২০৫৭

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নফল সিয়াম প্রসঙ্গে

২০৫৭-[২২] আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হে আবূ যার! তুমি যখন কোন মাসে তিনদিন সওম পালন করতে চাও, তাহলে তেরো, চৌদ্দ ও পনের তারিখে করবে। (তিরমিযী ও নাসায়ী)[1]

وَعَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا أَبَا ذَرٍّ إِذَا صُمْتَ مِنَ الشَّهْرِ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ فَصُمْ ثَلَاثَ عَشْرَةَ وَأَرْبَعَ عَشْرَةَ وَخَمْسَ عَشْرَةَ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ

وعن ابي ذر قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يا ابا ذر اذا صمت من الشهر ثلاثة ايام فصم ثلاث عشرة واربع عشرة وخمس عشرة رواه الترمذي والنساىي

ব্যাখ্যা: নাসায়ীর অপর বর্ণনায় রয়েছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে প্রতি মাসে তিনদিন আইয়্যামে বীয-এর সিয়াম যথাক্রমে ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে সিয়াম পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। এখানে আইয়্যামে বীয-এর সিয়াম নির্ধারিত তিনদিন আদায় করা মুস্তাহাব হওয়ার দলীল রয়েছে। আর আইয়্যামে বীয-এর তিনটি সিয়াম যে মাসের মাঝামাঝিতে আদায় করা মুস্তাহাব এ মর্মে ‘উলামাগণের ঐকমত্য রয়েছে।

ইমাম নাবাবী যেমনটি বর্ণনা করেছেন। তবে আইয়্যামে বীয-এর সিয়ামের দিন নির্ধারণে মতপার্থক্য রয়েছে। জমহূর ‘উলামাগণের মতে তা ‘আরাবী মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ। আর কারো মতে ১২, ১৩ ও ১৪ তারিখ। তবে আবূ যার (রাঃ)-এর এ হাদীস দ্বারা তা প্রত্যাখ্যাত।


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৭: সওম (রোযা) (كتاب الصوم)