৬১২

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - প্রথম ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সালাত আদায়

৬১২-[২৬] মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা এ সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) (অর্থাৎ- ’ইশার সালাত) দেরী করে আদায় করবে। কারণ এ সালাতের মাধ্যমে অন্যসব উম্মাতের ওপর তোমাদের বেশী মর্যাদা দেয়া হয়েছে। তোমাদের আগের কোন উম্মাত এ সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করেনি। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَعْتِمُوا بِهَذِهِ الصَّلَاةِ فَإِنَّكُمْ قَدْ فُضِّلْتُمْ بِهَا عَلَى سَائِرِ الْأُمَمِ وَلَمْ تُصَلِّهَا أُمَّةٌ قَبْلَكُمْ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعن معاذ بن جبل قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اعتموا بهذه الصلاة فانكم قد فضلتم بها على ساىر الامم ولم تصلها امة قبلكم رواه ابو داود

ব্যাখ্যা: ‘‘তোমরা ‘ইশার সালাত কে বিলম্বিত করে আদায় করবে’’- এ হাদীস দ্বারাও ‘ইশার সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) এর প্রথম ওয়াক্তে আদায় না করে শেষ ওয়াক্তে আদায় করা মুস্তাহাব প্রমাণিত হয়। এ হাদীস দ্বারা বরং ‘ইশার সালাতকে দেরী করে আদায় করার ফাযীলাতের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। আর দেরী বলতে এখানে রাত্রের এক-তৃতীয়াংশ বা অর্ধরাত্র পর্যন্ত এরপরে নয়।

এ হাদীস এবং জিবরীল (আঃ) এর ঐ হাদীস, ‘‘এটা আপনার পূর্বেকার নাবীগণের ওয়াক্ত’’ এ দু’ হাদীসের মধ্যে সামঞ্জস্য এভাবে যে, পূর্বেকার রসূলগণ ‘ইশার সালাত আদায় করতেন নফল বা অতিরিক্ত হিসেবে। এটা ফরয ছিল না। বিষয়টি অনেকটা তাহাজ্জুদের সালাতের মতো যে, তাহাজ্জুদ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য অতিরিক্ত দায়িত্ব ছিল কিন্তু আমাদের ওপর তেমন নয়।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)