হাম্মাম ইবনু হারিস (রহঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে ২৫ টি

পরিচ্ছেদঃ ২৬৬। মোজা পরে সালাত আদায় করা

৩৮০। আদম (রহঃ) ..... হাম্মাম ইবনু হারিস (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি জারীর ইবনু ’আবদুল্লাহ (রাঃ)-কে দেখলাম যে, তিনি পেশাব করলেন। তারপর উযূ (ওজু/অজু/অযু) করলেন আর উভয় মোজার উপরে মাসেহ করলেন। তারপর তিনি দাঁড়িয়ে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেনঃ আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কেও এরূপ করতে দেখেছি।

ইবরাহীম (রহঃ) বলেনঃ এই হাদীস মুহাদ্দিসীনের কাছে অত্যন্ত পছন্দনীয়। কারণ জারীর (রাঃ) ছিলেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শেষ যুগের ইসলাম গ্রহণকারীদের একজন।

باب الصَّلاَةِ فِي الْخِفَافِ

حَدَّثَنَا آدَمُ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الأَعْمَشِ، قَالَ سَمِعْتُ إِبْرَاهِيمَ، يُحَدِّثُ عَنْ هَمَّامِ بْنِ الْحَارِثِ، قَالَ رَأَيْتُ جَرِيرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بَالَ ثُمَّ تَوَضَّأَ، وَمَسَحَ عَلَى خُفَّيْهِ، ثُمَّ قَامَ فَصَلَّى، فَسُئِلَ فَقَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَنَعَ مِثْلَ هَذَا‏.‏ قَالَ إِبْرَاهِيمُ فَكَانَ يُعْجِبُهُمْ، لأَنَّ جَرِيرًا كَانَ مِنْ آخِرِ مَنْ أَسْلَمَ‏.‏


Narrated Ibrahim: Hammam bin Al-Harith said, "I saw Jarir bin 'Abdullah urinating. Then he performed ablution and passed his (wet) hands over his Khuffs, stood up and prayed. He was asked about it. He replied that he had seen the Prophet doing the same." They approved of this narration as Jarir was one of those who embraced Islam very late.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হাম্মাম ইবনু হারিস (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪৫. চোগলখুরী জঘন্যতম হারাম

১৯৩। আলী ইবনু হুজর আল সা’দী ও ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... হাম্মাম ইবনু হারীস (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে এক ব্যাক্তি সাধারণ লোকজনের কথাবার্তা শাসনকর্তার কাছে পৌছাত। একদা আমরা মসজিদে বসা ছিলাম। উপবিষ্ট লোকেরা বলল এ সে ব্যাক্তি যে লোকের কথাবার্তা শাসনকর্তার কাছে পৌছায়। রাবী বললেন, এরপর সে উপস্থিত হল এবং আমাদের প্যশে বসে পড়ল। তখন হুযায়ফা (রাঃ) বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ কোন চোগলখোর জান্নাতে প্রবেশ করবে না।

باب بَيَانِ غِلَظِ تَحْرِيمِ النَّمِيمَةِ ‏‏

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ الْحَارِثِ، قَالَ كَانَ رَجُلٌ يَنْقُلُ الْحَدِيثَ إِلَى الأَمِيرِ فَكُنَّا جُلُوسًا فِي الْمَسْجِدِ فَقَالَ الْقَوْمُ هَذَا مِمَّنْ يَنْقُلُ الْحَدِيثَ إِلَى الأَمِيرِ ‏.‏ قَالَ فَجَاءَ حَتَّى جَلَسَ إِلَيْنَا ‏.‏ فَقَالَ حُذَيْفَةُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَتَّاتٌ ‏"‏ ‏.‏


It is reported on the authority of Hammam b, al-Harith that a man used to carry tales to the governor. We were sitting in the mosque. the people said: He is one who carries tales to the governor. He (the narrator) said: Then he came and sat with us. Thereupon Hudhaifa remarked: I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying: The beater of false tales would never enter heaven.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হাম্মাম ইবনু হারিস (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪৫. চোগলখুরী জঘন্যতম হারাম

১৯৪। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা এবং মিনজাব ইবনু হারিস তামীমী (রহঃ) ... হাম্মাম ইবনু হারিস (রহঃ) এর সুত্রে বর্ণনা করেন যে, আমরা হুযায়ফা (রাঃ) এর সাথে মসজিদে বসা ছিলাম। তখন এক ব্যাক্তি হাযির হলো ও আমাদের সাথে বসে পড়ল। তখন হুযায়ফা (রাঃ) এর কাছে আরয করা হল, এ ব্যাক্তি শাসকের কাছে নানা বিষয়ে খবরাখবর পৌছায়। হুযায়ফা (রাঃ) তাকে শোনানোর উদ্দেশ্যে বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ চোগলখোর জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।

باب بَيَانِ غِلَظِ تَحْرِيمِ النَّمِيمَةِ ‏‏

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَوَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، ح وَحَدَّثَنَا مِنْجَابُ بْنُ الْحَارِثِ التَّمِيمِيُّ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - أَخْبَرَنَا ابْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ الْحَارِثِ، قَالَ كُنَّا جُلُوسًا مَعَ حُذَيْفَةَ فِي الْمَسْجِدِ فَجَاءَ رَجُلٌ حَتَّى جَلَسَ إِلَيْنَا فَقِيلَ لِحُذَيْفَةَ إِنَّ هَذَا يَرْفَعُ إِلَى السُّلْطَانِ أَشْيَاءَ ‏.‏ فَقَالَ حُذَيْفَةُ - إِرَادَةَ أَنْ يُسْمِعَهُ - سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَتَّاتٌ ‏"‏ ‏.‏


It is narrated on the authority of Hammam b. al-Harith: We were sitting with Hudhaifa in the mosque. A man came and sat along with us. It was said to Hudhaifa that he was the man who carried tales to the ruler. Hudhaifa remarked with the intention of conveying to him: I have heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying: The tale-bearer will not enter Paradise.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হাম্মাম ইবনু হারিস (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২২. মোজার ওপর মাসেহ্‌ করা

৫১৫। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া আত তামীমী, ইসহাক ইবনু ইবরাহীম ও আবূ কুরায়ব ও আবু বকর ইবনু শায়বাহ(রহঃ) ... হাম্মাম (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জারীর (রাঃ) একবার পেশাব করলেন। তারপর উযূ (ওজু/অজু/অযু) করলেন এবং তার উভয় মোযার ওপর মাসেহ করলেন। তাঁকে বলা, হল আপনি কি এরকম করে থাকেন? তিনি বলেন হ্যাঁ, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখেছি তিনি পেশাব করেছেন, তারপর উযূ করেছেন এবং তাঁর উভয় মোযার ওপর মাসেহ করেছেন। আমাশ বলেন, ইবরাহীম বলেছেন যে, এ হাদীসটি (হাদীস বিশারদ) লোকেরা আগ্রহের সাথে গ্রহণ করেছেন। কারণ জারীর (রাঃ) সূরা মায়িদা নাযিলের পর ইসলাম গ্রহণ করেন।

باب الْمَسْحِ عَلَى الْخُفَّيْنِ ‏‏

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ جَمِيعًا عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَوَكِيعٌ، - وَاللَّفْظُ لِيَحْيَى - قَالَ أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هَمَّامٍ، قَالَ بَالَ جَرِيرٌ ثُمَّ تَوَضَّأَ وَمَسَحَ عَلَى خُفَّيْهِ فَقِيلَ تَفْعَلُ هَذَا ‏.‏ فَقَالَ نَعَمْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَالَ ثُمَّ تَوَضَّأَ وَمَسَحَ عَلَى خُفَّيْهِ ‏.‏ قَالَ الأَعْمَشُ قَالَ إِبْرَاهِيمُ كَانَ يُعْجِبُهُمْ هَذَا الْحَدِيثُ لأَنَّ إِسْلاَمَ جَرِيرٍ كَانَ بَعْدَ نُزُولِ الْمَائِدَةِ ‏.‏


Hummam reported: Jarir urinated, then performed ablution and wiped over the socks. It was said to him: Do you do like this? He said: Yes, I saw that the Messenger of Allah (ﷺ) urinated, then performed ablution and then wiped over his shoes. A'mash said: Ibrahim had observed that this hadith was a surprise for them (the people) because Jarir had embraced Islam after the revelation of Surat al-Ma'ida.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হাম্মাম ইবনু হারিস (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৩. প্রশংসার মধ্যে যদি অতিশয়োক্তি থাকে এবং প্রশংসার ফলে যদি প্রশংসিত ব্যক্তির ফিতনায় পড়ার আশংকা থাকে তবে এ ধরনের প্রশংসা করা নিষেধ

৭২৩৪। মুহাম্মদ ইবনু মুসান্না ও মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ... হাম্মাম ইবনুল হারিছ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যাক্তি উসমান (রাঃ) এর প্রশংসা করতে শুরু করল। তখন মিকদাদ (রাঃ) হাঁটুর উপর ভোর করে বসলেন, (কারন) তিনি মোটা (মানুষ) ছিলেন। অতঃপর তিনি প্রশংসাকারীর মুখে নুড়ি পাথর ছুঁড়ে মারতে লাগলেন। তখন উসমান (রাঃ) তাকে বললেন, (হে মিকদাদ!) তুমি কি করছ? তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা অতিশয় প্রশংসাকারীদেরকে দেখলে তাদের মুখমণ্ডলে মাটি ছুঁড়ে মারবে।

باب النَّهْىِ عَنِ الْمَدْحِ، إِذَا كَانَ فِيهِ إِفْرَاطٌ وَخِيفَ مِنْهُ فِتْنَةٌ عَلَى الْمَمْدُوحِ

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى - قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ الْحَارِثِ، أَنَّ رَجُلاً، جَعَلَ يَمْدَحُ عُثْمَانَ فَعَمِدَ الْمِقْدَادُ فَجَثَا عَلَى رُكْبَتَيْهِ - وَكَانَ رَجُلاً ضَخْمًا - فَجَعَلَ يَحْثُو فِي وَجْهِهِ الْحَصْبَاءَ فَقَالَ لَهُ عُثْمَانُ مَا شَأْنُكَ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ إِذَا رَأَيْتُمُ الْمَدَّاحِينَ فَاحْثُوا فِي وُجُوهِهِمُ التُّرَابَ ‏"‏ ‏.‏


Hammam b. al-Harith reported that a person began to praise 'Uthman and Miqdad sat upon his knee; and he was a bulky person and began to throw pebbles upon his (flatterer's) face. Thereupon 'Uthman said: What is the matter with you? And he said: Verily, Allah's Messenger (ﷺ) said: When you see those who shower (undue) praise (upon others), throw dust upon their faces.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হাম্মাম ইবনু হারিস (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩৬০ : কারো মুখোমুখি প্রশংসা করা মাকরূহ

৩/১৭৯৯। হাম্মাম ইবনে হারেস হতে বর্ণিত, তিনি মিক্বদাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেছেন; এক ব্যক্তি উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর সামনেই তাঁর প্রশংসা শুরু করলে মিক্বদাদ হাঁটুর উপর ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে তার মুখে কাঁকর ছিটাতে শুরু করলেন। তখন উসমান তাঁকে বললেন, ’কি ব্যাপার তোমার?’ তিনি বললেন, ’রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’তোমরা [মুখোমুখি] প্রশংসাকারীদের দেখলে তাদের মুখে ধুলো ছিটিয়ে দিয়ো।’’ (মুসলিম) [1]

এ সব হাদিস নিষেধাজ্ঞামূলক। পক্ষান্তরে বৈধতা সংক্রান্ত বহু বিশুদ্ধ হাদিস রয়েছে। উলামাগণ বলেন, বৈধ-অবৈধ সম্বলিত পরস্পর বিরোধী হাদিসসমূহের বিরোধ নিরসনের উপায় এই হতে পারে যে, যদি প্রশংসিত ব্যক্তি পূর্ণ ঈমান ও ইয়াকীনের অধিকারী হয়, আত্মা অনুশীলনী ও পূর্ণ জ্ঞান লাভে ধন্য হয়, যার ফলে সে কারো প্রশংসা শুনে ফিতনা ও ধোঁকার শিকার না হয় এবং তার মন তাকে প্রতারিত না করে, তাহলে এ ধরনের লোকের মুখোমুখি প্রশংসা, না হারাম, আর না মাকরূহ। অন্যথা যদি কারো ক্ষেত্রে উক্ত বিষয়াদির কিছুর আশংকা বোধ হয়, তবে তা ঘোর অপছন্দনীয়। এই ব্যাখ্যার নিকষে পরস্পর-বিরোধী হাদিসসমূহকে মান্য করতে হবে।

যে সব হাদীসে মুখোমুখি প্রশংসার বৈধতা এসেছে তার একটি এই যে, একদা আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে বললেন; ’’আমার আশা এই যে, তুমিও তাদের একজন হবে।’’ অর্থাৎ সেই সৌভাগ্যবানদের একজন হবে, যাদেরকে জান্নাতের সমস্ত দ্বার থেকে আহবান জানানো হবে। (বুখারী)

এ প্রসঙ্গে দ্বিতীয় হাদিসটি হচ্ছে এই যে, একদা আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে বললেন; ’’তুমি তাদের অন্তর্ভুক্ত নও।’’ অর্থাৎ ঐসব লোকদের অন্তর্ভুক্ত নও যারা অহংকারবশতঃ লুঙ্গী-পায়জামা গাঁটের নীচে ঝুলিয়ে পরে।

যেমন একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে বললেন, ’’শয়তান তোমাকে যে পথে চলতে দেখে সে পথ ত্যাগ করে সে অন্য পথ ধরে।’’ (বুখারী)

এ ছাড়াও বৈধতা সম্পর্কিত হাদিস অনেক আছে, তার মধ্যে কিছু হাদিসের অংশ আমি আমার ’আযকার’ নামক গ্রন্থে উল্লেখ করেছি।

(360) بَابُ كَرَاهَةِ الْمَدْحِ فِي الْوَجْهِ لِمَنْ خِيْفَ عَلَيْهِ مَفْسَدَةٌ مِّنْ إِعْجَابٍ وَنَحْوِهِ، وَجَوَازِهِ لِمَنْ أُمِنَ ذٰلِكَ فِيْ حَقِّهِ

وَعَنْ هَمَّامِ بنِ الْحَارِثِ ، عنِ المِقْدَادِ رضي اللَّه عَنْهُ أنَّ رَجُلاً جعَل يَمْدَحُ عُثْمَانَ رضي اللَّه عنه ،فَعَمِدَ المِقْدادُ ، فَجَثَا عَلَى رُآْبَتَيْهِ ، فَجَعَلَ يَحْثُو في وَجْهِهِ الْحَصْبَاءَ، فَقَالَ لَهُ عُثْمَانُ : مَا شَأْنُكَ ؟ فَقَالَ : إنَّرَسُولَ اللَّهِ صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم قَالَ : » إذَا رَأَيْتُمُ المَدَّاحِينَ ، فَاحْثُوا في وَجُوهِهِمُ التُّرابَ « رَوَاهُ مسلم .فَهَذِهِ الأحَادِيثُ في النَّهْيِ ، وَجَاءَ في الإبَاحَةِ أحَادِيثُ آثِيرَةٌ صَحِيحَةٌ .قَالًَ العُلَمَاءُ : وَطريقُ الجَمْعِ بَيْنَ الأحَادِيثِ أنْ يُقَالَ : إنْ آَانَ المَمْدُوحُ عِنْدَهُ آَمَالُ إيمَانٍ وَيَقِينٍ ، وَريَاضَةُنَفْسٍ ، وَمَعْرِفَة تَامَّةٌ بِحَيْثُ لا يَفْتَتِنُ ، وَلا يَغْتَرُّ بِذَلِكَ ، وَلا تَلْعَبُ بِهِ نَفْسُهُ ، فَلَيْسَ بِحَرَامٍ وَلا مَكْرُوهٍ ، وإنْخِيفَ عَلَيْهِ شَيءٍ منْ هَذِهِ الأمُورِ آُرِهَ مَدْحُهُ في وَجْهِهِ آَرَاهَةً شَدِيدَةً ، وعَلَى هَذَا التَّفْصِيلِ تُنزَّلُ الأحاديثُالمُختَلفَة في ذَلِكَ . وَمِمَّا جَاءَ في الإبَاحَةِ قَوْلُهُ صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم لأبي بَكْرٍ رضي اللًَّه عَنْهُ : » أرْجُو أنْتَكُونَ مِنْهُمْ « أيْ : مِنَ الَّذِينَ يُدْعَوْنَ مِنْ جَمِيعِ أبْوابِ الْجَنَّةِ لِدُخُولِهَا ، وفي الحَديثِ الآخَرِ : » لَسْتَ مِنْهُمْ «أيْ : لَسْتَ مِنَ الَّذِينَ يُسْبِلُونَ أُزُرَهُمْ خُيَلاءَ . وَقَالَ صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم لِعُمَرَ رضي اللَّه عَنْهُ : » مَا رَآكَالشَّيْطَانُ سَالِكاً فَجّا إلاَّ سلكَ فَجّا غَيْرَ فَجِّك « ، وَالأحَادِيثُ في الإبَاحَةِ آَثِيرَةٌ ، وَقَدْ ذَآَرْتُ جُمْلَةً مِنْ أطْرَافِهَافي آتاب : » الأذْآَار « .

(360) Chapter: Undesirability of Praising a Person in his Presence


Hammam bin Al- Harith (May Allah be pleased with him) reported: A person began to praise 'Uthman (May Allah be pleased with him), and Al-Miqdad (May Allah be pleased with him) sat upon his knees and began to throw pebbles upon the flatterer's face. 'Uthman (May Allah be pleased with him) said: "What is the matter with you?" He said: "Verily, the Messenger of Allah (ﷺ) said, 'When you see those who shower undue praises upon others throw dust upon their faces."' [Muslim]. Commentary: The purpose of this Hadith seems to be that one should neither pay serious attention to one who praises nor reward him for it. If one can throw grit in his face, that should also be done. One should at least avoid such persons who are in the habit of praising people unnecessarily. Imam An-Nawawi has stated that these Ahadith are in prohibition of praise while there are many in favour of it. `Ulama' are of the opinion that the two points of view can be reconciled. If the one who is praised has perfect Faith and confidence and is endowed with the gift of knowledge by Allah and has control over his self and thereby he is not likely to go astray by praise, then praising him is neither unlawful nor disgusting. But if he is vulnerable to praise then praising him in his presence is abhorred. Ahadith in prohibition of praise support this point of view. While one of the Ahadith, which are in favour of praise, relates to the occasion when the Prophet (May Allah be pleased with him) said to Abu Bakr As-Siddiq (May Allah be pleased with him): "I hope that you will also be among them,'' that is "You will be one of hose who will be called from every gate of Jannah.'' (See, Sahih AlBukhari, Kitab Fada'il As-Sahabah). Another Hadith on the issue relates to the event when the Prophet (PBUH) said to Abu Bakr (May Allah be pleased with him): "You are not one of them.'' What it signified was that "You are not one of those who keep their trousers below their ankles out of sheer pride.'' (See, Sahih Al-Bukhari, Manaqib Abu Bakr). He said to `Umar (May Allah be pleased with him): "When Satan sees you going on some way, he leaves it and proceeds to some other direction.'' (Al-Bukhari, Manaqib `Umar)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হাম্মাম ইবনু হারিস (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৩৬. কাপড়ে বীর্য লেগে গেলে।

৩৭১. হাফস ইবনু উমার ..... ইব্রাহীম থেকে হাম্মামের সূত্রে বর্ণিত। তিনি আয়িশা (রাঃ) এর মেহমান ছিলেন। তাঁর সপ্নদোষ হওয়ার পর তিনি কাপড় হতে বীর্য ধৌত করছিলেন। তা আয়িশা (রাঃ) এর বাদী দেখে তাকে (আয়শাকে) অবহিত করেন। তখন আয়িশা (রাঃ) বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ্ আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাপড় হতে এটা খুঁচে তুলে ফেলে দিতাম।

باب الْمَنِيِّ يُصِيبُ الثَّوْبَ

حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ الْحَارِثِ، أَنَّهُ كَانَ عِنْدَ عَائِشَةَ - رضى الله عنها - فَاحْتَلَمَ فَأَبْصَرَتْهُ جَارِيَةٌ لِعَائِشَةَ وَهُوَ يَغْسِلُ أَثَرَ الْجَنَابَةِ مِنْ ثَوْبِهِ أَوْ يَغْسِلُ ثَوْبَهُ فَأَخْبَرَتْ عَائِشَةَ فَقَالَتْ لَقَدْ رَأَيْتُنِي وَأَنَا أَفْرُكُهُ مِنْ ثَوْبِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم


Hammam b. al-Harith reported, he has a sexual dream when he was staying with 'Aishah. The slave girl of 'Aishah saw him while he was washing the mark of defilement, or he was washing his clothe. She informed 'Aishah who said: He witnessed me rubbing off the semen from the clothe of the Messenger of Allah (ﷺ).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হাম্মাম ইবনু হারিস (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৭২. ইমামের মুকতাদীর তুলনায় উঁচু স্থানে দণ্ডায়মান হয়ে নামায আদায় করা সম্পর্কে।

৫৯৭. আহমদ ইবনু সিনান ..... হাম্মাম হতে বর্ণিত। হুযায়ফা (রাঃ) মাদায়েন নামক স্থানে একটি দোকানের উপর দাড়িয়ে লোকদের ইমামতি করেন। তখন আবূ মাসউদ (রাঃ) তিনি নামায শেষে বলেন, তুমি কি একথা জাননা যে, লোকদেরকে উঁচু স্থানে দাঁড়িয়ে ইমামতি করতে নিষেধ করা হয়েছে? জবাবে তিনি বলেন, হ্যাঁ আপনি যখন আমার জামা ধরে টান দেন তখন তা আমার স্মরণ হয়।

باب الإِمَامِ يَقُومُ مَكَانًا أَرْفَعَ مِنْ مَكَانِ الْقَوْمِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ الْفُرَاتِ أَبُو مَسْعُودٍ الرَّازِيُّ، - الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا يَعْلَى، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هَمَّامٍ، أَنَّ حُذَيْفَةَ أَمَّ النَّاسَ، بِالْمَدَائِنِ عَلَى دُكَّانٍ فَأَخَذَ أَبُو مَسْعُودٍ بِقَمِيصِهِ فَجَبَذَهُ فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ صَلاَتِهِ قَالَ أَلَمْ تَعْلَمْ أَنَّهُمْ كَانُوا يُنْهَوْنَ عَنْ ذَلِكَ قَالَ بَلَى قَدْ ذَكَرْتُ حِينَ مَدَدْتَنِي ‏.‏


Hammam said: Hudhaifah led the people in prayer in al-Mada’in standing on the shop(or a bench). Abu Mas’ud took him by his shirt, and brought him down. When he( Abu Mas’ud) finished his prayer, he said: Do you not know that they(the people) were prohibited to do so. He said: Yes, I remembered when you pulled me down.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হাম্মাম ইবনু হারিস (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১/৮২. কাপড় থেকে বীর্য খুঁটে তুলে ফেলা।

২/৫৩৮। হাম্মাম ইবনুল হারিস (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আয়িশাহ (রাঃ) এর ঘরে একজন মেহমান আসলে তিনি তার জন্য একটি হলুদ বর্ণের তোষক বিছিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিলেন। তাতে মেহমানের স্বপ্নদোষ হল এবং স্বপ্নদোষের চিহ্ন বিদ্যমান থাকা অবস্থায় সে তোষকটি ফেরত পাঠাতে লজ্জাবোধ করে। তাই সে তা পানিতে ডুবিয়ে ধৌত করার পর সেটি তাকে ফেরত পাঠায়। তখন আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, সে আমাদের কাপড়টি কেন নষ্ট করলো? তার জন্য তো আঙ্গুল দিয়ে তা খুঁটে ফেলাই যথেষ্ট ছিল। কখনো কখনো আমি আমার আঙ্গুল দ্বারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাপড় থেকে বীর্য খুঁটে তুলে ফেলেছি।

بَاب فِي فَرْكِ الْمَنِيِّ مِنْ الثَّوْبِ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ الْحَارِثِ، قَالَ نَزَلَ بِعَائِشَةَ ضَيْفٌ فَأَمَرَتْ لَهُ بِمِلْحَفَةٍ لَهَا صَفْرَاءَ فَاحْتَلَمَ فِيهَا فَاسْتَحْيَى أَنْ يُرْسِلَ بِهَا وَفِيهَا أَثَرُ الاِحْتِلاَمِ فَغَمَسَهَا فِي الْمَاءِ ثُمَّ أَرْسَلَ بِهَا فَقَالَتْ عَائِشَةُ لِمَ أَفْسَدْتَ عَلَيْنَا ثَوْبَنَا إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيكَ أَنْ تَفْرُكَهُ بِإِصْبَعِكَ رُبَّمَا فَرَكْتُهُ مِنْ ثَوْبِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِإِصْبَعِي ‏.‏


Hammam bin Harith narrated: "A guest came and stayed with 'Aishah, and she ordered that he be given a yellow blanket of hers. He had a nocturnal emission on it, and he felt too shy to send it back to send it back to her when it had the traces of that emission on it, so he dipped it in water and then sent it to her. 'Aishah said: 'Why did he spoil our garment? It would have been sufficient for him to scrape it off with his finger. I often scraped it (semen) from the garment of the Messenger of Allah with my finger.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হাম্মাম ইবনু হারিস (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১/৮৪. চামড়ার মোজাদ্বয়ের উপর মাসহ করা।

১/৫৪৩। হাম্মাম ইবনুল হারিস (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জারীর ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) পেশাব করার পর উযূ (ওজু/অজু/অযু) করলেন এবং তার চামড়ার মোজাদ্বয়ের উপর মাসহ(মাসেহ) করলেন। তাকে বলা হল, আপনিও কি এরূপ করেন? তিনি বলেন, আমাকে কোন্ জিনিস তাতে বাধা দিবে? অথচ আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এরূপ করতে দেখেছি। ইব্রাহীম (রহঃ) বলেন, জারীর -এর হাদীস শুনে লোকেরা বিস্মিত হতো। কারণ তিনি সূরাহ আল-মায়িদাহ নাযিল হওয়ার পর ইসলাম গ্রহণ করেছেন।

بَاب مَا جَاءَ فِي الْمَسْحِ عَلَى الْخُفَّيْنِ

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ الْحَارِثِ، قَالَ بَالَ جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ ثُمَّ تَوَضَّأَ وَمَسَحَ عَلَى خُفَّيْهِ فَقِيلَ لَهُ أَتَفْعَلُ هَذَا قَالَ وَمَا يَمْنَعُنِي وَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَفْعَلُهُ ‏.‏ قَالَ إِبْرَاهِيمُ كَانَ يُعْجِبُهُمْ حَدِيثُ جَرِيرٍ لأَنَّ إِسْلاَمَهُ كَانَ بَعْدَ نُزُولِ الْمَائِدَةِ ‏.‏


It was narrated that Hammam bin Harith said: "Jarir bin 'Abdullah urinated, then he performed ablution and wiped over his leather socks. Someone asked him: 'Do you do this?' He said: 'Why shouldn't I? I saw the Messenger of Allah doing this.'" Ibrahim (who narrated it from Hammam) said: "They were pleased by the Hadith of Jarir because he accepted Islam after the revelation of Ma'idah."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হাম্মাম ইবনু হারিস (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ মোজায় মাসহ করা।

৯৩. হান্নাদ (রহঃ) .... হাম্মাম ইবনুল হারিছ (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, জারীর ইবনু আবদিল্লাহ্ রাদিয়াল্লাহু আনহু পেশাব করলেন, তারপর উযূ (ওজু/অজু/অযু) করলেন এবং তাঁর মোযায় মাসেহ করলেন। তাঁকে বলা হলঃ আপনি এ কী করছেন? তিনি বললেনঃ এ থেকে কোন আমি বিরত থাকব! আমি তো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এরূপ করতে দেখেছি। রাবী ইবরাহীম (রহঃ) বলেনঃ জারীর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত এই হাদিস লোকদের নিকট খুবই পছন্দনীয় ছিল। কারণ তিনি সূরা মাইদা নাযিল ও হওয়ার পর ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। - ইবনু মাজাহ ৫৪৩,তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৯৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে ’উমর, আবল হুযায়ফা, মুগীরা, বিলাল, সা’দ, আবূ আয়্যূব, সালমান, বুরায়দা, আমর ইবনু উমায়্যা, আনাস, সাহল ইবনু সা’দ, ইয়া’লা ইবনুুর মুররা, উবাদা ইবনুস সামিত, উসামা উবন শারীক, আবূ উমামা, জাবির ও উসামা উবন যায়দ, ইবনু উবাদা (ইবনু ইমারাও বলা হয়), উবায় ইবনু ইমারা রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকেও হাদিস বর্ণিত রয়েছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী বলেনঃ জারীর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদিসটি হাসান ও সহীহ।

باب فِي الْمَسْحِ عَلَى الْخُفَّيْنِ

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ الْحَارِثِ، قَالَ بَالَ جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ ثُمَّ تَوَضَّأَ وَمَسَحَ عَلَى خُفَّيْهِ فَقِيلَ لَهُ أَتَفْعَلُ هَذَا قَالَ وَمَا يَمْنَعُنِي وَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَفْعَلُهُ ‏.‏ قَالَ إِبْرَاهِيمُ وَكَانَ يُعْجِبُهُمْ حَدِيثُ جَرِيرٍ لأَنَّ إِسْلاَمَهُ كَانَ بَعْدَ نُزُولِ الْمَائِدَةِ ‏.‏ هَذَا قَوْلُ إِبْرَاهِيمَ يَعْنِي كَانَ يُعْجِبُهُمْ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَعَلِيٍّ وَحُذَيْفَةَ وَالْمُغِيرَةِ وَبِلاَلٍ وَسَعْدٍ وَأَبِي أَيُّوبَ وَسَلْمَانَ وَبُرَيْدَةَ وَعَمْرِو بْنِ أُمَيَّةَ وَأَنَسٍ وَسَهْلِ بْنِ سَعْدٍ وَيَعْلَى بْنِ مُرَّةَ وَعُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ وَأُسَامَةَ بْنِ شَرِيكٍ وَأَبِي أُمَامَةَ وَجَابِرٍ وَأُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ وَابْنِ عُبَادَةَ وَيُقَالُ ابْنُ عِمَارَةَ وَأُبَىُّ بْنُ عِمَارَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَحَدِيثُ جَرِيرٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏


Hammam bin AI-Harith narrated: "Jarir bin Abdullah urinated, then he performed Wudu, wiping over his Khuff. So he was asked, 'You do this?' He replied, 'What prevents me, when I have seen Allah's Messenger doing it?" He [Ibrahim] said "And they were impressed by the narration of Jarir since he accepted Islam after the revelation Sural Al-Ma'idah." [This is the saying of lbrahim, that is, "They were impressed."] [He said:] There are narrations on this topic from Umar, Ali, Hudhaifah, AI-Mughirah, Bilil, Sa'd, Abu Ayyub, Salman, Buraidah, Amr bin Umayyah, Anas, Sahl bin Sa'd, Ya'la bin Murrah, Ubadah bin As-Samit, Usamah bin Shank, Abu Umamah, Jabir, Usamah bin Zaid, and Ibn Ubadah. They call him Ibn Imarah and Ubayy bin Imarah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হাম্মাম ইবনু হারিস (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ কাপড়ে মনী লাগা।

১১৬. হান্নাদ (রহঃ) .... হাম্মাম ইবনু হারিছ (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, একবার আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহআ এর কাছে একজন মেহমান এলেন। তিনি তাঁকে একটি হলুদ রঙ্গের চাঁদরে বিশ্রাম করতে দিলেন। উক্ত মেহমান তা গায়ে জাড়িয়ে পড়লেন। তার স্বপ্নদোষ হল। বীর্যের দাগসহ চাঁদরটি আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা এর কাছে ফেরত পাঠাতে খুব লজ্জাবোধ হয়। তাই এটি পানিতে চুবিয়ে ধুয়ে তিনি তা ফেরত পাঠালেন। আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা তা দেখে বললেনঃ আমার চাঁদারটি ভিজিয়ে নষ্ট করলে কেন? আঙ্গুল দিয়ে ঘষে ফেলে দিলেই তো যথেষ্ট হত। অনেক দিনই তো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাপড় থেকে আমিতা অঙ্গুল দিয়ে রগড়ে ঘষে সাফ করে দিয়েছি। - ইবনু মাজাহ ৫৩৮, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী বলেনঃ এই হাদিসটি হাসান সহীহ। সুফইয়ান, আহমদ ও ইসহাকের মত একধিক ফকীহের অভিমত এ-ই। তারা বলেনঃ মনীা কাপড়ে লাগলে না ধুয়ে কেবল আঙ্গুল দিয়ে রগড়ে নিলেই যথেষ্ট হবে। আমশের উক্ত রিওয়ায়াতের মত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা এর সূত্রে মানসূর থেকেও রিওয়ায়াত আছে। আবূ ম’শারও ইবরাহীম-আসওয়াদ আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা এর সূত্রে এই হাদিসটি বর্ণনা করেছেন। তবে আ’মাশ বর্ণিত রিওয়ায়াতটি অধিক সহীহ।

باب مَا جَاءَ فِي الْمَنِيِّ يُصِيبُ الثَّوْبَ

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ الْحَارِثِ، قَالَ ضَافَ عَائِشَةَ ضَيْفٌ فَأَمَرَتْ لَهُ بِمِلْحَفَةٍ صَفْرَاءَ فَنَامَ فِيهَا فَاحْتَلَمَ فَاسْتَحْيَا أَنْ يُرْسِلَ بِهَا وَبِهَا أَثَرُ الاِحْتِلاَمِ فَغَمَسَهَا فِي الْمَاءِ ثُمَّ أَرْسَلَ بِهَا فَقَالَتْ عَائِشَةُ لِمَ أَفْسَدَ عَلَيْنَا ثَوْبَنَا إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيهِ أَنْ يَفْرُكَهُ بِأَصَابِعِهِ وَرُبَّمَا فَرَكْتُهُ مِنْ ثَوْبِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِأَصَابِعِي ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ وَمَنْ بَعْدَهُمْ مِنَ الْفُقَهَاءِ مِثْلِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ قَالُوا فِي الْمَنِيِّ يُصِيبُ الثَّوْبَ يُجْزِئُهُ الْفَرْكُ وَإِنْ لَمْ يُغْسَلْ ‏.‏ وَهَكَذَا رُوِيَ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ هَمَّامِ بْنِ الْحَارِثِ عَنْ عَائِشَةَ مِثْلَ رِوَايَةِ الأَعْمَشِ ‏.‏ وَرَوَى أَبُو مَعْشَرٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنِ الأَسْوَدِ عَنْ عَائِشَةَ وَحَدِيثُ الأَعْمَشِ أَصَحُّ ‏.‏


Hammam bin AI-Harith narrated: "Aishah had a guest to whom she lent a yellow wrap for him to sleep in. He had a wet dream, and was too embarrassed to send it to her while the traces of the wet dream were present on it. So he submerged it (washing it) in water, then he sent it to her. Aishah said, "Why did he ruin our garment? It would have been sufficient for him to scrape it off with his fingers. Sometimes I would scrape it off of the garment of Allah's Messenger with my fingers."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হাম্মাম ইবনু হারিস (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ চোগলখোর।

২০৩২ ইবন আবূ উমার (রহঃ) .... হাম্মাম ইবন হারিছ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। হুযায়ফা ইবন ইয়ামান রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর পাশ দিয়ে এক ব্যক্তি যাচ্ছিল। তাঁকে বলা হল, এই ব্যক্তি প্রশাসকদের নিকট লোকদের কথা লাগায়। হুযায়ফা রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, ’কাত্তাত’ জান্নাতে প্রবেশ করবে না। সহীহ, সহীহাহ ১০৩৪, গায়াতুল মারাম ৪৩৩, বুখারী ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২০২৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]

রাবী সুফইয়ান (রহঃ) বলেন, কাত্তাত অর্থ হল চোগলখোর। হাদীসটি হাসান-সহীহ।

باب مَا جَاءَ فِي النَّمَّامِ

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ الْحَارِثِ، قَالَ مَرَّ رَجُلٌ عَلَى حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ فَقِيلَ لَهُ إِنَّ هَذَا يُبَلِّغُ الأُمَرَاءَ الْحَدِيثَ عَنِ النَّاسِ ‏.‏ فَقَالَ حُذَيْفَةُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَتَّاتٌ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ سُفْيَانُ وَالْقَتَّاتُ النَّمَّامُ ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏


Hammam bin Al-Harith said: "Aman passed by Hudhaifah bin Al-Yaman and it was said to him: "This person conveys news about the people to the leaders.' So Hudaifah said: 'The Messenger of Allah said: 'The Qatat shall not enter paradise.'" (Sahih)Sufyan said: "The Qatat is the Nammam.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হাম্মাম ইবনু হারিস (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৮/২৫. মোযা পরা অবস্থায় সালাত আদায় করা।

৩৮৭. হাম্মাম ইবনু হারিস (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি জারীর ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাযি.)-কে দেখলাম যে, তিনি পেশাব করলেন। অতঃপর উযূ করলেন আর উভয় মোজার উপরে মাসেহ করলেন। অতঃপর তিনি দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করলেন। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেনঃ আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কেও এরূপ করতে দেখেছি। ইবরাহীম (রহ.) বলেনঃ এ হাদীস মুহাদ্দিসীনের নিকট অত্যন্ত পছন্দনীয়। কারণ জারীর (রাযি.) ছিলেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর শেষ সময়ে ইসলাম গ্রহণকারীদের মধ্যে একজন। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৭৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮০)

بَاب الصَّلاَةِ فِي الْخِفَافِ.

آدَمُ قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنِ الْأَعْمَشِ قَالَ سَمِعْتُ إِبْرَاهِيمَ يُحَدِّثُ عَنْ هَمَّامِ بْنِ الْحَارِثِ قَالَ رَأَيْتُ جَرِيرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ بَالَ ثُمَّ تَوَضَّأَ وَمَسَحَ عَلَى خُفَّيْهِ ثُمَّ قَامَ فَصَلَّى فَسُئِلَ فَقَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَنَعَ مِثْلَ هَذَا قَالَ إِبْرَاهِيمُ فَكَانَ يُعْجِبُهُمْ لِأَنَّ جَرِيرًا كَانَ مِنْ آخِرِ مَنْ أَسْلَمَ.


Narrated Ibrahim: Hammam bin Al-Harith said, "I saw Jarir bin `Abdullah urinating. Then he performed ablution and passed his (wet) hands over his Khuffs (socks made from thick fabric or leather), stood up and prayed. He was asked about it. He replied that he had seen the Prophet (ﷺ) doing the same." They approved of this narration as Jarir was one of those who embraced Islam very late.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হাম্মাম ইবনু হারিস (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৭০. মোজার উপর মাসিহ করা

৯৩। হাম্মাম ইবনুল হারিস (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, জারীর ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) পেশাব করলেন, অতঃপর ওযু করলেন এবং মোজার উপর মসিহ করলেন। তাকে বলা হল, আপনি এরূপ করছেন? তিনি বললেন, কোন জিনিস আমাকে বাধা দিবে? আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এরূপ করতে দেখেছি। হাম্মাম বলেন, জারীরের এ হাদীস সবারই ভাল লাগত। কেননা তিনি সূরা মায়িদাহ অবতীর্ণ হওয়ার পর মুসলিম হয়েছেন। —সহীহ। ইবনু মাজাহ (৫৪৩)।

এ অনুচ্ছেদে উমার, আলী, হুযাইফা, মুগীরা, বিলাল, সাদ, আবু আইউব, সালমান, বুরাইদা, আমর ইবনু উমাইয়া, আনাস, সাহল ইবনু সাদ, ইয়া’লা ইবনু মুররা, উবাদা ইবনুস সামিত, উসামা ইবনু শারীক, আবু উমামা, জাবির এবং উসামা ইবনু যাইদ, ইবনু উবাদাহ বা ইবনু উমারাহ বা উবাই ইবনু উমারাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসও রয়েছে।

আবু ঈসা বলেন, জারীর (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ।

باب فِي الْمَسْحِ عَلَى الْخُفَّيْنِ

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ الْحَارِثِ، قَالَ بَالَ جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ ثُمَّ تَوَضَّأَ وَمَسَحَ عَلَى خُفَّيْهِ فَقِيلَ لَهُ أَتَفْعَلُ هَذَا قَالَ وَمَا يَمْنَعُنِي وَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَفْعَلُهُ ‏.‏ قَالَ إِبْرَاهِيمُ وَكَانَ يُعْجِبُهُمْ حَدِيثُ جَرِيرٍ لأَنَّ إِسْلاَمَهُ كَانَ بَعْدَ نُزُولِ الْمَائِدَةِ ‏.‏ هَذَا قَوْلُ إِبْرَاهِيمَ يَعْنِي كَانَ يُعْجِبُهُمْ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَعَلِيٍّ وَحُذَيْفَةَ وَالْمُغِيرَةِ وَبِلاَلٍ وَسَعْدٍ وَأَبِي أَيُّوبَ وَسَلْمَانَ وَبُرَيْدَةَ وَعَمْرِو بْنِ أُمَيَّةَ وَأَنَسٍ وَسَهْلِ بْنِ سَعْدٍ وَيَعْلَى بْنِ مُرَّةَ وَعُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ وَأُسَامَةَ بْنِ شَرِيكٍ وَأَبِي أُمَامَةَ وَجَابِرٍ وَأُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ وَابْنِ عُبَادَةَ وَيُقَالُ ابْنُ عِمَارَةَ وَأُبَىُّ بْنُ عِمَارَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَحَدِيثُ جَرِيرٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏


Hammam bin AI-Harith narrated: "Jarir bin Abdullah urinated, then he performed Wudu, wiping over his Khuff. So he was asked, 'You do this?' He replied, 'What prevents me, when I have seen Allah's Messenger doing it?" He [Ibrahim] said "And they were impressed by the narration of Jarir since he accepted Islam after the revelation Sural Al-Ma'idah." [This is the saying of lbrahim, that is, "They were impressed."] [He said:] There are narrations on this topic from Umar, Ali, Hudhaifah, AI-Mughirah, Bilil, Sa'd, Abu Ayyub, Salman, Buraidah, Amr bin Umayyah, Anas, Sahl bin Sa'd, Ya'la bin Murrah, Ubadah bin As-Samit, Usamah bin Shank, Abu Umamah, Jabir, Usamah bin Zaid, and Ibn Ubadah. They call him Ibn Imarah and Ubayy bin Imarah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হাম্মাম ইবনু হারিস (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৮৫. কাপড়ে বীর্য লেগে গেলে

১১৬। হাম্মাম ইবনুল হারিস (রাহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আয়িশাহ (রাঃ)-এর বাড়িতে একজন মেহমান এল, তিনি তার জন্য হলুদ রংয়ের একটি চাদর বিছিয়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিলেন। সে তাতে শুয়ে গেল। (ঘুমের মধ্যে) তার স্বপ্লদোষ হল। সে চাদরটি এ অবস্থায় ফেরত দিতে লজ্জাবোধ করল। তাই সে তা পানির মধ্যে ডুবিয়ে দিল। অতঃপর আয়িশাহ (রাঃ)-এর নিকট তা পাঠিয়ে দিল। তিনি বললেন, সে আমাদের কাপড়টি খারাপ করে দিল কেন? আঙ্গুল দিয়ে খুঁটে খুঁটে বীর্য তুলে ফেলাই তার জন্য যথেষ্ট ছিল। কখনো কখনো আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাপড় হতে আঙ্গুল দিয়ে শুক্র খুঁটে খুঁটে তুলে ফেলতাম। --সহীহ। ইবনু মাজাহ– (৫৩৮), মুসলিম।

আবু ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ। অনেক সাহাবা তাবেঈ এবং একাধিক ফকীহ যেমন সুফিয়ান সাওরী, আহমাদ ও ইসহাক বলেছেন, যদি কাপড়ে বীর্য লেগে যায় তবে তা খুঁটে খুঁটে তুলে ফেলাই যথেষ্ট, যদিও তা ধোয়া না হয়। মানসূর হতে তিনি ইবরহীম হতে, তিনি হাম্মাম ইবনুল হারিস হতে তিনি আয়িশাহ হতে, আমাশের মতই হাদীস বর্ণনা করেছেন। আবু মা’শার এই হাদীসটি ইবরহীম হতে, তিনি আসওয়াদ হতে তিনি আয়িশাহ হতে বর্ণনা করেছেন। তবে আমাশের সূত্রে বর্ণিত হাদীসটি সবচাইতে সহীহ।

باب مَا جَاءَ فِي الْمَنِيِّ يُصِيبُ الثَّوْبَ

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ الْحَارِثِ، قَالَ ضَافَ عَائِشَةَ ضَيْفٌ فَأَمَرَتْ لَهُ بِمِلْحَفَةٍ صَفْرَاءَ فَنَامَ فِيهَا فَاحْتَلَمَ فَاسْتَحْيَا أَنْ يُرْسِلَ بِهَا وَبِهَا أَثَرُ الاِحْتِلاَمِ فَغَمَسَهَا فِي الْمَاءِ ثُمَّ أَرْسَلَ بِهَا فَقَالَتْ عَائِشَةُ لِمَ أَفْسَدَ عَلَيْنَا ثَوْبَنَا إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيهِ أَنْ يَفْرُكَهُ بِأَصَابِعِهِ وَرُبَّمَا فَرَكْتُهُ مِنْ ثَوْبِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِأَصَابِعِي ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ وَمَنْ بَعْدَهُمْ مِنَ الْفُقَهَاءِ مِثْلِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ قَالُوا فِي الْمَنِيِّ يُصِيبُ الثَّوْبَ يُجْزِئُهُ الْفَرْكُ وَإِنْ لَمْ يُغْسَلْ ‏.‏ وَهَكَذَا رُوِيَ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ هَمَّامِ بْنِ الْحَارِثِ عَنْ عَائِشَةَ مِثْلَ رِوَايَةِ الأَعْمَشِ ‏.‏ وَرَوَى أَبُو مَعْشَرٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنِ الأَسْوَدِ عَنْ عَائِشَةَ وَحَدِيثُ الأَعْمَشِ أَصَحُّ ‏.‏


Hammam bin AI-Harith narrated: "Aishah had a guest to whom she lent a yellow wrap for him to sleep in. He had a wet dream, and was too embarrassed to send it to her while the traces of the wet dream were present on it. So he submerged it (washing it) in water, then he sent it to her. Aishah said, "Why did he ruin our garment? It would have been sufficient for him to scrape it off with his fingers. Sometimes I would scrape it off of the garment of Allah's Messenger with my fingers."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হাম্মাম ইবনু হারিস (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৭৯. চোগলখোর (পরোক্ষে নিন্দাকারী) প্রসঙ্গে

২০২৬। হাম্মাম ইবনুল হারিস (রাহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান (রাঃ)-কে একজন লোক অতিক্রম করে যাচ্ছিল। তাকে বলা হলো, এই লোক জনসাধারণের কথা প্রশাসকদের কানে পৌছিয়ে দেয়। (একথা শুনে) হুযাইফা (রাঃ) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ চোগলখোর জান্নাতে যেতে পারবে না।

সহীহ, সহীহাহ (১০৩৪), গাইয়াতুল মারাম (৪৩৩), বুখারী, মুসলিম।

সুফিয়ান বলেন, “আল-কাত্তাত” অর্থ চোগলখোর। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

باب مَا جَاءَ فِي النَّمَّامِ

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ الْحَارِثِ، قَالَ مَرَّ رَجُلٌ عَلَى حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ فَقِيلَ لَهُ إِنَّ هَذَا يُبَلِّغُ الأُمَرَاءَ الْحَدِيثَ عَنِ النَّاسِ ‏.‏ فَقَالَ حُذَيْفَةُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَتَّاتٌ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ سُفْيَانُ وَالْقَتَّاتُ النَّمَّامُ ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏


Hammam bin Al-Harith said: "Aman passed by Hudhaifah bin Al-Yaman and it was said to him: "This person conveys news about the people to the leaders.' So Hudaifah said: 'The Messenger of Allah said: 'The Qatat shall not enter paradise.'" (Sahih)Sufyan said: "The Qatat is the Nammam.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হাম্মাম ইবনু হারিস (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১১৫. হায়িযগ্রস্ত মহিলার হায়িয শুরু হওয়ার পূর্বে গোসল ফরয থাকলে তার গোসল করা

১১৯১. হাম্মাম ইবনুল হারিছ হতে বর্ণিত, হুযাইফা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তার স্ত্রীকে বলেন, তুমি তোমার চুল উপড়ে ফেলো, (তাহলে) জাহান্নামের আগুন তোমার চুলে ছড়িয়ে পড়তে পারবে না; (ফলে) তাতে এর (তোমার মাথার চুলের) অবস্থান হবে সামান্য সময়ই।[1]

মানসূর বলেন: অর্থা জানাবাতের অবস্থায়।

بَاب اغْتِسَالِ الْحَائِضِ إِذَا وَجَبَ الْغُسْلُ عَلَيْهَا قَبْلَ أَنْ تَحِيضَ

أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا زَائِدَةُ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ هَمَّامِ بْنِ الْحَارِثِ عَنْ حُذَيْفَةَ أَنَّهُ قَالَ لِامْرَأَتِهِ اسْتَأْصِلِي الشَّعْرَ لَا تَخَلَّلُهُ نَارٌ قَلِيلٌ بُقْيَاهَا عَلَيْهِ قَالَ مَنْصُورٌ يَعْنِي الْجَنَابَةَ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হাম্মাম ইবনু হারিস (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১১৫. হায়িযগ্রস্ত মহিলার হায়িয শুরু হওয়ার পূর্বে গোসল ফরয থাকলে তার গোসল করা

১১৯২. (অপর সনদে) হাম্মাম ইবনুল হারিছ হতে বর্ণিত, হুযাইফা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তার স্ত্রীকে বলেন, তুমি তোমার চুলের গোড়ায় পানি পৌঁছাও, (তাহলে) জাহান্নামের আগুন তোমার চুলে ছড়িয়ে পড়তে পারবে না; (ফলে) একে (তোমার মাথাকে) তাতে (আগুনে) সামান্যই অবস্থান করতে হবে (তথা অবস্থান করতে হবে না)।[1]

بَاب اغْتِسَالِ الْحَائِضِ إِذَا وَجَبَ الْغُسْلُ عَلَيْهَا قَبْلَ أَنْ تَحِيضَ

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ الْحَارِثِ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ هَمَّامِ بْنِ الْحَارِثِ عَنْ حُذَيْفَةَ أَنَّهُ قَالَ لِامْرَأَتِهِ اسْتَأْصِلِي الشَّعْرَ بِالْمَاءِ لَا تَخَلَّلُهُ نَارٌ قَلِيلٌ بُقْيَاهَا عَلَيْهِ


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ হাম্মাম ইবনু হারিস (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪৫.চোগলখোরী জঘন্যতম হারাম ।

১৯২–(১৬৯/...) ’আলী ইবনু হুজুর আস্ সা’দী ও ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ..... হাম্মাম ইবনু আল হারিস (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, এক ব্যক্তি সাধারণ লোকজনের কথাবার্তা শাসনকর্তার নিকট পৌছাত। একদা আমরা মসজিদে বসা ছিলাম। উপবিষ্ট লোকেরা বললো, এ সে ব্যক্তি যে লোকজনের কথাবার্তা শাসনকর্তার নিকট পৌছায়। রাবী বললেন, এরপর সে উপস্থিত হল এবং আমাদের পাশে বসে পড়ল। তখন হুযাইফাহ্ (রাযিঃ) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলতে শুনেছি,কোন চোগলখোর জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না*। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৯৩, ইসলামিক সেন্টারঃ ১৯৯)

باب بَيَانِ غِلَظِ تَحْرِيمِ إِسْبَالِ الإِزَارِ وَالْمَنِّ بِالْعَطِيَّةِ وَتَنْفِيقِ السِّلْعَةِ بِالْحَلِفِ وَبَيَانِ الثَّلاَثَةِ الَّذِينَ لاَ يُكَلِّمُهُمُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلاَ يَنْظُرُ إِلَيْهِمْ وَلاَ يُزَكِّيهِمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ الْحَارِثِ، قَالَ كَانَ رَجُلٌ يَنْقُلُ الْحَدِيثَ إِلَى الأَمِيرِ فَكُنَّا جُلُوسًا فِي الْمَسْجِدِ فَقَالَ الْقَوْمُ هَذَا مِمَّنْ يَنْقُلُ الْحَدِيثَ إِلَى الأَمِيرِ ‏.‏ قَالَ فَجَاءَ حَتَّى جَلَسَ إِلَيْنَا ‏.‏ فَقَالَ حُذَيْفَةُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَتَّاتٌ ‏"‏ ‏.‏

Chapter: Clarifying the emphatic prohibition of letting one's garment hang below the ankles (isbal), reminding others of one's gift and selling goods by means of a false oath; Mention of the three to whom Allah, Most High, will not speak on the day of resurrection, nor look at them, nor sanctify them, and theirs will be a painful torment


It is reported on the authority of Hammam b, al-Harith that a man used to carry tales to the governor. We were sitting in the mosque. the people said: He is one who carries tales to the governor. He (the narrator) said: Then he came and sat with us. Thereupon Hudhaifa remarked: I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying: The beater of false tales would never enter heaven.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হাম্মাম ইবনু হারিস (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২৫ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »