পরিচ্ছেদঃ
১৯০১। হিংসা সৎকর্মগুলোকে খেয়ে ফেলে যেমন আগুন কাঠকে খেয়ে ফেলে। সাদাকাহ ভুলকে নিভিয়ে (মোচন করে) ফেলে যেমন পানি আগুন হতে রক্ষার ঢাল।
হাদীসটি দুর্বল।
হাদীসটিকে ইবনু মাজাহ্ (৪২১০), আবূ ইয়ালা তার "মুসনাদ" গ্রন্থে (২/১৭৯), আলমুখাল্লেস "আলফাওয়াইদুল মুনতাকাত" গ্রন্থে (১/২৪/১-২) ও আবু তাহের আম্বারী "আলমাশীখাহ" গ্রন্থে (কাফ ২/১৩৮) মুহাম্মাদ ইবনু আবূ ফুদায়েক হতে, তিনি ঈসা ইবনু আবূ ঈসা হান্নাত হতে, তিনি আবুয যিনাদ হতে, তিনি আনাস ইবনু মালেক (রাঃ) হতে মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
অনুরূপভাবে হাদিসটিকে আবুল কাসেম ফাযল ইবনু জা’ফার "নুসখাতু আবু মুসহির..." গ্রন্থে (১/৬৩), ইবনু আখী মীমী "আলফাওয়াইদুল মুনতাকাত" গ্রন্থে (২/৮২/২), কাযাঈ (কাফ ২/১৯৪), খাতীব “আলমুওয়াযযেহ” গ্রন্থে (১/৮৩-৮৪) ও ইবনু আসাকির “আততারীখ” গ্রন্থে (৯/৯০/১, ১০/৩২৩/২) বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি খুবই দুর্বল। এ হান্নাত মাতরূক, যেমনটি “আত-তাকরীব” গ্রন্থে এসেছে।
হাদীসটির প্রথম অংশটুকুকে কাযাঈ (১/৮৮) উমর ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু হাফসাহ আবু হাফস খাতীব হতে, তিনি মুহাম্মাদ ইবনু মু’য়ায ইবনু মুস্তামেলী হতে, তিনি কা’নবী হতে, তিনি মালেক হতে, তিনি নাফে হতে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ উমার ইবনু মুহাম্মাদকে চেনা যায় না। তাকে হাফিয যাহাবী “আলমীযান” গ্রন্থে উল্লেখ করে কাযাঈর সূত্রে এ হাদীসটি বর্ণনা করা ছাড়া তার সম্পর্কে কিছু উল্লেখ করেননি। আর তিনি বলেছেনঃ হাদীসটি এ সনদে বাতিল।
হাফিয ইবনু হাজার “আললিসান” গ্রন্থে তার এ কথাকে সমর্থন করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ মুহাম্মাদ ইবনু মুয়ায ইবনু মুস্তামেলীকে আমি চিনি না। হতে পারে তিনি মুহাম্মাদ ইবনু মুয়ায ইবনু ফাহদ শারানী আবু বাকর নাহাআন্দী হাফেয। তিনি বলতেন যে, তিনি একদল কুদামীর সাথে মিলিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কানবী রয়েছেন। যদি এরূপ হয় তাহলে তিনি দুর্বল যেমনটি হাফিয যাহাবী বলেছেন।
তার একটি শাহেদ রয়েছে যেটিকে মুহাম্মাদ ইবনুল হুসাইন ইবনু হুরাইকা বাযযার বর্ণনা করেছেন হাসান ইবনু মূসা আশইয়াব হতে, তিনি আবূ হিলাল হতে, তিনি কাতাদাহ হতে, তিনি আনাস (রাঃ) হতে মারফূ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এটিকে ইবনু শাযান আযজী “আলফাওয়াইদুল মুন্তাকাত” গ্রন্থে (১/১২৬/২) ও খাতীব “আততারীখ” গ্রন্থে (২/২২৭) বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। আবু হিলালের নাম হচ্ছে মুহাম্মাদ ইবনু সুলাইম রাসেবী। হাফিয বলেনঃ তিনি সত্যবাদী, তার মধ্যে দুর্বলতা রয়েছে।
আর মুহাম্মাদ ইবনুল হুসাইনকে আমি চিনি না। তার জীবনীতে খাতীব হাদীসটিকে উল্লেখ করে সেখানে শুধুমাত্র এ হাদীসটি উল্লেখ করেছেন। তা সত্ত্বেও হাফিয ইরাকী “তাখরীজুল ইহইয়া” গ্রন্থে (১/৪৫) এ সনদটি হাসান আখ্যা দিয়েছেন আর ইবনু মাজার সনদটিকে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন।
আবু হুরাইরাহ (রাঃ)-এর হাদীস হতে এর আরেকটি শাহেদ বর্ণিত হয়েছে। সেটি সম্মুখের হাদীসটি।
সাদাকাহ সম্পর্কিত বাক্যটি কতিপয় শাহেদের দ্বারা শক্তিশালী হয়ে যায়। দেখুন “আততারগীব” (২/২২)। সালাতের বাক্যটি (১৬৬০) নম্বরে আলোচিত হয়েছে। সওমের বাক্যটি জাবের (রাঃ) এবং আয়েশা (রাঃ)-এর হাদীস হতে (সহীহ হিসেবে) সাব্যস্ত হয়েছে। দেখুন “আততারগীব” গ্রন্থ (২/৬০)।
الحسد يأكل الحسنات كما تأكل النار الحطب، والصدقة تطفىء الخطيئة كما تطفىء الماء النار، والصلاة نور المؤمن، والصيام جنة من النار
ضعيف
-
رواه ابن ماجه (4210) وأبو يعلى في مسنده (179 / 2) والمخلص في " الفوائد المنتقاة " (1 / 24 / 1 - 2) وأبو طاهر الأنباري في " المشيخة" (ق 138 / 2) عن محمد بن أبي فديك عن عيسى بن أبي عيسى الحناط عن أبي الزناد عن أنس بن مالك مرفوعا. وكذا رواه أبو القاسم الفضل بن جعفر المؤذن في "نسخة أبي مسهر ... " (63 / 1) وابن أخي ميمي في " الفوائد المنتقاة " (2 /82 / 2) والقضاعي (ق 194 / 2) والخطيب في " الموضح " (1 / 83 - 84) وابن عساكر في " التاريخ " (9 / 90 / 1 و10 / 323 / 2) . قلت: وهذا إسناد ضعيف جدا، الحناط هذا متروك كما في " التقريب ". والشطر الأول منه أخرجه القضاعي (88 / 1) عن عمر بن محمد بن حفصة أبي حفص الخطيب قال: أخبرنا محمد بن معاذ بن المستملي - بحلب - قال: أخبرنا القعنبي عن مالك عن نافع عن ابن عمر
مرفوعا. قلت: وعمر هذا، لا يعرف، ذكره في " الميزان " ولم يذكر فيه شيئا سوى هذا الحديث من طريق القضاعي، وقال: " فهذا بهذا الإسناد باطل " وأقره الحافظ في " اللسان ". قلت: ومحمد بن معاذ بن المستملي، لم أعرفه، ويحتمل أن يكون هو محمد بن معاذ بن فهد الشعراني أبو بكر النهاوندي الحافظ، فقد كان يقول إنه لقي جماعة من القدامة منهم القعنبي، فإن يكن هو، فهو واه كما قال الذهبي. وله شاهد يرويه محمد بن الحسين بن حريقا البزار قال: أنبأنا الحسن بن موسى الأشيب: حدثنا أبو هلال عن قتادة عن أنس مرفوعا به أخرجه ابن شاذان الأزجي في " الفوائد المنتقاة " (1 / 126 / 2) والخطيب في " التاريخ " (2 /
227) . قلت: وهذا إسناد ضعيف، أبو هلال اسمه محمد بن سليم الراسبي، قال الحافظ: " صدوق، فيه لين ". ومحمد بن الحسين هذا لم أعرفه، وفي ترجمته أورده الخطيب، ولم يذكر فيها شيئا سوى هذا الحديث، ومع ذلك فقد حسن العراقي إسناده في " تخريج الإحياء " (1 / 45) ! واقتصر على تضعيف إسناد ابن ماجه! والله أعلم. وله شاهد من حديث أبي هريرة وهو الآتي بعده: وجملة الصدقة لها شواهد تتقوى بها، فانظر " الترغيب " (2 / 22) وجملة الصلاة تقدمت برقم (1660) وجملة الصيام ثابتة أيضا من حديث جابر وعائشة. انظر " الترغيب " (2 / 60)
পরিচ্ছেদঃ
১৯০২। তোমরা হিংসা থেকে তোমাদেরকে বাঁচিয়ে রাখ। কারণ হিংসা সৎকর্মগুলোকে খেয়ে ফেলে যেমন আগুন কাঠকে খেয়ে ফেলে।
হাদীসটি দুর্বল।
এটিকে আব্দু ইবনু হুমায়েদ "আলমুন্তাখাব মিনাল মুসনাদ" গ্রন্থে (১৫৩-১৫৪), বুখারী "আততারীখ" গ্রন্থে (১/১/২৭২), আবূ দাউদ (২/৪৯০৩), ইবনু বিশরান “আলআমলী” গ্রন্থে (২/১৪৩, ১/১৮৩) ও আবু বাকর কালাবাযী “মিফতাহুল মায়ানী” গ্রন্থে (২/৩৭৬) ইবরাহীম ইবনু আবী উসায়েদ হতে, তিনি তার দাদা হতে, তিনি আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে মারফূ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ইমাম বুখারী বলেনঃ হাদীসটি সহীহ নয়।
আমি (আলবানী) বলছিঃ ইবরাহীমের দাদা ছাড়া অন্য বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। তিনি মাজহুল, কারণ তার নাম নেয়া হয়নি।
إياكم والحسد، فإن الحسد يأكل الحسنات كما تأكل النار الحطب
ضعيف
-
رواه عبد بن حميد في " المنتخب من المسند " (153 - 154) والبخاري في " التاريخ " (1 / 1 / 272) وأبو داود (2 / 4903) وابن بشران في " الأمالي " (143 / 2 و183 / 1) وأبو بكر الكلاباذي في " مفتاح المعاني " (376 / 2) عن إبراهيم بن أبي أسيد عن جده عن أبي هريرة مرفوعا. وقال البخاري: " لا يصح ". قلت: ورجاله موثقون غير جد إبراهيم وهو مجهول لأنه لم يسم
পরিচ্ছেদঃ
১৯০৩। যে কোন মুসলিমের ক্ষতি করবে অথবা তার সাথে কোন চক্রান্ত করবে সে অভিশপ্ত।
হাদীসটি দুর্বল।
এটিকে ইবনু আদী (১/২৬৫) আম্বাসাহ ইবনু সাঈদ হতে, তিনি ফারকাদ সাবখী হতে, তিনি মুররাহ আততাইয়্যিব হতে, তিনি আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) হতে মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। আর এটিকে তিরমিযী (১/৩৫২) আবূ সালামাহ কিন্দী সূত্রে ফারকাদ হতে বর্ণনা করে বলেছেনঃ এটি গারীব।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এর সমস্যা হচ্ছে ফারকাদ। কারণ তিনি দুর্বল। নাসাঈ বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্য নন। বুখারী বলেনঃ তার হাদীসের মধ্যে মুনকার রয়েছে। যেমনটি “আলমীযান” গ্রন্থে এসেছে এবং তিনি (যাহাবী) তার মুনকারগুলোর মধ্যে এটিকে উল্লেখ করেছেন।
মানবী আবু সালামার দ্বারাও হাদীসটির সমস্যা বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ ইবনু মাঈন বলেনঃ তিনি কিছুই না। আর বুখারী বলেনঃ তাকে তারা (মুহাদ্দিসগণ) ত্যাগ করেছেন।
তার মুতাবা’য়াত করেছেন আম্বাসাহ যেমনটি দেখছেন। কিন্তু তিনি দুর্বল যেমনটি যাহাবী বলেছেন। ফারকাদ হতে হুম্মামও কিন্দীর মুতাবা’য়াত করেছেন।
এটিকে আবু নুয়াইম “আলহিলইয়্যাহ” গ্রন্থে (৩/৪৩) আব্দুল আযীয ইবনু আবান সূত্রে তার থেকে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এ ইবনু আবান মাতরূক। তাকে ইবনু মাঈন প্রমুখ মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন। যেমনটি হাফিয ইবনু হাজার “আত-তাকরীব” গ্রন্থে বলেছেন।
অন্য ব্যক্তিও তার মুতাবা’য়াত করেছেন। এটিকে ইবনু আবী হাতেম "আলইলাল" গ্রন্থে (২/২৮৭) তার সনদে হাইসাম ইবনু জামীল হতে, তিনি উসমান ইবনু অকেদ হতে, তিনি ফারকাদ সাবখী হতে বর্ণনা করেছেন।
ইবনু আবী হাতেম বলেনঃ আমি আমার পিতাকে বলতে শুনেছি, যিনি বলেছেনঃ উসমান ইবনু অকেদ ভুল করেছেন। কারণ তিনি হচ্ছেন উসমান ইবনু মিকসাম বুররী। আর হাইসাম ইবনু জামীলের উসমান ইবনু অকেদের সাথে সাক্ষাৎ ঘটেনি। আর উসমান ইবনু অকেদ ফারকাদ হতে শ্রবণ করেননি। তিনি বলেনঃ আর উসমান ইবনু মিকসাম বুররী হাদীসের ক্ষেত্রে দুর্বল।
ملعون من ضار مسلما أوماكره
ضعيف
-
رواه ابن عدي (265 / 1) عن عنبسة بن سعيد: حدثنا فرقد السبخي عن مرة الطيب عن أبي بكر الصديق مرفوعا
ورواه الترمذي (1 / 352 - بولاق) من طريق أبي سلمة الكندي: حدثنا فرقد به، وقال: " حديث غريب ". قلت: وعلته فرقد هذا ضعيف، قال النسائي: " ليس بثقة ". وقال البخاري: في " حديثه مناكير " كما في الميزان، وساق له من مناكيره هذا. وأعله المناوي بأبي سلمة
الكندي أيضا، قال: قال ابن معين: " ليس بشيء ". وقال البخاري: " تركوه ". وقد تابعه عنبسة كما ترى وهو واه كما قال الذهبي. وتابعه همام أيضا عن فرقد به. أخرجه أبو نعيم في " الحلية " (3 / 49) من طريق عبد العزيز بن أبان عنه. لكن ابن أبان هذا متروك، وكذبه ابن معين وغيره، كما قال الحافظ في " التقريب ". وتابعه غيره أيضا، فقد ساقه ابن أبي حاتم في " العلل " (2 / 287) بإسناده عن الهيثم بن جميل عن عثمان بن واقد عن فرقد السبخي به، وقال: " فسمعت أبي يقول: أخطأ من قال في هذا الحديث: " عثمان بن واقد "، إنما هو
عثمان بن مقسم البري، والهيثم بن جميل لم يلق عثمان بن واقد، وعثمان بن واقد لم يسمع من فرقد. قال: وعثمان بن مقسم البري ضعيف الحديث
পরিচ্ছেদঃ
১৯০৪। আল্লাহ্ তা’আলা ফেরেশতাদের মধ্য থেকে এক ফেরেশতার নিকট অহী করেন যে, অমুক অমুক শহরকে তুমি তার অধিবাসীদের উপরে উল্টিয়ে দাও। তিনি (রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন তখন সে বললঃ হে আমার প্রতিপালক! সেখানে তো এক বান্দা রয়েছে যে এক পলকের জন্যও তোমার নাফারমানী করেনি। তখন আল্লাহ্ বললেনঃ তুমি শহরটিকে তার এবং তাদের উপর উল্টিয়ে দাও। কারণ তার চেহারা আমার জন্য এক মুহুর্তের জন্যও পরিবর্তিত হয়নি।
হাদীসটি খুবই দুর্বল।
এটিকে ইবনুল আ’রাবী তার “মুজাম” গ্রন্থে (১/১৯৯) ওবায়েদ ইবনু ইসহাক আত্তার হতে, তিনি আম্মার ইবনু সাইফ (তিনি সত্যবাদী শাইখ ছিলেন) হতে, তিনি আমাশ হতে, তিনি আবূ সুফইয়ান হতে, তিনি জাবের ইবনু আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি খুবই দুর্বল। আম্মার ইবনু সাইফকে হাফিয যাহাবী "আয যুয়াফা" গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেনঃ দারাকুতনী প্রমুখ বলেনঃ তিনি মাতরূক।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদে তিনি সত্যবাদী শাইখ ছিলেন এ কথা উল্লেখিত হয়নি। এর কোনই মূল্য নেই। বাহ্যিক অবস্থা হতে বুঝা যায় যে, এটি তার থেকে বর্ণনাকারী ওবায়েদ ইবনু ইসহাক আত্তারের কথা। হাফিয যাহাবীও “আযযুয়াফা” গ্রন্থে বলেছেনঃ তাকে মুহাদ্দিসগণ দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন।
أوحى الله إلى ملك من الملائكة أن اقلب مدينة كذا وكذا على أهلها، قال: فقال: يا رب إن فيها عبدا لم يعصك طرفة عين، قال: اقلبها عليه وعليهم، فإن وجهه لم يتمعر في ساعة قط
ضعيف جدا
-
رواه ابن الأعرابي في " معجمه " (199 / 1) عن عبيد بن إسحاق العطار: أخبرنا عمار بن سيف - وكان شيخ صدق - عن الأعمش عن أبي سفيان عن جابر بن عبد الله مرفوعا. قلت: وهذا إسناد ضعيف جدا، عمار بن سيف أورده الذهبي في " الضعفاء "، وقال: " قال الدارقطني وغيره: متروك ". قلت: وما وقع في هذا الإسناد أنه شيخ صدق، فمما لا قيمة له، لأن الظاهر أنه من قول الراوي عنه عبيد بن إسحاق العطار، قال الذهبي أيضا في " الضعفاء ضعفوه
পরিচ্ছেদঃ
১৯০৫। চোগলখোরী জাদুর (ধোঁকার) নিকটবর্তী হয়েছিল। আর দরিদ্রতা কুফরীর নিকটবর্তী হয়েছিল।
হাদীসটি বানোয়াট।
এটিকে আফীফ ইবনু মুহাম্মাদ খাতীব “আলমানযুম অলমানসূর” গ্রন্থে (২/১৮৮) মুহাম্মাদ ইবনু ইউনুস কুরাশী হতে, তিনি মুয়াল্লা ইবনুল ফাযল আযদী হতে, তিনি সুফইয়ান ইবনু সাঈদ হতে, তিনি আমাশ হতে, তিনি ইয়াযীদ রুকাশী হতে, তিনি আনাস (রাঃ) হতে মারফূ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি বানোয়াট। এর সমস্যা হচ্ছে মুহাম্মাম ইবনু ইউনুস। তিনি হচ্ছেন কাদাইমী। তিনি জালকারী।
আর মুয়াল্লা ইবনুল ফাল আযদী এবং ইয়ায়ীদ রুকাশী এর উভয়েই দুর্বল।
এ সূত্রেই হাদীসটিকে ইবনু লাল আনাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন যেমনটি “আলফায়েয” গ্রন্থে এসেছে।
তার থেকে হাদীসটির দ্বিতীয় অংশের অন্যান্য দুর্বল সূত্র রয়েছে। যার আলোচনা (৪০৮০) আসবে।
كادت النميمة أن تكون سحرا، وكاد الفقر أن يكون كفرا
موضوع
-
رواه عفيف بن محمد الخطيب في " المنظوم والمنثور " (188 / 2) عن محمد بن يونس القرشي: حدثنا المعلى بن الفضل الأزدي حدثنا سفيان بن سعيد حدثنا الأعمش عن يزيد الرقاشي عن أنس مرفوعا. قلت: وهذا إسناد موضوع، آفته محمد بن يونس، وهو الكديمي، وهو وضاع. والمعلى بن الفضل الأزدي ويزيد الرقاشي ضعيفان. ومن هذا الوجه أخرجه ابن لال عن أنس، كما في " فيض القدير". والشطر الثاني منه له طرق أخرى واهية سيأتي تخريجها برقم (4080)
পরিচ্ছেদঃ
১৯০৬। আল্লাহর কাছে কল্যাণ প্রার্থনা (ইস্তিখারা) করা আদম সন্তানের জন্য সৌভাগ্যের বিষয়। আর আল্লাহর ফয়সালায় সম্ভষ্ট থাকা আদম সন্তানের জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার। আল্লাহর নিকট কল্যাণ প্রার্থনাকে ছেড়ে দেয়া দুর্ভাগ্যের ব্যাপার এবং আল্লাহর ফয়সালায় অসম্ভষ্ট হওয়া আদম সস্তানের জন্য দুর্ভাগ্যের ব্যাপার।
হাদীসটি দুর্বল।
এটিকে আহমাদ (১৪৪৪), তিরমিযী (৩/২০৩), হাকিম (১/৫১৮), ইবনু আসাকির (১৬/২৩২/১) মুহাম্মাদ ইবনু আবী হুমায়েদ সূত্রে ইসমাঈল ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু সা’দ ইবনু আবী অক্কাস হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা সা’দ ইবনু আবী অক্কাস (রাঃ) হতে মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
হাকিম বলেনঃ সনদটি সহীহ। আর হাফিয যাহাবী তার সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন।
তারা দু’জন সন্দেহমূলক কথা বলেছেন। যার সাক্ষ্য দিচ্ছে যাহাবীর নিজের কথা, তিনি মুহাম্মাদ ইবনু আবী হুমায়েদের জীবনীতে বলেছেনঃ তাকে মুহাদ্দিসগণ দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। অতঃপর তিনি তার এ হাদীসটি উল্লেখ করেছেন। তাকে ইমাম তিরমিযী দুর্বল আখ্যা দিয়ে হাদীসটির শেষে বলেছেনঃ এ হাদীসটি গারীব, এটিকে একমাত্র মুহাম্মাদ ইবনু আবী হুমায়েদের হাদীস হতেই আমরা চিনি। তাকে হাম্মাদ ইবনু আবী হুমায়েদও বলা হয়। তিনি ইবরাহীম মাদীনী। আহলেহাদীসগণের নিকট তিনি শক্তিশালী নন।
আর হাফিয ইবনু হাজার “আত-তাকরীব” গ্রন্থে বলেনঃ তিনি দুর্বল।
এ থেকেই জানা যায় তিনি যে “আলফাতহ” গ্রন্থে (১১/১৫৩) বলেছেনঃ হাদীসটিকে ইমাম আহমাদ বর্ণনা করেছেন আর এর সনদটি হাসান। তার এ কথা ভালো নয়। বরং তিনি (ইবনু আবী হুমায়েদ) দুর্বল যেমনটি জেনেছেন।
মুনযেরী “আততাকরীব” গ্রন্থে (১/২৪৪) দুর্বল হওয়ার দিকেই ইঙ্গিত করেছেন। কারণ তিনি হাকিম কর্তৃক সহীহ আখ্যাদানের সমালোচনা করেছেন। তবে তার এ কথা বিতর্কের উর্দ্ধেও নয়। কারণ তিনি ইবনু আবী হুমায়েদের অন্য একটি হাদীসের দ্বারা এ সনদকে স্পষ্টভাবে সহীহ আখ্যা দিয়েছেনঃ আদম সন্তানের সৌভাগ্য হচ্ছে তিনটি বস্তুতে আর দুর্ভাগ্য হচ্ছে তিনটি বস্তুতেঃ সৎ নারীতে, ভাল বাড়ি এবং ভাল বাহনে রয়েছে আদম সন্তানের সৌভাগ্য। আর অসৎ নারী, মন্দ বাড়ি এবং মন্দ বাহনে রয়েছে আদম সন্তানের দুর্ভাগ্য।
এটিকে আহমাদ (১৪৪৫) ও হাকিম (২/১৪৪) পূর্বের হাদীসের সনদে বর্ণনা করেছেন আর এটিকেও হাকিম ও যাহাবী সহীহ আখ্যা দিয়েছেন।
এটি হচ্ছে তাদের দু’জনের সন্দেহমূলক কথা যেমনটি পূর্বে আলোচনা করা হয়েছে। মুনযেরী ও হাইসামীও এ হাদীসের ব্যাপারে সন্দেহে পড়েছেন।
হ্যাঁ, হাদীসটির অন্য একটি সূত্র রয়েছে যেটি এর চেয়ে বেশী ভাল। সেটির ভাষা হচ্ছেঃ “চারটি বস্তুতে সৌভাগ্য রয়েছে: সৎ নারী, প্রশস্ত বাসস্থান, সৎ প্রতিবেশী ও আরামদায়ক বাহন। আর দুর্ভাগ্য রয়েছে চারটি বস্তুতেঃ মন্দ প্রতিবেশী, মন্দ নারী, মন্দ বাহন ও সংকীর্ণ বাসস্থান। এ হাদীসটি সহীহ। দেখুন "সিলসিলাহ সহীহাহ" (২৮২)।
من سعادة ابن آدم استخارته الله ومن سعادة ابن آدم رضاه بما قضى الله، ومن شقوة ابن آدم تركه استخارة الله ومن شقوة ابن آدم سخطه بما قضى الله عز وجل
ضعيف
-
أخرجه أحمد (1444) والترمذي (3 / 203) والحاكم (1 / 518) وابن عساكر (16 / 232 / 1) من طريق محمد بن أبي حميد عن إسماعيل بن محمد بن سعد بن أبي وقاص عن أبيه عن جده سعد بن أبي وقاص مرفوعا. وقال الحاكم: " صحيح الإسناد ". ووافقه الذهبي، فوهما بشهادة الذهبي نفسه حيث قال في ترجمة محمد بن أبي حميد هذا: " ضعفوه ". ثم ساق له هذا الحديث. وممن ضعفه الترمذي، فقال عقب الحديث: " هذا حديث غريب لا نعرفه إلا من حديث محمد بن أبي حميد، ويقال له أيضا: حماد بن أبي حميد، وهو إبراهيم المديني، فليس هو بالقوي عند أهل الحديث ". وقال الحافظ ابن حجر في " التقريب ": " إنه ضعيف
ومنه تعلم أن قوله في " الفتح " (11 / 153) : " أخرجه أحمد وسنده حسن "، غير حسن، بل هو ضعيف كما علمت. وقد أشار لهذا المنذري في " الترغيب " (1 / 244) حيث عقب تصحيح الحاكم بقوله: " كذا قال "، ولكنه لم يسلم من التناقض أيضا حيث صرح بتصحيح هذا السند بحديث آخر لابن أبي حميد، وهو: (من سعادة ابن آدم ثلاث، ومن شقوة ابن آدم ثلاث: من سعادة ابن آدم المرأة الصالحة والمسكن الصالح والمركب الصالح، ومن شقوة ابن آدم المرأة السوء والمسكن السوء والمركب السوء) . أخرجه أحمد (رقم 1445) والحاكم (2 / 144) بإسناد الحديث الذي قبله، وصححه الحاكم أيضا، وكذا الذهبي. وهو من أوهامهما كما سبق بيانة. وكذلك وهم فيه المنذري والهيثمي، أما الأول فقال (3 / 68) : " رواه أحمد بإسناد صحيح، والطبراني والبزار والحاكم وصححه ... وابن حبان في صحيحه "، وهو نفسه قد انتقد الحاكم في تصحيحه إسناد الحديث الذي قبله، والسند هو هو! وأما الهيثمي فقال (2 / 272) : " رواه أحمد والبزار والطبراني في " الكبير " و" الأوسط " ورجال أحمد رجال الصحيح "! وابن أبي حميد ليس من رجال الصحيح مطلقا. نعم لحديثه الآخر طريق أخرى هي خير من هذه، ولكنه بلفظ: " أربع من السعادة ... "، فانظر " الصحيحة " (282)
পরিচ্ছেদঃ
১৯০৭। যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের নিকট (ক্রটির জন্য) ওযর পেশ করল কিন্তু সে তা কবুল করল না তা তার জন্য (যুলুম করে) ওশর আদায়কারীর গুনাহের ন্যায়।
হাদীসটি দুর্বল।
এটিকে ইবনু মাজাহ (২/৪০১), আবু হাতিম ও ইবনু হিব্বান “রাওযাতুল ওকালা” গ্রন্থে (১৫৯-১৬০) অকী হতে, তিনি সাওরী হতে, তিনি ইবনু জুরায়েজ হতে, তিনি আব্বাস ইবনু আব্দুর রহমান ইবনু মীনা হতে, তিনি জুদান হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আবূ হাতিম বলেনঃ আমি আশঙ্কা করছি যে, ইবনু জুরায়েয এটিকে তাদলীস করেছেন। তিনি যদি আব্বাস ইবনু আব্দুর রহমান হতে শুনে থাকেন তাহলে হাদীসটি হাসান।
আমি (আলবানী) বলছিঃ কখনও নয়। কারণ এর সনদে অন্যান্য সমস্যা রয়েছে যেমনটি তা দেখবেন। মুনযেরী (৩/২৯৩) বলেনঃ এটিকে আবু দাউদ "আলমারাসীল" গ্রন্থে ও ইবনু মাজাহ দু’টি ভালো সনদে বর্ণনা করেছেন।
এরূপ কথা ভাল নয় ইবনু জুরায়েয কর্তৃক তাদলীস সংঘটিত হওয়ার কারণে। তার কথা সন্দেহ সৃষ্টি করে যে হাদীসটির জাওদান হতে দুটি সূত্র এবং দু’টি সনদ রয়েছে, অথচ বিষয়টি আসলে তা নয়। এ ছাড়াও আব্বাস ইবনু আব্দুর রহমান ইবনু মীনা প্রসিদ্ধ নন। আর ইবনু হিব্বান ছাড়া তাকে কেউ নির্ভরযোগ্য আখ্যা দেননি। এ কারণে হাফিয ইবনু হাজার “আত-তাকরীব” গ্রন্থে বলেন তিনি মকবুল।
আর জাওদানের রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সাক্ষাৎ ঘটেনি। আবু হাতিম বলেনঃ জাওদান মাজহুল। তার সাক্ষাৎ ঘটেনি।
আর “আত-তাকরীব” গ্রন্থে এসেছেঃ তার সাক্ষাৎ ঘটার বিষয়টি বিতর্কিত। ইবনু হিব্বান তাকে নির্ভরযোগ্য তাবেঈগণের মধ্যে উল্লেখ করেছেন।
জাবের (রাঃ)-এর হাদীস হতে তার একটি শাহেদ এসেছে, সেটিকে ত্ববারানী “আলআওসাত” গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। এর সনদে ইবরাহীম ইবনু আ’উন রয়েছেন। তিনি দুর্বল যেমনটি "আলমাজমা" গ্রন্থে (৮/৮১) এসেছে।
তার থেকে হাদীসটির আরেকটি সূত্র রয়েছে কিন্তু এর মধ্যে মিথ্যা বর্ণনা করার দোষে দোষী বর্ণনাকারী রয়েছে। সেটির আলোচনা (২০৩৯) হাদীসে আসবে।
এটিকে ইবনু আবী হাতিম “আলইলাল” গ্রন্থে (২/৩১৫-৩১৬) মওকুফ হিসেবে লাইসের কাতেব আবূ সালেহ হতে, তিনি লাইস হতে, তিনি সেই ব্যক্তি হতে যিনি তার নিকট বর্ণনা করেছেন, তিনি আবু যুবায়ের হতে, তিনি জাবের (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।
মুনযেরী বলেনঃ একদল সাহাবী হতে হাদীসটি বর্ণনা করা হয়েছে। আর জাওদানের হাদীসটি বেশী শুদ্ধ। অথচ জাওদানের সাক্ষাতের ব্যাপারে মতভেদ করা হয়েছে। তাকে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে মিলিত হওয়ার ব্যাপারে সম্পূক্ত করা হয়নি।
من اعتذر إلى أخيه بمعذرة فلم يقبلها، كان عليه مثل خطيئة صاحب مكس
ضعيف
-
أخرجه ابن ماجه (2 / 401) وأبو حاتم ابن حبان في " روضة العقلاء" (159 - 160) عن وكيع عن الثوري عن ابن جريج عن العباس بن عبد الرحمن بن مينا عن جودان مرفوعا به. وقال أبو حاتم: " أنا خائف أن يكون ابن جريج رحمه الله دلس هذا الخبر، فإن (كان) سمعه من العباس بن عبد الرحمن، فهو حديث حسن ". قلت: كلا، فإن فيه عللا أخرى كما سترى: وقال المنذري (3 / 293) : " رواه أبو داود في " المراسيل "، وابن ماجه بإسنادين جيدين كذا قال، وليس بجيد، لتدليس ابن جريج، وكلامه يوهم أن له طريقين وإسنادين عن
جودان وليس كذلك، ثم إن العباس بن عبد الرحمن بن مينا ليس بالمشهور، ولم يوثقه غير ابن حبان، ولذلك قال الحافظ في " التقريب ": " مقبول ". وجودان لم تثبت له صحبة، وقال أبو حاتم: " جودان مجهول، وليست له صحبة ". وفي " التقريب ": " مختلف في صحبته، وذكره ابن حبان في ثقات التابعين ". وله شاهد من حديث جابر أخرجه الطبراني في " الأوسط "، وفيه إبراهيم بن أعين، وهو ضعيف كما في " المجمع " (8 / 81) . وله طريق أخرى عنه فيه متهم، وسيأتي ذكره نحوه برقم (2039) . وقد أورده ابن أبي حاتم في " العلل " (2 / 315 - 316) موقوفا عليه من طريق أبي صالح كاتب الليث عن الليث عمن حدثه عن أبي
الزبير عن جابر. ثم قال المنذري: " روى عن جماعة من الصحابة، وحديث جودان أصح، وجودان مختلف في صحبته ولم ينسب
পরিচ্ছেদঃ
১৯০৮। তোমরা আল্লাহর নিকট তোমাদের প্রয়োজনগুলো দৃঢ়তার সাথে সকালের সালাতে চাও।
হাদীসটি দুর্বল।
এটিকে রুবিয়্যানী তার "মুসনাদ" গ্রন্থে (২৫/১৪২/২) ইবনু ইসহাক (অর্থাৎ মুহাম্মাদ) হতে, তিনি মুহাম্মাদ ইবনু বুকায়ের হতে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু ওয়াহাব হতে, তিনি সাঈদ ইবনু আবী আইউব হতে, তিনি খালেদ ইবনু ইয়াযীদ হতে, তিনি আবু রাফে হতে মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। খালেদ ইবনু ইয়াযীদ ছাড়া বাকী সব বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য সহীহ বর্ণনাকারী। তাকে (খালেদকে) আমি চিনি না। হতে পারে "আলজারহ" গ্রন্থে (১/২/৩৫৬) যাকে উল্লেখ করা হয়েছে তিনিই সেঃ খালেদ ইবনু ইয়াযীদ ইবনু মাওহেব আবু আব্দুর রহমান, তিনি আবু উমামাহ (রাঃ) ও মুয়াবিয়্যাহ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। আর তার থেকে মুয়াবিয়্যাহ ইবনু সালেহ বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি যদি ইনিই হন, তাহলে তিনি মাজহুল।
হাদীসটিকে সুয়ুতী “আলজামে” গ্রন্থে আবূ ইয়ালার বর্ণনা হতে উল্লেখ করেছেন। মানবী এর সনদের ব্যাপারে কোন কিছুই বলেননি। তিনি দাইলামীরও উদ্ধৃতি দিয়েছেন।
سلوا الله حوائجكم البتة في صلاة الصبح
ضعيف
-
رواه الروياني في " مسنده " (25 / 142 / 2) : أخبرنا ابن إسحاق (يعني محمدا) : أخبرنا محمد بن بكير أخبرنا عبد الله بن وهب عن سعيد بن أبي أيوب عن خالد بن يزيد عن أبي رافع مرفوعا. قلت: وهذا إسناد ضعيف، رجاله كلهم ثقات رجال الصحيح، غير خالد بن يزيد ولم أعرفه ويحتمل أنه الذي في " الجرح " (1 / 2 / 356) : " خالد بن يزيد بن موهب أبو عبد الرحمن، روى عن أبي أمامة ومعاوية، روى عنه معاوية بن صالح ". قلت: فإن يكن هو، فهو مجهول. والحديث أورده السيوطي في " الجامع " من رواية أبي يعلى، وبيض له المناوي فلم يتكلم على إسناده بشيء، وعزاه للديلمي أيضا، وليس هو في الغرائب الملتقطة لابن حجر
পরিচ্ছেদঃ
১৯০৯। তিনটি মাজলিস ছাড়া (অন্যান্য) মাজলিসগুলো আমানাতেরঃ একটি মাজলিস হচ্ছে সেটি যার মধ্যে হারাম রক্ত প্রবাহিত করা হয়, আরেকটি মাজলিস হচ্ছে সেটি যার মধ্যে হারাম গুপ্তাঙ্গকে বৈধ করা হয় আর আরেকটি মাজলিস হচ্ছে সেটি যার মধ্যে না-হক পন্থায় সম্পদকে হালাল বানানো হয়।
হাদীসটি দুর্বল।
হাদীসটিকে আবু দাউদ (২/২৯৭), আহমাদ (৩/৩৪২-৩৪৩) ও আবু জা’ফার তূসী “আলআমলী” গ্রন্থে (৩৩) আব্দুল্লাহ ইবনু নাফে হতে, তিনি ইবনু আবী যিইব হতে, তিনি ইবনু আখী জাবের ইবনু আবদুল্লাহ হতে, তিনি জাবের ইবনু আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ইবনু আখী জাবের ছাড়া সকল বর্ণনাকারী নির্ভরযোগ্য, ইমাম মুসলিমের বর্ণনাকারী। তাকে “আততাহযীব”, “আলখুলাসাহ”, “আত-তাকরীব” এবং “আলমীযান” গ্রন্থে ইবনু আখী ফুলান অধ্যায়ে উল্লেখ করা হয়নি।
হাদীসটি সম্পর্কে ইরাকী “আততাখরীজ” গ্রন্থে (২/১৫৭) বলেনঃ এটিকে আবু দাউদ জাবের (রাঃ)-এর হাদীস হতে, জাবেরের ভাইয়ের নাম না নেয়া ছেলের বর্ণনায় বর্ণনা করেছেন।
হাদীসটির সনদ দুর্বল জাবেরের ভাইয়ের ছেলে মাজহুল (অপরিচিত) হওয়ার কারণে। এ কারণে সুয়ুতী কর্তৃক হাসান চিহ্ন ব্যবহার করা ঠিক হয়নি। যদিও মানবী “আততাইসীর” গ্রন্থে তার সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন।
হাদীসটির প্রথম বাক্যটি আলী (রাঃ)-এর হাদীস হতে বর্ণনা করা হয়েছে।
এটিকে ওকাইলী “আযযুয়াফা” গ্রন্থে (৯০), কাযাঈ “মুসনাদুশ শিহাব” গ্রন্থে (২/১) ও খাতীব (১১/১৬৯) হুসাইন ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু যুমাইরাহ সূত্রে তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে, তিনি আলী (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এ সনদটি খুবই দুর্বল বরং বানোয়াট। এ হুসাইনকে মালেক মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন। আবু হাতিম বলেনঃ তিনি মাতরূকুল হাদীস, বড়ই মিথ্যুক। ইমাম আহমাদ বলেনঃ তিনি কোন কিছুরই সমতুল্য নন। ইবনু মাঈন বলেনঃ তিনি নিৰ্ভযোগ্য নন এবং আমানাতদারও নন। ইমাম বুখারী বলেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীস, দুর্বল। আবু যুর’য়াহ বলেনঃ তিনি কিছুই না, তার হাদীসকে প্রহার কর। এরূপই “আলমীযান” গ্রন্থে এসেছে।
আর তার পিতা আব্দুল্লাহ ইবনু যুমাইরাহ ও তার দাদা, উভয়ের জীবনী আমি পাচ্ছি না। তবে এ প্রথম বাক্যের একটি মুরসাল শাহেদ অন্য হাদীসের মধ্যে পাওয়া যায়। সেটি সম্পর্কে (৩২২৪) নম্বরে আলোচনা আসবে। এ কারণে আমি এটিকে “সহীহ জামেউস সাগীর” গ্রন্থে (৬৫৫৪) হাসান আখ্যা দিয়েছিলাম। কিন্তু হাদীসটি অন্য একটি সনদে বর্ণিত হয়েছে। যার মধ্যে বর্ধিত অংশ রয়েছেঃ
মাজলিসগুলোর পরিচয় হচ্ছে আমানাতের দ্বারা। আর কোন মু’মিন কর্তৃক অন্য মুমিনের বিপক্ষে প্রতিশোধ গ্রহণ করা অবৈধ। অথবা তিনি বলেনঃ তার মু’মিন ভাই হতে মন্দ পন্থায় প্রতিশোধ গ্রহণ করা অবৈধ।
এটিকে খাতীব বাগদাদী (১৪/২৩) মুসাইদাহ ইবনু সাদাকাহ আবাদী সূত্রে আবু আব্দুল্লাহ জা’ফার ইবনু মুহাম্মাদ হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা আলী (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এ সনদটি খুবই দুর্বল। মুসাইদাহ ইবনু সাদাকাহ সম্পর্কে দারাকুতনী বলেনঃ তিনি মাতরূক যেমনটি “আলমীযান” গ্রন্থে এসেছে। তিনি তার একটি হাদীস নিম্নের ভাষায়ঃ
(إذا كتبتم الحديث ...) "তোমরা যখন হাদীস লিখবে..." উল্লেখ করে বলেছেনঃ এটি বানোয়াট। এটি সম্পর্কে (১১৭৩) নম্বর হাদীসের মধ্যে আলোচনা করা হয়েছে।
المجلس بالأمانة إلا ثلاثة مجالس، مجلس يسفك فيه دم حرام، ومجلس يستحل فيه فرج حرام، ومجلس يستحل فيه مال من غير حق
ضعيف
-
أخرجه أبو داود (2 / 297) وأحمد (3 / 342 - 343) وأبو جعفر الطوسي في " الأمالي " (33) واللفظ لأحمد، وهو أتم، كلاهما عن عبد الله بن نافع عن ابن أبي ذئب عن ابن أخي جابر بن عبد الله عن جابر بن عبد الله مرفوعا. ورجاله ثقات رجال مسلم، غير ابن أخي جابر فقد أغفلوه ولم يوردوه لا في " التهذيب " ولا في " الخلاصة " ولا في " التقريب " ولا في " الميزان " في فصل: " فيمن قيل ابن أخي فلان ". والحديث قال العراقي في " التخريج " (2 / 157) : " رواه أبو داود من حديث جابر، من رواية ابن أخيه غير مسمى عنه
فالحديث ضعيف الإسناد لجهالة ابن أخي جابر. ومنه تعلم أن رمز السيوطي لحسنه ليس بحسن، وإن وافقه المناوي في " التيسير "! وقد رويت الجملة الأولى منه من حديث علي رضي الله عنه. أخرجه العقيلي في " الضعفاء " (90) والقضاعي في " مسند الشهاب " (2 / 1) والخطيب (11 / 169) من طريق حسين بن عبد الله بن ضميرة عن أبيه عن جده عن علي مرفوعا. وهذا إسناد ضعيف جدا بل موضوع. حسين هذا كذبه مالك. وقال أبو حاتم: " متروك الحديث كذاب ". وقال أحمد: " لا يساوي شيئا وقال ابن معين: " ليس بثقة ولا مأمون ". وقال البخاري: " منكر الحديث، ضعيف ". وقال أبو زرعة: " ليس بشيء، اضرب على حديثه ". كذا في " الميزان "، ووالده عبد الله بن ضميرة، وجده لم أجد من ترجمهما. لكن
لها شاهد في حديث آخر سيأتي برقم (3224) ولذلك كنت حسنته في: " صحيح الجامع
" (6554) . لكن الحديث قد جاء بإسناد آخر، وفيه زيادة وهو: " المجالس بالآمانة، ولا يحل لمؤمن أن يؤثر على مؤمن - أوقال: عن أخيه المؤمن - قبيحا". أخرجه الخطيب (14 / 23) من طريق مسعدة بن صدقة العبدي قال: سمعت أبا عبد الله جعفر بن محمد يحدث عن أبيه عن جده عن أبيه عن جده علي مرفوعا به. وهذا سند ضعيف جدا، مسعدة بن صدقة قال الدارقطني: متروك كما في " الميزان "، وساق له حديثا بلفظ: " إذا كتبتم الحديث ... وقال: " حديث موضوع ". وقد مضى ذكره تحت الحديث (1173) : " من حدث حديثا كما سمع
পরিচ্ছেদঃ
১৯১০। (জীবন ধারণ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে) তদবীর করার মত কোন বুদ্ধিমত্তা নেই, (হারাম থেকে) বিরত থাকার মত পরহেযগারিতা নেই আর (সৃষ্টির সাথে) উত্তম আচরণের মত মর্যাদাকর কিছুই নেই।
হাদীসটি দুর্বল।
আবু যার (রাঃ), আনাস ইবনু মালেক (রাঃ), উকবাহ ইবনু মালেক (রাঃ) ও আলী ইবনু আবী তালেব (রাঃ) হতে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।
১। আবু যার (রাঃ)-এর হাদীসটির দু’টি সূত্র রয়েছেঃ
প্রথমঃ মাযী ইবনু মুহাম্মাদ হতে, তিনি আলী ইবনু সুলাইমান হতে, তিনি কাসেম ইবনু মুহাম্মাদ হতে, তিনি আবু ইদরীস খাওলানী হতে, তিনি আবু যার(রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ...।
এটিকে ইবনু মাজাহ (২/৫৫৪) বর্ণনা করেছেন। বুসয়রী “আযযাওয়াইদ” গ্রন্থে (১/২৬০) বলেনঃ এ সনদটি দুর্বল, বর্ণনাকারী মাযী ইবনু মুহাম্মাদ কাফেকী মিসরীর দুর্বল হওয়ার কারণে। এটিকে ইমাম আহমাদ তার “মুসনাদ’ গ্রন্থেও আবু যার (রাঃ)-এর হাদীস হতে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ আমি এটিকে “আলমুসনাদ’ গ্রন্থে দেখছি না। আর সুয়ুতী “আলজামে” গ্রন্থে তার উদ্ধৃতিও দেননি। আর বর্ণনাকারী আলী ইবনু সুলাইমান শামী মাজহুল (অপরিচিত) যেমনটি “আত-তাকরীব” গ্রন্থে এসেছে।
দ্বিতীয়ঃ ইবরাহীম ইবনু হিশাম ইবনু ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া গাসসানী হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে, তিনি আবূ ইদরীস খাওলানী হতে, তিনি আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।
এটিকে ইবনু হিব্বান তার “সহীহ” গ্রন্থে (৯৪), আবু নুয়াইম “আলহিলইয়্যাহ” গ্রন্থে (১/১৬৬-১৬৮) বর্ণনা করেছেন। হাইসামী "আলমাওয়ারিদ" গ্রন্থে বলেনঃ ইবরাহীম ইবনু হিশাম ইবনু ইয়াহইয়া গাসসানী সম্পর্কে আবু হাতিম প্রমুখ বলেনঃ তিনি বড়ই মিথ্যুক।
তবে ইসমাঈল ইবনু আবূ যিয়াদ তার মুতাবায়াত করেছেন আবূ সুলাইমান ফিলিস্তীনী হতে, তিনি কাসেম ইবনু মুহাম্মাদ হতে, তিনি আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। এটিকে খারাইতী “মাকারিমুল আখলাক” গ্রন্থে (পৃঃ ৮) বর্ণনা করেছেন। এ ইসমাঈল হচ্ছে মাতরূক, তাকে তারা (মুহাদ্দিসগণ) মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন।
আর আবূ সুলাইমান ফিলিস্তীনী হচ্ছেন মাজহুল। আমার ধারণা তিনিই হচ্ছেন আলী ইবনু সুলাইমান যাকে প্রথম সূত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
২। আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসঃ এটিকে আবু হাজেব যরীর বর্ণনা করেছেন মালেক ইবনু আনাস হতে, তিনি যায়েদ ইবনু আসলাম হতে, তিনি আনাস (রাঃ) হতে মারফু’ হিসেবে।
এটিকে আবুল হুসাইন আবলুসী “আলফাওয়াইদ” গ্রন্থে (২/১৯), আবূ নুয়াইম "আলহিলইয়াহ" গ্রন্থে (৬/৩৪৩) ও দামেগানী “আলআহাদীস অল আখবার” গ্রন্থে (১/১০৮-১০৯) বর্ণনা করে বলেছেনঃ এ আবু হাজেব হচ্ছেনঃ সাখর ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু হাজেবী।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি বড়ই মিথ্যুক যেমনটি ইবনু তাহের বলেছেন। হাকিম বলেনঃ তিনি মালেক প্রমুখ নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী হতে কতিপয় বানোয়াট হাদীস বর্ণনা করেছেন। দারাকুতনী বলেনঃ তিনি মালেক ও তার ন্যায় নির্ভরযোগ্যদের উদ্ধৃতিতে হাদীস জালকারী। ইবনু আদী বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্যদের উদ্ধৃতিতে বাতিল হাদীস বর্ণনাকারী। এ হাদীসটি সেগুলোর একটি। আবু নুয়াইম উল্লেখ করেছেন যে, তিনি মালেক হতে এককভাবে বর্ণনা করেছেন।
৩। উকবাহ ইবনু আমের (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসঃ শাফে’ ইবনু নাফে’ এটিকে মুহাম্মাদ ইবনু মুহাম্মাদ মারওয়াযী হতে, তিনি আবু আমর মুহাম্মাদ ইবনু মুহাম্মাদ হাজী হতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনু লাহী’য়াহ হতে, তিনি ইয়াযীদ ইবনু আবী হাবীব হতে, তিনি উকবাহ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।
এটিকে মুহাম্মাদ ইবনু হামযাহ ফাকীহ তার “আহাদীস” গ্রন্থে (১/২১৪) বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। কারণ ইবনু লাহীয়ার হেফযে ক্রটি রয়েছে। আর তার নিচের বর্ণনাকারীদের জীবনী পাচ্ছি না। হতে পারে সনদের মধ্যে উলটপালটমুলক কিছু ঘটেছে।
আর আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসের সনদের মধ্যে বড় মিথ্যুক বর্ণনাকারী রয়েছে। ইনশা আল্লাহ সেটি সম্পর্কে (৫৪২৮) নম্বরে পৃথকভাবে আলোচনা আসবে।
لا عقل كالتدبير، ولا ورع كالكف، ولا حسب كحسن الخلق
ضعيف
-
روي من حديث أبي ذر وأنس بن مالك وعقبة بن مالك وعلي بن أبي طالب
1 - أما حديث أبي ذر، فله طريقان: الأولى: عن الماضي بن محمد عن
علي بن سليمان عن القاسم بن محمد عن أبي إدريس الخولاني عنه قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره. أخرجه ابن ماجه (2 / 554) . وقال البوصيري في " الزوائد " (260 / 1) : " هذا إسناد ضعيف لضعف الماضي بن محمد الغافقي المصري، رواه الإمام أحمد في " مسنده " من حديث أبي ذر أيضا ". قلت: لم أره في " المسند "، ولا عزاه إليه السيوطي في " الجامع ". وعلي بن سليمان شامي مجهول كما في " التقريب ". والأخرى: إبراهيم بن هشام بن يحيى بن يحيى الغساني: حدثنا أبي عن جدي عن أبي إدريس الخولاني به، في حديث طويل. أخرجه ابن حبان في " صحيحه " (94) وأبو نعيم في " الحلية " (1 / 166 - 168) وقال الهيثمي في " الموارد ": " إبراهيم بن هشام بن يحيى الغساني، قال أبو حاتم وغيره: كذاب ". وتابعه إسماعيل بن أبي زياد، عن أبي سليمان الفلسطيني عن القاسم بن محمد به أخرجه الخرائطي في " مكارم الأخلاق " (ص 8) . وإسماعيل هذا متروك كذبوه. وأبو سليمان الفلسطيني مجهول. وظني أنه علي بن سليمان نفسه الذي في الطريق الأولى. والله أعلم
2 - وأما حديث أنس، فيرويه أبو حاجب الضرير: حدثنا مالك بن أنس عن زيد بن أسلم عنه مرفوعا به. أخرجه أبو الحسين الأبنوسي في " الفوائد " (19 / 2) وأبو نعيم في " الحلية " (6 / 343) والدامغاني الفقيه في " الأحاديث والأخبار " (1 / 108 - 109) وقال: " أبو حاجب هذا صخر بن محمد الحاجبي ". قلت: وهو كذاب كما قال ابن طاهر. وقال الحاكم
روى عن مالك وغيره من الثقات أحاديث موضوعة ". وقال الدارقطني: " يضع الحديث على مالك ونظائره من الثقات وقال ابن عدي: " حدث عن الثقات بالبواطيل، فمن ذلك هذا الحديث ". وذكر أبو نعيم أنه تفرد به عن مالك
3 - وأما حديث عقبة بن عامر، فيرويه شافع بن نافع: أخبرنا محمد بن محمد المروزي: أخبرنا أبو عمرو محمد بن محمد الحاجي أخبرنا عبد الله بن لهيعة عن يزيد بن أبي حبيب عنه. أخرجه محمد بن حمزة الفقيه في " أحاديثه " (214 / 1). قلت: وهذا سند ضعيف، ابن لهيعة سيء الحفظ. ومن دونه لم أجد لهم ترجمة، ويحتمل أن يكون وقع في السند تحريف ما. والله أعلم. وأما حديث علي، ففيه كذاب، وفي حديثه زيادات مستنكرة، فقد أفردته بالتخريج، وسيأتي إن شاء الله تعالى برقم (5428)
পরিচ্ছেদঃ
১৯১১। মানুষকে সর্বোত্তম যা কিছু দেয়া হয়েছে তা হচ্ছে ভালো চরিত্র। আর ব্যক্তিকে সর্ব নিকৃষ্ট যা কিছু দেয়া হয়েছে তা হচ্ছে ভালো চেহারায় মন্দ হৃদয়।
হাদীসটি দুর্বল।
এটিকে ইবনু আবী শাইবাহ "আলমুসান্নাফ" গ্রন্থে (৮/৫১৮/৫৩৮৩), ইবনু মান্দাহ (২/২৭৮/২) ও আবু বাকর কালাবাযী “মিফতাহুল মায়ানী” গ্রন্থে (১/১৮) আবু ইসহাক হতে, তিনি জুহাইনার এক ব্যক্তি হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ...।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। (নাম না-নেয়া) জুহানী ব্যক্তি কি সাহাবী নাকি তাবেঈ তা জানা যায় না। আর আবু ইসহাক হচ্ছেন সাবী’ঈ, তিনি মুদাল্লিস বর্ণনাকারী এবং তার মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছিল। হাদীসটির প্রথম অংশের সহীহ সনদে মারফু’ হিসেবে উসামাহ ইবনু শারীকের হাদীস হতে একটি শাহেদ বর্ণিত হয়েছে। দেখুন “আলমিশকাত” (৫০৭৯)।
“মিশকাত” গ্রন্থে (৫০৭৮) বাইহাকীর “শুয়াবুল ঈমান” গ্রন্থের উদ্ধৃতিতে মুযাইনাহ গোত্রের এক ব্যক্তি হতে উল্লেখ করা হয়েছে।
خير ما أعطي الإنسان خلق حسن، وشر ما أعطي الرجل قلب سوء في صورة حسنة
ضعيف
-
رواه ابن أبي شيبة في " المصنف " (8 / 518 / 5383) ابن منده (2 / 278 / 2) وأبو بكر الكلاباذي في " مفتاح المعاني " (18 / 1) عن أبي إسحاق عن رجل من جهينة قال: قال: رسول الله صلى الله عليه وسلم. قلت: وهذا إسناد ضعيف: الرجل الجهني لا يدرى أصحابي هو أم تابعي؟ وأبو إسحاق هو السبيعي وهو مدلس مختلط وللشطر الأول منه شاهد من حديث أسامة بن شريك مرفوعا بإسناد صحيح، انظر " المشكاة " (5079) . وعزاه في " المشكاة " (5078) للبيهقي في " شعب الإيمان " عن رجل من مزينة
পরিচ্ছেদঃ
১৯১২। যে ব্যক্তি ক্রোধকে প্রয়োগ করতে সক্ষম হয়েও প্রথমেই সংবরণ করবে আল্লাহ্ তা’য়ালা তাকে শান্তি এবং ঈমান দিয়ে পরিপূর্ণ করে দিবেন।
হাদীসটি দুর্বল।
এটিকে ইমাম বুখারী “আততারীখ” গ্রন্থে (৩/২/১২৩), ত্ববারানী তার “তাফসীর” গ্রন্থে (৭/২১৬/৭৮৪২) ও ওকাইলী “আযযুয়াফা” গ্রন্থে (২৬৪) আহমাদ সূত্রে তার সনদে আব্দুল জলীল হতে, তিনি তার এক চাচা হতে, তিনি আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে (وَالْكَاظِمِينَ الْغَيْظَ) এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ...।
তিনি (ওকাইলী) আব্দুল জালীলের জীবনীতে উল্লেখ করে বলেছেনঃ ইমাম বুখারী বলেনঃ তার মুতাবায়াত করা হয়নি।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তার চাচাকে চেনা যায় না। মানবী তার “আততাইসীর” গ্রন্থে সন্দেহ করে বলেছেনঃ এর সনদটি হাসান। অথচ তিনি "আল ফায়েয" গ্রন্থে সুয়ূতী কর্তৃক হাসান চিহ্ন ব্যবহার করার সমালোচনা করেছেন ...। তিনি সন্দেহবশত আবু দাউদেরও উদ্ধৃতি দিয়েছেন। অথচ আবু দাউদের নিকট মুয়ায ইবনু আনাস (রাঃ)-এর হাদীস হতে (৪৭৭৭) অন্য ভাষায় হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। দেখুন “সহীহ জামেউস সাগীর” (৬৫১৮, ৬৫২২) ও "সহীহ ইবনু মাজাহ" (৪১৮৬)।
[যে ব্যক্তি ক্রোধকে প্রয়োগ করতে সক্ষম হয়েও প্রথমেই সংবরণ করবে আল্লাহ্ তায়ালা কিয়ামতের দিন সকল সৃষ্টির সম্মুখে তাকে ডাক দিয়ে হুরেঈনগণের মধ্য থেকে যতজনের সাথে ইচ্ছা তার বিয়ে করার স্বাধীনতা প্রদান করবেন।] অনুবাদক কর্তৃক সংযোজিত।
ওকাইলী বলেনঃ অন্য সূত্রে ভালো সনদে এটিকে বর্ণনা করা হয়েছে।
আমি (আলবানী) বলছিঃ সম্ভবত তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ)-এর হাদীসের দিকে ইঙ্গিত করছেন।
আল্লাহর নিকট সেই বাহাদুরী থেকে বড় নেকীর আর কোন বাহাদুরী নেই, কোন বান্দা যে বাহাদুরীর রাগকে আল্লাহর রেজামান্দী হাসিলের জন্য হজম করে ফেলে।
এটিকে ইমাম আহমাদ (২/১২৮) দু’টি সনদে আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন, যে দুটির একটি সহীহ।
من كظم غيظا وهو يقدر على إنفاذه، ملأه الله أمنا وإيمانا
ضعيف
-
رواه البخاري في " التاريخ " (3 / 2 / 123) والطبري في " تفسيره " (7 / 216 / 7842) والعقيلي في " الضعفاء " (264) من طريق أحمد بسنده عن عبد الجليل عن عم له عن أبي هريرة في قوله " " وَالْكَاظِمِينَ الْغَيْظَ قال: قال النبي صلى الله عليه وسلم: فذكره في ترجمة عبد الجليل هذا، وقال: " قال البخاري: لا يتابع عليه ". قلت: وعمه لا يعرف. ومن أوهام المناوي قوله في " التيسير ": " وإسناده حسن "! مع أنه في " الفيض " تعقب رمز السيوطي لحسنه بإعلال الحافظ العراقي إياه بالراوي الذي لم يسم، ثم زاد في الوهم أنه عزاه لأبي داود، وإنما هو عنده من حديث معاذ بن أنس بلفظ آخر. انظر " صحيح الجامع " (6398) . ثم قال العقيلي: " وقد روي من غير هذا الطريق بإسناد صالح ". قلت: كأنه يشير إلى حديث ابن عمر: " ما من جرعة أعظم أجرا عند الله من جرعة غيظ كظمها عبد ابتغاء وجه الله ". أخرجه أحمد (2 / 128) بإسنادين عنه، أحدهما صحيح
পরিচ্ছেদঃ
১৯১৩। প্রতিটি বস্তুর মূল আছে আর ঈমানের মূল হচ্ছে পরহেযগারিতা। প্রতিটি বস্তুর শাখা আছে আর ঈমানের শাখা হচ্ছে ধৈর্য্য। প্রতিটি বস্তুর চূড়া আছে আর এ উম্মাতের চূড়া হচ্ছে আমার চাচা আব্বাস। প্রতিটি বস্তুর উপজাতি আছে আর এ উম্মাতের উপজাতি হচ্ছে হাসান ও হুসাইন। প্রতিটি বস্তুর ডানা আছে আর এ উম্মাতের ডানা হচ্ছে আবু বাকর ও উমার। প্রতিটি বস্তুর ঢাল আছে আর এ উম্মাতের ঢাল হচ্ছে আলী ইবনু আবূ তালেব।
হাদীসটি বানোয়াট।
হাদীসটিকে ইবনু আসাকির (৮/৪৭১/২) আবূ বকর খাতীব তার সনদে ইবরাহীম ইবনুল হাকাম ইবনু যহীর হতে, তিনি আতা ইবনু আবী রাবাহ হতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে মারফূ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
খাতীব বলেনঃ হাকাম ইবনু যহীর যাহেবুল হাদীস।
আমি (আলবানী) বলছিঃ সালেহ জাযারাহ বলেনঃ তিনি হাদীস জালকারী। ইমাম বুখারী বলেনঃ তিনি মাতরূকুল হাদীস, তাকে তারা ত্যাগ করেছেন। ইয়াহইয়া বলেনঃ তিনি বড়ই মিথ্যুক।
আমি (আলবানী) বলছি তার ছেলে তার চেয়ে ভালো নয়। এর সম্পর্কে আবু হাতিম বলেনঃ তিনি বড়ই মিথ্যুক। হাদীসটিকে সুয়ূতী "যাইলুল মওষুয়াত" গ্রন্থে (পৃঃ ৫৩) উল্লেখ করেছেন আর ইবনু ইরাক “তানযীহুশ শারীয়াহ" গ্রন্থে (২/১৭৭) শুধুমাত্র দাইলামীর বর্ণনা হতে এ সূত্রে উল্লেখ করেছেন। আর তারা দু’জনই শুধুমাত্র ইবরাহীমকেই সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এ ক্ষেত্রে তারা কম করেছেন।
এরপর সুয়ূতী দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগে হাদীসটিকে “আলজামেউস সাগীর” গ্রন্থে খাতীব ও ইবনু আসাকিরের বর্ণনা হতে উল্লেখ করেছেন।
মানবীর নিকট হাদীসটি যে এ দু’মিথ্যুকের বর্ণনায় বর্ণিত হয়েছে তা গোপন রয়ে যাওয়ায় তিনি বলেছেনঃ হাদীসটিকে দাইলামী বর্ণনা করেছেন। আর এর মধ্যে এমন ব্যক্তি রয়েছেন যাকে চেনা যায় না।
لكل شيء أس، وأس الإيمان الورع، ولكل شيء فرع، وفرع الإيمان الصبر، ولكل شيء سنام، وسنام هذه الأمة عمي العباس، ولكل شيء سبط، وسبط هذه الأمة حبيباي الحسن والحسين، ولكل شيء جناح، وجناح هذه الأمة أبو بكر وعمر، ولكل شيء مجن، ومجن هذه الأمة علي بن أبي طالب
موضوع
-
رواه ابن عساكر (8 / 471 / 2) من طريق أبي بكر الخطيب بسنده عن إبراهيم بن (الحكم بن) ظهير عن أبيه عن عطاء بن أبي رباح عن ابن عباس مرفوعا. وقال الخطيب: " الحكم بن ظهير ذاهب الحديث ". قلت: وقال صالح جزرة: " يضع الحديث ". وقال البخاري: " متروك الحديث، تركوه ". وقال يحيى: " كذاب ". قلت: وابنه إبراهيم ليس خيرا منه، فقد قال فيه أبو حاتم: " كذاب ". والحديث أورده السيوطي في " ذيل الموضوعات " (ص 53) ، ثم ابن عراق في " تنزيه الشريعة " (177 / 2) من رواية الديلمي فقط من هذه الطريق
وأعلاه بإبراهيم هذا فقط وهو قصور. ثم إن السيوطي تناقض حيث أورد الحديث في " الجامع الصغير " من رواية الخطيب وابن عساكر هذه! . وأما المناوي فخفي عليه أن الحديث من رواية هذين الكذابين، فقال: " ورواه الديلمي، وفيه من لا يعرف ". وأما في " التيسير " فقد بيض له المناوي! ثم إن إطلاق السيوطي العزو للخطيب يشعر أنه في " تاريخه " كما نص عليه في مقدمة " الجامع الصغير "، وليس فيه، ولعله استلزم من رواية ابن عساكر له من طريق الخطيب أنه في " تاريخه "، وليس ذلك بلازم كما لا يخفي
পরিচ্ছেদঃ
১৯১৪। ব্যক্তি নিজেকে উপরে ভাবে অহংকার করে (অন্য বর্ণনায় এসেছে অহংকার করতে থাকে) এবং সে নিজেকে উপরে ভাবে এমনকি তাকে অহংকারীদের অন্তর্ভুক্ত লেখা হয়। ফলে তাকে তাই (সে শাস্তিই) পৌঁছে যা তাদেরকে (লোকদেরকে) পৌছে।
হাদীসটি দুর্বল।
এটিকে ইমাম তিরমিযী (১/৩৬০), ইবনু লাল তার “হাদীস” গ্রন্থে (২/১২৩), ত্ববারানী “আলমুজামুল কাবীর” গ্রন্থে (৭/২৩/৬২৫৪) (দ্বিতীয় বর্ণনাটি তারই) ও ইবনুল জাওযী "জামেউল মাসানীদ" গ্রন্থে (কাফ ৮/১-২) উমর ইবনু রাশেদ হতে, তিনি ইয়াস ইবনু সালামাহ ইবনুল আকঅ’ হতে, তিনি তার পিতা হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
তিরমিযী বলেনঃ হাদীসটি হাসান গারীব। হাফিয ইরাকী “তাখরাজুল ইয়াহইয়া” গ্রন্থে (৩/৩৩৭) তা স্বীকার করেছেন।
তারা উভয়েই এ কথাই বলেছেন। অথচ উমার ইবনু রাশেদ হচ্ছেন ইয়ামামী, আর তিনি দুর্বল। যেমনটি হাফিয ইবনু হাজার দৃঢ়তার সাথে বলেছেন।
আর হাফিয যাহাবী “আযযুয়াফা” গ্রন্থে বলেছেনঃ তারা (মুহাদ্দিসগণ) তাকে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন।
আর তিনি তাকে “আলকাশেফ” গ্রন্থে বলেছেনঃ তাকে একদল দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন।
لا يزال الرجل يذهب بنفسه، (وفي رواية: يتكبر) ، ويذهب بنفسه حتى يكتب في الجبارين، فيصبه ما أصابهم
ضعيف
-
رواه الترمذي (1 / 360) وابن لال في " حديثه " (123 / 2) والطبراني في " المعجم الكبير " (7 / 23 / 6254) والرواية الثانية له، وابن الجوزي في " جامع المسانيد " (ق 8 / 1 - 2) عن عمر بن راشد عن إياس بن سلمة بن الأكوع عن أبيه مرفوعا. وقال الترمذي: " حديث حسن غريب ". وأقره العراقي في " تخريج الإحياء " (3 / 337) ! كذا قالا: وعمر بن راشد - وهو اليمامي - ضعيف كما جزم به الحافظ في " التقريب " وقال الذهبي في " الضعفاء ": " ضعفوه ". وقال في " الكاشف ": لينه جماعة
পরিচ্ছেদঃ
১৯১৫। লোকদের মধ্যে সে ব্যক্তির স্তর সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট যে অন্যের দুনিয়ার বিনিময়ে তার নিজের আখেরাতকে নষ্ট করে।
হাদীসটি দুর্বল।
এটিকে ইবনু মাজাহ (৩৯৬৬), আবূ নুয়াইম “আলহিলইয়্যাহ” গ্রন্থে (৬/৫৬), কাযাঈ (২/৯৩) ও হাফিয আব্দুল গানী মাকদেসী “আস সালিসু অত তিস’ঈন মিন তাখরজিহি” গ্রন্থে (১/৪৮) আব্দুল হাকাম ইবনু যাকওয়ান হতে, তিনি শাহর হতে, তিনি আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। কারণ শাহর হচ্ছেন ইবনু হাওশাব, আর তিনি তার ক্রটিপূর্ণ হেফযের কারণে দুর্বল। আর আব্দুল হাকাম ইবনু যাকওয়ান সম্পর্কে ইবনু মাঈন বলেনঃ তাকে আমি চিনি না।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তাকে ইবনু হিব্বান “আসসিকাত” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন আর তার থেকে তিনজন নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী বর্ণনা করেছেন। আল্লাহই বেশী জানেন।
من شر الناس منزلة من أذهب آخرته بدنيا غيره
ضعيف
-
رواه ابن ماجه (3966) وأبو نعيم في " الحلية " (6 / 56) والقضاعي (93 / 2) والحافظ عبد الغني المقدسي في " الثالث والتسعين من تخريجه " (48 / 1) عن عبد الحكم بن ذكوان عن شهر عن أبي هريرة مرفوعا
قلت: وهذا إسناد ضعيف، شهر - وهو ابن حوشب - ضعيف لسوء حفظه. وعبد الحكم بن ذكوان قال ابن معين: " لا أعرفه ". قلت: وذكره ابن حبان في " الثقات "، وقد روى عنه ثلاثة من الثقات. والله أعلم
পরিচ্ছেদঃ
১৯১৬। যে তার রাগ প্রতিহত করবে আল্লাহ্ তা’আলা তার শাস্তিকে তার থেকে স্থগিত করবেন, যে তার যবানকে হেফাযাত করবে আল্লাহ্ তা’য়ালা তার গোপনীয়তাকে গোপন রাখবেন। আর যে তার ভাইয়ের নিকট ওযর পেশ করবে আল্লাহ তা’য়ালা তার ওষরকে গ্রহণ করবেন।
এ হাদীসটি খুবই দুর্বল।
এটিকে ওকাইলী “আযযুয়াফা” গ্রন্থে (১১৫) আব্দুস সালাম ইবনু হাশেম হতে, তিনি খালেদ ইবনু বুরদ হতে, তিনি কাতাদাহ হতে, তিনি আনাস (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অন্য বর্ণনায় আব্দুস সালাম বলেনঃ খালেদ ইবনু বুরদ আজালী তার পিতা হতে, তিনি আনাস (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেনঃ এটি বেশী উত্তম। তিনি (ওকাইলী) এটিকে এ খালেদের জীবনীতে উল্লেখ করে বলেছেনঃ তার হাদীসের মধ্যে ইযতিরাব ঘটেছে। হাফিয যাহাবী বলেনঃ তিনি মাজহুল। আর বর্ণনাকারী আব্দুস সালাম ইবনু হাশেম তার থেকে মুনকার হাদীস বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ সম্ভবত তিনি এ হাদীসটির দিকেই ইঙ্গিত করেছেন। অতঃপর তিনি (যাহাবী) আব্দুস সালামের জীবনীতে বলেনঃ তিনি হচ্ছেন আ’ওয়ার কম হাদীস বর্ণনাকারী শাইখ, তিনি দ্বিতীয় শতকের পরে হাদীস বর্ণনা করেন। আবু হাতিম বলেনঃ তিনি শক্তিশালী নন। আমর ইবনু আলী ফাল্লাস বলেনঃ দৃঢ়ভাবে একমাত্র তাকেই মিথ্যা বর্ণনা করার সাথে সম্পৃক্ত বলে জানি।
তার সূত্রেই হাদীসটিকে ত্ববারানী “আলআওসাত” গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন যেমনটি “আলমাজমা” গ্রন্থে (৮/৭০) শেষ বাক্যটি ছাড়া এসেছে। আর বাইহাকী পূর্ণ হাদীসটিকে “আশশুয়াব” গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন যেমনটি “মিশকাত” গ্রন্থে (৫১২১) এসেছে এবং হাকীম তিরমিযী বর্ণনা করেছেন যেমনটি “আলজামেউল কাবীর” গ্রন্থে এসেছে।
মুনযেরী (৪/৩) হাদীসটি দুর্বল হওয়ার দিকে ইঙ্গিত করেছেন। তিনি “আলআওসাত” গ্রন্থের উদ্ধৃতি দেয়ার সাথে সাথে বলেছেন এবং আবু ইয়ালা বর্ণনা করেছেন আর তার ভাষা হচ্ছেঃ যে তার যবানকে সংরক্ষণ করবে আল্লাহ তার গোপনীয়তাকে হেফাযাত করবেন, যে তার রাগকে বন্ধ করবে আল্লাহ তা’য়ালা তার থেকে তার শাস্তি কে বন্ধ করে দিবেন। আর যে তার ভাইয়ের নিকট ওযর পেশ করবে আল্লাহ্ তা’য়ালা তার ওযরকে গ্রহণ করবেন।
এটিকে বাইহাকী মারফু এবং আনাস (রাঃ) হতে মওকুফ হিসেবেও বর্ণনা করেছেন। সম্ভবত এটিই সঠিক।
হাইসামী এ মারফুটির সম্পর্কে (১০/২৯৮) বলেনঃ এটিকে আবু ইয়ালা বর্ণনা করেছেন, আর এ সনদে রাবী’ ইবনু সুলাইমান আযদী রয়েছেন, তিনি দুর্বল।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদে অন্য একটি সমস্যাও রয়েছে। এটিকে তিনি (৩/১০৭১) ইবনু আবী শাইবাহ সূত্রে যায়েদ ইবনুল হুবাব হতে, তিনি রাবী’ ইবনু সুলাইমান হতে, তিনি আনাস ইবনু মালেক (রাঃ)-এর দাস আবু আমর হতে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি শুনেছেন আনাস (রাঃ) হাদীসটিকে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ আবু আমর পরিচিত নন। তাকে ইবনু আবী হাতেম (৪/২/৪১০) এ বর্ণনায় উল্লেখ করে তার সম্পর্কে ভাল-মন্দ কিছুই বলেননি। অনুরূপভাবে দূলাবী "আলকুনা" গ্রন্থে (২/৪৪) তাকে উল্লেখ করে শুধুমাত্র তার এ হাদীসটি অন্য একটি সূত্রে রাবী’ হতে বর্ণনা করেছেন।
সতর্কবাণীঃ হাদীসটি বাইহাকী “আশশুয়াব” গ্রন্থে (২/৭৩/২) ইবনু আউন হতে, তিনি আতা বাযযায হতে, তিনি আনাস (রাঃ) হতে মারফু এবং মওকুফ হিসেবে নিম্নের বাক্যে বর্ণনা করেছেনঃ
বান্দা ঈমানের বাস্তবতা পাবে না যে পর্যন্ত তার যবানকে সংরক্ষণ না করবে ।
এ আতা সম্পর্কে ইবনু মাঈন বলেনঃ তিনি কিছুই না।
অতঃপর তিনি অন্য একটি সূত্রে মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। যার মধ্যে আতা ইবনু আজলান রয়েছেন তিনি মাতরূক। তবে এর আরেকটি সূত্র রয়েছে যার অবস্থা এর চেয়ে ভাল। এর সমস্যা সম্পর্কে পরবর্তীতে (২০২৭) নম্বরে আলোচনা আসবে।
من دفع غضبه دفع الله عنه عذابه، ومن حفظ لسانه ستر الله عورته، ومن اعتذر إلى أخيه قبل الله معذرته
ضعيف جدا
-
رواه العقيلي في " الضعفاء " (115) عن عبد السلام بن هاشم قال: حدثنا خالد بن برد عن قتادة عن أنس مرفوعا. وفي رواية قال: حدثنا خالد بن برد العجلي عن أبيه عن أنس مرفوعا. نحوه، وقال: " هذا أولى ". ذكره في ترجمة خالد هذا، وقال: " في حديثه اضطراب ". وقال الذهبي: " مجهول، وعنه عبد السلام بن هاشم بخبر منكر ". قلت: كأنه يشير لهذا، ثم قال في ترجمة " عبد السلام بن هاشم ": " الأعور شيخ مقل حدث بعد المائتين، قال أبو حاتم
ليس بالقوي، وقال عمرو بن علي الفلاس: لا أقطع على أحد بالكذب إلا عليه ". ومن طريقه رواه الطبراني في " الأوسط " كما في " المجمع " (8 / 70) دون الفقرة الأخيرة منه. وأخرجه بتمامه البيهقي في " الشعب " كما في " المشكاة " (5121) والحكيم الترمذي كما في " الجامع الكبير ". وأشار المنذري (4 / 3) إلى تضعيف الحديث، وعطف على رواية " الأوسط "، فقال: " وأبو يعلى ولفظه": (من خزن لسانه ستر الله عورته، ومن كف غضبه كف الله عنه عذابه، ومن اعتذر إلى الله قبل الله عذره) ثم قال عقبه: " ورواه البيهقي مرفوعا
وموقوفا، على أنس، ولعله الصواب ". وقال الهيثمي في هذا المرفوع (10 / 298) : " رواه أبو يعلى، وفيه الربيع بن سليمان الأزدي، وهو ضعيف ". قلت: وفيه علة أخرى (3 / 1071) من طريق ابن أبي شيبة: أخبرنا زيد بن الحباب قال: حدثني الربيع بن سليمان قال: حدثني أبو عمرو ومولى أنس بن مالك أنه سمع أنس بن مالك به مرفوعا. قلت: فأبو عمرو هذا غير معروف، أورده ابن أبي حاتم (4 /2 / 410) بهذه الرواية، ولم يذكر فيه جرحا ولا تعديلا. وكذلك أورده الدولابي في " الكنى " (2 / 44) ولم يزد على أن ساق له هذا الحديث من طريق أخرى عن الربيع به. تنبيه : وروى البيهقي في " الشعب " (2 / 73 / 2) عن
ابن عون عن عطاء البزاز عن أنس مرفوعا وموقوفا بلفظ: " لا يصيب عبد حقيقة الإيمان حتى يخزن لسانه ". فإن كان المنذري عنى هذا بما عزاه للبيهقي فهو حديث آخر. وعطاء هذا، قال ابن معين: " ليس بشيء ". ثم رواه من طريق أخرى مرفوعا، وفيه عطاء بن عجلان وهو متروك. لكن له طريق آخر خير منه في " الروض " (141) وسيأتي بيان علته في المجلد الخامس رقم (2027)
পরিচ্ছেদঃ
১৯১৭। যে ব্যক্তি ঘরে (বাইতুল হারামে) প্রবেশ করল সে ভালোর মধ্যে প্রবেশ করলো আর ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে মন্দ হতে বের হলো।
হাদীসটি দুর্বল।
এটিকে ইবনু খুযাইমাহ তার “সহীহ” গ্রন্থে (১/২৯৪/২), বাযযার (২/৪৩/১১৬১), তাম্মাম (২/১৯৫) ও বাইহাকী তার “সুনান” গ্রন্থে (৫/১৫৮) সাঈদ ইবনু সুলাইমান হতে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনুল মুয়াম্মাল হতে, তিনি আব্দুর রহমান ইবনু মুহাইসীন হতে, তিনি আতা হতে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
[উল্লেখ্য ইবনু খুযাইমাহ ও বাযযার আব্দুর রহমানের স্থলে উমার ইবনু আব্দুর রহমান উল্লেখ করেছেন। অনুবাদক]
হাদীসটিকে এ সূত্রেই ত্ববারানী (৩/১২১/১, ১২৪/১) আর সাহমী (১৬৬) ইবনু আদীর সূত্র হতে বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি বলেছেনঃ মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুর রহমান ইবনু মুহাইসীন। অতঃপর তিনি বলেনঃ ইবনু আদী বলেনঃ মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুর রহমান ইবনু মুহাইসীন হচ্ছেন উমার।
আমি (আলবানী) বলছিঃ আমি তাকে চিনি না, তিনি উমর ইবনু আব্দুর রহমান হন, অথবা মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুর রহমান হন, অথবা আব্দুর রহমান ইবনু মুহাইসীন হন।
বাইহাকী বলেনঃ আব্দুল্লাহ ইবনু মুয়াম্মাল হাদীসটিকে এককভাবে বর্ণনা করেছেন, আর তিনি শক্তিশালী নন। আর মানবী “আততাইসীর” গ্রন্থে তার সমালোচনা করে বলেছেনঃ ত্ববারানী বলেনঃ হাদীসটি হাসান। জানি না কোথা থেকে তিনি এ হাসান আখ্যা দেয়ার বিষয়টি অবগত হলেন!
এটিকে দূলাবী (১/১৪৪) মুজাহিদের কথা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য দূলাবীর শাইখ আহমাদ ইবনু ফুযাইল আবুল হাসান মাক্কী ছাড়া। আমি তার জীবনী পাচ্ছি না। “তারীখু ইবনু আসাকির” এর মধ্যেও পাচ্ছি না। আর মুজাহিদ হতে হাদীসটির বর্ণনাকারী হচ্ছেন ইয়াযীদ ইবনু জাবের, তিনি হচ্ছেন ইয়াযীদ ইবনু ইয়াযীদ ইবনু জাবের। তিনি নির্ভরযোগ্য। ইবনু হিব্বান “আসসিকাত” গ্রন্থে (২/৩০৯) তার জীবনী আলোচনা করেছেন।
অতঃপর আমি (আলবানী) হাদীসটিকে ইবনু আদীর "আলকামেল" গ্রন্থে (২/২০৯) উপরোক্ত এ সূত্রেই দেখেছি। কিন্তু তিনি বলেছেনঃ ইবনু মুহাইসীন, নাম নেননি এবং বলেছেনঃ হাদীসটি নিরাপদ নয়। এর ভাষা হচ্ছেঃ
دخول البيت دخول في حسنة، وخروج من سيئة
ঘরে প্রবেশ করা হচ্ছে ভালো কিছুর মধ্যে প্রবেশ করা আর মন্দ কিছু হতে বের হয়ে যাওয়া।
সুয়ূতী এটিকে ইবনু আদী এবং বাইহাকীর “আশশুয়াব” গ্রন্থের উদ্ধৃতিতে উল্লেখ করেছেন। আজব ব্যাপার এই যে, মানবী পরক্ষণেই বলেছেনঃ এর মধ্যে মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল আল বুখারী রয়েছেন। তাকে হাফিয যাহাবী "আয যুয়াফা" গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেনঃ তিনি পাঁচশত হিজরীর দিকে বাগদাদে আগমন করেন। ইবনুল জাওযী বলেনঃ তিনি বড়ই মিথ্যুক ছিলেন। আর এর সনদের মধ্যে আব্দুল্লাহ ইবনুল মুয়াম্মাল রয়েছেন। হাফিয যাহাবী বলেনঃ তাকে তারা (মুহাদ্দিসগণ) দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। আর তিনি “আততাইসীর” গ্রন্থে শুধুমাত্র বলেছেনঃ এর মধ্যে মিথ্যুক বর্ণনাকারী রয়েছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ আশ্চর্য হওয়ার কারণ এই যে, এ বিদ্যার প্রতিটি ছাত্র জানেন যে, ইবনু আদী এবং বাইহাকী পাঁচশত হিজরীর দিকে জীবিত ছিলেন না। ইবনু আদী (৩৬৫) হিজরীতে আর বাইহাকী (৪৫৮) হিজরীতে মারা যান। এ কারণে জানি না মানবী এ বুখারীর সাথে কিভাবে হাদীসটিকে সম্পৃক্ত করলেন। আর এ বুখারী কিন্তু ইমাম বুখারী নন।
من دخل البيت دخل في حسنة، وخرج من سيئة مغفورا له
ضعيف
-
رواه ابن خزيمة في " صحيحة " (1 / 294 / 2) والبزار (2 / 43 / 1161 - الكشف) وتمام (195 / 2) والبيهقي في " سننه " (5 / 158) عن سعيد بن سليمان: حدثنا عبد الله بن المؤمل عن عبد الرحمن بن محيص عن عطاء عن ابن عباس مرفوعا
ومن هذا الوجه رواه الطبراني (3 / 121 / 1 و124 / 1) والسهمي (166) من طريق ابن عدي: إلا أنه قال: محمد بن عبد الرحمن بن محيصن. ثم قال: " قال ابن عدي: كذا قال: محمد بن عبد الرحمن بن محيصن وإنما هو عمر". قلت: ولم أعرفه سواء كان عمر بن عبد الرحمن، أومحمد بن عبد الرحمن، أو عبد الرحمن بن محيصن. وقال البيهقي: " تفرد به عبد الله بن المؤمل، وليس بالقوي ". وعقب عليه المناوي بقوله في " التيسير ": " وقال الطبراني: حسن "! كذا، ولا أدري من أين وقع له هذا التحسين؟! ورواه الدولابي (1 / 144) من قول مجاهد. ورجاله ثقات غير شيخ الدولابي أحمد ابن فضيل أبي الحسن العكي ولم أجد له ترجمة، ولا في " تاريخ ابن عساكر ". ويزيد بن جابر الراوي له عن مجاهد هو يزيد بن يزيد بن جابر، وهو ثقة، ترجمه ابن حبان في " الثقات " (2 / 309) . ثم رأيته في " الكامل " لابن عدي (209 / 2) من الوجه المذكور أعلاه، لكنه قال: " ابن محيصن لم يسم وقال: " حديث غير محفوظ ". ولفظه. " دخول البيت دخول في حسنة، وخروج من سيئة ". وعزاه السيوطي لابن عدي والبيهقي في " الشعب ". ومن عجائب الأوهام قول المناوي عقبة: " وفيه محمد بن إسماعيل البخاري، أورده الذهبي في " الضعفاء "، وقال: قدم بغداد سنة خمسمائة، قال ابن الجوزي: كان كذابا، وفيه عبد الله بن المؤمل، قال الذهبي: ضعفوه ". واقتصر في " التيسير " على قوله: " فيه كذاب "! قلت: ووجه العجب أن كل طالب لهذا العلم الشريف يعلم أن اللذين عزا الحديث السيوطي إليهما وهما ابن عدي والبيهقي لم يكونا حيين سنة (500) ! فقد مات ابن عدي (365) والبيهقي سنة (458) ، فلا أدري من أين جاء المناوي بهذا البخاري في هذا الحديث، وهو طبعا غير البخاري الإمام
পরিচ্ছেদঃ
১৯১৮। রাগ ঈমানকে নষ্ট করে দেয় যেমন তেতো বস্তু মধুকে নষ্ট করে ফেলে।
হাদীসটি দুর্বল।
এটিকে তাম্মাম (১০১/২) “আলফাওয়াইদ” গ্রন্থে হিশাম ইবনু আম্মার হতে, তিনি আবু বাকর মুখইয়াস ইবনু তামীম আশজাঈ হতে, তিনি বাহয ইবনু হাকীম হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা মুয়াবিয়্যাহ ইবনু হাইদাহ (রাঃ) হতে মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এ সূত্রেই আবুল কাসেম হামদানী "আলফাওয়াইদ" গ্রন্থে (১/২০৭/২) আর তার থেকে ইবনু আসাকির “তারীখু দেমাস্ক” গ্রন্থে (১৫/৩১/২) বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। মুখাইয়াস হচ্ছেন মাজহুল যেমনটি “আলমীযান” গ্রন্থে এসেছে। আর হিশাম ইবনু আম্মারের মধ্যে দুর্বলতা রয়েছে। হাদীসটিকে “মিশকাত” গ্রন্থে (৫১১৮) ইমাম বাইহাকীর "শুয়াবুল ঈমান" গ্রন্থের উদ্ধৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
إن الغضب يفسد الإيمان كما يفسد الصبر العسل
ضعيف
-
رواه تمام (101 / 2) في " الفوائد " عن هشام بن عمار: حدثنا أبو بكر مخيس بن تميم الأشجعي عن بهز بن حكيم عن أبيه عن جده معاوية بن حيدة مرفوعا. ومن هذا الوجه أخرجه أبو القاسم الهمداني في " الفوائد " (1 / 207 /2) وعنه ابن عساكر في " تاريخ دمشق " (15 / 31 / 2) . قلت: وهذا سند ضعيف، مخيس هذا مجهول كما في " الميزان ". وهشام بن عمار فيه ضعف. والحديث عزاه في " المشكاة " (5118) للبيهقي في " شعب الإيمان
পরিচ্ছেদঃ
১৯১৯। যখন কোন বান্দার তার সম্পদে বরকত হয় না তখন আল্লাহ্ তা’য়ালা তা পানি এবং মাটি বানিয়ে দেন।
হাদীসটি খুবই দুর্বল।
এটিকে ইবনু আবিদ দুনিয়া “কাসরুল আমল” গ্রন্থে (২/২১/২) আর তার থেকে দাইলামী (১/১/১৪৮) আব্দুল আ’লা ইবনু আবুল মাসাবির হতে, তিনি খালেদ আহওয়াল হতে, তিনি আলী (রাঃ) হতে মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি খুবই দুর্বল। এ আব্দুল আ’লা সম্পর্কে হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ তিনি মাতরূক, তাকে ইবনু মা’ঈন মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন। আর খালেদ আহওয়ালকে আমি চিনি না।
হাদীসটিকে বাইহাকী “আশশুয়াব’ গ্রন্থে ইবনু আবুল মুসাবির সূত্রে বর্ণনা করেছেন যেমনটি “ফাইযুল কাদীর” গ্রন্থে এসেছে। আর মানবী বলেছেনঃ আবু দাউদ তাকে ত্যাগ করেছেন। এ কারণে তিনি যে “আততাইসীর” গ্রন্থে বলেছেনঃ তার সনদটি দুর্বল। তার এ কথায় তিনি সুস্পষ্ট শিথিলতা করেছেন।
إذا لم يبارك للعبد في ماله جعله الله في الماء والطين
ضعيف جدا
-
رواه ابن أبي الدنيا في " قصر الأمل " (2 / 21 / 2) وعنه الديلمي (1 / 1 / 148) عن عبد الأعلى بن أبي المساور عن خالد الأحول عن علي مرفوعا. قلت: وهذا إسناد ضعيف جدا، عبد الأعلى هذا، قال الحافظ: " متروك، وكذبه ابن معين ". وخالد الأحول لم أعرفه. والحديث رواه البيهقي في " الشعب " من طريق ابن أبي المساور كما في " فيض القدير "، وقال المناوي: " تركه أبو داود ". فقوله في " التيسير ": " إسناده ضعيف ". فيه تساهل ظاهر
পরিচ্ছেদঃ
১৯২০। আল্লাহ্ তা’য়ালা আশি বছরের অধিকারীদেরকে ভালবাসেন।
হাদীসটি খুবই দুর্বল।
এটিকে ইবনু আসাকির (২/২২৯/১) আব্দুর রহমান ইবনু আবূ বকর হতে, তিনি যায়েদ ইবনু আসলাম হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি খুবই দুর্বল। আব্দুর রহমান হচ্ছেন মুলাইকী, তিনি খুবই দুর্বল। ইমাম বুখারী বলেনঃ তিনি যাহেবুল হাদীস। নাসাঈ বলেনঃ তিনি মাতরূক।
হাদীসটিকে সুয়ুতী “আলজামে” গ্রন্থে ইবনু আসাকিরের বর্ণনা হতে উল্লেখ করেছেন। আর মানবী এটি সম্পর্কে কিছুই বলেননি। সম্ভবত তিনি এর সনদ সম্পর্কে অবগত হননি।
হাদীসটিকে নিম্নের বাক্যেও বর্ণনা করা হয়েছেঃ
“তিনি আশি বছরের অধিকারীদের থেকে লজ্জা করেন।”
ইনশাআল্লাহ এটি সম্পর্কে (৩১২১) নম্বরে আলোচনা আসবে।
إن الله يحب أبناء الثمانين
ضعيف جدا
-
رواه ابن عساكر (2 / 229 / 1) عن عبد الرحمن بن أبي بكر عن زيد بن أسلم عن أبيه عن ابن عمر مرفوعا
قلت: وهذا سند ضعيف جدا، عبد الرحمن هذا هو المليكي ضعيف جدا، قال البخاري: " ذاهب الحديث ". وقال النسائي: " متروك ". والحديث أورده السيوطي في " الجامع " من رواية ابن
عساكر هذه، ولم يتكلم عليه المناوي بشيء، كأنه لم يقف على سنده. وقد روي بلفظ: " السبعين " مكان: " الثمانين "، وزيادة: " ويستحي من أبناء الثمانين ". وسيأتي إن شاء الله تعالى برقم (3121)