হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১৭০৯

পরিচ্ছেদঃ

১৭০৯। যে ব্যক্তি যাকাত আদায় করবে, মেহমানদারী করবে এবং বিপদে দান করবে সে কৃপণতা থেকে মুক্ত।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদীসটি ত্ববারানী (১/২০৫/২) উমর ইবনু আলী মাকদামী সূত্রে মাজমা ইবন ইয়াহইয়া ইবনু জরিয়াহ হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ আমি আমার চাচা খালেদ ইবনু যায়েদ আনসারীকে বলতে শুনেছি ... তিনি হাদীসটি মারফু হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। কারণ খালেদ ইবনু যায়েদ হচ্ছেন ইবনু হারিসা আনসারী যার রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সাক্ষাতের বিষয়টি সাব্যস্ত হয়নি। হাফিয ইবনু হাজার আবু ইয়ালা এবং ত্ববারানীর উদ্ধৃতি দেয়ার পর "আলইসাবাহ" গ্রন্থে (১/৪০৫) বলেনঃ এর সনদটি হাসান। কিন্তু ইমাম বুখারী ও ইবনু হিব্বান তাকে তাবেঈ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মানবী তাকে উল্লেখ করেছেন এবং তা স্বীকার করে আর কিছুই বলেননি।

আমি (আলবানী) বলছিঃ যদি তার নিকট এবং আবু ইয়ালার নিকট হাদিসটির সূত্রের কেন্দ্রবন্দু হয় উমার ইবনু আলী মাকদামী যিনি তাবরানীর সূত্রেই রয়েছেন, তাহলে মুরসাল হওয়া ছাড়াও এর দ্বিতীয় সমস্যা হচ্ছে এ মাকদামী কর্তৃক তাদলীস সংঘটিত হওয়া। কারণ হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ তিনি কঠিন তাদলীস করতেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এর দ্বারা তাদলীসুস সুকূতকে (চুপ থাকা তাদলীসকে) বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ যেন কেউ বললঃ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করে শুনিয়েছে অথবা বললঃ আমি শুনেছি, অতঃপর (কিছুক্ষণ) চুপ থাকল, এরপরে বললঃ হিশাম ইবনু উরওয়াহ অথবা আমাশ। যা এ সন্দেহ সৃষ্টি করে যে, সে তাদের দু’জন থেকে শুনেছে অথচ আসলে তা নয়। (৯২১) নম্বর হাদীস দেখুন।

অতঃপর আমি পেয়েছি এটিকে ইবনু হিব্বান “কিতাবুস সিকাত” গ্রন্থে (৪/২০২) আবূ ই’য়ালা সূত্রে তার সনদে আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারাক হতে, তিনি মাজমা ইবনু ইয়াহইয়া হতে বর্ণনা করেছেন আর বলেছেনঃ এটি মুরসাল।

হাদিসটিকে আবু উসমান আন-নুযাইরামী "আল-ফাওয়াইদ" গ্রন্থে (২/২৬) সুলাইমান ইবনু শুরাহ্বীল হতে, তিনি ইসমাঈল ইবনু আইয়্যাশ হতে, তিনি আম্মারাহ ইবনু গাযয়্যাহ্ আনসারী হতে, তিনি তার চাচা উমার ইবনু হারেস হতে, তিনি আনাস ইবনু মালেক (রাঃ) হতে মারফূ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন শেষের “এবং বিপদে দান করবে” এ অংশ ছাড়া। এ সূত্রে সালাবীও তার “তাফসীর” গ্রন্থে (৩/১৮১/১-২) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি গারীব। আম্মারা ইবনু গাযিয়্যার চাচা উমার ইবনু হারেসের জীবনী পাচ্ছি না এবং তারা আম্মারার জীবনীতে উল্লেখ করেননি যে, তিনি তার চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি তার পিতা গাযিয়াহ ইবনুল হারেস হতে বর্ণনা করেছেন।

আর ইসমাইল ইবনু আইয়্যাশ মাদানীদের থেকে তার বর্ণনায় তিনি দুর্বল। আর এ বর্ণনাটি তাদের থেকেই। আর এ স্তরের বর্ণনাকারীদের মধ্যে এমন কোন ব্যক্তিকে পাচ্ছি না যার নাম সুলাইমান ইবনু শুরাহবীল অথবা শুরাহীল।

অতঃপর আমি হাদীসটিকে হান্নাদের “আযযুহদ” গ্রন্থে (১০৬০) অন্য একটি সূত্রে মাজমা ইবনু ইয়াহইয়া হতে দেখেছি। কিন্তু এ সূত্রে হাদীসটির সমস্যা হচ্ছে শুধুমাত্র মুরসাল হওয়া। আল্লাহই বেশী জানেন।

بريء من الشح من أدى الزكاة وقرى الضيف وأعطى في النائبة ضعيف - رواه الطبراني (1 / 205 / 2) من طريق عمر بن علي المقدمي عن مجمع بن يحيى بن جارية قال: سمعت عمي خالد بن زيد الأنصاري قال: فذكره مرفوعا قلت: وهذا إسناد ضعيف، لأن خالد بن زيد، وهو ابن حارثة الأنصاري لم تثبت صحبته. قال الحافظ في " الإصابة " (1 / 405) بعدما عزاه لأبي يعلى والطبراني: " إسناده حسن، لكن ذكره البخاري، وابن حبان في (التابعين) ونقله المناوي وأقره، ولم يزد عليه بشيء، وعزاه أصله لهناد، يعني في " الزهد " (رقم: 1060) . وأنا أقول: إن كان مدار الحديث عنده وعند أبي يعلى من طريق عمر بن علي المقدمي الذي في طريق الطبراني، ففيه علة أخرى غير الإرسال، وهي تدليس المقدمي هذا، قال الحافظ: " كان يدلس شديدا "! قلت: ويعني به تدليس السكوت، كأن يقول: " حدثنا " أو" سمعت "، ثم يسكت، ثم يقول: " هشام بن عروة " أو" الأعمش " موهما أنه سمع منهما، وليس كذلك! وانظر الحديث (921) . ثم وجدت في مسودتي أن الحديث أخرجه ابن حبان في كتاب " الثقات " (4 / 202) من طريق أبي يعلى بسنده عن ابن المبارك عن مجمع بن يحيى به، وقال: " مرسل ". وأنه رواه أبو عثمان النجيرمي في " الفوائد " (26 / 2) عن سليمان بن شرحبيل: حدثنا إسماعيل بن عياش حدثنا عمارة بن غزية الأنصاري عن عمه عمر بن حارث عن أنس بن مالك مرفوعا به، دون قوله: " وأعطى في النائبة ومن هذا الوجه رواه الثعلبي أيضا في " تفسيره " (3 / 181 / 1 - 2) . قلت: وهذا إسناد غريب، عمر بن حارث عم عمارة بن غزية، لم أجد له ترجمة، ولم يذكروا في ترجمة عمارة بن غزية أنه يروي عن عمه هذا، وإنما عن أبيه غزية بن الحارث وإسماعيل بن عياش ضعيف في روايته عن المدنيين، وهذه منها. وسليمان بن شرحبيل، وكتب كاتب " الفوائد " على " شرحبيل " " شراحيل " كأنه يعني نسخته ولم أجد في هذه الطبقة من اسمه سليمان بن شرحبيل أوشراحيل. ثم رأيت الحديث في " الزهد " لهناد (1060) من طريق آخر عن مجمع بن يحيى. فانحصرت العلة في الإرسال في هذا الوجه. والله أعلم


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ