পরিচ্ছেদঃ
১৫৭০। আল্লাহ্ তা’য়ালা আমাকে (আল্লাহর শত্রুদের জন্য) যুদ্ধক্ষেত্র করে আর (সারা জাহানের জন্য) রহমত করে প্রেরণ করেছেন। আমাকে ব্যবসায়ী এবং কৃষক হিসেবে প্রেরণ করেননি। কিয়ামতের দিন সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট লোক হবে ব্যবসায়ী এবং কৃষকরা, সেই ব্যক্তি ছাড়া যে তার দ্বীনের ব্যাপারে কৃপণতা করবে (অর্থাৎ দ্বীনকে ধরে রাখবে)।
হাদিসটি মুনকার।
হাদিসটিকে ইবনুল মুযাফফায "হাদীসু হাজেব ইবনু আরকীন" গ্রন্থে (১/২৫৫/১), ইবনুস সাম্মাক তার “হাদীস” গ্রন্থে (২/৯০-৯১), তাম্মাম "আলফাওয়াইদ" গ্রন্থে (১/১৫৪), আবূ মুহাম্মাদ কারী "আলফাওয়াইদ" গ্রন্থে (৫/৩৪/২), ইবনু আদী (১/১৬৫), ইবনু আসাকির (৫/৫৭/২), মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল ওয়াহেদ মাকদেসী “আলমুনতাকা মিন হাদীসহি” গ্রন্থে (৪০/৮৬/২) তারা সকলে সালাম ইবনু সুলাইমান সূত্রে হামযাহ যাইয়্যাত হতে, তিনি আলআজলাহ ইবনু আবদুল্লাহ কিন্দী হতে, তিনি যহহাক হতে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ... ।
কারী হাদিসটিকে নিম্নের কথার দ্বারা দুর্বল আখ্যা দিয়েছেনঃ
হাদিসটি গারীব।
ইবনু আদী বলেনঃ হামযাহ হতে এটি নিরাপদ নয়। আর সালাম ইবনু সুলাইমান মুনকারুল হাদীস ।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি খুবই দুর্বল। এতে তিনটি সমস্যা রয়েছেঃ
১। সনদে বিচ্ছিন্নতা। কারণ যহহাক হচ্ছেন ইবনু মুযাহিম হিলালী, কোন সাহাবী হতে তার শ্রবণ সাব্যস্ত হয়নি যেমনটি হাফিয মিযযী বলেছেন।
২। আলআজলাহ ইবনু আব্দুল্লাহর মধ্যে দুর্বলতা রয়েছে। “আততাকরীব” গ্রন্থে এসেছেঃ তিনি সত্যবাদী।
৩। সালাম ইবনু সুলাইমান দুর্বল যেমনটি ইবনু আদী হতে পূর্বে বর্ণিত হয়েছে। হাদীসটিকে ইবনুল জাওযী “আলমওযুয়াত” গ্রন্থে ইবনু আদীর বর্ণনায় উল্লেখ করে বলেছেনঃ এটি সহীহ নয়। সালাম মাতরূক। বর্ণনাকারী আজলাহ সে নিজেই জানত না কি বলছে। আর মুহাম্মাদ ইবনু ঈসা দুর্বল, অর্থাৎ সালাম থেকে বর্ণনাকারী।
সুয়ূতী “আললাআলী” গ্রন্থে (২/১৪৩) নিম্নের বর্ণনার দ্বারা তার সমালোচনা করেছেন আর ইবনু ইরাক "তানযীহুশ শারী’আহ" গ্রন্থে (২/১৯১) তার অনুসরণ করেছেনঃ দারাকুতনী “আলআফরাদ” গ্রন্থে অন্য সূত্রে সালাম হতে বর্ণনা করেছেন এবং আবু নুয়াইম অন্য সূত্রে আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ মুতাবায়াতে কোন ফায়েদা নেই। কারণ এর মধ্যেও পূর্বোক্ত তিনটি সমস্যা রয়েছে। আর আবু নুয়াইমের সূত্রে মাজহুল (অপরিচিত) বর্ণনাকারী রয়েছেন যেমনটি পরের হাদীসের আলোচনার সময় আসবে।
আলোচ্য হাদীসটিকে আবুল আসওয়াদ নাসীর কাসসাব মু’যাল হিসেবে যহহাক ইবনু মুযাহিম হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ...।
এটিকে ইবনু জারীর ত্ববারী “তাহযবুত আসার” গ্রন্থে (১/৫১/১২১) তার সনদে বর্ণনা করেছেন। এ বর্ণনাকারী নাসীরকে ইমাম বুখারী “আততারীখ” গ্রন্থে (৪/২/১১৬) উল্লেখ করেছেন আর ইবনু আবী হাতিম অন্য সূত্রে তার থেকে বর্ণনা করেছেন। আর তারা উভয়েই তার সম্পর্কে ভালো-মন্দ কিছুই বলেননি। এ ছাড়া এর মধ্যে ত্ববারীর শাইখ আমর ইবনু আব্দুল হামীদ আমলী রয়েছেন, আমি তাকে চিনি না।
إن الله بعثني ملحمة ومرحمة ولم يبعثني تاجرا ولا زارعا، وإن شرار الناس يوم القيامة التجار والزراعون إلا من شح على دينه
منكر
-
أخرجه ابن المظفر في " حديث حاجب بن أركين " (1 / 255 / 1) وابن السماك في " حديثه " (2 / 90 - 91) وتمام في " الفوائد " (154 / 1) وأبو محمد القاري في " الفوائد " (5 / 34 / 2) وابن عدي (165 / 1) وابن عساكر (5 / 57 / 2) ومحمد بن عبد الواحد المقدسي في " المنتقى من حديثه " (40 / 86 / 2) كلهم من طريق سلام بن سليمان قال: حدثنا حمزة الزيات قال: حدثنا الأجلح بن عبد الله الكندي عن الضحاك عن ابن عباس قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره
وضعفه القاري بقوله: " حديث غريب ". وابن عدي بقوله: " وهذا عن حمزة غير محفوظ، وسلام بن سليمان منكر الحديث
وأقول: هذا إسناد ضعيف جدا، وله ثلاث علل
1 - الانقطاع، فإن الضحاك - وهو ابن
مزاحم الهلالي - لم يثبت له سماع من أحد من الصحابة كما قال الحافظ المزي
2 - الأجلح بن عبد الله فيه ضعف، وفي " التقريب ": " صدوق
3 - سلام بن سليمان ضعيف كما سبق عن ابن عدي. والحديث أورده ابن الجوزي في " الموضوعات " من رواية ابن عدي، وقال: " لا يصح، سلام متروك، والأجلح كان لا يدري ما يقول، ومحمد بن عيسى ضعيف " يعني الراوي عن سلام، فتعقبه السيوطي في " اللآلي " (2 / 143) وتبعه ابن عراق في " تنزيه الشريعة " (2 / 191) : " بأن الدارقطني أخرجه في " الأفراد " من طريق أخرى عن سلام. وبأن أبا نعيم أخرجه من طريق أخرى عن ابن عباس قلت: هذه المتابعة لا تجدي، لأنه لا يزال فوقها العلل الثلاث التي شرحنا. وطريق أبي نعيم فيها مجهول كما يأتي بيانه في الحديث بعده. وحديث الترجمة قد أعضله أبو الأسود نصير القصاب فقال: عن الضحاك بن مزاحم قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره. أخرجه ابن جرير الطبري في " تهذيب الآثار " (1 / 51 / 121) بإسناده عنه. ونصير هذا أورده البخاري في " التاريخ " (4 / 2 / 116) وابن أبي حاتم برواية أخرى عنه، ولم يذكر فيه جرحا ولا تعديلا. وشيخ الطبري فيه عمرو بن عبد الحميد الآملي لم أعرفه