পরিচ্ছেদঃ
১৬৬৬। আচমকা বাধা সৃষ্টিকারী সাতটি কর্মে জড়িত হওয়ার পূর্বেই তোমরা (সৎ) কর্ম করার জন্য ধাবিত হও। তোমরা ফাসাদ সৃষ্টিকারী (শরীরকে অক্ষমকারী) রোগের অপেক্ষা করছ, অথবা সেই বার্ধক্যের অপেক্ষা করছ যখন হিতাহিত জ্ঞান থাকে (কি বলছে তা বুঝে) না, অথবা তোমরা সীমালঙ্ঘনে সাহায্যকারী ধনবান হওয়ার অপেক্ষা করছ, অথবা তোমরা (আনুগত্যকে) ভুলিয়ে দেয় এরূপ দরিদ্রতার অপেক্ষা করছ, অথবা তোমরা হঠাৎ মৃত্যুর অপেক্ষা করছ, অথবা দাজ্জালের অপেক্ষা করছ-অথচ এটা নিকৃষ্টতম অপেক্ষা, অথবা কিয়ামত দিবসের অপেক্ষা করছ অথচ এটা সর্বাপেক্ষা কঠিন এবং তিক্ত সময়।
হাদীসটি দুর্বল।
হাদীসটিকে তিরমিযী (৩/২৫৭), ওকাইলী "আযযুয়াফা" গ্রন্থে (৪২৫) ও ইবনু আদী (১/৩৪১) মুহরিয ইবনু হারূন হতে, তিনি বলেনঃ আমি আ’রাজকে আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে মারফু’ হিসেবে হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি।
ওকাইলী বলেনঃ মুহরিয ইবনু হারূন সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীস। আর এ হাদীসটি অন্য সনদে বর্ণনা করা হয়েছে যেটি এ সূত্রের চেয়ে ভালো।
ইমাম তিরমিযী বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব হাসান। সম্ভবত এর দ্বারা তিনি হাসান লিগাইরিহি হওয়াকে বুঝিয়েছেন সেই সূত্রের কারণে যেটির দিকে ওকাইলী ইঙ্গিত করেছেন। সেটিকে ইমাম হাকিম (৪/৩২১) আব্দুল্লাহ সূত্রে মামার হতে, তিনি সাঈদ মাকবুরী হতে, তিনি আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ ... তবে “আচমকা বাধা সৃষ্টিকারী সাতটি কর্মে জড়িত হওয়ার পূর্বেই তোমরা (সৎ) কর্ম করার জন্য ধাবিত হও” এ অংশটুকু ছাড়া। অতঃপর তিনি বলেনঃ এটি বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ আর হাফিষ যাহাবীও তার সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন। সনদের বাহ্যিকতার দিক থেকে তারা দু’জনে যেরূপ বলেছেন সেরূপই।
তবে আমি একটি গোপন সমস্যা পেয়েছি। কারণ মা’মার হতে বর্ণনাকারী আব্দুল্লাহ হচ্ছেন আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারাক। তিনি এটিকে তার “আযযুহুদ” গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। আর তার থেকে বাগাবী "শারহুস সুন্নাহ" গ্রন্থে এ সনদেই বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি বলেছেনঃ আমাদেরকে মা’মার ইবনু রাশেদ বর্ণনা করে শুনিয়েছেন সেই ব্যক্তি হতে যে মাকবুরীকে আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছেন ...।
এটা প্রমাণ করছে যে, হাদীসটি মাকবুরী হতে মা’মারের বর্ণনায় নয় বরং তাদের উভয়ের মধ্যে আরেক ব্যক্তি রয়েছে যার নাম নেয়া হয়নি। এটাকে আরো দৃঢ় করছে এ ব্যাপারটি যে, তারা মা’মারের শাইখদের মধ্যে মাকবুরীকে উল্লেখ করেননি এবং মাকবুরী হতে বর্ণনাকারীদের মধ্যেও মা’মারকে উল্লেখ করেননি। যদি এরূপই হতো তাহলে অবশ্যই তারা তা উল্লেখ করতেন। এ মাজহুল ব্যক্তিই হচ্ছে এ হাদীসটির সমস্যা।
بادروا بالأعمال سبعا، هل تنتظرون إلا مرضا مفسدا وهرما مفندا أوغنى مطغيا أوفقرا منسيا، أوموتا مجهزا، أوالدجال، فشر منتظر، أوالساعة، والساعة أدهى وأمر
ضعيف
-
رواه الترمذي (3 / 257) والعقيلي في " الضعفاء " (425) وابن عدي (341 / 1) عن محرز بن هارون قال: سمعت الأعرج يحدث عن أبي هريرة مرفوعا
وقال العقيلي: " محرز بن هارون، قال البخاري: " منكر الحديث "، وقد روي هذا الحديث بغير هذا الإسناد من طريق أصلح من هذا ". وقال الترمذي: " هذا حديث غريب حسن
كذا قال، ولعله يعني الحسن لغيره للطريق التي أشار إليها العقيلي، وهو ما أخرجه الحاكم (4 / 321) من طريق عبد الله عن معمر عن سعيد المقبري عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: " ما ينتظر أحدكم إلا غنى مطغيا ... " الحديث، مثله دون قوله: " بادروا بالأعمال سبعا ". وقال: " صحيح على شرط الشيخين ". ووافقه الذهبي، وهو كما قالا في ظاهر السند، ولكني قد وجدت له علة خفية، فإن عبد الله الراوي له عن معمر هو عبد الله بن المبارك، وقد أخرجه في كتابه " الزهد " وعنه البغوي في " شرح السنة " بهذا الإسناد إلا أنه قال: " أخبرنا معمر بن راشد عمن سمع المقبري يحدث عن أبي هريرة ... ". فهذا يبين أن الحديث ليس من رواية معمر عن المقبري، بل بينهما رجل لم يسم. ويؤيد ذلك أنهم لم يذكروا في شيوخ معمر المقبري ولا في الرواة عن هذا معمرا، ولوكان ذلك معروفا لذكروه لجلالة كل منهما، فهذا الرجل المجهول هو علة هذا السند. والله أعلم