পরিচ্ছেদঃ
১৬৮৮। আমার নিকট আল্লাহর পক্ষ হতে এক ফেরেশতা চিঠি নিয়ে আগমন করলেন। তিনি তার এক পা উঠিয়ে আসমানের উপর রাখলেন আর দ্বিতীয় পা যমীনে রাখলেন যাকে তিনি উঠাননি।
হাদীসটি দুর্বল।
হাদীসটিকে ইবনু আদী “আলকামেল” গ্রন্থে (১/২০১), সা’লাবী “আততাফসীর” গ্রন্থে (৩/৮৪/২) ও আয়াহেদী “আলঅসীত” গ্রন্থে (৩/১৯৯/২) সাদাকাহ ইবনু আব্দুল্লাহ হতে, তিনি মূসা ইবনু উকবাহ হতে, তিনি আলআ’রাজ হতে, তিনি আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে মারফূ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ বর্ণনাকারী সাদাকার কারণে এ সনদটি দুর্বল। কারণ তিনি দুর্বল যেমনটি হাফিয ইবনু হাজার "আততাকরীব" গ্রন্থে দৃঢ়তার সাথে বলেছেন। বরং হাফিয যাহাবী "আযযুয়াফা" গ্রন্থে বলেনঃ ইমাম আহমাদ ও বুখারী বলেনঃ তিনি খুবই দুর্বল। তার অধিকাংশ হাদীসের মুতাবা’য়াত করা হয়নি। তিনি সত্যবাদিতার চেয়ে দুর্বলতার দিকেই বেশী অগ্রগামী।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ কারণে সুয়ূতী হাদীসটির ব্যাপারে দুর্বলতার চিহ্ন ব্যবহার করে ঠিক করেছেন। আর মানবী এ কথা বলে ভুল করেছেন যে, তার হাসান চিহ্ন ব্যবহার করা উচিত ছিল। কারণ সাদাকাকে একদল দুর্বল আখ্যা দিলেও তাকে ইবনু মাইন ও দুহাইম প্রমুখ নির্ভরযোগ্য আখ্যা দিয়েছেন। আর এ হাদীসটির স্তর সেই সব বহু হাদীসের উপরে যেগুলোর ব্যাপারে তিনি (সুয়ুতী) হাসান চিহ্ন ব্যবহার করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীসের সমালোচনা করা উচিত শুধুমাত্র তার সনদের দিকে দৃষ্টি দিয়ে। সে হাদীসগুলোর দিকে দৃষ্টি দিয়ে নয় যেগুলোর ব্যাপারে সুয়ূতী হাসান চিহ্ন ব্যবহার করেছেন।
আর ইবনু মাইন এবং দুহাইম যে তাকে নির্ভরযোগ্য আখ্যা দিয়েছেন এ ব্যাপারে দু’দিক দিয়ে বিরূপ মন্তব্য রয়েছেঃ
১। ইবনু মাঈন তাকে জামহুরের সাথে “আলজারহু অততাদীল” (২/১/৪২৯), "আলমীযান" ও "আততাহযীব" ইত্যাদি গ্রন্থে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। এরূপ কাউকে পাচ্ছি না যে, তার (ইবনু মা’ঈন) থেকে নির্ভরযোগ্য আখ্যা দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।
২। আর দুহাইম হতে তিন ধরনের বর্ণনা উল্লেখ করা হয়েছেঃ
১। তিনি নির্ভরযোগ্য।
২ তিনি মুযতারিবুল হাদীস, দুর্বল।
৩ তার ব্যাপারে কোন সমস্যা নেই।
যখন তার বিভিন্নরূপ মন্তব্য পাওয়া যাচ্ছে তখন যেটি অন্যান্য ইমামগণের কথার সাথে মিলছে সেটিকেই গ্রহণ করা উচিত। বিশেষ করে তা হচ্ছে দোষ করার ক্ষেত্রের উক্তি আর হাদীস শাস্ত্রের নীতি অনুযায়ী দোষারোপ করণ (মন্দ মন্তব্য) অগ্রাধিকার পেয়ে থাকে ভালো মন্তব্যের বিপক্ষে। এ ছাড়া দুহাইমের কথা থেকেই বুঝা যায় যে, তার দোষ হচ্ছে ব্যাখ্যাকৃতঃ মুযতারিবুল হাদীস।
এ কারণে মানবী তার "আলফায়েয" গ্রন্থের কথার উপর ভিত্তি করে যে, “আততাইসীর” গ্রন্থে বলেছেনঃ হাদীসটি হাসান, তা সুস্পষ্ট ভুল।
أتاني ملك برسالة من الله تعالى، ثم رفع رجله فوضعها فوق السماء، والأخرى في الأرض لم يرفعها
ضعيف
-
رواه ابن عدي في " الكامل " (201 / 1) والثعلبي في " التفسير " (3 / 84 / 2) والواحدي في " الوسيط " (3 / 199 / 2) عن صدقة بن عبد الله عن موسى بن عقبة عن الأعرج عن أبي هريرة مرفوعا
قلت: وهذا إسناد ضعيف من أجل صدقة هذا، فإنه ضعيف كما جزم به الحافظ في " التقريب ". بل قال الذهبي في " الضعفاء ": " قال أحمد والبخاري: ضعيف جدا ". وقال ابن عدي في آخر ترجمته: " وأكثر أحاديثه مما لا يتابع عليه، وهو إلى الضعف أقرب منه إلى الصدق
قلت: ولذلك فقد أصاب السيوطي في رمزه للحديث بالضعف، وإن كان لم يقع ذلك في كثير من نسخ " الجامع "، وأخطأ المناوي في قوله: " رمز المصنف لضعفه، وهو تقصير، بل حقه الرمز لحسنه، فإنه وإن كان فيه صدقة بن عبد الله الدمشقي، وضعفه جمع، لكن وثقه ابن معين ودحيم وغيرهما، وهو أرفع من كثير من أحاديث رمز لحسنها قلت: هذه مناقشة بطريق الإلزام، وذلك غير لازم بالنسبة لغير السيوطي كالمناوي كما هو ظاهر، فإن الحديث يجب أن ينقد بالنظر إلى إسناده فقط لا بالنسبة للأحاديث التي رمز لها السيوطي بالحسن! فإذا أدى النظر إلى أنه ضعيف كما هو الواقع الذي بينا، فلا يجوز رده بأن السيوطي حسن ما دونه، كما لا يخفى. وأما استناده على توثيق ابن معين ودحيم، ففيه نظر من وجهين
الأول: أن ابن معين ضعفه مع الجمهور كما في " الجرح والتعديل " (2 / 1 / 429) و" الميزان " و" التهذيب وغيرها، ولم أجد أحدا ذكر عنه التوثيق
والآخر: أن دحيما، ذكروا عنه فيه ثلاث روايات: الأولى: التوثيق. والثانية: مضطرب الحديث، ضعيف. والثالثة: لا بأس به
فإذا اختلفت الرواية عنه، فالأخذ بما وافق منها أقوال الأئمة الآخرين هو الواجب، ولاسيما، وهي جارحة، والجرح مقدم على التعديل، ثم هو جرح مفسر بقول دحيم نفسه: " مضطرب الحديث "، ونحوه قول مسلم فيه: " منكر الحديث ". فقوله في " التيسير " بناء على كلامه المذكور في " الفيض ": " فهو حسن ". خطأ بين، وإن تبعه العزيزي في " شرحه " كما نقله عنه المعلقون على " الجامع الكبير " (1 / 106) مقلدين له، والله المستعان. وقد ذكره الذهبي تبعا لابن عدي فيما أنكر على صدقة