২১ সূরাঃ আল-আম্বিয়া | Al-Anbiya | سورة الأنبياء - আয়াতঃ ৮২
২১:৮২ وَ مِنَ الشَّیٰطِیۡنِ مَنۡ یَّغُوۡصُوۡنَ لَهٗ وَ یَعۡمَلُوۡنَ عَمَلًا دُوۡنَ ذٰلِکَ ۚ وَ کُنَّا لَهُمۡ حٰفِظِیۡنَ ﴿ۙ۸۲﴾
و من الشیطین من یغوصون لهٗ و یعملون عملا دون ذلک ۚ و کنا لهم حفظین ۙ۸۲

আর শয়তানদের মধ্যে কতক তার জন্য ডুবুরীর কাজ করত, এছাড়া অন্যান্য কাজও করত। আর আমিই তাদের জন্য হিফাযতকারী ছিলাম। আল-বায়ান

শয়ত্বানদের কতক তার জন্য ডুবুরির কাজ করত, এছাড়া অন্য কাজও করত, আমিই তাদেরকে রক্ষা করতাম। তাইসিরুল

এবং শাইতানদের মধ্যে কতক তার জন্য ডুবুরীর কাজ করত, এটা ছাড়া অন্য কাজও করত; আমি তাদের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতাম। মুজিবুর রহমান

And of the devils were those who dived for him and did work other than that. And We were of them a guardian. Sahih International

৮২. আর শয়তানদের মধ্যে কিছু সংখ্যক তার জন্য ডুবুরীর কাজ করত, এ ছাড়া অন্য কাজও করত(১); আর আমরা তাদের রক্ষাকারী ছিলাম।

(১) অর্থাৎ আমরা সুলাইমানের জন্যে শয়তানের মধ্যে এমন কিছুসংখ্যককে বশীভূত করে দিয়েছিলাম, যারা তার জন্যে সমুদ্রে ডুব দিয়ে মনিমুক্তা সংগ্রহ করে আনত, এছাড়া অন্য কাজও করত; যেমন অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, “তারা সুলাইমান আলাইহিস সালামের জন্যে বেদী, সুউচ্চ প্রাসাদ, মুর্তি ও চৌবাচ্চার ন্যায় পাথরের বড় বড় পেয়ালা তৈরী করত।” [সূরা সাবাঃ ১৩] সুলাইমান তাদেরকে অধিক পরিশ্রমের কাজেও নিয়োজিত করতেন এবং অভিনব শিল্পকাজও করাতেন। অন্য আয়াতে এসেছে, “আর (অধীন করে দিলাম) প্রত্যেক প্রাসাদ নির্মাণকারী ও ডুবুরী শয়তান (জিন) দেরকেও, এবং শৃংখলে আবদ্ধ আরো অনেককে।” সূরা ছোয়াদ: ৩৭-৩৮]

তাফসীরে জাকারিয়া

(৮২) শয়তানদের মধ্যে কতক তার জন্য ডুবুরীর কাজ করত, এটা ছাড়া অন্য কাজও করত; [1] আর আমি তাদের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতাম।[2]

[1] জীনরাও সুলাইমান (আঃ)-এর অনুগত ছিল; তারা তাঁর আদেশে সমুদ্রে ডুব দিয়ে মণি-মুক্তা তুলে আনত। অনুরূপভাবে অন্যান্য নির্মাণ কাজ প্রভৃতিও তাঁর ইচ্ছামত করত।

[2] অর্থাৎ, জীনদের মধ্যে যে অবাধ্যতা ও ফাসাদী স্বভাব ছিল, তা থেকে আমি সুলাইমানকে রক্ষা করেছি। ফলে তার সম্মুখে তাদের অবাধ্য হওয়ার উপায় ছিল না।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান