পরিচ্ছেদঃ
১২৭৫। যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের পিঠকে না-হক্ব পন্থায় খালী করে দিবে সে আল্লাহর সাথে মিলিত হবে এমতাবস্থায় যে আল্লাহ্ তার উপর রাগাম্বিত থাকবেন।
হাদীসটি দুর্বল।
হাদীসটি ইমাম ত্ববারানী "আল-মুজামুল আওসাত" গ্রন্থে (২৫২৪) ইবরাহীম হতে, তিনি মুহাম্মাদ ইবনু সাদাকাহ জুবলানী হতে, তিনি ইয়ামান ইবনু আদী হতে তিনি মুহাম্মাদ ইবনু যিয়াদ আলাহানী হতে, তিনি আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ত্ববারানী বলেনঃ মুহাম্মাদ ইবনু যিয়াদ হতে ইয়ামান ব্যতীত অন্য কেউ হাদীসটি বর্ণনা করেননি।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি হাদীসের ক্ষেত্রে দুর্বল যেমনটি “আত-তাকরীব” গ্রন্থে এসেছে। ইমাম আহমাদ ও দারাকুতনী তাকে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। আবু আহমাদ হাকিম বলেনঃ তাদের নিকট তিনি শক্তিশালী নন। ইমাম বুখারী বলেনঃ তার হাদীসের ব্যাপারে বিরূপ মন্তব্য রয়েছে। তবে আবু হাতিম বলেনঃ তিনি সত্যবাদী শাইখ।
আর ইবরাহীম হচ্ছেন ইবনু মুহাম্মাদ ইবনে আরক। তার জীবনী পাচ্ছি না। এছাড়া বাকী বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।
এ থেকে বুঝা যাচ্ছে মুনযেরী (৩/২০৭) এবং হায়সামী (৪/২৫৩) যে বলেছেনঃ হাদীসটি ত্ববারানী “আল-কাবীর” ও “আল-আওসাত” গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন এবং তার সনদটি ভাল। তাদের এ কথাটি ভাল নয় (সঠিক নয়)। তাদের দু’জনের কথায় মানবী “আত-তায়সীর” গ্রন্থে ধোঁকায় পড়েছেন এবং গুমারীও তার “কানয” গ্রন্থে ধোঁকায় পড়েছেন।
অতঃপর আমি "আল-কাবীর” গ্রন্থের (৭৫৩৬) সনদ সম্পর্কে অবগত হয়েছি। তিনি “আল-আওসাত” গ্রন্থে যে সনদে বর্ণনা করেছেন সেই একই সনদে তাতেও বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি বলেছেনঃ মুহাম্মাদ ইবনু ইবরাহীম ইবনে আরকু হিমসী।
বাহ্যিক অবস্থা এই যে, কোন কপি কারকের পক্ষ থেকে এ পরিবর্তন ঘটেছে। কারণ ইমাম ত্ববারানীর শাইখদের মধ্যে ইবরাহীম ইবনু মুহাম্মাদ ইবনে আরকই রয়েছেন। মুহাম্মাদ ইবনু ইবরাহীম নেই। “আস-সাগীর” গ্রন্থেও নেই এবং “আল-আওসাত” গ্রন্থেও নেই।
এছাড়া ইমাম ত্ববারানী "আল-কাবীর" গ্রন্থে আলোচ্য হাদীসটির একটি হাদীস পরে (৭৫৩৮) তিনি আরেকটি হাদীস বর্ণনা করেছেন সেখানে তিনি ইবরাহীম ইবনু মুহাম্মাদ ইবনে আরক হিমসীকেই উল্লেখ করেছেন।
من جرد ظهر أخيه بغير حق لقي الله وهو عليه غضبان
ضعيف
-
رواه الطبراني في " الأوسط " (2524) : نا إبراهيم: نا محمد بن صدقة الجبلاني : نا اليمان بن عدي عن محمد بن زياد الألهاني عن أبي أمامة مرفوعا وقال: " لم يروه عن محمد بن زياد إلا اليمان
قلت: وهو لين الحديث كما في " التقريب " ضعفه أحمد والدارقطني، وقال أبو أحمد الحاكم
ليس بالقوي عندهم
وقال البخاري: " في حديثه نظر
وأما أبو حاتم فقال: " شيخ صدوق
وبقية رجاله ثقات غير إبراهيم وهو ابن محمد بن عرق ولم أجد له ترجمة
ومنه تعلم أن قول المنذري (3/207) ثم الهيثمي (4/253) : " رواه الطبراني في " الكبير " و" الأوسط "، وإسناده جيد "؛ غير جيد
واغتر بهما المناوي في التيسير، والغماري في " كنزه " - ولذا قال الحافظ في " فتح الباري ": " في سنده مقال
ثم وقفت على إسناده في " الكبير " (7536) ، فإذا هو بإسناد " الأوسط " نفسه إلا أنه قال: " محمد بن إبراهيم بن عرق الحمصي " والظاهر أنه انقلب على بعض النساخ، فإنه ليس في شيوخه إلا إبراهيم بن محمد بن عرق، لا في " الصغير
ولا في " الأوسط " (2/4/1 - 192/2) . وأيضا فقد ساق في " الكبير " بعد حديث الترجمة بحديث واحد حديثا آخر (7538) قال: حدثنا إبراهيم بن محمد بن عرق الحمصي: حدثنا.. ويراجع لترجمته " تاريخ ابن عساكر " فإني أكتب هذا وأنا في (عمان الأردن)