পরিচ্ছেদঃ ১৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বংশগৌরব ও পক্ষপাতিত্ব

৪৮৯৯-[৭] আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ ঐসব লোকেরা যেন তাদের সেসব বাপ-দাদার গৌরব করা থেকে বিরত থাকে, যারা মরে জাহান্নামের অঙ্গারে পরিণত হয়েছে; অথবা আল্লাহ তা’আলার নিকট আবর্জনার কীট অপেক্ষা লাঞ্ছিত হবে, যে কীট আবর্জনাকে নিজের নাক দ্বারা দোলা দেয়। আল্লাহ তা’আলা তোমাদের থেকে জাহিলিয়্যাতের গর্ব-অহংকার ও বাপ-দাদার গৌরবের ব্যাধি দূর করেছেন। এখন চাই ধর্মভীরু মু’মিন হোক বা ধর্মহীন পাপী হোক, সমস্ত মানুষ আদম (আ.)-এর সন্তান, আর আদম (আ.) মাটি দ্বারা তৈরি। (তিরমিযী ও আবূ দাঊদ)[1]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَيَنْتَهِيَنَّ أَقْوَامٌ يَفْتَخِرُونَ بِآبَائِهِمُ الَّذِينَ مَاتُوا إِنَّمَا هُمْ فَحْمٌ مِنْ جَهَنَّمَ أَوْ لَيَكُونُنَّ أَهْوَنَ عَلَى اللَّهِ مِنَ الْجُعَلِ الَّذِي يُدَهْدِهُ الْخِرَاءَ بِأَنْفِهِ إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَذْهَبَ عَنْكُمْ عُبِّيَّةَ الْجَاهِلِيَّةِ وَفَخْرَهَا بِالْآبَاءِ إِنَّمَا هُوَ مُؤْمِنٌ تَقِيٌّ أَوْ فَاجِرٌ شَقِيٌّ النَّاسُ كُلُّهُمْ بَنُو آدَمَ وَآدَمُ مِنْ تُرَابٍ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَأَبُو دَاوُد

عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لينتهين اقوام يفتخرون باباىهم الذين ماتوا انما هم فحم من جهنم او ليكونن اهون على الله من الجعل الذي يدهده الخراء بانفه ان الله قد اذهب عنكم عبية الجاهلية وفخرها بالاباء انما هو مومن تقي او فاجر شقي الناس كلهم بنو ادم وادم من تراب رواه الترمذي وابو داود

ব্যাখ্যাঃ (النَّاسُ كُلُّهُمْ بَنُو آدَمَ وَآدَمُ مِنْ تُرَابٍ) কোন মানুষের পক্ষ গর্ব-অহংকার করা যে ঠিক নয়, তার প্রমাণস্বরূপ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ উক্তিটি করেন। যার মর্মার্থ হলো, সমস্ত মানুষ আদম (আ.)-এর সন্তান আর আদম (আ.) মাটি থেকে তৈরি। অত্র হাদীস হতে আমরা গর্ব না করার দু’টি সঙ্গত কারণ খুঁজে পাই। প্রথমত সমস্ত মানুষ যেহেতু আদম (আ.)-এর সন্তান, অতএব তারা সকলে পরস্পর ভাই ভাই। কাজেই এক ভাইয়ের ওপর অপর ভাইয়ের গর্ব করা বোকামি। দ্বিতীয়ত সমস্ত মানুষ মাটির তৈরি। অতএব মাটির তৈরি মানুষ মাটি নিয়ে কিভাবে গর্ব করতে পারে। [সম্পাদক]


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)

পরিচ্ছেদঃ ১৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বংশগৌরব ও পক্ষপাতিত্ব

৪৯০০-[৮] মুত্বাররিফ ইবনু ’আবদুল্লাহ আশ্ শিখখীর হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বানূ ’আমির-এর প্রতিনিধিদলের সাথে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে গেলাম। আমরা তাঁকে বললামঃ আপনি আমাদের নেতা। তিনি বললেনঃ নেতা হলেন আল্লাহ। আমরা বললামঃ আপনি মর্যাদার দিক দিয়ে আমাদের তুলনায় অধিক মর্যাদাবান এবং দানের দিক দিয়ে আপনি সর্বাধিক সম্মানিত। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ এ কথা বলো অথবা তার চেয়ে কম বলো শয়তান যাতে তোমাদেরকে উকিল না বানাতে পারে। (আহমাদ ও আবূ দাঊদ)[1]

وَعَن مطرف بن عبد الله الشِّخّيرِ قَالَ: قَالَ أَبِي: انْطَلَقْتُ فِي وَفْدِ بَنِي عَامِرٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْنَا: أَنْتَ سَيِّدُنَا. فَقَالَ: «السَّيِّدُ اللَّهُ» فَقُلْنَا وَأَفْضَلُنَا فَضْلًا وَأَعْظَمُنَا طَوْلًا. فَقَالَ: «قُولُوا قَوْلَكُمْ أَوْ بَعْضَ قَوْلِكُمْ وَلَا يَسْتَجْرِيَنَّكُمُ الشَّيْطَانُ» . رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد

وعن مطرف بن عبد الله الشخير قال قال ابي انطلقت في وفد بني عامر الى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقلنا انت سيدنا فقال السيد الله فقلنا وافضلنا فضلا واعظمنا طولا فقال قولوا قولكم او بعض قولكم ولا يستجرينكم الشيطان رواه احمد وابو داود

ব্যাখ্যাঃ (فَقَالَ: السَّيِّدُ اللهُ) অর্থাৎ এই নামের তিনিই প্রকৃত উপযুক্ত। মুল্লা ‘আলী কারী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ যিনি সৃষ্টিকুলের তাকদীরের মালিক এবং তাদের সার্বিক দায়িত্বশীল তিনি হলেন, আল্লাহ। তবে এটা মাজাযী বা রূপক সম্বন্ধনীয় নেতা হওয়াকে নিষেধ করে না। যেমন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, أَنَا سَيِّد وَلَد آدَم وَلَا فَخَرَ আমি আদম সন্তানদের শ্রেষ্ঠ (নেতা) তাতে কোন গর্ব নেই। অর্থাৎ আমি গর্ব করার জন্য বলছি না, বরং আমি আল্লাহর নি‘আমাতের কথা স্মরণ করছি। ইমাম বুখারী (রহিমাহুল্লাহ) জাবির (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, ‘উমার (রাঃ) বলতেন, আবূ বকর (রাঃ) আমাদের নেতা আর তিনি আমাদের নেতাকে মুক্ত করেছেন তথা বিলাল (রাঃ)-কে। এখানে বিলাল (রাঃ)-এর কথা উল্লেখ করার কারণ হলো তার প্রতি বিনয় প্রকাশ করা। (‘আওনুল মা‘বূদ ৮ম খন্ড, হাঃ ৪৭৯৮)

(قُولُوا قَوْلَكُمْ) অর্থাৎ তোমরা তোমাদের শারী‘আত ও দীনের অনুসারীদের কথার মতো কথা বলো। তোমরা আমাকে নবী ও রসূল বলে ডাক যে নামে মহান আল্লাহ তার কিতাবে আমাকে ডেকেছেন। তোমরা আমাকে সাইয়েদ বা নেতা বলে ডাকবে না। যেমন তোমরা তোমাদের মাতব্বর-মোড়লকে সম্বোধন করে থাক। আর তোমরা আমাকে তোমাদের মতো মনে করবে না। কারণ আমি তোমাদের কারো মতো নয়। আমি তোমাদেরকে নুবুওয়াত দ্বারা ও রিসালাত দ্বারা পরিচালিত করি, অতএব তোমরা আমাকে নবী ও রসূল বলে সম্বোধন করবে। (‘আওনুল মা‘বূদ ৮ম খন্ড, হাঃ ৪৭৯৮)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)

পরিচ্ছেদঃ ১৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বংশগৌরব ও পক্ষপাতিত্ব

৪৯০১-[৯] হাসান বাসরী (রহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত। তিনি সামুরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ধন-সম্পদ হলো মান-মর্যাদা এবং আল্লাহভীরুতা দয়া-দাক্ষিণ্য। (তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ)[1]

وَعَن الْحسن عَن سَمُرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْحَسَبُ الْمَالُ وَالْكَرَمُ التَّقْوَى» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وابنُ مَاجَه

وعن الحسن عن سمرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الحسب المال والكرم التقوى رواه الترمذي وابن ماجه

ব্যাখ্যাঃ (الْحَسَبُ الْمَالُ) অর্থাৎ অধিকাংশ ক্ষেত্রে পার্থিব সম্পদ দুনিয়ায় মানুষের মর্যাদা-সম্মান বৃদ্ধির একটি উপায়। (وَالْكَرَمُ التَّقْوٰى) আখিরাতের মর্যাদা একান্তই তাকওয়া বা আল্লাহভীতির মধ্যে নিহিত। মহান আল্লাহ বলেন,

إِنَّ أَكْرَمَكُمْ عِنْدَ اللَّهِ أَتْقَاكُمْ ‘‘তোমাদের মধ্যে আল্লাহর নিকট সেই লোকই অধিক সম্মানীয় যে লোক অধিক মুত্তাক্বী’’- (সূরাহ্ আল হুজুরাত ৪৯ : ১৩; আয়াত)। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৮ম খন্ড, হাঃ ৩২৭১)

হাদীসটির বাস্তবিক প্রয়োগ : প্রত্যেক মুসলিমের জন্য আবশ্যক হলো, দুনিয়ার সম্মানের পাশাপাশি আখিরাতের জীবনও যেন সুখের হয়, মুক্তি লাভ হয় তা ভাবা উচিত। সে অনুপাতে ‘আমল করা উচিত। যেমনটি আল্লাহ আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন-

رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَّفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَّقِنَا عَذَابَ النَّارِ ‘‘হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান করুন এবং পরকালেও আমাদেরকে কল্যাণ দান করবেন আর আমাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচান’’- (সূরাহ্ আল বাকারাহ্ ২ : ২০১)। [সম্পাদক]


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হাসান বাসরী (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)

পরিচ্ছেদঃ ১৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বংশগৌরব ও পক্ষপাতিত্ব

৪৯০২-[১০] উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি নিজেকে জাহিলিয়্যাতের গৌরবে গৌরবান্বিত করে, তার দ্বারা তার পিতৃ-পুরুষের লজ্জাস্থানকে কর্তন করাও। আর এ কথাগুলো তাকে ইঙ্গিতে নয়; বরং পরিষ্কার ভাষায় বলে দাও। (শারহুস্ সুন্নাহ্)[1]

وَعَن أُبيِّ
بن كعبٍ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ تَعَزَّى بِعَزَاءِ الْجَاهِلِيَّةِ فَأَعِضُّوهُ بِهَنِ أَبِيهِ وَلَا تُكَنُّوا» . رَوَاهُ فِي «شَرْحِ السّنة»

وعن ابيبن كعب قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول من تعزى بعزاء الجاهلية فاعضوه بهن ابيه ولا تكنوا رواه في شرح السنة

ব্যাখ্যাঃ (فَأَعِضُّوهُ بِهَنِ أَبِيهِ) যে ব্যক্তি তাঁর সেসব পিতৃপুরুষদেরকে নিয়ে গর্ব করে। যারা জাহিলিয়্যাতের যুগে মারা গেছে, তাকে বল যে, তুমি তোমার মৃত পিতৃপুরুষদের লজ্জাস্থানকে কর্তন করে মুখে তুলে নাও। অর্থাৎ তাদের ব্যাপারে গর্ব করা, আর তাদের লজ্জাস্থান কর্তন করে মুখে তুলে চিবানো একই কথা। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)

(وَلَا تُكَنُّوا) অর্থাৎ এ কথাগুলো অস্পষ্ট বা ইঙ্গিত দিয়ে নয়, বরং স্পষ্টভাবে তাদেরকে জানিয়ে দাও। যাতে করে তাদের শিক্ষা হয় যে, এটা কত জঘন্য কাজ। যাতে তারা বিরত থাকে। এও বলা হয়েছে যে, এর অর্থ হলো, যে ব্যক্তি জাহিলী যুগের নিয়ম-নীতি, কৃষ্টি-কালচার যেমন গালি দেয়া, অভিসম্পাত করা ও মানুষের মান-সম্মান নষ্ট করার মতো কাজ চালু করতে চায়। এছাড়াও নির্লজ্জতা, বেহায়াপনা, অহংকার ছড়িয়ে দিতে চায় তাকে স্মরণ করিয়ে দাও যে, তার পিতা মূর্তি পূজা করত, যিনা করত, মদ পান করত। এছাড়াও অনেক খারাপ কাজ করত। আর তাকে এ কথাগুলো স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিবে। কোন প্রকারের ইঙ্গিত করে নয়। যাতে সে মানুষের সামনে লজ্জিত হয়ে ফিরে আসে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)

পরিচ্ছেদঃ ১৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বংশগৌরব ও পক্ষপাতিত্ব

৪৯০৩-[১১] ’আবদুর রহমান ইবনু আবূ ’উকবাহ্ (রহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত। তিনি আবূ ’উকবাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন। আবূ ’উকবাহ্(রাঃ) মুক্ত দাস ছিলেন এবং পারস্যের অধিবাসী ছিলেন। তিনি বলেন, আমি উহুদের যুদ্ধে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে উপস্থিত ছিলাম। মুশরিকদের মধ্য হতে এক ব্যক্তিকে তরবারি বা বর্শা দ্বারা আঘাত করলাম এবং বললামঃ আমার তরফ থেকে আঘাত গ্রহণ করো, আমি পারস্যের দাস। এটা শুনে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার দিকে দৃষ্টিপাত করলেন এবং বললেনঃ তুমি কেন এ কথা বললে না যে, আমার তরফ থেকে আঘাত গ্রহণ করো, আমি আনসারীদের দাস? (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنْ
عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي عُقْبَةَ عَنْ أبي عُقبةَ وَكَانَ مَوْلًى مِنْ أَهْلِ فَارِسَ قَالَ: شَهِدْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُحُدًا فَضَرَبْتُ رَجُلًا مِنَ الْمُشْرِكِينَ فَقُلْتُ خُذْهَا مِنِّي وَأَنَا الْغُلَامُ الْفَارِسِيُّ فَالْتَفَتَ إِلَيَّ فَقَالَ: هَلَّا قُلْتَ: خُذْهَا مِنِّي وَأَنَا الْغُلَامُ الْأَنْصَارِيُّ؟ . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعنعبد الرحمن بن ابي عقبة عن ابي عقبة وكان مولى من اهل فارس قال شهدت مع رسول الله صلى الله عليه وسلم احدا فضربت رجلا من المشركين فقلت خذها مني وانا الغلام الفارسي فالتفت الي فقال هلا قلت خذها مني وانا الغلام الانصاري رواه ابو داود

ব্যাখ্যাঃ (خُذْهَا مِنِّي وَأَنَا الْغُلَامُ الْفَارِسِيُّ) এর কারণ হলো, কোন সম্প্রদায়ের মুক্ত দাস সেই সম্প্রদায়েরই অন্তর্ভুক্ত। মুল্লা ‘আলী কারী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ যখন তুমি কাউকে আঘাত করে গর্ব করবে তখন তুমি নিজেকে আনসারদের সাথে সম্পৃক্ত করবে। যাদের নিকট আমি হিজরত করেছি এবং যারা আমাকে সাহায্য করেছে। আর তৎকালীন সময়ে পারস্য কাফির রাষ্ট্র ছিল। তাই রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীকে তাদের দিকে সম্পৃক্ত করাকে অপছন্দ করেছেন। আর তাকে আনসারদের সাথে সম্পৃক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন যাতে করে সে মুসলিমদের সাথে সম্পৃক্ত হয়। বুঝা যায় যে, সে একজন মুসলিম বীর পুরুষ। (‘আওনুল মা‘বূদ ৮ম খন্ড, হাঃ ৫১১৪)

উহুদ যুদ্ধ : ৩য় হিজরীর ৭ই শাও্ওয়াল শনিবার সকালে উহুদ যুদ্ধ সংগঠিত হয়। কুরায়শরা আবূ সুফ্ইয়ান-এর নেতৃত্বে ৩০০০ সৈন্যের সুসজ্জিত বাহিনী নিয়ে মদীনার তিন মাইল উত্তরে উহুদ পাহাড়ের পাদদেশে শিবির সন্নিবেশ করে। এই বাহিনীর সাথে আবূ সুফ্ইয়ান-এর স্ত্রী হিন্দ বিনতু ‘উতবাহ্-এর নেতৃত্বে ১৫ জনের একটি মহিলা দল ছিল, যারা নেচে-গেয়ে ও উত্তেজক কবিতা পাঠ করে তাদের সৈন্যদের উত্তেজিত করে। এ যুদ্ধে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নেতৃত্বে প্রায় ৭০০ সৈন্য ছিল। প্রচণ্ড যুদ্ধ শেষে একটি ভুলের জন্য মুসলিমদের সাক্ষ্য বিজয় অবশেষে বিপর্যয়ে পরিণত হয়। মুসলিম পক্ষ ৭০ জন শাহীদ ৩৮০ জন আহত হয়। তার মধ্যে মুহাজির ৪ জন, আনসার ৬৫ জন। কুরায়শ পক্ষ ৩৭ জন নিহত হয়। তবে এই হিসাব চূড়ান্ত নয়। বরং কুরায়শ পক্ষ হতাহতের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি, এই যুদ্ধে মুসলিমরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কুরায়শরা বিজয়ী হয়নি। বরং তারা ভীত হয়ে ফিরে যায়। এ যুদ্ধ প্রসঙ্গে সূরাহ্ আ-লি ‘ইমরান-এর ১২১-১৭৯ পর্যন্ত ৬০টি আয়াত নাযিল হয়। (সীরাতুর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৩৩৯ পৃঃ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)

পরিচ্ছেদঃ ১৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বংশগৌরব ও পক্ষপাতিত্ব

৪৯০৪-[১২] ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে নিজের সম্প্রদায়ের সাহায্য করে, তার তুলনা সে উটের মতো, যা কূপে পতিত হয়েছে, অতঃপর সেটার লেজ ধরে উদ্ধারের জন্য টানা হচ্ছে। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنِ
ابْنِ مَسْعُودٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ نَصَرَ قَوْمَهُ عَلَى غَيْرِ الْحَقِّ فَهُوَ كَالْبَعِيرِ الَّذِي رَدَى فَهُوَ يُنزَعُ بذنَبِه» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعنابن مسعود عن النبي صلى الله عليه وسلم قال من نصر قومه على غير الحق فهو كالبعير الذي ردى فهو ينزع بذنبه رواه ابو داود

ব্যাখ্যাঃ (يُنزَعُ بذنَبِه) অর্থাৎ সেটার পিছন ধরে টানা হচ্ছে। ইমাম খত্ত্বাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এর অর্থ হলো নিশ্চয় সে পাপে লিপ্ত হলো এবং ধ্বংস হলো। ঐ উটের মতো যে কুয়ায় পড়ে গেলে তাকে উদ্ধারের জন্য তার পিছন দিক থেকে তথা লেজ ধরে উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে তবে তাকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত করা সম্ভবপর হচ্ছে না। (‘আওনুল মা‘বূদ ৮ম খন্ড, হাঃ ৫১০৮)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)

পরিচ্ছেদঃ ১৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বংশগৌরব ও পক্ষপাতিত্ব

৪৯০৫-[১৩] ওয়াসিলাহ্ ইবনুল আসক্বা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলামঃ হে আল্লাহর রসূল! ’’আসাবিয়্যাহ্’’ কি? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ ’আসাবিয়্যাহ্ হলো তোমার গোত্রকে অন্যায়ের কাজে সাহায্য করা। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَن
واثلةَ بن الأسقَعِ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا الْعَصَبِيَّةُ؟ قَالَ: «أَنْ تُعِينَ قَوْمَكَ عَلَى الظُّلْمِ» رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعنواثلة بن الاسقع قال قلت يا رسول الله ما العصبية قال ان تعين قومك على الظلم رواه ابو داود

ব্যাখ্যাঃ (أَنْ تُعِينَ قَوْمَكَ عَلٰى الظُّلْمِ) অর্থাৎ তোমার কর্তব্য হলো হাকের প্রতিনিধিত্ব করা। যার মাঝে হক আছে কোন চিন্তা-ভাবনা না করেই তাকে সমর্থন করা। এ বিষয়ে জাবির  হতে মারফূ‘ সূত্রে একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে-

انْصُرْ أَخَاكَ ظَالِمًا أَوْ مَظْلُومًا إِنْ يَكُ ظَالِمًا فَارْدُدْهُ عَنْ ظُلْمِهِ، وَإِنْ يَكُ مَظْلُومًا، فَانْصُرْهُ

‘‘তুমি তোমার ভাইকে সাহায্য কর সে যালিম হোক বা মাযলূম হোক। যদি সে যালিম হয় তবে তাকে জুলুম করা থেকে বিরত রাখ। আর যদি সে মাযলূম হয় তবে তুমি তাকে সাহায্য কর’’- (আবূ দাঊদ)। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)

পরিচ্ছেদঃ ১৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বংশগৌরব ও পক্ষপাতিত্ব

৪৯০৬-[১৪] সুরাকাহ্ ইবনু মালিক ইবনু জু’শুম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের উদ্দেশে ভাষণ দিলেন এবং বললেনঃ তোমাদের মধ্যে উত্তম সেই ব্যক্তি, যে নিজে অপরাধ না করা পর্যন্ত নিজের গোত্রের অন্যায়-অত্যাচার দমন করে। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَن
سُراقَة بن مالكِ بن جُعْشُم قَالَ: خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «خير كم الْمُدَافِعُ عَنْ عَشِيرَتِهِ مَا لَمْ يَأْثَمْ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعنسراقة بن مالك بن جعشم قال خطبنا رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال خير كم المدافع عن عشيرته ما لم ياثم رواه ابو داود

ব্যাখ্যাঃ (مَا لَمْ يَأْثَمْ) যে ব্যক্তি গোত্রীয় অন্যায়-অত্যাচার দমন করতে গিয়ে নিজেই যদি কোন অপরাধ করে বসে, তবে সে ব্যক্তি উত্তম নয়। অতএব জুলুম অন্যায় দমন করতে গিয়ে যতক্ষণ পর্যন্ত সে এ দমন কার্যে অপরাধ না করবে, ততক্ষণ সে উত্তম ব্যক্তি বলে বিবেচিত হবে। (‘আওনুল মা‘বূদ ৮ম খন্ড, হাঃ ৫১১১)


হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)

পরিচ্ছেদঃ ১৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বংশগৌরব ও পক্ষপাতিত্ব

৪৯০৭-[১৫] জুবায়র ইবনু মুত্ব’ইম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ’’আসাবিয়্যাহ্’’-এর দিকে লোকেদেরকে আহবান করে, নিজে ’’আসাবিয়্যাহ্’’-এর উপর যুদ্ধ করে এবং ’’আসাবিয়্যাহ্’’-এর উপর মৃত্যুবরণ করে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَن
جُبَيْرُ بْنُ مُطْعِمٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَيْسَ مِنَّا مَنْ دَعَا إِلَى عَصَبِيَّةٍ وَلَيْسَ مِنَّا مَنْ قَاتَلَ عَصَبِيَّةً وَلَيْسَ مِنَّا من مَاتَ علىعصبية» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعنجبير بن مطعم ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ليس منا من دعا الى عصبية وليس منا من قاتل عصبية وليس منا من مات علىعصبية رواه ابو داود

ব্যাখ্যাঃ (إِلٰى عَصَبِيَّةٍ) ‘আল্লামা মানবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এর অর্থ হলো, যে ব্যক্তি ‘আসাবিয়্যাতের জন্য লোকেদেরকে সুসংগঠিত করল। আর তা হলো যালিমকে সাহায্য-সহযোগিতা করার জন্য। মুল্লা ‘আলী কারী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, অর্থাৎ যালিমকে সাহায্য সহযোগিতা করার জন্য ‘আসাবিয়্যাতের দিকে একত্রিত হলো। ‘আসাবিয়্যাহ্ সম্পর্কে ‘আন্ নিহায়াহ্’ গ্রন্থকার বলেনঃ এটা তাদের কথা ছিল যে, হে অমুকের বংশধর। তারা কোন নতুন বিষয় নিয়ে একজন অন্যকে আহবান করত।

হাদীসটির বাস্তবিক প্রয়োগ : বর্তমানে আমাদের দেশে যে রাজনৈতিক অবস্থা বিরাজমান, ‘আসাবিয়্যাহ্ বুঝতে আমাদের বেশি বেগ পেতে হবে না। কারণ দলের লোক যতই অন্যায় করুক, বিভিন্ন দিক থেকে অন্যায়ভাবে তাকে সাহায্য-সহযোগিতা দিয়ে মুক্ত করা হয়। পক্ষান্তরে শুধু নিজের দলকে ঠিক রাখার জন্য অন্যের ওপর জুলুম-নির্যাতন এমনকি হত্যা পর্যন্ত করা হয়। নিজের দলকে ঠিক রাখার জন্য বা নিজের ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য অন্যের ওপর যে জুলুম-অন্যায় করা হয় একেই বলে ‘আসাবিয়্যাহ্। জাহিলী যুগে এ ‘আসারিয়্যাতের শিকার হয়ে ন্যায়-অন্যায় বিচার-বিবেচনা না করে শুধু নিজ গোত্রীয় পক্ষপাতিত্বের মনোভাব নিয়ে ‘আরবগণ বছরের পর বছর ধরে এক গোত্র অন্য গোত্রের সাথে মারামারি-কাটাকাটিতে লিপ্ত থাকত। যা বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে পরিলক্ষিত হচ্ছে। [সম্পাদক]


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)

পরিচ্ছেদঃ ১৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বংশগৌরব ও পক্ষপাতিত্ব

৪৯০৮-[১৬] আবুদ্ দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ কোন কিছুর ভালোবাসা যেন তোমাকে অন্ধ ও বধির না করে ফেলে। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنْ أَبِي
الدَّرْدَاءَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «حُبُّكَ الشَّيْءَ يُعْمِي وَيُصِمُّ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعن ابيالدرداء عن النبي صلى الله عليه وسلم قال حبك الشيء يعمي ويصم رواه ابو داود

ব্যাখ্যাঃ (حُبُّكَ الشَّيْءَ يُعْمِي وَيُصِمُّ) যখন কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তি বা বস্তুকে ভালোবাসে, তখন ভাবাবেগে সে ঐ ব্যক্তি বা বস্তুর কোন দোষকেই দোষ বলে মনে করে না, যেন এ ব্যাপারে সে অন্ধ। অনুরূপভাবে সে উক্ত ব্যক্তি বা বস্তুর দোষ-ত্রুটির কথা শুনেও শোনে না, যেন এ ব্যাপারে সে বধির। এর কারণ হলো তার মনের মণিকোঠায় ভালোবাসার মানুষটিকে উঁচু স্থান দিয়েছে। (‘আওনুল মা‘বুদ ৮ম খন্ড, হাঃ ৫১২১)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবুদ দারদা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১০ পর্যন্ত, সর্বমোট ১০ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে