পরিচ্ছেদঃ
৭১৮। যে ব্যক্তি পাগড়ী বাধবে তার জন্য প্রতিটি পেঁচে একটি করে সৎকর্ম লিপিবদ্ধ করা হবে, অতঃপর যখন পাগড়ী খুলবে তখন প্রতিটি পেঁচ খুলার সাথে সাথে একটি করে গুনাহ ঝরে যাবে।
হাদীছটি জাল।
এটিকে হায়ছামী "আহকামুল লিবাস" (২/৯) গ্রন্থে পাগড়ীর ফযীলত সংক্রান্ত অধ্যায়ে উল্লেখ করে বলেছেনঃ যদি এ হাদীছটি অত্যন্ত দুর্বল না হতো তাহলে বড় আকারের পাগড়ী বাধার জন্য দলীল হতো।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এটির ন্যায় হাদীছগুলো মানুষের মধ্যে বিদ’আত প্রসার ঘটার অন্যতম কারণ। কেননা অধিক সংখ্যক ব্যক্তিই এমনকি ফাকীহগণও সহীহ আর য’ঈফের মধ্যে পার্থক্য করেন না। কখনও কখনও বানোয়াট হাদীছ হওয়া সত্ত্বেও বহু বছর ধরে তার উপর আমল করেই যাচ্ছেন। যখন তাকে সতর্ক করা হচ্ছে যে, এটিতো দুর্বল বা বানোয়াট হাদীছ, তখন তিনি বলছেন যে, অসুবিধা নেই, ফযীলতের ক্ষেত্রে দুর্বল হাদীছের উপর আমল করা যায়। অথচ সকলের ঐকমত্যের সিদ্ধান্তানুযায়ী বেশী দুর্বল ও বানোয়াট হাদীছের উপর আমল করা যে না-জায়েয, সে ব্যাপারে তিনি অজ্ঞ।
আমি এক শাইখকে হালাবের কোন এক মসজিদে ইমামত করতে দেখেছি। তার মাথার পাগড়ী এতই বড় যে, মেহরাবের অবশিষ্ট খালী অংশ যেন তার পাগড়ী ঘিরে ফেলবে! দেখুন দুর্বল হাদীছ এবং ধারণামূলক থিওরীর কারণে মুসলিমরা তাদের দ্বীন হতে কিভাবে সরে যাচ্ছে।
من اعتم فله بكل كورة حسنة، فإذا حط فله بكل حطة حطة خطيئة
موضوع
-
ذكره الهيتمي في " أحكام اللباس " (9 / 2) في جملة أحاديث أوردها في فضل العمامة لم يخرجها ولكنه عقبه بقوله: " ولولا شدة ضعف هذا الحديث لكان حجة في تكبير العمائم
قلت: وهذا الحديث وأمثاله من أسباب انتشار البدع في الناس، لأن أكثرهم حتى من المتفقهة لا تمييز عندهم بين الصحيح والضعيف من الحديث، وقد يكون موضوعا، ولا علم عنده بذلك فيعمل به وتمر الأعوام وهو على ذلك فإذا نبه على ضعفه بادرك بقوله: لا بأس، يعمل بالحديث الضعيف في فضائل الأعمال! وهو جاهل بأن الحديث موضوع أو شديد الضعف كهذا، ومثله لا يجوز العمل به اتفاقا، وإني لأذكر شيخا كان يؤم الناس في بعض مساجد حلب، على رأسه عمامة ضخمة تكاد لضخامتها تملأ فراغ المحراب الذي كان يصلي فيه! فإلى الله المشتكى مما أصاب المسلمين من الانحراف عن دينهم بسبب الأحاديث الضعيفة والقواعد المزعومة