৬১৩

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - প্রথম ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সালাত আদায়

৬১৩-[২৭] নু’মান ইবনু বাশীর (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি খুব ভালোভাবে জানি তোমাদের এ সালাতের, অর্থাৎ- শেষ সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ’ইশার ওয়াক্ত সম্পর্কে। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তৃতীয়বার (তৃতীয় রাতের) চাঁদ অস্ত যাবার পর এ সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতেন। (আবূ দাঊদ ও দারিমী)[1]

وَعَن النُّعْمَان بن بشير قَالَ: أَنَا أَعْلَمُ بِوَقْتِ هَذِهِ الصَّلَاةِ صَلَاةِ الْعِشَاءِ الْآخِرَةِ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّيهَا لِسُقُوطِ الْقَمَرِ لِثَالِثَةٍ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد والدارمي

وعن النعمان بن بشير قال انا اعلم بوقت هذه الصلاة صلاة العشاء الاخرة كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يصليها لسقوط القمر لثالثة رواه ابو داود والدارمي

ব্যাখ্যা: (عِشَاءِ الْاخِرَةِ) অর্থাৎ- শেষ ‘ইশা বলা হয়েছে এজন্য যে, এ সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) মাগরিবের শেষে পড়া হতো। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তৃতীয় রাতের চাঁদ যখন ডুবতো তখন ‘ইশার সালাত আদায় করতেন- এ সময়টি কখন তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। নু‘মান ইবনু বাশীর (রাঃ) রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কিছুদিন এ সময়ে সালাত আদায় করতে দেখে ধারণা করেছেন যে, তা’ সর্বদা এ সময়েই আদায় করতেন। মূলত রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই সালাত প্রতিদিন কোন একটি নির্ধারিত সময়ে আদায় করতেন না। আহমাদ, বুখারী, মুসলিম, আবূ দাঊদ ও নাসায়ী-তে উল্লিখিত জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আদায়কৃত সালাতের ওয়াক্ত সম্পর্কিত বর্ণনায় পাওয়া যায়, ‘‘রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো ‘ইশার সালাতকে বিলম্বিত করতেন আবার কখনো তাড়াতাড়ি আদায় করতেন। যখন তিনি দেখতেন যে, লোকেরা সমবেত হয়ে গেছে তখন তাড়াতাড়ি আদায় করতেন, যখন দেখতেন লোকেরা মসজিদে আসতে বিলম্ব করছে তখন তিনিও বিলম্বিত করতেন’’।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)