মু‘আয ইবনু আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে ২৭ টি

পরিচ্ছেদঃ ১০০: শুরুতে বিসমিল্লাহ এবং শেষে আল-হামদু লিল্লাহ বলা

৮/৭৩৯। মু’আয ইবনে আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’যে ব্যক্তি আহার শেষে এই দো’আ পড়বেঃ- ’আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী আত্ব্আমানী হা-যা অরাযাক্বানীহি মিন গাইরি হাওলিম মিন্নী অলা ক্বুউওয়াহ।’ (অর্থাৎ সেই আল্লাহর যাবতীয় প্রশংসা যিনি আমাকে এ খাওয়ালেন এবং জীবিকা দান করলেন, আমার কোন চেষ্টা ও সামর্থ্য ছাড়াই) সে ব্যক্তির পূর্বের সমস্ত (ছোট) পাপ মোচন করে দেওয়া হবে।’’ (আবূ দাঊদ, তিরমিযী হাসান)[1]

(100) - بَابُ التَّسْمِيَةِ فِيْ أَوَّلِهِ وَالْحَمْدِ فِيْ آخِرِهِ

وَعَن مُعَاذِ بنِ أَنَسٍ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: « مَنْ أكَلَ طَعَامَاً، فَقَالَ: الحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أطْعَمَنِي هَذَا، وَرَزَقنِيهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّي وَلاَ قُوَّةٍ، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ». رواه أَبُو داود والترمذي، وقال: حديث حسن »

(100) Chapter: Saying Bismillah Before and Al-Hamdulillah After Eating


Mu'adh bin Anas (May Allah be pleased with him) reported: Messenger of Allah (ﷺ) said, "He who has taken food and says at the end: 'Al- hamdu lillahi-lladhi at'amani hadha, wa razaqanihi min ghairi haulin minni wa la quwwatin (All praise is due to Allah Who has given me food to eat and provided it without any endeavour on my part or any power),' all his past sins will be forgiven." At-Tirmidhi]. Commentary: This Hadith tells us that if we praise Allah after taking a meal, all our minor sins committed in the past will be forgiven by Him.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আয ইবনু আনাস (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১২০: বিনয়বশতঃ মূল্যবান পোশাক পরিধান ত্যাগ করা মুস্তাহাব

এ পরিচ্ছেদ বিষয়ক কিছু হাদীস ’উপবাস ও অনাড়ম্বর জীবন-যাপনের মাহাত্ম্য’ পরিচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে।


১/৮০৬। মু’আয ইবনে আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’যে ব্যক্তি মূল্যবান পোশাক পরার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও বিনয়বশতঃ তা পরিহার করল, আল্লাহ কিয়ামতের দিন সমস্ত মানুষের সাক্ষাতে তাকে ডেকে স্বাধীনতা দেবেন, সে যেন ঈমানের (অর্থাৎ ঈমানদারদের পোশাক) জোড়াসমূহের মধ্য থেকে যে কোন জোড়া বেছে নিয়ে পরিধান করে।’’ (তিরমিযী, হাসান)[1]

(120) بَابُ اِسْتِحْبَابِ تَرْكِ التَّرَفُّعِ فِي اللِّبَاسِ تَوَاضُعًا

وَعَنْ مُعَاذِ بنِ أَنَسٍ رضي الله عنه: أنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: مَنْ تَرَكَ اللِّبَاسَ تَوَاضُعاً للهِ، وَهُوَ يَقْدِرُ عَلَيْهِ، دَعَاهُ اللهُ يَومَ القِيَامَةِ عَلَى رُؤُوسِ الخَلائِقِ حَتَّى يُخَيِّرَهُ مِنْ أيِّ حُلَلِ الإيمَانِ شَاءَ يَلْبَسُهَا ». رواه الترمذي، وقال: حديث حسن »

(120) Chapter: The Excellence of Giving Up Elegant Clothes Out of Humility


Mu`adh bin Anas (May Allah be pleased with him) reported: Messenger of Allah (ﷺ) said, "Whoever gives up wearing elegant and expensive garments out of humbleness, when he can do so, Allah will call him on the Day of Resurrection and before all the creations, He will give him the choice to wear whichever garment of Iman he would like to wear." [At-Tirmidhi]. Commentary: To adopt humility and not to assert superiority over others, according to this Hadith, is an excellent act with Allah. `The clothes of Iman' imply those special clothings of Jannah that Allah has prepared for sincere believers only.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আয ইবনু আনাস (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩১২ : জুমার দিন খুৎবা চলাকালীন সময়ে দুই হাঁটুকে পেটে লাগিয়ে বসা অপছন্দনীয়

১/১৭১৪। মু'আয ইবনে আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমার দিনে ইমামের খুৎবা চলা অবস্থায় দুই হাঁটুকে পেটে লাগিয়ে বসতে নিষেধ করেছেন। [আবূ দাঊদ, তিরমিযী হাসান] [1]


কেননা, তাতে ঘুম চলে আসে, যার ফলে খুৎবা শোনা থেকে বঞ্চিত হতে হয় এবং ওজু নষ্ট হওয়ার [অনুরূপ পড়ে যাওয়ার] আশংকা থাকে। [যেমন নিচে থেকে লুঙ্গি সরে গিয়ে লজ্জা-স্থান প্রকাশ হওয়ারও আশঙ্কা থাকে।]

(312) بَابُ كَرَاهِيَةِ الْاِحْتِبَاءِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ لِأَنَّهُ يَجْلُبُ النَّوْمَ فَيُفَوِّتُ اِسْتِمَاعَ الْخُطْبَةِ وَيُخَافُ اِنْتِقَاضُ الْوُضُوْءِ

عَنْ مُعاذِ بنِ أَنَسٍ الجُهَنِيِّ رضي الله عنه : أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الحِبْوَةِ يَومَ الجُمُعَةِ وَالإمَامُ يَخْطُبُ . رواه أَبُو داود والترمذي، وقالا :[ حديث حسن»

(312) Chapter: Undesirability of Sitting with Erected Legs during Friday Sermon


Mu'adh bin Anas Al-Juhani (May Allah be pleased with him) said: The Prophet (ﷺ) forbade (us) from sitting with our legs drawn up to our belly (Ihtiba') during the Friday Khutbah (religious talk before the prayer). [Abu Dawud and At-Tirmidhi]. Commentary: Habut is the root word of Ihtiba' which means to sit in such a position that the two knees are joined by means of the hand or some cloth with one's belly. To sit in this style during the Friday sermon is not desirable because it causes drowsiness which in turn interrupts the sermon. It must be remembered that listening to the Friday sermon is obligatory and drowsiness during the course of the sermon is likely to disturb it and can also spoil Wudu' which is a prerequisite for the validation of Salat.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আয ইবনু আনাস (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৪০. ইমামের খুতবা দেয়ার সময় কাপড় জড়িয়ে বসবে না।

১১১০. মুহাম্মদ ইবনে আউফ্‌ (রহঃ) ..... মুয়ায ইবনে আনাস (রাঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমার দিনে ইমামের খুতবা প্রদানের সময় হাটুঁ উপরে উঠিয়ে কাপড় জড়িয়ে বসতে নিষেধ করেছেন। (তিরমিযী)

باب الاِحْتِبَاءِ وَالإِمَامُ يَخْطُبُ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَوْفٍ، حَدَّثَنَا الْمُقْرِئُ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي مَرْحُومٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الْحُبْوَةِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَالإِمَامُ يَخْطُبُ ‏.‏


Narrated Anas ibn Malik: The Messenger of Allah (ﷺ) prohibited to sit on hips by erecting feet, sticking them to the stomach and holding them with hands on Friday while the imam is delivering the sermon.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আয ইবনু আনাস (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই।

৩৯৮২. নাসীর ইবন ফারাজ (রহঃ) .... মু’আয ইবন আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি খাওয়ার পর এ দু’আ পাঠ করবেঃ (অর্থ) ’সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি আমাকে খাওয়াইছেন এবং আমাকে এ রিযিক দিয়েছেন, আমার চেষ্টা ও শক্তি ব্যতিরেকে।’ তার জীবনের আগের পরের সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।

আর যে ব্যক্তি নতুন কাপড় পরিধান করে এ দু’আ পড়বেঃ (অর্থ) সমস্ত প্রশংসা ঐ আল্লাহর জন্য, যিনি আমাকে পড়িয়েছেন এবং এর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন আমার শক্তি ও চেষ্টা ছাড়া” তার আগের ও পরের জীবনের সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।

[দুই জায়গায় "পরবর্তী গুনাহ" এ অতিরিক্ত অংশ বাদে।]

حَدَّثَنَا نُصَيْرُ بْنُ الْفَرَجِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، - يَعْنِي ابْنَ أَبِي أَيُّوبَ - عَنْ أَبِي مَرْحُومٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ مَنْ أَكَلَ طَعَامًا ثُمَّ قَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَنِي هَذَا الطَّعَامَ وَرَزَقَنِيهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّي وَلاَ قُوَّةٍ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَا تَأَخَّرَ وَمَنْ لَبِسَ ثَوْبًا فَقَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي كَسَانِي هَذَا الثَّوْبَ وَرَزَقَنِيهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّي وَلاَ قُوَّةٍ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَا تَأَخَّرَ ‏"‏ ‏.‏


Narrated Mu'adh ibn Anas: The Prophet (ﷺ) said: If anyone eats food and then says: "Praise be to Allah Who has fed me with this food and provided me with it through no might and power on my part," he will be forgiven his former and later sins. If anyone puts on a garment and says: "Praise be to Allah Who has clothed me with this and provided me with it through no might and power on my part," he will be forgiven his former and later sins.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আয ইবনু আনাস (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪০. কোন ব্যক্তির সম্মান রক্ষার্থে তার পক্ষ অবলম্বন করা সম্পর্কে।

৪৮০৫. আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) ..... মুআয ইবন আনাস জুহানী (রহঃ) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন মু’মিনকে মুনাফিকের হাত থেকে রক্ষার জন্য চেষ্টা করবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ্‌ তার জন্য একজন ফেরেশতা পাঠাবেন, যে তাকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করবে। আর যে ব্যক্তি মুসলিমের দোষ-ক্রটি অন্বেষণ করে তা প্রকাশ করবে, তাকে আল্লাহ জাহান্নামের পুলের উপর ততক্ষণ আটকিয়ে রাখবেন, যতক্ষণ না ঐ কথার (দোষ-ক্রটির) ক্ষতি পুরণ হয়।

باب مَنْ رَدَّ عَنْ مُسْلِمٍ، غِيبَةً

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ بْنِ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ يَحْيَى الْمَعَافِرِيِّ، عَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذِ بْنِ أَنَسٍ الْجُهَنِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ مَنْ حَمَى مُؤْمِنًا مِنْ مُنَافِقٍ ‏"‏ ‏.‏ أُرَاهُ قَالَ ‏"‏ بَعَثَ اللَّهُ مَلَكًا يَحْمِي لَحْمَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ نَارِ جَهَنَّمَ وَمَنْ رَمَى مُسْلِمًا بِشَىْءٍ يُرِيدُ شَيْنَهُ بِهِ حَبَسَهُ اللَّهُ عَلَى جِسْرِ جَهَنَّمَ حَتَّى يَخْرُجَ مِمَّا قَالَ ‏"‏ ‏.‏


Narrated Mu'adh ibn Anas: The Prophet (ﷺ) said: If anyone guards a believer from a hypocrite, Allah will send an angel who will guard his flesh on the Day of Resurrection from the fire of Jahannam; but if anyone attacks a Muslim saying something by which he wishes to disgrace him, he will be restrained by Allah on the bridge over Jahannam till he is acquitted of what he said.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আয ইবনু আনাস (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২. সালামের পদ্ধতি সস্পর্কে।

৫১০৬. ইসহাক ইবন সুওয়েদ রামলী (রহঃ) ... মুআয ইবন আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে পূর্বোক্ত হাদীছের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তাতে এতটুকু অতিরিক্ত বর্ণিত হয়েছে যে, এরপর এক ব্যক্তি আসে এবং বলেঃ আসসালামু আলায়কুম ওয়া-রহমাতুল্লাহে ওয়া-বারকাতুহু ওয়া-মাগফিরাতুহু। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ সে ব্যক্তি চল্লিশ নেকী পেয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ এ ভাবেই নেকী বেশী হতে থাকে।

باب كَيْفَ السَّلاَمُ

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ سُوَيْدٍ الرَّمْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ أَظُنُّ أَنِّي سَمِعْتُ نَافِعَ بْنَ يَزِيدَ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو مَرْحُومٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ زَادَ ثُمَّ أَتَى آخَرُ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ وَمَغْفِرَتُهُ فَقَالَ ‏"‏ أَرْبَعُونَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ هَكَذَا تَكُونُ الْفَضَائِلُ ‏"‏ ‏.‏


Narrated Mu'adh ibn Anas: (This version is same as previous No 5176 from the Prophet (ﷺ), adding that): Afterwards another man came and said: Peace and Allah's mercy, blessings and forgiveness be upon you! whereupon he said: Forty. adding: Thus are excellent qualities rewarded.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আয ইবনু আনাস (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪১. লোকজনকে উত্তম বিষয় শিক্ষাদাতার সাওয়াব।

২/২৪০। মুআয ইবনু আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যাক্তি জ্ঞানের কথা শিক্ষা দেয়, সে তদনুসারে কর্মসম্পাদনকারীর সমান পুরস্কার পাবে, এতে কর্মসম্পাদনকারীর পুরস্কারে কোনরূপ ঘাটতি হবে না।

بَاب ثَوَابِ مُعَلِّمِ النَّاسَ الْخَيْرَ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عِيسَى الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ، عَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ "‏ مَنْ عَلَّمَ عِلْمًا فَلَهُ أَجْرُ مَنْ عَمِلَ بِهِ لاَ يَنْقُصُ مِنْ أَجْرِ الْعَامِلِ ‏"‏ ‏.‏


Sahl bin Mu'adh bin Anas narrated from his father that: The Prophet said: "Whoever teaches some knowledge will have the reward of the one who acts upon it, without that detracting from his reward in the slightest."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আয ইবনু আনাস (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫/৮৮. জুমু‘আহর দিন লোকের ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনে যাওয়া নিষেধ।

২/১১১৬। মুআয ইবনু আনাস (রহ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জুমুআহর দিন লোকের ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনে অগ্রসর হয়েছে, (কিয়ামতের দিন) তাকে জাহান্নামের পুল বানানো হবে।

بَاب مَا جَاءَ فِي النَّهْيِ عَنْ تَخَطِّي النَّاسِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا رِشْدِينُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ زَبَّانَ بْنِ فَائِدٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ مَنْ تَخَطَّى رِقَابَ النَّاسِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ اتُّخِذَ جِسْرًا إِلَى جَهَنَّمَ ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Sahl bin Mu’adh bin Anas that his father said: “The Messenger of Allah (ﷺ) said: ‘Whoever steps over the people’s necks on Friday has built a bridge to Hell.’”


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আয ইবনু আনাস (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৮/২৪. মুজাহিদ বাহিনীকে এগিয়ে দেওয়া এবং তাদের বিদায় জানানো

১/২৮২৪। মুআয ইবনে আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহর পথের মুজাহিদকে বিদায় জানানো, অতঃপর তাকে সকালে বা সন্ধ্যায় তার সওয়ারীতে তুলে দেয়া আমার নিকট দুনিয়া ও তার মধ্যকার সব কিছু থেকে অধিক পছন্দনীয়।

بَاب تَشْيِيعِ الْغُزَاةِ وَوَدَاعِهِمْ

حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُسَافِرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَسْوَدِ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ زَبَّانَ بْنِ فَائِدٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ لأَنْ أُشَيِّعَ مُجَاهِدًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَأَكُفَّهُ عَلَى رَحْلِهِ غَدْوَةً أَوْ رَوْحَةً أَحَبُّ إِلَىَّ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Sahl bin Mu’adh bin Anas, from his father, that the Messenger of Allah (ﷺ) said: “For me to hive a good send-off to a warrior who is going to fight in the cause of Allah, and to guard his goods when he goes out in the morning or evening, is dearer to me than this world and everything in it.”


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আয ইবনু আনাস (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ জুমু’আর দিন মুসুল্লীদের ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনে যাওয়া পছন্দনীয় নয়

৫১৩. আবূ কুরায়ব (রহঃ) ..... মু’আয ইবনু আনাস আল-জুহানী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ যে ব্যক্তি জুমুআর দিন মানুষের ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনে গেল, সে যেন জাহান্নামে যাওয়ার পুল বানাল। - ইবনু মাজাহ ১১১৬, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫১৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ মু’আয ইবনু আনাস আল-জুহানী রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত এই হাদীসটি গারীব। রিশদ্বীন ইবনু সা’দ (রহঃ)-এর সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের জানা নাই। আলিমগণ এই হাদীস অনুসারে আমল গ্রহণ করেছেন। তারা জুমুআর দিন মানুষের ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনে যাওয়া নিন্দনীয় বলে অভিমত দিয়েছেন। এই বিষয়ে তারা অত্যন্ত কঠোর মনোভাব ব্যক্ত করেছেন। হাদীস বিশেষজ্ঞগণের কেউ কেউ রিশদ্বীন ইবনু সা’দ-এর সমালোচনা করেছেন এবং স্মরণশক্তির দিক দিয়ে তিনি দুর্বল বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

باب مَا جَاءَ فِي كَرَاهِيَةِ التَّخَطِّي يَوْمَ الْجُمُعَةِ

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا رِشْدِينُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ زَبَّانَ بْنِ فَائِدٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذِ بْنِ أَنَسٍ الْجُهَنِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَنْ تَخَطَّى رِقَابَ النَّاسِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ اتَّخَذَ جِسْرًا إِلَى جَهَنَّمَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ سَهْلِ بْنِ مُعَاذِ بْنِ أَنَسٍ الْجُهَنِيِّ حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ رِشْدِينَ بْنِ سَعْدٍ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ كَرِهُوا أَنْ يَتَخَطَّى الرَّجُلُ رِقَابَ النَّاسِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَشَدَّدُوا فِي ذَلِكَ ‏.‏ وَقَدْ تَكَلَّمَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي رِشْدِينَ بْنِ سَعْدٍ وَضَعَّفَهُ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ ‏.‏


Sahl bin Ma'adh bin Anas al Jahni narrated from his father that : Allah's Messenger said: "Whoever steps over the necks of the people on Friday, he has taken a bridge to Hell."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আয ইবনু আনাস (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ইমামের খুতবা প্রদানের সময় ইহতিবা (দুই হাঁটু খাড়া করে নিতম্বের উপর বসে হাত দিয়ে বা কোন কাপড় দিয়ে হাঁটুদ্বয় বেষ্টন করে বসা) পছন্দনীয় নয়

৫১৪. মুহাম্মাদ ইবনু হুমায়দ আর-রাযী ও আব্বাস ইবনু মুহাম্মাদ আদ-দাওরী (রহঃ) ..... মু’আয রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, ইমামের খুতবা প্রদানের সময় (মুসল্লিদের) ইহতিবা অবস্থায় বসতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন। - মিশকাত ১২৯৩, সহিহ আবু দাউদ ১০১৭, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫১৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ এই হাদীসটি হাসান। রাবী আবূ মারহূমের নাম হ’ল আবদুর রহীম ইবনু মায়মূনা। আলিমগণের এক জামা’আত জুমুআর দিন ইমামের খুতবা প্রদানের সময় ইহতিবা আকারে বসা পছন্দনীয় নয় বলে মত ব্যক্ত করেছেন। তবে কেউ কেউ যেমন আবদুল্লাহ ইবনু উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু প্রমুখ এই বিষয়ে অনুমতি দিয়েছেন। ইমাম আহমদ ও ইসহাক (রহঃ)-এর অভিমত এ-ই। তারা ইমামের খুতবার সময় ইহতিবা আকারে বসায় অসুবিধা আছে বলে মনে করেন না।

باب مَا جَاءَ فِي كَرَاهِيَةِ الاِحْتِبَاءِ وَالإِمَامُ يَخْطُبُ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ الرَّازِيُّ، وَعَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الدُّورِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُقْرِئُ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي أَيُّوبَ، حَدَّثَنِي أَبُو مَرْحُومٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الْحَبْوَةِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَالإِمَامُ يَخْطُبُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَأَبُو مَرْحُومٍ اسْمُهُ عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ مَيْمُونٍ ‏.‏ وَقَدْ كَرِهَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ الْحَبْوَةَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَالإِمَامُ يَخْطُبُ وَرَخَّصَ فِي ذَلِكَ بَعْضُهُمْ مِنْهُمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ وَغَيْرُهُ وَبِهِ يَقُولُ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ لاَ يَرَيَانِ بِالْحَبْوَةِ وَالإِمَامُ يَخْطُبُ بَأْسًا ‏.‏


Sahl bin Ma'adh narrated from his father: "The Prophet prohibited Al-Habwah on Friday while the Imam is delivering the Khutbah."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আয ইবনু আনাস (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩৯. (যে ব্যক্তি বিনয়ের পোশাক পরিধান করে)

২৪৮১। মু’আয ইবনু আনাস আল-জুহানী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক ক্ষমতা থাকার পরেও আল্লাহ তা’আলার প্রতি নম্রতাবশতঃ দামী জামা পরা ছেড়ে দিবে, তাকে কিয়ামত দিবসে আল্লাহ তা’আলা সকল সৃষ্টির সামনে ডেকে আনবেন এবং ঈমানদারদের পোশাকের মধ্যে যে কোন পোশাক পরিধান করার অধিকার দিবেন।

হাসানঃ সহীহা (৭১৭)।

এ হাদীসটি হাসান। হুলালুল ঈমান শব্দের অর্থ ঈমানদারগণকে জান্নাতের যে পোশাক পরতে দেয়া হবে তা।

حَدَّثَنَا عَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الدُّورِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ الْمُقْرِئُ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي مَرْحُومٍ عَبْدِ الرَّحِيمِ بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذِ بْنِ أَنَسٍ الْجُهَنِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ مَنْ تَرَكَ اللِّبَاسِ تَوَاضُعًا لِلَّهِ وَهُوَ يَقْدِرُ عَلَيْهِ دَعَاهُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَلَى رُءُوسِ الْخَلاَئِقِ حَتَّى يُخَيِّرَهُ مِنْ أَىِّ حُلَلِ الإِيمَانِ شَاءَ يَلْبَسُهَا ‏"‏ ‏.‏ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَمَعْنَى قَوْلِهِ ‏"‏ حُلَلِ الإِيمَانِ ‏"‏ ‏.‏ يَعْنِي مَا يُعْطَى أَهْلُ الإِيمَانِ مِنْ حُلَلِ الْجَنَّةِ ‏.‏


Sahl bin Mu'adh bin Anas Al-Juhani narrated from his father, that the Messenger of Allah (s.a.w)said: "Whoever leaves(valuable) dress out of humility to Allah while he is able to (afford it), Allah will call him before the heads of creation on the Day of Judgement so that he can chose whichever Hulal of faith he wishes to wear."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আয ইবনু আনাস (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪৮. (ক্রোধ সংবরণকারীর মর্যাদা)

২৪৯৩। মু’আয ইবনু আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রাগ কার্যকর করার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও তা দমন করে, আল্লাহ্ তা’আলা কিয়ামতের দিন তাকে আহবান করে সকল মাখলুকের (সৃষ্টি) সামনে আনবেন এবং তাকে তার ইচ্ছামতো যে কোন হুর বেছে নেয়ার ক্ষমতা (স্বাধীনতা) দিবেন।

হাসানঃ রাওযুন নায়ীর (৪৮১,৮৫৪), তা’লীকুর রাগীব (৩/২৭৯)।

আবূ ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান গারীব।

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، وَعَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الدُّورِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ الْمُقْرِئُ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ، حَدَّثَنِي أَبُو مَرْحُومٍ عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ مَيْمُونٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ مَنْ كَظَمَ غَيْظًا وَهُوَ يَقْدِرُ عَلَى أَنْ يُنَفِّذَهُ دَعَاهُ اللَّهُ عَلَى رُءُوسِ الْخَلاَئِقِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ حَتَّى يُخَيِّرَهُ فِي أَىِّ الْحُورِ شَاءَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏


Sahl bin Mu'ad bin Anas narrated from his father, that the Prophet (s.a.w) said: "Whoever suppresses his rage, while he is able to exact it, Allah will call him before the heads of creation [on the Day of Judgement] so that he can chose whichever of the Hur he wishes."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আয ইবনু আনাস (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬০. উট বাধো তারপর তাওয়াক্কুল (ভরসা) কর

২৫২১। মু'আয ইবনু আনাস আল-জুহানী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক আল্লাহ তা’আলার উদ্দেশে দান-খয়রাত করে, আল্লাহ্ তা’আলার উদ্দেশে (দান করা হতে) নিবৃত্ত থাকে, আল্লাহ্ তা’আলার জন্য ভালবাসে, আল্লাহ্ তা’আলার জন্যই ঘৃণা করে এবং আল্লাহ্ তা’আলার (সন্তুষ্টির) উদ্দেশ্যে বিয়ে প্রদান করে, সে তার ঈমান সুসম্পন্ন করেছে।

হাসানঃ সহীহাহ (১/১১৩)।

আবূ ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান।

حَدَّثَنَا عَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الدُّورِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي مَرْحُومٍ عَبْدِ الرَّحِيمِ بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذِ بْنِ أَنَسٍ الْجُهَنِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ مَنْ أَعْطَى لِلَّهِ وَمَنَعَ لِلَّهِ وَأَحَبَّ لِلَّهِ وَأَبْغَضَ لِلَّهِ وَأَنْكَحَ لِلَّهِ فَقَدِ اسْتَكْمَلَ إِيمَانَهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏


Sahl bin Mu'adh[bin Anas] Al-Juhni narrated from his father that the Prophet (s.a.w) said: "Whoever gives for the sake of Allah, withholds for the sake of Allah, loves for the sake of Allah, hates for the sake of Allah, and marries for the sake of Allah, he has indeed perfected his faith."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আয ইবনু আনাস (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৪৩৪৩-[৪০] মু’আয ইবনু আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি খাবার খাওয়ার পর এ দু’আ, ’’আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী আত্ব’আমানী হা-যাত্ব ত্ব’আ-মা ওয়ারাযাকানীহি মিন গয়রি হাওলিম্ মিন্নী ওয়ালা- ক্যুওয়াহ্’’ পড়ে তার অতীতের সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যায়। অর্থাৎ- সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই যিনি আমাকে এ খাদ্য খাইয়েছেন এবং আমার শক্তি সামর্থ্য ব্যতিরেকেই তিনি তা আমাকে দান করেছেন। (তিরমিযী)[1]

আর আবূ দাঊদ অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন, যে ব্যক্তি নতুন কাপড় পরিধান করে এ দু’আ, ’’আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী কাসা-নী হা-যা- ওয়ারাযাকানীহি মিন গয়রি হাওলিম্ মিন্নী ওয়ালা- ক্যুওয়াহ্’’ (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমার কৌশল ও ক্ষমতা প্রয়োগ ব্যতীতই আমাকে এ কাপড়ের ব্যবস্থা করে পরালেন) পড়ে তার আগের ও পরের সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যায়।

الْفَصْلُ الثَّانِي

وَعَن معاذِ بن أَنَسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَنْ أَكَلَ طَعَامًا ثُمَّ قَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَنِي هَذَا الطَّعَامَ وَرَزَقَنِيهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّي وَلَا قُوَّةٍ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَزَادَ أَبُو دَاوُدَ: وَمَنْ لَبِسَ ثَوْبًا فَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي كَسَانِي هَذَا وَرَزَقَنِيهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّي وَلَا قُوَّةٍ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَا تَأَخَّرَ

ব্যাখ্যাঃ এ হাদীসে প্রথমাংশের শেষে (وَمَا تَأَخَّرَ) ‘ওয়ামা- তাআখখারা’ অর্থাৎ ‘‘যা পরবর্তীতে হবে’’ বাক্যাংশটি আছে কিনা তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। ইমাম আবূ দাঊদ তাঁর সুনানে এই অংশসহ হাদীসটি উল্লেখ করছেন বলে কিছু সংস্করণে পাওয়া যায় আবার কিছু সংস্করণে পাওয়া যায় না। তবে মিশকাত প্রণেতা সে অংশটুকু ছাড়াই হাদীসটি উল্লেখ করেছেন। কারী বলেন, ত্বীবী বলেছেনঃ তিরমিযী ও আবূ দাঊদে ‘ওয়ামা- তাআখখারা’ বাক্যাংশটি নেই। যদিও মিশকাতের কিছু সংস্করণে ‘ওয়ামা- তাআখখারা’ বাক্যাংশ যোগ করা হয়েছে এ ধারণায় যে, হাদীসের পরের অংশের শেষে ‘ওয়ামা- তাআখখারা’ বাক্যাংশটি আছে। অতএব এখানেও আছে মনে হয়। উল্লেখ্য যে, হাদীসের পরবর্তী অংশ তথা (غُفِرَ لَهٗ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِه..... وَمَنْ لَبِسَ ثَوْبًا) অংশের শেষে ‘ওয়ামা- তাআখখারা’ বাক্যাংশটি সকল সংস্করণে রয়েছে। এ নিয়ে কোন বিতর্ক নেই। (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৪০১৮)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আয ইবনু আনাস (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৪৩৪৯-[৪৬] আর ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) পোশাক সংক্রান্ত হাদীসটি এই একই সূত্রে মু’আয ইবনু আনাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।)

الْفَصْلُ الثَّانِي

وَرَوَى التِّرْمِذِيُّ مِنْهُ عَنْ مُعَاذِ بْنِ أَنَسٍ حَدِيث اللبَاس


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আয ইবনু আনাস (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাম

৪৬৪৫-[১৮] মু’আয ইবনু আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে উপরিউক্ত হাদীসের সমার্থক হাদীস বর্ণনা করেন। তিনি নিম্নোক্ত বাক্যগুলো বর্ধিত করেন, অতঃপর আরো এক ব্যক্তি এসে বলল : ’’আসসালা-মু ’আলায়কুম ওয়া রহমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকা-তুহু ওয়া মাগফিরাতুহ’’। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ এ ব্যক্তির জন্য চল্লিশ নেকি লেখা হলো। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আরো বললেনঃ এভাবে সাওয়াব বৃদ্ধি পায়। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَن معَاذ
بْنِ أَنَسٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَعْنَاهُ وَزَاد ثُمَّ أَتَى آخَرُ فَقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ وَمَغْفِرَتُهُ فَقَالَ: «أَرْبَعُونَ» وَقَالَ: «هَكَذَا تكون الْفَضَائِل» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

ব্যাখ্যাঃ فَقَالَ:أَرْبَعُونَ অর্থাৎ তার জন্য চল্লিশ নেকী রয়েছে। প্রত্যেক শব্দে দশ নেকী।هَكَذَا تكون الْفَضَائِل এর অর্থ হলো সালামদাতা যতই শব্দ বৃদ্ধি করে ততই নেকী বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হবে। (‘আওনুল মা‘বূদ ৮ম খন্ড, হাঃ ৫১৮৭)

ইমাম নাবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ জেনে রাখা উচিত যে, শ্রেষ্ঠ সালাম হলো السلام عليكم ورحمة الله وبركاته বলা। একজন লোক হলেও এভাবে সালাম দিতে হবে। আর জবাবদাতা বলবে وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته। ন্যূনতম সালাম হলো السلام عليكم যদি বলে السلام عليك অথবা سلام عليك তবুও হয়ে যাবে। আর ন্যূনতম সালামের জবাব হলো وعليك السلام অথবা وعليكم السلام। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আয ইবনু আনাস (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ

৪৯৮৬-[৪০] মু’আয ইবনু আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন মুসলিমকে মুনাফিকের অনিষ্টতা থেকে রক্ষা করবে, আল্লাহ তা’আলা কিয়ামতের দিন তার জন্য এমন একজন মালাক (ফেরেশতা) পাঠাবেন, যে তার দেহ জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করবে। যে ব্যক্তি কোন মুসলিমকে এমন বিষয়ে অপবাদ দেবে, যার দ্বারা সে তাকে কলঙ্কিত করতে চায়, আল্লাহ তা’আলা তাকে জাহান্নামের সেতুর উপর বন্দি করবেন, যতক্ষণ না সে কথিত অপবাদ থেকে বের হয়ে আসে। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَن معَاذ بن
أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ حَمَى مُؤْمِنًا مِنْ مُنَافِقٍ بَعَثَ اللَّهُ مَلَكًا يَحْمِي لَحْمَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ نَارِ جَهَنَّمَ وَمَنْ رَمَى مُسْلِمًا بِشَيْءٍ يُرِيدُ بِهِ شَيْنَهُ حَبْسَهُ اللَّهُ عَلَى جِسْرِ جَهَنَّمَ حَتَّى يَخْرُجَ مِمَّا قَالَ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

ব্যাখ্যাঃ (مَنْ حَمٰى) যে হিফাযাত করবে।

অত্র হাদীসে মুনাফিকের কথা উল্লেখ হওয়ার কারণ হলো, তারা কারো দোষ-ত্রুটি সামনে বলে না, বরং যার দোষ-ত্রুটি আছে তার কাছে তার ভালো গুণ বলে, আর অপরের কাছে দোষ-ত্রুটি বলে বেড়ায়, অথচ উচিত ছিল যার দোষ তার সামনে বলে দেয়া যাতে সে সংশোধিত হতে পারে।

অত্র হাদীসের শিক্ষা হলো আমরা কারো দোষ দেখলে যার দোষ তাকেই বলবো, আর মুসলিম ভাইকে অপরের অনিষ্টতা হতে রক্ষা করব, এতে পরস্পর সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির সাথে জীবন যাপন করতে পারব। (‘আওনুল মা‘বূদ ৮ম খন্ড, হাঃ ৪৮৭৫)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আয ইবনু আনাস (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ জুমআর দিন খুৎবা চলাকালীন সময়ে দুই হাঁটুকে পেটে লাগিয়ে বসা অপছন্দনীয়

কেননা, তাতে ঘুম চলে আসে, যার ফলে খুৎবা শোনা থেকে বঞ্চিত হতে হয় এবং ওযূ নষ্ট হওয়ার (অনুরূপ পড়ে যাওয়ার) আশংকা থাকে। (যেমন নিচে থেকে লুঙ্গি সরে গিয়ে লজ্জাস্থান প্রকাশ হওয়ারও আশঙ্কা থাকে।)


(৭৭৭) মুআয ইবনে আনাস জুহানী (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমআর দিনে ইমামের খুৎবা চলা অবস্থায় দুই হাঁটুকে পেটে লাগিয়ে বসতে নিষেধ করেছেন।

عَن مُعاذِ بنِ أَنَسٍ الجُهَنِيِّ أَنَّ النَّبيَّ ﷺ نَهَى عَن الحِبْوَةِ يَومَ الجُمُعَةِ وَالإمَامُ يَخْطُبُ رواه أَبُو داود والترمذي وقَالَا حديث حسن


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আয ইবনু আনাস (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২৭ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »