পরিচ্ছেদঃ
১৫০৩। যে সালাতের জন্য মিসওয়াক করা হয় সে সালাতের ফাষীলাত সত্তর গুণ বেশী সেই সালাতের চেয়ে যে সালাতের জন্য মিসওয়াক করা হয় না।
হাদীসটি দুর্বল।
হাদীসটি ইবনু খুযায়মাহ তার “সহীহ” গ্রন্থে (১/২১/২), হাকিম (১/১৪৬), আহমাদ (৬/১৪৬) ও বাযযার (১/২৪৪/৫০১) মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
ইবনু খুযায়মাহ তার এ কথার দ্বারা হাদীসটি দুর্বল হওয়ার দিকে ইঙ্গিত করেছেন যে, ’হাদীসটি যদি সহীহ হয়’। অতঃপর বলেছেনঃ আমি এ কারণে ’যদি সহীহ হয়’ বলেছি যে, আমি ভয় করছি যে ইবনু ইসহাক মুহাম্মাদ ইবনু মুসলিম হতে শ্রবণ করেননি বরং তিনি তার থেকে তাদলীস করেছেন।
আর হাকিম বলেছেনঃ হাদীসটি সহীহ ইমাম মুসলিমের শর্তানুযায়ী! হাফিয যাহাবীও তার সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন!
আমি (আলবানী) বলছি তারা উভয়েই এ ব্যাপারে শিথিলতা প্রদর্শন করেছেন এবং সন্দেহে পড়েছেন। কারণ ইবনু ইসহাক মুদাল্লিস হওয়া সত্ত্বেও আন আন করে বর্ণনা করেছেন। ইমাম মুসলিম তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করেননি, বরং তিনি মুতাবায়াতের সময় তার থেকে বর্ণনা করেছেন।
এরূপও হতে পারে যে, ইবনু ইসহাক কোন দুর্বল বর্ণনাকারী থেকে হাদীসটি পেয়েছেন। অতঃপর তিনি তাদলীস করেছেন।
আর হাদীসটি আবু ইয়ালা (৩/১১৬২) ও বাযযার (১/২৪৪/৫০২) দু’টি সূত্রে মুয়াবিয়্যাহ ইবনু ইয়াহইয়া হতে, তিনি যুহরী হতে নিম্নের ভাষায় বর্ণনা করেছেনঃ
"মিসওয়াক করে দুরাকাআত সালাত মিসওয়াক ছাড়া সত্তর রাকাআত সালাতের চেয়েও উত্তম।"
বাযযার বলেনঃ আমার জানা মতে মুয়াবিয়্যাহ ব্যতীত অন্য কেউ এ হাদীসটি বর্ণনা করেননি।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি হচ্ছেন সদাফী আর হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ তিনি দুর্বল।
আমি (আলবানী) উরওয়া হতে হাদীসটির আরেকটি সূত্র পেয়েছি। হারেস ইবনু আবী উসামাহ্ তার “মুসনাদ’ গ্রন্থে (২/১৮) বলেনঃ আমাদেরকে হাদীসটি মুহাম্মাদ ইবনু উমার শুনিয়েছেন, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু আবী ইয়াহইয়া হতে, তিনি আবুল আসওয়াদ হতে, তিনি উরওয়াহ হতে বর্ণনা করেছেন।
কিন্তু এই মুহাম্মাদ ইবনু উমার হচ্ছেন আলঅকেদী, তিনি মিথ্যুক, তার বর্ণনার দ্বারা খুশি হওয়ার কিছু নেই।
হাদীসটি আয়েশা (রাঃ) ছাড়াও ইবনু আব্বাস (রাঃ), জাবের (রাঃ) ও ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে। সে সবগুলোই হাফিয ইবনু হাজার "তালখীসুল হাবীব" গ্রন্থে উল্লেখ করেছেনঃ সেগুলোর সনদগুলো ক্রটিযুক্ত।
فضل الصلاة التي يستاك لها، على الصلاة التي لا يستاك لها سبعون ضعفا
ضعيف
-
أخرجه ابن خزيمة في " صحيحه " (1 / 21 / 2) والحاكم (1 / 146) وأحمد (6 / 146) والبزار في " مسنده (1 / 244 / 501 - كشف الأستار) من طريق محمد بن إسحاق قال: فذكر محمد بن مسلم بن عبد الله بن شهاب الزهري عن عروة عن عائشة قالت: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره. وأشار ابن خزيمة إلى ضعف إسناده بقوله: " إن صح الخبر ". ثم قال: " إنما استثنيت صحة هذا الخبر، لأني خائف أن يكون ابن إسحاق لم يسمع من محمد بن مسلم، وإنما دلسه عنه ". وأما الحاكم فقال: " صحيح على شرط مسلم "! ووافقه الذهبي
قلت: وهذا من أوهامهما، أوتساهلهما، فإن ابن إسحاق مع كونه مدلسا وقد عنعنه، فإن مسلما لم يحتج به، وإنما روى له متابعة. ومن الجائز أن يكون ابن إسحاق تلقاه عن بعض الضعفاء ثم دلسه، فقد أخرجه أبو يعلى (3 / 1162) والبزار (1 / 244 / 502) من طريقين عن معاوية بن يحيى عن الزهري به، ولفظه
" ركعتان بسواك أفضل من سبعين ركعة بغير سواك
وقال البزار: " لا نعلم رواه إلا معاوية ". قلت: وهو الصدفي، قال الحافظ: " ضعيف ". وقد وجدت له طريقا أخرى عن عروة، فقال الحارث بن أبي أسامة في " مسنده " (18 / 2 - زوائده) : حدثنا محمد بن عمر حدثنا عبد الله بن أبي يحيي عن أبي الأسود عن عروة به
لكن محمد بن عمر هذا - وهو الواقدي - كذاب، فلا يفرح بروايته! وقد روي الحديث عن غير عائشة، كابن عباس وجابر وابن عمر، خرجها كلها الحافظ في " التلخيص الحبير "، وقال: " وأسانيدها معلولة