২১ সূরাঃ আল-আম্বিয়া | Al-Anbiya | سورة الأنبياء - আয়াতঃ ৮১
২১:৮১ وَ لِسُلَیۡمٰنَ الرِّیۡحَ عَاصِفَۃً تَجۡرِیۡ بِاَمۡرِهٖۤ اِلَی الۡاَرۡضِ الَّتِیۡ بٰرَکۡنَا فِیۡهَا ؕ وَ کُنَّا بِکُلِّ شَیۡءٍ عٰلِمِیۡنَ ﴿۸۱﴾
و لسلیمن الریح عاصفۃ تجری بامرهٖ الی الارض التی برکنا فیها و کنا بکل شیء علمین ۸۱

আর আমি সুলায়মানের জন্য অনুগত করে দিয়েছিলাম প্রবল হাওয়াকে, যা তার নির্দেশে প্রবাহিত হত সেই দেশের দিকে, যেখানে আমি বরকত রেখেছি। আর আমি প্রত্যেক বিষয় সম্পর্কেই অবগত ছিলাম। আল-বায়ান

(আমার ক্ষমতা বলেই) আমি উদ্দাম বায়ুকে (স্বাভাবিক গতি সম্পন্ন) করেছিলাম সুলায়মানের জন্য। তার নির্দেশ মত তা প্রবাহিত হত সেই দেশের দিকে যাতে আমি কল্যাণ রেখেছি। আমি প্রত্যেক বিষয় সম্পর্কেই অবগত ছিলাম। তাইসিরুল

এবং সুলাইমানের বশীভূত করে দিয়েছিলাম উদ্দাম বায়ুকে; ওটা তার আদেশক্রমে প্রবাহিত হত সেই দেশের দিকে যেখানে আমি কল্যাণ রেখেছি। প্রত্যেক বিষয় সম্পর্কে আমিই সম্যক অবগত। মুজিবুর রহমান

And to Solomon [We subjected] the wind, blowing forcefully, proceeding by his command toward the land which We had blessed. And We are ever, of all things, Knowing. Sahih International

৮১. আর সুলাইমানের বশীভূত করে দিয়েছিলাম প্রবল বায়ুকে; সেটা তার আদেশে সে দেশের দিকে প্রবাহিত হত(১) যেখানে আমরা প্রভূত কল্যাণ রেখেছি(২); আর প্রত্যেক বিষয় সম্পর্কে আমরাই সম্যক জ্ঞানী।

(১) এ সম্পর্কে অন্যত্র আরো বিস্তারিত আলোচনা এসেছে, বলা হয়েছেঃ “আর সুলাইমানের জন্য আমরা বায়ুকে বশীভূত করে দিয়েছিলাম, সকালে তার চলা এক মাসের পথ পর্যন্ত এবং সন্ধ্যায় তার চলা এক মাসের পথ পর্যন্ত।” [সূরা সাবাঃ ১২] অন্যত্র আরও বলা হয়েছেঃ “কাজেই আমি তার জন্য বায়ুকে বশীভূত করে দিয়েছিলাম, যা তার হুকুম সহজে চলাচল করতো যেদিকে সে যেতে চাইতো।” [সূরা সা’দঃ ৩৬] এ থেকে জানা যায় বাতাসকে সুলাইমানের হুকুমের এভাবে অনুগত করে দেয়া হয়েছিল যে, তার রাজ্যের এক মাস দূরত্বের পথ পর্যন্ত যে কোন স্থানে তিনি সহজে সফর করতে পারতেন। যাওয়ার সময়ও সব সময় তার ইচ্ছা অনুযায়ী অনুকূল বাতাস পেতেন আবার ফেরার সময়ও।

আল্লাহ্ তাআলা যেমন দাউদ আলাইহিস সালাম এর জন্যে পর্বত ও পক্ষীকুলকে বশীভূত করে দিয়েছিলেন, যারা তার আওয়াজের সাথে তসবীহ পাঠ করত, তেমনি সুলাইমান আলাইহিস সালাম এর জন্য বায়ুকে বশীভূত করে দিয়েছিলেন। বায়ুতে ভর করে তিনি যথা ইচ্ছা দ্রুত ও সহজে পৌছে যেতেন। তিনি বায়ুতে তার কাঠের বিছানা পাততেন। তারপর তাতে রাষ্ট্রের যত প্রয়োজনীয় জিনিস যেমন ঘোড়া, উট, তাবু, সৈন্য-সামন্ত সবাই উঠানো হত। তারপর বাতাসকে বলা হত তা বহন করার জন্য। বাতাস তার নিচে ঢুকে তা বহন করে উঠিয়ে নিয়ে যেত। তখন তাদের উপরে পাখি ছায়া দিত, এভাবে তিনি যেখানে চাইতেন সেখানে নিয়ে যেত। যখন তিনি নামতেন তখন তার সাথে তার রাজকীয় সামগ্ৰী সবই থাকত। [ইবন কাসীর]

(২) যেখানে বরকত বা প্রভূত কল্যাণ রেখেছি বলে শাম দেশ তথা সিরিয়া, লেবানন ও ফিলিস্তিন এলাকাকেই বোঝানো হয়েছে। যার আলোচনা আগেই চলে গেছে।

তাফসীরে জাকারিয়া

(৮১) এবং সুলাইমানের বশীভূত করে দিয়েছিলাম প্রবল বায়ুকে; [1] যা তার আদেশক্রমে প্রবাহিত হত সেই দেশের দিকে, যেখানে আমি কল্যাণ রেখেছি। আর প্রত্যেক বস্তু সম্পর্কে আমি অবগত।

 [1] যেমন পাহাড় ও পাখিকে দাঊদ (আঃ)-এর অনুগত করে দেওয়া হয়েছিল, তেমনি হাওয়াকেও সুলাইমান (আঃ)-এর অনুগত করে দেওয়া হয়েছিল। তিনি তার পারিষদবর্গ সহ সিংহাসনে বসতেন এবং যেখানে ইচ্ছা করতেন এক মাসের রাস্তা মাত্র কয়েক ঘন্টায় পৌঁছে যেতেন। হাওয়া তাঁর সিংহাসনকে উড়িয়ে নিয়ে যেত। কল্যাণময় দেশ বলতে শাম (প্যালেষ্টাইন ও সিরিয়া)-কে বুঝানো হয়েছে।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান