পরিচ্ছেদঃ
১০৪২। তিনি যখন মেঘের গর্জনের আওয়ায শুনতেন তখন বলতেনঃ হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে তোমার ক্রোধ দ্বারা হত্যা কর না, তোমার শাস্তি দ্বারা ধ্বংস করো না। তার পূর্বেই তুমি আমাদেরকে ক্ষমা করে দাও।
হাদীসটি দুর্বল।
এটি ইমাম বুখারী “আল-আদাবুল মুফরাদ” গ্রন্থে (নং ২৭১), তিরমিযী (৪/২৪৫), ইবনুস সুন্নী "আমলুল ইয়াওয়াম অল লায়লাহ" (নং ২৯৮), অনুরূপভাবে নাসাঈ (৯২৭, ৯২৮), হাকিম (৪/২৮৬), বাইহাকী (৩/৩৬২) ও ইমাম আহমাদ (২/১০০-১০১) আবু মাতার সূত্রে সালেম ইবনু আদিল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) হতে, তিনি তার পিতা হতে মারফূ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। একমাত্র এ সূত্রেই এটিকে চিনি। হাকিম বলেনঃ সনদটি সহীহ। হাফিয যাহাবী তার সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন!
“আল-আযকার” গ্রন্থের (৪/২৮৪) ভাষ্যকার ইবনু আল্লান ইবনুল জাযারী হতে নকল করেছেন তিনি “তাসহীহুল মাসাবীহ” গ্রন্থে বলেনঃ হাদীসটি নাসাঈ "আমলুল ইয়াওয়াম অল লায়লাহ" গ্রন্থে এবং হাকিম বর্ণনা করেছেন। তার সনদটি ভাল এবং তার কয়েকটি সূত্র রয়েছে।
ইবনু আল্লান হাফিয ইবনু হাজার হতেও নকল করেছেন। তিনি “তাখরীজুল আযকার” গ্রন্থে ইমাম নবাবী কর্তৃক হাদীসটি দুর্বল আখ্যা দানকে সমালোচনা করে বলেনঃ হাদীসটি ইমাম আহমাদ ... ও হাকিম বিভিন্ন সূত্রে বর্ণনা করেছেন (হাফিয ইবনু হাজার তার বিবরণ দিয়েছেন)।
আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীসটি দুর্বল। কারণ হাফিয যাহাবী নিজে “আল-মীযান” গ্রন্থে বলেছেনঃ আবু মাতার কে জানা যায় না। হাফিয ইবনু হাজার “আত-তাকরীব” গ্রন্থে অনুরূপ কথাই বলেছেনঃ তিনি মাজহুল।
অতএব কিভাবে এরূপ ব্যক্তির হাদীস সহীহ বা ভাল বা গ্রহণযোগ্য?
আর হাফিয যে হাকিমের উদ্ধৃতিতে বিভিন্ন সূত্রের কথা বলেছেন, জানি না হাকিম তার "আল-মুস্তাদরাক" গ্রন্থের কোন স্থানে সেগুলো বর্ণনা করেছেন। কারণ তিনি আবু মাতারের একমাত্র এ সূত্রেই বর্ণনা করেছেন। দুঃখজনক এই যে, ভাষ্যকার ইবনু আল্লান বলেছেন যে, সেগুলো হাফিয ইবনু হাজার বর্ণনা করেছেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে, তিনি তা বর্ণনা করেননি। হাকিম হাদীসটি আবু মাতার সূত্রে “কিতাবুল আদাব” অধ্যায়ে বর্ণনা করেছেন।
অতঃপর আমি “আল-মুস্তাদরাক” গ্রন্থের আমার সূচিপত্রের দিকে দৃষ্টি দিয়েছি, তাতেও আমি উক্ত স্থান ছাড়া অন্য কোথাও হাদীসটির আর কোন সূত্র পায়নি।
সতর্কবাণীঃ হাফিয মানবী "আল-ফায়েয" গ্রন্থে ইবনু আল্লান কর্তৃক নকলকৃত ইবনু হাজারের কথায় ধোঁকায় পড়েছেন। এ কারণে “আত-তায়সীর” গ্রন্থে বলেছেন হাদীসটির কোন কোন সনদ সহীহ আর কোন কোনটি দুর্বল। আর শাইখ আল-গামারী “কানযুস সামীন” গ্রন্থে তার তাকলীদ করেছেন।
كان إذا سمع صوت الرعد والصواعق قال: اللهم لا تقتلنا بغضبك، ولا تهلكنا بعذابك، وعافنا قبل ذلك
ضعيف
-
أخرجه البخاري في " الأدب المفرد " (رقم 271) والترمذي (4/245) وابن السني في " عمل اليوم والليلة " (رقم 298) وكذا النسائي (927 و928) والحاكم (4/286) والبيهقي (3/362) وأحمد (2/100 - 101) كلهم عن طريق أبي مطر عن سالم بن عبد الله بن عمر عن أبيه مرفوعا، وقال الترمذي
حديث غريب لا نعرفه إلا من هذا الوجه
وأما الحاكم فقال: صحيح الإسناد، ووافقه الذهبي
ونقل ابن علان شارح " الأذكار " (4/284) عن ابن الجزري أنه قال في " تصحيح المصابيح ": ورواه النسائي في " عمل اليوم والليلة " والحاكم وإسناده جيد، وله طرق، وعن الحافظ أنه قال - يعني في " تخريج الأذكار " - متعقبا على النووي تضعيفه للحديث
أخرجه أحمد وأخرجه الحاكم من طرق متعددة (بينها الحافظ ثم قال:) فالعجب من الشيخ يطلق الضعف على هذا وهو متماسك، ويسكت عن حديث ابن مسعود أي السابق فيما يقول إذا انقض الكوكب وقد تفرد به من اتهم بالكذب
قلت: لا شك أن سكوت النووي رحمه الله عن الحديث المشار إليه، مما لا يحسن من مثله، غير أن إطلاقه التضعيف على هذا الحديث فهو مما لا غبار عليه، ذلك لأن مداره عندهم جميعا على أبي مطر هذا، وهو كما قال الذهبي نفسه في " الميزان ": لا يدرى من هو، ومثله قول الحافظ في التقريب: مجهول
فأنى لحديث مثله الصحة أوالجودة أوالتماسك؟
وأما الطرق المتعددة التي عزاها الحافظ للحاكم، فلا أدري أين أخرجها من كتابه " المستدرك "، فإنه لم يذكر في المكان الذي سبقت الإشارة إليه إلا طريق أبي مطر الوحيدة هذه، ومن المؤسف أن الشارح ابن علان اكتفى بقوله: بينها الحافظ ولم يبين ذلك لنطلع عليه، فإني في شك كبير أن يكون للحديث طرق متعددة خاصة في " مستدرك الحاكم "، فإني قد بحثت عنه في عدة مواضع مظنونة منه، فلم أعثر عليه إلا في الموضع الذي سبقت الإشارة إليه، وهو في " كتاب الأدب " منه، والله أعلم
ثم رجعت إلى فهرسي الذي وضعته لـ " المستدرك " أخيرا فلم يدلني إلا على الموضع المشار إليه، والله أعلم
تنبيه: لقد اغتر المناوي في " الفيض " بكلام ابن حجر الذي نقله ابن علان، ولذلك قال في " التيسير ": وبعض أسانيده صحيح، وبعضها ضعيف، وقلده في ذلك الشيخ الغماري في " الكنز الثمين " فأورده فيه برقم (2671) ، وقد زعم في مقدمته: أنه جرد فيه الأحاديث الثابتة في " الجامع الصغير