১৩৭৮

পরিচ্ছেদঃ

১৩৭৮। ভিক্ষুকের হক রয়েছে যদিও সে ঘোড়ায় চড়ে আসে।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদীসটি হুসাইন ইবনু আলী ইবনে আবী তালেব (রাঃ), আলী ইবনু আবী তালেব (রাঃ), আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ), আনাস ইবনু মালেক (রাঃ), হিরমাস ইবনু যিয়াদ (রাঃ) ও আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণনা করা হয়ে থাকে।

১। হুসাইন (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসঃ এটিকে মুস’য়াব ইবনু মুহাম্মাদ বর্ণনা করেছেন ই’য়ালা ইবনু আবী ইয়াহইয়া হতে, তিনি ফাতেমা বিনতুল হুসাইন হতে, তিনি হুসাইন ইবনু আলী(রাঃ) হতে তিনি বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ...।

হাদীসটিকে ইমাম বুখারী “আত-তারীখ” গ্রন্থে (৪/২/৪১৬), আবু দাউদ (১৬৬৫), আহমাদ (১/২০১), ইবনু আবী শায়বাহ “আলমুসান্নাফ” গ্রন্থে (২/১৮৬/২), আবু ইয়ালা তার “মুসনাদ’ গ্রন্থে (কাফ ২/৩১৭), ত্ববারানী “আলমুজামুল কাবীর” গ্রন্থে (২৮৯৩/২৮২৫) ও ইবনু যানজিয়্যাহ "আলআমওয়াল" গ্রন্থে (১৩/২১/১) বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। যিনি এর সনদটিকে ভালো বলেছেন তিনি ভুল করেছেন। কারণ এর বর্ণনাকারী ইয়ালা ইবনু আবী ইয়াহইয়া মাজহুল (অপরিচিত) যেমনটি আবু হাতিম বলেছেন আর হাফিয ইবনু হাজার তার অনুসরণ করেছেন।

বর্ণনাকারী মুস’য়াব ইবনু মুহাম্মাদকে ইবনু মাঈন নির্ভরযোগ্য আখ্যা দিয়েছেন আর আবু হাতিম বলেছেনঃ তার হাদীস লিখা যাবে কিন্তু তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যাবে না।

আমি (আলবানী) বলছিঃ তার সনদে তার ব্যাপারে মতভেদ করা হয়েছে। তার থেকে সুফইয়ান বর্ণনা করেছেন যেমনটি উল্লেখ করেছি।

ইবনুল মুবারাক বলেনঃ সুফইয়ান মুস’য়াব হতে, তিনি হুসাইনের মেয়ে ফাতেমার মাওলা ইয়ালা ইবনু আবী ইয়াহইয়া হতে, তিনি হুসাইন ইবনু আলী (রাঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপভাবে বর্ণনা করেছেন। ফাতেমাকে সনদের মধ্যে উল্লেখ করেননি।

ইবনু জুরায়েজ বলেনঃ সুফিয়ান মুস’য়াব হতে, তিনি ই’য়ালা হতে, তিনি সাকীনাহ বিনতুল হুসাইন হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন। এটি মুরসাল।

এ দুটিকেই ইবনুল জানযিয়াহ বর্ণনা করেছেন।

২। আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসঃ যুহায়ের এক শাইখ হতে বর্ণনা করেছেন তিনি বলেনঃ আমি সুফইয়ানকে তার নিকট দেখেছি, তিনি ফাতেমাহ বিনতু হুসাইন হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি আলী (রাঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপভাবে বর্ণনা করেছেন।

এটিকে আবু দাউদ (১৬৬৬) ও কাযাঈ “মুসনাদুশ শিহাব” গ্রন্থে (২/১৯) বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটিও দুর্বল। নাম উল্লেখ না করা এ অপরিচিত শাইখের কারণে। বাহ্যিকতা থেকে স্থা বুঝা যায় তা হচ্ছে তিনি হচ্ছেন প্রথম সূত্রে উল্লেখিত ইয়ালা ইবনু আবী ইয়াহইয়া। যার সম্পর্কে অবগত হয়েছেন যে, তিনি মাজহুল (অপরিচিত)।

এটিকে মুহাম্মাদ ইবনু জাযারিয়া গালাবী বাসরী বর্ণনা করেছেন ইয়াকুব ইবনু জা’ফার ইবনে সুলায়মান ইবনে আলী ইবনে আবদিল্লাহ ইবনে আব্বাস হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার মাতা উম্মুল হাসান বিনতু জাফার ইবনিল হাসান ইবনিল হাসান ইবনে আলী হতে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনুল হাসান হতে, তিনি তার মাতা ফাতেমাহ বিনতুল হুসাইন হতে বর্ণনা করেছেন। এটিকে তাম্মাম আররাযী "আলফাওয়াইদ" গ্রন্থে (কাফ ২/২৭৮) বর্ণনা করেছেন। বর্ণনাকারী এ গালাবী মিথ্যুক ও জালকারী।

৩। আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসঃ এটিকে ইবরাহীম ইবনু আব্দিস সালাম মাক্কী- ইবরাহীম ইবনু ইয়াযীদ হতে, তিনি সুলাইমান হতে, তিনি তাউস হতে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

হাদীসটিকে ইবনু আদী “আলকামেল” গ্রন্থে (২/৮) ইবরাহীম মাক্কীর জীবনী আলোচনা করতে গিয়ে উল্লেখ করে বলেছেনঃ এ হাদীসটিকে ইবরাহীম ইবনু ইয়াযীদ হতে ইবরাহীম মাক্কী ছাড়া অন্য কারো মাধ্যমে জানা যায় না। তিনি এটিকে সেই ব্যক্তির নিকট থেকে চুরি করেছেন যে এ হাদীসটির ব্যাপারে পরিচিত। আর এ সনদে বর্ণনাকারী সুলাইমান হচ্ছেন সুলাইমান ইবনু আবী সুলাইমান আহওয়াল মাক্কী। আর ইবরাহীম মাক্কী দুর্বল বর্ণনাকারীদের অন্তর্ভুক্ত।

তিনি তার জীবনীর শুরুতেই বলেনঃ তাকে চেনা যায় না। তিনি মুনকার হাদীস বর্ণনা করেছেন। আর আমার নিকট তিনি হাদীস চোর।

আমি (আলবানী) বলছিঃ ইবরাহীম ইবনু ইয়াযীদ হচ্ছেন খূষী মাক্কী। তিনি মাতরূকুল হাদীস।

আর সুলাইমান আহওয়ালকে আমি চিনি না।

মোটকথা সনদটি খুবই দুর্বল।

৪। আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসঃ আবু হুদবাহ তার থেকে মারফু হিসেবে নিম্নের বাক্যে বর্ণনা করেছেঃ

إن أتاك السائل على فرس باسط كفه، فقد وجب الحق ولوبشق تمرة

তোমার নিকট যদি ভিক্ষুক ঘোড়ায় চড়ে এসে তার হাত পাতে তাহলে তাকে প্রাপ্য দেয়া ওয়াজিব যদিও খেজুরের একটু টুকরা হয়।

এটিকে আবু জাফার রাযায “সিত্তাতু মাজালিসিম মিনাল আমলী” গ্রন্থে (কাফ ১/১১৯) এবং অনুরূপভাবে দায়লামী বর্ণনা করেছেন। আর তার সূত্রে হাদীসটিকে সুয়ূতী "যাইলু আহাদীসিল মাওযুয়াহ" গ্রন্থে (পৃঃ ১৯৯) উল্লেখ করেছেন।

কারণ এ আবু হুদবার নাম হচ্ছে ইবরাহীম ইবনু হুদবাহ। তার সম্পর্কে হাফিয যাহাবী বলেনঃ তিনি বাগদাদ এবং অন্যান্য স্থানে বাতিল হাদীস বর্ণনা করেন। আর আবু হাতিম প্রমুখ বলেনঃ তিনি মিথ্যুক।

৫। হিরমাস হতে বর্ণিত হাদীসঃ এটিকে হায়সামী "আলমাজমা" গ্রন্থে (৩/১০১) বর্ণনা করে বলেছেনঃ হাদীসটিকে ত্ববারানী "আলমুজামুস সাগীর" এবং “আওসাত” গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। এর সনদে উসমান ইবনু ফায়েদ রয়েছেন তিনি দুর্বল।

আমি (আলবানী) বলছিঃ “মুজামুস সাগীর” গ্রন্থে হাদীসটি নেই। আমি এটিকে “মুজামুল কাবীর” গ্রন্থে (২২/২০৩/৫৩৫) উক্ত উসমান সূত্রে দেখেছি।

অতঃপর আমি হাদীসটি উসমান ইবনু যায়েদার জীবনীর মধ্যে “সিকাতু ইবনু হিব্বান” গ্রন্থে দেখেছি। তিনি বলেনঃ হাদীসটি আমাদেরকে মুহাম্মাদ ইবনু খালেদ বারদা’ঈ, তিনি আব্দুল আযীম ইবনু ইবরাহীম সালেমী হতে, তিনি সুলায়মান ইবনু আব্দির রহমান হতে, তিনি উসমান যায়েদাহ হতে, তিনি ইকরিমাহ ইবনু আম্মার হতে বর্ণনা করে শুনিয়েছেন, তিনি বলেনঃ আমি হিরমাস ইবনু যিয়াদ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি তিনি বলেন, আমি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে (নিম্নেবর্ণিত ভাষায়) বলতে শুনেছিঃ ...।

“মেহমানের হক রয়েছে ।”

ইবনু হিব্বান বলেনঃ আমি আশঙ্কা করছি এ উসমান হচ্ছেন উসমান ইবনু ফায়েদ।

আমি (আলবানী) বলছিঃ একে ইবনু হিব্বান "আযযুয়াফা" গ্রন্থে (২/১০১) উল্লেখ করে বলেছেনঃ তার থেকে সুলায়মান ইবনু আবদির রহমান বর্ণনা করেছেন। তিনি নির্ভরযোগ্যদের উদ্ধৃতিতে কতিপয় মু’যাল হাদীস এমনভাবে বর্ণনা করেছেন যে, হৃদয় এদিকেই ধাবিত হবে যে, তিনি তা ইচ্ছাকৃতই করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছি এ হাদীসটি সুলায়মানের বর্ণনা হতেই এসেছে যেমনটি আপনি ইবনু হিব্বানের নিকট দেখছেন। অনুরূপভাবে ত্ববারানীর “মুজামুল কাবীর” গ্রন্থেও এসেছে। যেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, উসমান হচ্ছেন ইবনু ফায়েদ। আর এ কারণেই ইবনু হিব্বান বলেছেনঃ আমি আশঙ্কা করছি যে এ ব্যক্তি হচ্ছে উসমান ইবনু ফাযেয।

৬। আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসঃ

ইবনু আদী “আলকামেল” গ্রন্থে (২/২১৬) বলেনঃ হাদীসটি আলী ইবনু সাঈদ ইবনে বাশীর, মুহাম্মাদ ইবনু আদিল্লাহ মাখরামী হতে, তিনি মুয়াল্লা ইবনু মানসূর হতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনু যায়েদ ইবনে আসলাম হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি আবু সালেহ হতে, তিনি আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইবনু আদী আব্দুল্লাহ ইবনু যায়েদের জীবনীতে হাদীসটি উল্লেখ করে বলেছেনঃ তিনি দুর্বল হওয়া সত্ত্বেও তার হাদীস লিখা যাবে। এ কারণে যে, তাকে একাধিক ব্যক্তি নির্ভরযোগ্য আখ্যা দিয়েছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ “আত-তাকরীব” গ্রন্থে এসেছেঃ তিনি সত্যবাদী তার মধ্যে দুর্বলতা রয়েছে।

তার সনদে বিরোধিতা করা হয়েছে। হাদীসটি ইমাম মালেক "আলমুওয়াত্তা" গ্রন্থে (২/৯৯২) যায়েদ ইবনু আসলাম হতে বর্ণনা করেছেন যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ...। তিনি মুরসাল হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং মুরসাল হওয়াটাই সঠিক।

ইবনু আব্দিল বার বলেনঃ এ হাদীসটি ইমাম মালেক হতে মুরসাল হিসেবে বর্ণিত হওয়ার ক্ষেত্রে কোন বিরোধ আছে বলে আমি জানি না। এর এমন কোন সনদ নেই যে তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যাবে।

যায়েদ ইবনু আসলাম হতে অন্য সূত্রেও মুরসাল হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। সেটিকে ইবনুল জানযিয়্যাহ (১৩/২১/১-২) উসমান ইবনু উসমান গাতফানী হতে, তিনি তার থেকে, তিনি আতা ইবনু ইয়াসার হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ...।

উসমান ব্যতীত এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। হাফিয ইবনু হাজার তার ব্যাপারে বলেনঃ তিনি সত্যবাদী তবে কখনও কখনও সন্দেহ করেছেন। এরপর তিনি হাদীসটি হায়সাম ইবনু জুমায হতে, তিনি হাসান হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ...।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এটি মুরসাল হওয়া ছাড়াও খুবই দুর্বল। কারণ এ হায়সাম মাতরূক, মিথ্যা বর্ণনা করার দোষে দোষী।

এছাড়া আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত উপরোক্ত সূত্রের মধ্যে আলী ইবনু সাঈদ ইবনে বাশীর রয়েছেন তার সম্পর্কে দারাকুতনী বলেনঃ তিনি সেরূপ নন।

ইবনু ইউনুস বলেনঃ তার ব্যাপারে মুহাদ্দিসগণ সমালোচনা করেছেন।

অন্য সূত্রে যায়েদ ইবনু আসলাম হতে, তিনি আতা ইবনু ইয়াসার হতে, তিনি আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে মারফূ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু সহীহ নয় যেমনটি সামনে আসবে।

হাদীসটির আরেকটি সূত্র রয়েছে, সেটিকে ইবনু আদী (২/২৪৩) উমর ইবনু ইয়াযীদ হতে, তিনি আতা হতে, তিনি আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। ইবনু আদী বলেনঃ এ হাদীসটি আতা হতে নিরাপদ নয়। আর উমার ইবনু ইয়াযীদ মুনকারুল হাদীস ।

হাদীসটি সম্পর্কে মানবী বলেনঃ হাদীসটিকে ইবনুল জাওযী “আলমাওযুয়াত” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন আর কাযবীনী তার অনুসরণ করেছেন। কিন্তু ইবনু হাজার প্রতিবাদ করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ বানোয়াট হওয়ার প্রতিবাদ করাটা গ্রহণযোগ্য। আর দুর্বলতার বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত। কারণ এসব সূত্রগুলোর মধ্যে এমন কোন শক্তি পাওয়া যায় না যে, একটি অন্যটিকে শক্তিশালী করতে পারে। যদি যায়েদ ইবনু আসলাম হতে মুরসাল হিসেবে সনদটি সহীহ হয়, তাহলেও মুরসাল তো দুর্বলের প্রকারের অন্তর্ভুক্ত।

للسائل حق، وإن جاء على فرس
ضعيف

-

روي من حديث الحسين بن علي بن أبي طالب، وعلي بن أبي طالب، وعبد الله
ابن عباس، وأنس بن مالك، والهرماس بن زياد، وأبي هريرة

1 - أما حديث الحسين، فيرويه مصعب بن محمد عن يعلى بن أبي يحيى عن فاطمة بنت
الحسين عن حسين بن علي قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره
أخرجه البخاري في " التاريخ " (4/2/416) وأبو داود (1665) وأحمد (1/201)
وابن أبي شيبة في " المصنف " (2/186/2) وأبو يعلى في " مسنده " (ق 317/2)
والطبراني (رقم - 2893) وابن زنجويه في " الأموال " (13/21/1)

قلت: وهذا إسناد ضعيف، ومن جوده فقد أخطأ، فإن يعلى بن أبي يحيى مجهول كما
قال أبو حاتم وتبعه الحافظ. ومصعب بن محمد، وثقه ابن معين وقال أبو حاتم
" يكتب حديثه ولا يحتج به

قلت: وقد اختلف عليه في إسناده، فرواه سفيان عنه كما ذكرنا. وقال ابن المبارك: عنه عن يعلى بن أبي يحيى مولى لفاطمة ابنة الحسين عن الحسين بن علي عن النبي صلى الله عليه وسلم مثله فلم يذكر فاطمة في السند وإنما المولى

وقال ابن جريج: عنه عن يعلى عن سكينة بنت الحسين عليه السلام عن النبي صلى الله عليه وسلم. وهذا مرسل. أخرجهما ابن زنجويه

وروي على وجه آخر وهو

2 - حديث علي: يرويه زهير عن شيخ - قال: رأيت سفيان عنده - عن فاطمة بنت حسين
عن أبيها عن علي عن النبي صلى الله عليه وسلم مثله. أخرجه أبو داود (1666) والقضاعي في " مسند الشهاب " (19/2)

قلت: وهذا إسناد ضعيف أيضا لجهالة هذا الشيخ الذي لم يسم، والظاهر أنه يعلى بن أبي يحيى الذي في الطريق الأولى، وقد عرفت جهالته. وقد رواه محمد بن زكريا الغلابي البصري: حدثنا يعقوب بن جعفر بن سليمان بن علي بن عبد الله بن عباس عن أبيه عن أمه أم الحسن بنت جعفر بن الحسن بن الحسن ابن علي عن عبد الله بن الحسن عن أمه فاطمة بنت الحسين به. أخرجه تمام الرازي في " الفوائد " (ق 278/2) . والغلابي هذا كذاب وضاع

3 - حديث ابن عباس، يرويه إبراهيم بن عبد السلام المكي: حدثنا إبراهيم بن
يزيد عن سليمان عن طاووس عنه يرفعه
أخرجه ابن عدي في " الكامل " (8/2) في ترجمة إبراهيم المكي هذا وقال: " وهذا الحديث إنما يعرف بغير إبراهيم هذا عن إبراهيم بن يزيد، سرقه ممن هو معروف به، وسليمان المذكور في هذا الإسناد هو سليمان بن أبي سليمان الأحول المكي، وإبراهيم هذا هو في جملة الضعفاء ". وقال في مطلع ترجمته: " ليس يعرف، حدث بالمناكير، وعندي أنه يسرق الحديث

قلت: وإبراهيم بن يزيد هو الخوزي المكي وهو متروك الحديث. وأما سليمان الأحول هذا فلم أعرفه. وبالجملة فالسند ضعيف جدا

4 - حديث أنس، يرويه أبو هدبة عنه مرفوعا بلفظ: " إن أتاك السائل على فرس باسط كفه، فقد وجب الحق ولوبشق تمرة ". أخرجه أبو جعفر الرزاز في " ستة مجالس من الأمالي " (ق 119/1) وكذا الديلمي، ومن طريقه أورده السيوطي في " ذيل الأحاديث الموضوعة " (ص 199) . وذلك لأن أبا هدبة هذا واسمه إبراهيم بن هدبة، قال الذهبي: " حدث ببغداد وغيرها بالأباطيل. قال أبو حاتم وغيره: كذاب

5 - حديث الهرماس. أورده الهيثمي في " المجمع " (3/101) بلفظ الترجمة وقال
" رواه الطبراني في " الصغير " و" الأوسط " وفيه عثمان بن فائد وهو ضعيف

قلت: لم يورده الهيثمي في " زوائد المعجمين " ولا أنا في ترتيب " الصغير " منهما، فلا أدري أسقط مني أم من الناسخ؟ والسيوطي إنما عزاه في " الجامع الصغير " لـ(طب) يعني الطبراني في " المعجم الكبير ". فالله أعلم

ثم رأيته في " المعجم الكبير " (22/203/535) من طريق عثمان المذكور. وقد جزم صاحبنا الشيخ حمدي السلفي في تعليقه على تخريج الهيثمي المتقدم بنفي رواية الصغير له، وقطع بأنه في " الأوسط ". ولم أره في فهرسه الذي كنت وضعته للنسخة المصورة التي عندي منه، وفيها خرم. فالله أعلم

ثم رأيت الحديث في ترجمة عثمان بن زائدة من " ثقات ابن حبان " قال (7/195) : حدثنا محمد بن خالد البردعي، بمكة من كتابه قال: حدثنا عبد العظيم بن إبراهيم السالمي قال: حدثنا سليمان بن عبد الرحمن قال: حدثنا عثمان بن زائدة: حدثنا عكرمة بن عمار قال: سمعت الهرماس بن زياد يقول: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: فذكره بلفظ: " للضيف حق.. " إلخ

وقال ابن حبان عقبه: " أخاف أن يكون هذا عثمان بن فائد

قلت: هذا أورده ابن حبان في " الضعفاء " (2/101) وقال: " روى عنه سليمان بن عبد الرحمن، يأتي عن الثقات بالأشياء المعضلات حتى يسبق إلى القلب أنه كان يعملها تعمدا
قلت: وهذا الحديث من رواية سليمان كما ترى عند ابن حبان، وكذلك هو في "كبير الطبراني " كما تقدم مصرحا بأنه (ابن فائد) ، ولذلك قال ابن حبان: " أخاف.. " إلخ

قلت: وهذا مما يذكر اللبيب بتساهل ابن حبان في التوثيق، فإن هذه الترجمة وحديث صاحبها، تعني أنه لا يعلم شيئا عنه سوى وروده في هذه الرواية مع خوفه أن يكون اسمه تصحف على أحد رواته من " عثمان بن فائد " الضعيف إلى " عثمان بن زائدة " الذي لا يعرف إلا في هذه الرواية على شكه وخوفه المذكور. فتأمل

6 - حديث أبي هريرة. قال ابن عدي في " الكامل " (216/2) : حدثنا علي بن سعيد ابن بشير: حدثنا محمد بن عبد الله المخرمي: حدثنا معلى بن منصور: حدثنا عبد الله بن زيد بن أسلم عن أبيه عن أبي صالح عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: " أعطوا السائل.. " الحديث

أورده في ترجمة عبد الله هذا وقال: " وهو مع ضعفه يكتب حديثه، على أنه قد وثقه غير واحد ". قلت: وفي " التقريب ": " صدوق فيه لين ". وقد خولف في إسناده، فرواه مالك في " الموطأ " (2/996/3) عن زيد بن أسلم أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: فذكره مرسلا، وهو الصواب. قال ابن عبد البر: " لا أعلم في إرسال هذا الحديث خلافا عن مالك، وليس فيه مسند يحتج به

وقد روي عن زيد بن أسلم مرسلا على وجه آخر، أخرجه ابن زنجويه (13/21/1 - 2)
عن عثمان بن عثمان الغطفاني عنه عن عطاء بن يسار قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره. ورجاله ثقات غير عثمان هذا، قال الحافظ: " صدوق ربما وهم

ثم رواه من طريق الهيثم بن جماز عن الحسن قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره

قلت: وهذا مع إرساله ضعيف جدا، فإن الهيثم هذا متروك متهم بالكذب. ثم إن في طريق حديث أبي هريرة المتقدمة علي بن سعيد بن بشير قال الدارقطني: " ليس بذاك
وقال ابن يونس: " تكلموا فيه

وقد روي من طريق أخرى عن زيد بن أسلم عن عطاء بن يسار عن أبي هريرة مرفوعا، ولا يصح كما يأتي بيانه
وله طريق أخرى، أخرجه ابن عدي (243/2) عن عمر بن يزيد عن عطاء عن أبي هريرة
به. وقال: " هذا الحديث عن عطاء غير محفوظ، وعمر بن يزيد منكر الحديث
والحديث قال المناوي: " أورده ابن الجوزي في " الموضوعات "، وتبعه القزويني، لكن رده ابن حجر كالعلائي

قلت: رد الوضع مسلم، وأما الضعف فهو قائم، لأنه لا يوجد في كل هذه الطرق ما
يمكن أن يشتد بعضه ببعض من المسندات، وإنما صح إسناده مرسلا عن زيد بن أسلم
كما رأيت، والمرسل من قسم الضعيف. والله أعلم

(تنبيهان)

الأول: لم أر الحديث في " اللآلي المصنوعة " للسيوطي، ولا في كتابه الآخر: " التعقبات على الموضوعات "، ولم يذكره ابن عراق في " تنزيه الشريعة

والآخر: أن الشوكاني أورده في " الفوائد المجموعة في الأحاديث الموضوعة " بلفظ الترجمة وقال: قال القزويني: " موضوع "، ثم أورده بلفظ حديث أنس (رقم 4) وقال: " ذكره في " الذيل " وفي " الوجيز "، قال العراقي: أخرجه أحمد في " مسنده " عن الحسين بن علي بسند جيد، وأخرجه أبو داود عنه، وعن علي رضي الله عنه ". فلوأن الشوكاني قال هذا في تخريج اللفظ الأول، لأصاب. وأما قول الحافظ العراقي: " بسند جيد "؛ فغير جيد؛ لما فيه من الجهالة والاضطراب كما سبق بيانه. والله تعالى هو الموفق للصواب

للساىل حق، وان جاء على فرس ضعيف - روي من حديث الحسين بن علي بن ابي طالب، وعلي بن ابي طالب، وعبد الله ابن عباس، وانس بن مالك، والهرماس بن زياد، وابي هريرة 1 - اما حديث الحسين، فيرويه مصعب بن محمد عن يعلى بن ابي يحيى عن فاطمة بنت الحسين عن حسين بن علي قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره اخرجه البخاري في " التاريخ " (4/2/416) وابو داود (1665) واحمد (1/201) وابن ابي شيبة في " المصنف " (2/186/2) وابو يعلى في " مسنده " (ق 317/2) والطبراني (رقم - 2893) وابن زنجويه في " الاموال " (13/21/1) قلت: وهذا اسناد ضعيف، ومن جوده فقد اخطا، فان يعلى بن ابي يحيى مجهول كما قال ابو حاتم وتبعه الحافظ. ومصعب بن محمد، وثقه ابن معين وقال ابو حاتم " يكتب حديثه ولا يحتج به قلت: وقد اختلف عليه في اسناده، فرواه سفيان عنه كما ذكرنا. وقال ابن المبارك: عنه عن يعلى بن ابي يحيى مولى لفاطمة ابنة الحسين عن الحسين بن علي عن النبي صلى الله عليه وسلم مثله فلم يذكر فاطمة في السند وانما المولى وقال ابن جريج: عنه عن يعلى عن سكينة بنت الحسين عليه السلام عن النبي صلى الله عليه وسلم. وهذا مرسل. اخرجهما ابن زنجويه وروي على وجه اخر وهو 2 - حديث علي: يرويه زهير عن شيخ - قال: رايت سفيان عنده - عن فاطمة بنت حسين عن ابيها عن علي عن النبي صلى الله عليه وسلم مثله. اخرجه ابو داود (1666) والقضاعي في " مسند الشهاب " (19/2) قلت: وهذا اسناد ضعيف ايضا لجهالة هذا الشيخ الذي لم يسم، والظاهر انه يعلى بن ابي يحيى الذي في الطريق الاولى، وقد عرفت جهالته. وقد رواه محمد بن زكريا الغلابي البصري: حدثنا يعقوب بن جعفر بن سليمان بن علي بن عبد الله بن عباس عن ابيه عن امه ام الحسن بنت جعفر بن الحسن بن الحسن ابن علي عن عبد الله بن الحسن عن امه فاطمة بنت الحسين به. اخرجه تمام الرازي في " الفواىد " (ق 278/2) . والغلابي هذا كذاب وضاع 3 - حديث ابن عباس، يرويه ابراهيم بن عبد السلام المكي: حدثنا ابراهيم بن يزيد عن سليمان عن طاووس عنه يرفعه اخرجه ابن عدي في " الكامل " (8/2) في ترجمة ابراهيم المكي هذا وقال: " وهذا الحديث انما يعرف بغير ابراهيم هذا عن ابراهيم بن يزيد، سرقه ممن هو معروف به، وسليمان المذكور في هذا الاسناد هو سليمان بن ابي سليمان الاحول المكي، وابراهيم هذا هو في جملة الضعفاء ". وقال في مطلع ترجمته: " ليس يعرف، حدث بالمناكير، وعندي انه يسرق الحديث قلت: وابراهيم بن يزيد هو الخوزي المكي وهو متروك الحديث. واما سليمان الاحول هذا فلم اعرفه. وبالجملة فالسند ضعيف جدا 4 - حديث انس، يرويه ابو هدبة عنه مرفوعا بلفظ: " ان اتاك الساىل على فرس باسط كفه، فقد وجب الحق ولوبشق تمرة ". اخرجه ابو جعفر الرزاز في " ستة مجالس من الامالي " (ق 119/1) وكذا الديلمي، ومن طريقه اورده السيوطي في " ذيل الاحاديث الموضوعة " (ص 199) . وذلك لان ابا هدبة هذا واسمه ابراهيم بن هدبة، قال الذهبي: " حدث ببغداد وغيرها بالاباطيل. قال ابو حاتم وغيره: كذاب 5 - حديث الهرماس. اورده الهيثمي في " المجمع " (3/101) بلفظ الترجمة وقال " رواه الطبراني في " الصغير " و" الاوسط " وفيه عثمان بن فاىد وهو ضعيف قلت: لم يورده الهيثمي في " زواىد المعجمين " ولا انا في ترتيب " الصغير " منهما، فلا ادري اسقط مني ام من الناسخ؟ والسيوطي انما عزاه في " الجامع الصغير " لـ(طب) يعني الطبراني في " المعجم الكبير ". فالله اعلم ثم رايته في " المعجم الكبير " (22/203/535) من طريق عثمان المذكور. وقد جزم صاحبنا الشيخ حمدي السلفي في تعليقه على تخريج الهيثمي المتقدم بنفي رواية الصغير له، وقطع بانه في " الاوسط ". ولم اره في فهرسه الذي كنت وضعته للنسخة المصورة التي عندي منه، وفيها خرم. فالله اعلم ثم رايت الحديث في ترجمة عثمان بن زاىدة من " ثقات ابن حبان " قال (7/195) : حدثنا محمد بن خالد البردعي، بمكة من كتابه قال: حدثنا عبد العظيم بن ابراهيم السالمي قال: حدثنا سليمان بن عبد الرحمن قال: حدثنا عثمان بن زاىدة: حدثنا عكرمة بن عمار قال: سمعت الهرماس بن زياد يقول: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: فذكره بلفظ: " للضيف حق.. " الخ وقال ابن حبان عقبه: " اخاف ان يكون هذا عثمان بن فاىد قلت: هذا اورده ابن حبان في " الضعفاء " (2/101) وقال: " روى عنه سليمان بن عبد الرحمن، ياتي عن الثقات بالاشياء المعضلات حتى يسبق الى القلب انه كان يعملها تعمدا قلت: وهذا الحديث من رواية سليمان كما ترى عند ابن حبان، وكذلك هو في "كبير الطبراني " كما تقدم مصرحا بانه (ابن فاىد) ، ولذلك قال ابن حبان: " اخاف.. " الخ قلت: وهذا مما يذكر اللبيب بتساهل ابن حبان في التوثيق، فان هذه الترجمة وحديث صاحبها، تعني انه لا يعلم شيىا عنه سوى وروده في هذه الرواية مع خوفه ان يكون اسمه تصحف على احد رواته من " عثمان بن فاىد " الضعيف الى " عثمان بن زاىدة " الذي لا يعرف الا في هذه الرواية على شكه وخوفه المذكور. فتامل 6 - حديث ابي هريرة. قال ابن عدي في " الكامل " (216/2) : حدثنا علي بن سعيد ابن بشير: حدثنا محمد بن عبد الله المخرمي: حدثنا معلى بن منصور: حدثنا عبد الله بن زيد بن اسلم عن ابيه عن ابي صالح عنه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: " اعطوا الساىل.. " الحديث اورده في ترجمة عبد الله هذا وقال: " وهو مع ضعفه يكتب حديثه، على انه قد وثقه غير واحد ". قلت: وفي " التقريب ": " صدوق فيه لين ". وقد خولف في اسناده، فرواه مالك في " الموطا " (2/996/3) عن زيد بن اسلم ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: فذكره مرسلا، وهو الصواب. قال ابن عبد البر: " لا اعلم في ارسال هذا الحديث خلافا عن مالك، وليس فيه مسند يحتج به وقد روي عن زيد بن اسلم مرسلا على وجه اخر، اخرجه ابن زنجويه (13/21/1 - 2) عن عثمان بن عثمان الغطفاني عنه عن عطاء بن يسار قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره. ورجاله ثقات غير عثمان هذا، قال الحافظ: " صدوق ربما وهم ثم رواه من طريق الهيثم بن جماز عن الحسن قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره قلت: وهذا مع ارساله ضعيف جدا، فان الهيثم هذا متروك متهم بالكذب. ثم ان في طريق حديث ابي هريرة المتقدمة علي بن سعيد بن بشير قال الدارقطني: " ليس بذاك وقال ابن يونس: " تكلموا فيه وقد روي من طريق اخرى عن زيد بن اسلم عن عطاء بن يسار عن ابي هريرة مرفوعا، ولا يصح كما ياتي بيانه وله طريق اخرى، اخرجه ابن عدي (243/2) عن عمر بن يزيد عن عطاء عن ابي هريرة به. وقال: " هذا الحديث عن عطاء غير محفوظ، وعمر بن يزيد منكر الحديث والحديث قال المناوي: " اورده ابن الجوزي في " الموضوعات "، وتبعه القزويني، لكن رده ابن حجر كالعلاىي قلت: رد الوضع مسلم، واما الضعف فهو قاىم، لانه لا يوجد في كل هذه الطرق ما يمكن ان يشتد بعضه ببعض من المسندات، وانما صح اسناده مرسلا عن زيد بن اسلم كما رايت، والمرسل من قسم الضعيف. والله اعلم (تنبيهان) الاول: لم ار الحديث في " اللالي المصنوعة " للسيوطي، ولا في كتابه الاخر: " التعقبات على الموضوعات "، ولم يذكره ابن عراق في " تنزيه الشريعة والاخر: ان الشوكاني اورده في " الفواىد المجموعة في الاحاديث الموضوعة " بلفظ الترجمة وقال: قال القزويني: " موضوع "، ثم اورده بلفظ حديث انس (رقم 4) وقال: " ذكره في " الذيل " وفي " الوجيز "، قال العراقي: اخرجه احمد في " مسنده " عن الحسين بن علي بسند جيد، واخرجه ابو داود عنه، وعن علي رضي الله عنه ". فلوان الشوكاني قال هذا في تخريج اللفظ الاول، لاصاب. واما قول الحافظ العراقي: " بسند جيد "؛ فغير جيد؛ لما فيه من الجهالة والاضطراب كما سبق بيانه. والله تعالى هو الموفق للصواب
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ