পরিচ্ছেদঃ সুললিত কণ্ঠে কুরআন পড়া মুস্তাহাব। মধুরকণ্ঠের কারীকে তা পড়ার আবেদন করা ও তা মনোযোগ সহকারে শোনা প্রসঙ্গে

(১৪৩৩) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, মহান আল্লাহ এভাবে উৎকর্ত হয়ে কোন কথা শোনেন না, যেভাবে সেই মধুরকণ্ঠী পয়গম্বরের প্রতি উৎকর্ত হয়ে শোনেন, যিনি মধুর কণ্ঠে উচ্চ স্বরে কুরআন মাজীদ পড়তেন।

وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : سَمِعْتُ رَسُول اللهِ ﷺ يَقُوْلُ مَا أَذِنَ اللهُ لِشَيءٍ مَا أَذِنَ لِنَبِيٍّ حَسَنِ الصَّوْتِ يَتَغَنَّى بِالقُرْآنِ يَجْهَرُ بِهِ متفقٌ عليه

وعن ابي هريرة قال سمعت رسول الله ﷺ يقول ما اذن الله لشيء ما اذن لنبي حسن الصوت يتغنى بالقران يجهر به متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১২/ কুরআন

পরিচ্ছেদঃ সুললিত কণ্ঠে কুরআন পড়া মুস্তাহাব। মধুরকণ্ঠের কারীকে তা পড়ার আবেদন করা ও তা মনোযোগ সহকারে শোনা প্রসঙ্গে

(১৪৩৪) আবূ মূসা আশআরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বললেন, তোমাকে দাউদের সুললিত কণ্ঠের মত মধুর কণ্ঠ দান করা হয়েছে।

মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বললেন, যদি তুমি আমাকে গত রাতে তোমার তেলাঅত শোনা অবস্থায় দেখতে (তাহলে তুমি কতই না খুশি হতে)!

وَعَنْ أَبِي مُوسَى الأَشعَرِي أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ لَهُلَقدْ أُوتِيتَ مِزْمَاراً مِنْ مَزَامِيرِ آلِ دَاوُدَ متفقٌ عليه وَفِيْ رِوَايَةٍ لمسلمٍ : أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ لَهُلَوْ رَأَيْتَنِي وَأنَا أسْتَمِعُ لِقِراءتِكَ الْبَارِحَةَ

وعن ابي موسى الاشعري ان رسول الله ﷺ قال لهلقد اوتيت مزمارا من مزامير ال داود متفق عليه وفي رواية لمسلم ان رسول الله ﷺ قال لهلو رايتني وانا استمع لقراءتك البارحة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১২/ কুরআন

পরিচ্ছেদঃ সুললিত কণ্ঠে কুরআন পড়া মুস্তাহাব। মধুরকণ্ঠের কারীকে তা পড়ার আবেদন করা ও তা মনোযোগ সহকারে শোনা প্রসঙ্গে

(১৪৩৫) বারা’ ইবনে আযেব (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এশার নামাযে সূরা ’অত্‌তীন অয্‌যাইতূন’ পড়তে শুনেছি। বস্তুতঃ আমি তাঁর চেয়ে মধুর কণ্ঠ আর কারো শুনিনি।

وَعَنِ البَراءِ بنِ عَازِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ : سَمِعْتُ النَّبيَّ ﷺ قَرَأَ فِي الْعِشَاءِ بالتِّينِ وَالزَّيْتُونِ، فَمَا سَمِعْتُ أَحَداً أَحْسَنَ صَوْتاً مِنْهُ متفقٌ عَلَيْهِ

وعن البراء بن عازب رضي الله عنهما قال سمعت النبي ﷺ قرا في العشاء بالتين والزيتون فما سمعت احدا احسن صوتا منه متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১২/ কুরআন

পরিচ্ছেদঃ সুললিত কণ্ঠে কুরআন পড়া মুস্তাহাব। মধুরকণ্ঠের কারীকে তা পড়ার আবেদন করা ও তা মনোযোগ সহকারে শোনা প্রসঙ্গে

(১৪৩৬) আবূ লুবাবাহ বাশীর ইবনে আব্দুল মুনযির (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি মিষ্ট স্বরে কুরআন পড়ে না, সে আমাদের মধ্যে নয়। (অর্থাৎ আমাদের ত্বরীকা ও নীতি-আদর্শ বহির্ভূত।)

وَعَنْ أَبي لُبَابَةَ بَشِيرِ بنِ عَبدِ المُنذِرِ أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ قَالَ لَيْسَ مِنَّا مَنْ لَمْ يَتَغَنَّ بِالْقُرْآنِ رواه أَبُو داود بإسنادٍ جيدٍ

وعن ابي لبابة بشير بن عبد المنذر ان النبي ﷺ قال ليس منا من لم يتغن بالقران رواه ابو داود باسناد جيد

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১২/ কুরআন

পরিচ্ছেদঃ সুললিত কণ্ঠে কুরআন পড়া মুস্তাহাব। মধুরকণ্ঠের কারীকে তা পড়ার আবেদন করা ও তা মনোযোগ সহকারে শোনা প্রসঙ্গে

(১৪৩৭) বারা’ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের (সুমিষ্ট) শব্দ দ্বারা কুরআনকে সৌন্দর্যমন্ডিত কর। কারণ, মধুর শব্দ কুরআনের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।

عَنِ الْبَرَاءِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيِّنُوا القُرْآنَ بِأَصْوَاتِكُمْ فإِنَّ الصَّوْتَ الحَسَنَ يَزِيدُ القُرْآنَ حُسْناً

عن البراء رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم زينوا القران باصواتكم فان الصوت الحسن يزيد القران حسنا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১২/ কুরআন

পরিচ্ছেদঃ সুললিত কণ্ঠে কুরআন পড়া মুস্তাহাব। মধুরকণ্ঠের কারীকে তা পড়ার আবেদন করা ও তা মনোযোগ সহকারে শোনা প্রসঙ্গে

(১৪৩৮) ইবনে উমার (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করা হল, কুরআন পাঠে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ আওয়াজ কার? উত্তরে তিনি বললেন, তার, যার কুরআন পাঠ করা শুনে মনে হয়, সে আল্লাহর ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত।

وعَنِ ابنِ عُمَرَ قَالَ : سُئِلَ النَّبِيُّ ﷺ أَيُّ النَّاسِ أَحْسَنُ صَوْتًا بِالْقُرْآنِ ؟ قَالَ مَنْ إِذَا قَرَأَ رَأَيْتَ أَنَّهُ يَخْشَى اللهَ

وعن ابن عمر قال سىل النبي ﷺ اي الناس احسن صوتا بالقران قال من اذا قرا رايت انه يخشى الله

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১২/ কুরআন

পরিচ্ছেদঃ সুললিত কণ্ঠে কুরআন পড়া মুস্তাহাব। মধুরকণ্ঠের কারীকে তা পড়ার আবেদন করা ও তা মনোযোগ সহকারে শোনা প্রসঙ্গে

(১৪৩৯) উকবাহ বিন আমের জুহানী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সশব্দে কুরআন তেলাঅতকারী প্রকাশ্যে দানকারীর মত এবং নিঃশব্দে তেলাঅতকারী গোপনে দানকারীর মত।

وعَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ الْجُهَنِىِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ الْجَاهِرُ بِالْقُرْآنِ كَالْجَاهِرِ بِالصَّدَقَةِ وَالْمُسِرُّ بِالْقُرْآنِ كَالْمُسِرِّ بِالصَّدَقَةِ

وعن عقبة بن عامر الجهنى قال قال رسول الله ﷺ الجاهر بالقران كالجاهر بالصدقة والمسر بالقران كالمسر بالصدقة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১২/ কুরআন

পরিচ্ছেদঃ সুললিত কণ্ঠে কুরআন পড়া মুস্তাহাব। মধুরকণ্ঠের কারীকে তা পড়ার আবেদন করা ও তা মনোযোগ সহকারে শোনা প্রসঙ্গে

(১৪৪০) ইবনে উমার (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অবশ্যই নামাযী তাঁর সুমহান প্রভুর কাছে মুনাজাত করে। অতএব তার লক্ষ্য করা উচিত, সে কি দিয়ে তাঁর কাছে মুনাজাত করছে। আর তোমাদের কেউ যেন অপরের কাছে উচ্চস্বরে কুরআন না পড়ে।

وعَنِ ابنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ إِنَّ الْمُصَلِّيَ يُنَاجِي رَبَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فَلْيَنْظُرْ أَحَدُكُمْ بِمَا يُنَاجِي رَبَّهُ وَلَا يَجْهَرْ بَعْضُكُمْ عَلَى بَعْضٍ بِالْقِرَاءَةِ

وعن ابن عمر قال قال رسول الله ﷺ ان المصلي يناجي ربه عز وجل فلينظر احدكم بما يناجي ربه ولا يجهر بعضكم على بعض بالقراءة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১২/ কুরআন

পরিচ্ছেদঃ সুললিত কণ্ঠে কুরআন পড়া মুস্তাহাব। মধুরকণ্ঠের কারীকে তা পড়ার আবেদন করা ও তা মনোযোগ সহকারে শোনা প্রসঙ্গে

(১৪৪১) আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, (হে ইবনে মাসঊদ!) আমাকে কুরআন পড়ে শুনাও। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি আপনাকে পড়ে শোনাব, অথচ আপনার উপরে তা অবতীর্ণ করা হয়েছে?’ তিনি বললেন, অপরের মুখ থেকে (কুরআন পড়া) শুনতে আমি ভালবাসি। সুতরাং তাঁর সামনে আমি সূরা নিসা পড়তে লাগলাম, পড়তে পড়তে যখন এই (৪১) আয়াতে পৌঁছলাম—যার অর্থ, তখন তাদের কী অবস্থা হবে, যখন প্রত্যেক সম্প্রদায় থেকে একজন সাক্ষী উপস্থিত করব এবং তোমাকেও তাদের সাক্ষীরূপে উপস্থিত করব? তখন তিনি বললেন, যথেষ্ট, এখন থাম। অতঃপর আমি তাঁর দিকে ফিরে দেখি, তাঁর নয়ন যুগল অশ্রু ঝরাচ্ছে।

وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ : قَالَ لِي النَّبِيُّ ﷺ اِقْرَأْ عَلَيَّ القُرْآنَ فَقُلْتُ : يَا رَسُولَ اللهِ، أَقْرَأُ عَلَيْكَ وَعَلَيْكَ أُنْزِلَ قَالَإنِّي أُحِبُّ أَنْ أَسْمَعَهُ مِنْ غَيْرِيفَقَرَأْتُ عَلَيْهِ سُورَةَ النِّسَاءِ حَتَّى جِئْتُ إِلَى هَذِهِ الآيَةِ: فَكَيْفَ إِذَا جِئْنَا مِنْ كُلِّ أُمَّةٍ بِشَهِيدٍ وَجِئْنَا بِكَ عَلَى هَؤُلاَءِ شَهِيداً قَالَ :( حَسْبُكَ الآنَ فَالْتَفَتُّ إِلَيْهِ فَإذَا عَيْنَاهُ تَذْرِفَانِ متفقٌ عَلَيْهِ

وعن ابن مسعود قال قال لي النبي ﷺ اقرا علي القران فقلت يا رسول الله اقرا عليك وعليك انزل قالاني احب ان اسمعه من غيريفقرات عليه سورة النساء حتى جىت الى هذه الاية فكيف اذا جىنا من كل امة بشهيد وجىنا بك على هولاء شهيدا قال حسبك الان فالتفت اليه فاذا عيناه تذرفان متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১২/ কুরআন
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৯ পর্যন্ত, সর্বমোট ৯ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে