৬১১

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - প্রথম ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সালাত আদায়

৬১১-[২৫] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার উম্মাতের জন্য কষ্টকর হবে মনে না করলে তাদেরকে ’ইশার সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) রাতের এক-তৃতীয়াংশ অথবা অর্ধরাত পর্যন্ত দেরী করে আদায়ের নির্দেশ দিতাম। (আহমাদ, তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ্)[1]

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْلَا أَن أشق على أمتِي لأمرتهم أَنْ يُؤَخِّرُوا الْعِشَاءَ إِلَى ثُلُثِ اللَّيْلِ أَوْ نصفه» . رَوَاهُ أَحْمد وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه

وعن ابي هريرة رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لولا ان اشق على امتي لامرتهم ان يوخروا العشاء الى ثلث الليل او نصفه رواه احمد والترمذي وابن ماجه

ব্যাখ্যা: হাদীসে ‘‘অথবা’’ শব্দ গ্রীষ্মকালে ‘ইশার সালাত রাতের এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত এবং শীতকালে অর্ধরাত্র পর্যন্ত পিছিয়ে দেয়ার আদেশ বুঝাতে এসে থাকতে পারে। এ হাদীস থেকে ‘ইশার সালাতকে তাড়াতাড়ি আদায়ের থেকে দেরি করে আদায় করা উত্তম প্রমাণিত হয়েছে। পূর্বে যেসব হাদীসে সালাতকে প্রথম ওয়াক্তে আদায়ের ফাযীলাত বর্ণিত হয়েছে সেগুলোর সাথে এ হাদীসের কোন বৈপরীত্য নেই। কারণ ঐ সব হাদীস ব্যাপকার্থক। আর এ হাদীস এবং ‘ইশার সালাতকে বিলম্বিত করা সম্পর্কিত হাদীসসমূহ নির্দিষ্ট অর্থবোধক (খাস)। তাই আমের উপর খাসের প্রাধান্য থাকবে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)