আবুদ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে ২৩২ টি

পরিচ্ছেদঃ ১২১৭. রমযানের কয়েকদিন সওম করে যদি কেউ সফর আরম্ভ করে

১৮২১। ’আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আবুদ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোন এক সফরে প্রচন্ড গরমের দিনে আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে রওয়ানা হলাম। গরম এত প্রচন্ড ছিল যে, প্রত্যেকেই নিজ নিজ হাত মাথার উপরে তুলে ধরেছিলেন। এ সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং ইবনু রাওয়াহা (রাঃ) ছাড়া আমাদের কেউই সায়িম ছিল না।

باب إِذَا صَامَ أَيَّامًا مِنْ رَمَضَانَ ثُمَّ سَافَرَ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، أَنَّ إِسْمَاعِيلَ بْنَ عُبَيْدِ اللَّهِ، حَدَّثَهُ عَنْ أُمِّ الدَّرْدَاءِ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ فِي يَوْمٍ حَارٍّ حَتَّى يَضَعَ الرَّجُلُ يَدَهُ عَلَى رَأْسِهِ مِنْ شِدَّةِ الْحَرِّ، وَمَا فِينَا صَائِمٌ إِلاَّ مَا كَانَ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَابْنِ رَوَاحَةَ‏.‏


Narrated Abu Ad-Darda: We set out with Allah's Messenger (ﷺ) on one of his journeys on a very hot day, and it was so hot that one had to put his hand over his head because of the severity of heat. None of us was fasting except the Prophet and Ibn Rawaha.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবুদ দারদা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২০৮৪. পরিচ্ছেদ নাই

৩৩৯৯। ইবনু হিশাম আম্মার (রহঃ) ... আবূ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বসা ছিলাম। এমন সময় আবূ বকর (রাঃ) পরিহিত কাপড়ের একপাশে এমনভাবে ধরে রেখে আসলেন যে তাঁর উভয় হাঁটু বেরিয়ে পড়ছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমাদের এ সাথী এইমাত্র কারো সাথে ঝগড়া করে আসছে। (এমন সময় আবূ বকর (রাঃ) মজলিসে উপস্থিত হয়ে) তিনি সালাম করলেন এবং বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার এবং উমর ইবনু খাত্তাবের মাঝে একটি বিষয়ে কিছু বচসা হয়ে গেছে। আমিই প্রথম কটু কথা বলেছি। তারপর আমি লজ্জিত হয়ে তাঁর নিকট ক্ষমা চেয়েছি। কিন্তু তিনি ক্ষমা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এখন আমি আপনার খেদমতে হাযির হয়েছি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহ তোমাকে ক্ষমা করবেন, হে আবূ বকর (রাঃ)। একথাটি তিনি তিনবার বললেন।

এরপর উমর (রাঃ) লজ্জিত ও অনুতপ্ত হয়ে আবূ বকর (রাঃ) এর বাড়িতে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, আবূ বকর (রাঃ) কি বাড়িতে আছেন? তাঁরা বলল না। তখন উমর (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে চলে আসলেন। (তাঁকে দেখে) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চেহারা বিবর্ণ হয়ে গেল। আবূ বকর (রাঃ) ভীত হয়ে নতজানোু হয়ে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমিই প্রথম অন্যায় করেছি। একথাটি তিনি দু’বার বললেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহ যখন আমাকে তোমাদের নিকট রাসূলরূপে প্রেরণ করেছেন তখন তোমরা সবাই বলেছ, তুমি মিথ্যা বলছ আর আবূ বকর বলেছে, আপনি সত্য বলেছেন। তাঁর জান ও মাল সর্বস্ব দিয়ে আমার প্রতি যে সহানুভুতি দেখিয়েছে তা নজিরবিহীন। তোমরা কি আমার খাতিরে আমার সাথীকে অব্যাহতি প্রদান করবে? এ কথাটি তিনি দু’বার বলেছেন। এরপর আবূ বকর (রাঃ) কে আর কখনও কষ্ট দেয়া হয় নি।

باب

حَدَّثَنِي هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ وَاقِدٍ، عَنْ بُسْرِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ عَائِذِ اللَّهِ أَبِي إِدْرِيسَ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كُنْتُ جَالِسًا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِذْ أَقْبَلَ أَبُو بَكْرٍ آخِذًا بِطَرَفِ ثَوْبِهِ حَتَّى أَبْدَى عَنْ رُكْبَتِهِ، فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَمَّا صَاحِبُكُمْ فَقَدْ غَامَرَ ‏"‏‏.‏ فَسَلَّمَ، وَقَالَ إِنِّي كَانَ بَيْنِي وَبَيْنَ ابْنِ الْخَطَّابِ شَىْءٌ فَأَسْرَعْتُ إِلَيْهِ ثُمَّ نَدِمْتُ، فَسَأَلْتُهُ أَنْ يَغْفِرَ لِي فَأَبَى عَلَىَّ، فَأَقْبَلْتُ إِلَيْكَ فَقَالَ ‏"‏ يَغْفِرُ اللَّهُ لَكَ يَا أَبَا بَكْرٍ ‏"‏‏.‏ ثَلاَثًا، ثُمَّ إِنَّ عُمَرَ نَدِمَ فَأَتَى مَنْزِلَ أَبِي بَكْرٍ فَسَأَلَ أَثَمَّ أَبُو بَكْرٍ فَقَالُوا لاَ‏.‏ فَأَتَى إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، فَسَلَّمَ فَجَعَلَ وَجْهُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَتَمَعَّرُ حَتَّى أَشْفَقَ أَبُو بَكْرٍ، فَجَثَا عَلَى رُكْبَتَيْهِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَاللَّهِ أَنَا كُنْتُ أَظْلَمَ مَرَّتَيْنِ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنَّ اللَّهَ بَعَثَنِي إِلَيْكُمْ فَقُلْتُمْ كَذَبْتَ‏.‏ وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ صَدَقَ‏.‏ وَوَاسَانِي بِنَفْسِهِ وَمَالِهِ، فَهَلْ أَنْتُمْ تَارِكُو لِي صَاحِبِي ‏"‏‏.‏ مَرَّتَيْنِ فَمَا أُوذِيَ بَعْدَهَا‏.‏


Narrated Abu Ad-Darda: While I was sitting with the Prophet, Abu Bakr came, lifting up one corner of his garment uncovering his knee. The Prophet (ﷺ) said, "Your companion has had a quarrel." Abu Bakr greeted (the Prophet (ﷺ) ) and said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! There was something (i.e. quarrel) between me and the Son of Al-Khattab. I talked to him harshly and then regretted that, and requested him to forgive me, but he refused. This is why I have come to you." The Prophet (ﷺ) said thrice, "O Abu Bakr! May Allah forgive you." In the meanwhile, `Umar regretted (his refusal of Abu Bakr's excuse) and went to Abu Bakr's house and asked if Abu Bakr was there. They replied in the negative. So he came to the Prophet (ﷺ) and greeted him, but signs of displeasure appeared on the face of the Prophet (ﷺ) till Abu Bakr pitied (`Umar), so he knelt and said twice, "O Allah's Messenger (ﷺ)! By Allah! I was more unjust to him (than he to me)." The Prophet (ﷺ) said, "Allah sent me (as a Prophet) to you (people) but you said (to me), 'You are telling a lie,' while Abu Bakr said, 'He has said the truth,' and consoled me with himself and his money." He then said twice, "Won't you then give up harming my companion?" After that nobody harmed Abu Bakr.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবুদ দারদা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৩৮০. আল্লাহর বাণীঃ বল, হে মানুষ! আমি তোমাদের সকলের জন্যে আল্লাহর রাসুল। যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্বের অধিকারী; তিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নেই, তিনিই জীবিত করেন ও মৃত্যু ঘটান, সুতরাং তোমরা ঈমান আন আল্লাহর প্রতি ও তার বার্তাবাহক উম্মী নবীর প্রতি, যে আল্লাহ ও তার বাণীতে ঈমান আনে এবং তোমরা তার অনুসরণ কর যাতে তোমরা পথ পাও। (৭ঃ ১৫৮)

৪২৮৫। আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আবূদ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আবূ বকর (রাঃ) ও উমর (রাঃ) এর মধ্যে বিতর্ক হয়েছিল, আবূ বকর (রাঃ) উমর (রাঃ) কে চটিয়ে দিয়েছিলেন, এরপর রাগান্বিত অবস্থায় উমর (রাঃ) সেখান থেকে প্রস্থান করলেন, আবূ বকর (রাঃ) তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে করতে তাঁর পিছু ছুটলেন কিন্তু উমর (রাঃ) ক্ষমা করলেন না, বরং তাঁর সম্মুখের দরজা বন্ধ করে দিলেন। এরপর আবূ বকর (রাঃ) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকটে আসলেন। আবূদ দারদা (রাঃ) বলেন, আমরা তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে ছিলাম, ঘটনা শোনার পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমাদের এই সাথী আবূ বকর (রাঃ) অগ্রে কল্যাণ লাভ করেছে। তিনি বলেন, এতে উমর লজ্জাবোধ করলেন এবং সালাম করে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পাশে বসে পড়লেন ও ইতিবৃত্ত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে সব বর্ণনা করলেন।

আবূ দারদা (রাঃ) বলেন, এতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অসন্তুষ্ট হলেন। আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) বারবার বলছিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি অধিক দোষী ছিলাম। অনন্তর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা আমার জন্য আমার সাথীটাকে রাখবে কি? তোমরা আমার জন্য আমার সাথীটাকে রাখবে কি? এমন একদিন ছিল যখন আমি বলেছিলাম, ’’হে লোক সকল! আমি তোমাদের সকলের জন্য রাসূল, তখন তোমরা বলেছিলেন, ’’তুমি মিথ্যা বলেছ’’ আর আবূ বকর (রাঃ) বলেছিল, ’’আপনি সত্য বলেছেন।’’ ইমাম আবূ আবদুল্লাহ বুখারী (রহঃ) বলেনغَامَرَ অগ্রে কল্যাণ লাভ করেছে।

باب قل يا أيها الناس إني رسول الله إليكم جميعا الذي له ملك السموات والأرض لا إله إلا هو يحيي ويميت فآمنوا بالله ورسوله النبي الأمي الذي يؤمن بالله وكلماته واتبعوه لعلكم تهتدون

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَمُوسَى بْنُ هَارُونَ، قَالاَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْعَلاَءِ بْنِ زَبْرٍ، قَالَ حَدَّثَنِي بُسْرُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا الدَّرْدَاءِ، يَقُولُ كَانَتْ بَيْنَ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ مُحَاوَرَةٌ، فَأَغْضَبَ أَبُو بَكْرٍ عُمَرَ، فَانْصَرَفَ عَنْهُ عُمَرُ مُغْضَبًا، فَاتَّبَعَهُ أَبُو بَكْرٍ يَسْأَلُهُ أَنْ يَسْتَغْفِرَ لَهُ، فَلَمْ يَفْعَلْ حَتَّى أَغْلَقَ بَابَهُ فِي وَجْهِهِ، فَأَقْبَلَ أَبُو بَكْرٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَبُو الدَّرْدَاءِ وَنَحْنُ عِنْدَهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَمَّا صَاحِبُكُمْ هَذَا فَقَدْ غَامَرَ ‏"‏‏.‏ قَالَ وَنَدِمَ عُمَرُ عَلَى مَا كَانَ مِنْهُ فَأَقْبَلَ حَتَّى سَلَّمَ وَجَلَسَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَقَصَّ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْخَبَرَ‏.‏ قَالَ أَبُو الدَّرْدَاءِ وَغَضِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَجَعَلَ أَبُو بَكْرٍ يَقُولُ وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ لأَنَا كُنْتُ أَظْلَمَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ هَلْ أَنْتُمْ تَارِكُو لِي صَاحِبِي هَلْ أَنْتُمْ تَارِكُو لِي صَاحِبِي إِنِّي قُلْتُ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي رَسُولُ اللَّهِ إِلَيْكُمْ جَمِيعًا فَقُلْتُمْ كَذَبْتَ‏.‏ وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ صَدَقْتَ ‏ قَالَ أَبُو عَبْد اللَّهِ غَامَرَ سَبَقَ بِالْخَيْر"‏‏.‏


Narrated Abu Ad-Darda: There was a dispute between Abu Bakr and `Umar, and Abu Bakr made `Umar angry. So `Umar left angrily. Abu Bakr followed him, requesting him to ask forgiveness (of Allah) for him, but `Umar refused to do so and closed his door in Abu Bakr's face. So Abu Bakr went to Allah's Messenger (ﷺ) while we were with him. Allah's Messenger (ﷺ) said, "This friend of yours must have quarrelled (with somebody)." In the meantime `Umar repented and felt sorry for what he had done, so he came, greeted (those who were present) and sat with the Prophet (ﷺ) and related the story to him. Allah's Messenger (ﷺ) became angry and Abu Bakr started saying, "O Allah's Messenger (ﷺ)! By Allah, I was more at fault (than `Umar)." Allah's Apostle said, "Are you (people) leaving for me my companion? (Abu Bakr), Are you (people) leaving for me my companion? When I said, 'O people I am sent to you all as the Messenger of Allah,' you said, 'You tell a lie.' while Abu Bakr said, 'You have spoken the truth ."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবুদ দারদা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৮. সালাতে শয়তানকে লানত করা, শয়তান হতে আশ্রয় প্রার্থনা করা এবং ‘আমলে কালীল’ করা বৈধ

১০৯৪। মুহাম্মাদ ইবন সালাম আল-মুরাদী (রঃ) ... আবুদ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতের উদ্দেশ্যে দাঁড়ালেন। আমি শুনতে পেলাম, তিনি বলছিলেনأَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْكَ (আমি তোমার থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি)। তারপর তিনবার বললেন, আমি তোমাকে লা’নত করছি, যেরুপ আল্লাহ্‌ তোমাকে লা’নত করেছনে। এরপর তিনি তার হাত বাড়িয়ে দিলেন-যেন কোনও জিনিস ধরছিলেন। পড়ে যখন তিনি সালাত শেষ করলেন, তখন আমি আরজ করলাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আজ আমি আপনাকে সালাতে এমন কিছু বলতে শুনেছি, যা ইতিপূর্বে কখনও শুনিনি। আরও দেখলাম যে, আপনি আপনার হাত বাড়িয়ে দিলেন।

তিনি বললেন, আল্লাহর দুশমন ইবলিশ আমার মুখে লাগানোর জন্য আগুনের একটি শিখা নিয়ে এসেছিল। তাই আমি তিনবার أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْكَ বললাম। তারপরত তিনবার বললাম أَلْعَنُكَ بِلَعْنَةِ اللَّهِ التَّامَّةِ অর্থাৎ আমি তমার উপর আল্লাহর পূর্ণ অভিশাপ বর্ষণ করছি। কিন্তু সে তখনও হটে গেল না। শেষে তাকে পাকড়াও করার ইচ্ছা হয়েছিল। আল্লাহর কসম! যদি আমার ভাই সুলায়মান আলাইহিস সালামের দু’আ না থাকত, তবে সে ভোর পর্যন্ত বাঁধা থাকত আর মদিনার শিশুরা তাকে নিয়ে খেলা করত।

باب جَوَازِ لَعْنِ الشَّيْطَانِ فِي أَثْنَاءِ الصَّلاَةِ وَالتَّعَوُّذِ مِنْهُ وَجَوَازِ الْعَمَلِ الْقَلِيلِ فِي الصَّلاَةِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمُرَادِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، يَقُولُ حَدَّثَنِي رَبِيعَةُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَمِعْنَاهُ يَقُولُ ‏"‏ أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْكَ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ أَلْعَنُكَ بِلَعْنَةِ اللَّهِ ‏"‏ ‏.‏ ثَلاَثًا ‏.‏ وَبَسَطَ يَدَهُ كَأَنَّهُ يَتَنَاوَلُ شَيْئًا فَلَمَّا فَرَغَ مِنَ الصَّلاَةِ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ سَمِعْنَاكَ تَقُولُ فِي الصَّلاَةِ شَيْئًا لَمْ نَسْمَعْكَ تَقُولُهُ قَبْلَ ذَلِكَ وَرَأَيْنَاكَ بَسَطْتَ يَدَكَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ إِنَّ عَدُوَّ اللَّهِ إِبْلِيسَ جَاءَ بِشِهَابٍ مِنْ نَارٍ لِيَجْعَلَهُ فِي وَجْهِي فَقُلْتُ أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْكَ ‏.‏ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ قُلْتُ أَلْعَنُكَ بِلَعْنَةِ اللَّهِ التَّامَّةِ فَلَمْ يَسْتَأْخِرْ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ أَرَدْتُ أَخْذَهُ وَاللَّهِ لَوْلاَ دَعْوَةُ أَخِينَا سُلَيْمَانَ لأَصْبَحَ مُوثَقًا يَلْعَبُ بِهِ وِلْدَانُ أَهْلِ الْمَدِينَةِ ‏"‏ ‏.‏


Abu Darda' reported: Allah's Messenger (ﷺ) stood up (to pray) and we heard him say:" I seek refuge in Allah from thee." Then said:" curse thee with Allah's curse" three times, then he stretched out his hand as though he was taking hold of something. When he finished the prayer, we said: Messenger of Allah, we heard you say something during the prayer which we have not heard you say before, and we saw you stretch out your hand. He replied: Allah's enemy Iblis came with a flame of fire to put it in my face, so I said three times:" I Seek refuge in Allah from thee." Then I said three times:" I curse thee with Allah's full curse." But he did not retreat (on any one of these) three occasions. Thereafter I meant to seize him. I swear by Allah that had it not been for the supplication of my brother Sulaiman he would have been bound, and made an object of sport for the children of Medina.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবুদ দারদা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৩. চাশতের (পূর্বাহ্ণের) সালাত মুস্তাহাব হওয়া

১৫৪৮। হারুন ইবনু আবদুল্লাহ ও মুহাম্মাদ ইবনু রাফি’ (রহঃ) ... আবূদ দারদা (রাঃ) বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার বন্ধু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে তিনটি বিষয়ের উপদেশ দিয়েছেন। যতদিন আমি জীবিত থাকব, ততদিন তা ছাড়ব না। প্রতি মাসে তিনটি রোযা রাখা, চাশতের সালাত আদায় করা এবং বিতর আদায় না করা পর্যন্ত যেন আমি নিদ্রায় না যাই।

باب اسْتِحْبَابِ صَلاَةِ الضُّحَى

وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُنَيْنٍ، عَنْ أَبِي مُرَّةَ، مَوْلَى أُمِّ هَانِئٍ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ أَوْصَانِي حَبِيبِي صلى الله عليه وسلم بِثَلاَثٍ لَنْ أَدَعَهُنَّ مَا عِشْتُ بِصِيَامِ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ وَصَلاَةِ الضُّحَى وَبِأَنْ لاَ أَنَامَ حَتَّى أُوتِرَ ‏.‏


Abu Murra, the freed slave of Umm Hani, narrated on the authority of Abu Darda': My Friend (ﷺ) instructed me in three (acts), and I would never abandon them as long as I live. (And these three things are): Three fasts during every month, the forenoon prayer, and this that I should not sleep till I have observed the Witr prayer.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবুদ দারদা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১০. সূরা কাহ্‌ফ এবং আয়াতুল কুরসীর ফযীলত

১৭৫৬। মুহাম্মাদ ইবনুল মূসান্না (রহঃ) ... আবূ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যাক্তি সূরা কাহফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করবে সে দাজ্জাল এর ফিতনা থেকে রক্ষা পাবে।

باب فَضْلِ سُورَةِ الْكَهْفِ وَآيَةِ الْكُرْسِيِّ ‏

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَالِمِ، بْنِ أَبِي الْجَعْدِ الْغَطَفَانِيِّ عَنْ مَعْدَانَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ الْيَعْمَرِيِّ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ مَنْ حَفِظَ عَشْرَ آيَاتٍ مِنْ أَوَّلِ سُورَةِ الْكَهْفِ عُصِمَ مِنَ الدَّجَّالِ ‏"‏


Abu Darda' reported Allah's Apostle (ﷺ) as saying: If anyone learns by heart the first ten verses of the Surah al-Kahf, he will be protected from the Dajjal.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবুদ দারদা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১১. সূরা ইখলাস পাঠের ফযীলত

১৭৫৯। যুহায়র ইবনু হারব ও মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ... আবূ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কেউ কি এতে অক্ষম যে, এক রাতে কুরআনের এক তৃতীয়াংশ পড়বে? সাহাবাগণ বললেন, কুরআনের এক-তৃতীয়াংশ কেমন করে পড়তে পারব? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ (সূরা ইখলাস) কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান।

باب فَضْلِ قِرَاءَةِ ‏{‏ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ‏}‏ ‏

وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ مَعْدَانَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ أَيَعْجِزُ أَحَدُكُمْ أَنْ يَقْرَأَ فِي لَيْلَةٍ ثُلُثَ الْقُرْآنِ ‏" قَالُوا : وَكَيْفَ يَقْرَأْ ثُلُثَ الْقُرْآنِ ؟ قَالَ : " قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ تَعْدِلُ ثُلُثَ الْقُرْآنِ " ‏.‏


Abu Darda' reported Allah's Apostle (ﷺ) as saying: Is any one of you incapable of reciting a third of the Qur'an in a night? They (the Companions) asked: How could one recite a third of the Qur'an (in a night)? Upon this he (the Holy Prophet) said: "'Say: He is Allah, One' (Qur'an. cxii) is equivalent to a third of the Qur'an."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবুদ দারদা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৫. অবৈধ নয় এমন কাজে রমযান মাসে সফরকারী ব্যক্তির জন্য সাওম পালন করা এবং ইফতার করা উভয়ই জায়েয যদি দুই বা ততোধিক মঞ্জিলের উদ্দেশ্যে সফর করা হয়; অবশ্য সক্ষম ব্যক্তির জন্য সাওম পালন করা উত্তম এবং অক্ষম ব্যক্তির জন্য সাওম হতে বিরত থাকা উত্তম

২৫০১। দাউদ ইবনু রুশায়দ (রহঃ) ... আবূ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক প্রচণ্ড গরমের দিনে রমযান মাসে আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সফরে বের হলাম। গরম এত প্রচণ্ড ছিল যে, আমাদের প্রত্যেকেই নিজ নিজ হাত মাথার উপর তুলে ধরেছিল। আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আবদুল্লাহ ইবনু রাওয়াহ (রাঃ) ব্যাতিত আমাদের মাঝে কেউই সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালনকারী ছিল না।

باب جواز الصوم والفطر في شهر رمضان للمسافر في غير معصية إذا كان سفره مرحلتين فأكثر وأن الأفضل لمن أطاقه بلا ضرر أن يصوم ولمن يشق عليه أن يفطر

حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ رُشَيْدٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ أُمِّ الدَّرْدَاءِ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، - رضى الله عنه - قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي شَهْرِ رَمَضَانَ فِي حَرٍّ شَدِيدٍ حَتَّى إِنْ كَانَ أَحَدُنَا لَيَضَعُ يَدَهُ عَلَى رَأْسِهِ مِنْ شِدَّةِ الْحَرِّ وَمَا فِينَا صَائِمٌ إِلاَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ ‏.‏


Abu Darda' (Allah be pleased with him) reported: We set out during the month of Ramadan with the Messenger of Allah (ﷺ) in such an intense heat that one of us would place his hand over his head (in order to protect himself) against the excessive heat, and none among us was observing the fast, except the Messenger of Allah (ﷺ) and 'Abdullah b. Rawaha.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবুদ দারদা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৩. গর্ববতী যুদ্ধবন্দিণী দাসীর সাথে সঙ্গম করা হারাম

৩৪৩১। মুহাম্মদ ইবনুল মূসান্না ও মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ... আবুদ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, একদা আসন্ন প্রসবা জনৈকা গর্ভবতী দাসীকে তাঁবুর দরজায় আনা হয়। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সম্ভবত ঐ ব্যক্তি তার সাথে সঙ্গম করতে চায়। লোকেরা বলল, হ্যাঁ। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি মনে করেছি, তাকে এমন লা’নত দেই, যে লা’নতসহ সে কবরে প্রবেশ করে। কিভাবে সে তাকে দাসীর গর্ভস্থ সন্তানকে ওয়ারিস বানাবে অথচ তা তার জন্য বৈধ নয়? কেমন করে সে তাকে (সন্তানকে) খাদিম বানাবে অথচ সে তার জন্য বৈধ নয়।

باب تَحْرِيمِ وَطْءِ الْحَامِلِ الْمَسْبِيَّةِ ‏

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ خُمَيْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ جُبَيْرٍ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ أَتَى بِامْرَأَةٍ مُجِحٍّ عَلَى بَابِ فُسْطَاطٍ فَقَالَ ‏"‏ لَعَلَّهُ يُرِيدُ أَنْ يُلِمَّ بِهَا ‏"‏ ‏.‏ فَقَالُوا نَعَمْ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ أَلْعَنَهُ لَعْنًا يَدْخُلُ مَعَهُ قَبْرَهُ كَيْفَ يُوَرِّثُهُ وَهُوَ لاَ يَحِلُّ لَهُ كَيْفَ يَسْتَخْدِمُهُ وَهُوَ لاَ يَحِلُّ لَهُ ‏"‏ ‏.‏


Abu Darda' (Allah be pleased with him) related from the Prophet of Allah (ﷺ) that he came upon a woman who was in the advanced stage of pregnancy at the door of a tent. He (the Holy Prophet) said: Perhaps he (the man accompanying her) intends to cohabit with her. They said: Yes. Thereupon Allah's Messenger (ﷺ) said: I have decided to curse him with such a curse as may go along with him to his grave. How can he own him (the child to be born) and that is not lawful for him, and how can he take him as a servant for that is not lawful for him?


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবুদ দারদা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৪. চতুষ্পদ প্রাণী ইত্যাদিকে লা'নত করা নিষিদ্ধ

৬৩৭৫। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ... আবূ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, লা’নতকারীরা কিয়ামত দিবসে সাক্ষী ও সুপারিশকারী হবে না।

باب النَّهْىِ عَنْ لَعْنِ الدَّوَابِّ، وَغَيْرِهَا، ‏‏

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، وَأَبِي، حَازِمٍ عَنْ أُمِّ الدَّرْدَاءِ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ إِنَّ اللَّعَّانِينَ لاَ يَكُونُونَ شُهَدَاءَ وَلاَ شُفَعَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏"‏ ‏.‏


Umm Darda' reported on the authority of Abu Darda' as saying: I heard Allah's Messenger (ﷺ) as saying: The invoker of curse would neither be witness nor intercessor on the Day of Resurrection.


পরিচ্ছেদঃ ২৩. মুসলিমদের জন্য তাদের অনুপস্থিতিতে দু'আর ফযীলত

৬৬৭৮। আহমাদ ইবনু উমর ইবনু হাফস ওয়াকী (রহঃ) ... আবূ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন মুসলিম বান্দা তার ভাই এর অনুপস্থিতিতে তার জন্য দু’আ করলে একজন ফিরিশতা তার জবাবে বলে "আর তোমার জন্যও অনুরূপ"।

باب فَضْلِ الدُّعَاءِ لِلْمُسْلِمِينَ بِظَهْرِ الْغَيْبِ ‏‏

حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ عُمَرَ بْنِ حَفْصٍ الْوَكِيعِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ كَرِيزٍ، عَنْ أُمِّ الدَّرْدَاءِ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَا مِنْ عَبْدٍ مُسْلِمٍ يَدْعُو لأَخِيهِ بِظَهْرِ الْغَيْبِ إِلاَّ قَالَ الْمَلَكُ وَلَكَ بِمِثْلٍ ‏"‏ ‏.‏


Abu Dharr reported that Allah's Messenger (ﷺ) said: There is no believing servant who supplicates for his brother behind his back (in his absence) that the Angels do not say: The same be for you too.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবুদ দারদা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩৩: অনাথ-এতীম, কন্যা-সন্তান ও সমস্ত দুর্বল ও দরিদ্রের সঙ্গে নম্রতা, তাদের প্রতি দয়া ও তাদের সঙ্গে বিনম্র ব্যবহার করার গুরুত্ব

১৩/২৭৭। আবূ দারদা উআইমির রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, ’’আমার জন্য তোমরা দুর্বলদেরকে খুঁজে আনো, কেননা তোমাদের দুর্বলদের কারণেই তোমাদেরকে সাহায্য করা হয় এবং রুযী দেওয়া হয়।’’ (আবূ দাউদ, উত্তম সূত্রে) [1]

بَابُ مُلَاطَفَةِ الْيَتِيْمِ وَالْبَنَاتِ وَسَائِرِ الضَّعْفَةِ وَالْمَسَاكِيْنَ وَالتَّوَاضُعِ مَعَهُمْ وَخَفْضِ الْجَنَاحِ لَهُمْ - (33)

وَعَنْ أَبِي الدَّردَاءِ عُوَيمِرٍ رضي الله عنه، قَالَ : سَمِعتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: «ابْغُونِي الضُّعَفَاءَ، فَإنَّمَا تُنْصَرُونَ وتُرْزَقُونَ، بِضُعَفَائِكُمْ». رواه أَبُو داود بإسناد جيد

(33) Chapter: Benevolent Treatment towards Orphans, Girls, the Weak, the Poor and the Humble Persons


Abud-Darda (May Allah be pleased with him) reported: Messenger of Allah (ﷺ) said, "Seek among your weak ones, for you are given provision and help only because of the weak amongst you." [Abu Dawud]. Commentary: This Hadith mentions the reason for the acceptance of the invocations of the weak and poor. Since their hearts are free from the worldly vices and are gifted with greater sincerity and fear of Allah, their prayers are more acceptable to Him. This point has been mentioned more explicitly in Nasa'i which says: "Almighty Allah helps the Ummah because of the prayers, worship and devotion of its weak people". (Aun-ul-Ma`bud, Vol. No. 2, chapter Al-Jihad). The words which occur in most of the manuscripts of Riyad-us-Saliheen are (Abghow fi ad-duafa') and the translation quoted here follows these words. But in the manuscripts of Abu Dawud, the word (fi) does not figure in the text. In one manuscript, however, we find the words (Abghow fi ad-duafa') which means "For me search Muslims who are weak so that I find reason to support you with their prayers".


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবুদ দারদা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪০ : পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার এবং আত্মীয়তা অক্ষুণ্ণ রাখার গুরুত্ব

২৩/৩৩৯। আবূ দারদা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি তাঁর নিকট এসে বলল, ’আমার এক স্ত্রী আছে। আমার মা তাকে ত্বালাক দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন।’ আবূ দারদা বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, ’’পিতা-মাতা জান্নাতের দুয়ারসমূহের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দুয়ার। সুতরাং তুমি যদি চাও, তাহলে এ দুয়ারকে নষ্ট কর অথবা তার রক্ষণাবেক্ষণ কর।’’ (তিরমিযী, হাসান সহীহ সূত্রে)[1]

بَابُ بِرِّ الْوَالِدَيْنِ وَصِلَةِ الأَرْحَامِ - (40)

وَعَن أَبي الدَّردَاءِ رضي الله عنه: أَنَّ رَجُلاً أَتَاهُ، قَالَ : إنّ لِي امرَأةً وإنّ أُمِّي تَأمُرُنِي بِطَلاقِهَا، فَقَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: «الوَالِدُ أوْسَطُ أبْوَابِ الجَنَّةِ، فَإنْ شِئْتَ، فَأضِعْ ذلِكَ البَابَ، أَو احْفَظْهُ». رواه الترمذي، وَقالَ: حديث حسن صحيح»

(40) Chapter: Kind Treatment towards Parents and establishment of the ties of Blood Relationship


Abud-Darda' (May Allah be pleased with him) reported: A man came to me and said, "I have a wife whom my mother commands me to divorce". I replied him that I had heard Messenger of Allah (ﷺ) saying, "A parent is the best of the gates of Jannah; so if you wish, keep to the gate, or lose it." [At-Tirmidhi and Ibn Majah]. Commentary: The word "Walid,'' applies to mother as well as father. As the word "Walidain'' is a dual form and covers mother and father both; similarly the noun "father'', also applies to both. This Hadith also stresses that obedience of parents and submission to their order must have preference over the love for the wife as long as this order of theirs is fair and just.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবুদ দারদা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৭৩: সচ্চরিত্রতার মাহাত্ম্য

৬/৬৩১। আবূ দারদা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’কিয়ামতের দিন (নেকী) ওজন করার দাঁড়ি-পাল্লায় সচ্চরিত্রতার চেয়ে কোনো বস্তুই অধিক ভারী হবে না। আর আল্লাহ তা’আলা অশ্লীল ও চোয়াড়কে অপছন্দ করেন।’’ (তিরমিযী, হাসান সূত্রে) [1]

بَابُ حُسْنِ الْخُلُقِ - (73)

وَعَن أَبي الدَّردَاءِ رضي الله عنه: أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: مَا مِنْ شَيْءٍ أثْقَلُ فِي مِيزَانِ العَبدِ المُؤْمِنِ يَوْمَ القِيَامَةِ مِنْ حُسْنِ الخُلُقِ، وَإنَّ الله يُبْغِضُ الفَاحِشَ البَذِيَّ. رواه الترمذي، وقال:حديث حسن صحيح

(73) Chapter: Good Conduct


Abud-Darda (May Allah be pleased with him) reported: The Prophet (ﷺ) said, "Nothing will be heavier on the Day of Resurrection in the Scale of the believer than good manners. Allah hates one who utters foul or coarse language." [At- Tirmidhi]. Commentary: The most beneficial thing on the Day of Resurrection will be a courteous behaviour which will outweigh all good actions. But that will be witnessed in case of a believer as there is no question of weighing a nonbeliever's good actions. Allah Himself says in the Qur'an: "So their works are in vain, and on the Day of Resurrection, We shall assign no weight for them.'' So will a morally depraved and nonsensical man stand unfavoured with Allah, and this will be a sign of his frustration and disillusionment in the Hereafter.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবুদ দারদা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৮৩: বিশেষ বিশেষ সূরা ও আয়াত পাঠ করার উপর উৎসাহ দান

১৩/১০২৮। আবূ দরদা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম দিক থেকে দশটি আয়াত মুখস্থ করবে, সে দাজ্জালের (ফিতনা) থেকে পরিত্রাণ পাবে।”

অন্য বর্ণনায় ’কাহাফ সূরার শেষ দিক থেকে’ উল্লেখ হয়েছে। (মুসলিম) [1]

(183) بَابُ فِي الْحَثِّ عَلٰى سُوَرٍ وآيَاتٍ مَخْصُوْصَةٍ

وَعَنْ أَبي الدَّردَاءِ رضي الله عنه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ: مَنْ حَفِظَ عَشْرَ آيَاتٍ مِنْ أَوَّلِ سُورَةِ الكَهْفِ، عُصِمَ مِنَ الدَّجَّالِ . وفي رواية: مِنْ آخِرِ سُورَةِ الكَهْفِ - رواهما مسلم

(183) Chapter: Inducement towards the Recitation of some Special verses and Surah of the Noble Qur'an


Abud-Darda' (May Allah be pleased with him) reported: The Messenger of Allah (ﷺ) said: "Whoever commits to memory the first ten Ayat of the Surat Al-Kahf, will be protected from (the trial of) Ad-Dajjal (Antichrist)." [Muslim]. In another narration, the Messenger of Allah (ﷺ) said: "(Whoever commits to memory) the last ten Ayat of Surat Al-Kahf, he will be protected from (the trial of) Ad-Dajjal (Antichrist)." Commentary: Ad-Dajjal will appear sometime before Yaum-ul-Qiyamah. Allah, the Almighty will give him some supernatural powers the manifestation of which will shake the faith of many people. For this reason, this will be a serious trial. All Prophets warned their people against him. Our Prophet (PBUH) also warned us against him and ordered us to guard ourselves from it and strictly advised us to seek Refuge of Allah against it. This Hadith tells us the way to save ourselves from Ad-Dajjal. The recitation of the first or the last ten Ayat of Surat Al-Kahf, in the morning and evening, is very useful for this purpose. Sheikh Al-Albani has, however, regarded the last ten Ayat probably and the first ten Ayat surely effective against this mischief.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবুদ দারদা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৯১: জামাত সহকারে নামাযের ফযীলত

৭/১০৭৭। আবূ দরদা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, “যে কোন গ্রাম বা মরু-অঞ্চলে তিনজন লোক বাস করলে এবং সেখানে (জামাতে) নামায কায়েম না করা হলে শয়তান তাদের উপর প্রভুত্ব বিস্তার করে ফেলে। সুতরাং তোমরা জামাতবদ্ধ হও; কেননা ছাগ পালের মধ্য হতে নেকড়ে সেই ছাগলটিকে ধরে খায়, যে (পাল থেকে) দূরে দূরে থাকে।” (আবূ দাউদ-হাসান সূত্রে)[1]

(191) بَابُ فَضْلِ صَلَاةِ الْجَمَاعَةِ

وَعَنْ أَبِي الدَّردَاءِ رضي الله عنه قَالَ: سَمِعتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَقُوْلُ: «مَا مِنْ ثَلاثَةٍ فِي قَرْيةٍ، وَلاَ بَدْوٍ، لاَ تُقَامُ فِيهِمُ الصَّلاَةُ إلاَّ قَدِ اسْتَحْوَذَ عَلَيْهِم الشَّيْطَانُ . فَعَلَيْكُمْ بِالجَمَاعَةِ، فَإِنَّمَا يَأْكُلُ الذِّئْبُ مِنَ الغَنَمِ القَاصِيَة». رَوَاهُ أبُو دَاوُدَ بإسناد حسن

(191) Chapter: The Excellence of Performing Salat (Prayers) in Congregation


Abud-Darda' (May Allah be pleased with him)reported: I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying, "If three men in a village or in the desert, make no arrangement for Salat in congregation, Satan must have certainly overcome them. So observe Salat in congregation, for the wolf eats up a solitary sheep that stays far from the flock." [Abu Dawud]. Commentary: This Hadith also stresses the importance of offering Salat in congregation and mentions the disadvantages of offering it individually. One who remains aloof from the congregation, is like the sheep which is separated from its herd and becomes a victim of the wolf. One who lives alone is easily overpowered by satanic doubts.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবুদ দারদা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৩০: প্রত্যেক মাসে তিনটি করে রোযা রাখা মুস্তাহাব, প্রতি মাসে শুক্ল পক্ষের ১৩,১৪ ও ১৫ তারিখে রোযা পালন করা উত্তম।। অন্য মতে ১২,১৩, ও ১৪ তারিখে। প্রথমোক্ত মতটিই প্রসিদ্ধ ও বিশুদ্ধ।

২/১২৬৭। আবূ দরদা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’আমার প্রিয় বন্ধু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে এমন তিনটি কাজের অসিয়ত করেছেন, যা আমি যতদিন বেঁচে থাকব, কখনোই ত্যাগ করব না; প্রতি মাসে তিনটি করে রোযা পালন করা, চাশতের নামায পড়া এবং বিতির না পড়ে নিদ্রা না যাওয়া।’ (মুসলিম) [1]

(230) بَابُ اِسْتِحْبَابِ صَوْمِ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ مِّنْ كُلِّ شَهْرٍ وَالْأَفْضَلُ صَوْمُهَا فِيْ أَيَّامِ الْبِيْضِ. وَهِيَ الثَّالِثَ عَشَرَ وَالرَّابِعَ عَشَرَ وَالْخَامِسَ عَشَرَ. وَقِيْلَ: الثَّانِيْ عَشَرَ وَالثَّالِثَ عَشَرَ وَالرَّابِعَ عَشَرَ، وَالصَّحِيْحُ الْمَشْهُوْرُ هُوَ الْأَوَّلُ.

وَعَنْ أَبي الدَّردَاءِ رضي الله عنه، قَالَ: أَوصَانِي حَبِيبِي صلى الله عليه وسلم بِثَلاَثٍ لَنْ أَدَعَهُنَّ مَا عِشْتُ: بِصِيَامِ ثَلاثَةِ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ، وَصَلاَةِ الضُّحَى، وَبِأَنْ لاَ أَنَامَ حَتَّى أُوْتِرَ . رواه مسلم

(230) Chapter: The Desirability of Observing Three Days of Fasting in Every Month


Abud-Darda (May Allah be pleased with him) reported: My friend (the Messenger of Allah) (ﷺ) directed me to observe Saum (fasting) for three days in every month, to perform two Rak'ah (optional) Duha prayer at forenoon, and to perform the Witr prayer before going to bed. [Al-Bukhari and Muslim].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবুদ দারদা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৪১: ইলমের ফযীলত

১৩/১৩৯৬। আবূ দরদা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, “যে ব্যক্তি এমন পথে গমন করে, যাতে সে জ্ঞানার্জন করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের পথ সুগম করে দেন। আর ফেরেশতাবর্গ তালেবে ইলমের জন্য তার কাজে প্রসন্ন হয়ে নিজেদের ডানাগুলি বিছিয়ে দেন। অবশ্যই আলিম ব্যক্তির জন্য আকাশ-পৃথিবীর সকল বাসিন্দা এমনকি পানির মাছ পর্যন্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকে। আবেদের উপর আলিমের ফযীলত ঠিক তেমনি, যেমন সমগ্র নক্ষত্রপুঞ্জের উপর পূর্ণিমার চাঁদের ফযীলত। উলামা সম্প্রদায় পরগম্বরদের উত্তরাধিকারী। আর এ কথা সুনিশ্চিত যে, পয়গম্বরগণ কোন রৌপ্য বা স্বর্ণ মুদ্রার কাউকে উত্তরাধিকারী বানিয়ে যাননি; বরং তাঁরা ইলমের (দ্বীনী জ্ঞানভাণ্ডারের) উত্তরাধিকারী বানিয়ে গেছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি তা অর্জন করল, সে পূর্ণ অংশ লাভ করল।” (আবূ দাউদ, তিরমিযী) [1]

(241) بابُ فَضْلِ الْعِلْمِ

. وَعَن أَبي الدَّردَاءِ رضي الله عنه، قَالَ: سَمِعتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: «مَنْ سَلَكَ طَرِيقاً يَبْتَغِي فِيهِ عِلْماً سَهَّلَ اللهُ لَهُ طَرِيقاً إِلَى الجَنَّةِ، وَإِنَّ المَلاَئِكَةَ لَتَضَعُ أَجْنِحَتَهَا لِطَالِبِ العِلْمِ رِضاً بِمَا يَصْنَعُ، وَإِنَّ العَالِمَ لَيَسْتَغْفِرُ لَهُ مَنْ فِي السَّمَاوَاتِ وَمَنْ فِي الأَرْضِ حَتَّى الحِيتَانُ فِي المَاءِ، وَفَضْلُ العَالِمِ عَلَى العَابِدِ كَفَضْلِ القَمَرِ عَلَى سَائِرِ الكَوَاكِبِ، وَإِنَّ العُلَمَاءَ وَرَثَةُ الأَنْبِيَاءِ، وَإِنَّ الأَنْبِيَاءَ لَمْ يُوَرِّثُوا دِينَاراً وَلاَ دِرْهَماً وَإِنَّمَا وَرَّثُوا العِلْمَ، فَمَنْ أَخَذَهُ أَخَذَ بحَظٍّ وَافِرٍ». رواه أَبُو داود والترمذي

(241) Chapter: Virtues of Knowledge which is Learnt and Taught for the sake of Allah


Abud-Darda (May Allah be pleased with him) reported: The Messenger of Allah (ﷺ) said, "He who follows a path in quest of knowledge, Allah will make the path of Jannah easy to him. The angels lower their wings over the seeker of knowledge, being pleased with what he does. The inhabitants of the heavens and the earth and even the fish in the depth of the oceans seek forgiveness for him. The superiority of the learned man over the devout worshipper is like that of the full moon to the rest of the stars (i.e., in brightness). The learned are the heirs of the Prophets who bequeath neither dinar nor dirham but only that of knowledge; and he who acquires it, has in fact acquired an abundant portion." [Abu Dawud and At- Tirmidhi]. Commentary: Like the preceding Ahadith, this Hadith also mentions the eminence of learning religious knowledge, and respecting and honouring `Ulama'.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবুদ দারদা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৪৪: যিকির তথা আল্লাহকে স্মরণ করার ফযীলত ও তার প্রতি উৎসাহ দান

৩৪/১৪৪৯। আবূ দরদা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা বললেন, “আমি কি তোমাদেরকে তোমাদের উত্তম কাজের সন্ধান দেব না? যা তোমাদের প্রভুর নিকট সবচেয়ে পবিত্র, তোমাদের মর্যাদা সবার চেয়ে বেশি বৃদ্ধিকারী, সোনা-চাঁদি দান করার চেয়ে উত্তম এবং শত্রুর সম্মুখীন হয়ে গর্দান কাটা ও কাটানোর চেয়ে শ্রেয়।” সকলে বলল, ’অবশ্যই বলে দিন।’ তিনি বললেন, “আল্লাহ তা’আলার যিকির।” (তিরমিযী, আবূ আব্দুল্লাহ হাকেম বলেছেন, এর সনদ সহীহ) [1]

(244) بَابُ فَضْلِ الذِّكْرِ وَالْحَثِّ عَلَيْهِ

وَعَنْ أَبي الدَّردَاءِ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم : «أَلاَ أُنَبِّئُكُمْ بِخَيْرِ أَعْمَالِكُمْ، وَأَزْكَاهَا عِنْدَ مَلِيكِكُمْ، وَأَرْفَعِهَا فِي دَرَجَاتِكُمْ، وَخَيرٍ لَكُمْ مِنْ إِنْفَاقِ الذَّهَبِ والفِضَّةِ، وَخَيْرٍ لَكُمْ مِنْ أَن تَلْقَوا عَدُوَّكُمْ فَتَضْرِبُوا أَعْنَاقَهُمْ وَيَضْرِبُوا أَعْنَاقَكُمْ ؟» قَالَوا: بَلَى، قَالَ: ذِكرُ الله تَعَالَى» . رواه الترمذي، قَالَ الحاكم أَبُو عبد الله: إسناده صحيح

(244) Chapter: The Excellence of the Remembrance of Allah


Abud-Darda (May Allah be pleased with him) reported: The Messenger of Allah (ﷺ) said, "Shall I not inform you of the best of your actions which are the purest to your Rubb, which exalt you to the high ranks, which are more efficacious than spending gold and silver (in charity), and better for you than you should encounter your enemies whom you will smite their necks and they will smite your necks?" They said, "Certainly." He (ﷺ) said, "Remembrance of Allah the Exalted." [At-Tirmidhi]. Commentary: This Hadith also tells us about the eminence of remembrance of Allah, as the basis of every good deed is remembrance of Allah and expression of one's devotion and obedience to Him. Without these two, even the greatest virtue is useless and is of no value. Thus, we must always bear it in mind that remembrance of Allah is superior to everything else.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবুদ দারদা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৫০: দো‘আর গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কতিপয় দো‘আর নমুনা

২৬/১৪৯৮। আবুদ দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: দাউদ (আঃ)-এর একটি দো’আ ছিল: “আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা হুববাকা ওয়া হুববা মাইয়্যুহিববুকা ওয়াল ’আমলাল্লাযী ইউবাল্লিগুনী হুববাকা, আল্লাহুম্মাজআল হুববাকা আহাববা ইলাইয়্যা মিন নাফসী ওয়া আহলী ওয়া মিনাল মাইল বারিদ” (হে আল্লাহ! তোমার কাছে আমি তোমার ভালবাসা চাচ্ছি এবং সেই লোকের ভালবাসা চাচ্ছি, যে তোমাকে ভালবাসে, আর এমন আমল চাচ্ছি, যা আমাকে তোমার ভালবাসার নিকট পৌঁছিয়ে দিবে। হে আল্লাহ! আমার কাছে তোমার ভালবাসাকে আমার জীবন, আমার পরিবার-পরিজন ও ঠাণ্ডা পানির চেয়ে অধিক প্রিয় কর)। (তিরমিযী হাদিসটিকে হাসান বলেছেন)[1]

(250) بَابُ فَضْلِ الدُّعَاءِ

وَعَنْ أَبِيْ الدَّردَاءِ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم : «كَانَ مِنْ دُعَاءِ دَاوُدَ عَلَيْهِ السَلَام: «اَللهم إِنِّيْ أَسْأَلُكَ حُبَّكَ، وَحُبَّ مَنْ يُّحِبُّكَ، وَالْعَمَلَ الذِّيْ يُبَلِّغُنِيْ حُبَّكَ اَللهم اجْعَلْ حُبَّكَ أَحَبَّ إِلَيَّ مِن نَّفْسِيْ، وَأَهْلِيْ، وَمِنَ الْمَاءِ الْبَارِدِ» روَاهُ الترمذيُّ وَقَالَ: حديثٌ حسنٌ

(250) Chapter: Issues regarding Supplications, their Virtues and Supplications of the Prophet (pbuh)


Abud-Darda' (May Allah be pleased with him) reported: The Messenger of Allah (ﷺ) said, "One of Prophet Dawud's supplications was: 'Allahumma inni as'aluka hubbaka, wa hubba man yuhibbuka, wal-'amalalladhi yuballighuni hubbaka. Allahumm-aj'al hubbaka ahabba ilayya min nafsi, wa ahli, wa minal-ma'il-baridi (O Allah! I ask You for Your Love, the love of those who love You, and deeds which will cause me to attain Your Love. O Allah! Make Your Love dearer to me than myself, my family and the cold water)."' [At- Tirmidhi]. Commentary: This Hadith contains an inducement for the Love of Allah and highlights the importance of those who are devoted to Allah and their good deeds because it is the virtuous deeds which are a means of attaining the Love of Allah and His Nearness.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবুদ দারদা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২৩২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 5 6 · · · 9 10 11 12 পরের পাতা »