পরিচ্ছেদঃ ৩৯. মহিলাদের রাস্তায় চলা- সম্পর্কে।
৫১৮৩. মুহাম্মদ ইবন ইয়াহ্ইয়া (রহঃ) .... ইবন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন পুরুষ লোককে দু’জন মহিলার মাঝখানে চলতে নিষেধ করেছেন।
باب فِي مَشْىِ النِّسَاءِ مَعَ الرِّجَالِ فِي الطَّرِيقِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا أَبُو قُتَيْبَةَ، سَلْمُ بْنُ قُتَيْبَةَ عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي صَالِحٍ الْمُزَنِيِّ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى أَنْ يَمْشِيَ - يَعْنِي الرَّجُلَ - بَيْنَ الْمَرْأَتَيْنِ .
Narrated Abdullah ibn Umar:
The Prophet (ﷺ) prohibited that one, i.e. man, should walk between two women.
পরিচ্ছেদঃ
১। দ্বীন (ধর্ম) হচ্ছে বিবেক, যার দ্বীন (ধর্ম) নেই তাঁর কোন বিবেক নেই।
- হাদীসটি বাতিল।
হাদীসটি নাসাঈ “আল-কুনা” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন এবং তার থেকে দুলাবী “আল-কুনা ওয়াল আসমা” গ্রন্থে (২/১০৪) আবূ মালেক বিশ্র ইবনু গালিব সূত্রে যুহরী হতে ... প্রথম বাক্যটি ছাড়া মারফূ’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। ইমাম নাসাঈ হাদীসটি সম্পর্কে বলেনঃ (هذا حديث باطل منكر) এ হাদীসটি বাতিল, মুনকার।
আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীসটির সমস্যা হচ্ছে এ বিশর নামক বর্ণনাকারী। কারন আযদী বলেনঃ তিনি মাজহূল (অপরিচিত) বর্ণনাকারী। ইমাম যাহাবী “মীযানুল ই’তিদাল” এবং ইবনু হাজার আসকালানী “লিসানুল মীযান” গ্রন্থে তার কথাকে সমর্থন করেছেন।
হারিস ইবনু আবী উসামা তার “মুসনাদ” গ্রন্থে (কাফ ১০০/১-১০৪/১) দাউদ ইবনুল মুহাব্বার সূত্রে বিবেকের ফযিলত সম্পর্কে ত্রিশের অধিক হাদীস উল্লেখ করেছেন। হাফিয ইবনু হাজার আসকালানী বলেনঃ সে সবগুলোই জাল (বানোয়াট)।
সেগুলোর একটি হচ্ছে এ হাদীসটি যেমনটি ইমাম সুয়ুতী তার “যায়লুল-লাআলিল মাসনু’ইয়াতি ফিল আহাদীসিল মাওযু’আত” গ্রন্থে (পৃঃ ৪-১০) উল্লেখ করেছেন। তার থেকে হাদীসটি আল্লামা মুহাম্মাদ তাহির আল-হিন্দী মাওযু’ গ্রন্থ “তাযকিরাতুল মাওযু’আত” এর মধ্যে (পৃঃ ২৯-৩০) উল্লেখ করেছেন।
দাউদ ইবনুল মুহাব্বার সম্পর্কে যাহাবী বলেনঃ
ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল বলেনঃ হাদীস কি তিনি তাই জানতেন না। আবূ হাতিম বলেনঃ তিনি যাহেবুল হাদীস[হাদীসকে বিতাড়নকারী], নির্ভরযোগ্য নন। দারাকুতনী বলেনঃ তিনি মাতরূক [অগ্রহণযোগ্য ব্যক্তি]। আব্দুল গনী ইবনু সা’ঈদ দারাকুতনী হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেনঃ মায়সারা ইবনু আব্দি রাব্বিহি “আল-আকল” নামক গ্রন্থ রচনা করেছন আর তার নিকট হতে দাউদ ইবনুল মুহাব্বার তা চুরি করেন। অতঃপর তিনি তার (মায়সারার) সনদের পরিবর্তে নিজের বানোয়াট সনদ জড়িয়ে দেন। এরপর তা চুরি করেন আব্দুল আযীয ইবনু রাজা এবং সুলায়মান ইবনু ঈসা সাজযী।
মোটকথা বিবেকের ফযিলত সম্পর্কে কোন সহীহ হাদীস নেই। এ সম্পর্কে বর্ণিত হাদীস হয় দুর্বল, না হয় জাল (বানোয়াট)।
আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম “আল-মানার” গ্রন্থে (পৃঃ ২৫) বলেনঃ (أحاديث العقل كلها كذب) ’বিবেক সম্পর্কে বর্ণিত সকল হাদীস মিথ্যা।’
(الدين هو العقل، ومن لا دين له لا عقل له)
باطل
-
أخرجه النسائي في " الكنى " وعنه الدولابي في " الكنى والأسماء " (2 / 104) عن أبي مالك بشر بن غالب بن بشر بن غالب عن الزهري عن مجمع بن جارية عن عمه مرفوعا دون الجملة الأولى " الدين هو العقل " وقال النسائي: هذا حديث باطل منكر
قلت: وآفته بشر هذا فإنه مجهول كما قال الأزدي، وأقره الذهبي في " ميزان الاعتدال في نقد الرجال " والعسقلاني في " لسان الميزان "
وقد أخرج الحارث بن أبي أسامة في مسنده (ق 100 / 1 - 104 / 1 - زوائده) عن داود بن المحبر بضعا وثلاثين حديثا في فضل العقل، قال الحافظ ابن حجر: كلها موضوعة، ومنها هذا الحديث كما ذكره السيوطي في " ذيل اللآليء المصنوعة في الأحاديث الموضوعة " (ص 4 - 10) ونقله عنه العلامة محمد طاهر الفتني الهندي في " تذكرة الموضوعات " (ص 29 - 30)
الدنيا في كتابه " العقل وفضله " فوجدتها كما ذكرت لا يصح منها شيء، فالعجب من مصححه الشيخ محمد زاهد الكوثري كيف سكت عنها؟ ! بل أشار في ترجمته للمؤلف (ص 4) إلى خلاف ما يقتضيه التحقيق العلمي عفا الله عنا وعنه
وقد قال العلامة ابن القيم في " المنار " (ص 25) : أحاديث العقل كلها كذب
পরিচ্ছেদঃ
২। যে ব্যাক্তির সালাত (নামায/নামাজ) তাঁকে তাঁর নির্লজ্জ ও অশোভনীয় কাজ হতে বিরত করে না, আল্লাহর নিকট হতে তাঁর শুধু দূরত্বই বৃদ্ধি পায়।
হাদীসটি বাতিল।
যদিও হাদীসটি মানুষের মুখে মুখে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে তবুও সেটি সনদ এবং ভাষা ও উভয় দিক দিয়েই সহীহ নয়।
সনদ সহীহ না হওয়ার কারনঃ হাদীসটি তাবারানী “আল-মুজামুল কাবীর” গ্রন্থে (৩/১০৬/২), কাযাঈ “মুসনাদুশ শিহাব” গ্রন্থে (২/৪৩) এবং ইবনু আবী হাতিম বর্ণনা করেছেন, যেমনটি “তাফসীর ইবনু কাসীর” গ্রন্থে (২/৪১৪) এবং “আল কাওয়াকাবুদ দুরারী” গ্রন্থে (৮৩/২/১) লাইস সূত্রে তাউস এর মাধ্যমে ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে।
এ লাইসের কারণে হাদীসটির সনদ দুর্বল – তিনি হচ্ছেন লাইস ইবনু আবী সুলাইম- কারন তিনি দুর্বল বর্ণনাকারী।
হাফিয ইবনু হাজার “তাকরীবুত তাহযীব” গ্রন্থে তার জীবনী লিখতে গিয়ে বলেনঃ তিনি সত্যবাদী, কিন্তু শেষ জীবনে তার মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছিল। তার হাদীস পৃথক করা যেত না, ফলে তার হাদীস মাতরূক (অগ্রহণযোগ্য)।
হায়সামী “মাজমা’উয যাওয়াঈদ” গ্রন্থে (১/১৩৪) একই কারন উল্লেখ করেছেন। তার শাইখ হাফিয আল-ইরাকী “ তাখরীজুল ইহইয়া” গ্রন্থে (১/১৪৩) বলেছেনঃ হাদীসটির সনদ লাইয়েনুন (দুর্বল)।
আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীসটি ইবনু জারীর তার “তাফসীর” গ্রন্থে (২০/৯২) ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে অন্য সূত্রে মওকুফ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। সম্ভবত এটিই সহীহ অর্থাৎ সাহাবীর কথা। যদিও তার সনদে এমন ব্যক্তি রয়েছেন যার নাম উল্লেখ করা হয়নি।
ইমাম আহমাদ “কিতাবুয যুহুদ” গ্রন্থে (পৃঃ ১৫৯) আত তাবারানী “মু’জামুল কাবীর” গ্রন্থে হাদীসটি ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে মওকুফ হিসাবে ভিন্ন ভাষায় বর্ণনা করেছেন।
হাফিয ইরাকী বলেনঃ তার সনদটি সহীহ। অতএব হাদীসটি মওকুফ।
ইবনুল আ’রাবী তার “আল-মু’জাম” গ্রন্থে (১/১৯৩) হাদীসটি হাসান বাসরী হতে মুরসাল হিসাবে বর্ণনা করেছেন। হাসান হচ্ছেন মুদাল্লিস।
হাফিস যাহাবী “মীযানুল ই’তিদাল” গ্রন্থে বলেনঃ তিনি বেশী বেশী তাদলীস করতেন। তিনি আন শব্দে বর্ণনা করলে তার হাদীস দ্বারা দলীল গ্রহণ করাটা দুর্বল হয়ে যায়। আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে তার শ্রবন সাব্যস্ত হয়নি। এ কারনে মুহাদ্দিসগণ আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে তার হাদীসকে মুনকাতি’ হিসাবে গণ্য করেছেন।
তবে হাসান বাসরীর নিজের কথা হিসাবে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন এমন কথা বলেননি। ইমাম আহমাদ “আয-যুহুদ” গ্রন্থে (পৃঃ ২৬৪) এভাবেই বর্ণনা করেছেন আর তার সনদটি সহীহ। অনুরূপভাবে ইবনু জারীরও বিভিন্ন সূত্রে তার থেকেই (২০/৯২) বর্ণনা করেছেন এবং এটই সঠিক।
“মুসনাদুস শিহাব” গ্রন্থে (২/৪৩) মিকদাম ইবনু দাউদ সূত্রে হাসান বাসরী হতে মারফূ’’ হিসাবে বর্ণিত হয়েছে।
কিন্তু এই মিকদাম সম্পর্কে নাসাঈ বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্য নন।
মোটকথা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত এটির সনদ সহীহ নয়। ইবনু মাসউদ (রাঃ) এবং হাসান বাসরী হতে সহীহ সনদ বর্ণিত হয়েছে। ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতেও বর্ণনা করা হয়েছে।
এ কারণেই ইবনু তাইমিয়্যা “কিতাবুল ঈমান” গ্রন্থে (পৃঃ ১২) মওকুফ হিসাবেই উল্লেখ করেছেন।
ইবনু উরওয়াহ্ “আল-কাওয়াকিব” গ্রন্থে বলেছেনঃ এটই বেশী সঠিক।
ভাষার দিক দিয়ে সহীহ না হওয়ার কারনঃ
হাদীসটি যে ব্যক্তি সালাতের শর্ত এবং আরকান সমূহের দিকে যত্নবান হয়ে যথাযথভাবে আদায় করে সে ব্যক্তিকেও সম্পৃক্ত করে। অথচ শারী’আত তার সালাতকে বিশুদ্ধ বলে রায় প্রদান করেছে। যদিও এ মুসল্লি কোন গুনাহের সাথে জড়িত থাকে। অতএব কিভাবে এ সালাতের কারনে তা সাথে আল্লাহর দূরত্ব বৃদ্ধি পাবে? এটি বিবেক বর্জিত কথা। শারী’আত এ কথার সাক্ষ্য দেয় না। হাদীসটি মওকুফ হওয়ার ক্ষেত্রেও সালাত দ্বারা এমন সালাতকে বুঝানো হয়েছে যে সালাতে এমন কোন অংশ ছেড়ে দেয়া হয়েছে যা ছেড়ে দিলে সালাত শুদ্ধ হয় না।
আল্লাহ্ বলেনঃ (إِنَّ الصَّلَاةَ تَنْهَىٰ عَنِ الْفَحْشَاءِ وَالْمُنْكَرِ) অর্থ ’নিশ্চয় সালাত নির্লজ্জ ও অশোভনীয় কাজ হতে বিরত রাখে ’ (আনকাবুতঃ ৪৫)
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল অমুক ব্যক্তি সারা রাত ধরে ইবাদাত করে অতঃপর যখন সকাল হয় তখন সে চুরি করে! উত্তরে তিনি উক্ত আয়াতের গুরুত্ব দিয়ে বলেছিলেনঃ
’তুমি যা বলছ তা থেকেই অচিরেই তাকে তার সালাত বিরত করবে অথবা বলেনঃ তাকে তার সালাত বাধা প্রদান করবে’
হাদীসটি ইমাম আহমাদ, বায্যার, তাহাবী “মুশকিল আসার” গ্রন্থে (২/৪৩০), বাগাবী “হাদীসু আলী ইবনুল যা’আদ” গ্রন্থে (৩১/১/৬৯/১) সহীহ্ সনদে আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।
লক্ষ্য করুন! রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সংবাদ দিয়েছেন যে, এ ব্যক্তি তার সালাতের কারনে চুরি করা হতে বিরত থাকবে (যদি তার সালাতটি যথাযথ ভাবে হয়)। তিনি বলেননি যে, তার দূরত্ব বৃদ্ধি করবে, যদিও সে তার চুরি হতে বিরত হয়নি। এ কারনেই আব্দুল হক ইশবীলী “আত-তাহাজ্জুদ” গ্রন্থে (কাফ-১/২৪) বলেনঃ সত্যিকার অর্থে যে ব্যক্তি সালাত আদায় করবে এবং সালাতকে আঁকড়ে ধরে রাখবে, তার সালাত তাকে হারামে জড়িত হওয়া এবং হারামে পতিত হওয়া থেকে বিরত রাখবে।
অতএব প্রমাণিত হচ্ছে যে, হাদীসটি সনদ এবং ভাষা উভয় দিক দিয়েই দুর্বল।
এ ছাড়া আহমাদ ইবনু মুহাম্মাদ ইয্যুদ্দ্বীন ইবনু আব্দিস সালাম ইবনু আব্বাস (রাঃ) এর আসারটি উল্লেখ করে বলেছেনঃ এ ধরনের হাদীসকে ভীতি প্রদর্শনমূলক হাদীস হিসাবে গণ্য করা বাঞ্ছনীয়।
এ হাদীসকে তার বাহ্যিক অর্থে নেয়া ঠিক হবেনা। কারন তার বাহ্যিক অর্থ সহীহ হাদীসে যা সাব্যস্ত হয়েছে তার বিপরীত অর্থ বহন করছে। সহীহ হাদীসে বলা হয়েছে যে, সালাত গুনাহ সমূহকে মোচন করে, অতএব আল্লাহর সাথে দূরত্ব বৃদ্ধি করলে সালাত কিভাবে গুনাহ মোচনকারী হতে পারে?
আমি (আলবানী) বলছিঃ এরূপ ব্যাখ্যা করা যেতে পারে তবে মওকুফ হিসাবে গণ্য করে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী হিসাবে নয়।
উপরের আলোচনার সাক্ষ্য দেয় বুখারীতে বর্ণিত হাদীস। এক ব্যক্তি কোন মহিলাকে চুমু দিয়ে দেয়। অতঃপর সে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট ঘটনাটি উল্লেখ করলে আল্লাহ্ তা’আলা নিম্নোক্ত আয়াতটি নাযিল করেনঃ
إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ
’নিঃসন্দেহে সৎ কর্মগুলো অসৎ কর্মগুলোকে মুছে ফেলে’ (হুদঃ ১১৪)
হাফিয যাহাবী “আল-মীযান” গ্রন্থে (৩/২৯৩) ইবনুুয যুনায়েদ হতে বর্ণনা করে (আলোচ্য) হাদীসটি সম্পর্কে বলেনঃ এটি মিথ্যা।
(من لم تنهه صلاته عن الفحشاء والمنكر لم يزدد من الله إلا بعدا)
باطل
-
وهو مع اشتهاره على الألسنة لا يصح من قبل إسناده، ولا من جهة متنه. أما إسناده فقد أخرجه الطبراني في " المعجم الكبير " (3 / 106 / 2 مخطوطة الظاهرية) والقضاعي في " مسند الشهاب " (43 / 2) وابن أبي حاتم كما في " تفسير ابن كثير " (2 / 414) و" الكواكب الدراري " (83 / 2 / 1) من طريق ليث عن طاووس عن ابن عباس
وهذا إسناد ضعيف من أجل ليث هذا - وهو ابن أبي سليم - فإنه ضعيف، قال الحافظ ابن حجر في ترجمته من " تقريب التهذيب ": صدوق اختلط أخيرا ولم يتميز حديثه فترك
وبه أعله الهيثمي في " مجمع الزوائد " (1 / 134)
وقال شيخه الحافظ العراقي في " تخريج الإحياء " (1 / 143) : إسناده لين
قلت: وقد أخرجه الحافظ ابن جرير في تفسيره (20 / 92) من طريق أخرى عن ابن عباس موقوفا عليه من قوله، ولعله الصواب وإن كان في سنده رجل لم يسم
ورواه الإمام أحمد في كتاب " الزهد " (ص 159) والطبراني في " المعجم الكبير " عن ابن مسعود موقوفا عليه بلفظ: " من لم تأمره الصلاة بالمعروف وتنهاه عن المنكر لم يزدد بها إلا بعدا "
وسنده صحيح كما قال الحافظ العراقي، فرجع الحديث إلى أنه موقوف، ثم رأيته في معجم ابن الأعرابي قال (193 / 1) ، أنبأنا عبد الله - يعني ابن أيوب المخرمي - أنبأنا يحيى بن أبي بكير عن إسرائيل عن إسماعيل عن الحسن قال: لما نزلت هذه الآية (إن الصلاة تنهى عن الفحشاء والمنكر) (العنكبوت: 45) قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ... فذكره
وهذا مرسل، وإسماعيل هو ابن مسلم، فإن كان أبا محمد البصري فهو ثقة، وإن كان أبا إسحاق المكي فهو ضعيف، لكن قال الحافظ العراقي: رواه علي بن معبد في كتاب " الطاعة والمعصية " من حديث الحسن مرسلا بإسناد صحيح
قلت: يعني أن إسناده إلى الحسن صحيح، ولا يلزم منه أن يكون الحديث صحيحا لما عرف من علم " مصطلح الحديث " أن الحديث المرسل من أقسام الحديث الضعيف عند جمهو ر علماء الحديث، ولا سيما إذا كان من مرسل الحسن وهو البصري، قال ابن سعد في ترجمته: كان عالما جامعا رفيعا ثقة ... ما أرسله فليس بحجة
وحتى إنه لوفرض أن الحسن وصل الحديث وأسنده ولم يصرح بالتحديث أو بسماعه من الذي أسنده إليه كما لوقال: عن سمرة أو عن أبي هريرة لم يكن حديثه حجة، فكيف لوأرسله كما في هذا الحديث؟ ! قال الحافظ الذهبي في " ميزان الاعتدال ": كان الحسن كثير التدليس، فإذا قال في حديث عن فلان ضعف احتجاجه ولا سيما عمن قيل: إنه لم يسمع منهم كأبي هريرة ونحوه، فعدوا ما كان له عن أبي هريرة في
جملة المنقطع
على أنه قد ورد الحديث عن الحسن من قوله أيضا لم ينسبه إلى النبي صلى الله عليه وسلم، كذلك أخرجه الإمام أحمد في " الزهد " (ص 264) وإسناده صحيح، وكذلك رواه ابن جرير (20 / 92) من طرق عنه وهو الصواب
ثم وجدت الحديث في " مسند الشهاب " (43 / 2) من طريق مقدام بن داود قال: أنبأنا علي بن محمد بن معبد بسنده المشار إليه آنفا عن الحسن مرفوعا، ومقدام هذا قال النسائي: ليس بثقة، فإن كان رواه غيره عن علي بن معبد وكان ثقة فالسند صحيح مرسلا كما سبق عن العراقي وإلا فلا يصح
وجملة القول أن الحديث لا يصح إسناده إلى النبي صلى الله عليه وسلم وإنما صح من قول ابن مسعود والحسن البصري، وروي عن ابن عباس. ولهذا لم يذكره شيخ الإسلام ابن تيمية في " كتاب الإيمان " (ص 12) إلا موقوفا على ابن مسعود وابن عباس رضي الله عنهما
وقال ابن عروة في " الكواكب ": إنه الأصح
ثم رأيت الحافظ ابن كثير قال بعد أن ساق الحديث عن عمران بن حصين وابن عباس وابن مسعود والحسن مرفوعا: والأصح في هذا كله الموقوفات عن ابن مسعود وابن عباس والحسن وقتادة والأعمش وغيرهم
قلت: وسيأتي حديث عمران في المائة العاشرة إن شاء الله تعالى وهو بهذا اللفظ إلا أنه قال: " فلا صلاة له " بدل " لم يزدد عن الله إلا بعدا " وهو منكر أيضا كما سيأتي بيانه هناك بإذن الله تعالى فانظره برقم (985)
وأما متن الحديث فإنه لا يصح، لأن ظاهره يشمل من صلى صلاة بشروطها وأركانها بحيث أن الشرع يحكم عليها بالصحة وإن كان هذا المصلي لا يزال يرتكب بعض المعاصي، فكيف يكون بسببها لا يزداد بهذه الصلاة إلا بعدا؟ ! هذا مما لا يعقل ولا تشهد له الشريعة، ولهذا تأوله شيخ الإسلام ابن تيمية بقوله
وقوله " لم يزدد إلا بعدا " إذا كان ما ترك من الواجب منها أعظم مما فعله، أبعده ترك الواجب الأكثر من الله أكثر مما قربه فعل الواجب الأقل
وهذا بعيد عندي، لأن ترك الواجب الأعظم منها معناه ترك بعض ما لا تصح الصلاة إلا به كالشروط والأركان، وحينئذ فليس له صلاة شرعا، ولا يبدو أن هذه الصلاة هي المرادة في الحديث المرفوع والموقوف، بل المراد الصلاة الصحيحة التي لم تثمر ثمرتها التي ذكرها الله تعالى في قوله: (إن الصلاة تنهى عن
الفحشاء والمنكر) (العنكبوت: 45) وأكدها رسول الله صلى الله عليه وسلم لما قيل له: إن فلانا يصلي الليل كله فإذا أصبح سرق! فقال: " سينهاه ما تقول أو قال: ستمنعه صلاته "
رواه أحمد والبزار والطحاوي في " مشكل الآثار " (2 / 430) والبغوي في حديث علي بن الجعد (9 / 97 / 1) وأبو بكر الكلاباذي في " مفتاح معاني الآثار " (31 / 1 / 69 / 1) بإسناد صحيح من حديث أبي هريرة
فأنت ترى أن النبي صلى الله عليه وسلم أخبر أن هذا الرجل سينتهي عن السرقة بسبب صلاته - إذا كانت على الوجه الأكمل طبعا كالخشوع فيها والتدبر في قراءتها - ولم يقل: إنه " لا يزداد بها إلا بعدا " مع أنه لما ينته عن السرقة
ولذلك قال عبد الحق الإشبيلي في " التهجد " (ق 24 / 1) : يريد عليه السلام أن المصلي على الحقيقة المحافظ على صلاته الملازم لها تنهاه صلاته عن ارتكاب المحارم والوقوع في المحارم
فثبت بما تقدم ضعف الحديث سندا ومتنا والله أعلم
ثم رأيت الشيخ أحمد بن محمد عز الدين بن عبد السلام نقل أثر ابن عباس هذا في كتابه " النصيحة بما أبدته القريحة " (ق 32 / 1) عن تفسير الجاربردي وقال: ومثل هذا ينبغي أن يحمل على التهديد لما تقرر أن ذلك ليس من الأركان والشرائط ثم استدل على ذلك بالحديث المتقدم: " ستمنعه صلاته " واستصوب الشيخ أحمد كلام الجاربردي هذا وقال: لا يصح حمله على ظاهره، لأن ظاهره معارض بما ثبت في
الأحاديث الصحيحة المتقدمة من أن الصلاة مكفرة للذنوب، فكيف تكون مكفرة ويزداد بها بعدا؟ ! هذا مما لا يعقل! ثم قال: قلت: وحمل الحديث على المبالغة والتهديد ممكن على اعتبار أنه موقوف على ابن عباس أو غيره وأما على اعتباره من كلامه صلى الله عليه وسلم فهو بعيد عندي والله أعلم
قال: ويشهد لذلك ما ثبت في البخاري أن رجلا أصاب من امرأة قبلة فذكر للنبي صلى الله عليه وسلم فأنزل الله تعالى (إن الحسنات يذهبن السيئات)
ثم رأيت شيخ الإسلام ابن تيمية قال في بعض فتاواه: هذا الحديث ليس بثابت عن النبي صلى الله عليه وسلم لكن الصلاة تنهى عن الفحشاء والمنكر كما ذكر الله في كتابه، وبكل حال فالصلاة لا تزيد صاحبها بعدا، بل الذي يصلي خير من الذي لا يصلي وأقرب إلى الله منه وإن كان فاسقا
قلت: فكأنه يشير إلى تضعيف الحديث من حيث معناه أيضا وهو الحق وكلامه المذكور رأيته في مخطوط محفوظ في الظاهرية (فقه حنبلى 3 / 12 / 1 - 2) وقد نقل الذهبي في " الميزان " (3 / 293) عن ابن الجنيد أنه قال في هذا الحديث: كذب وزور
পরিচ্ছেদঃ
৩। পুরুষদের ইচ্ছা (মনোবল) পর্বতমালাকে স্থানচ্যুত করতে পারে।
এটি হাদীস নয়।
ইসমাঈল আজলুনী “কাশফুল খাফা” গ্রন্থে বলেনঃ এটি যে হাদীস তা অবহিত হতে পারিনি। তবে কোন ব্যক্তি শাইখ আহমাদ গাযালীর উদ্ধৃতিতে বলেছেন যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ (همة الرجال تزيل الجبال) ’পুরুষদের মনোবল পর্বতমালার উচ্ছেদ ঘটাতে পারে’
আমি (আলবানী) বলছিঃ সুন্নাতের গ্রন্থগুলো খুঁজেছি এর (হাদীসটির) কোন অস্তিত্ব পাইনি। শাইখ আহমাদ গাযালী কর্তৃক হাদীস বলে উল্লেখ করাটা তাকে সাব্যস্ত করে না। কারন তিনি মুহাদ্দিসদের দলভুক্ত নন, বরং তিনি তার ভাই মুহাম্মাদের ন্যায় সূফী সম্প্রদায়ভুক্ত একজন ফকীহ ছিলেন। তার ভাই কর্তৃক রচিত “আল-ইয়াহিয়া” গ্রন্থে কতইনা হাদীস নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উদ্ধৃতিতে দৃঢ়তার সাথে বলা হয়েছে এগুলো হাদীস। অথচ সেগুলোর কোন ভিত্তি নেই। যেমনিভাবে হাফিয ইরাকীও আরো অনেকে বলেছেন। সেগুলোর একটি নিম্নের হাদীসটি।
همة الرجال تزيل الجبال
ليس بحديث
-
قال الشيخ إسماعيل العجلونى في " كشف الخفاء ": لم أقف على أنه حديث، لكن نقل بعضهم عن الشيخ أحمد الغزالي أنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: " همة الرجال تقلع الجبال " فليراجع
قلت: قد راجعنا مظانه في كتب السنة فلم نجد له أصلا، وإيراد الشيخ أحمد الغزالي له لا يثبته، فليس هو من المحدثين، وإنما هو مثل أخيه محمد من فقهاء الصوفية، وكم في كتاب أخيه " الإحياء" من أحاديث جزم بنسبتها إلى النبي صلى الله عليه وسلم وهي مما يقول الحافظ العراقي وغيره فيها: لا أصل له منها
পরিচ্ছেদঃ
৪। মসজিদের মধ্যে কথপোকথন পুণ্যগুলোকে খেয়ে ফেলে যেমনভাবে চতুষ্পদ জন্তুগুলো ঘাস খেয়ে ফেলে।
হাদীসটি ভিত্তিহীন।
গাযালী এটি “আল-ইহইয়া” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন (১/১৩৬)। অথচ তার কোন ভিত্তি নেই। হাফিয ইরাকী বলেনঃ তার কোন ভিত্তি সম্পর্কে অবহিত হইনি। হাফিয ইবনু হাজার “তারীখুল কাশ্শফ” গ্রন্থে ভিত্তি না থাকাকে (৭৩/৯৩, ১৩০/১৭৬) আরো সুস্পষ্ট করেছেন। আব্দুল ওয়াহাব সুবকী “তাবাকাতুশ-শাফে’ঈয়াহ” গ্রন্থে (৪/১৪৫-১৪৭) বলেছেনঃ তার কোন সনদ পাইনি। লোকদের মুখে মুখে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে যে, মসজিদের মধ্যে বৈধ কথা সৎ কর্মগুলোকে খেয়ে ফেলে যেমনভাবে খড়িকে আগুন খেয়ে ফেলে।
এটি ও উপরেরটির মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।
الحديث فى المسجد يأكل الحسنات كما تأكل البهائم الحشيش
لا أصل له
-
أورده الغزالي في " الإحياء " (1 / 136) فقال مخرجه الحافظ العراقي: لم أقف له على أصل وبيض له الحافظ في " تخريج الكشاف " (73 / 95 و130 / 176)
وقال عبد الوهاب بن تقى الدين السبكي في " طبقات الشافعية " (4 / 145 - 147) : لم أجد له إسنادا
والمشهور على الألسنة: " الكلام المباح في المسجد يأكل الحسنات كما تأكل النار الحطب " وهو هو
পরিচ্ছেদঃ
৫। কোন বান্দা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশে যখন কিছু ত্যাগ করে, তখন আল্লাহ তাঁকে তাঁর দ্বীন ও দুনিয়াবী ক্ষেত্রে তাঁর চাইতেও অতি কল্যাণকর বস্তু প্রতিদান হিসেবে দান করেন।
এ ভাষায় হাদীসটি বানোয়াট।
আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীসটি ১৩৭৯ হিজরী সনের রমাযান মাসে রেডিও দামেস্কে প্রচারিত কোন এক সন্মানিত ব্যক্তির বক্তব্যে শুনি। হাদীসটি আবূ নো’য়াইম “হিলইয়াতুল আওলিয়া” গ্রন্থে (২/১৯৬), দাইলামী “আল-গারায়েবুল মুলতাকাতাহ্” গ্রন্থে, আস-সিলাফী “আত-তায়ুরীয়াত” গ্রন্থে (২/২০০) এবং ইবনু আসাকীর (৩/২০৮/২,১৫/৭০/১) আবদুল্লাহ ইবনু সা’দ আর-রাকী সূত্রে... বর্ণনা করেছেন।
অতঃপর আবূ নু’য়াইম বলেনঃ হাদীসটি গারীব।
আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীসটির সনদ বানোয়াট, কারন হাদীসটির সনদে বর্ণিত যুহ্রীর নিচের বর্ণনাকারীগণের মধ্য থেকে আবদুল্লাহ ইবনু সা’দ আর-রাকী ব্যতীত অন্য কোন বর্ণনাকারীর বিবরণ হাদীসের গ্রন্থসমূহে মিলে না। তিনি পরিচিত, তবে মিথ্যুক হিসাবে!
হাফিয যাহাবী “মীযানুল ই’তিদাল” গ্রন্থে এবং তার অনুসরণ করে হাফিয ইবনু হাজার আসকালানী “লিসানুল মীযান” গ্রন্থে বলেনঃ
(كذبه الدارقطني وقال: كان يضع الحديث) দারাকুতনী তাকে মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন। তিনি আরো বলেছেনঃ তিনি হাদীস জাল করতেন। আর আহমাদ ইবনু আব্দান তাকে খুবই দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন।
হাদীসটিতে অন্য একটি সমস্যা রয়েছে, সেটি হচ্ছে বাক্কার ইবনু মুহাম্মাদ। তিনি মাজহূল (অপরিচিত)। ইবনু আসাকীর তার জীবনীতে তার সম্পর্কে ভাল মন্দ কিছুই বলেননি। তবে হ্যাঁ হাদীসটি (في دينه ودنياه) এ শব্দ ছাড়া সহীহ। যা ওয়াকী’ “আল-যুহুদ” নামক গ্রন্থে (২/৬৮/২) এবং তার থেকে ইমাম আহমাদ (৫/৩৬৩) ও কাযা’ঈ “মুসনাদুশ শিহাব” গ্রন্থে (১১৩৫) নিম্নের ভাষায় উল্লেখ করেছেনঃ
إنك لن تدع شيئا لله عز وجل إلا بدلك الله به ما هو خير لك منه
’তুমি আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের উদ্দেশ্যে কিছু ত্যাগ করলে অবশ্যই আল্লাহ্ তার প্রতিদান হিসাবে তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু দান করবেন।’
ইমাম মুসলিমের শর্তানুযায়ী হাদীসটির সনদ সহীহ। হাদীসটি ইসপাহানীও “আত-তারগীব” গ্রন্থে (১/৭৩) বর্ণনা করেছেন। অতঃপর তিনি উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) হতে তার একটি শাহেদ [সাক্ষীমূলক] হাদীস এমন এক সনদে বর্ণনা করেছেন, শাহেদ হওয়ার ক্ষেত্রে যাতে কোন সমস্যা নেই।
(ما ترك عبد شيئا لله لا يتركه إلا لله إلا عوضه منه ما هو خير له فى دينه ودنياه)
موضوع بهذا اللفظ
-
وقد سمعته في كلمة ألقاها بعض الأفاضل من إذاعة دمشق في هذا الشهر المبارك شهر رمضان
أخرجه أبو نعيم في " حلية الأولياء " (2 / 196) وعنه الديلمي (4 / 27 ـ الغرائب الملتقطة) والسلفي في " الطيوريات " (200 / 2) وابن عساكر (3 / 208 / 2 و15 / 70 / 1) من طريق عبد الله بن سعد الرقي حدثتني والدتي مروة بنت مروان قالت حدثتني والدتي عاتكة بنت بكار عن أبيها قالت: سمعت الزهري يحدث عن سالم بن عبد الله عن ابن عمر أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: فذكره وقال أبو نعيم عقبه: حديث غريب
وأقول: أن إسناده موضوع، فإن من دون الزهري لا ذكر لهم في شيء من كتب الحديث غير عبد الله بن سعد الرقي فإنه معروف، ولكن بالكذب
قال الحافظ الذهبي في " ميزان الاعتدال في نقد الرجال " وتبعه الحافظ أحمد بن حجر العسقلاني في " لسان الميزان ": كذبه الدارقطني وقال: كان يضع الحديث وهاه أحمد بن عبدان
وفيه علة أخرى وهي جهالة بكار هذا وهو ابن محمد وفي ترجمته أورده ابن عساكر ولم يذكر فيه جرحا ولا تعديلا
نعم صح الحديث بدون قوله في آخره في دينه ودنياه
أخرجه وكيع في " الزهد " (2 / 68 / 2) وعنه أحمد (5 / 363) والقضاعي في " مسند الشهاب " (رقم 1135) بلفظ: " إنك لن تدع شيئا لله عز وجل إلا بدلك الله به ما هو خير لك منه
وسنده صحيح على شرط مسلم
وأخرجه الأصبهاني أيضا في " الترغيب " (73 / 1) ثم روى له شاهدا من حديث أبي
ابن كعب بسند لا بأس به في الشواهد
পরিচ্ছেদঃ
৬। ধূলিকণা হতে তোমরা বেঁচে চল, কারণ ধূলিকণা হতেই জীবাণু সৃষ্টি হয়।
হাদীসটির কোন ভিত্তি নাই।
ইবনুল আসীর “نسم” মাদায় “ আননেহায়া” গ্রন্থে হাদীসটি উল্লেখ করে বলেছেন যে, এটি হাদীস! কিন্তু মারফু হিসাবে এটির কোন ভিত্তি সম্পর্কে জানি না।
তবে আমর ইবনুল আস (রাঃ) হতে মওকুফ হিসাবে ইবনু সাদ “তাবাকাতুল কুবরা” গ্রন্থে (৮/২/১৯৮) বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেনঃ আব্দুল্লাহ ইবনু সালেহ্ মিসরী বলেছেন...।
তা সত্ত্বেও কয়েকটি কারণে সনদের দিক থেকে হাদীসটি সহীহ নয়ঃ
১। ইবনু সা’দ মাধ্যম হিসাবে তার শাইখের নাম উল্লেখ করেননি। অর্থাৎ মুয়াল্লাক হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
২। এছাড়া সনদে উল্লেখিত আব্দুল্লাহ ইবনু সালেহ্-এর মধ্যে দুর্বলতা রয়েছে, যদিও বুখারী তার থেকে বর্ণনা করেছেন। ইবনু হিব্বান বলেনঃ
মুনকারের প্রবেশ ঘটেছে। তিনি বলেনঃ আমি ইবনু খুযায়মাকে বলতে শুনেছিঃ প্রতিবেশীর সাথে তার শত্রুতা ছিল। এ কারণে প্রতিবেশী ইবনু সালেহের শাইখের উদ্ধৃতিতে নিজের হাতে লিখে হাদীস জাল করত এবং (আব্দুল্লাহর হাতের লিখার সাথে তার হাতের লিখার মিল ছিল) সে হাদীসকে আব্দুল্লাহ ইবনু সালেহের বাড়ীতে তার গ্রন্থগুলোর উপর ফেলে দিত। ফলে আব্দুল্লাহ্ তার লিখাকে নিজের হাতের লিখা মনে করতেন এবং তিনি তাকে হাদীস হিসাবে বর্ণনা করতেন।
تنكبوا الغبار فإنه منه تكون النسمة
لا أعلم له أصلا
-
أورده ابن الأثير في مادة نسم من " النهاية " وذكر أنه حديث! ولا أعرف له أصلا مرفوعا وقد روى ابن سعد في " الطبقات الكبرى " (8 / 2 / 198) فقال: وقال عبد الله بن صالح المصري عن حرملة بن عمران عمن حدثهم عن ابن سندر مولى النبي صلى الله عليه وسلم قال: أقبل عمرو بن العاص وابن سندر معهم، فكان ابن سندر ونفر معه يسيرون بين يدي عمرو بن العاص فأثاروا الغبار، فجعل عمرو طرف عمامته على أنفه ثم قال: اتقوا الغبار فإنه أو شك شيء دخولا، وأبعده خروجا، وإذا وقع على الرئة صار نسمة
وهذا مع كونه موقوفا لا يصح من قبل سنده لأمور: الأول: أن ابن سعد علقه، فلم يذكر الواسطة بينه وبين عبد الله بن صالح
الثاني: أن ابن صالح فيه ضعف وإن روى له البخاري فقد قال ابن حبان: كان في نفسه صدوقا، إنما وقعت المناكير في حديثه من قبل جار له، فسمعت ابن خزيمة يقول: كان بينه وبينه عداوة، كان يضع الحديث على شيخ ابن صالح، ويكتبه بخط يشبه خط عبد الله، ويرميه في داره بين كتبه، فيتوهم عبد الله أنه خطه فيحدث به
الثالث: أن الواسطة بين حرملة وابن سندر لم تسم فهي مجهولة
পরিচ্ছেদঃ
৭। দু’টি বস্তুর নিকটবর্তী হয়ো না, আল্লাহ্র সাথে শরীক স্থাপন করা এবং মানুষের ক্ষতি সাধন করা।
হাদীসটির কোন ভিত্তি নেই।
হাদীসটি এ বাক্যেই পরিচিতি লাভ করেছে। সুন্নাহের কোন গ্রন্থে এর ভিত্তি সম্পর্কে অবহিত হইনি। হতে পারে এর মূলে আছে গাযালীর “আল-ইহইয়া” গ্রন্থে (২/১৮৫) বর্ণিত কথিত হাদীস।
হাফিয ইরাকী তার “তাখরীজ” গ্রন্থে বলেনঃ হাদীসটি “ফিরদাউস” গ্রন্থের রচনাকারী আলী (রাঃ)-এর হাদীস হতে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তার ছেলে তার “মুসনাদ” গ্রন্থে মুসনাদ হাদীস হিসাবে উল্লেখ করেননি।
এ কারণেই সুবকী সেটিকে সেই সব হাদীসগুলোর অন্তর্ভুক্ত করেছেন (৪/১৫৬) যেগুলো “আল-ইহইয়া” গ্রন্থে এসেছে, অথচ তিনি সেগুলোর কোন সনদ পাননি।
اثنتان لا تقربهما: الشرك بالله والإضرار بالناس
لا أصل له
-
وقد اشتهر بهذا اللفظ ولم أقف عليه في شيء من كتب السنة، ولعل أصله ما في " الإحياء " للغزالي (2 / 185) قال صلى الله عليه وسلم: خصلتان ليس فوقهما شيء من الشر: الشرك بالله والضر لعباد الله، وخصلتان ليس فوقهما شيء من البر: الإيمان بالله، والنفع لعباد الله
وهو حديث لا يعرف له أصل
قال العراقي في تخريجه: ذكره صاحب الفردوس من حديث علي، ولم يسنده ولده في مسنده
ولهذا أورده السبكي في الأحاديث التي وقعت في " الإحياء " ولم يجد لها إسنادا (4 / 156)
পরিচ্ছেদঃ
৮। তুমি দুনিয়ার জন্য এমনভাবে কর্ম কর, যেন তুমি অনন্ত কালের জন্য জীবন ধারন করবে। আর আখেরাতের জন্য এমনভাবে আমল কর, যেন তুমি কালকেই মৃত্যুবরণ করবে।
মারফূ’ হিসেবে হাদীসটির কোন ভিত্তি নেই।
যদিও এটি পরবর্তী সময়গুলোতে মুখে মুখে পরিচিতি লাভ করেছে। তবে মওকুফ হিসাবে হাদীসটির ভিত্তি পেয়েছি। ইবনু কুতায়বা “গারীবুল হাদীস” গ্রন্থে ((১/৪৬/২) বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এটির সনদের বর্ণনাকারী ওবায়দুল্লাহ ইবনু আয়যারের জীবনী কে উল্লেখ করেছেন পাচ্ছি না। অতঃপর এটি সম্পর্কে “তারীখু বুখারী” গ্রন্থে (৩/৩৯৪) এবং “যারহু ওয়াত তা’দীল” (২/২/৩৩০) গ্রন্থে অবহিত হয়েছি। কিন্তু সনদটি মুনকাতি বিচ্ছিন্ন।
অতঃপর ইবনু হিব্বানকে এটিকে “সিকাতু আতবাইত তাবেঈন” গ্রন্থে (৭/১৪৮) উল্লেখ করতে দেখেছি। ইবনুল মুবারাকও অন্য সূত্রে “আল-যুহুদ” গ্রন্থে (২/২১৮) মওকুফ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এটিও মুনকাতি’ অর্থাৎ এর সনদে বিচ্ছন্নতা রয়েছে। মারফু হিসাবেও বর্ণিত হয়েছে।
বাইহাকী তার “সুনান” গ্রন্থে (৩/১৯) আবু সালেহ-এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন (তবে ভাষায় ভিন্নতা আছে)। কিন্তু এটির সনদটি দুটি কারণে দুর্বলঃ সনদের এক বর্ণনাকারী উমার ইবনু আদিল আযীযের দাস মাজহুল এবং আবু সালেহ দুর্বল। তিনি হচ্ছেন আব্দুল্লাহ ইবনু সালেহ, লাইসের কাতিব [কেরানী]। তার সম্পর্কে ৬ নং হাদীসে আলোচনা করা হয়েছে। বাইহাকী কর্তৃক বর্ণিত ইবনু আমরের হাদীসের প্রথম অংশটি বাযযার জাবের (রাঃ)-এর হাদীস হতে বর্ণনা করেছেন (দেখুন, ১/৫৭/৭৪- কাশফুল আসতার)। হায়সামী “আল-মাজমা" গ্রন্থে (১/৬২) বলেছেনঃ এটির সনদে ইয়াহইয়া ইবনুল মুতাওয়াক্কিল (আবু আকীল) রয়েছেন। তিনি মিথ্যুক।
اعمل لدنياك كأنك تعيش أبدا، واعمل لآخرتك كأنك تموت غدا
لا أصل له مرفوعا
-
وإن اشتهر على الألسنة في الأزمنة المتأخرة حتى إن الشيخ عبد الكريم العامري الغزي لم يورده في كتابه " الجد الحثيث في بيان ما ليس بحديث
وقد وجدت له أصلا موقوفا، رواه ابن قتيبة في " غريب الحديث " (1 / 46 / 2) حدثني السجستاني حدثنا الأصمعي عن حماد بن سلمة عن عبيد الله بن العيزار
عن عبد الله بن عمرو أنه قال: فذكره موقوفا عليه إلا أنه قال: " احرث لدنياك " إلخ
وعبيد الله بن العيزار لم أجد من ترجمه
ثم وقفت عليها في " تاريخ البخاري " (3 / 394) و" الجرح والتعديل " (2 / 2 / 330) بدلالة بعض أفاضل المكيين نقلا عن تعليق للعلامة الشيخ عبد الرحمن المعلمي اليماني رحمه الله تعالى وفيها يتبين أن الرجل وثقه يحيي بن سعيد القطان وأنه يروي عن الحسن البصري وغيره من التابعين فالإسناد منقطع
ويؤكده أنني رأيت الحديث في " زوائد مسند الحارث " للهيثمي (ق 130 / 2) من طريق أخرى عن ابن العيزار قال: لقيت شيخا بالرمل من الأعراب كبيرا فقلت: لقيت أحدا من أصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم؟ فقال: نعم، فقلت: من؟ فقال: عبد الله بن عمرو بن العاص....
ثم رأيت ابن حبان قد أورده في " ثقات أتباع التابعين " (7 / 148)
ورواه ابن المبارك في " الزهد " من طريق آخر فقال (218 / 2) : أنبأنا محمد ابن عجلان عبد الله بن عمرو بن العاص قال: فذكره موقوفا، وهذا منقطع وقد روي مرفوعا، أخرجه البيهقي في سننه (3 / 19) من طريق أبي صالح حدثنا الليث عن ابن عجلان عن مولى لعمر بن عبد العزيز عن عبد الله بن عمرو بن العاص عن رسول الله صلى الله عليه وسلم أنه قال: فذكره في تمام حديث أوله: " إن هذا الدين متين فأو غل فيه برفق، ولا تبغض إلى نفسك عبادة ربك، فإن المنبت لا سفرا قطع ولا ظهرا أبقى، فاعمل عمل امريء يظن أن لن يموت أبدا، واحذر حذر (امريء) يخشى أن يموت غدا "
وهذا سند ضعيف وله علتان جهالة مولى عمر بن عبد العزيز وضعف أبي صالح وهو عبد الله بن صالح كاتب الليث كما تقدم في الحديث (6)
ثم إن هذا السياق ليس نصا في أن العمل المذكور فيه هو العمل للدنيا، بل الظاهر منه أنه يعني العمل للآخرة، والغرض منه الحض على الاستمرار برفق في العمل الصالح وعدم الانقطاع عنه، فهو كقوله صلى الله عليه وسلم: " أحب الأعمال إلى الله أدومها وإن قل " متفق عليه والله أعلم
هذا والنصف الأول من حديث ابن عمرو رواه البزار (1 / 57 / 74 ـ كشف الأستار) من حديث جابر، قال الهيثمي في " مجمع الزوائد " (1 / 62) : وفيه يحيى بن المتوكل أبو عقيل وهو كذاب
قلت: ومن طريقه رواه أبو الشيخ ابن حيان في كتابه " الأمثال " (رقم 229)
لكن يغني عنه قوله صلى الله عليه وسلم: " إن هذا الدين يسر، ولن يشاد هذا الدين أحد إلا غلبه، فسددوا وقاربوا وأبشروا ... " أخرجه البخاري في صحيحه من حديث أبي هريرة مرفوعا
وقد روى الحديث بنحوه من طريق أخرى وسيأتي بلفظ (أصلحوا دنياكم ... ) (رقم 878)
পরিচ্ছেদঃ
৯। আমি প্রত্যেক পরহেজগার (সংযমী) ব্যাক্তির দাদা।
হাদীসটির কোন ভিত্তি নাই।
হাফিয সুয়ূতীকে এটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তিনি বলেনঃ আমি এ হাদীসটি চিনি না। তিনি এ কথাটি তার “আল-হাবী লিল ফাতাওয়া” গ্রন্থে (২/৮৯) বলেছেন।
أنا جد كل تقي
لا أصل له
-
سئل عنه الحافظ السيوطي فقال: لا أعرفه ذكره في كتابه " الحاوي للفتاوي " (2 / 89)
পরিচ্ছেদঃ
১০। নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর বান্দাকে হালাল রুযি অন্বেষণের উদ্দেশ্যে পরিশ্রান্ত অবস্থায় দেখতে ভালবাসেন।
হাদীসটি জাল।
এটিকে আবু মানসূর দাইলামী “মুসনাদুল ফিরদাউস” গ্রন্থে আলী (রাঃ)-এর হাদীস হতে মারফু হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
হাফিয ইরাকী (২/৫৬)বলেনঃ এটির সনদে মুহাম্মাদ ইবনু সাহাল আল-আত্তার নামক এক বর্ণনাকারী আছেন। তার সম্পর্কে দারাকুতনী বলেনঃ তিনি হাদীস জালকারী।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ হাদীসটি সেই সব হাদীসের একটি যেগুলোকে সুয়ূতী “জামেউস সাগীর” গ্রন্থে উল্লেখ করে তার গ্রন্থকে কালিমালিপ্ত করেছেন ভূমিকাতে উদ্ধৃত তার নিজ উক্তির বিরোধিতা করে, তিনি বলেছেনঃ
صنته عما تفرد به وضاع أو كذاب
’আমি কিতাবটি জালকারী ও মিথ্যুকের একক বর্ণনা হতে হেফাযাত করেছি।
এ গ্রন্থের ভাষ্যকার আব্দুর রউফ আল-মানবী “ফয়যুল কাদীর” গ্রন্থে বলেনঃ -জামেউস সাগীর" এর লেখকের হাদীসটিকে তার গ্রন্থ হতে মুছে ফেলা উচিত ছিল।
إن الله يحب أن يرى عبده تعبا في طلب الحلال
موضوع
-
رواه أبو منصور الديلمي في " مسند الفردوس " من حديث علي رضي الله عنه مرفوعا، قال الحافظ العراقي (2 / 56) : وفيه محمد بن سهل العطار، قال الدارقطني: يضع الحديث
قلت: وهذا من الأحاديث الموضوعة التي شان بها السيوطي كتابه " الجامع الصغير " خلافا لما تعهد به في مقدمته فقال: وصنته عما تفرد به وضاع أو كذاب، فإنه عفا الله عنا وعنه لم يف بما تعهد به، وفي النية إذا يسر الله لنا أن نتوجه إلى تطهيره من تلك الأحاديث وجمعها في كتاب خاص ونشره على الناس حتى يكونوا على حذر منها
هذا وقد قال الشيخ عبد الرؤوف المناوي في شرحه لـ" الجامع، " فيض القدير " بعد أن نقل ما ذكرته عن العراقي: فكان ينبغي للمصنف حذفه
পরিচ্ছেদঃ
১২। আল্লাহ দুনিয়ার নিকট অহী মারফত বলেছেন যে, তুমি খেদমত কর ঐ ব্যাক্তির যে আমার খেদমত করে আর কষ্ট দাও ঐ ব্যাক্তিকে যে তোমার খেদমত করে।
হাদীসটি জাল।
হাদীসটি খাতীব বাগদাদী “তারীখ বাগদাদ” গ্রন্থে (৮/৪৪) ও হাকিম “মা’রিফাতু উলূমিল হাদীস” গ্রন্থে (পৃ:১০১) বিভিন্ন সূত্রে হুসাইন বিন দাউদ হতে, তিনি ফুযায়েল ইবনু আয়ায হতে, ... আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ হতে মারফু হিসাবে বর্ননা করেছেন। আল-খাতীব বলেনঃ হুসাইন ফুযায়েল হতে এককভাবে বর্ণনা করেছেন। হাদীসটি বানোয়াট। হুসাইন ইবনু দাউদ বাদে হাদীসটির সকল বর্ণনাকারী নির্ভরশীল। কারণ তিনি ইয়াযীদ ইবনু হারুণ সূত্রে হুমায়েদ-এর মাধ্যমে আনাস (রাঃ) হতে একটি কপি বর্ণনা করেছেন, যার অধিকাংশই বানোয়াট।
أوحى الله إلى الدنيا: أن اخدمي من خدمني، وأتعبي من خدمك
موضوع
-
أخرجه الخطيب في " تاريخ بغداد " (8 / 44) واللفظ له والحاكم في " معرفة علوم الحديث " (ص 101) من طرق عن الحسين بن داود بن معاذ البلخي قال حدثنا الفضيل بن عياض قال حدثنا منصور عن إبراهيم عن علقمة عن عبد الله بن مسعود مرفوعا
قال الخطيب: تفرد بروايته الحسين عن الفضيل، وهو موضوع، ورجالهم كلهم ثقات سوى الحسين بن داود، ولم يكن ثقة، فإنه روى نسخة عن يزيد بن هارون عن حميد عن أنس أكثرها موضوع
পরিচ্ছেদঃ
১৫। শাম দেশ আমার তীর রাখার স্থল। যে তাঁর কোনোরূপ অনিষ্ট করার ইচ্ছা করবে, আমি তাঁকে সেখানকার তীর দ্বারা আঘাত করব।
মারফূ’ হিসেবে হাদীসটির কোন ভিত্তি নাই।
সম্ভবত এটি ইসরাইলী বর্ণনার অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ আহলে কিতাবদের বর্ণনাকৃত। এটি হাফিয আবুল হাসান রিব’ঈ “ফাযায়েলুশ-শাম” গ্রন্থে (পৃঃ ৭) আউন ইবনু আবদিল্লাহ ইবনে উতবা হতে বর্ণনা করেছেন।
এটির সনদে বর্ণনাকারী মাসউদী রয়েছেন। তার নাম আব্দুর রহমান ইবনু আবদিল্লাহ। তার মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটার কারণে তিনি দুর্বল। এছাড়া অন্য বর্ণনাকারীদের জীবনী কে উল্লেখ করেছেন পাচ্ছি না।
ইমাম সাখাবীও “মাকাসিদুল হাসানা” গ্রন্থে বলেছেনঃ মারফু হিসাবে হাদীসটির কোন ভিত্তি নেই।
الشام كنانتي فمن أرادها بسوء رميته بسهم منها
لا أصل له في المرفوع
-
ولعله من الإسرائيليات، فقد أخرج الحافظ أبو الحسن الربعي في " فضائل الشام " (ص 3) عن عون بن عبد الله بن عتبة قال: قرأت فيما أنزل الله عز وجل على بعض الأنبياء أن الله تعالى يقول: الشام كنانتي فإذا غضبت على قوم رميته منها بسهم
وفي سنده المسعودي واسمه عبد الرحمن بن عبد الله وهو ضعيف لاختلاطه، وجماعة آخرون لم أجد من ترجمهم، ويروى مثل هذا المعنى في مصر أيضا ولا أصل له في المرفوع أيضا كما يشير إليه كلام السخاوي في المقاصد الحسنة
পরিচ্ছেদঃ
১৬। আমার উম্মাতের দু’শ্রেণীর লোক যখন ঠিক হয়ে যাবে, তখন মানুষ ভাল হয়ে যাবে। নেতাগণ এবং ফাকীহগণ। (অন্য বর্ণনায় এসেছে ’আলেমগণ’)।
হাদীসটি জাল
তাম্মাম “আল-ফাওয়াইদ” গ্রন্থে (১/২৩৮), আবু নোয়াইম “হিলইয়াহ” গ্রন্থে (৪/৯৬) এবং ইবনু আবদিল বার "জামেউ বায়ানিল ইলম” গ্রন্থে (১/১৮৪) মুহাম্মাদ বিন যিয়াদ ইয়াশকুরী সূত্রে ... হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
এ সনদটি বানোয়াট। এ মুহাম্মাদ ইবনু যিয়াদ সম্পর্কে ইমাম আহমাদ বলেনঃ كذاب أعور يضع الحديث ’তিনি মিথ্যুক, চোখ টেরা, হাদীস জালকারী’।
ইবনু মাঈন ও দারাকুতনী বলেনঃ “كذاب” তিনি মিথ্যুক । আবূ যুর’আহ ও অন্যরাও তাকে মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন। সুয়ূতী হাদীসটি “জামেউস সাগীর” গ্রন্থে তার শর্তের বিরোধিতা করে উল্লেখ করেছেন। গাযালী “আল-ইহইয়া” গ্রন্থে (১/৬) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর হাদীস হিসাবে উল্লেখ করেছেন। তার তাখরীজকারী হাফিয ইরাকী বলেনঃ সনদটি দুর্বল। হাফিয যে বলেছেন সনদটি দুর্বল আর আমরা বলেছি বানোয়াট তার মধ্যে কোন দ্বন্ধ নেই। কারণ বানোয়ট হচ্ছে দুর্বল হাদীসের প্রকারগুলোর একটি। যেমনটি হাদীস শাস্ত্রের নীতির উপর রচিত গ্রন্থ সমূহে এসেছে। এ মিথ্যুকের আরেকটি হাদীসঃ (দেখুন পরেরটি)
صنفان من أمتي إذا صلحا صلح الناس: الأمراء والفقهاء، [وفي رواية: العلماء]
موضوع
-
أخرجه تمام في " الفوائد " (238 / 1) وأبو نعيم في " الحلية " (4 / 96) وابن عبد البر في " جامع بيان العلم " (1 / 184) من طريق محمد بن زياد اليشكري عن ميمون بن مهران عن ابن عباس مرفوعا
وهذا سند موضوع محمد بن زياد هذا قال أحمد: كذاب أعور يضع الحديث وقال ابن معين والدارقطني: كذاب
وكذبه أبو زرعة أيضا وغيره
والحديث مما أورده السيوطي في " الجامع " خلافا لشرطه! وأورده الغزالي في " الإحياء " (1 / 6) جازما بنسبته إليه صلى الله عليه وسلم! وقال مخرجه الحافظ العراقي بعد أن عزاه لابن عبد البر وأبي نعيم: سنده ضعيف
(تنبيه)
ولا منافاة بين قول الحافظ هذا وبين حكمنا عليه بالوضع إذ أن الموضوع من أنواع الحديث الضعيف كما هو مقرر في علم المصطلح
পরিচ্ছেদঃ
১৭। যে ব্যাক্তি হাসতে হাসতে গুনাহ করবে, সে কাঁদতে কাঁদতে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
হাদীসটি জাল।
হাদীসটি আবু নু’য়াইম (৪/৯৬) উমর ইবনু আইউব সূত্রে ... বর্ণনা করেছেন। এ সনদেও মুহাম্মাদ ইবনু যিয়াদ ইয়াশকুরী রয়েছেন।
এ হাদীসটি সেই সব হাদীসের একটি, যেগুলোর দ্বারা সুয়ূতী তার “জামোউস সাগীর” গ্রন্থকে কালিমালিপ্ত করেছেন। হাদীসটি সম্পর্কে “জামেউস সাগীর” গ্রন্থের ভাষ্যকার মানবী বলেনঃ এর সনদে বর্ণনাকারী উমার ইবনু আইউব রয়েছেন, তার সম্পর্কে যাহাবী বলেনঃ ইবনু হিব্বান তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ উমার হচ্ছেন মুযানী। দারাকুতনী তাকে খুবই দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন, যেমনটি “আল-মীযান” এবং “আল-লিসান” গ্রন্থে এসেছে। হাদীসটির সনদে মুহাম্মাদ বিন যিয়াদ ইয়াশকুরীও রয়েছেন। তার দ্বারা দোষ বর্ণনা করাই উত্তম। কারণ তাকে মুহাদ্দিসগণ মিথ্যুক এবং হাদীস জালকারী বলে আখ্যা দিয়েছেন।
এ মিথ্যুকের সূত্রেই বর্ণিত হয়েছে নিম্নের হাদীসটিঃ (দেখুন পরেরটি)
من أذنب وهو يضحك دخل النار وهو يبكي
موضوع
-
أخرجه أبو نعيم أيضا (4 / 96) من طريق عمر بن أيوب حدثنا أبو إبراهيم الترجمان حدثنا محمد بن زياد اليشكري بإسناده المتقدم
وهو من الأحاديث التي سود بها السيوطي أيضا كتابه " الجامع الصغير "! وقال شارحه المناوي: وفيه عمر بن أيوب قال الذهبي: جرحه ابن حبان
قلت: وعمر هذا الظاهر أنه المزني وهاه الدارقطني كما في " الميزان " و" لسانه " فالحمل في الحديث على اليشكري أولى
ثم رأيته في " الحلية (6 / 185) عن بكر بن عبد الله المزني من قوله وهو الأشبه
পরিচ্ছেদঃ
১৮। তোমরা পরকাটা কবুতর গ্রহণ কর, কারন তা তোমাদের বাচ্চাদের (সন্তানদের) থেকে জ্বীনকে বিমুখ করে দেয়।
হাদীসটি জাল।
এটি ইবনু আদী “আল-কামিল” গ্রন্থে (২/২৮৮), খাতীব বাগদাদী (৫/২৭৮) ও ইবনু আসাকির (১৭/৪৬৯) মুহাম্মাদ বিন যিয়াদ সূত্রে পূর্বের সনদেই ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।
এ হাদীসটিকেও সুয়ুতী “জামেউস সাগীর” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন তার ভাষ্যকার মানবী তার সমালোচনা করে বলেছেনঃ মুহাম্মাদ ইবনু যিয়াদ সম্পর্কে ইমাম আহমাদ, ইবনু মাঈন প্রমুখ মুহাদ্দিসগণ বলেছেনঃ তিনি ছিলেন মিথ্যুক, হাদীস জালকারী।
ইবনু হাজার বলেনঃ তাকে তারা মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন। যাহাবী “আল-মীযান” গ্রন্থে বলেনঃ তিনি মিথ্যুক, জালকারী। ইবনু হিব্বান বলেছেনঃ তিনি নির্ভরশীলদের উদ্ধৃতিতে জাল হাদীস বর্ণনা করেছেন। এ কারণেই ইবনুল জাওয়ী হাদীসটি জাল বলে হুকুম লাগিয়েছেন। ইবনু ইরাক, হিন্দী ও অন্যরাও হাদীসটি জাল বলেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তাদের মধ্যে “আল-মানার” গ্রন্থে (৩৯) জাল আখ্যাদানকারী হিসাবে ইবনুল কাইয়্যিমও রয়েছেন। এ মিথ্যুকের আরো একটি হাদীসঃ (দেখুন পরেরটি)
اتخذوا الحمام المقاصيص فإنها تلهي الجن عن صبيانكم
موضوع
-
أخرجه ابن عدي في " الكامل " (288 / 2) والخطيب (5 / 279) وابن عساكر (17 / 469) من طريق محمد بن زياد بإسناده السابق عن ابن عباس
وهو من أحاديث " الجامع الصغير " أيضا! وقد عزاه فيه للخطيب والديلمي في " مسند الفردوس " عن ابن عباس وابن عدي عن أنس فتعقبه شارحه المناوي بقوله: وقضيته أن مخرجه الخطيب خرجه ساكتا عليه والأمر بخلافه، فإنه عقبه بنقله عن أحمد وابن معين وغيرهما أن محمد بن زياد كان كذابا يضع الحديث
انتهى
وقال ابن حجر: فيه محمد بن زياد اليشكري كذبوه، وفي " الميزان " كذاب وضاع ثم أورد له هذا الخبر، وابن عدي رواه من حديث عثمان بن مطر عن ثابت عن أنس بن مالك قال في الميزان عن ابن حبان بعد ما ساق له هذا الخبر: يروي الموضوعات عن الأثبات، ومن ثم حكم ابن الجوزي بوضعه وتبعه المؤلف في " مختصر الموضوعات " ساكتا عليه، وحكاه عنه في " الكبير " وأقره فكان ينبغي حذفه من هذا الكتاب وفاء بشرطه
وممن جزم بوضعه ابن عراق والهندي وغيرهما
قلت: ومنهم ابن القيم في " المنار " (39)
পরিচ্ছেদঃ
১৯। তোমরা তোমাদের নারীদের মজলিশগুলো প্রেমালাপের দ্বারা সৌন্দর্য মণ্ডিত কর।
হাদীসটি বানোয়াট।
হাদীসটি ইবনু আদী (২/২৮৮) ও খাতীব বাগদাদী (৫/২৮০) ইয়াশকুরী সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
ইবনু আদী বলেনঃ এ ইয়াশকুরী দুর্বলদের অন্তর্ভুক্ত। তিনি মায়মুন হতে এমন সব মুনকার হাদীস বর্ণনা করেছেন, যেগুলো তিনি ছাড়া অন্য কেউ বর্ণনা করেননি। কোন নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী তার সাথে মিলে হাদীসটি বর্ণনা করেননি।
খাতীব বাগদাদী সূত্রে হাদীসটি ইবনুল জাওয়ী “মাওযু’আত” গ্রন্থে (২/২৭৭) উল্লেখ করেছেন। আর সুয়ূতী “আল-লাআলী” গ্রন্থে (২/১৭৯) তাকে সমর্থন করেছেন।
এ হাদীসের মতই আরো একটি হাদীসঃ (দেখুন পরেরটি)
زينوا مجالس نسائكم بالمغزل
موضوع
-
أخرجه ابن عدي (288 / 2) والخطيب (5 / 380) عن اليشكري بسنده المتقدم عن ابن عباس مرفوعا وقال ابن عدي: اليشكري هذا بين الأمر في الضعفاء يروي عن ميمون أحاديث مناكير لا يرويها غيره ولا يتابعه أحد من الثقات عليها
ومن طريق الخطيب أورده ابن الجوزي في " الموضوعات " (2 / 277) وأقره السيوطي في اللآليء (2 / 179)
পরিচ্ছেদঃ
২০। তোমাদের দস্তরখানাগুলো সবজি দ্বারা সৌন্দর্যমণ্ডিত কর, কারন তা বিসমিল্লাহ বলে আহার করলে শয়তানকে বিতাড়ণকারী যন্ত্র।
হাদীসটি বানোয়াট।
হাদীসটি আব্দুর রহমান আদ-দামেস্কি "আল-ফাওয়াইদ" গ্রন্থে (২/২২৯/১), ইবনু হিব্বান “আয-যু’য়াফা ওয়াল মাতরূকীন" গ্রন্থে (২/১৮৬) এবং আবু নু’য়াইম “আখবারু আসবাহান” গ্রন্থে (২/২১৬) “আলা ইবনু মাসলামা সূত্রে ... বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এটি একটি জাল হাদীস। এর সমস্যা হচ্ছে বর্ণনাকারী এ আলা। যাহাবী “আল-মীযান” গ্রন্থে বলেন, আযদী বলেছেনঃ ’আলা হতে বর্ণনা করা বৈধ নয়। কারণ কি বর্ণনা করছেন তিনি তার কোন পরওয়া করতেন না। ইবনু তাহের বলেনঃ তিনি হাদীস জাল করতেন। ইবনু হিব্বান বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্যদের উদ্ধৃতিতে হাদীস জাল করতেন। তিনি আরো বলেনঃ কোন অবস্থাতেই তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করা হালাল নয়।
সুয়ুতী হাদীসটিকে “জামেউস সাগীর” গ্রন্থে উল্লেখ করে তার গ্রন্থকে কালিমালিপ্ত করেছেন।
ইবনুল জাওয়ী হাদীসটি “আল-মাওযু’আত” গ্রন্থে (৩/২৯৮) ইবনু হিব্বান এর সূত্রে ’আলা ইবনু মাসলামা হতে উল্লেখ করেছেন। অতঃপর বলেছেনঃ এটির কোন ভিত্তি নেই, ’আলা জালকারী...। এছাড়া “আল-মীযান” গ্রন্থে যা উল্লেখ করা হয়েছে তিনি সে সব কিছুও উল্লেখ করেছেন।
সুয়ূতী তার সমালোচনা করে এ হাদীসটির আরো একটি সূত্র “আল লাআলিল মাসনুয়াহ" গ্রন্থে (২/১২) উল্লেখ করেছেন, যাতে হাসান ইবনু শাবীবুল মাকতাব নামক এক বর্ণনাকারী রয়েছেন।
তার সম্পর্কে যাহাবী "আল-মীযান" গ্রন্থে বলেনঃ তিনি হচ্ছেন এ হাদীসের সমস্যা। তার সম্পর্কে ইবনু আদী বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্যদের উদ্ধৃতিতে বাতিল হাদীস বর্ণনা করতেন।
ইবনুল কাইয়্যিম "আল-মানার" গ্রন্থে (পৃ. ৩২) বলেছেনঃ হাদীসটি জাল।
زينوا موائدكم بالبقل فإنه مطردة للشيطان مع التسمية
موضوع
-
أخرجه عبد الرحمن بن نصر الدمشقي في " الفوائد " (2 / 229 / 1) وابن حبان في " الضعفاء والمتروكين " (2 / 186) وأبو نعيم في " أخبار أصبهان " (2 / 216) وغيرهما من طريق العلاء بن مسلمة عن إسماعيل ابن مغراء الكرماني عن ابن عياش عن برد عن مكحول عن أبي أمامة مرفوعا
قلت: وهذا موضوع، وآفته العلاء هذا، قال الذهبي في " الميزان ": قال الأزدي: لا تحل الرواية عنه كان لا يبالي ما روى، وقال ابن طاهر: كان يضع الحديث، وقال ابن حبان: يروي الموضوعات عن الثقات، وتمام كلام ابن حبان: لا يحل الاحتجاج به بحال
والحديث مما شان به السيوطي " جامعه " فأورده من طريق ابن حبان في " الضعفاء " والديلمي في مسند الفردوس " عن أبي أمامة، وقال شارحه المناوي: وفيه إسماعيل بن عياش مختلف فيه عن برد بن سنان أورده الذهبي في الضعفاء
ورواه عنه أبو نعيم وعنه تلقاه الديلمي مصرحا فلوعزاه له لكان أولى
قلت: لقد أبعد الشارح النجعة فعلة الحديث ممن دون من ذكرهم كما عرفت، وقد أورده ابن الجوزي في " الموضوعات " (2 / 298) من طريق ابن حبان عن العلاء بن مسلمة به، ثم قال ابن الجوزي: لا أصل له، العلاء يضع ... وذكر ما تقدم نقله عن " الميزان
فتعقبه السيوطي في " اللآليء المصنوعة في الأحاديث الموضوعة " (2 / 12) بقوله: قلت: روى له الترمذي
قلت: وهذا تعقب لا طائل تحته مع ثبوت جرح الرجل فرواية الترمذي عنه لا تعدله وكم في رواته من مجروحين ومتهمين كما لا يخفى على العارفين بتراجم رواة الحديث
ثم ساق له السيوطي في " اللآليء " طريقا أخرى من رواية واثلة بن الأسقع مرفوعا وفيه الحسن بن شبيب المكتب، قال الذهبي في " الميزان ": هو آفة هذا الحديث قال فيه ابن عدي: حدث بالبواطيل عن الثقات وقد جزم ابن القيم في " المنار " (ص 32) بأن الحديث موضوع، أورده في التنبيه على أمور كلية يعرف بها كون الحديث موضوعا، ثم قال (ص 35) : ومنها سماجة الحديث وكونه مما يسخر منه
ثم ذكر أحاديث؛ هذا منها
পরিচ্ছেদঃ
২১। আমার অবস্থা সম্পর্কে তাঁর জ্ঞাত হওয়া আমার চাওয়ার জন্য যথেষ্ট।
এটির কোন ভিত্তি নেই।
কেউ কেউ এটিকে ইবরাহীম (আঃ)-এর বাণী বলেছেন। যখন তাঁকে আগুনে নিক্ষেপ করা হয়, তখন জিবরীল (আঃ) তাকে তার প্রয়োজনীতার কথা জিজ্ঞাসা করেন। সে সময় তিনি এ কথা দ্বারা তার উত্তর দিয়েছিলেন। এটি ইসরাইলী বর্ণনা। মারফু’ হিসাবে এর কোন সনদ মিলে না। বাগাবী সূরা আম্বিয়ার তাফসীরের মধ্যে উল্লেখ করে দুর্বল বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
এছাড়া এটি কুরআন এবং সহীহ হাদীস পরিপন্থী। কারণ কুরআন এবং সহীহ হাদীসে আল্লাহকে ডাকা ও তাঁর কাছে চাওয়ার ব্যাপারে বহু তাগিদ এসেছে। এছাড়া দোয়ার ফযীলতও বর্ণনা করা হয়েছে। ইব্রাহীম (আঃ) নিজে আল্লাহর নিকট প্রার্থনাও করেছেন। ইবরাহীম (আঃ) বলেনঃ
رَّبَّنَا إِنِّي أَسْكَنتُ مِن ذُرِّيَّتِي بِوَادٍ غَيْرِ ذِي زَرْعٍ عِندَ بَيْتِكَ الْمُحَرَّمِ رَبَّنَا لِيُقِيمُوا الصَّلَاةَ فَاجْعَلْ أَفْئِدَةً مِّنَ النَّاسِ تَهْوِي إِلَيْهِمْ وَارْزُقْهُم مِّنَ الثَّمَرَاتِ لَعَلَّهُمْ يَشْكُرُونَ
সূরা ইব্রাহীম-এর ৩৭ নং আয়াত হতে ৪১ নং পর্যন্ত সবই দোআ । এছাড়া কুরআন এবং সুন্নাতের মধ্যে নবীগণের অগণিত দোআ এসেছে।
আল্লাহ্ বলছেনঃ তোমরা আমাকে ডাক আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব...। (সূরা গাফেরঃ ৬০)
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ দো’আই হচ্ছে ইবাদাত । সহীহ আবী দাউদ (১৩২৯)। হাদীসটি সুনান রচনাকারীগণ বর্ণনা করেছেন।
এমনকি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহকে ডাকে না আল্লাহ তার উপর রাগান্নিত হন।’ এ হাদীসটি হাকিম বর্ণনা করে ১/৪৯১ সহীহ্ আখ্যা দিয়েছেন আর যাহাবী তার কথাকে সমর্থন করেছেন। আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীসটি হাসান।
আলোচ্য হাদীসটিকে ইবনু ইরাক “তানযীহুশ-শারী’য়াতিল মারফুয়াহ আনিল আখবারিশ-শানী’য়াতিল মাওযুআহ” গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেন (১/২৫০), ইবনু তাইমিয়্যা বলেছেনঃ হাদীসটি বানোয়াট।
حسبي من سؤالي علمه بحالي
لا أصل له
-
أورده بعضهم من قول إبراهيم عليه الصلاة والسلام، وهو من الإسرائيليات ولا أصل له في المرفوع، وقد ذكره البغوي في تفسير سورة الأنبياء مشيرا لضعفه فقال: روي عن كعب الأحبار: " أن إبراهيم عليه الصلاة والسلام ... لما رموا به في المنجنيق إلى النار استقبله جبريل فقال: يا إبراهيم ألك حاجة؟
قال: أما إليك فلا، قال جبريل: فسل ربك، فقال إبراهيم: حسبي من سؤالي علمه بحالي ".
وقد أخذ هذا المعنى بعض من صنف في الحكمة على طريقة الصوفية فقال: سؤالك منه يعني الله الله تعالى اتهام له، وهذه ضلالة كبري! فهل كان الأنبياء صلوات الله عليهم متهمين لربهم حين سألوه مختلف الأسئلة؟ فهذا إبراهيم عليه الصلاة والسلام يقول: (ربنا إني أسكنت من ذريتي بواد غير ذي زرع عند بيتك المحرم، ربنا ليقيموا الصلاة فاجعل أفئدة من الناس تهو ي إليهم وارزقهم من الثمرات لعلهم يشكرون، ربنا ... ) إلى آخر الآيات وكلها أدعية، وأدعية الأنبياء في الكتاب والسنة لا تكاد تحصى، والقائل المشار إليه قد غفل عن كون الدعاء الذي هو تضرع والتجاء إلى الله تعالى عبادة عظيمة بغض النظر عن ماهية الحاجة المسؤولة، ولهذا قال صلى الله عليه وسلم: " الدعاء هو العبادة، ثم تلا قوله تعالى: (وقال ربكم ادعوني أستجب لكم إن الذين يستكبرون عن عبادتي سيدخلون جهنم داخرين) " ذلك لأن الدعاء يظهر عبودية العبد لربه وحاجته إليه ومسكنته بين يديه، فمن رغب عن دعائه، فكأنه رغب عن عبادته سبحانه وتعالى، فلا جرم جاءت الأحاديث متضافرة في الأمر به والحض عليه حتى قال صلى الله عليه وسلم: " من لا يدع الله يغضب عليه
أخرجه الحاكم (1 / 491) وصححه ووافقه الذهبي
قلت: وهو حديث حسن، وتجد بسط الكلام في تخريجه وتأكيد تحسينه والرد على من زعم من إخواننا أنني صححته وغير ذلك من الفوائد في " السلسلة الأخرى " (رقم 2654)
وقالت عائشة رضي الله عنها: سلوا الله كل شيء حتى الشسع، فإن الله عز وجل، إن لم ييسره لم يتيسر
أخرجه ابن السني (رقم 349) بسند حسن، وله شاهد من حديث أنس عند الترمذي (4 / 292) وغيره وضعفه وهو مخرج فيما سيأتي برقم (1362)
وبالجملة فهذا الكلام المعزو لإبراهيم عليه الصلاة والسلام لا يصدر من مسلم يعرف منزلة الدعاء في الإسلام فكيف يصدر ممن سمانا المسلمين؟
ثم وجدت الحديث قد أورده ابن عراق في " تنزيه الشريعة المرفوعة عن الأخبار الشنيعة الموضوعة " وقال (1 / 250) : قال ابن تيمية موضوع
পরিচ্ছেদঃ
২২। তোমরা আমার সত্তা দ্বারা অসীলা ধর, কারন আমার সত্তা আল্লাহর কাছে মহান।
এটির কোন ভিত্তি নেই।
এ ব্যাপারে ইবনু তাইমিয়া (রহঃ) “আল-কা’য়েদাতুল জালীলাহ" গ্রন্থে আলোকপাত করেছেন। কোন সন্দেহ নেই যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সত্তা আল্লাহর নিকট মহা সম্মানিত। আল্লাহ তা’আলা মূসা (আঃ)-এর ব্যাপারে বলেনঃ (وَكَانَ عِندَ اللَّهِ وَجِيهًا) অর্থঃ “তিনি আল্লাহর নিকট বড়ই সম্মানিত ছিলেন।" (সূরা আহযাবঃ ৬৯)। আমরা সকলে জ্ঞাত আছি যে, আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মূসা (আঃ)-এর চাইতেও উত্তম। কিন্তু এটি এক বিষয় আর তাঁর সত্তার অসীলায় কিছু চাওয়া অন্য বিষয়। দুটি বিষয়কে এক করে দেখার কোন সুযোগ নেই। কারণ তাঁর সত্তার অসীলায় যে ব্যক্তি কিছু পাবার ইচ্ছা পোষণ করে, সে এটা কামনা করে যে তাঁর দোআ কবুল হয়। এ বিশ্বাস (যে তিনি পরে কারো জন্য দোআ করতে সক্ষম) সাব্যস্ত করার জন্য প্রয়োজন সহীহ দলীলের। কারণ এটি সম্পূর্ণ গায়েবী ব্যাপার। তার পরেও এটি এমন এক বিষয় যে তা ব্যক্তির বুদ্ধি দ্বারা জানা এবং তা সাব্যস্ত করাও সম্ভব নয়।
আমরা দলীল দেখতে গেলে পাচ্ছি যে, অসীলা সংক্রান্ত হাদীসগুলো দু’ভাগে বিভক্ত, সহীহ ও য’ঈফ। যদি সহীহ হাদীসগুলোর দিকে লক্ষ করি, তাহলে দেখতে পাব যে, সেগুলোতে তাঁর সত্তা দ্বারা অসীলা গ্রহণকারীর কোন দলীল মিলছে না। ইসতিস্কার সালাতে তার মাধ্যমে অসীলা করা, অন্ধ ব্যক্তির তার মাধ্যমে অসীলা করা, এসব অসীলা ছিল তার জীবিত থাকা অবস্থায় তাঁর দো’আর দ্বারা, তার সত্তার দ্বারা নয়। অতএব যখন তাঁর মৃত্যুর পর তার দোআর দ্বারা অসীলা করা সম্ভব নয়, তখন তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর সত্তার দ্বারা অসীলা করাও সম্ভব নয় এবং তা জায়েযও নয়। যদি তা জায়েয থাকত তাহলে সাহাবীগণ উমার (রাঃ)-এর যুগে ইসতিস্কার সালাতে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চাচা আব্বাস (রাঃ)-এর মাধ্যমে বৃষ্টির জন্য দোআ করতেন না। বরং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অসীলায় পানি প্রার্থনা করতেন। কারণ তিনিই সর্ব শ্রেষ্ঠ। তারা (সাহাবীগণ) উমার (রাঃ) এর যুগে আব্বাস (রাঃ)-এর দোআকে মাধ্যম হিসাবে ধরে তার দ্বারা বৃষ্টি প্রার্থনা করেছেন। এ কারণে যে, তারা জানতেন কোন অসীলাটি বৈধ আর কোনটি বৈধ নয়। অর্থাৎ জীবিত ব্যক্তিকে বাদ দিয়ে মৃত্যু ব্যক্তির দোআ বা তার সত্তার অসীলা ধরা বৈধ নয়। সে যে কেউ হোকনা কেন। যে অন্ধ ব্যক্তি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে অসীলা ধরেছিলেন, তার দোআর ভাষা ছিল এরুপ اللهم فشفعه في হে আল্লাহ! তুমি তাঁর শাফা’আতকে (দোআকে)
বিদ’আতী অসীলার সাথে তার কোন প্রকার সম্পর্ক নেই। এ কারণে ইমাম আবূ হানীফা (রহঃ) এ ধরনের অসীলাকে অস্বীকার করে বলেছেনঃ أكره أن يسأل الله إلا بالله ’আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কারো মাধ্যমে চাওয়াকে আমি ঘৃণা করি। এমনটিই এসেছে “দুররুল মুখতার" সহ হানাফী মাযহাবের অন্যান্য গ্রন্থে।
কাওসারী যে বলেছেন "ইমাম শাফেঈ ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)-এর অসীলায় তার কবরের নিকট বরকত গ্রহণ করেছেন এবং আল্লাহর কাছে চেয়েছেন।" এ মর্মে বর্ণিত কথাটি বাতিল। কারণ তার সূত্রে উমার বিন ইসহাক নামে এক ব্যক্তি আছেন, যার সম্পর্কে কিছু জানা যায় না। তিনি মাজহুল অপরিচিত। এ জন্য ইবনু তাইমিয়া (রহঃ) বলেছেন যে, এটি ইমাম শাফে’ঈর উপর মিথ্যারোপ।
ইবনু তাইমিয়্যাহ “ইকতিযাউস সিরাতিল মুসতাকীম" গ্রন্থে (১৬৫) বলেনঃ এটি সুস্পষ্ট মিথ্যারোপ ... কারণ ইমাম শাফে’ঈ হিজাজ, ইয়ামান, শাম, ইরাক, মিসর ভ্রমনকালে বহু নবী, সাহাবী ও তাবেঈগণের কবর দেখেছেন যারা ইমাম আবু হানীফা ও তার ন্যায় আলেমগণের চেয়ে বহুগুনে উত্তম, তা সত্ত্বেও তিনি তাদের কারো নিকট দুআ না করে শুধু আবূ হানীফার নিকট দু’আ করেলেন? এ ছাড়া ইমাম আবু হানীফার কোন শিষ্য থেকেও এরূপ প্রমাণিত হয়নি ...।
আর দ্বিতীয় প্রকার অসীলা সংক্রান্ত হাদীসগুলো দুর্বল, যেগুলো বিদ’আতী অসীলার প্রমাণ বহন করে, সেগুলো সম্পর্কেও কিছু সতর্কতা মূলক আলোচনা হওয়া দরকার। সেগুলোর কয়েকটির বিবরণ নিম্নে দেয়া হলো। (দেখুন পরেরগুলো)
توسلوا بجاهي فإن جاهي عند الله عظيم
لا أصل له
-
وقد نص على ذلك شيخ الإسلام ابن تيمية في " القاعدة الجليلة ". ومما لا شك فيه أن جاهه صلى الله عليه وسلم ومقامه عند الله عظيم، فقد وصف الله تعالى موسى بقوله: (وكان عند الله وجيها) ، ومن المعلوم أن نبينا محمدا صلى الله عليه وسلم أفضل من موسى، فهو بلا شك أو جه منه عند ربه سبحانه وتعالى، ولكن هذا شيء والتوسل بجاهه صلى الله عليه وسلم شيء آخر، فلا يليق الخلط بينهما كما يفعل بعضهم، إذ أن التوسل بجاهه صلى الله عليه وسلم
يقصد به من يفعله أنه أرجى لقبول دعائه، وهذا أمر لا يمكن معرفته بالعقل إذ أنه من الأمور الغيبية التي لا مجال للعقل في إدراكها فلابد فيه من النقل الصحيح الذي تقوم به الحجة، وهذا مما لا سبيل إليه البتة، فإن الأحاديث الواردة في التوسل به صلى الله عليه وسلم تنقسم إلى قسمين: صحيح وضعيف، أما الصحيح فلا دليل فيه البتة على المدعى مثل توسلهم به صلى الله عليه وسلم في الاستسقاء، وتوسل الأعمى به صلى الله عليه وسلم فإنه توسل بدعائه صلى الله عليه وسلم لا بجاهه ولا بذاته صلى الله عليه وسلم، ولما كان التوسل بدعائه صلى الله عليه وسلم بعد انتقاله إلى الرفيق الأعلى غير ممكن كان بالتالي التوسل به صلى الله عليه وسلم بعد وفاته غير ممكن وغير جائز
ومما يدلك على هذا أن الصحابة رضي الله عنهم لما استسقوا في زمن عمر توسلوا بعمه صلى الله عليه وسلم العباس، ولم يتوسلوا به صلى الله عليه وسلم، وما ذلك إلا لأنهم يعلمون معنى التوسل المشروع وهو ما ذكرناه من التوسل بدعائه صلى الله عليه وسلم ولذلك توسلوا بعده صلى الله عليه وسلم بدعاء عمه لأنه ممكن ومشروع، وكذلك لم ينقل أن أحدا من العميان توسل بدعاء ذلك الأعمى، ذلك لأن السر ليس في قول الأعمى: (اللهم إنى أسألك وأتوجه إليك بنبيك نبي الرحمة)
وإنما السر الأكبر في دعائه صلى الله عليه وسلم له كما يقتضيه وعده صلى الله عليه وسلم إياه بالدعاء له، ويشعر به قوله في دعائه " اللهم فشفعه في " أي اقبل شفاعته صلى الله عليه وسلم أي دعاءه في " وشفعني فيه " أي اقبل شفاعتي أي دعائي في قبول دعائه صلى الله عليه وسلم في، فموضوع الحديث كله يدور حول الدعاء كما يتضح للقاريء الكريم بهذا الشرح الموجز، فلا علاقة للحديث بالتوسل المبتدع، ولهذه أنكره الإمام أبو حنيفة فقال: أكره أن يسأل الله إلا بالله، كما في " الدر المختار " وغيره من كتب الحنفية
وأما قول الكوثري في مقالاته (ص 381) : وتوسل الإمام الشافعي بأبي حنيفة مذكور في أو ائل " تاريخ الخطيب " بسند صحيح فمن مبالغاته بل مغالطاته فإنه يشير بذلك إلى ما أخرجه الخطيب (1 / 123) من
طريق عمر بن إسحاق بن إبراهيم قال: نبأنا علي بن ميمون قال: سمعت الشافعي يقول: إنى لأتبرك بأبي حنيفة وأجيء إلى قبره في كل يوم - يعني زائرا - فإذا عرضت لي حاجة صليت ركعتين وجئت إلى قبره، وسألت الله تعالى الحاجة عنده، فما تبعد عني حتى تقضى
فهذه رواية ضعيفة بل باطلة فإن عمر بن إسحاق بن إبراهيم غير معروف وليس له ذكر في شيء من كتب الرجال، ويحتمل أن يكون هو عمرو - بفتح العين - بن إسحاق بن إبراهيم بن حميد بن السكن أبو محمد التونسى وقد ترجمه الخطيب (12 / 226) وذكر أنه بخاري قدم بغداد حاجا سنة (341) ولم يذكر فيه جرحا ولا تعديلا فهو مجهول الحال، ويبعد أن يكون هو هذا إذ أن وفاة شيخه علي بن ميمون سنة (247) على أكثر الأقوال، فبين وفاتيهما نحومائة سنة فيبعد أن يكون قد أدركه
وعلى كل حال فهي رواية ضعيفة لا يقوم على صحتها دليل وقد ذكر شيخ الإسلام في " اقتضاء الصراط المستقيم " معنى هذه الرواية ثم أثبت بطلانها فقال (ص 165) : هذا كذب معلوم كذبه بالاضطرار عند من له معرفة بالنقل، فالشافعي لما قدم بغداد لم يكن ببغداد قبر ينتاب للدعاء عنده البتة، بل ولم يكن هذا على عهد الشافعي معروفا، وقد رأى الشافعي بالحجاز واليمن والشام والعراق ومصر من قبور الأنبياء والصحابة والتابعين من كان أصحابها عنده وعند المسلمين أفضل من أبي حنيفة وأمثاله من العلماء، فما باله لم يتوخ الدعاء إلا عنده؟ ! ثم (إن) أصحاب أبي حنيفة الذين أدركوه مثل أبي يوسف ومحمد وزفر والحسن بن زياد وطبقتهم لم يكونوا يتحرون الدعاء لا عند أبي حنيفة ولا غيره، ثم قد تقدم عن الشافعي ما هو ثابت في كتابه من كراهة تعظيم قبور المخلوقين خشية الفتنة بها، وإنما يضع مثل هذه الحكايات من يقل علمه ودينه، وإما أن يكون المنقول من هذه الحكايات عن مجهول لا يعرف
وأما القسم الثاني من أحاديث التوسل فهي أحاديث ضعيفة تدل بظاهرها على التوسل المبتدع، فيحسن بهذه المناسبة التحذير منها والتنبيه عليها