হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১৯০৯

পরিচ্ছেদঃ

১৯০৯। তিনটি মাজলিস ছাড়া (অন্যান্য) মাজলিসগুলো আমানাতেরঃ একটি মাজলিস হচ্ছে সেটি যার মধ্যে হারাম রক্ত প্রবাহিত করা হয়, আরেকটি মাজলিস হচ্ছে সেটি যার মধ্যে হারাম গুপ্তাঙ্গকে বৈধ করা হয় আর আরেকটি মাজলিস হচ্ছে সেটি যার মধ্যে না-হক পন্থায় সম্পদকে হালাল বানানো হয়।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদীসটিকে আবু দাউদ (২/২৯৭), আহমাদ (৩/৩৪২-৩৪৩) ও আবু জা’ফার তূসী “আলআমলী” গ্রন্থে (৩৩) আব্দুল্লাহ ইবনু নাফে হতে, তিনি ইবনু আবী যিইব হতে, তিনি ইবনু আখী জাবের ইবনু আবদুল্লাহ হতে, তিনি জাবের ইবনু আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

ইবনু আখী জাবের ছাড়া সকল বর্ণনাকারী নির্ভরযোগ্য, ইমাম মুসলিমের বর্ণনাকারী। তাকে “আততাহযীব”, “আলখুলাসাহ”, “আত-তাকরীব” এবং “আলমীযান” গ্রন্থে ইবনু আখী ফুলান অধ্যায়ে উল্লেখ করা হয়নি।

হাদীসটি সম্পর্কে ইরাকী “আততাখরীজ” গ্রন্থে (২/১৫৭) বলেনঃ এটিকে আবু দাউদ জাবের (রাঃ)-এর হাদীস হতে, জাবেরের ভাইয়ের নাম না নেয়া ছেলের বর্ণনায় বর্ণনা করেছেন।

হাদীসটির সনদ দুর্বল জাবেরের ভাইয়ের ছেলে মাজহুল (অপরিচিত) হওয়ার কারণে। এ কারণে সুয়ুতী কর্তৃক হাসান চিহ্ন ব্যবহার করা ঠিক হয়নি। যদিও মানবী “আততাইসীর” গ্রন্থে তার সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন।

হাদীসটির প্রথম বাক্যটি আলী (রাঃ)-এর হাদীস হতে বর্ণনা করা হয়েছে।

এটিকে ওকাইলী “আযযুয়াফা” গ্রন্থে (৯০), কাযাঈ “মুসনাদুশ শিহাব” গ্রন্থে (২/১) ও খাতীব (১১/১৬৯) হুসাইন ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু যুমাইরাহ সূত্রে তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে, তিনি আলী (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

এ সনদটি খুবই দুর্বল বরং বানোয়াট। এ হুসাইনকে মালেক মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন। আবু হাতিম বলেনঃ তিনি মাতরূকুল হাদীস, বড়ই মিথ্যুক। ইমাম আহমাদ বলেনঃ তিনি কোন কিছুরই সমতুল্য নন। ইবনু মাঈন বলেনঃ তিনি নিৰ্ভযোগ্য নন এবং আমানাতদারও নন। ইমাম বুখারী বলেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীস, দুর্বল। আবু যুর’য়াহ বলেনঃ তিনি কিছুই না, তার হাদীসকে প্রহার কর। এরূপই “আলমীযান” গ্রন্থে এসেছে।

আর তার পিতা আব্দুল্লাহ ইবনু যুমাইরাহ ও তার দাদা, উভয়ের জীবনী আমি পাচ্ছি না। তবে এ প্রথম বাক্যের একটি মুরসাল শাহেদ অন্য হাদীসের মধ্যে পাওয়া যায়। সেটি সম্পর্কে (৩২২৪) নম্বরে আলোচনা আসবে। এ কারণে আমি এটিকে “সহীহ জামেউস সাগীর” গ্রন্থে (৬৫৫৪) হাসান আখ্যা দিয়েছিলাম। কিন্তু হাদীসটি অন্য একটি সনদে বর্ণিত হয়েছে। যার মধ্যে বর্ধিত অংশ রয়েছেঃ

মাজলিসগুলোর পরিচয় হচ্ছে আমানাতের দ্বারা। আর কোন মু’মিন কর্তৃক অন্য মুমিনের বিপক্ষে প্রতিশোধ গ্রহণ করা অবৈধ। অথবা তিনি বলেনঃ তার মু’মিন ভাই হতে মন্দ পন্থায় প্রতিশোধ গ্রহণ করা অবৈধ।

এটিকে খাতীব বাগদাদী (১৪/২৩) মুসাইদাহ ইবনু সাদাকাহ আবাদী সূত্রে আবু আব্দুল্লাহ জা’ফার ইবনু মুহাম্মাদ হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা আলী (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

এ সনদটি খুবই দুর্বল। মুসাইদাহ ইবনু সাদাকাহ সম্পর্কে দারাকুতনী বলেনঃ তিনি মাতরূক যেমনটি “আলমীযান” গ্রন্থে এসেছে। তিনি তার একটি হাদীস নিম্নের ভাষায়ঃ

(إذا كتبتم الحديث ...) "তোমরা যখন হাদীস লিখবে..." উল্লেখ করে বলেছেনঃ এটি বানোয়াট। এটি সম্পর্কে (১১৭৩) নম্বর হাদীসের মধ্যে আলোচনা করা হয়েছে।

المجلس بالأمانة إلا ثلاثة مجالس، مجلس يسفك فيه دم حرام، ومجلس يستحل فيه فرج حرام، ومجلس يستحل فيه مال من غير حق ضعيف - أخرجه أبو داود (2 / 297) وأحمد (3 / 342 - 343) وأبو جعفر الطوسي في " الأمالي " (33) واللفظ لأحمد، وهو أتم، كلاهما عن عبد الله بن نافع عن ابن أبي ذئب عن ابن أخي جابر بن عبد الله عن جابر بن عبد الله مرفوعا. ورجاله ثقات رجال مسلم، غير ابن أخي جابر فقد أغفلوه ولم يوردوه لا في " التهذيب " ولا في " الخلاصة " ولا في " التقريب " ولا في " الميزان " في فصل: " فيمن قيل ابن أخي فلان ". والحديث قال العراقي في " التخريج " (2 / 157) : " رواه أبو داود من حديث جابر، من رواية ابن أخيه غير مسمى عنه فالحديث ضعيف الإسناد لجهالة ابن أخي جابر. ومنه تعلم أن رمز السيوطي لحسنه ليس بحسن، وإن وافقه المناوي في " التيسير "! وقد رويت الجملة الأولى منه من حديث علي رضي الله عنه. أخرجه العقيلي في " الضعفاء " (90) والقضاعي في " مسند الشهاب " (2 / 1) والخطيب (11 / 169) من طريق حسين بن عبد الله بن ضميرة عن أبيه عن جده عن علي مرفوعا. وهذا إسناد ضعيف جدا بل موضوع. حسين هذا كذبه مالك. وقال أبو حاتم: " متروك الحديث كذاب ". وقال أحمد: " لا يساوي شيئا وقال ابن معين: " ليس بثقة ولا مأمون ". وقال البخاري: " منكر الحديث، ضعيف ". وقال أبو زرعة: " ليس بشيء، اضرب على حديثه ". كذا في " الميزان "، ووالده عبد الله بن ضميرة، وجده لم أجد من ترجمهما. لكن لها شاهد في حديث آخر سيأتي برقم (3224) ولذلك كنت حسنته في: " صحيح الجامع " (6554) . لكن الحديث قد جاء بإسناد آخر، وفيه زيادة وهو: " المجالس بالآمانة، ولا يحل لمؤمن أن يؤثر على مؤمن - أوقال: عن أخيه المؤمن - قبيحا". أخرجه الخطيب (14 / 23) من طريق مسعدة بن صدقة العبدي قال: سمعت أبا عبد الله جعفر بن محمد يحدث عن أبيه عن جده عن أبيه عن جده علي مرفوعا به. وهذا سند ضعيف جدا، مسعدة بن صدقة قال الدارقطني: متروك كما في " الميزان "، وساق له حديثا بلفظ: " إذا كتبتم الحديث ... وقال: " حديث موضوع ". وقد مضى ذكره تحت الحديث (1173) : " من حدث حديثا كما سمع


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ