পরিচ্ছেদঃ
১৩২৯। প্রতিটি বস্তুর যাকাত রয়েছে আর শরীরের যাকাত হচ্ছে সওম পালন করা।
হাদীসটি দুর্বল।
হাদীসটি আবু হুরাইরাহ (রাঃ) এবং সাহাল ইবনু সা’দ গ্রজ হতে বর্ণিত হয়েছে।
১। আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে ওয়াকী "আযযুহুদ" গ্রন্থে (৩/৮২/২) মূসা ইবনু ওবায়েদ হতে, তিনি জামহান হতে, তিনি আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে মওকুফ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এটিকে ইবনু আবী শাইবাহু "আল-মুসান্নাফ" গ্রন্থে (৩/৭), ইবনু মাজাহ (১৭৪৫), ইবনু আদী “আল-কামেল” গ্রন্থে (কাফ ১/৩০৩) ও আবু বাকর আল-কালাবায়ী "মিফতাহুল মায়ানী" গ্রন্থে (কাফ ২/১৫৭) আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারাক এবং অন্য ব্যক্তির সূত্রে মূসা ইবনু ওবায়দাহ হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
বুসয়রী “আযযাওয়াইদ” গ্রন্থে (২/৭৯) বলেনঃ এ সনদটি দুর্বল। মূসা ইবনু ওবায়দাহ হচ্ছেন আররাবাযী, তার দুর্বল হওয়ার ব্যাপারে সকলে একমত।
ইয়াহইয়া ইবনু আব্দিল হামীদ বিরোধিতা করে বলেছেনঃ আমাদেরকে হাদীসটি ইবনুল মুবারাক শুনিয়েছেন আওযাঈ হতে, তিনি জামহান হতে...। এটিকে আব্দ ইবনু হুমায়েদ "আল-মুনতাখাব মিনাল মুসনাদ" গ্রন্থে (কাফ ১/১৫৫) বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ মূসা ইবনু ওবায়দার স্থলে আওযাঈকে উল্লেখ করাটা মুনকার। ইয়াহইয়া ইবনু আব্দিল হামীদ তার দ্বারা এককভাবে বর্ণনা করেছেন, তিনি হচ্ছেন হামানী। এর সম্পর্কে হাফিয যাহাবী "আয-যুয়াফা" গ্রন্থে বলেনঃ তিনি (ইয়াহইয়া) হাফিয (কিন্তু) মুনকারুল হাদীস। তাকে ইবনু মা’ঈন প্রমুখ নির্ভরযোগ্য আখ্যা দিয়েছেন। আর ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বাল বলেনঃ তিনি প্রকাশ্যে মিথ্যা বলতেন। ইমাম নাসাঈ বলেনঃ তিনি দুর্বল।
হাফিয ইবনু হাজার “আত-তাকরীব” গ্রন্থে বলেনঃ মুহাদ্দিসগণ তাকে হাদীস চুরি করার দোষে দোষী করেছেন।
বুসয়রী এ বিরোধিতামূলক বর্ণনার বিষয়টি লক্ষ্য না করে হামানীর বর্ণনাকে ইবনুল মুবারাক সূত্রে মূসা ইবনু ওবায়দাহ হতে বানিয়ে ফেলেছেন। এর মধ্যে আরেকটি সমস্যা রয়েছে সেটি হচ্ছে বর্ণনাকারী জামহান। হাফিয ইবনু হাজার “আত-তাহযীব” গ্রন্থে তার জীবনী বর্ণনা করে বলেছেনঃ অন্য দু’জন তার থেকে বর্ণনা করেছেন এবং তাকে ইবনু হিব্বান (৪/১১৮) নির্ভরযোগ্য আখ্যা দিয়েছেন। আর তিনি “আত-তাকরীব” গ্রন্থে বলেনঃ তিনি মকবুল।
কিন্তু ইমাম বুখারী তার “আত-তারীখ” গ্রন্থে (২/১/২৫০) আলী ইবনু ইবনুল মাদীনীর উদ্ধৃতিতে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেনঃ যে জামহান থেকে মূসা ইবনু ওবায়দাহ বর্ণনা করেছেন তিনি সেই জামহান নন যার থেকে পূর্বে ইঙ্গিত করা দু’জন করেছেন। তাদের দু’জনের একজন হচ্ছেন উরওয়াহ ইবনুয যুবায়ের।
২। আর সাহল ইবনু সা’দ হতে বর্ণিত হাদীসটিকে হাম্মাদ ইবনুল ওয়ালীদ সুফইয়ান সাওরী হতে, তিনি আবু হযেম হতে, তিনি সাহল হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এটিকে ইবনু শাখলাদ “আল-মুনতাকা মিনাল আহাদীস” গ্রন্থে (২/৮৯/২), ইবনু আদী "আল-কামেল" গ্রন্থে (১/৭৩), ত্ববারানী "আল-মুজামুল কাবীর" গ্রন্থে (৬/২৩৭/৫৯৭৩) ও ইবনুল জাওযী “আল-আহাদীসুল ওয়াহিয়্যাহ্” গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। ইবনু আদী বলেনঃ হাম্মাদ ছাড়া সাওরী হতে অন্য কেউ বর্ণনা করেছেন বলে জানি না। আর নির্ভরযোগ্যদের উদ্ধৃতিতে হাম্মাদের কতিপয় গরীব হাদীস রয়েছে। তিনি যা কিছু বর্ণনা করেছেন তার অধিকাংশেরই মুতাবা’য়াত করা হয় না।
ইবনু হিব্বান "আযযুয়াফা অল-মাতরূকীন" গ্রন্থে (১/২৫৪) বলেনঃ তিনি হাদীস চোর এবং তিনি নির্ভরযোগ্যদের সাথে সেই সব হাদীসকে মিলিয়ে ফেলতেন যেগুলো তাদের হাদীস নয়।
অতঃপর তিনি ইবনু হিব্বানের বক্তব্য এবং ইবনু আদীর কথার শেষ বাক্যটি উল্লেখ করেছেন।
হায়সামী (৩/১৮২) বলেনঃ এর সনদে হাম্মাদ ইবনুল ওয়ালীদ রয়েছেন তিনি দুর্বল।
হাফিয যাহাবী "আয-যুয়াফা" গ্রন্থে বলেনঃ তিনি মাতরূক সাকেত।
لكل شيء زكاة، وزكاة الجسد الصوم
ضعيف
-
روي من حديث أبي هريرة وسهل بن سعد
أما حديث أبي هريرة، فأخرجه وكيع في " الزهد " (3/82/2) : حدثنا موسى بن عبيدة عن جمهان عنه موقوفا
ورواه ابن أبي شيبة في " المصنف " (3/7) وابن ماجه (رقم 1745) وابن عدي في " الكامل " (ق 303/1) وأبو بكر الكلاباذي في " مفتاح المعاني " (ق 157/2) من طريق ابن المبارك وغيره عن موسى بن عبيدة به مرفوعا
قال البوصيري في " الزوائد " (2/79 - بيروت)
" هذا إسناد ضعيف، موسى بن عبيدة - وهو الربذي - متفق على تضعيفه ". وخالف يحيى بن عبد الحميد فقال: نا ابن المبارك عن الأوزاعي عن جمهان به
أخرجه عبد بن حميد في " المنتخب من المسند " (ق 155/1 - ظاهرية)
قلت: وذكره الأوزاعي مكان موسى منكر، تفرد به يحيى هذا وهو الحماني. قال الذهبي في " الضعفاء ": " حافظ منكر الحديث، وقد وثقه ابن معين وغيره، وقال أحمد بن حنبل: كان
يكذب جهارا. وقال النسائي: ضعيف
وقال الحافظ في " التقريب ": " اتهموه بسرقة الحديث
ولم يتنبه البوصيري لهذه المخالفة، فجعل رواية الحماني عن ابن المبارك عن موسى بن عبيدة! وفيه علة أخرى وهي جمهان، ترجمه في " التهذيب " برواية اثنين آخرين عنه ووثقه ابن حبان (4/118) ، وقال في " التقريب ": " مقبول
لكن ذكر البخاري في " تاريخه " (2/1/250) عن علي بن المديني أن هذا الذي روى عنه موسى بن عبيدة هو غير الذي روى عنه الاثنان المشار إليهما، وأحدهما عروة
ابن الزبير. والله أعلم
ولعله لذلك بيض له الذهبي في " الكاشف "، فلم يتبين له حاله
أما حديث سهل، فيرويه حماد بن الوليد عن سفيان الثوري عن أبي حازم عنه
مرفوعا
أخرجه ابن مخلد في " المنتقى من أحاديثه " (2/89/2) وابن عدي في " الكامل
(73/1) والطبراني في " المعجم الكبير " (6/237/5973) وابن الجوزي في
الأحاديث الواهية "، وقال ابن عدي: " لا أعلم يرويه عن الثوري غير حماد، ولحماد أحاديث غرائب وأفرادات عن الثقات، وعامة ما يرويه لا يتابع عليه
وقال ابن حبان في " الضعفاء والمتروكين " (1/254) : " يسرق الحديث، ويلزق بالثقات ما ليس من أحاديثهم
وقال ابن الجوزي: " هذا حديث لا يصح
ثم ذكر كلام ابن حبان والجملة الأخيرة من كلام ابن عدي
وقال الهيثمي (3/182) بعدما عزاه للطبراني: " وفيه حماد بن الوليد، وهو ضعيف
وقال الذهبي في " ضعفائه ": متروك ساقط