পরিচ্ছেদঃ

১২৭৬। যার মধ্যে তিনটি চরিত্রের একটি থাকবে আল্লাহ্ তা’আলা তার হুর ’ঈনের সাথে বিয়ে দিবেন, যার নিকট আকাক্ষিত গোপন আমানাত রক্ষিত থাকবে অতঃপর সে তা আল্লাহকে ভয় করে (সঠিকভাবে) আদায় করবে, অথবা যে ব্যক্তি তার হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিবে, অথবা সেই ব্যক্তি যে প্রত্যেক সালাতের পরে ’কুল হুঅল্লাহু আহাদ’ পাঠ করবে।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদীসটি আদ-দীনাওরা "আল-মুন্তাকা মিনাল মুজালাসা" গ্রন্থে (২/১২৪) বানু হাশিমের দাস মুহাম্মাদ ইবনু আবদির রহমান হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি রাওয়াদ ইবনুল জাররাহ হতে, তিনি মুহাম্মাদ ইবনু মুসলিম হতে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনুল হাসান হতে, তিনি উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ কয়েকটি কারণে এ সনদটি দুর্বলঃ

১। সনদে আব্দুল্লাহ ইবনুল হাসান রয়েছেন, তিনি হচ্ছেন আবু হাশিম মাদানী উলাবী, তার আর উম্মু সালামার মধ্যে সনদে বিচ্ছিন্নতা।

২। রাওয়াদ দুর্বল বর্ণনাকারী। হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ তিনি সত্যবাদী কিন্তু তার শেষ বয়সে মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছিল এ কারণে তাকে ত্যাগ করা হয়।

৩। মুহাম্মাদ ইবনু আবদির রহমান এর জীবনী কে আলোচনা করেছেন পাচ্ছি না। তার পিতার অবস্থাও অনুরূপ।

সম্ভবত ত্ববারানী এ সূত্রেই বর্ণনা করেছেন, এ কারণে হায়সামী (২/৩০২) বলেছেনঃ ত্ববারানী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং তার সনদের মধ্যে একদল বর্ণনাকারী রয়েছেন তাদেরকে আমি চিনি না।

অতঃপর আমি হাদীসটি “আল-মুজামুল কাবীর” গ্রন্থে (২৩/৩৯৫/৯৪৫) অন্য এক সূত্রে দেখেছি রাওয়াদ ইবনুল জাররাহ হতে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু মুসলিম হতে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ মুহাম্মাদ ইবনু মুসলিমের স্থলে আব্দুল্লাহ ইবনু মুসলিম উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু সঠিক কোনটি আমার নিকট স্পষ্ট হয়নি। আলোচ্য হাদীসটি একটি সাক্ষীমূলক হাদীস জাবের (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে (৬৫৪) নম্বরে উল্লেখ করা হয়েছে। সেটি খুবই দুর্বল। এ কারণে তার দ্বারা এ হাদীসটি শক্তিশালী হতে পারে না।