পরিচ্ছেদঃ
৬২১। যে ব্যক্তি মাযলূম ব্যক্তিকে সাহায্য করবে আল্লাহ তার জন্য তেহাওরটি ক্ষমা লিখে দিবেন। তার একটিতে তার সকল কর্মের সঠিকতা থাকবে। আর বাহাত্তরটিতে তার জন্য কিয়ামত দিবসের মর্যদাগুলো থাকবে।
হাদীছটি জাল।
এটি ইমাম বুখারী "আত-তারীখ" (২/১/৩২০) গ্রন্থে, ইবনু আবিদ দুনিয়া "কাযাউল হাওয়ায়েজ" (পৃঃ ৩৮, ৯৫) গ্রন্থে, ইবনু আদী “আল-কামিল” (২/১৪৩) গ্রন্থে, আল-খারয়েতী "মাকারিমুল আখলাক” (পৃঃ ১৫) গ্রন্থে, ইবনু হিব্বান "আল-মাজরুহীন" (১/৩০৪) গ্রন্থে, আবু আলী আস-সাওয়াফ তার "হাদীছ" (২/৮৫) গ্রন্থে, আল-খাতীব (৬/৪১) এবং ইবনু আসাকির (৬/২৩৫/২) যিয়াদ ইবনু আবী হাসসান সূত্রে আনাস (রাঃ) হতে মারফু’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। ইবনুল জাওয়ী "আল-মাওষু’আত" (২/১৭১) গ্রন্থে উকায়লীর বর্ণনা হতে উল্লেখ করে বলেছেনঃ এটি বানোয়াট। তার সমস্যা হচ্ছে যিয়াদ। উকায়লী বলেনঃ তার মুতাবায়াত করা যায় না আর হাদীছটি তার মাধ্যম ছাড়া অন্য মাধ্যমে জানাও যায় না।
ইবনু হিব্বান বলেনঃ শু’বাহ কঠোর ভাবে তার উপর আক্রমণ করেছেন। যারা মুনকার হাদীছ ও সন্দেহমূলক বহু কিছু বর্ণনাকারী তিনি তাদের অন্তর্ভুক্ত। হাকিম এবং নাক্কাশ বলেনঃ তিনি আনাস (রাঃ) হতে বানোয়াট হাদীছ বর্ণনা করেছেন। শু’বাহ কঠোর ভাবে তার উপর আক্রমণ করে তাকে মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন। আর বাইহাকী বলেছেনঃ তিনি এ হাদীছটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সুয়ুতী অভ্যাসগত ভাবে তার (ইবনুল জাওয়ীর) সমালোচনা করেছেন। কিন্তু তার উল্লেখকৃত সূত্রের একটিতে ইসমাঈল ইবনু আইয়াশ রয়েছেন, হেজাজীদের থেকে তার বর্ণনায় দুর্বলতা রয়েছে। এটি সে বর্ণনারই অন্তর্ভুক্ত।
আরেক বর্ণনাকারী আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ ইবনু আব্দিল গাফফার রয়েছেন, তিনি সমালোচিত ব্যক্তি। এ ছাড়া আরো একদল আছে যাদেরকে আমি চিনি না। অন্য একটি সূত্রে আনাসের দাস দীনার রয়েছেন। তিনি মিথ্যুক। এটি আল-খাতীব (১১/১৭৫) বর্ণনা করেছেন। ইবনু হিব্বান (১/২৯০) বলেনঃ তিনি আনাস (রাঃ) হতে বানোয়াট বহু কিছু বর্ণনা করতেন।
এ কারণেই সুয়ুতী কর্তৃক হাদীছটি “আল-জামেউস সাগীর” গ্রন্থে উল্লেখ করা ভাল হয়নি। হাদীছটিকে ইবনু তাহের "তাযকিরাতুল মাওযূ’আত" (পৃঃ ৮০) গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।
من أغاث ملهو فا كتب الله له ثلاثا وسبعين مغفرة، واحدة فيها صلاح أمره كله، وثنتان وسبعون له درجات يوم القيامة
موضوع
-
أخرجه البخاري في " التاريخ " (2 / 1 / 320) وابن أبي الدنيا في " قضاء الحوائج " (ص 38 و95) وابن عدي في " الكامل " (143 / 2) والخرائطي في " مكارم الأخلاق " (ص 15) وابن حبان في " المجروحين " (1 / 304) وأبو علي الصواف في " حديثه " (85 / 2) والخطيب (6 / 41) وابن عساكر (6 / 235 / 2) من طريق زياد بن أبي حسان عن أنس مرفوعا. وأورده ابن الجوزي في " الموضوعات " (2 / 171) من رواية العقيلي ثم قال: " موضوع. آفته زياد ". وقال العقيلي: " لا يتابع عليه ولا يعرف إلا به
وقال ابن حبان: " كان شعبة شديد الحمل عليه، وكان ممن يروي أحاديث مناكير، وأوهاما كثيرة
وقال الحاكم والنقاش: " روى عن أنس أحاديث موضوعة، وكان شعبة شديد الحمل عليه وكذبه ". وقال البيهقي: إنه تفرد به. وقد تعقب السيوطي ابن الجوزي على عادته! فذكر (2 / 86) بأن للحديثين طريقين آخرين وشاهدا، وذلك مما لا طائل تحته، فإن أحد الطريقين رواه ابن عساكر (15 / 193 / 2) وفيه إسماعيل بن عياش وهو ضعيف في روايته عن الحجازيين، وهذه منها وفي الطريق إليه أبو محمد عبد الله بن عبد الغفار بن ذكوان تكلم فيه الكتاني، وفيه جماعة لم أعرفهم، وفي هذه الطريق زيادة تؤكد وضع الحديث ولفظها " ومن قال: أشهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له، أحد صمد، لم يلد ولم يولد، ولم يكن له كفوا أحد، كتب الله له بها أربعين ألف ألف حسنة
والطريق الآخر رواه الخطيب (11 / 175) ، وفيه دينار مولى أنس، وهو كذاب، قال ابن حبان (1 / 290) : " كان يروي عن أنس أشياء موضوعة ". ولذلك لم يحسن السيوطي بإيراده الحديث في " الجامع الصغير "، وقد أورده ابن طاهر في " تذكرة الموضوعات " (ص 80) . وأما الشاهد فسيأتي برقم (751)