২০৫৮

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নফল সিয়াম প্রসঙ্গে

২০৫৮-[২৩] ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (কখনো) মাসের প্রথম তিনদিন সওম রাখতেন। আর খুব কম দিনই তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জুমার দিন সওম ছাড়তেন। (তিরমিযী, নাসায়ী। আর ইমাম আবূ দাঊদ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ অর্থাৎ- ’’তিনদিন’’ পর্যন্ত বর্ণনা করেছেন।)[1]

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصُومُ مِنْ غُرَّةِ كُلِّ شَهْرٍ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ وَقَلَّمَا كَانَ يفْطر يَوْم الْجُمُعَةَ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ إِلَى ثَلَاثَة أَيَّام

وعن عبد الله بن مسعود قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يصوم من غرة كل شهر ثلاثة ايام وقلما كان يفطر يوم الجمعة رواه الترمذي والنساىي ورواه ابو داود الى ثلاثة ايام

ব্যাখ্যা: আল কামূস-এ উল্লেখ রয়েছে যে, غُرَّةِ হলো মাসের প্রথমাংশ। (মাসের প্রথমে তিনদিন সিয়াম পালন প্রসঙ্গে) বলা যায় যে, আলোচ্য হাদীস এবং ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীসদ্বয়ের মাঝে কোন বৈপরীত্য নেই, কেননা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাসের যে কোন দিনে সিয়াম পালন করতে কোন দ্বিধা করতেন না। আর এ রাবী অধিকাংশ ক্ষেত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ অবস্থায় দেখেছেন, তাই তিনি আর জানা অনুযায়ী বর্ণনা করেছেন। আর ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীস, (নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সোম ও বৃহস্পতিবারে সিয়াম পালন করতেন) তিনি যা জানতেন তাই বর্ণনা করেছেন। সুতরাং উভয়ের মাঝে কোন বৈপরীত্য নেই। ‘আল্লামা আল কারী অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।

আর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমার দিনে খুব কমই সওম ভঙ্গ করতেন। বরং এ দিনে বেশি বেশি সিয়াম পালন করতেন। এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলোঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমার দিনের আগে কিংবা পরের একদিন তার সাথে মিলিয়ে নিতেন। কেননা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনও এককভাবে জুমার দিনে সিয়াম রাখতেন না।


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৭: সওম (রোযা) (كتاب الصوم)