১২২৬

পরিচ্ছেদঃ ৩৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - ক্বিয়ামুল লায়ল-এর প্রতি উৎসাহ দান

১২২৬-[৮] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাত্রের প্রথমাংশে ঘুমাতেন, আর শেষাংশে জেগে থাকতেন। এরপর তিনি যদি তাঁর কোন স্ত্রীর নিকট যাওয়া দরকার মনে করতেন যেতেন। এরপর আবার ঘুমিয়ে যেতেন। তিনি যদি ফাজ্‌রের (ফজরের) পূর্বে আযানের সময় অপবিত্র অবস্থায় থাকতেন, উঠে যেতেন। নিজের শরীরে পানি ঢেলে নিতেন। আর অপবিত্র অবস্থায় না থাকলে ফাজ্‌রের (ফজরের) সালাতের জন্যে উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করতেন। (ফজরের) দু’ রাক্’আত (সালাত) আদায় করে নিতেন। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ التَّحْرِيْضِ عَلى قِيَامِ اللَّيْلِ

وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: كَانَ تَعْنِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنَامُ أَوَّلَ اللَّيْلِ وَيُحْيِي آخِرَهُ ثُمَّ إِنْ كَانَتْ لَهُ حَاجَةٌ إِلَى أَهْلِهِ قَضَى حَاجَتَهُ ثُمَّ يَنَامُ فَإِنْ كَانَ عِنْدَ النداء الأول جنبا وثب فَأَفَاضَ عَلَيْهِ الماس وَإِنْ لَمْ يَكُنْ جُنُبًا تَوَضَّأَ لِلصَّلَاةِ ثُمَّ صلى رَكْعَتَيْنِ

وعن عاىشة رضي الله عنها قالت كان تعني رسول الله صلى الله عليه وسلم ينام اول الليل ويحيي اخره ثم ان كانت له حاجة الى اهله قضى حاجته ثم ينام فان كان عند النداء الاول جنبا وثب فافاض عليه الماس وان لم يكن جنبا توضا للصلاة ثم صلى ركعتين

ব্যাখ্যা: রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের প্রথমাংশে ঘুমাতেন, এর অর্থ হলো প্রথম অর্ধাংশের পূর্বে, তবে ‘ইশার সালাতের পূর্বে তিনি ঘুমাতেন না। কেননা ‘ইশার পূর্বে ঘুমানো তিনি পছন্দ করতেন না। রাত্রি জাগরণকে হায়াতের অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে, নিদ্রাকে মৃত্যুর সাথে সাদৃশ্য দেয়ার কারণে। কেননা নিদ্রা হলো জাগরণের বিপরীত।

অতঃপর যদি তার স্ত্রীদের প্রতি প্রয়োজন হতো। অর্থাৎ রাত্রিকালীন সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) এবং আল্লাহর গুণগান মহিমা পেশ করার পর তার জৈবিক চাহিদা পূরণের প্রয়োজন হলে তিনি তা পূরণ করতেন। এখানে একটি কথা গ্রহণীয় যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে উঠে আগে তাহাজ্জুদ আদায় করতেন তার পর তার স্ত্রীদের নিকট গিয়ে নিজের চাহিদা পূরণ করতেন। শিক্ষণীয় বিষয় হলো আল্লাহর ‘ইবাদাতকে নিজের প্রবৃত্তি পূরণের পূর্বেই সম্পাদন করতে হবে।

হাফিয ইবনু হাজার আল আসক্বালানী (রহঃ) বলেন, শেষ রাতের দিকে বিলম্ব করে স্ত্রী গমন উত্তম। কেননা রাতের প্রথমাংশে পেট ভরা থাকে, আর ভরা পেটে এ কাজ সর্বসম্মতভাবে ক্ষতিকর। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পবিত্রতার আবশ্যকতা দেখা দিলে তিনি কখনে অলসতা করতেন না, দ্রুত গোসল করে নিতেন। সুতরাং শিক্ষণীয় বিষয় হলো আল্লাহর ‘ইবাদাতকে অতীব গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে অলসতা করা যাবে না।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)