লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ
১৯১০। (জীবন ধারণ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে) তদবীর করার মত কোন বুদ্ধিমত্তা নেই, (হারাম থেকে) বিরত থাকার মত পরহেযগারিতা নেই আর (সৃষ্টির সাথে) উত্তম আচরণের মত মর্যাদাকর কিছুই নেই।
হাদীসটি দুর্বল।
আবু যার (রাঃ), আনাস ইবনু মালেক (রাঃ), উকবাহ ইবনু মালেক (রাঃ) ও আলী ইবনু আবী তালেব (রাঃ) হতে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।
১। আবু যার (রাঃ)-এর হাদীসটির দু’টি সূত্র রয়েছেঃ
প্রথমঃ মাযী ইবনু মুহাম্মাদ হতে, তিনি আলী ইবনু সুলাইমান হতে, তিনি কাসেম ইবনু মুহাম্মাদ হতে, তিনি আবু ইদরীস খাওলানী হতে, তিনি আবু যার(রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ...।
এটিকে ইবনু মাজাহ (২/৫৫৪) বর্ণনা করেছেন। বুসয়রী “আযযাওয়াইদ” গ্রন্থে (১/২৬০) বলেনঃ এ সনদটি দুর্বল, বর্ণনাকারী মাযী ইবনু মুহাম্মাদ কাফেকী মিসরীর দুর্বল হওয়ার কারণে। এটিকে ইমাম আহমাদ তার “মুসনাদ’ গ্রন্থেও আবু যার (রাঃ)-এর হাদীস হতে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ আমি এটিকে “আলমুসনাদ’ গ্রন্থে দেখছি না। আর সুয়ুতী “আলজামে” গ্রন্থে তার উদ্ধৃতিও দেননি। আর বর্ণনাকারী আলী ইবনু সুলাইমান শামী মাজহুল (অপরিচিত) যেমনটি “আত-তাকরীব” গ্রন্থে এসেছে।
দ্বিতীয়ঃ ইবরাহীম ইবনু হিশাম ইবনু ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া গাসসানী হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে, তিনি আবূ ইদরীস খাওলানী হতে, তিনি আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।
এটিকে ইবনু হিব্বান তার “সহীহ” গ্রন্থে (৯৪), আবু নুয়াইম “আলহিলইয়্যাহ” গ্রন্থে (১/১৬৬-১৬৮) বর্ণনা করেছেন। হাইসামী "আলমাওয়ারিদ" গ্রন্থে বলেনঃ ইবরাহীম ইবনু হিশাম ইবনু ইয়াহইয়া গাসসানী সম্পর্কে আবু হাতিম প্রমুখ বলেনঃ তিনি বড়ই মিথ্যুক।
তবে ইসমাঈল ইবনু আবূ যিয়াদ তার মুতাবায়াত করেছেন আবূ সুলাইমান ফিলিস্তীনী হতে, তিনি কাসেম ইবনু মুহাম্মাদ হতে, তিনি আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। এটিকে খারাইতী “মাকারিমুল আখলাক” গ্রন্থে (পৃঃ ৮) বর্ণনা করেছেন। এ ইসমাঈল হচ্ছে মাতরূক, তাকে তারা (মুহাদ্দিসগণ) মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন।
আর আবূ সুলাইমান ফিলিস্তীনী হচ্ছেন মাজহুল। আমার ধারণা তিনিই হচ্ছেন আলী ইবনু সুলাইমান যাকে প্রথম সূত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
২। আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসঃ এটিকে আবু হাজেব যরীর বর্ণনা করেছেন মালেক ইবনু আনাস হতে, তিনি যায়েদ ইবনু আসলাম হতে, তিনি আনাস (রাঃ) হতে মারফু’ হিসেবে।
এটিকে আবুল হুসাইন আবলুসী “আলফাওয়াইদ” গ্রন্থে (২/১৯), আবূ নুয়াইম "আলহিলইয়াহ" গ্রন্থে (৬/৩৪৩) ও দামেগানী “আলআহাদীস অল আখবার” গ্রন্থে (১/১০৮-১০৯) বর্ণনা করে বলেছেনঃ এ আবু হাজেব হচ্ছেনঃ সাখর ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু হাজেবী।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি বড়ই মিথ্যুক যেমনটি ইবনু তাহের বলেছেন। হাকিম বলেনঃ তিনি মালেক প্রমুখ নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী হতে কতিপয় বানোয়াট হাদীস বর্ণনা করেছেন। দারাকুতনী বলেনঃ তিনি মালেক ও তার ন্যায় নির্ভরযোগ্যদের উদ্ধৃতিতে হাদীস জালকারী। ইবনু আদী বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্যদের উদ্ধৃতিতে বাতিল হাদীস বর্ণনাকারী। এ হাদীসটি সেগুলোর একটি। আবু নুয়াইম উল্লেখ করেছেন যে, তিনি মালেক হতে এককভাবে বর্ণনা করেছেন।
৩। উকবাহ ইবনু আমের (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসঃ শাফে’ ইবনু নাফে’ এটিকে মুহাম্মাদ ইবনু মুহাম্মাদ মারওয়াযী হতে, তিনি আবু আমর মুহাম্মাদ ইবনু মুহাম্মাদ হাজী হতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনু লাহী’য়াহ হতে, তিনি ইয়াযীদ ইবনু আবী হাবীব হতে, তিনি উকবাহ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।
এটিকে মুহাম্মাদ ইবনু হামযাহ ফাকীহ তার “আহাদীস” গ্রন্থে (১/২১৪) বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। কারণ ইবনু লাহীয়ার হেফযে ক্রটি রয়েছে। আর তার নিচের বর্ণনাকারীদের জীবনী পাচ্ছি না। হতে পারে সনদের মধ্যে উলটপালটমুলক কিছু ঘটেছে।
আর আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসের সনদের মধ্যে বড় মিথ্যুক বর্ণনাকারী রয়েছে। ইনশা আল্লাহ সেটি সম্পর্কে (৫৪২৮) নম্বরে পৃথকভাবে আলোচনা আসবে।
لا عقل كالتدبير، ولا ورع كالكف، ولا حسب كحسن الخلق ضعيف - روي من حديث أبي ذر وأنس بن مالك وعقبة بن مالك وعلي بن أبي طالب 1 - أما حديث أبي ذر، فله طريقان: الأولى: عن الماضي بن محمد عن علي بن سليمان عن القاسم بن محمد عن أبي إدريس الخولاني عنه قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره. أخرجه ابن ماجه (2 / 554) . وقال البوصيري في " الزوائد " (260 / 1) : " هذا إسناد ضعيف لضعف الماضي بن محمد الغافقي المصري، رواه الإمام أحمد في " مسنده " من حديث أبي ذر أيضا ". قلت: لم أره في " المسند "، ولا عزاه إليه السيوطي في " الجامع ". وعلي بن سليمان شامي مجهول كما في " التقريب ". والأخرى: إبراهيم بن هشام بن يحيى بن يحيى الغساني: حدثنا أبي عن جدي عن أبي إدريس الخولاني به، في حديث طويل. أخرجه ابن حبان في " صحيحه " (94) وأبو نعيم في " الحلية " (1 / 166 - 168) وقال الهيثمي في " الموارد ": " إبراهيم بن هشام بن يحيى الغساني، قال أبو حاتم وغيره: كذاب ". وتابعه إسماعيل بن أبي زياد، عن أبي سليمان الفلسطيني عن القاسم بن محمد به أخرجه الخرائطي في " مكارم الأخلاق " (ص 8) . وإسماعيل هذا متروك كذبوه. وأبو سليمان الفلسطيني مجهول. وظني أنه علي بن سليمان نفسه الذي في الطريق الأولى. والله أعلم 2 - وأما حديث أنس، فيرويه أبو حاجب الضرير: حدثنا مالك بن أنس عن زيد بن أسلم عنه مرفوعا به. أخرجه أبو الحسين الأبنوسي في " الفوائد " (19 / 2) وأبو نعيم في " الحلية " (6 / 343) والدامغاني الفقيه في " الأحاديث والأخبار " (1 / 108 - 109) وقال: " أبو حاجب هذا صخر بن محمد الحاجبي ". قلت: وهو كذاب كما قال ابن طاهر. وقال الحاكم روى عن مالك وغيره من الثقات أحاديث موضوعة ". وقال الدارقطني: " يضع الحديث على مالك ونظائره من الثقات وقال ابن عدي: " حدث عن الثقات بالبواطيل، فمن ذلك هذا الحديث ". وذكر أبو نعيم أنه تفرد به عن مالك 3 - وأما حديث عقبة بن عامر، فيرويه شافع بن نافع: أخبرنا محمد بن محمد المروزي: أخبرنا أبو عمرو محمد بن محمد الحاجي أخبرنا عبد الله بن لهيعة عن يزيد بن أبي حبيب عنه. أخرجه محمد بن حمزة الفقيه في " أحاديثه " (214 / 1). قلت: وهذا سند ضعيف، ابن لهيعة سيء الحفظ. ومن دونه لم أجد لهم ترجمة، ويحتمل أن يكون وقع في السند تحريف ما. والله أعلم. وأما حديث علي، ففيه كذاب، وفي حديثه زيادات مستنكرة، فقد أفردته بالتخريج، وسيأتي إن شاء الله تعالى برقم (5428)