পরিচ্ছেদঃ
১৭১৩। তুমি কি জানো খুরাফার হাদীস কি? খুরাফা বানু উযরার এক ব্যক্তি ছিল যাকে জিনে ধরেছিল। সে তাদের (জিনদের) মাঝে কিছু সময় ছিল। অতঃপর সে মানুষের মাঝে ফিরে আসে। সে জিনদের মাঝে ঘটা বহু কিছু এবং আজব আজব ঘটনা যেগুলো মানুষের মধ্যে ঘটে না তাদেরকে বর্ণনা করে শুনানো শুরু করে। সে বর্ণনা করে যে, এক জিনের মা ছিল যে তাকে (পুত্র জিনকে) বিয়ে করার নির্দেশ প্রদান করেছিল। তখন সে বলেছিলঃ আমি আশংকা করছি যে, এতে আপনার উপর কষ্ট আসবে অথবা এমন কিছু আসবে যা আপনি অপছন্দ করেন। কিন্তু শেষমেষ মা তাকে বিয়ে করিয়েই দেয়। ফলে সে এমন এক মেয়েকে বিয়ে করে যার মা ছিল। অতঃপর সে জিন (রাতকে) স্ত্রীর এবং নিজ মায়ের মাঝে ভাগ করে ফেলেছিল। একরাত তার স্ত্রীর নিকট আর একরাত তার মায়ের নিকট থাকত। সে বললঃ একরাত তার স্ত্রীর ছিল ফলে সে তার নিকটেই ছিল, আর তার মা ছিল একাকী। এমতাবস্থায় তাকে (মাকে) সালাম প্রদানকারী ব্যক্তি সালাম প্রদান করলে সে সালামের উত্তর দিল। এরপর সালাম প্রদানকারী ব্যক্তি বললঃ রাতে থাকা যাবে? মহিলা (মা) বললঃ হ্যাঁ। সে ব্যক্তি বললঃ রাতের খাবার আছে? সে বললঃ হ্যাঁ। সে আবার বললঃ কোন মুহাদ্দিস আছে কি যে, আমাদেরকে হাদীস বর্ণনা করে শুনাবে? সে মহিলা বললঃ হ্যাঁ। আমার ছেলের নিকট পাঠাচ্ছি যে তোমাদেরকে হাদীস বর্ণনা করে শুনাবে। সে ব্যক্তি বললঃ তোমার ঘরে এটা কিসের শব্দ শুনছি? সে বললঃ এগুলো উট এবং ছাগল ...।
হাদীসটি খুবই দুর্বল।
হাদীসটিকে ইবনু আবিদ দুনিয়া “যাম্মুল বাগী” গ্রন্থে (৩৪/১-২) উসমান ইবনু মুয়াবিয়্যাহ হতে, তিনি সাবেত হতে, তিনি আনাস (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি একেবারে দুর্বল। উসমান ইবনু মুয়াবিয়্যাহ সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেনঃ তিনি এমন এক শাইখ যে বানোয়াট এমন সব কিছু বর্ণনা করেন যেগুলো সাবেত কখনও বর্ণনা করেননি। তার বর্ণনা শুধুমাত্র ক্রটি বর্ণনা করার উদ্দেশ্য ছাড়া লিখা যাবে না।
অতঃপর তিনি তার এ হাদীসটি উল্লেখ করেছেন। আর হাফিয ইবনু হাজার তার সমালোচনা করে বলেছেনঃ এ হাদীসটিকে ইবনু হিব্বান হাদীস হিসেবে অস্বীকার করেছেন। অথচ হাদিসটিকে ইবনু আদী "আলকামেল" গ্রন্থে আলী ইবনু আবূ সারার জীবনীতে তার বর্ণনায় সাবেত হতে, তিনি আনাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। অর্থাৎ তিনি উসমান ইবনু মুয়াবিয়্যার মুতাবায়াত করেছেন। আর এ আলী ইবনু আবূ সারাহ দুর্বল। নাসাঈ তার হাদীস বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ মুতাবা’য়াত কোন উপকারে আসবে না। কারণ ইবনু সারাহকে ইমাম বুখারী খুবই দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন তার এ কথার দ্বারা যে, তার ব্যাপারে বিরূপ মন্তব্য রয়েছে। যেমনটি ইবনু আদী তার উদ্ধৃতিতে বর্ণনা করেছেন। অতঃপর তিনি তার কতিপয় হাদীস উল্লেখ করেছেন, এটি সেগুলোর একটি। এরপর তিনি বলেন (২/২৮৭): সেগুলোর কোনটিই নিরাপদ নয়। সেগুলো ছাড়াও সাবেত হতে তার আরো মুনকার হাদীস রয়েছে।
أتدرين ما حديث خرافة؟ إن خرافة كان رجلا من بني عذرة فأصابته الجن فكان فيهم حينا، فرجع إلى الإنس، فجعل يحدثهم بأشياء تكون في الجن، وبأعاجيب لا تكون في الإنس، فحدث أن رجلا من الجن كانت له أم، فأمرته أن يتزوج، فقال: إني أخشى أن يدخل عليك من ذلك مشقة أوبعض ما تكرهين، فلم تزل به حتى زوجته، فتزوج امرأة لها أم، فكان يقسم لامرأته ولأمه، ليلة عند هذه، وليلة عند هذه، قال: وكانت ليلة امرأته، فكان عندها، وأمه وحدها، فسلم عليها مسلم، فردت السلام ثم قال: هل من مبيت؟ قالت: نعم، قال: فهل من عشاء؟ قالت: نعم، قال: فهل من محدث يحدثنا؟ قالت: نعم، أرسل إلى ابني يحدثكم، قال: فما هذه الخشفة التي نسمعها في دارك؟ قالت: هذه إبل وغنم ضعيف جدا - ابن أبي الدنيا في " ذم البغي " (34 / 1 - 2) عن عثمان بن معاوية عن ثابت عن أنس مرفوعا. قلت: وهذا إسناد واه بمرة، عثمان بن معاوية. قال ابن حبان: " شيخ يروي الأشياء الموضوعة التي لم يحدث بها ثابت قط ، لا تكتب روايته إلا على سبيل القدح ثم ساق له هذا الحديث. وتعقبه الحافظ في " اللسان "، فقال: " وهذا الحديث الذي أنكره ابن حبان على هذا الشيخ، قد أورده ابن عدي في " الكامل " في ترجمة علي بن أبي سارة من روايته عن ثابت عن أنس، فتابع عثمان بن معاوية. وعلي بن أبي سارة ضعيف، وقد أخرج له النسائي ". وأقول: هذه المتابعة لا تجدي لأن ابن أبي سارة ضعفه البخاري جدا بقوله: " فيه نظر ". كما رواه ابن عدي عنه. ثم ساق له أحاديث هذا أحدها، ثم قال: (287 / 2) : " كلها غير محفوظة وله غير ذلك عن ثابت مناكير أيضا ثم إن نص حديثه يختلف عن نص المشهو د له، فإنه قال في أوله: " حدث رسول الله صلى الله عليه وسلم عائشة مرة حديثا، فقالت: لولا أنك حدثتني بهذا يا رسول الله لظننت أنه حديث خرافة، فقال لها: يا عائشة! وهل تدرين ما خرافة؟ قالت : لا، قال: فإن خرافة كان رجلا من بني عذرة، سبته الجن، فكان معهم، فإذا استرقوا السمع من السموات حدث بعضهم بعضا بذلك، فسمعه خرافة منهم، فيحدث به بني آدم، فيحدثونه كما يقول. وذكر الحديث