পরিচ্ছেদঃ এশার নামাযের পর কথাবার্তা বলা মাকরূহ

উদ্দেশ্য, যে সব কথাবার্তা অন্য সময়ে বলা মুবাহ (অর্থাৎ, যা করা না করা সমান)। নচেৎ যে সব কথাবার্তা অন্য সময়ে হারাম বা মাকরূহ, সে সব এ সময়ে আরো অধিকভাবে হারাম ও মাকরূহ। পক্ষান্তরে কল্যাণমূলক কথাবার্তা; যেমন জ্ঞানচর্চা, নেক লোকদের কাহিনী ও চরিত্র আলোচনা, মেহমানের সঙ্গে বাক্যালাপ, কারো প্রয়োজন পূরণ প্রসঙ্গে কথা ইত্যাদি বলা মকরূহ নয়; বরং তা মুস্তাহাব। অনুরূপভাবে আকস্মিক কোন ঘটনাবশতঃ বা কোন সঠিক ওযরে কথা বলা অপছন্দনীয় কাজ নয়। উক্ত বিবৃতির সমর্থনে বহু বিশুদ্ধ হাদীস বিদ্যমান রয়েছে।


(৭৪১) আবূ বারযা (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এশার নামাযের আগে ঘুমানো এবং পরে কথাবার্তা বলা অপছন্দ করতেন।

عَنْ أَبيْ بَرْزَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ كَانَ يَكرَهُ النَّومَ قَبْلَ العِشَاءِ وَالحَدِيثَ بَعْدَهَا متفقٌ عليه

عن ابي برزة ان رسول الله ﷺ كان يكره النوم قبل العشاء والحديث بعدها متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৬/ স্বলাত (নামায)

পরিচ্ছেদঃ এশার নামাযের পর কথাবার্তা বলা মাকরূহ

(৭৪২) ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ জীবনের অন্তিম দিনগুলির কোন একদিন (লোকেদেরকে নিয়ে) এশার নামায পড়লেন এবং যখন সালাম ফিরলেন, তখন বললেন, আচ্ছা বলত, এটা তোমাদের কোন রজনী? (এ কথা) সুনিশ্চিত যে, যে ব্যক্তি আজ ধরাপৃষ্ঠে জীবিত আছে, একশত বছরের মাথায় সে ব্যক্তি অবশিষ্ট থাকবে না (অর্থাৎ, মারা যাবে)।

عَنْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا : أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ صَلَّى العِشَاء فِي آخِرِ حَيَاتِهِ فَلَمَّا سَلَّمَ قَالَ أَرَأَيْتَكُمْ لَيْلَتَكُمْ هَذِهِ ؟ فَإِنَّ عَلَى رَأسِ مِئَةِ سَنَةٍ لاَ يَبْقَى مِمَّنْ هُوَ علَى ظَهْرِ الأَرْضِ اليَومَ أَحَدٌ متفق عليه

عن ابن عمر رضي الله عنهما ان رسول الله ﷺ صلى العشاء في اخر حياته فلما سلم قال ارايتكم ليلتكم هذه فان على راس مىة سنة لا يبقى ممن هو على ظهر الارض اليوم احد متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৬/ স্বলাত (নামায)

পরিচ্ছেদঃ এশার নামাযের পর কথাবার্তা বলা মাকরূহ

(৭৪৩) আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, একদিন (মসজিদে) সাহাবায়ে কেরাম নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আগমনের প্রতীক্ষায় ছিলেন। অতঃপর তিনি প্রায় অর্ধরাত্রিতে তাঁদের নিকট আগমন করলেন এবং তাঁদেরকে নিয়ে নামায অর্থাৎ, এশার নামায পড়লেন। বর্ণনাকারী বলেন, তারপর তিনি আমাদের মাঝে বক্তব্য রাখলেন। তাতে তিনি বললেন, শোন! লোকে নামায সমাধা করে ঘুমিয়ে পড়েছে। আর তোমরা যতক্ষণ পর্যন্ত নামাযের অপেক্ষা করছিলে, ততক্ষণ পর্যন্ত অব্যাহতভাবে নামাযের মধ্যেই ছিলে।

وَعَن أَنَسٍ أَنَّهُم انتَظَرُوا النَّبِيَّ ﷺ فَجَاءَهُمْ قَرِيباً مِنْ شَطْرِ اللَّيْلِ فَصَلَّى بِهِمْ - يَعَني : العِشَاءَ ثمَّ خَطَبنا فَقَالَ أَلاَ إِنَّ النَّاسَ قَدْ صَلَّوا ثُمَّ رَقَدُوا وَإِنَّكُمْ لَنْ تَزَالُوا فِي صَلاَةٍ مَا انْتَظَرْتُمُ الصَّلاَةَ رواه البخاري

وعن انس انهم انتظروا النبي ﷺ فجاءهم قريبا من شطر الليل فصلى بهم يعني العشاء ثم خطبنا فقال الا ان الناس قد صلوا ثم رقدوا وانكم لن تزالوا في صلاة ما انتظرتم الصلاة رواه البخاري

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৬/ স্বলাত (নামায)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে