যঈফ (Dai'f) হাদিস পাওয়া গেছে 7320 টি

পরিচ্ছেদঃ

১৭০০। তোমরা আলেমের পদস্খলন হতে বেঁচে থাক এবং তার ফিরে আসার ব্যাপারে অপেক্ষা কর।

হাদীসটি খুবই দুর্বল।

হাদীসটিকে ইবনু আদী (১/২৭৪), বাইহাকী “আসসুনানুল কুবরা” গ্রন্থে (১০/২১১) ও দাইলামী "আলমুসনাদ" গ্রন্থে (১/১/৪৩) কাসীর ইবনু আব্দুল্লাহ হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

তিনি বলেনঃ বর্ণনাকারী কাসীরের অধিকাংশ হাদীসের মুতাবা’য়াত করা হয়নি।

আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি খুবই দুর্বল। হাফিয যাহাবীর “আযযুয়াফা” গ্রন্থে এসেছে শাফেঈ বলেনঃ তিনি মিথ্যার স্তম্ভের এক স্তম্ভ। ইবনু হিব্বান বলেনঃ তার দাদার উদ্ধৃতিতে তার পিতা হতে তার একটি বানোয়াট কপি রয়েছে। অন্যরা বলেনঃ তিনি দুর্বল।

তার সূত্রেই হুলওয়ানীও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন যেমনটি “আলজামেউস সাগীর” গ্রন্থে এসেছে। আর তার ভাষ্যকার মানবী বলেছেনঃ তিনি হাদীসটির ব্যাপারে চুপ থেকেছেন। তিনি দুর্বল বা অন্য কোন চিহ্ন ব্যবহার করেননি। যিনি বলেছেন যে, তিনি দুর্বলের চিহ্ন ব্যবহার করেছেন তিনি সন্দেহ করে তা বলেছেন। আমি তার হাতের লিখা একটি কপি সম্পর্কে অবগত হয়েছি তাতে তিনি কোন চিহ্ন ব্যবহার করেননি। যদি মেনে নেয়া হয় যে, হাদীসটি বানোয়াট নয় তবুও বর্ণনাকারী কাসীরের অবস্থা সম্পর্কে জেনেছেন। যাইন ইরাকী বলেনঃ হাদীসটিকে ইবনু আদী আমর ইবনু আউফ এর হাদীস হতে বর্ণনা করে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। লেখকের হাদীসটিকে ইবনু আদীর উদ্ধৃতিতে উল্লেখ করে তিনি যে কথার দ্বারা হাদীসটির সমস্যা বর্ণনা করেছেন তা উল্লেখ না করে চুপ থাকা সন্তোষজনক নয়। সম্ভবত তিনি বর্ণনাকারী কাসীরের বিষয়টি স্পষ্ট করে দেয়াকেই যথেষ্ট মনে করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ মানবীও “আততাইসীর” গ্রন্থে চুপ থেকেছেন। অতএব তার ব্যাপারেও কি এমন কথা বলা যাবে না যেরূপ কথা তিনি সুয়ূতী সম্পর্কে বলেছেন? সম্ভবত মূল হাদীসটি মওকুফ। বর্ণনাকার কাসীর ইচ্ছাকৃত অথবা ভুল করে এটিকে মারফু বানিয়ে ফেলেছেন। আমি হাদীসটির প্রথম অংশকে মুয়ায ইবনু জাবাল (রাঃ)-এর কথা হিসেবে দেখেছি।

اتقوا زلة العالم وانتظروا فيئته
ضعيف جدا

-

رواه ابن عدي (274 / 1) والبيهقي في " السنن الكبرى " (10 / 211) والديلمي في " المسند " (1 / 1 / 43) عن كثير بن عبد الله عن أبيه عن جده مرفوعا، وقال: " كثير هذا عامة أحاديثه لا يتابع عليها
قلت: وهو ضعيف جدا، وفي " الضعفاء " للذهبي: " قال الشافعي: ركن من أركان الكذب
وقال ابن حبان: له عن أبيه عن جده نسخة موضوعة. وقال آخرون: ضعيف ". ومن طريقه رواه الحلواني أيضا، كما في " الجامع الصغير "، وقال شارحه المناوي: " سكت عليه، فلم يرمز له بضعف وغيره، ومن قال: إنه رمز لضعفه، فقد وهم، فقد وقفت على نسخته بخطه، ولا رمز فيها، إن سلم عدم وضعه، فقد علمت القول
في كثير، وقال الزين العراقي: رواه ابن عدي من حديث عمرو بن عوف هذا وضعفه. انتهى. فعزوالمصنف الحديث لابن عدي وسكوته عما أعله به غير مرضي، ولعله اكتفى بإفصاحه بكثير ". قلت: وسكت عنه المناوي أيضا في " التيسير "، أفلا يقال فيه ما قاله هو في السيوطي؟! هذا، ولعل أصل الحديث موقوف، فرفعه كثير عمدا أوخطأ، فقد رأيت الشطر الأول منه من قول معاذ بن جبل رضي الله عنه، في مناقشة هادئة رائعة بين ابن مسعود وأبي مسلم الخولاني التابعي الجليل، لا بأس من ذكرها لما فيها من علم وخلق كريم، ما أحوجنا إليه في مناظراتنا ومجادلاتنا، وأن المنصف لا يضيق ذرعا مهما علا وسما إذا وجه إليه سؤال أو أكثر في سبيل بيان الحق، فأخرج الطبراني في " مسند الشاميين " (ص 298) بسند جيد عن الخولاني: أنه قدم العراق فجلس إلى رفقة فيها ابن مسعود، فتذاكروا الإيمان، فقلت: أنا مؤمن. فقال ابن مسعود: أتشهد أنك في الجنة؟ فقلت: لا أدري مما يحدث الليل والنهار
فقال ابن مسعود: لو شهدت أني مؤمن لشهدت أني في الجنة. قال أبو مسلم: فقلت: يا ابن مسعود! ألم تعلم أن الناس كانوا على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم على ثلاثة أصناف: مؤمن السريرة مؤمن العلانية، كافر السريرة كافر العلانية، مؤمن العلانية كافر السريرة؟ قال: نعم. قلت: فمن أيهم أنت؟ قال: أنا مؤمن السريرة مؤمن العلانية. قال أبو مسلم: قلت: وقد أنزل الله عز وجل: " هو الذي خلقكم فمنكم كافر ومنكم مؤمن "، فمن أي الصنفين أنت؟ قال: أنا مؤمن. قلت: صلى الله على معاذ. قال: وما له؟ قلت: كان يقول: " اتقوا زلة الحكيم ". وهذه منك زلة يا ابن مسعود
فقال: أستغفر الله. وأقول: رضي الله عن ابن مسعود ما أجمل إنصافه، وأشد تواضعه، لكن يبدو لي أنه لا خلاف بينهما في الحقيقة، فابن مسعود نظر إلى المآل، ولذلك وافقه عليه أبو مسلم، وهذا نظر إلى الحال، ولهذا وافقه ابن مسعود، وأما استغفاره، فالظاهر أنه نظر إلى استنكاره على أبي مسلم كان عاما فيما يبدو من ظاهر كلامه. والله أعلم


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ

পরিচ্ছেদঃ

১৭০২। তোমরা পাথর বহন করতে কষ্ট অনুভব করছ? তোমাদের কেউ পূর্ণরূপে রাগাম্বিত হয়ে তার উপর বিজয় লাভ করাই তো প্রকৃত কঠিন।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদীসটিকে আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারাক “আযযুহদ” গ্রন্থে (৭৪০), ইবনু ওয়াহাব “আলজামে” গ্রন্থে (পৃঃ ৬৫) ও আবু ওবায়েদ (১/৪) সহীহ সনদে আমের ইবনু সা’দ হতে বর্ণনা করেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কতিপয় লোককে অতিক্রম করছিলেন যারা বড় ধরনের পাথর উঠানোর চেষ্টা করছিল। তখন তিনি বলেনঃ ...।

আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীসটির সনদ মুরসাল হওয়ার কারণে দুর্বল।

أتحسبون الشدة في حمل الحجارة؟ إنما الشدة أن يمتلئ أحدكم غيظا ثم يغلبه
ضعيف

-

رواه عبد الله بن المبارك في " الزهد " (740) وابن وهب في " الجامع " (ص 65) وأبو عبيد (4 / 1) بسند صحيح عن عامر بن سعد أن النبي صلى الله عليه وسلم مر بناس يتجاذون مهراسا فقال: فذكره. قلت: وهذا سند ضعيف لإرساله


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ

পরিচ্ছেদঃ

১৭০৩। তোমাদের কেউ যদি অযু অবস্থায় থাকে অতঃপর যদি খাদ্য খায় তাহলে সে আর অযু করবে না। তবে যদি উটের দুধ হয় আর তা তোমরা পান কর তাহলে পানি দ্বারা কুলি করবে।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদীসটিকে তাম্মাম "আলফাওয়াইদ" গ্রন্থে (২/১২২) ও ত্ববারানী (৭৬৪৬) সুলাইমান ইবনু আব্দুর রহমান হতে, তিনি আব্দুর রহমান ইবনু সিওয়ার হিলালী হতে, তিনি হুসাইন ইবনুল আসওয়াদ হিলালী হতে, তিনি আবু উমামাহ সাদী ইবনু আজলান বাহেলী হতে বর্ণনা করেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাহাবীদেরকে বলতেনঃ ...।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। আব্দুর রহমান ও হুসাইন দুহিলালীর জীবনী আমি পাচ্ছি না।

আর সুলাইমান ইবনু আব্দুর রহমান হচ্ছেন দেমাস্কী যেমনটি “আসসাগীর (৭৪১) ও “আলআওসাত” গ্রন্থে (৫৯, ৬৪, ৬৯) অন্যান্য হাদীসের মধ্যে এসেছে। তিনি হচ্ছেন শুরাহবীলের মেয়ের ছেলে। তিনি সত্যবাদী তবে ভুলকারী। তাকে হাইসামী চিনেননি। তিনি “আলমাজমা” গ্রন্থে (১/২৫২) বলেনঃ হাদীসটিকে ত্ববারানী “আলকাবীর” গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। কেউ তার বর্ণনাকারীদের কারো জীবনী নিয়ে আলোচনা করেছেন এরূপ দেখছি না।

إذا كان أحدكم على وضوء فأكل طعاما فلا يتوضأ، إلا أن يكون لبن الإبل، إذا شربتموه فتمضمضوا بالماء
ضعيف

-

أخرجه تمام في " الفوائد " (122 / 2) والطبراني (7646) عن سليمان بن عبد الرحمن: حدثنا عبد الرحمن بن سوار الهلالي حدثنا حصين بن الأسود الهلالي حدثنا أبو أمامة صدي بن عجلان الباهلي أن النبي صلى الله عليه وسلم كان يقول لأصحابه: فذكره. قلت: وهذا إسناد ضعيف، عبد الرحمن وحصين الهلاليان لم أجد لهما ترجمة. وسليمان بن عبد الرحمن هو الدمشقي، كما صرح المؤلف به في " الصغير " (741 - الروض) و" الأوسط " (59 و64 و69 - ط) في أحاديث أخرى، وهو ابن بنت شرحبيل، صدوق يخطىء، ولم يعرفه الهيثمي، فقال في " المجمع " (1 / 252) : " رواه الطبراني في " الكبير "، ورجاله لم أر من ترجم أحدا منهم "! والحديث عزاه في " الفتح الكبير " للطبراني أيضا والضياء


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ

পরিচ্ছেদঃ

১৭০৪। যে ব্যক্তি এমন কাপড় পরিধান করবে যার দ্বারা সে অহঙ্কার বশত তার দিকে মানুষের দৃষ্টি আকৃষ্ট করতে চায় আল্লাহ্ তা’য়ালা তার দিকে তাকাবেন না যে পর্যন্ত সে সেই কাপড়কে খুলে না ফেলবে।

হাদীসটি খুবই দুর্বল।

হাদীসটিকে তাম্মাম “আলফাওয়াইদ” গ্রন্থে (১/১২৫) অনুরূপভাবে ত্ববারানী "আলকাবীর" গ্রন্থে (২৩/২৮৩/৬১৮) আব্দুল খালেক ইবনু যায়েদ ইবনু অকেদ হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল মালেক ইবনু মারওয়ান হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি উম্মু সালামাহ (রাঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ ...।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি খুবই দুর্বল দু’টি কারণেঃ

১। আব্দুল মালেক ইবনু মারওয়ান হচ্ছেন উমাবী খালীফা। হাফিয যাহাবী “আলমীযান” গ্রন্থে বলেনঃ কিভাবে তার মধ্যে ইনসাফ থাকবে যে রক্ত প্রবাহিত করেছে এবং যে বহু কর্মের হোতা? তিনি খেলাফাতের পূর্বে ছাত্র ছিলেন। অতঃপর খেলাফাতের দায়িত্বে নিয়োজিত হন। অতঃপর তার অবস্থার পরিবর্তন ঘটে। তেরো বছর স্বাধীনভাবে বাদশা ছিলেন। তিনি নয় বছর আব্দুল্লাহ ইবনুয যুবায়ের (রাঃ) এর সাথে বিবাদ করে বাদশাহীকে আঁকড়ে ছিলেন।

২। আর আব্দুল খালেক ইবনু যায়েদ সম্পর্কে ইমাম নাসাঈ বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্য নন। ইমাম বুখারী বলেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীস।

হাদীসটিকে সুয়ূতী “আলজামে” গ্রন্থে ত্ববারানীর বর্ণনায় উল্লেখ করেছেন। আর মানবী বলেছেনঃ এটিকে মুনযেরী দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। হাইসামী বলেনঃ এর মধ্যে আব্দুল খালেক ইবনু যায়েদ ইবনু অকেদ রয়েছেন যিনি দুর্বল।

ما من أحد يلبس ثوبا ليباهي به، لينظر الناس إليه، لم ينظر الله إليه حتى ينزعه
ضعيف جدا

-

أخرجه تمام في " الفوائد " (125 / 1) وكذا الطبراني في " الكبير " (23 / 283 / 618) من طريق عبد الخالق بن زيد بن واقد عن أبيه عن محمد بن عبد الملك بن مروان عن أبيه عن أم سلمة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: فذكره. قلت: وهذا إسناد ضعيف جدا، وفيه علتان: الأولى: عبد الملك بن مروان الخليفة الأموي، قال الذهبي في " الميزان ": " أنى له العدالة وقد سفك الدماء وفعل الأفاعيل؟! ". وقال الحافظ في " التقريب ": " كان طالب علم قبل الخلافة، ثم اشتغل بها، فتغير حاله، ملك ثلاث عشرة سنة استقلالا، وقبلها منازعا لابن الزبير تسع سنين ". والأخرى: عبد الخالق بن زيد. قال النسائي: " ليس بثقة ". وقال البخاري: " منكر الحديث ". والحديث أورده السيوطي في " الجامع " من رواية الطبراني، فقال المناوي: "
وضعفه المنذري. قال الهيثمي: فيه عبد الخالق بن زيد بن واقد وهو ضعيف. وبه عرف ما في رمز المؤلف لحسنه


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ

পরিচ্ছেদঃ

১৭০৯। যে ব্যক্তি যাকাত আদায় করবে, মেহমানদারী করবে এবং বিপদে দান করবে সে কৃপণতা থেকে মুক্ত।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদীসটি ত্ববারানী (১/২০৫/২) উমর ইবনু আলী মাকদামী সূত্রে মাজমা ইবন ইয়াহইয়া ইবনু জরিয়াহ হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ আমি আমার চাচা খালেদ ইবনু যায়েদ আনসারীকে বলতে শুনেছি ... তিনি হাদীসটি মারফু হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। কারণ খালেদ ইবনু যায়েদ হচ্ছেন ইবনু হারিসা আনসারী যার রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সাক্ষাতের বিষয়টি সাব্যস্ত হয়নি। হাফিয ইবনু হাজার আবু ইয়ালা এবং ত্ববারানীর উদ্ধৃতি দেয়ার পর "আলইসাবাহ" গ্রন্থে (১/৪০৫) বলেনঃ এর সনদটি হাসান। কিন্তু ইমাম বুখারী ও ইবনু হিব্বান তাকে তাবেঈ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মানবী তাকে উল্লেখ করেছেন এবং তা স্বীকার করে আর কিছুই বলেননি।

আমি (আলবানী) বলছিঃ যদি তার নিকট এবং আবু ইয়ালার নিকট হাদিসটির সূত্রের কেন্দ্রবন্দু হয় উমার ইবনু আলী মাকদামী যিনি তাবরানীর সূত্রেই রয়েছেন, তাহলে মুরসাল হওয়া ছাড়াও এর দ্বিতীয় সমস্যা হচ্ছে এ মাকদামী কর্তৃক তাদলীস সংঘটিত হওয়া। কারণ হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ তিনি কঠিন তাদলীস করতেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এর দ্বারা তাদলীসুস সুকূতকে (চুপ থাকা তাদলীসকে) বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ যেন কেউ বললঃ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করে শুনিয়েছে অথবা বললঃ আমি শুনেছি, অতঃপর (কিছুক্ষণ) চুপ থাকল, এরপরে বললঃ হিশাম ইবনু উরওয়াহ অথবা আমাশ। যা এ সন্দেহ সৃষ্টি করে যে, সে তাদের দু’জন থেকে শুনেছে অথচ আসলে তা নয়। (৯২১) নম্বর হাদীস দেখুন।

অতঃপর আমি পেয়েছি এটিকে ইবনু হিব্বান “কিতাবুস সিকাত” গ্রন্থে (৪/২০২) আবূ ই’য়ালা সূত্রে তার সনদে আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারাক হতে, তিনি মাজমা ইবনু ইয়াহইয়া হতে বর্ণনা করেছেন আর বলেছেনঃ এটি মুরসাল।

হাদিসটিকে আবু উসমান আন-নুযাইরামী "আল-ফাওয়াইদ" গ্রন্থে (২/২৬) সুলাইমান ইবনু শুরাহ্বীল হতে, তিনি ইসমাঈল ইবনু আইয়্যাশ হতে, তিনি আম্মারাহ ইবনু গাযয়্যাহ্ আনসারী হতে, তিনি তার চাচা উমার ইবনু হারেস হতে, তিনি আনাস ইবনু মালেক (রাঃ) হতে মারফূ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন শেষের “এবং বিপদে দান করবে” এ অংশ ছাড়া। এ সূত্রে সালাবীও তার “তাফসীর” গ্রন্থে (৩/১৮১/১-২) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি গারীব। আম্মারা ইবনু গাযিয়্যার চাচা উমার ইবনু হারেসের জীবনী পাচ্ছি না এবং তারা আম্মারার জীবনীতে উল্লেখ করেননি যে, তিনি তার চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি তার পিতা গাযিয়াহ ইবনুল হারেস হতে বর্ণনা করেছেন।

আর ইসমাইল ইবনু আইয়্যাশ মাদানীদের থেকে তার বর্ণনায় তিনি দুর্বল। আর এ বর্ণনাটি তাদের থেকেই। আর এ স্তরের বর্ণনাকারীদের মধ্যে এমন কোন ব্যক্তিকে পাচ্ছি না যার নাম সুলাইমান ইবনু শুরাহবীল অথবা শুরাহীল।

অতঃপর আমি হাদীসটিকে হান্নাদের “আযযুহদ” গ্রন্থে (১০৬০) অন্য একটি সূত্রে মাজমা ইবনু ইয়াহইয়া হতে দেখেছি। কিন্তু এ সূত্রে হাদীসটির সমস্যা হচ্ছে শুধুমাত্র মুরসাল হওয়া। আল্লাহই বেশী জানেন।

بريء من الشح من أدى الزكاة وقرى الضيف وأعطى في النائبة
ضعيف

-

رواه الطبراني (1 / 205 / 2) من طريق عمر بن علي المقدمي عن مجمع بن يحيى بن جارية قال: سمعت عمي خالد بن زيد الأنصاري قال: فذكره مرفوعا
قلت: وهذا إسناد ضعيف، لأن خالد بن زيد، وهو ابن حارثة الأنصاري لم تثبت صحبته. قال الحافظ في " الإصابة " (1 / 405) بعدما عزاه لأبي يعلى والطبراني: " إسناده حسن، لكن ذكره البخاري، وابن حبان في (التابعين)
ونقله المناوي وأقره، ولم يزد عليه بشيء، وعزاه أصله لهناد، يعني في " الزهد " (رقم: 1060) . وأنا أقول: إن كان مدار الحديث عنده وعند أبي يعلى من طريق عمر بن علي المقدمي الذي في طريق الطبراني، ففيه علة أخرى غير الإرسال، وهي تدليس المقدمي هذا، قال الحافظ: " كان يدلس شديدا "! قلت: ويعني به تدليس السكوت، كأن يقول: " حدثنا " أو" سمعت "، ثم يسكت، ثم يقول: " هشام بن عروة " أو" الأعمش " موهما أنه سمع منهما، وليس كذلك! وانظر الحديث (921) . ثم وجدت في مسودتي أن الحديث أخرجه ابن حبان في كتاب " الثقات " (4 / 202) من طريق أبي يعلى بسنده عن ابن المبارك عن مجمع بن يحيى به، وقال: " مرسل ". وأنه رواه أبو عثمان النجيرمي في " الفوائد " (26 / 2) عن سليمان بن شرحبيل: حدثنا إسماعيل بن عياش حدثنا عمارة بن غزية الأنصاري عن عمه عمر بن حارث عن أنس بن مالك مرفوعا به، دون قوله: " وأعطى في النائبة
ومن هذا الوجه رواه الثعلبي أيضا في " تفسيره " (3 / 181 / 1 - 2) . قلت: وهذا إسناد غريب، عمر بن حارث عم عمارة بن غزية، لم أجد له ترجمة، ولم يذكروا في ترجمة عمارة بن غزية أنه يروي عن عمه هذا، وإنما عن أبيه غزية بن الحارث
وإسماعيل بن عياش ضعيف في روايته عن المدنيين، وهذه منها. وسليمان بن شرحبيل، وكتب كاتب " الفوائد " على " شرحبيل " " شراحيل " كأنه يعني نسخته
ولم أجد في هذه الطبقة من اسمه سليمان بن شرحبيل أوشراحيل. ثم رأيت الحديث في " الزهد " لهناد (1060) من طريق آخر عن مجمع بن يحيى. فانحصرت العلة في الإرسال في هذا الوجه. والله أعلم


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ

পরিচ্ছেদঃ

১৭১০। পাঁচটি বস্তু ইবাদাতের অন্তর্ভুক্তঃ কম খাদ্য গ্রহণ করা ইবাদাত, মসজিদে বসা ইবাদাত, পাঠ করা ছাড়াই কুরআনে দৃষ্টি দেয়া ইবাদাত, আলেমের চেহারায় দৃষ্টি দেয়া ইবাদাত (আমার ধারণা তিনি বলেন) এবং পিতা-মাতার চেহারায় দৃষ্টি দেয়া ইবাদত।

হাদীসটি খুবই দুর্বল।

হাদীসটিকে আফীফুদ্দীন আবুল মা’য়ালী “ফাযলুল ইলমি” গ্রন্থে (১/১১৫) সুলাইমান ইবনুর রাবী’ নাহদী হতে, তিনি হুম্মাম ইবনু মুসলিম হতে, তিনি ইবনু জুরায়েয হতে, তিনি আতা হতে, তিনি আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি খুবই দুর্বল। সুলাইমান ইবনু রাবী’কে দারাকুতনী ত্যাগ করেছেন। আর তার শাইখ হুম্মাম ইবনু মুসলিম তার মতই।

خمس من العبادة: قلة الطعام عبادة والقعود في المساجد عبادة والنظر في المصحف من غير قراءة عبادة، والنظر في وجه العالم عبادة، وأظنه قال: والنظر في وجه الوالدين عبادة
ضعيف جدا

-

رواه عفيف الدين أبو المعالي في " فضل العلم " (115 / 1) عن سليمان بن الربيع النهدي: حدثنا همام بن مسلم عن ابن جريج عن عطاء عن أبي هريرة مرفوعا. قلت: وهذا إسناد ضعيف جدا، سليمان بن الربيع النهدي تركه
الدارقطني. ومثله شيخه همام بن مسلم


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ

পরিচ্ছেদঃ

১৭১১। তোমরা পানি দ্বারা হলেও তরকারী গ্রহণ কর।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদীসটিকে তাম্মাম “আলফাওয়াইদ” গ্রন্থে (কাফ ১/১৬২), ত্ববারানী “জুযউম মিন হাদীস” গ্রন্থে (কাফ ১/২৭) ও খাতীব “আততারীখ” গ্রন্থে (৭/৪৩০) গুযাইল ইবনু সিনান মূসেলী সূত্রে আফীফ ইবনু সালেম হতে, তিনি সুফইয়ান হতে, তিনি লাইস হতে, তিনি ত্বাউস হতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ... ৷

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। এর সমস্যা হচ্ছে লাইস যিনি হচ্ছেন ইবনু আবী সুলাইম। তিনি দুর্বল তার মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটার কারণে। আর বর্ণনাকারী আফীফ ইবনু সালেম সত্যবাদী যেমনটি “আলমীযান” এবং “আত-তাকরীব” গ্রন্থে এসেছে। আর গুযাইল ইবনু সিনান মূসেলীকে আমি চিনি না। সম্ভবত তিনি সেই ব্যক্তি যাকে “আলজারহু অততা’দীল” গ্রন্থে (২/৩/৫৯) গুযায়ের (অন্য কপিতে গুসায়েন) ইবনু সিনান দব্বী হিসেবে উল্লেখ করেছেন ...।

হাদিসটিকে সুয়ূতী ত্ববারানীর "আলআওসাত" গ্রন্থের উদ্ধৃতিতে উল্লেখ করেছেন আর মানবী বলেছেনঃ অনুরূপভাবে আবু নুয়াইম ও খাতীব বর্ণনা করেছেন।

হাইসামী বলেনঃ এর সনদে গুযায়েল ইবনু সিনান রয়েছেন তাকে আমি চিনি না। অন্যান্য বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। ইবনুল জাওযী বলেনঃ হাদীসটি সহীহ নয়। এর সনদে একজন মাজহুল (অপরিচিত) বর্ণনাকারী রয়েছেন আর আরেকজন দুর্বল বর্ণনাকারী রয়েছেন।

হাইসামীর "আলমাজমা" গ্রন্থের (৫/৩৫) কিতাবুল আতইমা হতে মানবী উল্লেখ করেছেন যে, তিনি বলেনঃ “অন্যান্য বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য”। কিন্তু লাইসের বিষয়টি তিনি ভুলে গেছেন, অথচ লাইস পরিচিত দুর্বল বর্ণনাকারী।

ائتدموا ولوبالماء
ضعيف

-

أخرجه تمام في " الفوائد " (ق 162 / 1) والطبراني في " جزء من حديثه " (ق 27 / 1) والخطيب في " التاريخ " (7 / 430) من طريق غزيل بن سنان الموصلي: حدثنا عفيف بن سالم عن سفيان عن ليث عن طاووس عن عبد الله بن عمرو قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره.
قلت: وهذا إسناد ضعيف، علته ليث وهو ابن أبي سليم، وهو ضعيف لاختلاطه. وأما عفيف بن سالم فصدوق كما في " الميزان " و" التقريب ". وأما غزيل بن سنان الموصلي، فلم أعرفه، ولعله الذي في " الجرح والتعديل " (2 / 3 / 59) : " غضير (وفي نسخة: غصين) ابن سنان الضبي، روى عن ... (بياض) سمع منه أبي، وسألته عنه فقال: لا بأس به ".
والحديث عزاه السيوطي لـ " أوسط الطبراني "، فقال المناوي: " وكذا أبو نعيم والخطيب. قال الهيثمي: وفيه غزيل بن سنان لم أعرفه، وبقية رجاله ثقات. وقال ابن الجوزي: حديث لا يصح، فيه مجهول، وآخر ضعيف وما نقله المناوي عن الهيثمي هو في كتاب " الأطعمة " من " المجمع " (5 / 35) وقوله: " وبقية رجاله ثقات " ذهو ل عن ليث، فإنه ضعيف معروف الضعف، فتنبه


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ

পরিচ্ছেদঃ

১৭১২। তুমি কি জানো খুরাফা কী? সে বানু উযরার এক ব্যক্তি ছিল, যাকে জিনরা গ্রেফতার করেছিল। সে তাদের মধ্যে এক যুগ অবস্থান করেছিল। অতঃপর তাকে মানুষের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়। সে লোকদেরকে তাদের মধ্যে যেসব আজব আজব বস্তু দেখেছিল তা বর্ণনা করত। লোকজন বললঃ খুরাফার কথা।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদীসটিকে ইমাম তিরমিযী “আশশামাইল” গ্রন্থে (২/৫৮-৫৯), আহমাদ (৬/১৫৭) ও আলমুখাল্লেস "আলফাওয়াইদুল মুনতাকাত" গ্রন্থে (৯/২৩৪/২) মুজালিদ ইবনু সাঈদ হতে, তিনি আমের হতে, তিনি মাসরূক হতে, তিনি আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ এক রাতে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার স্ত্রীদের নিকট একটি হাদীস বর্ণনা করলেন তখন তাদের মধ্য থেকে একজন বললঃ হে আল্লাহর রসূল! এটি খুরাফার হাদীস, তিনি বললেনঃ ...।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। মুজালিদ ইবনু সাঈদ ছাড়া এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। কারণ তিনি শক্তিশালী নন যেমনটি “আত-তাকরীব” গ্রন্থে এসেছে।

আপনি হাদীসটির দুর্বল হওয়ার বিষয়টি অবগত হওয়ার পর "আলমাকাসিদুল হাসানাহ" গ্রন্থে সাখাবী কর্তৃক যা উল্লেখ করা হয়েছে তার কোন যৌক্তিকতা নেই।

أتدرين ما خرافة؟ كان رجلا في بني عذرة، أسرته الجن، فمكث فيهم دهرا ثم ردوه إلى الإنس، فكان يحدث الناس بما رأى فيهم من الأعاجيب، فقال الناس: حديث خرافة
ضعيف

-

رواه الترمذي في " الشمائل " (2 / 58 - 59) وأحمد (6 / 157) والمخلص في " الفوائد المنتقاة " (9 / 234 / 2) عن مجالد بن سعيد عن عامر عن مسروق عن عائشة قالت: حدث رسول الله صلى الله عليه وسلم ذات ليلة نساءه حديثا فقالت امرأة منهن: يا رسول الله هذا حديث خرافة، قال: فذكره
قلت: وهذا إسناد ضعيف، رجاله ثقات، غير مجالد بن سعيد، فإنه ليس بالقوي كما في " التقريب ". فإذا عرفت ضعف الحديث، فلا وجه لما نقله فيه " المقاصد الحسنة " عن أبي الفرج النهرواني أنه قال في " الجليس الصالح " له: " عوام الناس يرون أن قول القائل هذه خرافة، معناه أنه حديث لا حقيقة له، ولا أصل له وقد بين ذلك الصادق المصدوق
قال السخاوي: " ونحوه قول ابن الأثير في " النهاية ": أجروه على كل ما يكذبونه من الأحاديث وعلى كل ما يستملح، ويتعجب منه، ويروى عنه صلى الله عليه وسلم أنه قال: " خرافة حق
قلت: لقد أحسن ابن الأثير بإشارته إلى ضعف الحديث بتصديره إياه بقوله: " ويروى "، وكان الواجب على السخاوي أن يوضح ذلك ويكشف عن علته كما فعلنا، لأن كتابه موضوع لذلك! ومن عجيب أمره أنه قال: " رواه الترمذي في " السمر " من " جامعه "، بل وفي " الشمائل النبوية " وأحمد وأبو يعلى في " مسنديهما " كلهم من حديث عامر الشعبي ... ". فكان عليه أن يقول: " كله من حديث مجالد بن سعيد عن عامر الشعبي "، لأن مجالدا هو علة الحديث فأغفلها. والله المستعان. ثم إن الحديث لم يروه الترمذي في " جامعه "، فاقتضى التنبيه


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ

পরিচ্ছেদঃ

১৭১৩। তুমি কি জানো খুরাফার হাদীস কি? খুরাফা বানু উযরার এক ব্যক্তি ছিল যাকে জিনে ধরেছিল। সে তাদের (জিনদের) মাঝে কিছু সময় ছিল। অতঃপর সে মানুষের মাঝে ফিরে আসে। সে জিনদের মাঝে ঘটা বহু কিছু এবং আজব আজব ঘটনা যেগুলো মানুষের মধ্যে ঘটে না তাদেরকে বর্ণনা করে শুনানো শুরু করে। সে বর্ণনা করে যে, এক জিনের মা ছিল যে তাকে (পুত্র জিনকে) বিয়ে করার নির্দেশ প্রদান করেছিল। তখন সে বলেছিলঃ আমি আশংকা করছি যে, এতে আপনার উপর কষ্ট আসবে অথবা এমন কিছু আসবে যা আপনি অপছন্দ করেন। কিন্তু শেষমেষ মা তাকে বিয়ে করিয়েই দেয়। ফলে সে এমন এক মেয়েকে বিয়ে করে যার মা ছিল। অতঃপর সে জিন (রাতকে) স্ত্রীর এবং নিজ মায়ের মাঝে ভাগ করে ফেলেছিল। একরাত তার স্ত্রীর নিকট আর একরাত তার মায়ের নিকট থাকত। সে বললঃ একরাত তার স্ত্রীর ছিল ফলে সে তার নিকটেই ছিল, আর তার মা ছিল একাকী। এমতাবস্থায় তাকে (মাকে) সালাম প্রদানকারী ব্যক্তি সালাম প্রদান করলে সে সালামের উত্তর দিল। এরপর সালাম প্রদানকারী ব্যক্তি বললঃ রাতে থাকা যাবে? মহিলা (মা) বললঃ হ্যাঁ। সে ব্যক্তি বললঃ রাতের খাবার আছে? সে বললঃ হ্যাঁ। সে আবার বললঃ কোন মুহাদ্দিস আছে কি যে, আমাদেরকে হাদীস বর্ণনা করে শুনাবে? সে মহিলা বললঃ হ্যাঁ। আমার ছেলের নিকট পাঠাচ্ছি যে তোমাদেরকে হাদীস বর্ণনা করে শুনাবে। সে ব্যক্তি বললঃ তোমার ঘরে এটা কিসের শব্দ শুনছি? সে বললঃ এগুলো উট এবং ছাগল ...।

হাদীসটি খুবই দুর্বল।

হাদীসটিকে ইবনু আবিদ দুনিয়া “যাম্মুল বাগী” গ্রন্থে (৩৪/১-২) উসমান ইবনু মুয়াবিয়্যাহ হতে, তিনি সাবেত হতে, তিনি আনাস (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি একেবারে দুর্বল। উসমান ইবনু মুয়াবিয়্যাহ সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেনঃ তিনি এমন এক শাইখ যে বানোয়াট এমন সব কিছু বর্ণনা করেন যেগুলো সাবেত কখনও বর্ণনা করেননি। তার বর্ণনা শুধুমাত্র ক্রটি বর্ণনা করার উদ্দেশ্য ছাড়া লিখা যাবে না।

অতঃপর তিনি তার এ হাদীসটি উল্লেখ করেছেন। আর হাফিয ইবনু হাজার তার সমালোচনা করে বলেছেনঃ এ হাদীসটিকে ইবনু হিব্বান হাদীস হিসেবে অস্বীকার করেছেন। অথচ হাদিসটিকে ইবনু আদী "আলকামেল" গ্রন্থে আলী ইবনু আবূ সারার জীবনীতে তার বর্ণনায় সাবেত হতে, তিনি আনাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। অর্থাৎ তিনি উসমান ইবনু মুয়াবিয়্যার মুতাবায়াত করেছেন। আর এ আলী ইবনু আবূ সারাহ দুর্বল। নাসাঈ তার হাদীস বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ মুতাবা’য়াত কোন উপকারে আসবে না। কারণ ইবনু সারাহকে ইমাম বুখারী খুবই দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন তার এ কথার দ্বারা যে, তার ব্যাপারে বিরূপ মন্তব্য রয়েছে। যেমনটি ইবনু আদী তার উদ্ধৃতিতে বর্ণনা করেছেন। অতঃপর তিনি তার কতিপয় হাদীস উল্লেখ করেছেন, এটি সেগুলোর একটি। এরপর তিনি বলেন (২/২৮৭): সেগুলোর কোনটিই নিরাপদ নয়। সেগুলো ছাড়াও সাবেত হতে তার আরো মুনকার হাদীস রয়েছে।

أتدرين ما حديث خرافة؟ إن خرافة كان رجلا من بني عذرة فأصابته الجن فكان فيهم حينا، فرجع إلى الإنس، فجعل يحدثهم بأشياء تكون في الجن، وبأعاجيب لا تكون في الإنس، فحدث أن رجلا من الجن كانت له أم، فأمرته أن يتزوج، فقال: إني أخشى أن يدخل عليك من ذلك مشقة أوبعض ما تكرهين، فلم تزل به حتى زوجته، فتزوج امرأة لها أم، فكان يقسم لامرأته ولأمه، ليلة عند هذه، وليلة عند هذه، قال: وكانت ليلة امرأته، فكان عندها، وأمه وحدها، فسلم عليها مسلم، فردت السلام ثم قال: هل من مبيت؟ قالت: نعم، قال: فهل من عشاء؟ قالت: نعم، قال: فهل من محدث يحدثنا؟ قالت: نعم، أرسل إلى ابني يحدثكم، قال: فما هذه الخشفة التي نسمعها في دارك؟ قالت: هذه إبل وغنم
ضعيف جدا

-

ابن أبي الدنيا في " ذم البغي " (34 / 1 - 2) عن عثمان بن معاوية عن ثابت عن أنس مرفوعا. قلت: وهذا إسناد واه بمرة، عثمان بن معاوية. قال ابن حبان: " شيخ يروي الأشياء الموضوعة التي لم يحدث بها ثابت قط
، لا تكتب روايته إلا على سبيل القدح
ثم ساق له هذا الحديث. وتعقبه الحافظ في " اللسان "، فقال: " وهذا الحديث الذي أنكره ابن حبان على هذا الشيخ، قد أورده ابن عدي في " الكامل " في ترجمة علي بن أبي سارة من روايته عن ثابت عن أنس، فتابع عثمان بن معاوية. وعلي بن أبي سارة ضعيف، وقد أخرج له النسائي ". وأقول: هذه المتابعة لا تجدي لأن ابن أبي سارة ضعفه البخاري جدا بقوله: " فيه نظر ". كما رواه ابن عدي عنه. ثم ساق له أحاديث هذا أحدها، ثم قال: (287 / 2) : " كلها غير محفوظة وله غير ذلك عن ثابت مناكير أيضا
ثم إن نص حديثه يختلف عن نص المشهو د له، فإنه قال في أوله: " حدث رسول الله صلى الله عليه وسلم عائشة مرة حديثا، فقالت: لولا أنك حدثتني بهذا يا رسول الله لظننت أنه حديث خرافة، فقال لها: يا عائشة! وهل تدرين ما خرافة؟ قالت
: لا، قال: فإن خرافة كان رجلا من بني عذرة، سبته الجن، فكان معهم، فإذا استرقوا السمع من السموات حدث بعضهم بعضا بذلك، فسمعه خرافة منهم، فيحدث به بني آدم، فيحدثونه كما يقول. وذكر الحديث


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ

পরিচ্ছেদঃ

১৭১৫। তোমরা কাঁদো, আর নিজেদেরকে শয়তানের চিৎকার (মৃতের জন্য বিলাপ করা) থেকে রক্ষা কর। কারণ যখনই চোখ এবং হৃদয় থেকে কিছু ঘটবে তখন তা হয় আল্লাহর পক্ষ থেকে এবং দয়া হতে। আর যা কিছু ঘটে হাত এবং যবান দ্বারা তা হয় শয়তানের পক্ষ থেকে।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদীসটিকে ইমাম আহমাদ (১/২৩৭, ৩৩৫) ও ইবনু সাদ "আতত্ববাকাত" গ্রন্থে (৮/২৪) ’আলী ইবনু যায়েদ হতে, তিনি ইউসুফ ইবনু মিহরান হতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ “যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মেয়ে রুকাইয়্যাহ মারা যায় তখন রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তুমি আমাদের অগ্রবর্তী উসমান ইবনু মাযউনের সাথে মিলিত হও। এ সময় রুকাইয়্যার জন্য মহিলারা কান্না শুরু করে দিল। অতঃপর উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) এসে তার লাঠি দ্বারা তাদেরকে মারা শুরু করলেন। তখন রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার হাতকে ধরে ফেলে বললেনঃ হে উমার! তাদেরকে ছেড়ে দাও, তারা কান্না করুক। অতঃপর বললেনঃ ...।

অতঃপর ফাতেমা (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পার্শ্বে কবরের ধারে বসে ক্ৰন্দন করা শুরু করল আর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কাপড়ের ধার দ্বারা তার চোখের পানি মুছা শুরু করলেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। কারণ আলী ইবনু যায়েদ হচ্ছেন ইবনু জাদ’য়ান, তিনি দুর্বল। হাফিয ইবনু হাজার দৃঢ়তার সাথে বলেছেনঃ তিনি দুর্বল।

ابكين، وإياكن ونعيق الشيطان فإنه مهما يكن من القلب والعين فمن الله والرحمة، ومهما يكن من اليد واللسان، فمن الشيطان
ضعيف

-

أخرجه أحمد (1 / 237 و335) وابن سعد في " الطبقات " (8 / 24 - أوربا) عن علي بن زيد عن يوسف بن مهران عن ابن عباس قال: " لما ماتت رقية بنت النبي صلى الله عليه وسلم قال النبي صلى الله عليه وسلم: الحقي بسلفنا عثمان بن مظعون، فبكت النساء على رقية، فجاء عمر بن الخطاب فجعل يضربهن بسوطه، فأخذ النبي صلى الله عليه وسلم بيده، ثم قال: دعهن يا عمر يبكين، ثم قال: (فذكره) ، فقعدت فاطمة على شفير القبر إلى جنب النبي صلى الله عليه وسلم، فجعلت تبكي، فجعل رسول الله صلى الله عليه وسلم يمسح الدمع عن عينها بطرف
ثوبه ". قلت: وهذا سند ضعيف، علي بن زيد هو ابن جدعان، جزم الحافظ في " التقريب " أنه " ضعيف


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ

পরিচ্ছেদঃ

১৭১৬। তোমাদের বোনের ছেলে তোমাদেরই অন্তর্ভুক্ত। তোমাদের সন্ধিভুক্ত ব্যক্তি তোমাদেরই অন্তর্ভুক্ত। তোমাদের দাস তোমাদেরই অন্তর্ভুক্ত। কুরাইশরা হচ্ছে সত্যবাদী এবং আমানতদার। অতএব যে তাদের জন্য বিপদের ফাঁদ অনুসন্ধান করবে আল্লাহ্‌ তা’য়ালা তাকে তার মুখের ভরে আগুনে নিক্ষেপ করবেন।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদীসটিকে ইমাম বুখারী “আলআদাবুল মুফরাদ” গ্রন্থে (৭৫), সারিউ ইবনু ইয়াহইয়া "হাদীসুস সাওরী" গ্রন্থে (২/২০০), ইবনু আবী আসেম "আস সুন্নাহ" গ্রন্থে (২/১৪৭), হাকিম (৪/৭৩), আহমাদ (৪/৩৪০), শাফেঈ দ্বিতীয় অংশ তার থেকে (১৮৪৫) ইসমাঈল ইবনু ওবায়েদ ইবনু রিফায়াহ হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরাইশদেরকে একত্রিত করে বললেনঃ তোমাদের মধ্যে তোমরা ছাড়া অন্য কেউ আছে কি? তারা বললঃ না। তবে আমাদের বোনের ছেলে, আমাদের সাথে সন্ধিচুক্তিতে আবদ্ধদের ছেলে এবং আমাদের দাসরা রয়েছে। অতঃপর তিনি বললেনঃ ...।

হাকিম বলেনঃ সনদটি সহীহ এবং হাফিয যাহাবী তার সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন। অথচ তিনি (যাহাবী) বর্ণনাকারী এ ইসমাঈল সম্পর্কে বলেনঃ আব্দুল্লাহ ইবনু উসমান ইবনু খাইসাম ছাড়া তার থেকে কেউ বর্ণনা করেছেন বলে আমি জানি না।

এ কারণেই হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ তিনি গ্রহণযোগ্য। অর্থাৎ মুতাবা’য়াতের সময়। অন্যথায় তিনি হাদীসের ক্ষেত্রে দুর্বল ।

আমি (আলবানী) বলছিঃ আমি এর দ্বিতীয় অংশের জাবের (রাঃ)-এর হাদীস হতে মারফু হিসেবে শাহেদ পেয়েছি। তবে নিম্নের ভাষায়, তিনি বলেনঃ

إلا كبه الله عز وجل لمنخريه

তাকে আল্লাহ্‌ তা’আলা তার নাকের দু’ছিদ্রের উপর ভর দিয়ে নিক্ষেপ করবেন।

এটিকে ইবনু আসাকির “আততারীখ” গ্রন্থে (৩/৩২০/১-২) মিসওয়ার ইবনু আব্দুল মালেক ইবনু ওবায়েদ ইবনু সাঈদ ইবনু ইয়ারবু মাখযুমী হতে, তিনি যায়েদ ইবনু আব্দুর রহমান ইবনু আমর ইবনু নুফায়েল হতে, তিনি তার পিতা হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ আমি জাবের ইবনু আব্দুল্লাহ্ আনসারী (রাঃ)-এর নিকট আসলাম কতিপয় কুরাইশী যুবকের মাঝে। আমি তার নিকট প্রবেশ করলাম তার চোখ চলে যাওয়ার পর।

এরপর ছাদের সাথে ঝুলানো একটি রশি আর তার সামনে ফেলে রাখা কতিপয় রুটির টুকরা অথবা রুটি পেলাম। যখনই কোন মিসকীন খাদ্য চাচ্ছিল তখনই জাবের (রাঃ) সেগুলোর একটি টুকরার নিকট দাঁড়িয়ে রশি ধরে মিসকীনের নিকট আসছেন এবং তাকে দিচ্ছেন। অতঃপর তিনি রশির মাধ্যমে ফিরে গিয়ে বসে পড়ছেন। আমি বললামঃ আল্লাহ আপনাকে সুস্থ করুন। যখন মিসকীন আসে আমরা তখন তাদেরকে দিয়ে থাকি। তখন তিনি বললেন: আমি এভাবে হেঁটে যাওয়াকে নেকীর কাজ মনে করছি। অতঃপর তিনি বলেনঃ আমি কি তোমাদেরকে এমন কিছু সম্পর্কে সংবাদ দেব না যা আমি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে শ্রবণ করেছি? তারা বললেনঃ হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ আমি তাকে বলতে শুনেছিঃ ...।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। মিসওয়ার ইবনু আব্দুল মালেক ছাড়া জাবের (রাঃ)-এর নিচের বর্ণনাকারীদেরকে আমি চিনি না। ইবনু আবী হাতিম (৪/১/২৯৮) তার জীবনী আলোচনা করে তার সম্পর্কে ভাল-মন্দ কোন কিছুই বলেননি। আর "আলমিযান" গ্রন্থে আযদী হতে বর্ণিত হয়েছে তিনি বলেনঃ তিনি শক্তিশালী নন।

দু’টি সূত্রকে একত্রিত করার দ্বারা হাদীসের এ পরিমাণ (অংশ) হাসান পর্যায়ভুক্ত। আর এ কারণেই এ অংশকে [কুরাইশরা হচ্ছে সত্যবাদী এবং আমানতদার। অতএব যে তাদের জন্য বিপদের ফাদ অনুসন্ধান করবে আল্লাহ তা’য়ালা তাকে তার মুখের ভরে আগুনে নিক্ষেপ করবেন।] “সিলসিলাহ সহীহাহ” গ্রন্থে (১৬৮৮) উল্লেখ করেছি যেমনটি প্রথম বাক্য [তোমাদের বোনের ছেলে তোমাদেরই অন্তর্ভুক্ত] (৭৭৬) এবং তৃতীয় বাক্যকেও [তোমাদের দাস তোমাদেরই অন্তর্ভুক্ত] (১৬১৩) এ সহীহ গ্রন্থেই উল্লেখ করেছি।

ابن أختكم منكم وحليفكم منكم ومولاكم منكم، إن قريشا أهل صدق وأمانة، فمن بغى لها العواثر، أكبه الله في النار لوجهه
ضعيف

-

أخرجه البخاري في " الأدب المفرد " (75) والسري بن يحيى في: " حديث الثوري " (200 / 2) وابن أبي عاصم في " السنة " (147 / 2) والحاكم (4 / 73) وأحمد (4 / 340) والشافعي الشطر الثاني منه (1845 - ترتيبه) من طريق إسماعيل بن عبيد بن رفاعه عن أبيه عن جده قال: " جمع رسول الله صلى الله عليه وسلم قريشا فقال: هل فيكم من غيركم؟ قالوا: لا، إلا ابن أختنا وحليفنا ومولانا، فقال:.... " فذكره. وقال الحاكم: " صحيح الإسناد "! ووافقه الذهبي! وهو القائل في إسماعيل هذا: " ما علمت روى عنه سوى عبد الله بن عثمان بن خثيم ". ولهذا قال الحافظ " مقبول ". يعني عند المتابعة، وإلا فلين الحديث. قلت: وقد وجدت للشطر الثاني منه شاهدا من حديث جابر مرفوعا به، إلا أنه قال: " إلا كبه الله عز وجل لمنخريه ". أخرجه ابن عساكر في " التاريخ " (3 / 320 / 1 - 2) من طريق المسور بن عبد الملك بن عبيد بن سعيد بن يربوع المخزومي عن زيد بن عبد الرحمن بن عمرو بن نفيل - من بني عدي - عن أبيه قال: " جئت جابر بن عبد الله الأنصاري في فتيان من قريش، فدخلنا عليه بعد أن كف بصره، فوجدنا حبلا معلقا في السقف، وأقراصا مطروحة بين يديه أو خبزا، فكلما استطعم مسكين قام جابر إلى قرص منها، وأخذ الحبل حتى يأتي المسكين فيعطيه، ثم يرجع بالحبل حتى يقعد، وقلت له: عافاك الله! نحن إذا جاء المسكين أعطيناه، فقال: إني أحتسب المشي في هذا، ثم قال: ألا أخبركم شيئا سمعته من رسول الله صلى الله عليه وسلم؟ قالوا: بلى، قال: سمعته يقول: فذكره
قلت: وهذا سند ضعيف، من دون جابر لم أعرفهم، غير المسور بن عبد الملك ترجمه ابن أبيه حاتم (4 / 1 / 298) من رواية جمع من الثقات ولم يذكر فيه جرحا ولا تعديلا. وفي " الميزان " عن الأزدي: " ليس بالقوي
قلت: فهذا القدر من الحديث حسن بمجموع الطريقين، ولذلك أوردته في " الصحيحة " (1688) كما أخرجت في (776) الجملة الأولى منه، والجملة الثالثة (1613) . والله أعلم


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ

পরিচ্ছেদঃ

১৭১৭। তোমরা লাল রং থেকে নিজেদেরকে বাঁচিয়ে রাখ। কারণ তা হচ্ছে শয়তানের সর্বাপেক্ষা প্রিয় সাজসজ্জা।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদীসটিকে ত্ববারানী “আলমুজামুল কাবীর” গ্রন্থে (১৮/১৪৮/৩১৭) বাকর ইবনু মুহাম্মাদ সূত্রে সাঈদ ইবনু বাশীর হতে, তিনি কাতাদা হতে, তিনি হাসান বাসরী হতে, তিনি ইমরান ইবনু হুসাইন হতে মারফূ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। হাসান বাসরী মুদাল্লিস বর্ণনাকারী, তিনি আন আন করে বর্ণনা করেছেন। আর সাঈদ ইবনু বাশীর দুর্বল যেমনটি "আলইসাবাহ" প্রমুখ গ্রন্থে এসেছে। তার সনদের মধ্যে মতভেদ করা হয়েছে। বাকর তার থেকে এভাবে বর্ণনা করেছেন।

আর হাদিসটিকে হাসান ইবনু সুফিয়ান তার ’মুসনাদ’ গ্রন্থে ইয়াহইয়া ইবনু সালেহ অহাযী ও মুহাম্মাদ ইবনু উসমান সূত্রে তার (সাঈদ) থেকে বর্ণনা করেছেন (তিনি বলেনঃ) তিনি ইমরান ইবনু হুসাইনের স্থলে আব্দুর রহমান ইবনু ইয়াযীদ ইবনু রাফে হতে বর্ণনা করেছেন।

আর ইবনু আবী আসেম হাদীসটিকে মুহাম্মাদ ইবনু বিলাল সূত্রে সাঈদ হতে এ সনদে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি তার দাদার নাম রাশেদ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। অনুরূপভাবে ইবনু মান্দা অহাযীর সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন যেমনটি "আলইসাবাহ" গ্রন্থে এসেছে।

আর আবু মুহাম্মাদ মাখলাদী “আলফাওয়াইদ” গ্রন্থে (কাফ ২/২৬৩) সাঈদ ইবনু বাশীর হতে বর্ণনা করেছেন ইবনু সুফইয়ানের বর্ণনার ন্যায়।

إياكم والحمرة، فإنها أحب الزينة إلى الشيطان
ضعيف

-

أخرجه الطبراني في " المعجم الكبير " (18 / 148 / 317) من طريق بكر بن محمد بن سعيد بن بشير عن قتادة عن الحسن البصري عن عمران بن حصين مرفوعا
قلت: وهذا إسناد ضعيف، الحسن البصري مدلس وقد عنعنه. وسعيد بن بشير ضعيف، كما في " الإصابة " وغيره. وقد اختلف عليه في إسناده. فرواه بكر عنه هكذا. وأخرجه الحسن بن سفيان في " مسنده " من طريق يحيى بن صالح الوحاظي ومحمد بن عثمان كلاهما عنه فقال: عن " عبد الرحمن بن يزيد بن رافع " بدل: " عمران بن حصين وأخرجه ابن أبي عاصم من طريق محمد (بن) بلال عن سعيد بهذا الإسناد، لكنه سمى جده راشدا وكذا أخرجه ابن منده من طريق الوحاظي، كما في " الإصابة ". وأخرجه أبو محمد المخلدي في " الفوائد " (ق 263 / 2) عن سعيد بن بشير مثل رواية ابن سفيان عنه


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ

পরিচ্ছেদঃ

১৭১৮। শয়তান লাল রঙকে ভালবাসে। অতএব তোমরা লাল রঙ এবং প্রত্যেক সুনামের কাপড় (পোষাক) থেকে তোমাদেরকে বাঁচাও ।

হাদীসটি খুবই দুর্বল।

এটিকে আবু মুহাম্মাদ মাখলাদী “আলফাওয়াইদ” গ্রন্থে (২/২৮৩) ও ত্ববারানী “আলআওসাত” গ্রন্থে (৭৮৫৮) ইবনু জুরায়েয হতে, তিনি আবূ বকর হুযালী হতে, তিনি হাসান হতে, তিনি রাফে’ ইবনু ইয়াযীদ সাকাফী হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

এ সূত্রেই হাদীসটিকে ইবনু আদী (২/১৬৯) ও জুযক্বানী “আলআবাতীল” গ্রন্থে (৬৪৬) বর্ণনা করে বলেছেনঃ এটি বাতিল।

ইবনু আদী বলেনঃ আবু বাকর হুযালীর হাদীসের মধ্যে এমন কিছু রয়েছে যা হওয়ার নয় এবং যার মুতাবা’য়াতও করা হয়নি।

ইবনু হাজার হাইতামী “আলহকামুল লিবাস” গ্রন্থে (১/৭) বলেনঃ হাদীসটি দুর্বল।

আমি (আলবানী) বলছিঃ বরং হাদীসটি খুবই দুর্বল। কারণ হুযালী সম্পর্কে হাফিয যাহাবী “আযযুয়াফা” গ্রন্থে বলেনঃ তার দুর্বল হওয়ার ব্যাপারে ইজমা’ সংঘটিত হয়েছে।

আর হাফিয ইবনু হাজার "আততাকরীব" গ্রন্থে বলেনঃ তিনি মাতরূকুল হাদিস।

হাদিসটি সুয়ূতী "আলজামে" গ্রন্থে হাকিমের "আলকুনা", ইবনু কানে’ ও বাইহাকীর “আশশুয়াব” গ্রন্থের বর্ণনায় উল্লেখ করেছেন। আর মানবী উল্লেখ করেছেন যে, ত্ববারানীও হাদীসটিকে হুযালী সূত্রে উল্লেখ করেছেন।

হাফিয ইবনু হাজার "আলফাতহ" গ্রন্থে বলেনঃ হাদীসটি দুর্বল। জুযকানী বাড়িয়ে বলেছেন যে, হাদীসটি বাতিল। ইবনুল জাওযী “আলমওয়ূয়াত” গ্রন্থে জুযকানীর বেশীরভাগ সিদ্ধান্তের সাথে ঐকমত্য পোষণ করলেও এ হাদীসটির ব্যাপারে তিনি ঐকমত্য পোষণ করেননি এবং তিনি “আলমওয়ূয়াত” গ্রন্থেও উল্লেখ করেননি।

আমি (আলবানী) বলছিঃ সঠিক হচ্ছে এই যে, হাদীসটি দুর্বল যেমনটি হাফিয ইবনু হাজার বলেছেন। কারণ জুযকানী অন্য সূত্রে বর্ণনা করেছেন যার মধ্যে ইযতিরাব সংঘটিত হয়েছে। আর সাঈদ ইবনু বাশীর দুর্বল যেমনটি পূর্বের হাদীসে আলোচনা করা হয়েছে।

إن الشيطان يحب الحمرة، فإياكم والحمرة، وكل ثوب ذي شهرة
ضعيف جدا

-

رواه أبو محمد المخلدي في " الفوائد " (283 / 2) والطبراني في " الأوسط " (7858 - بترقيمي) عن ابن جريج: أخبرني أبو بكر الهذلي عن الحسن عن رافع بن يزيد الثقفي مرفوعا. ومن هذا الوجه أخرجه ابن عدي (169 / 2) والجوزقاني في " الأباطيل " (646) وقال: " باطل ". وقال ابن عدي: " أبو بكر الهذلي في حديثه ما لا يحتمل ولا يتابع عليه ". وعنه علقه ابن منده في " المعرفة " (2 / 198 / 1) . وقال ابن حجر الهيثمي في " أحكام اللباس " (7 / 1) : " إنه ضعيف
وأقول: بل هو ضعيف جدا، فإن الهذلي هذا، قال الذهبي في " الضعفاء ": " مجمع على ضعفه ". وقال الحافظ في " التقريب
": " متروك الحديث ". والحديث أورده السيوطي في " الجامع " من رواية الحاكم في " الكنى "، وابن قانع والبيهقي في " الشعب ". وذكر المناوي أن الطبراني رواه أيضا من طريق الهذلي. وأن الحافظ قال في " الفتح ": " الحديث ضعيف، وبالغ الجوزقاني فقال: إنه باطل، وقد وقفت على كتاب الجوزقاني وترجمه بـ " الأباطيل "، وهو بخط ابن الجوزي، وقد تبعه على أكثره في " الموضوعات "، لكن لم يوافقه على هذا الحديث، ولم يذكره فيها فأصاب. انتهى ". قلت: والصواب أنه ضعيف كما قال الحافظ، لأن الجوزقاني رواه من طريق أخرى فيه اضطراب، وسعيد بن بشير، وهو ضعيف كما تقدم في الذي قبله. والله أعلم


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ

পরিচ্ছেদঃ

১৭১৯। আল্লাহ্ তা’আলা (জান্নাতুল) ফিরদাউসকে তার নিজ হাতে তৈরি করেছেন এবং তাকে প্রত্যেক মুশরিক এবং সর্বদা মদ্যপানকারী মাতালের জন্য হারাম করে দিয়েছেন।

হাদীসটি দুর্বল।

এটিকে তাম্মাম রাযী "আলফাওয়াইদ" গ্রন্থে (১০/১৭৭/২), আবূ নুয়াইম “আলহিলইয়্যাহ” গ্রন্থে (৩/৯৪-৯৫) ও দাইলামী (১/২/২২৫-২২৬) আবুত ত্বাহীর ইবনুস সারহ সূত্রে তার খালু আবূ রাজা আব্দুর রহমান ইবনু আব্দিল হামীদ হতে, তিনি ইয়াহইয়া ইবনু আইউব হতে, তিনি দাউদ ইবনু আবূ হিন্দ হতে, তিনি আনাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ...।

আবু নুয়াইম বলেনঃ আনাস (রাঃ) হতে দাউদের এ হাদীস গারীব। তার থেকে শুধুমাত্র ইয়াহইয়া ইবনু আইউব মু’য়াফির মিসরী বর্ণনা করেছেন। আর তার থেকে আবু রাজা এককভাবে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এর বর্ণনাকারীগণ সবাই নির্ভরযোগ্য। তাদের কারো কারো ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে কিন্তু ক্ষতিকর নয়। এ হাদীসের সনদের সমস্যা হচ্ছে দাউদ এবং আনাস (রাঃ)-এর মাঝে সনদে বিচ্ছিন্নতা। কারণ দাউদ যদিও আনাস (রাঃ)-কে দেখেছেন তবুও সাব্যস্ত হয়নি যে, তিনি তার থেকে শুনেছেন। ইবনু হিব্বান বলেনঃ তিনি আনাস (রাঃ) হতে পাঁচটি হাদীস বর্ণনা করেছেন সেগুলো তিনি তার থেকে শুনেননি। আর হাকিম বলেনঃ আনাস (রাঃ) হতে তার শ্রবণ সঠিক নয়।

এ সমস্যা মানবীর নিকট গোপনই রয়ে যায়। এ কারণে তিনি কোন কোন বর্ণনাকারীর ব্যাপারে এমন কিছু সমালোচনা করেন যা দূষণীয় নয়। যদি উক্ত সমস্যা না থাকতো তাহলে হাদীসটি সাব্যস্ত হতো। হাদীসটিকে সুয়ূতী “আলজামে” গ্রন্থে বাইহাকীর “শুয়াবুল ঈমান” এবং ইবনু আসাকিরের উদ্ধৃতিতে উল্লেখ করেছেন।

إن الله تعالى بنى الفردوس بيده، وحظرها على كل مشرك وكل مدمن للخمر سكير
ضعيف

-

أخرجه تمام الرازي في " الفوائد " (10 / 177 / 2) وأبو نعيم في " الحلية " (3 / 94 - 95) والديلمي (1 / 2 / 225 - 226) من طريق أبي الطاهر بن السرح قال: حدثنا خالي أبو رجاء عبد الرحمن بن عبد الحميد قال: حدثني يحيى بن أيوب عن داود بن أبي هند عن أنس أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: فذكره. وقال أبو نعيم: " غريب من حديث داود عن أنس رضي الله تعالى عنه، لم يروه عنه إلا يحيى بن أيوب المعافري المصري، تفرد به عنه أبو رجاء ". قلت: ورجاله كلهم ثقات، في بعضهم كلام لا يضر، وإنما علته الانقطاع بين داود وأنس
فإنه وإن كان رآه، فلم يثبت أنه سمع منه. قال ابن حبان: روى عن أنس خمسة أحاديث لم يسمعها منه. وقال الحاكم: لم يصح سماعه من أنس. وخفيت هذه العلة على المناوي، فأخذ يتكلم على بعض الرواة بما لا يقدح، ولولاها لكان الحديث ثابتا
والحديث عزاه السيوطي في " الجامع " للبيهقي في " الشعب " وابن عساكر


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ

পরিচ্ছেদঃ

১৭২০। মহামারী-রোগের নিকটবর্তী হওয়া ধ্বংসের শামিল।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদীসটিকে আবু দাউদ (২/১৫৯) ও আহমাদ (৩/৪৫১) ইয়াহইয়া ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু বাহীর সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ আমাকে সেই ব্যক্তি সংবাদ দিয়েছেন যিনি ফরওয়া ইবনু মুসাইক হতে শ্রবণ করেছেন, তিনি বলেনঃ হে আল্লাহর রসূল! আমাদের এক যমীন আছে যাকে আরযু আবইয়ান বলা হয়। সেটি আমাদের উর্বর ফসলী এবং আমাদের খাদ্য ভূমি। তবে সেটি খুব বেশী মহামারী আক্রান্ত ভূমি, অথবা তিনি বলেনঃ তার বিপদাপদ কঠিন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি তোমার থেকে সেটিকে ছেড়ে দাও। কারণ মহামার রোগের নিকটবর্তী হওয়া ধ্বংসের শামিল।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। ফরওয়া হতে শ্রবণকারী ব্যক্তি অপরিচিত হওয়ার কারণে ।

إن من القرف التلف
ضعيف

-

أخرجه أبو داود (2 / 159) وأحمد (3 / 451) من طريق يحيى بن عبد الله بن بحير قال: أخبرني من سمع فروة بن مسيك قال: قلت: يا رسول الله!
أرض عندنا يقال لها: أرض أبين، هي أرض ريفنا وميرتنا، وإنها وبئة، أو قال: وباؤها شديد؟ فقال النبي صلى الله عليه وسلم: دعها عنك، فإن من القرف التلف ". قلت: وهذا سند ضعيف، لجهالة من سمعه من فروة


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ

পরিচ্ছেদঃ

১৭২১। আল্লাহ যদি তার বান্দাদের থেকে পাঁচ বছর বৃষ্টি নাযিল করা বন্ধের পর বৃষ্টি নাযিল করতেন, তাহলে অবশ্যই একদল লোক কাফির হয়ে যেয়ে বলতঃ আমাদেরকে মাযদাহ্ নক্ষত্রের দ্বারা (কারণে) পানি প্রদান করা হয়েছে।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদীসটিকে নাসাঈ (১/২২৭), দারেমী (২/৩১৪), ইবনু হিব্বান (৬০৬), আহমাদ (৩/৭) ও ত্ববারানী আদদু’আ গ্রন্থে (কাফ ২/১১১) আমর ইবনু দীনার হতে, তিনি আত্তাব ইবনু হুনাইন হতে, তিনি আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন। দারেমী হাদীসটির শেষে বৃদ্ধি করে বলেছেনঃ মাজদাহ সেই গ্রহ যাকে বলা হয়ঃ দুবরান।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। আত্তাব ইবনু হুনাইনকে ইবনু আবী হাতিম ইয়াহইয়া ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু সাইফী এবং এ আমরের বর্ণনায় উল্লেখ করে তার সম্পর্কে ভাল-মন্দ কিছুই বলেননি। এ কারণেই হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ তিনি মকবুল অর্থাৎ মুতাবায়াতের সময়। আর ইবনু হিব্বান তাকে নির্ভরযোগ্যদের মাঝে উল্লেখ করেছেন।

এ অধ্যায়ে একটি নিরাপদ হাদীসু কুদসী রয়েছেঃ “আমার বান্দাদের উপর কোন নেয়ামাত দান করলেই তাদের কেউ কেউ সে নেয়ামাতের কারণে কাফির হয়ে যায় ...।” এ হাদীটিকে বুখারী,
মুসলিম প্রমুখ মুহাদ্দিসগণ বর্ণনা করেছেন। এটিকে “ইরঅউল গালীল” গ্রন্থে ৬৮১) তাখরীজ করেছি।

لوأمسك الله عز وجل المطر عن عباده خمس سنين، ثم أرسله، لأصبحت طائفة من الناس كافرين، يقولون: سقينا بنوء المجدح
ضعيف

-

رواه النسائي (1 / 227) والدارمي (2 / 314) وابن حبان (606) وأحمد (3 / 7) والطبراني في " الدعاء " (ق 111 / 2) عن عمرو بن دينار عن عتاب بن حنين عن أبي سعيد الخدري مرفوعا، وزاد الدارمي في آخره: " قال: المجدح كوكب يقال له: الدبران ". قلت: وهذا إسناد ضعيف، عتاب بن حنين، أورده ابن أبي حاتم برواية يحيى بن عبد الله بن صيفي وعمرو هذا، ولم يذكر فيه جرحا ولا تعديلا، ولذلك قال الحافظ: " مقبول ". يعني عند المتابعة كما هو اصطلاحه. وأما ابن حبان فذكره في " الثقات "! والمحفوظ في الباب الحديث القدسي: " ما أنعمت على عبادي من نعمة إلا أصبح منهم بها كافرين ... " الحديث. أخرجه الشيخان وغيرهما، وهو مخرج في " الإرواء " (681)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ

পরিচ্ছেদঃ

১৭২২। জান্নাতিরা যখন জান্নাতে প্রবেশ করবে তখন তারা সেখানে তাদের আমলগুলোর ফাযীলাতের বিনিময়ে অবতরণ করবে। অতঃপর দুনিয়ার দিনের হিসেবে জুম’আর দিনের সমপরিমাণ সময় তাদেরকে তাদের প্রতিপালককে যিয়ারাত করার অনুমতি প্রদান করা হবে। আল্লাহ তা’আলা তাদের জন্য তার আবূশকে উন্মুক্ত করে দিবেন এবং তিনি জান্নাতের বাগানগুলোর একটি বাগানে তাদের জন্য উপস্থিত হবেন। তাদের জন্য নূরের মিম্বার, মতির মিম্বার, ইয়াকূত পাথরের মিম্বার, যাবারযাদ পাথরের মিম্বার, স্বর্ণের মিম্বার, রৌপ্যের মিম্বার প্রস্তুত রাখা হবে। তাদের সর্বাপেক্ষা নিম্ন পর্যায়ের ব্যক্তি (অথচ জান্নাতিদের মধ্যে নিম্ন পর্যায়ের বলতে কিছুই নেই) মিস্ক আম্বার এবং কাফুরের দীর্ঘ টিলার উপর বসবে। তারা মনে করবে না যে, কুরসীর অধিকারীগণ তাদের চেয়ে উত্তম ...। (এ দীর্ঘ হাদীসের মধ্যে এসেছে)

অতঃপর আমরা আমাদের গৃহে ফিরে যাব আর আমাদের সাথে আমাদের স্ত্রীগণ মিলিত হয়ে বলবেঃ অভিনন্দন, সুস্বাগতম। অবশ্যই তুমি যখন আমাদের নিকট থেকে গিয়েছিলে তখনকার চেয়ে আরো বেশী সৌন্দর্য নিয়ে আগমন করেছো। এ সময় সে বলবেঃ আমরা আজকে আমাদের পরাক্রমশালী প্রতিপালকের সাথে বসেছিলাম। আর আমরা যেরূপ পরিবর্তন হয়েছি এরূপ পরিবর্তন হওয়াই আমাদের উচিত ছিল।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদীসটিকে তিরমিযী (২/৮৯-৯০), ইবনু মাজাহ (৪৩৩৬), ইবনু আবী আসেম "আস সুন্নাহ" গ্রন্থে (নং ৭৮৫) ও তাম্মাম “আলফাওয়াইদ” গ্রন্থে (১৩/২৪১-২৪২/২) বিভিন্ন সূত্রে হিশাম ইবনু আম্মার হতে, তিনি আব্দুল হামীদ ইবনু হাবীব ইবনু আবুল ইশরীন হতে, তিনি আওযাঈ হতে, তিনি হাসসান ইবনু আতিয়্যাহ হতে, তিনি সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব হতে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি আবু হুরাইরাহ (রাঃ)-এর সাথে মিলিত হলে তিনি তাকে বলেনঃ আমি আল্লাহর নিকট চাচ্ছি যে, তিনি যেন আমাকে আর তোমাকে জান্নাতের বাজারে একত্রিত করেন। এ সময় সাঈদ বললেনঃ জান্নাতে কি বাজার আছে? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। আমাকে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সংবাদ দিয়েছেনঃ ...।

ইমাম তিরমিযী হাদীসটিকে দুর্বল আখ্যা দিয়ে বলেছেনঃ হাদীসটি গারীব। আমরা এটিকে একমাত্র এ সূত্রেই চিনি।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এর সমস্যা হচ্ছে বর্ণনাকারী আব্দুল হামীদ। হাফিয যাহাবী তাকে "আযযুয়াফা" গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেনঃ নাসাঈ বলেনঃ তিনি শক্তিশালী নন।

হাফিয ইবনু হাজার "আততাকরীব" গ্রন্থে বলেনঃ তিনি সত্যবাদী, কখনও কখনও ভুল করতেন। আবূ হাতিম বলেনঃ তিনি দীওয়ান লেখক ছিলেন। তিনি হাদীসের অধিকারী ছিলেন না।

আর হিশাম ইবনু আম্মার হতে যদিও ইমাম বুখারী বর্ণনা করেছেন তবুও তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। হাফিয যাহাবী “আলমীযান” গ্রন্থে বলেনঃ তিনি সত্যবাদী, তবে তার কিছু মুনকার রয়েছে। আবু হাতিম বলেনঃ তিনি সত্যবাদী, তার মস্তিস্ক বিকৃতি ঘটেছিল। তাকে যখনই (ভুল) ধরিয়ে দেয়া হতো তখনই সে তা গ্রহণ করত। অনুরূপ বর্ণনা “আত-তাকরীব” গ্রন্থেও এসেছে।

আর হাদীসটিকে ইবনু আবী আসেম (৭৮৬) ও তাম্মাম সুওয়াইদ ইবনু আব্দুল আযীয সূত্রে আওযাঈ হতে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এ সুওয়াইদ খুবই দুর্বল।

ইমাম বুখারী তার সম্পর্কে বলেনঃ তার ব্যাপারে বিরূপ মন্তব্য রয়েছে...। হাফিয যাহাবী তাকে "আযযুয়াফা" গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেনঃ ইমাম আহমাদ বলেছেনঃ তিনি মাতরূকুল হাদীস।

إن أهل الجنة إذا دخلوها نزلوا فيها بفضل أعمالهم، ثم يؤذن لهم في مقدار يوم الجمعة من أيام الدنيا، فيزورون ربهم، ويبرز لهم عرشه، ويتبدى لهم في روضة من رياض الجنة، فتوضع لهم منابر من نور ومنابر من لؤلؤ ومنابر من ياقوت ومنابر من زبرجد ومنابر من ذهب ومنابر من فضة، ويجلس أدناهم - وما فيهم من دني - على كثبان المسك والكافور، وما يرون أن أصحاب الكراسي بأفضل منهم ... (الحديث بطوله، وفيه:) ثم ننصرف إلى منازلنا، فيتلقانا أزواجنا، فيقلن: مرحبا وأهلا، لقد جئت، وإن بك من الجمال أفضل مما فارقتنا عليه، فيقول: إنا جالسنا اليوم ربنا الجبار، ويحقنا أن ننقلب بمثل ما انقلبنا
ضعيف

-

أخرجه الترمذي (2 / 89 - 90) وابن ماجة (4336) وابن أبي عاصم في " السنة " (رقم 785 - بتحقيقي) وتمام في " الفوائد " (13 / 241 - 242 / 2) من طرق عن هشام بن عمار: حدثنا عبد الحميد بن حبيب بن أبي العشرين: حدثنا الأوزاعي حدثنا حسان بن عطية عن سعيد بن المسيب أنه لقي أبي هريرة، فقال أبو هريرة: أسأل الله أن يجمع بيني وبينك في سوق الجنة، فقال سعيد: أفيها سوق؟ قال: نعم، أخبرني رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره، وقال الترمذي مضعفا: " حديث غريب، لا نعرفه إلا من هذا الوجه
قلت: وعلته عبد الحميد هذا، أورده الذهبي في " الضعفاء "، وقال: " قال النسائي: ليس بالقوي ". وقال الحافظ في " التقريب ": " صدوق، ربما أخطأ، قال أبو حاتم: كان كاتب ديوان، ولم يكن صاحب حديث ". وهشام بن عمار، وإن أخرج له البخاري ففيه كلام، قال الذهبي في " الميزان ": " صدوق مكثر، له ما ينكر، قال أبو حاتم: صدوق قد تغير، فكان كلما لقن تلقن ". ونحوه في " التقريب
وأخرجه ابن أبي عاصم (786) وتمام من طريق سويد بن عبد العزيز عن الأوزاعي به. لكن سويد هذا ضعيف جدا، قال البخاري: " فيه نظر لا يحتمل ". وذكره الذهبي في " الضعفاء "، وقال: " قال أحمد: متروك الحديث


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ

পরিচ্ছেদঃ

১৭২৪। হে আল্লাহ্! তুমি আমাদের থেকে এমন কিছু চাচ্ছ যার মালিক আমরা নই বরং একমাত্র তুমিই। হে আল্লাহ্! তুমি আমাদেরকে তা থেকে তাই দান কর যা তোমাকে আমাদের পক্ষ হতে সম্ভষ্ট করবে।

হাদীসটি খুবই দুর্বল।

হাদীসটিকে তাম্মাম “আলফাওয়াইদ” গ্রন্থে (১২/২২৩/২) দালহাস ইবনু জুবায়ের হতে, তিনি অলীদ ইবনু মুসলিম হতে, তিনি আওযাঈ হতে, তিনি আতা ইবনু আবু রাবাহ হতে, তিনি আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ ...।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি খুবই দুর্বল। বর্ণনাকারী এ দালহাস সম্পর্কে আযদী বলেনঃ তিনি খুবই দুর্বল।

হাদীসটিকে সুয়ূতী “আলজামেউস সাগীর” গ্রন্থে শুধুমাত্র ইবনু আসাকিরের বর্ণনায় উল্লেখ করেছেন।

আর মানবী “আদদাওয়াত” গ্রন্থে বলেনঃ মুসাননিফ (সুয়ূতী) বলেনঃ এটি মুতাওয়াতির হাদীস! আমি ধারণা করছি যে, এটি ছাপার ভুল। মুতাওয়াতির শব্দটি অন্য হাদীসের সাথে সম্পৃক্ত। কারণ এর অন্য কোন সূত্র নেই। কিভাবে মুতাওয়াতির হয়!! আর এ ভাষা “আলজামেউল কাবীর” গ্রন্থে (৫৪৪-৯৭৯৪) আসেনি।

اللهم إنك سألتنا من أنفسنا ما لا نملكه إلا بك، اللهم فأعطنا منها ما يرضيك عنا
ضعيف جدا

-

أخرجه تمام في " الفوائد " (12 / 223 / 1) من طريق دلهاث بن جبير: حدثنا الوليد بن مسلم: أنبأ الأوزاعي عن عطاء بن أبي رباح عن أبي هريرة قال: فذكره. قلت: وهذا إسناد ضعيف جدا، دلهاث هذا، قال الأزدي: " ضعيف جدا ". والحديث أورده السيوطي في " الجامع الصغير " من رواية ابن عساكر فقط! واستدرك عليه المناوي المستغفري في " الدعوات "، وقال: " قال المصنف: وهذا الحديث متواتر "! وأنا أظن أن هذا خطأ مطبعي، وأن محله في غير هذا الحديث. فإنه ليس له طريق أخرى، فضلا عن أن يكون متواترا!! ولم ترد هذه العبارة في " الجامع الكبير " (544 - 9794)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ

পরিচ্ছেদঃ

১৭২৫। তুমি যখন কোন ব্যক্তিকে ভাই হিসেবে গ্রহণ করবে তখন তাকে তার এবং তার পিতার নাম সম্পর্কে জিজ্ঞেস কর। কারণ সে যদি অনুপস্থিত (মুসাফির) হয় তাহলে তাকে (তার পরিবার ও সম্পদকে) যেন তুমি হেফাযাত করতে পার, সে যদি অসুস্থ হয় তাহলে তাকে দেখতে যেতে পার আর সে যদি মারা যায় তাহলে তার (জানাযায়)উপস্থিত হতে পার।

হাদীসটি খুবই দুর্বল।

সুয়ূতী "আলজামে" গ্রন্থে বলেনঃ হাদিসটি বাইহাকী "আশশুয়াব" গ্রন্থে আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন এবং তিনি (সুয়ুতী) দুর্বল হওয়ার চিহ্ন ব্যবহার করেছেন। আর তার ভাষ্যকার মানবী এর কারণ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেনঃ বাইহাকী বলেনঃ হাদীসটিকে মাসলামাহ ইবনু আলী ইবনু ওবাইদুল্লাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন আর তিনি শক্তিশালী নন। এ মাসলামাকে হাফিয যাহাবী "আয-যু’য়াফা অলমাতরূকীন" গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেনঃ দারাকুতনী প্রমুখ বলেনঃ তিনি মাতরূক।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ থেকেই জানা যায় যে, “আততাইসীর” গ্রন্থে মানবী তার ’এর সনদে অল্প দুর্বলতা রয়েছে’! এ কথার দ্বারা শিথিলতা প্রদর্শন করেছেন। আর তিরমিযী বলেছেনঃ এর সনদটি সহীহ নয়। যেমনটি এর পরের হাদীসের মধ্যে আসবে।

এটিকেও তাম্মাম “আলফাওয়াইদ” গ্রন্থে (১২/২১৫/২) মাসলামা ইবনু আলী হতে, তিনি ওবাইদুল্লাহ ইবনু উমার হতে, তিনি নাফে’ হতে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ আমাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমতাবস্থায় দেখলেন যে, আমি এদিক ওদিক তাকাচ্ছি। তিনি আমাকে বললেনঃ হে আব্দুল্লাহ! তোমার কি হয়েছে? আমি বললামঃ ইয়া রসূলুল্লাহ! এক ব্যক্তিকে আমি ভালবাসি, আমি তাকে অনুসন্ধান করছি। তখন রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথা বলেনঃ ...।

إذا آخيت رجلا فسله عن اسمه واسم أبيه، فإن كان غائبا حفظته وإن كان مريضا عدته، وإن مات شهدته
ضعيف جدا

-

قال في " الجامع ": رواه البيهقي في " الشعب " عن ابن عمر ورمز لضعفه، وبين السبب في ذلك شارحه المناوي، فقال: " قال مخرجه البيهقي: تفرد به مسلمة بن علي بن عبيد الله، وليس بالقوي. انتهى، ومسلمة أورده الذهبي رحمه الله في " الضعفاء والمتروكين "، وقال: قال الدارقطني وغيره: " متروك
قلت: ومنه تعلم تساهله في " التيسير " بقوله: " وفي إسناده ضعف قليل "! وقال الترمذي: " ولا يصح إسناده ". كما يأتي في الحديث الذي بعده. وقد أخرجه تمام في " الفوائد " (12 / 215 / 2) عن مسلمة بن علي عن عبيد الله بن عمر عن نافع عن ابن عمر قال: " رآني النبي صلى الله عليه وسلم وأنا أتلفت، فقال لي: مالك يا عبد الله؟ قلت: يا رسول الله! رجل أحببته، فأنا أطلبه، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ

পরিচ্ছেদঃ

১৭২৬। যখন কেউ কোন ব্যক্তিকে ভাই হিসেবে গ্রহণ করবে তখন সে যেন তার নাম, তার পিতার নাম এবং তার পরিচয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। কারণ তা ভালোবাসাকে বেশী দৃঢ়কারী।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদীসটিকে ইমাম বুখারী “আততারীখ” গ্রন্থে (৪/২/৩১৪), ইবনু সাদ "আতত্ববাকাত" গ্রন্থে (৬/৬৫), আব্দু ইবনু হুমায়েদ (কাফ ২/৫৩), তিরমিযী (২/৬৩) ও আবু নুয়াইম “আলহিলইয়্যাহ” গ্রন্থে (৬/১৮১) ইমরান ইবনু মুসলিম আলকাসীর সূত্রে সাঈদ ইবনু সালমান হতে, তিনি ইয়াযীদ ইবনু নুয়ামাহ দব্বী হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ...।

তিরমিযী বলেনঃ হাদীসটি গারীব, এটিকে আমরা একমাত্র এ সূত্রেই চিনি। আমরা জানি না যে, ইয়াযীদ ইবনু নুয়ামাহ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে শুনেছেন। আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণনা করা হয়ে থাকে যে, তিনি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন, যার সনদ সহীহ নয়। তিনি পূর্বের হাদীসটির দিকে ইঙ্গিত করেছেন। অতএব এ হাদীসের সমস্যা হচ্ছে মুরসাল হওয়া।

ইমাম বুখারী ভিন্ন মত পোষণ করে বলেছেনঃ ইয়াযীদ ইবনু নুয়ামার রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সাক্ষাৎ হয়েছে। এ ব্যাপারে এটি তার ভুল।

এ হাদীসের আরেকটি সমস্যা রয়েছে আর সেটি হচ্ছেঃ সাঈদ ইবনু সালমান হতে বর্ণনাকারীর অপরিচিত হওয়া। হাফিয যাহাবী বলেনঃ তার থেকে শুধুমাত্র ইমরান আলকাসীর বর্ণনা করেছেন। তাকে ইবনু হিব্বান নির্ভরশীলদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। হাফিয ইবনু হাজার “আততাকরীব” গ্রন্থে বলেনঃ তিনি মকবুল। হাদীসটিকে সুয়ূতী “আলজামে” গ্রন্থে ইবনু সাদের "আতত্ববাকাত" গ্রন্থের, বুখারীর “আত্তারীখ” গ্রন্থের এবং তিরমিযীর উদ্ধৃতিতে উল্লেখ করে দুর্বল হওয়ার চিহ্ন ব্যবহার করেছেন।

إذا آخى الرجل الرجل فليسأله عن اسمه واسم أبيه، وممن هو، فإنه أوصل للمودة
ضعيف

-

أخرجه البخاري في " التاريخ " (4 / 2 / 314) وابن سعد في " الطبقات " (6 / 65) وعبد بن حميد (ق 53 / 2) والترمذي (2 / 63) وأبو نعيم في " الحلية " (6 / 181) من طريق عمران بن مسلم القصير عن سعيد بن سلمان عن يزيد بن نعامة الضبي قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره، وقال الترمذي: " حديث غريب لا نعرفه إلا من هذا الوجه، ولا نعرف ليزيد بن نعامة سماعا من النبي صلى الله عليه وسلم، ويروى عن ابن عمر عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوهذا الحديث، ولا يصح إسناده ". يشير إلى الحديث الذي قبله. فعلة الحديث الإرسال، وشذ البخاري فقال: " يزيد بن نعامة له صحبة ". وقد خطؤوه في ذلك. وله علة أخرى، وهي جهالة الراوي عن سعيد بن سلمان، ويقال: سليمان. قال الذهبي: " روى عنه عمران القصير فقط، ذكره ابن حبان في (ثقاته) ". وفي " التقريب ": " مقبول ". والحديث عزاه السيوطي في " الجامع " لابن سعد في " الطبقات "، والبخاري في " تاريخه "، والترمذي فقط! ورمز له بالضعف


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ
দেখানো হচ্ছেঃ ১৯৬১ থেকে ১৯৮০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৭৩২০ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ « আগের পাতা 1 2 3 4 · · · 96 97 98 99 100 · · · 363 364 365 366 পরের পাতা »