لابسها، وذلك قول الله عز وجل (صفراء فاقع لونها تسر الناظرين)
موضوع
-
ذكره ابن أبي حاتم في " العلل " (2 / 319) فقال: رواه سهل بن عثمان العسكري عن ابن العذراء عن ابن جريج عن عطاء عن ابن عباس فذكره موقوفا عليه وقال: " قال أبي هذا حديث كذب موضوع قلت: وأقره الحافظ ابن حجر في " تخريج أحاديث الكشاف " (ص 7 رقم 52)
وقال السيوطي في " الدر " (1 / 78) : " أخرجه ابن أبي حاتم والطبراني والخطيب والديلمي عن ابن عباس قال: ... ". فذكره موقوفا أيضا. قلت: والآفة من ابن العذراء هذا، فقد أورده الذهبي في " فصل من عرف بأبيه " وقال: " عن ابن جريج، له حديث في
النعل الأصفر، لا شيء ". وكذا في " اللسان
ومن تساهلات ابن كثير رحمه الله في " تفسيره " أنه أورده جازما بقوله (1 / 110) : " وقال ابن جريج ... "! وهذا مما لا يليق به، ما دام أن السند إلى ابن جريج غير ثابت لجهالة ابن العذراء هذا، واتهام الإمام أبي حاتم إياه بهذا الحديث، بل كان من الواجب على ابن كثير أن ينقل كلام الإمام كما فعل الحافظ ابن حجر رحمه الله تعالى، لكن الظاهر أنه لم يستحضره عند كتابته، والله أعلم
والحديث أورده الزمخشري في " تفسيره " بلفظ: " من لبس نعلا صفراء قل همه ". فقال ابن حجر في تخريجه: موقوف لم أجده
পরিচ্ছেদঃ
৭১৮। যে ব্যক্তি পাগড়ী বাধবে তার জন্য প্রতিটি পেঁচে একটি করে সৎকর্ম লিপিবদ্ধ করা হবে, অতঃপর যখন পাগড়ী খুলবে তখন প্রতিটি পেঁচ খুলার সাথে সাথে একটি করে গুনাহ ঝরে যাবে।
হাদীছটি জাল।
এটিকে হায়ছামী "আহকামুল লিবাস" (২/৯) গ্রন্থে পাগড়ীর ফযীলত সংক্রান্ত অধ্যায়ে উল্লেখ করে বলেছেনঃ যদি এ হাদীছটি অত্যন্ত দুর্বল না হতো তাহলে বড় আকারের পাগড়ী বাধার জন্য দলীল হতো।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এটির ন্যায় হাদীছগুলো মানুষের মধ্যে বিদ’আত প্রসার ঘটার অন্যতম কারণ। কেননা অধিক সংখ্যক ব্যক্তিই এমনকি ফাকীহগণও সহীহ আর য’ঈফের মধ্যে পার্থক্য করেন না। কখনও কখনও বানোয়াট হাদীছ হওয়া সত্ত্বেও বহু বছর ধরে তার উপর আমল করেই যাচ্ছেন। যখন তাকে সতর্ক করা হচ্ছে যে, এটিতো দুর্বল বা বানোয়াট হাদীছ, তখন তিনি বলছেন যে, অসুবিধা নেই, ফযীলতের ক্ষেত্রে দুর্বল হাদীছের উপর আমল করা যায়। অথচ সকলের ঐকমত্যের সিদ্ধান্তানুযায়ী বেশী দুর্বল ও বানোয়াট হাদীছের উপর আমল করা যে না-জায়েয, সে ব্যাপারে তিনি অজ্ঞ।
আমি এক শাইখকে হালাবের কোন এক মসজিদে ইমামত করতে দেখেছি। তার মাথার পাগড়ী এতই বড় যে, মেহরাবের অবশিষ্ট খালী অংশ যেন তার পাগড়ী ঘিরে ফেলবে! দেখুন দুর্বল হাদীছ এবং ধারণামূলক থিওরীর কারণে মুসলিমরা তাদের দ্বীন হতে কিভাবে সরে যাচ্ছে।
من اعتم فله بكل كورة حسنة، فإذا حط فله بكل حطة حطة خطيئة
موضوع
-
ذكره الهيتمي في " أحكام اللباس " (9 / 2) في جملة أحاديث أوردها في فضل العمامة لم يخرجها ولكنه عقبه بقوله: " ولولا شدة ضعف هذا الحديث لكان حجة في تكبير العمائم
قلت: وهذا الحديث وأمثاله من أسباب انتشار البدع في الناس، لأن أكثرهم حتى من المتفقهة لا تمييز عندهم بين الصحيح والضعيف من الحديث، وقد يكون موضوعا، ولا علم عنده بذلك فيعمل به وتمر الأعوام وهو على ذلك فإذا نبه على ضعفه بادرك بقوله: لا بأس، يعمل بالحديث الضعيف في فضائل الأعمال! وهو جاهل بأن الحديث موضوع أو شديد الضعف كهذا، ومثله لا يجوز العمل به اتفاقا، وإني لأذكر شيخا كان يؤم الناس في بعض مساجد حلب، على رأسه عمامة ضخمة تكاد لضخامتها تملأ فراغ المحراب الذي كان يصلي فيه! فإلى الله المشتكى مما أصاب المسلمين من الانحراف عن دينهم بسبب الأحاديث الضعيفة والقواعد المزعومة
পরিচ্ছেদঃ
৭২০। যে ব্যক্তি পেট ভরে (পানাহার করে) খায় সে আসমানী রাজ্যসমূহে প্রবেশ করতে পারবে না।
হাদীছটির কোন ভিত্তি নেই।
এটিকে গাযালী “আল-ইহইয়া” গ্রন্থে মারফু হিসাবে উল্লেখ করেছেন। হাফিজ ইরাকী "আত-তাখরীজ" (৩/৬৯) গ্রন্থে বলেনঃ আজি এটিকে পাচ্ছি না। সুবকীও "আত-তাবাকাত" (৪/১৬২) গ্রন্থে অনুরূপ কথা বলেছেন।
অতঃপর আমি এর মওকুফ সূত্র আয়েশা (রাঃ) হতে পেয়েছি। এটিকে ইবনু ওয়াহাব "আল-জামে" (পৃঃ ৭৭) গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। এ সনদটি মু’যাল। খারায়েতী "মাকারেমূল আখলাক" (পৃঃ ৪১, ৪৫, ৫৩) গ্রন্থে অন্য একটি সূত্রে আয়েশা (রাঃ) হতে মওকুফ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। এ সনদটিও দুর্বল। বর্ণনাকারী যিয়াদের জীবনী পাচ্ছি না। আর ইবনু ’আন’য়াম দুর্বল।
لا يدخل ملكوت السماوات من ملأ بطنه
لا أصل له
-
وإن أورده الغزالي في " الإحياء " حديثا مرفوعا إلى النبي صلى الله عليه وسلم! فقد قال الحافظ العراقي في " تخريجه " (3 / 69) : " لم أجده ". وكذا قال السبكي في " الطبقات " (4 / 162)
ثم وجدت له طريقا موقوفا
فقال ابن وهب في " الجامع " (ص 77) : حدثنا ابن أنعم أن عائشة زوج النبي صلى الله عليه وسلم تقول: فذكره موقوفا عليها
وهذا إسناد معضل، وقد وصل، فقال الخرائطي في " مكارم الأخلاق " (ص 41، 45، 53) : حدثنا أحمد بن يحيى بن مالك السوسي: حدثنا أبو بدر شجاع بن الوليد: حدثنا عبد الرحمن بن زياد بن أنعم: حدثنا زياد بن أبي منصور عن عائشة به. قلت: وهذا سند ضعيف، زياد هذا لم أجد له ترجمة. وابن أنعم ضعيف. والسوسي مترجم في " تاريخ بغداد " (5 / 202)