পরিচ্ছেদঃ
৭০২। সুলায়মান (আঃ)-এর আংটির নকশায় লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ লিখা ছিল।
হাদীছটি জাল।
এটি উকায়লী "আয-যোয়াফা" (১৮৫) গ্রন্থে, ইবনু আদী (১/১৯৮), তাম্মাম আর-রাযী (৬/১১১/১) এবং ইবনু আসকির (৭/২৮৮/১) শাইখ ইবনু আবী খালেদ তিনি জাবের (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। উকায়লী এটিসহ আরো দুটি হাদীছ শাইখের জীবনীতে উল্লেখ করে বলেছেনঃ সবগুলোই মুনকার। এই শাইখ ছাড়া অন্য কারো হাদীছে এগুলোর কোন ভিত্তি নেই। ইবনু আদী বলেনঃ এগুলো বাতিল। ইবনু হিব্বান (১/৩৬০) বলেনঃ কোন অবস্থাতেই তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যায় না। তিনি তার তিনটি হাদীছ উল্লেখ করেছেন, এটি সেগুলোর একটি, অতঃপর বলেছেনঃ তিনটিই বানোয়াট। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেননি, জাবের (রাঃ)-ও বর্ণনা করেননি। আমর এবং হাম্মাদ ইবনু সালামাও হাদীছটি বর্ণনা করেননি। যাহাবী তার জীবনীতে বলেনঃ ’শাইখ’ মাজহুল, দাজ্জাল। হাকিম বলেনঃ তিনি হাম্মাদ ইবনু সালামা হতে কতিপয় ৰানোয়াট হাদীছ বর্ণনা করেছেন। অতঃপর হাফিয যাহাবী বলেনঃ হাম্মাদ হতে তার বাতিলগুলোর একটি হচ্ছে এ হাদীছটি। ইবনুল জাওয়ী হাদীছটি “আল-মাওযুআত” গ্রন্থে ইবনু আদীর বর্ণনা হতে উল্লেখ করে (১/২০১) বলেছেনঃ এটি সহীহ নয়। শাইখ বাতিল হাদীছ বর্ণনাকারী, তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যায় না।
সুয়ূতী তার সমালোচনা করে বলেছেনঃ ওবাদাহ ইবনুস সামেত হতে অন্য সূত্রে হাদীছটি বর্ণিত হয়েছে।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তাতে মিথ্যার দোষে দোষী বর্ণনাকারী রয়েছেন।
তিনি ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে মওকুফ হিসাবেও বর্ণনা করেছেন! এটিকে আস-সাহমী “তারীখু জুরজান’ (১৬৯) গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। তাতে দাউদ ইবনু সুলায়মান আল-জুরজানী নামক এক বর্ণনাকারী আছেন, তিনি মিথ্যুক।
আর ও উবাদার হাদীছটি হচ্ছেঃ (দেখুন পরেরটি)
كان نقش خاتم سليمان: لا إله إلا الله، محمد رسول الله ".
موضوع
-
رواه العقيلي في " الضعفاء " (185) وابن عدي (198 / 1) وتمام الرازي (6 / 111 / 1) وابن عساكر (7 / 288 / 1) من طريق شيخ بن أبي خالد البصري: حدثنا حماد بن سلمة عن عمرو بن دينار عن جابر مرفوعا. ساقه العقيلي في ترجمة شيخ هذا وساق له حديثين آخرين يأيتان قريبا، ثم قال: " كلها مناكير ليس لها أصل إلا من حديث هذا الشيخ
وقال ابن عدي فيها: " بواطيل ". وقال ابن حبان (1 / 360) : " لا يجوز الاحتجاج به بحال ". ثم ساق له ثلاثة أحاديث هذا أحدها. ثم قال: " ثلاثتها موضوعات، لا رسول الله صلى الله عليه وسلم قاله، ولا جابر رواه، ولا عمرو حدث به، ولا حماد بن سلمة "، والثاني من الأحاديث الثلاثة يأتي بعد حديث
وقال الذهبي في ترجمته: " شيخ مجهول دجال، قال الحاكم: روى عن حماد بن سلمة أحاديث موضوعات في الصفات وغيرها ". ثم قال الذهبي: " فمن أباطيله عن حماد ... " فذكر له هذا الحديث والذي بعده
والحديث أورده ابن الجوزي في " الموضوعات " من رواية ابن عدي ثم قال: (1 / 201) : " لا يصح، شيخ يروي الأباطيل، لا يحتج به ". وتعقبه السيوطي بأنه ورد من طريق آخر عن عبادة بن الصامت. قلت: وفيه متهم فلا طائل من هذا التعقب كما يأتي بعده. وروي موقوفا على ابن عباس! أخرجه السهمي في " تاريخ جرجان " (169) ، وفيه داود بن سليمان الجرجاني وهو كذاب. وأما حديث عبادة فهو (الاتي)