পরিচ্ছেদঃ বিশেষ বিশেষ সূরা ও আয়াত পাঠ করার উপর উৎসাহ দান

(১৪৪২) আবূ সাঈদ রাফে’ ইবনে মুআল্লা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, (একদা আমি মসজিদে নামায পড়ছিলাম। এমতাবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ডাকলেন। আমি সাড়া দিলাম না। অতঃপর নামায শেষ করে তাঁর নিকট এসে বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি নামায পড়ছিলাম। তিনি বললেন, আল্লাহ কি বলেননি যে, তোমরা আল্লাহ ও রসূলের আহ্বানে সাড়া দাও যখন তোমাদেরকে (রসূল) ডাকে— (সূরা আনফাল ২৪) অতঃপর) তিনি আমাকে বললেন, মসজিদ থেকে বের হবার পূর্বেই তোমাকে কি কুরআনের সবচেয়ে বড় (মাহাত্ম্যপূর্ণ) সূরা শিখিয়ে দেব না? এই সাথে তিনি আমার হাত ধরলেন। অতঃপর যখন আমরা বাইরে যাওয়ার ইচ্ছা করলাম, তখন আমি নিবেদন করলাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনি যে আমাকে বললেন, তোমাকে অবশ্যই কুরআনের সবচেয়ে বড় (মাহাত্ম্যপূর্ণ) সূরা শিখিয়ে দেব? সুতরাং তিনি বললেন, (তা হচ্ছে) ’আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন’ (সূরা ফাতেহা)। এটি হচ্ছে সাবউ মাসানী’ (অর্থাৎ, নামাযে বারংবার পঠিতব্য সপ্ত আয়াত) এবং মহা কুরআন; যা আমাকে দান করা হয়েছে।

عَن أَبي سَعِيدٍ رَافِعِ بن الْمُعَلَّى قَالَ : قَالَ لِي رَسُولُ اللهِ ﷺ أَلاَ أُعَلِّمُكَ أَعْظَمَ سُورَةٍ فِي القُرْآن قَبْلَ أَنْ تَخْرُجَ مِنَ الْمَسْجِدِ ؟ فَأخَذَ بِيَدِي فَلَمَّا أَرَدْنَا أَنْ نَخْرُجَ قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللهِ إنَّكَ قُلْتَ : لأُعَلِّمَنَّكَ أَعْظَمَ سُورَةٍ فِي القُرْآنِ ؟ قَالَاَلْحَمْدُ للهِ رَبِّ العَالَمِينَ هِيَ السَّبْعُ المَثَانِي وَالقُرْآنُ العَظِيمُ الَّذِيْ أُوتِيتُهُرواه البخاري

عن ابي سعيد رافع بن المعلى قال قال لي رسول الله ﷺ الا اعلمك اعظم سورة في القران قبل ان تخرج من المسجد فاخذ بيدي فلما اردنا ان نخرج قلت يا رسول الله انك قلت لاعلمنك اعظم سورة في القران قالالحمد لله رب العالمين هي السبع المثاني والقران العظيم الذي اوتيتهرواه البخاري

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১২/ কুরআন

পরিচ্ছেদঃ বিশেষ বিশেষ সূরা ও আয়াত পাঠ করার উপর উৎসাহ দান

(১৪৪৩) আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’উম্মুল কুরআন’ (কুরআনের জননী) সম্পর্কে বলেছেন, এটাই হল (সেই সূরা হিজরের ৮৭ আয়াতে উল্লেখিত আমাকে প্রদত্ত) সপ্তপদী (সূরা) যা নামাযে পুনঃপুনঃ আবৃত্ত হয় এবং সেটাই হল মহা কুরআন।

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ أُمُّ الْقُرْآنِ هِيَ السَّبْعُ الْمَثَانِي وَالْقُرْآنُ الْعَظِيمُ

عن ابي هريرة قال قال رسول الله ﷺ ام القران هي السبع المثاني والقران العظيم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১২/ কুরআন

পরিচ্ছেদঃ বিশেষ বিশেষ সূরা ও আয়াত পাঠ করার উপর উৎসাহ দান

(১৪৪৪) আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (সূরা) ’ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ’ সম্পর্কে বলেছেন, সেই মহান সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ আছে, নিঃসন্দেহে এটি কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমতুল। (বুখারী ৫০১৩, ৬৬৪৩, ৭৩৭৪)

অপর এক বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবাগণকে বললেন, তোমরা কি এক রাতে এক তৃতীয়াংশ কুরআন পড়তে অপারগ? প্রস্তাবটি তাঁদের পক্ষে ভারী মনে হল। তাই তাঁরা বলে উঠলেন, হে আল্লাহর রসূল! এ কাজ আমাদের মধ্যে কে করতে পারবে? (অর্থাৎ, কেউ পারবে না।) তিনি বললেন, ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ, আল্লাহুস স্বামাদ’ (সূরা ইখলাস) কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমতুল। (অর্থাৎ, এই সূরা পড়লে এক তৃতীয়াংশ কুরআন পড়ার সমান নেকী অর্জিত হয়।) (ঐ ৫০১৫)

وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخُدْرِي أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ فِي قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ: وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إنَّهَا لَتَعْدِلُ ثُلُثَ القُرْآنِوَفِيْ رِوَايَةٍ : أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ ِلأَصْحَابِهِأَيَعْجِزُ أحَدُكُمْ أنْ يَقْرَأَ بِثُلُثِ القُرْآنِ فِي لَيْلَةٍ؟ فَشَقَّ ذَلِكَ عَلَيْهِمْ وَقَالُوا : أَيُّنَا يُطِيقُ ذَلِكَ يَا رَسُولَ اللهِ ؟ فَقَالَ قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ اللهُ الصَّمَدُ : ثُلُثُ الْقُرْآنِ رواه البخاري

وعن ابي سعيد الخدري ان رسول الله ﷺ قال في قل هو الله احد والذي نفسي بيده انها لتعدل ثلث القرانوفي رواية ان رسول الله ﷺ قال لاصحابهايعجز احدكم ان يقرا بثلث القران في ليلة فشق ذلك عليهم وقالوا اينا يطيق ذلك يا رسول الله فقال قل هو الله احد الله الصمد ثلث القران رواه البخاري

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১২/ কুরআন

পরিচ্ছেদঃ বিশেষ বিশেষ সূরা ও আয়াত পাঠ করার উপর উৎসাহ দান

(১৪৪৫) উক্ত সাহাবী (রাঃ) আরো বর্ণনা করেন যে, এক ব্যক্তি কোন লোককে সূরাটি বারবার পড়তে শুনল। অতঃপর সে সকালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে তা ব্যক্ত করল। সে সূরাটিকে নগণ্য মনে করছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সেই সত্তার শপথ! যাঁর হাতে আমার প্রাণ আছে, নিঃসন্দেহে এই সূরা (ইখলাস) কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান।

وَعَنْه : أَنَّ رَجُلاً سَمِعَ رَجُلاً يَقْرَأُقُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ يُرَدِّدُهَا، فَلَمَّا أصْبَحَ جَاءَ إِلَى رَسُولِ اللهِ ﷺ فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ وَكَانَ الرَّجُلُ يَتَقَالُّهَا فَقَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إنَّهَا لَتَعْدِلُ ثُلُثَ القُرْآنِ

وعنه ان رجلا سمع رجلا يقراقل هو الله احد يرددها فلما اصبح جاء الى رسول الله ﷺ فذكر ذلك له وكان الرجل يتقالها فقال رسول الله ﷺ والذي نفسي بيده انها لتعدل ثلث القران

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১২/ কুরআন

পরিচ্ছেদঃ বিশেষ বিশেষ সূরা ও আয়াত পাঠ করার উপর উৎসাহ দান

(১৪৪৬) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (সূরা) ’ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ’ সম্পর্কে বলেছেন, নিঃসন্দেহে এটি কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমতুল্য।

وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ فِي قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ إنَّهَا تَعْدِلُ ثُلُثَ الْقُرْآنِ

وعن ابي هريرة ان رسول الله ﷺ قال في قل هو الله احد انها تعدل ثلث القران

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১২/ কুরআন

পরিচ্ছেদঃ বিশেষ বিশেষ সূরা ও আয়াত পাঠ করার উপর উৎসাহ দান

(১৪৪৭) আনাস বিন মালিক (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ’ক্বুল ইয়া-আইয়্যুহাল কা-ফিরূন’ পাঠ করবে, তার এক চতুর্থাংশ কুরআন পাঠের সমান সওয়াব লাভ হবে। আর যে, ব্যক্তি ’ক্বুল হুওয়াল্লা-হু আহাদ’ পাঠ করবে তার এক তৃতীয়াংশ কুরআন পাঠের সমান সওয়াব লাভ হবে।

وَ عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ قَرَأَ قُلْ يَا أَيُّهَا الْكافِرُونَ عَدَلَتْ لَهُ بِرُبْعِ الْقُرْآنِ وَمَنْ قَرَأَ قُلْ هُوَ الله أَحَدٌ عَدَلَتْ لَهُ بِثُلُثِ الْقُرْآنِ

و عن انس قال قال رسول الله ﷺ من قرا قل يا ايها الكافرون عدلت له بربع القران ومن قرا قل هو الله احد عدلت له بثلث القران

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১২/ কুরআন

পরিচ্ছেদঃ বিশেষ বিশেষ সূরা ও আয়াত পাঠ করার উপর উৎসাহ দান

(১৪৪৮) মুআয বিন আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি ’ক্বুল হুঅল্লা-হু আহাদ’ শেষ পর্যন্ত ১০ বার পাঠ করবে, আল্লাহ সেই ব্যক্তির জন্য জান্নাতে এক মহল নির্মাণ করবেন। এ কথা শুনে উমার বিন খাত্ত্বাব (রাঃ) বললেন, তাহলে আমরা বেশি বেশি করে পড়ব হে আল্লাহর রসূল! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহও বেশি দানশীল ও বেশি পবিত্র।

عَنْ مُعَاذِ بْنِ أَنَسٍ الْجُهَنِيِّ صَاحِبِ النَّبِيِّ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ مَنْ قَرَأَ قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ حَتَّى يَخْتِمَهَا عَشْرَ مَرَّاتٍ بَنَى اللهُ لَهُ قَصْرًا فِي الْجَنَّةِ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ إِذَنْ أَسْتَكْثِرَ يَا رَسُولَ اللهِ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ اللهُ أَكْثَرُ وَأَطْيَبُ

عن معاذ بن انس الجهني صاحب النبي عن النبي ﷺ قال من قرا قل هو الله احد حتى يختمها عشر مرات بنى الله له قصرا في الجنة فقال عمر بن الخطاب اذن استكثر يا رسول الله فقال رسول الله ﷺ الله اكثر واطيب

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১২/ কুরআন

পরিচ্ছেদঃ বিশেষ বিশেষ সূরা ও আয়াত পাঠ করার উপর উৎসাহ দান

(১৪৪৯) আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেন, একদা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে (একস্থানে) আগমন করলাম। তিনি এক ব্যক্তির নিকট শুনলেন, সে ’ক্বুল হুওয়াল্লা-হু আহাদ’ পড়ছে। অতঃপর তিনি বললেন, অনিবার্য। আমি বললাম, কি অনিবার্য?! তিনি বললেন, জান্নাত।

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ: أَقْبَلْتُ مَعَ رَسُولِ اللهِ ﷺفَسَمِعَ رَجُلًا يَقْرَأُ: قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ اللَّهُ الصَّمَدُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: وَجَبَتْ. قُلْتُ: مَا وَجَبَتْ؟ قَالَ: الجَنَّةُ

عن ابي هريرة قال اقبلت مع رسول الله ﷺفسمع رجلا يقرا قل هو الله احد الله الصمد فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم وجبت قلت ما وجبت قال الجنة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১২/ কুরআন

পরিচ্ছেদঃ বিশেষ বিশেষ সূরা ও আয়াত পাঠ করার উপর উৎসাহ দান

(১৪৫০) আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নিবেদন করল, হে আল্লাহর রসূল! আমি এই (সূরা) ’ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ’ ভালবাসি। তিনি বললেন, এর ভালবাসা তোমাকে জানণাতে প্রবেশ করাবে।

وَعَنْ أَنَسٍ أَنَّ رَجُلاً قَالَ : يَا رَسُولَ اللهِ إِنِّي أُحِبُّ هَذِهِ السُّورَةَ قُلْ هُوَ اللهُ أحَدٌ قَالَ إنَّ حُبَّهَا أدْخَلَكَ الجَنَّةَ رواه الترمذي وقال حديث حسن ورواه البخاري في صَحِيحِهِ تعليقاً

وعن انس ان رجلا قال يا رسول الله اني احب هذه السورة قل هو الله احد قال ان حبها ادخلك الجنة رواه الترمذي وقال حديث حسن ورواه البخاري في صحيحه تعليقا

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১২/ কুরআন

পরিচ্ছেদঃ বিশেষ বিশেষ সূরা ও আয়াত পাঠ করার উপর উৎসাহ দান

(১৪৫১) আয়েশা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে এক (জিহাদের) সৈন্যদলের সেনাপতিরূপে প্রেরণ করলেন। সে তাদের নামাযে ইমামতিকালে প্রত্যেক সূরার শেষে ’ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ’ যোগ করে ক্বিরাআত শেষ করত। যখন তারা ফিরে এল তখন সে কথা আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উল্লেখ করল। তিনি বললেন, তোমরা ওকে জিজ্ঞাসা কর, কেন এমনটি করে? সুতরাং তারা ওকে জিজ্ঞাসা করলে লোকটি বলল, কারণ, সূরাটিতে পরম দয়ালু (আল্লাহর) গুণাবলী বর্ণিত হয়েছে। তাই আমি ওটাকে (বারবার) পড়তে ভালোবাসি। একথা শুনে তিনি বললেন, ওকে সংবাদ দাও যে, আল্লাহ আযযা অজাল্লও ওকে ভালো বাসেন।

وعَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ بَعَثَ رَجُلاً عَلَى سَرِيَّةٍ وَكَانَ يَقْرَأُ لأَصْحَابِهِ فِى صَلاَتِهِمْ فَيَخْتِمُ بِ (قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ) فَلَمَّا رَجَعُوا ذُكِرَ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللهِ ﷺ فَقَالَ سَلُوهُ لأَىِّ شَىْءٍ يَصْنَعُ ذَلِكَ فَسَأَلُوهُ فَقَالَ لأَنَّهَا صِفَةُ الرَّحْمَنِ فَأَنَا أُحِبُّ أَنْ أَقْرَأَ بِهَا فَقَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ أَخْبِرُوهُ أَنَّ اللهَ يُحِبُّهُ

وعن عاىشة ان رسول الله ﷺ بعث رجلا على سرية وكان يقرا لاصحابه فى صلاتهم فيختم ب قل هو الله احد فلما رجعوا ذكر ذلك لرسول الله ﷺ فقال سلوه لاى شىء يصنع ذلك فسالوه فقال لانها صفة الرحمن فانا احب ان اقرا بها فقال رسول الله ﷺ اخبروه ان الله يحبه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১২/ কুরআন

পরিচ্ছেদঃ বিশেষ বিশেষ সূরা ও আয়াত পাঠ করার উপর উৎসাহ দান

(১৪৫২) উক্ববাহ বিন আমের (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা বললেন, তুমি কি দেখনি, আজ রাত্রে আমার উপর কতকগুলি আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে; যার অনুরূপ আর কিছু দেখা যায়নি? (আর তা হল,) ’ক্বুল আঊযু বিরাব্বিল ফালাক্ব’ ও ’ক্বুল আঊযু বিরাব্বিন নাস।

وَعَنْ عُقبَةَ بنِ عَامِرٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ أَلَمْ تَرَ آيَاتٍ أُنْزِلَتْ هَذِهِ اللَّيْلَةَ لَمْ يُرَ مِثْلُهُنَّ قَطُّ ؟ قُلْ أَعْوذُ بِرَبِّ الفَلَقِ وَ قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ رواه مسلم

وعن عقبة بن عامر ان رسول الله ﷺ قال الم تر ايات انزلت هذه الليلة لم ير مثلهن قط قل اعوذ برب الفلق و قل اعوذ برب الناس رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১২/ কুরআন

পরিচ্ছেদঃ বিশেষ বিশেষ সূরা ও আয়াত পাঠ করার উপর উৎসাহ দান

(১৪৫৩) আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সূরা ফালাক্ব ও নাস অবতীর্ণ হবার পূর্ব পর্যন্ত নিজ ভাষাতে) জিন ও বদ নজর থেকে (আল্লাহর) আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। পরিশেষে যখন উক্ত সূরা দু’টি অবতীর্ণ হল, তখন ঐ সূরা দু’টি দ্বারা আশ্রয় প্রার্থনা করতে লাগলেন এবং অন্যান্য সব পরিহার করলেন।

وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخُدْرِي قَالَ : كَانَ رَسُولُ اللهِ ﷺ يَتَعَوَّذُ مِنَ الجَانِّ وَعَيْنِ الإِنْسَانِ حَتَّى نَزَلَتْ المُعَوِّذَتَانِ فَلَمَّا نَزَلَتَا، أَخَذَ بِهِمَا وَتَرَكَ مَا سِوَاهُمَا رواه الترمذي وقال حديث حسن

وعن ابي سعيد الخدري قال كان رسول الله ﷺ يتعوذ من الجان وعين الانسان حتى نزلت المعوذتان فلما نزلتا اخذ بهما وترك ما سواهما رواه الترمذي وقال حديث حسن

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১২/ কুরআন

পরিচ্ছেদঃ বিশেষ বিশেষ সূরা ও আয়াত পাঠ করার উপর উৎসাহ দান

(১৪৫৪) একদা ইবনে আবেস জুহানী (রাঃ)-কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে ইবনে আবেস! আমি তোমাকে উত্তম ঝাড়-ফুঁকের কথা বলে দেব না কি, যার মাধ্যমে আশ্রয় প্রার্থনাকারীরা আশ্রয় প্রার্থনা করে থাকে? তিনি বললেন, অবশ্যই বলে দিন, হে রাসূলাল্লাহ! তিনি ফালাক ও নাস সূরা দুটিকে উল্লেখ করে বললেন, এ সূরা দুটি হল মুআব্বিযাতান (ঝাড়-ফুঁকের মন্ত্র)।

وعن ابْنِ عَابِسٍ الْجُهَنِيَّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ يَا ابْنَ عَابِسٍ أَلَا أُخْبِرُكَ بِأَفْضَلِ مَا تَعَوَّذَ بِهِ الْمُتَعَوِّذُونَ؟ قُلْتُ: بَلَى يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ وَقُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ

وعن ابن عابس الجهني قال قال رسول الله ﷺ يا ابن عابس الا اخبرك بافضل ما تعوذ به المتعوذون قلت بلى يا رسول الله قال قل اعوذ برب الفلق وقل اعوذ برب الناس

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১২/ কুরআন

পরিচ্ছেদঃ বিশেষ বিশেষ সূরা ও আয়াত পাঠ করার উপর উৎসাহ দান

(১৪৫৫) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কুরআনে ত্রিশ আয়াতবিশিষ্ট একটি সূরা এমন আছে, যা তার পাঠকারীর জন্য সুপারিশ করবে এবং শেষাবধি তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে, সেটা হচ্ছে ’তাবা-রাকাল্লাযী বিয়্যাদিহিল মুলক’ (সূরা মুলক)।

وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ مِنَ القُرْآنِ سُورَةٌ ثَلاثُونَ آيَةً شَفَعَتْ لِرَجُلٍ حَتَّى غُفِرَ لَهُ، وَهِيَ: تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ المُلْكُ رواه أَبُو داود والترمذي، وقال حديث حسن

وعن ابي هريرة ان رسول الله ﷺ قال من القران سورة ثلاثون اية شفعت لرجل حتى غفر له وهي تبارك الذي بيده الملك رواه ابو داود والترمذي وقال حديث حسن

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১২/ কুরআন

পরিচ্ছেদঃ বিশেষ বিশেষ সূরা ও আয়াত পাঠ করার উপর উৎসাহ দান

(১৪৫৬) আবূ দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহফের প্রথম দিক থেকে দশটি আয়াত মুখস্থ করবে, সে দাজ্জালের (ফিৎনা) থেকে পরিত্রাণ পাবে। অন্য বর্ণনায় ’কাহফ সূরার শেষ দিক থেকে’ উল্লেখ হয়েছে।

وَعَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَمَنْ حَفِظَ عَشْرَ آيَاتٍ مِنْ أَوَّلِ سُورَةِ الكَهْفِ عُصِمَ مِنَ الدَّجَّالِ وَفِيْ رِوَايَةٍمِنْ آخِرِ سُورَةِ الكَهْفِ رواهما مسلم

وعن ابي الدرداء ان رسول الله ﷺ قالمن حفظ عشر ايات من اول سورة الكهف عصم من الدجال وفي روايةمن اخر سورة الكهف رواهما مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবুদ দারদা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১২/ কুরআন

পরিচ্ছেদঃ বিশেষ বিশেষ সূরা ও আয়াত পাঠ করার উপর উৎসাহ দান

(১৪৫৭) আবু সাঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি জুমআর দিন সূরা কাহফ পাঠ করে, সে ব্যক্তির জন্য দুই জুমআর মধ্যবর্তী কাল জ্যোতির্ময় হয়ে যায়।

وعن أَبِي سَعِيدٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ قَرَأَ سُورَةَ الْكَهْفِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ أَضَاءَ لَهُ مِنْ النُّورِ مَا بَيْنَ الْجُمُعَتَيْنِ

وعن ابي سعيد قال قال رسول الله ﷺ من قرا سورة الكهف يوم الجمعة اضاء له من النور ما بين الجمعتين

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১২/ কুরআন

পরিচ্ছেদঃ বিশেষ বিশেষ সূরা ও আয়াত পাঠ করার উপর উৎসাহ দান

(১৪৫৮) ইরবায বিন সারিয়াহ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শয়ন করার আগে শুরুতে তসবীহ (সুবহা-না, সাব্বাহা, য়্যুসাব্বিহু, ও সাব্বিহ) বিশিষ্ট (বনী ইসরাঈল, হাদীদ, হাশর, সাফ্‌, জুমুআহ, তাগাবুন, ও আ’লা এই সাতটি) সূরা পাঠ করতেন। তিনি বলেন, ঐ সূরাগুলির মধ্যে এমন একটি আয়াত নিহিত আছে যা এক হাজার আয়াত অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।

عَنْ عِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقْرَأُ الْمُسَبِّحَاتِ قَبْلَ أَنْ يَرْقُدَ وَقَالَ إِنَّ فِيهِنَّ آيَةً أَفْضَلُ مِنْ أَلْفِ آيَةٍ

عن عرباض بن سارية ان رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يقرا المسبحات قبل ان يرقد وقال ان فيهن اية افضل من الف اية

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১২/ কুরআন

পরিচ্ছেদঃ বিশেষ বিশেষ সূরা ও আয়াত পাঠ করার উপর উৎসাহ দান

(১৪৫৯) ইবনে মাসঊদ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, অবশ্যই প্রত্যেক বস্তুরই চূড়া আছে; আর কুরআনের চূড়া হল সূরা বাক্বারাহ।

عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ لِكُلِّ شَيْءٍ سِنَامًا وَسِنَامُ الْقُرْآنِ سُورَةُ الْبَقَرَةِ

عن ابن مسعود قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان لكل شيء سناما وسنام القران سورة البقرة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১২/ কুরআন

পরিচ্ছেদঃ বিশেষ বিশেষ সূরা ও আয়াত পাঠ করার উপর উৎসাহ দান

(১৪৬০) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা নিজেদের ঘর-বাড়িগুলোকে কবরে পরিণত করো না। কেননা, যে বাড়িতে সূরা বাক্বারাহ পাঠ করা হয়, সে বাড়ি থেকে শয়তান পলায়ন করে।

(অর্থাৎ সুন্নাত ও নফল নামায তথা পবিত্র কুরআন পড়া ত্যাগ ক’রে ঘরকে কবর বানিয়ে দিয়ো না। যেহেতু কবরে এ সব বৈধ নয়।)

وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ لاَ تَجْعَلُوا بُيُوتَكُمْ مَقَابِرَ إِنَّ الشَّيْطَانَ يَنْفِرُ مِنَ البَيْتِ الَّذِي تُقْرَأُ فِيهِ سُورَةُ البَقرَةِ رواه مسلم

وعن ابي هريرة ان رسول الله ﷺ قال لا تجعلوا بيوتكم مقابر ان الشيطان ينفر من البيت الذي تقرا فيه سورة البقرة رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১২/ কুরআন

পরিচ্ছেদঃ বিশেষ বিশেষ সূরা ও আয়াত পাঠ করার উপর উৎসাহ দান

(১৪৬১) উবাই ইবনে কা’ব (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে আবূ মুনযির! তুমি কি জান, মহান আল্লাহর গ্রন্থ (আল-কুরআন) এর ভিতর তোমার যা মুখস্থ আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বড় (মর্যাদাপূর্ণ) আয়াত কোনটি? আমি বললাম, সেটা হচ্ছে আয়াতুল কুরসী। সুতরাং তিনি আমার বুকে চাপড় মেরে বললেন, আবুল মুনযির! তোমার জ্ঞান তোমাকে ধন্য করুক।

(অর্থাৎ তুমি, নিজ জ্ঞানের বরকতে উক্ত আয়াতটির সন্ধান পেয়েছ, সে জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।)

وَعَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ يَا أَبَا الْمُنْذِرِ أَتَدْرِي أَيُّ آيَةٍ مِنْ كِتَابِ الله مَعَكَ أعْظَمُ قُلْتُ اللهُ لاَ إلَهَ إِلاَّ هُوَ الحَيُّ القَيُّومُ فَضَرَبَ فِي صَدْرِي وَقَالَ لِيَهْنِكَ العِلْمُ أَبَا الْمُنْذِرِ رواه مسلم

وعن ابي بن كعب قال قال رسول الله ﷺ يا ابا المنذر اتدري اي اية من كتاب الله معك اعظم قلت الله لا اله الا هو الحي القيوم فضرب في صدري وقال ليهنك العلم ابا المنذر رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১২/ কুরআন
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »