২০৫৬

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নফল সিয়াম প্রসঙ্গে

২০৫৬-[২১] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সোমবার ও বৃহস্পতিবারে (আল্লাহর দরবারে বান্দার) ’আমল পেশ করা হয়। তাই আমি চাই আমার ’আমল পেশ করার সময় আমি সওম অবস্থায় থাকি। (তিরমিযী)[1]

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تُعْرَضُ الْأَعْمَالُ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ وَالْخَمِيسِ فَأُحِبُّ أَنْ يُعْرَضَ عَمَلِي وَأَنَا صَائِمٌ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ

وعن ابي هريرة رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم تعرض الاعمال يوم الاثنين والخميس فاحب ان يعرض عملي وانا صاىم رواه الترمذي

ব্যাখ্যা: ‘আল্লামা ইবনুল মালিক (রহঃ) বলেন, এ হাদীস নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথা (রাতের ‘আমলনামা দিনের পূর্বে উঠানো হয় এবং দিনের ‘আমলনামা রাতের পূর্বে উঠানো হয়)-এর বিরোধী নয়। কেননা رفع (উত্তোলন করা) ও عرض (উপস্থাপন করা) এর মাঝে পার্থক্য রয়েছে। কারণ সপ্তাহের মাঝে ‘আমলনামাগুলো একত্রিত করা হয়, আর তা উল্লেখিত দু’দিনে আল্লাহ তা‘আলার দরবারে উপস্থাপন করা হয়। সহীহ মুসলিমের অপর বর্ণনায় রয়েছে যে, মানুষের ‘আমল প্রতি জুমায় (সপ্তাহে) দু’বার যথাক্রমে সোমবার ও বৃহস্পতিবার উপস্থাপন করা হয়। আর আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক ঈমানদারদেরকে ক্ষমা করেন, তবে একে অপরের সাথে বিদ্বেষপরায়ণ ব্যক্তি ব্যতীত। অতঃপর বলা হয় যে, তাদের মাঝে মীমাংসা হওয়া পর্যন্ত তাদের প্রতি লক্ষ্য কর।

‘আল্লামা ইবনু হাজার আসকালানী (রহঃ) বলেন, এটি শা‘বান মাসে ‘আমলনামা উঠানোর হাদীসের বিরোধ নয়। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, নিশ্চয়ই এ মাসে ‘আমল উঠানো হয় আর আমি চাই যে, আমার ‘আমলনামাটা সিয়াম অবস্থায় উঠানো হোক।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৭: সওম (রোযা) (كتاب الصوم)