লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ
১৯১৭। যে ব্যক্তি ঘরে (বাইতুল হারামে) প্রবেশ করল সে ভালোর মধ্যে প্রবেশ করলো আর ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে মন্দ হতে বের হলো।
হাদীসটি দুর্বল।
এটিকে ইবনু খুযাইমাহ তার “সহীহ” গ্রন্থে (১/২৯৪/২), বাযযার (২/৪৩/১১৬১), তাম্মাম (২/১৯৫) ও বাইহাকী তার “সুনান” গ্রন্থে (৫/১৫৮) সাঈদ ইবনু সুলাইমান হতে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনুল মুয়াম্মাল হতে, তিনি আব্দুর রহমান ইবনু মুহাইসীন হতে, তিনি আতা হতে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
[উল্লেখ্য ইবনু খুযাইমাহ ও বাযযার আব্দুর রহমানের স্থলে উমার ইবনু আব্দুর রহমান উল্লেখ করেছেন। অনুবাদক]
হাদীসটিকে এ সূত্রেই ত্ববারানী (৩/১২১/১, ১২৪/১) আর সাহমী (১৬৬) ইবনু আদীর সূত্র হতে বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি বলেছেনঃ মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুর রহমান ইবনু মুহাইসীন। অতঃপর তিনি বলেনঃ ইবনু আদী বলেনঃ মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুর রহমান ইবনু মুহাইসীন হচ্ছেন উমার।
আমি (আলবানী) বলছিঃ আমি তাকে চিনি না, তিনি উমর ইবনু আব্দুর রহমান হন, অথবা মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুর রহমান হন, অথবা আব্দুর রহমান ইবনু মুহাইসীন হন।
বাইহাকী বলেনঃ আব্দুল্লাহ ইবনু মুয়াম্মাল হাদীসটিকে এককভাবে বর্ণনা করেছেন, আর তিনি শক্তিশালী নন। আর মানবী “আততাইসীর” গ্রন্থে তার সমালোচনা করে বলেছেনঃ ত্ববারানী বলেনঃ হাদীসটি হাসান। জানি না কোথা থেকে তিনি এ হাসান আখ্যা দেয়ার বিষয়টি অবগত হলেন!
এটিকে দূলাবী (১/১৪৪) মুজাহিদের কথা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য দূলাবীর শাইখ আহমাদ ইবনু ফুযাইল আবুল হাসান মাক্কী ছাড়া। আমি তার জীবনী পাচ্ছি না। “তারীখু ইবনু আসাকির” এর মধ্যেও পাচ্ছি না। আর মুজাহিদ হতে হাদীসটির বর্ণনাকারী হচ্ছেন ইয়াযীদ ইবনু জাবের, তিনি হচ্ছেন ইয়াযীদ ইবনু ইয়াযীদ ইবনু জাবের। তিনি নির্ভরযোগ্য। ইবনু হিব্বান “আসসিকাত” গ্রন্থে (২/৩০৯) তার জীবনী আলোচনা করেছেন।
অতঃপর আমি (আলবানী) হাদীসটিকে ইবনু আদীর "আলকামেল" গ্রন্থে (২/২০৯) উপরোক্ত এ সূত্রেই দেখেছি। কিন্তু তিনি বলেছেনঃ ইবনু মুহাইসীন, নাম নেননি এবং বলেছেনঃ হাদীসটি নিরাপদ নয়। এর ভাষা হচ্ছেঃ
دخول البيت دخول في حسنة، وخروج من سيئة
ঘরে প্রবেশ করা হচ্ছে ভালো কিছুর মধ্যে প্রবেশ করা আর মন্দ কিছু হতে বের হয়ে যাওয়া।
সুয়ূতী এটিকে ইবনু আদী এবং বাইহাকীর “আশশুয়াব” গ্রন্থের উদ্ধৃতিতে উল্লেখ করেছেন। আজব ব্যাপার এই যে, মানবী পরক্ষণেই বলেছেনঃ এর মধ্যে মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল আল বুখারী রয়েছেন। তাকে হাফিয যাহাবী "আয যুয়াফা" গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেনঃ তিনি পাঁচশত হিজরীর দিকে বাগদাদে আগমন করেন। ইবনুল জাওযী বলেনঃ তিনি বড়ই মিথ্যুক ছিলেন। আর এর সনদের মধ্যে আব্দুল্লাহ ইবনুল মুয়াম্মাল রয়েছেন। হাফিয যাহাবী বলেনঃ তাকে তারা (মুহাদ্দিসগণ) দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। আর তিনি “আততাইসীর” গ্রন্থে শুধুমাত্র বলেছেনঃ এর মধ্যে মিথ্যুক বর্ণনাকারী রয়েছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ আশ্চর্য হওয়ার কারণ এই যে, এ বিদ্যার প্রতিটি ছাত্র জানেন যে, ইবনু আদী এবং বাইহাকী পাঁচশত হিজরীর দিকে জীবিত ছিলেন না। ইবনু আদী (৩৬৫) হিজরীতে আর বাইহাকী (৪৫৮) হিজরীতে মারা যান। এ কারণে জানি না মানবী এ বুখারীর সাথে কিভাবে হাদীসটিকে সম্পৃক্ত করলেন। আর এ বুখারী কিন্তু ইমাম বুখারী নন।
من دخل البيت دخل في حسنة، وخرج من سيئة مغفورا له ضعيف - رواه ابن خزيمة في " صحيحة " (1 / 294 / 2) والبزار (2 / 43 / 1161 - الكشف) وتمام (195 / 2) والبيهقي في " سننه " (5 / 158) عن سعيد بن سليمان: حدثنا عبد الله بن المؤمل عن عبد الرحمن بن محيص عن عطاء عن ابن عباس مرفوعا ومن هذا الوجه رواه الطبراني (3 / 121 / 1 و124 / 1) والسهمي (166) من طريق ابن عدي: إلا أنه قال: محمد بن عبد الرحمن بن محيصن. ثم قال: " قال ابن عدي: كذا قال: محمد بن عبد الرحمن بن محيصن وإنما هو عمر". قلت: ولم أعرفه سواء كان عمر بن عبد الرحمن، أومحمد بن عبد الرحمن، أو عبد الرحمن بن محيصن. وقال البيهقي: " تفرد به عبد الله بن المؤمل، وليس بالقوي ". وعقب عليه المناوي بقوله في " التيسير ": " وقال الطبراني: حسن "! كذا، ولا أدري من أين وقع له هذا التحسين؟! ورواه الدولابي (1 / 144) من قول مجاهد. ورجاله ثقات غير شيخ الدولابي أحمد ابن فضيل أبي الحسن العكي ولم أجد له ترجمة، ولا في " تاريخ ابن عساكر ". ويزيد بن جابر الراوي له عن مجاهد هو يزيد بن يزيد بن جابر، وهو ثقة، ترجمه ابن حبان في " الثقات " (2 / 309) . ثم رأيته في " الكامل " لابن عدي (209 / 2) من الوجه المذكور أعلاه، لكنه قال: " ابن محيصن لم يسم وقال: " حديث غير محفوظ ". ولفظه. " دخول البيت دخول في حسنة، وخروج من سيئة ". وعزاه السيوطي لابن عدي والبيهقي في " الشعب ". ومن عجائب الأوهام قول المناوي عقبة: " وفيه محمد بن إسماعيل البخاري، أورده الذهبي في " الضعفاء "، وقال: قدم بغداد سنة خمسمائة، قال ابن الجوزي: كان كذابا، وفيه عبد الله بن المؤمل، قال الذهبي: ضعفوه ". واقتصر في " التيسير " على قوله: " فيه كذاب "! قلت: ووجه العجب أن كل طالب لهذا العلم الشريف يعلم أن اللذين عزا الحديث السيوطي إليهما وهما ابن عدي والبيهقي لم يكونا حيين سنة (500) ! فقد مات ابن عدي (365) والبيهقي سنة (458) ، فلا أدري من أين جاء المناوي بهذا البخاري في هذا الحديث، وهو طبعا غير البخاري الإمام