১২২৫

পরিচ্ছেদঃ ৩৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - ক্বিয়ামুল লায়ল-এর প্রতি উৎসাহ দান

১২২৫-[৭] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ আল্লাহ তা’আলার নিকট সকল সালাতের মাঝে দাঊদ (আঃ)-এর সালাত এবং সকল সওমের মাঝে দাঊদ (আঃ)-এর সওম সবচেয়ে বেশী প্রিয়। তিনি অর্ধেক রাত্র ঘুমাতেন। এক-তৃতীয়াংশ সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতেন। তারপর রাতের ষষ্ঠাংশে আবার ঘুমাতেন। আর তিনি একদিন সওম পালন করতেন এবং একদিন সওম ছেড়ে দিতেন। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ التَّحْرِيْضِ عَلى قِيَامِ اللَّيْلِ

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَحَبُّ الصَّلَاةِ إِلَى اللَّهِ صَلَاةُ دَاوُدَ وَأَحَبُّ الصِّيَامِ إِلَى اللَّهِ صِيَامُ دَاوُدَ كَانَ يَنَامُ نِصْفَ اللَّيْلِ وَيَقُومُ ثُلُثَهُ وَيَنَامُ سُدُسَهُ وَيَصُومُ يَوْمًا وَيُفْطِرُ يَوْمًا»

وعن عبد الله بن عمرو قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم احب الصلاة الى الله صلاة داود واحب الصيام الى الله صيام داود كان ينام نصف الليل ويقوم ثلثه وينام سدسه ويصوم يوما ويفطر يوما

ব্যাখ্যা: দাঊদ (আঃ) অর্ধরাত ঘুমাতেন, এ কথার অর্থ এই নয় যে, সূর্যাস্ত থেকে হিসাব করে অর্ধেক রাত পর্যন্ত বরং এর অর্থ হলো রাতের নিদ্রা গমনের পর হতে আধা রাত পর্যন্ত। তিনি রাতের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) শেষে আবার এক ষষ্ঠাংশ ঘুমাতেন, এটা ছিল ইস্তিরাহাত বা সাময়িক ক্লান্তি দূর করার নিদ্রা। এভাবে তিনি সারা বছর ‘ইবাদাত করতেন। শরীরের জন্য এটা সহায়কও বটে কারণ সারা রাত জাগলে শরীর ক্লান্ত ও অবসন্ন হয়ে যায়, দিনে সে পূর্ণমাত্রায় আল্লাহর যিকর আদায় করতে পারেনা। উপরন্ত রাতের ‘ইবাদাতটা রিয়া থেকেও অনেকাংশে মুক্ত।

দাঊদ (আঃ)-এর সওমটাও ছিল অনুরূপ। তিনি সারা বছর সওম পালন করতেন। তবে তা একদিন পর পর। ইবনু মুনীর (রহঃ) বলেন, দাঊদ (আঃ) দিন-রাতকে নিজের জন্য এবং তার রবের জন্য ভাগ করে নিতেন। রাতে তার রবের অংশে প্রত্যহ তিনি সালাতের জন্য দাঁড়িয়ে যেতেন আর তার প্রভুর দিনের অংশে ওযর না থাকলে সিয়াম পালন করতেন, এটাকেই বুঝানো হয়েছে তিনি একদিন রোযা রাখতেন একদিন ইফত্বার করতেন। বলা হয়েছে নাফসের উপর (অর্থাৎ নাফস্ দমনে) এই পদ্ধতির সওম অধিক কার্যকর। আল্লাহর কাছে প্রিয় বা পছন্দনীয় সওম যেহেতু এটা, সুতরাং এটাই উত্তম সওমও বটে। কোন কোন বর্ণনায় তো সরাসরি বলা হয়েছে, ‘সবচেয়ে উত্তম সওম হলো দাঊদ (আঃ)-এর সওম।’ এ পদ্ধতি উত্তম হওয়ার বহুবিধি কারণ রয়েছে। যেহেতু এটা একটি ভারসাম্যপূর্ণ সিয়াম, সিয়াম ভঙ্গের দিনগুলোতে সে তার নাফসের হক, তার পরিবারের হক, সাক্ষাৎকারী আত্মীয়ের হকসমূহ আদায় করতে পারেন। কিন্তু সিয়ামুদ্ দাহর (সর্বদা সিয়াম) পালনকারীরা তা আদায় করতে পারে না। অনুরূপভাবে রাতের সালাতের জন্য উত্তম সময় হলো অর্ধরাতের পরে শেষ তৃতীয় প্রহর।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)