হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৪৯৮৬

পরিচ্ছেদঃ ১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ

৪৯৮৬-[৪০] মু’আয ইবনু আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন মুসলিমকে মুনাফিকের অনিষ্টতা থেকে রক্ষা করবে, আল্লাহ তা’আলা কিয়ামতের দিন তার জন্য এমন একজন মালাক (ফেরেশতা) পাঠাবেন, যে তার দেহ জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করবে। যে ব্যক্তি কোন মুসলিমকে এমন বিষয়ে অপবাদ দেবে, যার দ্বারা সে তাকে কলঙ্কিত করতে চায়, আল্লাহ তা’আলা তাকে জাহান্নামের সেতুর উপর বন্দি করবেন, যতক্ষণ না সে কথিত অপবাদ থেকে বের হয়ে আসে। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَن معَاذ بن أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ حَمَى مُؤْمِنًا مِنْ مُنَافِقٍ بَعَثَ اللَّهُ مَلَكًا يَحْمِي لَحْمَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ نَارِ جَهَنَّمَ وَمَنْ رَمَى مُسْلِمًا بِشَيْءٍ يُرِيدُ بِهِ شَيْنَهُ حَبْسَهُ اللَّهُ عَلَى جِسْرِ جَهَنَّمَ حَتَّى يَخْرُجَ مِمَّا قَالَ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

ব্যাখ্যাঃ (مَنْ حَمٰى) যে হিফাযাত করবে।

অত্র হাদীসে মুনাফিকের কথা উল্লেখ হওয়ার কারণ হলো, তারা কারো দোষ-ত্রুটি সামনে বলে না, বরং যার দোষ-ত্রুটি আছে তার কাছে তার ভালো গুণ বলে, আর অপরের কাছে দোষ-ত্রুটি বলে বেড়ায়, অথচ উচিত ছিল যার দোষ তার সামনে বলে দেয়া যাতে সে সংশোধিত হতে পারে।

অত্র হাদীসের শিক্ষা হলো আমরা কারো দোষ দেখলে যার দোষ তাকেই বলবো, আর মুসলিম ভাইকে অপরের অনিষ্টতা হতে রক্ষা করব, এতে পরস্পর সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির সাথে জীবন যাপন করতে পারব। (‘আওনুল মা‘বূদ ৮ম খন্ড, হাঃ ৪৮৭৫)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আয ইবনু আনাস (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ