৪৩

পরিচ্ছেদঃ

 ذِكْرُ مَا كَانَ يَأْمُرُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِكَتَبَةِ الْقُرْآنِ عِنْدَ نُزُولِ الْآيَةِ بعد الآية

কুরআন লেখানোর সময় কোন আয়াত কোন্ আয়াতের পর লিখতে হবে এ সম্পর্কে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে নির্দেশনা দিতেন-তার বর্ণনা:


৪৩. ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ’উসমান ইবনু আফ্ফান (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনারা কিভাবে সূরাহ বারাআতকে সূরাহ আল-আনফালের অন্তর্ভুক্ত করে আল-কুরআনের সাব’উল মাসানী (সাতটি দীর্ঘ সূরাহ)-এর মধ্যে গণ্য করেন? অথচ সূরাহ্ বারাআত মিআতাইন (তথা ১০০-এর অধিক আয়াত সম্বলিত সূরাহ্)-এর অন্তর্ভুক্ত (কারণ সূরাহ্ বারাআতে ১২৯টি আয়াত আছে)। পক্ষান্তরে সূরাহ আল-আনফাল মাসানীর অন্তর্ভুক্ত (কারণ তাতে আয়াতের সংখ্যা ১০০-এর কম অর্থাৎ ৭৫ টি)।

’উসমান (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর কুরআনের কোন আয়াত অবতীর্ণ হওয়া মাত্রই তিনি ওয়াহী লিখক সাহাবীদের ডেকে বলতেনঃ এই আয়াত অমুক সূরার অমুক স্থানে সন্নিবেশিত কর যেখানে এই এই বিষয় আলোচিত হয়েছে।

সূরা আল-আনফাল ছিল মদীনায় অবতীর্ণ (প্রাথমিক) সূরাসমূহের অন্তর্ভুক্ত। আর বারাআত ছিল মদীনায় (নাযিলের দিক হতে) কুরআনের শেষ দিকের সূরা। এদিকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যুবরণ করেন।  অথচ তিনি আমাদের স্পষ্ট করে বলে যাননি যে, এ সূরা (বারাআত) আনফালের অন্তর্ভুক্ত কি না। সূরা বারাআতের আলোচ্য বিষয় সূরা আল-আনফালের আলোচ্য বিষয়ের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ ছিল। (ফলে আমার ধারণা হল, বারাআত তার অন্তর্ভুক্ত।) তাই আমি উভয় সূরাকে একত্রে মিলিয়ে দিয়েছি এবং সূরা দুটোর মাঝখানে বিসমিল্লাহির রাহমাননির রাহীম বাক্যও লিখিনি, আর এটিকে সপ্ত দীর্ঘ সূরাসমূহের অন্তর্ভুক্ত করেছি।[1]

أَخْبَرَنَا أَبُو خَلِيفَةَ حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ الْهَيْثَمِ الْمُؤَذِّنُ حَدَّثَنَا عَوْفُ بْنُ أَبِي جَمِيلَةَ عَنْ يَزِيدَ الْفَارِسِيِّ قَالَ: قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ:
قُلت لِعُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ: مَا حَمَلَكُمْ عَلَى أَنْ قرنتم بين الأنفال و {براءة} [التوبة: 1] و {براءة} مِنَ الْمِئِينَ وَالْأَنْفَالُ مِنَ الْمَثَانِي فَقَرَنْتُمْ بَيْنَهُمَا؟! فَقَالَ عُثْمَانُ: كَانَ إِذَا نَزَلَتْ مِنَ الْقُرْآنِ الْآيَةُ دَعَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْضَ مَنْ يَكْتُبُ فَيَقُولُ لَهُ: ضَعْهُ فِي السُّورَةِ الَّتِي يُذكر فِيهَا كَذَا وَأُنْزِلَتِ الْأَنْفَالُ بالمدينة و {براءة} بِالْمَدِينَةِ مِنْ آخِرِ الْقُرْآنِ فَتُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَمْ يُخْبِرْنَا أَيْنَ نَضَعُهَا فوجدتُ قِصَّتَهَا شَبِيهًا بِقِصَّةِ الْأَنْفَالِ فَقَرَنْتُ بَيْنَهُمَا وَلَمْ نَكْتُبْ بَيْنَهُمَا سَطْرَ: {بِسْمِ اللَّهِ الرحمن الرحيم} [الفاتحة: 1] فوضعتُها في السبع الطُّوَلِ
= [1: 3]

[تعليق الشيخ الألباني]
منكر ـ ((ضعيف أبي داود)) (140).

اخبرنا ابو خليفة حدثنا عثمان بن الهيثم الموذن حدثنا عوف بن ابي جميلة عن يزيد الفارسي قال قال ابن عباسقلت لعثمان بن عفان ما حملكم على ان قرنتم بين الانفال و براءة التوبة 1 و براءة من المىين والانفال من المثاني فقرنتم بينهما فقال عثمان كان اذا نزلت من القران الاية دعا النبي صلى الله عليه وسلم بعض من يكتب فيقول له ضعه في السورة التي يذكر فيها كذا وانزلت الانفال بالمدينة و براءة بالمدينة من اخر القران فتوفي رسول الله صلى الله عليه وسلم ولم يخبرنا اين نضعها فوجدت قصتها شبيها بقصة الانفال فقرنت بينهما ولم نكتب بينهما سطر بسم الله الرحمن الرحيم الفاتحة 1 فوضعتها في السبع الطول 1 3تعليق الشيخ الالبانيمنكر ضعيف ابي داود 140

হাদিসের মানঃ মুনকার (সহীহ হাদীসের বিপরীত)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি)
২. কিতাবুল ওহী (كتاب الوحي)