পরিচ্ছেদঃ
১০৪০ । লোকেরা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে এরূপ ছিলো যে, সালাত আদায়কারী যখন সালাত আদায় করত তখন তাদের কারো চোখ দু’পা রাখার স্থলকে অতিক্রম করত না। যখন রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মারা গেলেন, অতঃপর লোকদের মধ্যে কোন ব্যক্তি সালাতের জন্য যখন দাঁড়াত তখন তাদের কারো চোখ তার কপাল রাখার স্থল অতিক্রম করত না। অতঃপর আবু বাকর (রাঃ) মারা গেলেন। উমার (রাঃ) যখন ছিলেন তখন তাদের কোন ব্যক্তি সালাতের জন্য দাঁড়ালে তাদের কারো চোখ কিবলার স্থান অতিক্রম করত না। উসমান (রাঃ) যখন ছিলেন তখন ফেতনাহ শুরু হয়ে গিয়েছিল। ফলে লোকেরা ডানে বামে দৃষ্টি দেয়া শুরু করে।
হাদীসটি মুনকার।
এটি ইবনু মাজাহ (১/৫০১-৫০২) এবং ত্ববারানী “আল-আওসাত” গ্রন্থে (নং ৯২৫৮) মুহাম্মাদ ইবনু ইব্রাহীম আস-সাহমী হতে, তিনি মূসা ইবনু আবদিল্লাহ ইবনে আবী উমাইয়াহ মাখযুমী হতে, তিনি মুস’য়াব ইবনু আবদিল্লাহ হতে, তিনি উম্মু সালামাহ হতে বর্ণনা করেছেন। ত্ববারানী বলেনঃ উম্মু সালামাহ হতে হাদীসটিকে একমাত্র এ সনদেই বর্ণনা করা হয়ে থাকে।
আমি (আলবানী) বলছিঃ দুটি কারণে হাদীসটি দুর্বলঃ
১। মূসা ইবনু আদিল্লাহ ইবনে আবী উমাইয়াহকে হাফিয যাহাবী অজ্ঞাত ব্যক্তি হিসেবে ইঙ্গিত করেছেন। তিনি বলেছেনঃ তার থেকে মুহাম্মাদ ইবনু ইবরাহীম এককভাবে বর্ণনা করেছেন।
হাফিয ইবনু হাজার "আত-তাকরীব" গ্রন্থে স্পষ্ট করে বলেছেনঃ তিনি মাজহুল।
মুনযেরী বলেনঃ তার সম্পর্কে আমার নিকট ভাল-মন্দ কিছুই পৌঁছেনি। বুসয়রী "আয-যাওয়াইদ" (২/১০৪) গ্রন্থে তা তার থেকে নকল করে স্বীকার করেছেন।
২। মুহাম্মাদ ইবনু ইবরাহীম সম্পর্কেও অজ্ঞতা রয়েছে। দু’ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ তার থেকে বর্ণনা করেননি। আর ইবনু হিব্বান ছাড়া অন্য কেউ তাকে নির্ভরযোগ্যও আখ্যা দেননি। এ কারণেই তাকে হাফিয ইবনু হাজার নির্ভরযোগ্য বলেননি। বরং তার সম্পর্কে বলেছেনঃ তিনি মুতাবা’য়াতের সময় মাকবূল (গ্রহণযোগ্য)। অন্যথায় তিনি হাদীসের ক্ষেত্রে দুর্বল। তিনি এ হাদীসটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন। একমাত্র তার সূত্রেই হাদীসটি জানা যায়। তিনি গ্রহণযোগ্য নন।
উপরের আলোচনা হতে স্পষ্ট হয় যে, হাদীসটি সনদের দিক দিয়ে মুনকার। আমার নিকট দু’দিক দিয়ে ভাষার দিক দিয়েও মুনকারঃ
১। আলোচ্য হাদীসটি প্রমাণ করছে যে, সুন্নাত হচ্ছে ব্যক্তি তার সালাতে তার দু’পায়ের স্থলের দিকে দৃষ্টি রাখবে। এটি প্রসিদ্ধ সুন্নাত বিরোধী আমল। কারণ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাত আদায় করতেন তখন তার মাথা নিম্নমুখী করতেন এবং তার দৃষ্টি যমীনের দিকে নিক্ষেপ করতেন। অন্য হাদীসে এসেছে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কাবায় প্রবেশ করতেন তখন তাঁর দৃষ্টি সালাত হতে বের না হওয়া পর্যন্ত তার সিজদার স্থলেই রাখতেন।
২। হাদীসটি প্রমাণ করছে যে, সাহাবাগণ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মৃত্যুর পর অন্য বস্তুর দ্বারা তার সুন্নাতের বিরোধিতা করেছেন। সাহাবাদের থেকে এটি অত্যন্ত দূরবর্তী ব্যাপার।
كان الناس في عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا قام المصلي يصلي، لم يعد بصر أحدهم موضع قدميه، فلما توفي رسول الله صلى الله عليه وسلم، فكان الناس إذا قام أحدهم يصلي لم يعد بصر أحدهم موضع جبينه، فتوفي أبو بكر، وكان عمر، فكان الناس إذا قام أحدهم يصلي، لم يعد بصر أحدهم موضع القبلة، وكان عثمان ابن عفان، فكانت الفتنة، فتلفت الناس يمينا وشمالا
منكر
-
أخرجه ابن ماجه (1/501 - 502) والطبراني في " الأوسط " (رقم - 9258 - مصورتي) عن محمد بن إبراهيم بن المطلب بن السائب بن أبي وداعة السهمي: حدثني موسى بن عبد الله بن أبي أمية المخزومي: حدثني مصعب بن عبد الله عن أم سلمة بنت أبي أمية زوج النبي صلى الله عليه وسلم أنها قالت: فذكره، وقال الطبراني: لا يروى عن أم سلمة إلا بهذا الإسناد
قلت: وهو ضعيف، وله علتان
الأولى: موسى بن عبد الله بن أبي أمية، أشار الذهبي إلى جهالته بقوله
تفرد عنه محمد بن إبراهيم بن المطلب
وصرح بذلك الحافظ في " التقريب " فقال: مجهول
وهذا معنى قول المنذري في " الترغيب " (1/192)
رواه ابن ماجه بإسناد حسن، إلا أن موسى بن عبد الله لم يخرج له من الستة غير ابن ماجه، ولا يحضرني فيه جرح ولا تعديل
ونقله عنه البوصيري: محمد بن إبراهيم هذا، فيه جهالة، فإنه لم يرو عنه سوى اثنين، ولم يوثقه أحد غير ابن حبان، ولذلك لم يوثقه الحافظ، بل قال فيه
مقبول، يعني عند المتابعة، وإلا فلين الحديث، كما نص عليه في المقدمة، وقد تفرد بهذا الحديث ولا يعرف إلا من طريقه، فهو غير مقبول
فتبين مما سبق أن الحديث منكر إسنادا، وهو منكر أيضا متنا عندي، وبيان هذا من وجهين
الأول: أنه يدل على أن السنة أن ينظر القائم في صلاته موضع قدميه، وهذا خلاف المعروف الثابت عنه صلى الله عليه وسلم أنه كان إذا صلى طأطأ رأسه، ورمى ببصره نحوالأرض، وفي حديث آخر أنه صلى الله عليه وسلم لما دخل الكعبة ما خلف بصره موضع سجوده حتى خرج منها والآخر: أنه دل على أن الصحابة بعد وفاته صلى الله عليه وسلم قد خالفوا سنته صلى الله عليه وسلم إلى شيء آخر، وهذا مستبعد جدا عن الصحابة إن لم يكن مستحيلا عادة، والله أعلم
تنبيه: إيراد الحافظ المنذري هذا الحديث في " الترغيب والترهيب " مما لا يتناسب مع موضوع كتابه، لأنه ليس فيه شيء من معنى " الترغيب والترهيب " وقد نص هو في المقدمة على أنه لم يذكر فيه ما كان من أفعال النبي صلى الله عليه وسلم المجردة عن زيادة نوع من موضوع كتابه إلا نادرا، في ضمن باب أونحوه
فهذا من النادر، اللهم إلا أن يكون أورده من أجل ما في آخره من تلفت الناس يمينا وشمالا بعد الفتنة، وحينئذ فليس له علاقة بالترهيب المرفوع، فتأمل