সাবিত আল বুনানী (রহঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে টি

পরিচ্ছেদঃ ১২১৫. সাওম পালনকারীর শিঙ্গা লাগানো বা বমি করা।

১৮১৬। আদম ইবনু আবূ ইয়াস (রহঃ) ... সাবিত আল-বুনানী (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) কে প্রশ্ন করা হল, আপনারা কি সায়িমের শিঙ্গা লাগানো অপছন্দ করতেন? তিনি বললেন, না। তবে দূর্বল হয়ে যাবার কারণে অপছন্দ করতাম। শাবাবা (রহঃ) শু’বা, (রহঃ) থেকে (عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم‏) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে কথাটি অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন।

باب الْحِجَامَةِ وَالْقَىْءِ لِلصَّائِمِ

حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ ثَابِتًا الْبُنَانِيَّ، يَسْأَلُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ أَكُنْتُمْ تَكْرَهُونَ الْحِجَامَةَ لِلصَّائِمِ قَالَ لاَ‏.‏ إِلاَّ مِنْ أَجْلِ الضَّعْفِ‏.‏ وَزَادَ شَبَابَةُ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم‏.‏


Narrated Thabit Al-Bunani: Anas bin Malik was asked whether they disliked the cupping for a fasting person. He replied in the negative and said, "Only if it causes weakness."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাবিত আল বুনানী (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৪৫৮. স্ত্রীলোকের সৎ পুরুষের কাছে নিজকে (বিবাহের জন্য) পেশ করা

৪৭৪৯। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... সাবিত আল বুনানী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আনাস (রাঃ) এর কাছে ছিলাম। তখন তাঁর কাছে তাঁর কন্যাও ছিলেন। আনাস (রাঃ) বললেন, একজন মহিলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে সমর্পণ করতে এসে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনার কি আমার প্রয়োজন আছে? এ কথা শুনে আনাস (রাঃ) এর কন্যা বললেন, সে মহিলা তোমার চেয়ে উত্তম, সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহচর্য পেতে আকৃষ্ট হয়েছিল। এ কারণেই সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে নিজেকে পেশ করেছে।

باب عَرْضِ الْمَرْأَةِ نَفْسَهَا عَلَى الرَّجُلِ الصَّالِحِ

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا مَرْحُومٌ، قَالَ سَمِعْتُ ثَابِتًا الْبُنَانِيَّ، قَالَ كُنْتُ عِنْدَ أَنَسٍ وَعِنْدَهُ ابْنَةٌ لَهُ، قَالَ أَنَسٌ جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَعْرِضُ عَلَيْهِ نَفْسَهَا قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلَكَ بِي حَاجَةٌ، فَقَالَتْ بِنْتُ أَنَسٍ مَا أَقَلَّ حَيَاءَهَا وَاسَوْأَتَاهْ وَاسَوْأَتَاهْ‏.‏ قَالَ هِيَ خَيْرٌ مِنْكِ رَغِبَتْ فِي النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَعَرَضَتْ عَلَيْهِ نَفْسَهَا‏.‏


Narrated Thabit Al-Banani: I was with Anas while his daughter was present with him. Anas said, "A woman came to Allah's Apostle and presented herself to him, saying, 'O Allah's Messenger (ﷺ), have you any need for me (i.e. would you like to marry me)?' "Thereupon Anas's daughter said, "What a shameless lady she was ! Shame! Shame!" Anas said, "She was better than you; she had a liking for the Prophet (ﷺ) so she presented herself for marriage to him."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাবিত আল বুনানী (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩০১৫. উল্লেখ আছে যে, রাসূলূল্লাহ (সাঃ) এর কোন দারোয়ান ছিল না

৬৬৬৯। ইসহাক ইবনু মানসুর (রহঃ) ... সাবিত বুনানী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) কে তার পরিবারের একজন মহিলাকে এ মর্মে বলতে শুনেছি যে, তুমি কি অমুক মহিলাকে চেন? সে বলল, হ্যাঁ। আনাস (রাঃ) বললেনঃ একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। সে তখন একটি কবরের পাশে কাঁদছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ আল্লাহকে ভয় কর এবং ধৈর্য ধারণ কর। তখন সে বলল, আমার কাছ থেকে সরে যাও, কেননা তুমি আমার মুসীবত থেকে মুক্ত। আনাস (রাঃ) বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে অতিক্রম করে চলে গেলেন। এ সময় অপর লোক তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। সে তাকে জিজ্ঞাসা করল, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাকে কি বললেনঃ। স্ত্রীলোকটি বলল, আমি তো তাকে চিনতে পারিনি। লোকটি বলল, ইনিই তো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! তিনি বললেন, পরে সে (স্ত্রীলোকটি) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরজায় আসল। তবে দরজায় কোন দারোয়ান দেখতে পেল না। তখন সে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আল্লাহর শপথ! আমি আপনাকে চিনতে পারিনি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ প্রথম আঘাতেই ধৈর্য ধারণ করতে হয়।

باب مَا ذُكِرَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَكُنْ لَهُ بَوَّابٌ

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، يَقُولُ لاِمْرَأَةٍ مِنْ أَهْلِهِ تَعْرِفِينَ فُلاَنَةَ قَالَتْ نَعَمْ‏.‏ قَالَ فَإِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم مَرَّ بِهَا وَهْىَ تَبْكِي عِنْدَ قَبْرٍ فَقَالَ ‏"‏ اتَّقِي اللَّهَ وَاصْبِرِي ‏"‏‏.‏ فَقَالَتْ إِلَيْكَ عَنِّي، فَإِنَّكَ خِلْوٌ مِنْ مُصِيبَتِي‏.‏ قَالَ فَجَاوَزَهَا وَمَضَى فَمَرَّ بِهَا رَجُلٌ فَقَالَ مَا قَالَ لَكِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم‏.‏ قَالَتْ مَا عَرَفْتُهُ قَالَ إِنَّهُ لَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَجَاءَتْ إِلَى بَابِهِ فَلَمْ تَجِدْ عَلَيْهِ بَوَّابًا فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَاللَّهِ مَا عَرَفْتُكَ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنَّ الصَّبْرَ عِنْدَ أَوَّلِ صَدْمَةٍ ‏"‏‏.‏


Narrated Thabit Al-Bunani: Anas bin Malik said to a woman of his family, "Do you know such-and-such a woman?" She replied, "Yes." He said, "The Prophet (ﷺ) passed by her while she was weeping over a grave, and he said to her, 'Be afraid of Allah and be patient.' The woman said (to the Prophet). 'Go away from me, for you do not know my calamity.'" Anas added, "The Prophet (ﷺ) left her and proceeded. A man passed by her and asked her, 'What has Allah's Messenger (ﷺ) said to you?' She replied, 'I did not recognize him.' The man said, 'He was Allah's Messenger (ﷺ)."' Anas added, "So that woman came to the gate of the Prophet (ﷺ) and she did not find a gate-keeper there, and she said, 'O Allah's Messenger (ﷺ)! By Allah. I did not recognize you!' The Prophet said, 'No doubt, patience is at the first stroke of a calamity.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাবিত আল বুনানী (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৮০. ঘুমানোর পর উযু করা সম্পর্কে।

২০১. মূসা ইবনু ইসমাঈল .... ছাবেত আল-বানানী হতে বর্ণিত। আসাস ইবনু মালিক (রাঃ) বলেছেন, একদা এশার নামাযের ইকামত দেওয়া হয়। এমন সময় এক ব্যক্তি দন্ডায়মান হয়ে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনার নিকট আমার একটি প্রয়োজন আছে। অতঃপর তিনি দাঁড়িয়ে তার সাথে গোপনে (আস্তে আস্তে) কথা বলতে থাকেন। এসময় উপস্থিত সকলে বা কিছু লোক ঘুমের কারণে ঝিমাতে থাকে এবং রাবী উযূ (ওজু/অজু/অযু)র কথা উল্লেখ করেননি।

باب الْوُضُوءِ مِنَ النَّوْمِ

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، وَدَاوُدُ بْنُ شَبِيبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، أَنَّ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، قَالَ أُقِيمَتْ صَلاَةُ الْعِشَاءِ فَقَامَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لِي حَاجَةً ‏.‏ فَقَامَ يُنَاجِيهِ حَتَّى نَعَسَ الْقَوْمُ أَوْ بَعْضُ الْقَوْمِ ثُمَّ صَلَّى بِهِمْ وَلَمْ يَذْكُرْ وُضُوءًا ‏.‏

حكم : صحيح (الألباني


Anas b. Malik reported: (The people) stood up for the night prayer and a man stood up and spoke forth: Messenger of Allah, I have to say something to you. He (the Prophet) entered into secret conversation with him, till the people or some of the people dozed off, ad then he led them in prayer. He (Thabit al-Bunani) did not mention ablution. Grade : Sahih (Al-Albani)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাবিত আল বুনানী (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২১৪. যা দিয়ে ইফ্তার করতে হবে।

২৩৪৮. আহমদ ইবন হাম্বল ..... সাবিত আল্ বানানী (রহঃ) আনাস ইবন মালিক (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাগরিবের নামায আদায়ের পূর্বে পাকা খেজুর দ্বারা ইফতার করতেন। আর যদি পাকা খেজুর না পেতেন, তখন তিনি শুকনা খেজুর দ্বারা ইফতার করতেন। আর যদি তাও না হতো, তখন তিনি কয়েক ঢোক পানি দ্বারা ইফতার করতেন।

باب مَا يُفْطَرُ عَلَيْهِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُفْطِرُ عَلَى رُطَبَاتٍ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ رُطَبَاتٌ فَعَلَى تَمَرَاتٍ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ حَسَا حَسَوَاتٍ مِنْ مَاءٍ ‏.‏


Narrated Anas ibn Malik: The Messenger of Allah (ﷺ) used to break his fast before praying with some fresh dates; but if there were no fresh dates, he had a few dry dates, and if there were no dry dates, he took some mouthfuls of water.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ সাবিত আল বুনানী (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬৭/৩৩. স্ত্রীলোকের সৎ পুরুষের কাছে নিজেকে বিয়ের উদ্দেশে) পেশ করা।

৫১২০. সাবিত আল বুনানী (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আনাস (রাঃ)-এর কাছে ছিলাম। তখন তাঁর কাছে তাঁর কন্যাও ছিলেন। আনাস (রাঃ) বললেন, একজন মহিলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে নিজেকে সমর্পণ করতে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার কি আমার প্রয়োজন আছে? এ কথা শুনে আনাস (রাঃ)-এর কন্যা বললেন, সেই মহিলা কতই না নির্লজ্জ, ছিঃ লজ্জার কথা। আনাস (রাঃ) বললেন, সে মহিলা তোমার চেয়ে উত্তম, সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহচর্য পেতে অনুরাগী হয়েছিল। এ কারণেই সে নিজেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে পেশ করেছে। [৬১২৩](আধুনিক প্রকাশনী- ৪৭৪৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৪৫)

بَاب عَرْضِ الْمَرْأَةِ نَفْسَهَا عَلَى الرَّجُلِ الصَّالِحِ

عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا مَرْحُومُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ مِهْرَانَ قَالَ سَمِعْتُ ثَابِتًا الْبُنَانِيَّ قَالَ كُنْتُ عِنْدَ أَنَسٍ وَعِنْدَه“ ابْنَةٌ لَه“ قَالَ أَنَسٌ جَاءَتْ امْرَأَةٌ إِلٰى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم تَعْرِضُ عَلَيْهِ نَفْسَهَا قَالَتْ يَا رَسُوْلَ اللهِ أَلَكَ بِي حَاجَةٌ فَقَالَتْ بِنْتُ أَنَسٍ مَا أَقَلَّ حَيَاءَهَا وَا سَوْأَتَاهْ وَا سَوْأَتَاهْ قَالَ هِيَ خَيْرٌ مِنْكِ رَغِبَتْ فِي النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَعَرَضَتْ عَلَيْهِ نَفْسَهَا.


Narrated Thabit Al-Banani: I was with Anas while his daughter was present with him. Anas said, "A woman came to Allah's Apostle and presented herself to him, saying, 'O Allah's Messenger (ﷺ), have you any need for me (i.e. would you like to marry me)?' "Thereupon Anas's daughter said, "What a shameless lady she was ! Shame! Shame!" Anas said, "She was better than you; she had a liking for the Prophet (ﷺ) so she presented herself for marriage to him."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাবিত আল বুনানী (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৯৩/১১. উল্লেখ আছে যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কোন দ্বাররক্ষী ছিল না।

৭১৫৪. সাবিত বুনানী (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-কে তাঁর পরিবারের একজন মহিলাকে এ মর্মে বলতে শুনেছি যে, তুমি কি অমুক মহিলাকে চেন? সে বলল, হ্যাঁ। আনাস (রাঃ) বললেন, একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। সে তখন একটি কবরের পাশে কাঁদছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বললেনঃ আল্লাহকে ভয় কর এবং ধৈর্য ধারণ কর। তখন সে বলল, আমার নিকট হতে সরে যাও, কেননা, তুমি আমার বিপদ থেকে মুক্ত। আনাস (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে অতিক্রম করে চলে গেলেন।

এ সময় অপর লোক তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। সে তাকে জিজ্ঞেস করল, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাকে কী বললেন। মহিলাটি বলল, আমি তো তাঁকে চিনতে পারিনি। লোকটি বলল, ইনিই তো রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি বললেন, পরে সে (মহিলাটি) রাসূলুল্লাহ্-এর দরজায় এল। তবে দরজায় কোন দ্বাররক্ষী দেখতে পেল না। তখন সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর শপথ! আমি আপনাকে চিনতে পারিনি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আঘাতের প্রথম চোটেই ধৈর্য ধারণ করতে হয়। [১২৫২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬৫৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৬৮)

بَاب مَا ذُكِرَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَكُنْ لَهُ بَوَّابٌ

إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنَا ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ لِامْرَأَةٍ مِنْ أَهْلِهِ تَعْرِفِينَ فُلاَنَةَ قَالَتْ نَعَمْ قَالَ فَإِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم مَرَّ بِهَا وَهِيَ تَبْكِي عِنْدَ قَبْرٍ فَقَالَ اتَّقِي اللهَ وَاصْبِرِي فَقَالَتْ إِلَيْكَ عَنِّي فَإِنَّكَ خِلْوٌ مِنْ مُصِيبَتِي قَالَ فَجَاوَزَهَا وَمَضَى فَمَرَّ بِهَا رَجُلٌ فَقَالَ مَا قَالَ لَكِ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ مَا عَرَفْتُهُ قَالَ إِنَّهُ لَرَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَجَاءَتْ إِلَى بَابِهِ فَلَمْ تَجِدْ عَلَيْهِ بَوَّابًا فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللهِ وَاللهِ مَا عَرَفْتُكَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنَّ الصَّبْرَ عِنْدَ أَوَّلِ صَدْمَةٍ.


Narrated Thabit Al-Bunani: Anas bin Malik said to a woman of his family, "Do you know such-and-such a woman?" She replied, "Yes." He said, "The Prophet (ﷺ) passed by her while she was weeping over a grave, and he said to her, 'Be afraid of Allah and be patient.' The woman said (to the Prophet). 'Go away from me, for you do not know my calamity.'" Anas added, "The Prophet (ﷺ) left her and proceeded. A man passed by her and asked her, 'What has Allah's Messenger (ﷺ) said to you?' She replied, 'I did not recognize him.' The man said, 'He was Allah's Messenger (ﷺ)."' Anas added, "So that woman came to the gate of the Prophet (ﷺ) and she did not find a gate-keeper there, and she said, 'O Allah's Messenger (ﷺ)! By Allah. I did not recognize you!' The Prophet said, 'No doubt, patience is at the first stroke of a calamity.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাবিত আল বুনানী (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪৬. আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ)-এর মর্যাদা

৩৮৩১। সাবিত আল বুনানী (রাহঃ) বলেনঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) আমাকে বললেন, হে সাবিত। আমার হতে (হাদীস) সংগ্রহ কর। যেহেতু আমার তুলনায় বেশি নির্ভরযোগ্য কারো নিকট হতে কিছু (হাদীস) সঞ্চয়ন করতে পারবে না। কারণ আমি তা সঞ্চয়ন করেছি সরাসরি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা সংগ্রহ করেছেন জিবরীল আলাইহিস সালাম হতে এবং জিবরীল আলাইহিস সালাম তা সঞ্চয়ন করেছেন আল্লাহ তা’আলার নিকট হতে।

সনদ দুর্বল

আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধু যাইদ ইবনুল হুবাবের সূত্রেই এই হাদীস জেনেছি।

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، حَدَّثَنَا مَيْمُونٌ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، قَالَ قَالَ لِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ يَا ثَابِتُ خُذْ عَنِّي فَإِنَّكَ لَمْ تَأْخُذْ عَنْ أَحَدٍ أَوْثَقَ مِنِّي إِنِّي أَخَذْتُهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَخَذَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ جِبْرِيلَ وَأَخَذَهُ جِبْرِيلُ عَنِ اللَّهِ تَعَالَى ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ زَيْدِ بْنِ حُبَابٍ ‏.‏


Narrated Thabit Al-Bunani: "Anas bin Malik said to me: 'O Thabit, take from me, for indeed you shall not take from one more trustworthy than me. Verily, I took it from the Messenger of Allah (ﷺ), and the Messenger of Allah (ﷺ) took it from Jibra'il, and Jibra'il took it from Allah the Mighty and Sublime.'"


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ সাবিত আল বুনানী (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - মিরাজের বর্ণনা

৫৮৬৩-[২] সাবিত আল বুনানী (রহিমাহুল্লাহ) আনাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আমার সামনে বুরাক’ উপস্থিত করা হলো। তা শ্বেত বর্ণের লম্বা কায়াবিশিষ্ট একটি জানোয়ার, গাধার চেয়ে বড় এবং খচ্চর অপেক্ষা ছোট। তার দৃষ্টি যত দূর যেত সেখানে পা রাখত। আমি তাতে আরোহণ করে বায়তুল মাক্বদিসে এসে পৌছলাম এবং অন্যান্য নবীগণ যে স্থানে নিজেদের বাহন বাঁধতেন, আমিও আমার বাহনকে সেখানে বাঁধলাম। নবী (সা.) বলেন, অতঃপর বায়তুল মাকদিসের মাসজিদে প্রবেশ করে সেখানে দু’রাকআত সালাত আদায় করলাম। তারপর মাসজিদ হতে বের হলাম, তখন জিবরীল আলায়হিস সালাম আমার কাছে এক পাত্র মদ ও এক পাত্র দুধ নিয়ে আসলেন। আমি দুধের পাত্রটি গ্রহণ করলাম। তখন জিবরীল আলায়হিস সালাম বললেন, আপনি (ইসালামরূপী) ফিত্বরাত (স্বভাব-ধর্ম ইসালাম গ্রহণ করেছেন।
অতঃপর জিবরীল আলায়হিস সালাম আমাকে আকাশের দিকে নিয়ে চললেন, এর পরবর্তী অংশ সাবিত আল বুনানী (রহিমাহুল্লাহ) আনাস (রাঃ) হতে পূর্ববর্ণিত হাদীসটির মর্মানুরূপ বর্ণনা করেছেন।
নবী (সা.) বলেন, হঠাৎ আমি আদম আলায়হিস সালাম -কে দেখতে পেলাম। তিনি আমাকে সাদর সম্ভাষণ জানালেন এবং আমার জন্য ভালো দু’আ করলেন। নবী (সা.) এটাও বলেছেন যে, তিনি তৃতীয় আকাশের ইউসুফ আলায়হিস সালাম -এর সাক্ষাৎ লাভ করেছেন। তিনি এমন লোক যে, তাঁকে (গোটা পৃথিবীর) অর্ধেক সৌন্দর্য দান করা হয়েছে। তিনিও আমাকে সাদর অভিনন্দন জানিয়ে আমার জন্য ভালো দুআ করলেন। সাবিত (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, এবং মূসা আলায়হিস সালাম এর কান্নার বিষয়টি এতে উল্লেখ নেই।
নবী (সা.) আরো বলেছেন, সপ্তম আকাশে আমি ইবরাহীম আলায়হিস সালাম -কে দেখতে পেলাম যে, তিনি বায়তুল মা’মূরের সাথে পিঠ লাগিয়ে বসে আছেন। সে ঘরে দৈনিক সত্তর হাজার মালাক (ফেরেশতা) প্রবেশ করেন। যারা একবার বের হয়েছেন, পুনরায় তারা আর প্রবেশ করার সুযোগ পাবেন না। অতঃপর জিবরীল আলায়হিস সালাম আমাকে সিদরাতুল মুনতাহায় নিয়ে গেলেন। তার পাতাগুলো হাতির কানের মতো এবং তার ফল মটকার মতো। এরপর উক্ত গাছটি আল্লাহ তা’আলার নির্দেশে এমন একটি আবৃতকারী বস্তুতে পরিবর্তিত হয় যে, আল্লাহর সৃষ্ট কোন মাখলুক যার সৌন্দর্যের কোন প্রকার বর্ণনা দিতে সক্ষম হবে না।
এরপর আল্লাহ তা’আলা আমার কাছে ওয়াহী পাঠালেন, যা তিনি পাঠিয়েছেন এবং আমার ওপরে দৈনিক পঞ্চাশ (ওয়াক্ত) সালাত ফরয করলেন। ফেরার সময় আমি মুসা আলায়হিস সালাম -এর কাছে আসলে তিনি আমাকে প্রশ্ন করলেন আপনার প্রভু আপনার উম্মতের ওপর কি ফরয করেছেন? আমি বললাম, দৈনিক পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন। তিনি আমাকে (পরামর্শস্বরূপ) বললেন, আপনি আপনার প্রভুর কাছে ফিরে যান এবং (সালাতের সংখ্যা) কম করার জন্য তার কাছে আবেদন করুন। কেননা আপনার উম্মত এটা দৈনিক পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত সম্পাদন করতে সক্ষম হবে না। আমি বানী ইসরাঈলকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছি।
তিনি (সা.) বলেন, তখন আমি আমার প্রভুর কাছে ফিরে গিয়ে বললাম, হে আমার প্রভু! আমার উম্মাতের ওপর হতে কম করে দিন। তখন আমার ওপর হতে পাঁচ (ওয়াক্ত সালাত) কমিয়ে দিলেন। অতঃপর আমি মূসা আলায়হিস সালাম -এর কাছে ফিরে এসে বললাম, আল্লাহ তা’আলা আমার ওপর হতে পাঁচ (ওয়াক্ত সালাত) কমিয়ে দিয়েছেন। মূসা আলায়হিস সালাম বললেন, আপনার উম্মত তা সম্পাদনেও সমর্থ হবে না। কাজেই আপনি পুনরায় আপনার প্রভুর কাছে যান এবং আরো কম করার জন্য আবেদন করুন।
নবী (সা.) বলেন, আমি এভাবে আমার প্রভু ও মূসা আলায়হিস সালাম -এর মাঝে আসা-যাওয়া করতে থাকলাম এবং বার বার সালাতের সংখ্যা কমিয়ে আনতে থাকলাম। তিনি (সা.) বলেন, সর্বশেষে আমার প্রভু বললেন, হে মুহাম্মাদ! দৈনিক ফরয় তো এই পাঁচ সালাত এবং প্রত্যেক সালাতের সাওয়াব দশ সালাতের সমান। ফলে এটা (পাঁচ ওয়াক্ত) পঞ্চাশ সালাতের সমান। যে লোক কোন একটি ভালো কাজ করার সংকল্প করবে, কিন্তু তা সম্পাদন করেনি, তার
জন্য একটি পুণ্য লেখা হবে এবং সে কাজটি সম্পাদন করলে তার জন্য দশটি পুণ্য লেখা হবে। আর যে লোক কোন একটি খারাপ কাজ করার সংকল্প করে তা বাস্তবায়ন না করে, তার জন্য কিছুই লেখা হবে না। অবশ্য যদি সে উক্ত কাজটি বাস্তবায়ন করে, তবে তার জন্য একটি গুনাহই লেখা হবে।
তিনি (সা.) বলেন, অতঃপর আমি অবতরণ করে যখন মূসা আলায়হিস সালাম -এর নিকট পৌছলাম, তখন তাঁকে পূর্ণ বিবরণ জানালাম। তখন তিনি আমাকে বললেন, আবারও আপনার প্রভুর কাছে যান এবং আরো কিছু কমিয়ে দেয়ার জন্য। অনুরোধ করুন। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, আমি বললাম, আমি আমার প্রভুর কাছে বার বার গিয়েছি। এখন পুনরায় যেতে আমার লজ্জাবোধ হচ্ছে। (মুসলিম)

الفصل الاول (بَابٌ فِي الْمِعْرَاجِ)

وَعَن ثابتٍ البُنانيِّ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أُتيتُ بالبُراق وَهُوَ دابَّة أَبْيَضُ طَوِيلٌ فَوْقَ الْحِمَارِ وَدُونَ الْبَغْلِ يَقَعُ حَافِرُهُ عِنْدَ مُنْتَهَى طَرْفِهِ فَرَكِبْتُهُ حَتَّى أَتَيْتُ بَيْتَ الْمَقْدِسِ فَرَبَطْتُهُ بِالْحَلْقَةِ الَّتِي تَرْبُطُ بِهَا الْأَنْبِيَاءُ» . قَالَ: ثُمَّ دَخَلْتُ الْمَسْجِدَ فَصَلَّيْتُ فِيهِ رَكْعَتَيْنِ ثمَّ خرجتُ فَجَاءَنِي جِبْرِيلُ بِإِنَاءٍ مِنْ خَمْرٍ وَإِنَاءٍ مِنْ لبن فاختَرتُ اللَّبن فَقَالَ جِبْرِيل: اخْتَرْتَ الْفِطْرَةَ ثُمَّ عَرَجَ بِنَا إِلَى السَّمَاءِ . وَسَاقَ مِثْلَ مَعْنَاهُ قَالَ: «فَإِذَا أَنَا بِآدَمَ فرحَّبَ بِي وَدَعَا لِي بِخَيْرٍ» . وَقَالَ فِي السَّمَاءِ الثَّالِثَةِ: «فَإِذا أَنا بِيُوسُف إِذا أُعْطِيَ شَطْرَ الْحُسْنِ فَرَحَّبَ بِي وَدَعَا لِي بِخَيْرٍ» . وَلَمْ يَذْكُرْ بُكَاءَ مُوسَى وَقَالَ فِي السَّمَاءِ السَّابِعَةِ: فَإِذَا أَنَا بِإِبْرَاهِيمَ مُسْنِدًا ظَهْرَهُ إِلَى الْبَيْتِ الْمَعْمُورِ وَإِذَا هُوَ يَدْخُلُهُ كُلَّ يَوْمٍ سَبْعُونَ أَلْفَ مَلَكٍ لَا يَعُودُونَ إِلَيْهِ ثمَّ ذهب بِي إِلَى سِدْرَة الْمُنْتَهى فَإِذا وَرقهَا كآذان الفيلة وَإِذا ثمارها كَالْقِلَالِ فَلَمَّا غَشِيَهَا مِنْ أَمْرِ اللَّهِ مَا غَشَّى تَغَيَّرَتْ فَمَا أَحَدٌ مِنْ خَلْقِ اللَّهِ يَسْتَطِيعُ أَنْ يَنْعَتَهَا مِنْ حُسْنِهَا وَأَوْحَى إِلَيَّ مَا أوحى فَفرض عَليّ خمسين صَلَاة كُلِّ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ فَنَزَلْتُ إِلَى مُوسَى فَقَالَ: مَا فَرَضَ رَبُّكَ عَلَى أُمَّتِكَ؟ قُلْتُ: خَمْسِينَ صَلَاة كُلِّ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ. قَالَ: ارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ فَسَلْهُ التَّخْفِيفَ فَإِنَّ أُمَّتَكَ لَا تُطِيقُ ذَلِكَ فَإِنِّي بَلَوْتُ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَخَبَرْتُهُمْ. قَالَ: فَرَجَعْتُ إِلَى رَبِّي فَقُلْتُ: يَا رَبِّ خَفِّفْ عَلَى أُمَّتِي فَحَطَّ عَنِّي خَمْسًا فَرَجَعْتُ إِلَى مُوسَى فَقُلْتُ: حَطَّ عَنِّي خَمْسًا. قَالَ: إِنَّ أُمَّتَكَ لَا تُطِيقُ ذَلِكَ فَارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ فَسَلْهُ التَّخْفِيفَ . قَالَ: فَلَمْ أَزَلْ أَرْجِعُ بَيْنَ رَبِّي وَبَيْنَ مُوسَى حَتَّى قَالَ: يَا مُحَمَّدُ إِنَّهُنَّ خَمْسُ صَلَوَاتٍ كُلَّ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ لِكُلِّ صَلَاةٍ عَشْرٌ فَذَلِكَ خَمْسُونَ صَلَاةً مَنْ هَمَّ بِحَسَنَةٍ فَلَمْ يَعْمَلْهَا كُتِبَتْ لَهُ حَسَنَةً فَإِنْ عَمِلَهَا كُتِبَتْ لَهُ عَشْرًا وَمَنْ هَمَّ بِسَيِّئَةٍ فَلَمْ يَعْمَلْهَا لَمْ تُكْتَبْ لَهُ شَيْئًا فَإِنَّ عَمِلَهَا كُتِبَتْ لَهُ سَيِّئَةً وَاحِدَةً . قَالَ: فَنَزَلْتُ حَتَّى انتهيتُ إِلى مُوسَى فَأَخْبَرته فَقَالَ: ارجعْ إِلى رَبِّكَ فَسَلْهُ التَّخْفِيفَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فَقُلْتُ: قَدْ رَجَعْتُ إِلَى رَبِّي حَتَّى استحييت مِنْهُ . رَوَاهُ مُسلم

رواہ مسلم (259 / 162)، (411) ۔
(صَحِيح)

ব্যাখ্যা: কাযী ইয়ায (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, আল্লাহর রাসূল (সা.) -এর ইসরা ও মি'রাজ সম্পর্কে লোকেরা মতভেদ করেছে। কেউ বলেন, তার ইসরা ও মি'রাজ হয়েছিল স্বপ্নযোগে। আবার কেউ বলেন, তা হয়েছিল স্বশরীরে জাগ্রত অবস্থায়। এক্ষেত্রে সঠিক কথা হলো রাসূল (সা.) -এর মি'রাজ স্বশরীরে জাগ্রত অবস্থায় হয়েছে। আর এটিকেই গ্রহণ করেছেন অধিকাংশ লোক, বেশিরভাগ সালাফগণ এবং পরবর্তী অনেক ফাক্বীহ ও মুহাদ্দিসগণ। তাছাড়াও বিভিন্ন চিহ্ন ও নিদর্শনও প্রমাণ করে যে, তার মি'রাজ স্বশরীরে জাগ্রত অবস্থায় হয়েছে। অতএব কোন দলীল ছাড়া এই বিষয়টি থেকে ফিরে অন্যদিকে যাওয়া যাবে না। যদিও শারীক-এর একটি বর্ণনায় এ ব্যপারে ভিন্ন মত এসেছে। কিন্তু সেটি খুবই দুর্বল। 'আলিমগণ তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। আর ইমাম মুসলিম (রহিমাহুল্লাহ) এ বিষয়ে সতর্ক করে বলেন, শারীক বর্ণনা করার ক্ষেত্রে আগে পরে করা সহ অনেক কম-বেশিও করেছেন। অতএব, তার বর্ণনাটি গ্রহণযোগ্য নয়।
(فَرَبَطْتُهُ بِالْحَلْقَةِ الَّتِي تَرْبُطُ بِهَا الْأَنْبِيَاءُ) অর্থাৎ তারপর আমি সেই গোল বৃত্তের সাথে বাহনটি বেঁধে রাখলাম, যার সাথে নবীগণ বেঁধে রাখতেন। এ বিষয়ে শারহুন নাবাবী গ্রন্থকার বলেন, হাদীসের এই অংশ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, সতর্কতামূলক কোন উপকরণ গ্রহণ করা আল্লাহর প্রতি তাওয়াক্কুলের পরিপন্থী নয়। যদি আল্লাহর প্রতি পরিপূর্ণ আস্থা থাকে।
(اخْتَرْتَ الْفِطْرَةَ) অর্থাৎ আপনি প্রকৃত ফিত্বরাত গ্রহণ করেছেন। এখানে ফিত্বরাত দ্বারা উদ্দেশ্য হলো ইসালাম ও অবিচলতা।
(فَقِيلَ لَهُ مَنْ أَنْتَ قَالَ جِبْرِيلُ قِيلَ وَمَنْ مَعَكَ قَالَ مُحَمَّدٌ) অর্থাৎ তারপর বলা হলো, কে তুমি? উত্তরে তিনি বললেন, জিবরীল। আবার জিজ্ঞেস করা হলো, কে তোমার সাথে? তিনি উত্তরে বললেন, মুহাম্মাদ। হাদীসের এ অংশে মানবকুলকে আদব শিক্ষা দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে যে, কেউ যদি দরজা ধাক্কা দিয়ে অনুমতি চায় আর তাকে জিজ্ঞেস করা হয় ‘কে’? তাহলে অবশ্যই যেন সে তার নাম বলে। শুধু যেন ‘আমি’ না বলে। কেননা এতে তেমন কোন পরিচয় জানা যায় না। তাছাড়া হাদীসেও শুধু ‘আমি’ বলতে নিষেধ করা হয়েছে। (শারহুন্ নাবাবী হা, ২/১৬২)।
(إِذا أُعْطِيَ شَطْرَ الْحُسْنِ) অর্থাৎ তাকে অর্ধেক সৌন্দর্য দেয়া হয়েছে। মুযহির (রহিমাহুল্লাহ) এর ব্যাখ্যায় বলেন, ইউসুফ আলায়হিস সালাম-কে অর্ধেক সৌন্দর্য দেয়া হয়েছে। এ কথার তিনটি ব্যাখ্যা হতে পারে।
১) তাঁকে সর্বপ্রকার সৌন্দর্যের অর্ধেক দেয়া হয়েছিল। ২) তাঁকে তাঁর যুগের সকল লোকেদের অর্ধেক সৌন্দর্য দেয়া হয়েছিল। ৩) তাঁকে কিছু সৌন্দর্য দেয়া হয়েছিল। তখন (شَطْرَ) শব্দটি (بعض) (কিছু) অর্থে ব্যবহৃত হবে।
গ্রহণযোগ্য অনেক ‘আলিমগণ বলেন, আমাদের রাসূল (সা.) মুহাম্মাদ (সা.) ইউসুফ আলায়হিস সালাম-এর থেকে বেশি সুন্দর ছিলেন।
এ ব্যাপারে অনেক মুহাক্কিক ‘আলিম বলেন, আমাদের রাসূল (সা.) -এর বাহ্যিক অনেক সৌন্দর্যকে সাহাবীদের থেকে গোপন রাখা হয়েছে। কিন্তু ইউসুফ আলায়হিস সালাম-এর বাহ্যিক কোন সৌন্দর্য গোপন রাখা হয়নি।
(مَا أَحَدٌ مِنْ خَلْقِ اللَّهِ يَسْتَطِيعُ أَنْ يَنْعَتَهَا مِنْ حُسْنِهَا) অর্থাৎ সৃষ্টিকুলের এমন কেউ নেই যে, তার সৌন্দর্য বর্ণনা করতে পারে। কারণ তার মহত্ব ও সৌন্দর্যের পরিপূর্ণতা এতই যে, সৃষ্টিকুলের কেউ তা বলে বুঝাতে পারবে না। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাবিত আল বুনানী (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৯ পর্যন্ত, সর্বমোট ৯ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে