পরিচ্ছেদঃ
১০৪১। যে ব্যক্তি সকাল ও সন্ধ্যায় এ দু’আ একবার বলবেঃ হে আল্লাহ! আমি তোমাকে, তোমার আরশ বহনকারী ফেরেশতাদেরকে, তোমার সকল ফেরেশতাদেরকে এবং তোমার সকল সৃষ্টিকে এ মর্মে সাক্ষী রেখে সকাল করছি যে, তুমিই আল্লাহ, সত্যিকার অর্থে তুমি ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই, নিশ্চয় মুহাম্মাদ তোমার বান্দা এবং তোমার রসূল। আল্লাহ তা’আলা তার এক চতুর্থাংশকে জাহান্নামের আগুন হতে মুক্ত করে দিবেন। আর যে ব্যক্তি এ দু’আ দু’বার বলবে তার অর্ধেক অংশ জাহান্নামের আগুন হতে মুক্ত করে দিবেন। যে ব্যক্তি তিনবার বলবে, তার তিন চতুর্থাংশ অংশ আল্লাহ তা’আলা আগুন হতে মুক্ত করে দিবেন। যদি চারবার বলেঃ তাহলে তাকে সম্পূর্ণরূপে জাহান্নামের আগুন হতে মুক্ত কএ দিবেন।
হাদীসটি দুর্বল।
এটি আবু দাউদ (২/৬১২) আব্দুর রহমান ইবনু আদিল মাজীদ হতে, তিনি হিশাম ইবনুল গায হতে, তিনি মাকহুল আদ-দেমাস্কী হতে, তিনি আনাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ...।
আমি (আলবানী) বলছিঃ দু’টি কারণে হাদীসটি দুর্বলঃ
১। আব্দুর রহমান ইবনু আব্দিল মাজীদকে চেনা যায় না যেমনটি “আল-মীযান” গ্রন্থে এসেছে। হাফিয ইবনু হাজার "আত-তাকরীব" গ্রন্থে বলেনঃ তিনি মাজহুল।
২। মুহাদ্দিসগণ মাকহুল কর্তৃক আনাস (রাঃ) হতে শ্রবণের ব্যাপারে মতভেদ করেছেন। আবু মুসহের শ্রবণ সাব্যস্ত করেছেন। ইমাম বুখারী শ্রবণ সাব্যস্ত করেননি। যদি শ্রবণ সাব্যস্ত হয়, তাহলে তার সমস্যা হচ্ছে এই যে, মাকহুল আন আন করে বর্ণনা করেছেন। আর ইবনু হিব্বান বলেছেনঃ তিনি কখনও কখনও তাদলীস করতেন।
আনাস (রাঃ) হতে হাদীসটি আরেকটি সূত্র রয়েছে। যেটি ইমাম বুখারী “আল আদাবুল মুফরাদ” (নং ১২০১) গ্রন্থে এবং ইবনুস সুন্নী "আমলুল ইয়াওয়াম অল লায়লাহ" (নং ৬৮) গ্রন্থে নাসাঈ হতে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি বাকিয়াহ কর্তৃক মুসলিম ইবনু যিয়াদ হতে শ্রবণ সাব্যস্ত করেছেন। কিন্তু ইমাম বুখারী আন আন করে বর্ণনা করাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। এটিই সঠিক।
হাদীসটি আবু দাউদ (২/৬১৫) ও তিরমিযী অন্য দুটি সূত্রে বাকিয়্যাহ হতে, তিনি মুসলিম ইবনু যিয়াদ হতে ... অনুরূপভাবে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু ভাষায় বেশী করা হয়েছে।
নাসাঈর নিকটও বর্ণিত হয়েছে। তারা উভয়ে ’আল্লাহ তা’আলা তার এক চতুর্থাংশকে মুক্ত করে দিবেন, এর পরিবর্তে ’আল্লাহ তা’আলা সে তার সে দিনে যেসব গুনাহে লিপ্ত হয়েছে সেগুলো ক্ষমা করে দিবেন ... এ ভাষা বলেছেন।
এ সূত্রেও দু’টি সমস্যা রয়েছেঃ
১। বাকিয়াহ কর্তৃক আন আন করে বর্ণনা। কারণ তিনি তাদলীস করার বিষয়ে প্রসিদ্ধ।
২। মুসলিম ইবনু যিয়াদের মধ্যে অজ্ঞতা রয়েছে। ইবনু কাত্তান বলেনঃ তার অবস্থা মাজহুল (অজ্ঞাত)।
হাফিয ইবনু হাজার "আত-তাকরীব" গ্রন্থে বলেনঃ তিনি মাকবূল (গ্রহণযোগ্য)। তবে মুতাবা’য়াতের সময়। অন্যথায় তিনি হাদীসের ক্ষেত্রে দুর্বল।
মাকহুল কর্তৃক মুহাবায়াত পাওয়া যাচ্ছে নিম্নে বর্ণিত কারণে এ কথা বলা যাবে নাঃ
১। মাকহুলও তাদলীস করার দোষে দোষী। হতে পারে তার ও আনাস (রাঃ) এর মধ্যের বর্ণনাকারী মুসলিম ইবনু যিয়াদ বা অন্য কেউ। এ ক্ষেত্রে সনদ একটি হয়ে যাবে।
২। মুসলিম ইবনু যিয়াদ পর্যন্ত সূত্রটি সহীহ নয়। বাকিয়্যাহ কর্তৃক আন আন করে বর্ণনাকৃত হওয়ার কারণে।
৩। হাদীসটির উভয় সূত্রের ভাষায় ভিন্নতা থাকায় ইযতিরাব সুস্পষ্ট। সম্ভবত এ সব কারণেই ইমাম তিরমিযী হাদীসটিকে সহীহ আখ্যা না দিয়ে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। তার এ ভাষায়ঃ হাদীসটি গারীব।
মুনযেরী "আত-তারগীব" (১/২২৭) গ্রন্থে তিরমিযী হতে নকল করেছেন, তিনি বলেনঃ হাদীসটি হাসান! এটি তার ধারণা মাত্র অথবা কপির কারণে হতে পারে।
এর চেয়ে আরো আশ্চর্যের ব্যাপার এই যে, ইবনু তাইমিয়্যাহ "আল-কালেমুত তাইয়্যেব"-এ (পৃঃ ১১) তার (তিরমিযী) থেকে নকল করেছেন যে, হাদীসটি হাসান ও সহীহ!
من قال حين يصبح أويمسي: اللهم إني أصبحت أشهدك وأشهد حملة عرشك وملائكتك، وجميع خلقك أنك أنت الله لا إله إلا أنت، وأن محمدا عبدك ورسولك أعتق الله ربعه من النار، فمن قالها مرتين أعتق الله نصفه، ومن قالها ثلاثا أعتق الله ثلاثة أرباعه، فإن قالها أربعا أعتقه الله من النار
ضعيف
-
أخرجه أبو داود (2/612) عن عبد الرحمن بن عبد المجيد عن هشام بن الغاز بن ربيعة عن مكحول الدمشقي عن أنس بن مالك أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: فذكره
قلت: وهذا سند ضعيف، وله علتان
الأولى: عبد الرحمن بن عبد المجيد لا يعرف كما في " الميزان " وقال الحافظ في " التقريب ": مجهول
الأخرى: أنهم اختلفوا في سماع مكحول من أنس، فأثبته أبو مسهر، ونفاه البخاري، فإن ثبت سماعه منه فالعلة عنعنة مكحول فقد قال ابن حبان: ربما دلس
وللحديث طريق أخرى عن أنس، فقال البخاري في " الأدب المفرد " (رقم 1201)
حدثنا إسحاق قال: حدثنا بقية عن مسلم بن زياد مولى ميمونة زوج النبي صلى الله عليه وسلم قال: سمعت أنس بن مالك قال: فذكره
وكذلك رواه ابن السني في " عمل اليوم والليلة " (رقم 68) عن النسائي، وهذا في " العمل " أيضا رقم (9) : أخبرنا إسحاق بن إبراهيم به، إلا أنه وقع فيه: بقية بن الوليد: حدثني مسلم بن زياد
فصرح بقية بالتحديث، وما أراه محفوظا، ولعله خطأ من بعض النساخ، فإن الطريق مدارها كما ترى على إسحاق بن إبراهيم، وهو ابن راهويه، فالبخاري قال في روايته: (عن) ، وهو الصواب، فقد أخرجه أبو داود (2/615) والترمذي (4/258) (1) من طريقين آخرين صحيحين عن بقية عن مسلم بن زياد به نحوه وزاد بعد قوله: " لا إله إلا أنت وحدك لا شريك لك
وهي عند النسائي أيضا، وقالا بدل قوله: " أعتق الله ربعه ... " " إلا غفر الله له ما أصاب في يومه ذلك، وإن قالها حين يمسي غفر الله له ما أصاب في تلك الليلة من ذنب
فلهذه الطريق علتان أيضا
إحداهما: عنعنة بقية، فإنه كان معروفا بالتدليس
والأخرى: جهالة مسلم بن زياد هذا، قال ابن القطان: حاله مجهول
وقال الحافظ في " التقريب ": مقبول، يعني عند المتابعة، وإلا فلين الحديث كما تقدم مرارا
ولا يقال: ينبغي أن يكون هنا مقبولا لمتابعة مكحول إياه، لأننا نقول: يمنع من ذلك أمور
الأول: أن مكحولا قد رمي بالتدليس ورواه بالعنعنة كما سبق، فيحتمل أن يكون بينه وبين أنس مسلم بن زياد هذا أوغيره فيرجع الطريقان حينئذ إلى كونهما من طريق واحدة، لا يعرف تابعيها عينا أوحالا، فمن جود إسناده أوحسنه لعله لم يتنبه لهذا
الثاني: أن الطريق إلى مسلم بن زياد لا تصح لعنعنة بقية كما عرفت
الثالث: أنهم اختلفوا عليه في لفظ الحديث، فإسحاق رواه عنه مثل رواية مكحول، والطريقان الآخران روياه عنه بلفظ: " إلا غفر الله له ... " كما تقدم، فهذا اضطراب يدل على أن الحديث غير محفوظ، وكأنه من أجل ذلك كله، لم يصححه الترمذي، بل ضعفه بقوله: حديث غريب
وأما ما نقله المنذري في " الترغيب " (1/227) عن الترمذي أنه قال
حديث حسن، فهو وهم أو نسخة، ومثله وأغرب منه نقل ابن تيمية في " الكلم الطيب " (ص 11) عنه
حديث حسن صحيح