৪৯০১

পরিচ্ছেদঃ ১৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বংশগৌরব ও পক্ষপাতিত্ব

৪৯০১-[৯] হাসান বাসরী (রহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত। তিনি সামুরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ধন-সম্পদ হলো মান-মর্যাদা এবং আল্লাহভীরুতা দয়া-দাক্ষিণ্য। (তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ)[1]

وَعَن الْحسن عَن سَمُرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْحَسَبُ الْمَالُ وَالْكَرَمُ التَّقْوَى» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وابنُ مَاجَه

وعن الحسن عن سمرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الحسب المال والكرم التقوى رواه الترمذي وابن ماجه

ব্যাখ্যাঃ (الْحَسَبُ الْمَالُ) অর্থাৎ অধিকাংশ ক্ষেত্রে পার্থিব সম্পদ দুনিয়ায় মানুষের মর্যাদা-সম্মান বৃদ্ধির একটি উপায়। (وَالْكَرَمُ التَّقْوٰى) আখিরাতের মর্যাদা একান্তই তাকওয়া বা আল্লাহভীতির মধ্যে নিহিত। মহান আল্লাহ বলেন,

إِنَّ أَكْرَمَكُمْ عِنْدَ اللَّهِ أَتْقَاكُمْ ‘‘তোমাদের মধ্যে আল্লাহর নিকট সেই লোকই অধিক সম্মানীয় যে লোক অধিক মুত্তাক্বী’’- (সূরাহ্ আল হুজুরাত ৪৯ : ১৩; আয়াত)। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৮ম খন্ড, হাঃ ৩২৭১)

হাদীসটির বাস্তবিক প্রয়োগ : প্রত্যেক মুসলিমের জন্য আবশ্যক হলো, দুনিয়ার সম্মানের পাশাপাশি আখিরাতের জীবনও যেন সুখের হয়, মুক্তি লাভ হয় তা ভাবা উচিত। সে অনুপাতে ‘আমল করা উচিত। যেমনটি আল্লাহ আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন-

رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَّفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَّقِنَا عَذَابَ النَّارِ ‘‘হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান করুন এবং পরকালেও আমাদেরকে কল্যাণ দান করবেন আর আমাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচান’’- (সূরাহ্ আল বাকারাহ্ ২ : ২০১)। [সম্পাদক]


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হাসান বাসরী (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)