(৩১৬৫) য়্যাঈশ ইবনে ত্বিখফাহ্ গিফারী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার পিতা বলেন, একদা আমি মসজিদে উপুড় হয়ে শুয়ে ছিলাম, এমতাবস্থায় একটি লোক আমাকে পা দিয়ে নড়িয়ে বলল, এ ধরনের শোয়াকে আল্লাহ অপছন্দ করেন। তিনি বলেন, ’আমি তাকিয়ে দেখলাম তো তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন।’

(৩১৬৬) আব্দুল্লাহ ইবনে যায়দ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে মসজিদে এমনভাবে চিৎ হয়ে শোয়া অবস্থায় প্রত্যক্ষ করেছেন যে, তিনি একটি পা অন্য পায়ের উপর চাপিয়ে রেখেছিলেন। (বুখারী ৪৭৫, ৫৯৬৯ মুসলিম ৫৬২৬)

(৩১৬৭) আলী বিন শাইবান (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি এমন ঘরের ছাদে রাত্রিযাপন করে, যার কোন আড়াল নেই, সে ব্যক্তির উপর থেকে (নিরাপত্তার) দায়িত্ব উঠে যায়।

(৩১৬৮)আবু দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, রাত্রে উঠে তাহাজ্জুদ পড়বে এই নিয়্যাত (সংকল্প) করে যে ব্যক্তি নিজ বিছানায় আশ্রয় নেয়, অতঃপর তার চক্ষুদ্বয় তাকে নিদ্রাভিভূত করে ফেলে এবং যদি এই অবস্থাতেই তার ফজর হয়ে যায়, তবে তার আমলনামায় তাই লিপিবদ্ধ হয় যার সে নিয়্যাত (সংকল্প) করেছিল। আর তার ঐ নিদ্রা তার প্রতিপালকের পক্ষ হতে সদকাহ (দান) রূপে প্রদত্ত হয়।

(৩১৬৯) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের মধ্যে কেউ যখন ঘুম থেকে উঠে উযূ করে, সে যেন তিনবার নাক ঝাড়ে। কেননা শয়তান তার নাকের অনেক ভিতরে রাত্রিযাপন করে।

(৩১৭০) আনাস বিন মালিক কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা দুপুর বেলায় একটু ঘুমিয়ে বিশ্রাম নাও। কারণ, শয়তানরা ঐ সময় বিশ্রাম নেয় না।