পরিচ্ছেদঃ শয়নকালে যা বলতে হয়

(৩১৫৫)বারা’ ইবনে আযেব (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন শয্যাগ্রহণ করতেন, তখন ডান পার্শ্বে শয়ন করতেন এবং এই দু’আ পড়তেনঃ

’আল্লা-হুম্মা আসলামতু নাফসী ইলাইকা অ অজ্জাহতু অজহিয়া ইলাইক, অফাউওয়াযতু আমরী ইলাইক, অ আলজা’তু যাহরী ইলাইক, রাগবাতাঁঊ অরাহবাতান্ ইলাইক্, লা মালজাআ অলা মানজা মিনকা ইল্লা ইলাইক, আ-মানতু বিকিতা-বিকাল্লাযী আনযালতা অ নাবিয়্যিকাল্লাযী আরসালত্।’

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আমার প্রাণ তোমার প্রতি সমর্পণ করেছি, আমার মুখমণ্ডল তোমার প্রতি ফিরিয়েছি, আমার সকল কর্মের দায়িত্ব তোমাকে সোপর্দ করেছি, আমার পিঠকে তোমার দিকে লাগিয়েছি (তোমার উপরেই সকল ভরসা রেখেছি), এসব কিছু তোমার সওয়াবের আশায় ও তোমার আযাবের ভয়ে করেছি। তোমার নিকট ছাড়া তোমার আযাব থেকে বাঁচতে কোন আশ্রয়স্থল নেই। তুমি যে কিতাব অবতীর্ণ করেছ তার উপর এবং তুমি যে নবী প্রেরণ করেছ তার উপর ঈমান এনেছি।

عَنِ البَراءِ بنِ عَازِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا قَالَ : كَانَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إِذَا أَوَى إِلَى فِرَاشِهِ نَامَ عَلَى شِقِّهِ الأَيْمَنِ ثُمَّ قَالَ اللَّهُمَّ أسْلَمْتُ نَفسِي إلَيْكَ وَوَجَّهْتُ وَجْهِي إلَيْكَ وَفَوَّضْتُ أمْرِي إلَيْكَ وَألْجَأتُ ظَهْرِي إلَيْك رَغْبَةً وَرَهْبَةً إلَيْكَ لاَ مَلْجَأ وَلاَ مَنْجا مِنْكَ إِلاَّ إلَيكَ آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِي أنْزَلْتَ وَنَبِيِّكَ الَّذِي أرْسَلْتَ رواه البخاري بهذا اللفظ في كتاب الأدب من صحيحه

عن البراء بن عازب رضي الله عنهما قال كان رسول الله ﷺ اذا اوى الى فراشه نام على شقه الايمن ثم قال اللهم اسلمت نفسي اليك ووجهت وجهي اليك وفوضت امري اليك والجات ظهري اليك رغبة ورهبة اليك لا ملجا ولا منجا منك الا اليك امنت بكتابك الذي انزلت ونبيك الذي ارسلت رواه البخاري بهذا اللفظ في كتاب الادب من صحيحه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ শয়নকালে যা বলতে হয়

(৩১৫৬)উক্ত রাবী হতেই বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, তুমি যখন তোমার বিছানায় (ঘুমাবার জন্য) আসবে, তখন তুমি নামাযের ওযূর মত ওযূ কর। অতঃপর ডান পার্শ্বে শুয়ে (পূর্বোক্ত দু’আটি) দু’আ পাঠ কর।’’ অতঃপর বর্ণনাকারী ঐ দু’আটি উল্লেখ করলেন। আর এ বর্ণনায় আছে যে, ’’ওই দু’আটিকেই সবশেষে পাঠ কর। (বুখারী ২৪৭, মুসলিম ৭০৫৭)

অন্য বর্ণনায় আছে, এই দু’আ বলার পর যদি তোমার ঐ রাত্রেই মৃত্যু হয় তাহলে তোমার মরণ ইসলামী প্রকৃতির উপর হবে। ঐ সময় যা তুমি বলবে তার সব শেষে এই দু’আটি বলো। (বুখারী ৬৩১১, মুসলিম ৭০৫৭, আবু দাঊদ, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ)

وَعَنهُ قَالَ : قَالَ لِي رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إِذَا أتَيْتَ مَضْجَعَكَ فَتَوَضَّأ وُضُوءَكَ لِلْصَّلاَةِ ثُمَّ اضْطَجِعْ عَلَى شِقِّكَ الأَيْمَنِ وَقُلْ وذَكَرَ نَحْوَهُ، وفيه وَاجْعَلْهُنَّ آخِرَ مَا تَقُولُ متفقٌ عَلَيْهِ

وعنه قال قال لي رسول الله ﷺ اذا اتيت مضجعك فتوضا وضوءك للصلاة ثم اضطجع على شقك الايمن وقل وذكر نحوه وفيه واجعلهن اخر ما تقول متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ শয়নকালে যা বলতে হয়

(৩১৫৭) হুযাইফা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাত্রিতে যখন শয্যাগ্রহণ করতেন, তখন তিনি গালের নীচে হাত রেখে এই দু’আ পড়তেনঃ ’আল্লাহুম্মা বিস্‌মিকা আমূতু অ আহয়্যা।’ অর্থাৎ, হে আল্লাহ! আমি তোমার নামে মরি ও বাঁচি।

আর যখন জাগতেন তখন বলতেনঃ ’আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী আহয়্যা-না বা’দা মা আমা-তানা অ ইলাইহিন নুশূর।’ অর্থাৎ, সেই আল্লাহর সমস্ত প্রশংসা যিনি আমাদেরকে মৃত্যু (নিদ্রা) দেওয়ার পর জীবিত করলেন এবং তাঁরই দিকে আমাদের পুনর্জীবন।

وَعَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ : كَانَ النَّبيُّ ﷺ إِذَا أخَذَ مَضْجَعَهُ مِنَ اللَّيْلِ وَضَعَ يَدَهُ تَحْتَ خَدِّهِ ثُمَّ يَقُولُ اللَّهُمَّ بِاسْمِكَ أمُوتُ وَأحْيَا وَإِذَا اسْتَيْقَظَ قَالَ الْحَمْدُ للهِ الَّذِي أحْيَانَا بَعْدَ مَا أمَاتَنَا وَإِلَيْهِ النُشُورُ

وعن حذيفة قال كان النبي ﷺ اذا اخذ مضجعه من الليل وضع يده تحت خده ثم يقول اللهم باسمك اموت واحيا واذا استيقظ قال الحمد لله الذي احيانا بعد ما اماتنا واليه النشور

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ শয়নকালে যা বলতে হয়

(৩১৫৮)ফারওয়াহ বিন নাওফাল তাঁর পিতার নিকট হতে বর্ণনা করে বলেন, একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাওফালকে বললেন, তুমি (ক্বুল ইয়্যা আইয়্যু হাল কা-ফিরূন) পাঠ কর, অতঃপর এর শেষে নিদ্রা যাও। কারণ উক্ত সূরা শিরক থেকে মুক্তি পেতে উপকারী।

عَنْ فَرْوَةَ بْنِ نَوْفَلٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ النَّبِىَّ ﷺ قَالَ لِنَوْفَلٍ اقْرَأْ (قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ) ثُمَّ نَمْ عَلَى خَاتِمَتِهَا فَإِنَّهَا بَرَاءَةٌ مِنَ الشِّرْكِ

عن فروة بن نوفل عن ابيه ان النبى ﷺ قال لنوفل اقرا قل يا ايها الكافرون ثم نم على خاتمتها فانها براءة من الشرك

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ শয়নকালে যা বলতে হয়

(৩১৫৯) আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’দুটি এমন অভ্যাস যাতে কোন মুসলিম যত্নবান হলেই সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। অভ্যাস দুটি বড় সহজ, কিন্তু এতে অভ্যাসী ব্যক্তি খুবই কম; প্রত্যেক (ফরয) নামাযের পরে দশবার ’সুবহা-নাল্লাহ’, দশবার ’আলহামদু লিল্লা-হ’, এবং দশবার ’আল্লা-হু আকবার’ পাঠ করবে। (পাঁচ অক্তে) এগুলির সমষ্টি মুখে হল মাত্র দেড় শত; কিন্তু (নেকীর) মীযানে হবে দেড় হাজার। অনুরূপ শয্যাগ্রহণের সময়ও ৩৪ বার ’আল্লাহু আকবার’, ৩৩ বার ’আলহামদু লিল্লা-হ’ এবং ৩৩ বার ’সুবহা-নাল্লা-হ’ পাঠ করবে। মুখে এগুলোর সমষ্টি হল একশত, কিন্তু মীযানে হবে এক হাজার।’’

(আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) বলেন,) আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে উক্ত যিকর গুনতে দেখেছি। লোকেরা বলল, ’হে আল্লাহর রসূল! অভ্যাস দুটি বড় সহজ অথচ এতে অভ্যাসী ব্যক্তি খুবই কম, তা কি করে হয়?’ তিনি বললেন, (কারণ,) শয়নকালে শয়তান তোমাদের কারো নিকট উপস্থিত হয়; অতঃপর ঐগুলো বলার পূর্বেই তাকে ঘুম পাড়িয়ে দেয়। অনুরূপ নামাযের সময়ও উপস্থিত হয়; ফলে ঐগুলো বলার পূর্বে তার কোন জরুরী কাজ তাকে স্মরণ করিয়ে দেয়।

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو عَنِ النَّبِىِّ ﷺ قَالَ خَصْلَتَانِ أَوْ خَلَّتَانِ لاَ يُحَافِظُ عَلَيْهِمَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ إِلاَّ دَخَلَ الْجَنَّةَ هُمَا يَسِيرٌ وَمَنْ يَعْمَلُ بِهِمَا قَلِيلٌ يُسَبِّحُ فِى دُبُرِ كُلِّ صَلاَةٍ عَشْرًا وَيَحْمَدُ عَشْرًا وَيُكَبِّرُ عَشْرًا فَذَلِكَ خَمْسُونَ وَمِائَةٌ بِاللِّسَانِ وَأَلْفٌ وَخَمْسُمِائَةٍ فِى الْمِيزَانِ وَيُكَبِّرُ أَرْبَعًا وَثَلاَثِينَ إِذَا أَخَذَ مَضْجَعَهُ وَيَحْمَدُ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَيُسَبِّحُ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ فَذَلِكَ مِائَةٌ بِاللِّسَانِ وَأَلْفٌ فِى الْمِيزَانِ فَلَقَدْ رَأَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ يَعْقِدُهَا بِيَدِهِ قَالُوا يَا رَسُوْلَ اللهِ كَيْفَ هُمَا يَسِيرٌ وَمَنْ يَعْمَلُ بِهِمَا قَلِيلٌ قَالَ يَأْتِى أَحَدَكُمْ يَعْنِى الشَّيْطَانَ فِى مَنَامِهِ فَيُنَوِّمُهُ قَبْلَ أَنْ يَقُولَهُ وَيَأْتِيهِ فِى صَلاَتِهِ فَيُذَكِّرُهُ حَاجَةً قَبْلَ أَنْ يَقُولَهَا

عن عبد الله بن عمرو عن النبى ﷺ قال خصلتان او خلتان لا يحافظ عليهما عبد مسلم الا دخل الجنة هما يسير ومن يعمل بهما قليل يسبح فى دبر كل صلاة عشرا ويحمد عشرا ويكبر عشرا فذلك خمسون وماىة باللسان والف وخمسماىة فى الميزان ويكبر اربعا وثلاثين اذا اخذ مضجعه ويحمد ثلاثا وثلاثين ويسبح ثلاثا وثلاثين فذلك ماىة باللسان والف فى الميزان فلقد رايت رسول الله ﷺ يعقدها بيده قالوا يا رسول الله كيف هما يسير ومن يعمل بهما قليل قال ياتى احدكم يعنى الشيطان فى منامه فينومه قبل ان يقوله وياتيه فى صلاته فيذكره حاجة قبل ان يقولها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ শয়নকালে যা বলতে হয়

(৩১৬০) আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রমযানের যাকাত পাহারা দেওয়ার হাদীসে বলা হয়েছে যে, তিনি ঐ যাকাতের মাল পাহারা দিচ্ছিলেন। কয়েক রাত্রি শয়তান এসে মাল চুরি করে নিয়ে যায়। অবশেষে শেষরাত্রে সে তাঁকে বলে যায়, ’বিছানায় শয়ন করে ’আয়াতুল কুরসী’الله لَا إِلَـهَ إِلَّا هُـوَ الْحَـيُّ الْقَيُّوْم শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাঠ করো। এতে তোমার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এক হিফাযতকারী হবে। ফলে শয়তান সকাল পর্যন্ত তোমার নিকটবর্তী হতে পারবে না।

আবু হুরাইরা (রাঃ) একথা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উল্লেখ করলে তিনি বললেন, জেনে রেখো ও সত্যই বলেছে অথচ ও ভীষণ মিথ্যুক। (তিন তিন রাত্রি তুমি কার সাথে কথা বলেছ তা জানো কি আবু হুরাইরা?’’ আবূ হুরাইরা বলেন, আমি বললাম, ’না।’ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,) ’’ও ছিল শয়তান!

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ وَكَّلَنِي رَسُوْلُ اللهِ ﷺ بِحِفْظِ زَكَاةِ رَمَضَانَ فَأَتَانِي آتٍ فَجَعَلَ يَحْثُو مِنْ الطَّعَامِ فَأَخَذْتُهُ فَقُلْتُ لَأَرْفَعَنَّكَ إِلَى رَسُولِ اللهِ ﷺ فَذَكَرَ الْحَدِيثَ فَقَالَ إِذَا أَوَيْتَ إِلَى فِرَاشِكَ فَاقْرَأْ آيَةَ الْكُرْسِيِّ لَنْ يَزَالَ عَلَيْكَ مِنْ اللهِ حَافِظٌ وَلَا يَقْرَبُكَ شَيْطَانٌ حَتّٰـى تُصْبِحَ، فَقَالَ النَّبِيُّ ﷺ صَدَقَكَ وَهُوَ كَذُوبٌ، ذَاكَ شَيْطَانٌ

عن ابي هريرة رضي الله عنه قال وكلني رسول الله ﷺ بحفظ زكاة رمضان فاتاني ات فجعل يحثو من الطعام فاخذته فقلت لارفعنك الى رسول الله ﷺ فذكر الحديث فقال اذا اويت الى فراشك فاقرا اية الكرسي لن يزال عليك من الله حافظ ولا يقربك شيطان حتى تصبح فقال النبي ﷺ صدقك وهو كذوب ذاك شيطان

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ শয়নকালে যা বলতে হয়

(৩১৬১)মুআয বিন জাবাল (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে কোনও মুসলিম যখনই ওযু অবস্থায় রাত্রিযাপন করে, অতঃপর রাত্রিতে (সবাক্) জেগে উঠে ইহকাল ও পরকাল বিষয়ক কোন মঙ্গল প্রার্থনা করে, তখনই আল্লাহ তাকে তা প্রদান করে থাকেন।

عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ عَنِ النَّبِىِّ ﷺ قَالَ مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَبِيتُ عَلَى ذِكْرٍ طَاهِرًا فَيَتَعَارُّ مِنَ اللَّيْلِ فَيَسْأَلُ اللهَ خَيْرًا مِنَ الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ إِلاَّ أَعْطَاهُ إِيَّاهُ

عن معاذ بن جبل عن النبى ﷺ قال ما من مسلم يبيت على ذكر طاهرا فيتعار من الليل فيسال الله خيرا من الدنيا والاخرة الا اعطاه اياه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ শয়নকালে যা বলতে হয়

(৩১৬২) উবাদাহ বিন স্বামেত (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’যে ব্যক্তি রাত্রে (ঘুমাতে ঘুমাতে সবাক্) জেগে উঠলে বলে,

’লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু অহদাহু লা শারীকালাহু, লাহুল মুলকু অলাহুল হামদু অহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর। আল হামদু লিল্লা-হ, অসুবহা-নাল্লাহ, অলা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ অল্লা-হু আকবার, অলা হাউলা অলা ক্বুউওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ।

অর্থাৎ- ’আল্লাহ ছাড়া কেউ সত্য উপাস্য নেই, তিনি একক,তাঁর কোন অংশী নেই, তাঁরই জন্য সারা রাজত্ব এবং তাঁরই নিমিত্তে সমুদয় প্রশংসা এবং তিনি সর্বশক্তিমান। যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর, আল্লাহ মহাপবিত্র, আল্লাহ ব্যতীত কেউ সত্য উপাস্য নেই, আল্লাহ সর্বাপেক্ষা মহান, আর আল্লাহর সাহায্য ব্যতীত (নড়া-সরা করার এবং) পাপ হতে ফিরার ও সৎকর্ম করার কোন সাধ্য কারো নেই।’

অতঃপর সে ব্যক্তি যদি ’আল্লাহুম্মাগফিরলী, (অর্থাৎ আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করে দাও) বলে অথবা কিছু প্রার্থনা করে, তবে তা তার নিকট থেকে মঞ্জুর করা হয়। অতঃপর যদি সে ওযু করে নামায পড়ে, তবে তার নামায কবুল করা হয়।’’ (বুখারী ১১৫৪, আসহাবে সুনান)

عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ مَنْ تَعَارَّ مِنْ اللَّيْلِ فَقَالَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ الْحَمْدُ لِلهِ وَسُبْحَانَ اللهِ وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَاللهُ أَكْبَرُ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ ثُمَّ قَالَ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي أَوْ دَعَا اسْتُجِيبَ لَهُ فَإِنْ تَوَضَّأَ وَصَلَّى قُبِلَتْ صَلَاتُهُ

عن عبادة بن الصامت عن النبي ﷺ قال من تعار من الليل فقال لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيء قدير الحمد لله وسبحان الله ولا اله الا الله والله اكبر ولا حول ولا قوة الا بالله ثم قال اللهم اغفر لي او دعا استجيب له فان توضا وصلى قبلت صلاته

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ শয়নকালে যা বলতে হয়

(৩১৬৩)আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে এগারো রাকআত নামায পড়তেন। যখন ফজর উদয় হত, তখন তিনি দু’রাকআত সংক্ষিপ্ত নামায পড়তেন, তারপর তাঁর ডান পার্শ্বে শয়ন করতেন; শেষ পর্যন্ত মুআযযিন এসে তাঁকে (জামাআতের সময় হওয়ার) খবর জানাত।’

وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا قَالَتْ : كَانَ النَّبِيُّ ﷺ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ إحْدَى عَشرَةَ رَكْعَةً فَإِذَا طَلَعَ الفَجْرُ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ ثُمَّ اضْطَجَعَ عَلَى شِقِّهِ الأَيْمَنِ حَتّٰـى يَجِيءَ الْمُؤَذِّنُ فَيُؤْذِنَهُ متفقٌ عَلَيْهِ

وعن عاىشة رضي الله عنها قالت كان النبي ﷺ يصلي من الليل احدى عشرة ركعة فاذا طلع الفجر صلى ركعتين خفيفتين ثم اضطجع على شقه الايمن حتى يجيء الموذن فيوذنه متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ শয়নকালে যা বলতে হয়

(৩১৬৪) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি এমন মজলিসে বসে, যেখানে সে আল্লাহর যিকর করে না, (এর জন্য) আল্লাহর পক্ষ থেকে তার উপর পরিতাপ ও কমি আসবে। আর যে ব্যক্তি এমন জায়গায় শয়ন করে, যেখানে সে আল্লাহর যিকর করে না, (এর জন্য) আল্লাহর পক্ষ থেকে তার উপর পরিতাপ ও কমি আসবে।

وَعَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ عَن رَسُولِ اللهِ ﷺ قَالَ مَنْ قَعَدَ مَقْعَدَاً لَمْ يَذْكُرِ الله تَعَالَى فِيهِ كَانَتْ عَلَيْهِ مِنَ اللهِ تَعَالَى تِرَةٌ وَمَنِ اضْطَجَعَ مَضجَعاً لاَ يَذْكُرُ اللهَ تَعَالَى فِيهِ كَانَتْ عَلَيْهِ مِنَ اللهِ تِرَةٌ رواه أَبُو داود بإسنادٍ حسن

وعن ابي هريرة عن رسول الله ﷺ قال من قعد مقعدا لم يذكر الله تعالى فيه كانت عليه من الله تعالى ترة ومن اضطجع مضجعا لا يذكر الله تعالى فيه كانت عليه من الله ترة رواه ابو داود باسناد حسن

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১০ পর্যন্ত, সর্বমোট ১০ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে