উম্মু হানী বিনতু আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে ৬৭ টি

পরিচ্ছেদঃ ৩০. যে ব্যক্তি নফল রোযার নিয়াত করে সকালে (ঘুম থেকে) উঠে এরপর রোযা ভেঙ্গে ফেলে, তার সম্পর্কে

১৭৭২. উম্মু হানী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত যে, (একবার) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার নিকট প্রবেশ করলেন, আর তখন তিনি রোযাদার ছিলেন। এমতাবস্থায় তাঁর নিকট কিছু শরবত এল। এরপর তিনি এ থেকে পান করলেন, এরপর তাকে তা দিলেন। তিনিও তা থেকে কিছু পান করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “তা যদি রমযানের রোযার কাযা আদায় করার জন্য হয়ে থাকে, তবে অন্য একদিন রোযা রাখবে। আর যদি তা নফল রোযা হয়ে থাকে, তবে তুমি চাইলে এর কাযা আদায় করবে, না চাইলে এর কাযা আদায় করবে না।”[1]

بَاب فِيمَنْ يُصْبِحُ صَائِمًا تَطَوُّعًا ثُمَّ يُفْطِرُ

أَخْبَرَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ عَنْ هَارُونَ ابْنِ ابْنَةِ أُمِّ هَانِئٍ أَوْ ابْنِ ابْنِ أُمِّ هَانِئٍ عَنْ أُمِّ هَانِئٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ عَلَيْهَا وَهِيَ صَائِمَةٌ فَأُتِيَ بِإِنَاءٍ فَشَرِبَ ثُمَّ نَاوَلَهَا فَشَرِبَتْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنْ كَانَ قَضَاءَ رَمَضَانَ فَصُومِي يَوْمًا آخَرَ وَإِنْ كَانَ تَطَوُّعًا فَإِنْ شِئْتِ فَاقْضِيهِ وَإِنْ شِئْتِ فَلَا تَقْضِيهِ


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু হানী বিনতু আবূ তালিব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩০. যে ব্যক্তি নফল রোযার নিয়াত করে সকালে (ঘুম থেকে) উঠে এরপর রোযা ভেঙ্গে ফেলে, তার সম্পর্কে

১৭৭৩. উম্মে হানী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন ফাতিমা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা আগমন করেন। এরপর তিনি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বামদিকে উপবেশন করেন এবং উম্মে হানী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা ডানদিকে। তিনি (রাবী) বলেন, এ সময় জনৈক দাসী একটি পাত্রে কিছু পানীয় দ্রব্য এনে পেশ করলে তিনি তা পান করেন। এরপর তিনি তা (এর অবশিষ্টাংশ) উম্মে হানীকে পান করতে দেন। তিনি তা পান করে বলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আমি তো ইফতার করে ফেললাম, কিন্তু আমি যে রোযা ছিলাম। তিনি তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন: “তুমি কি কোন (রোযার) কাযা আদায় করছিলে?” তিনি বলেন, না। তিনি বলেন: “যদি তা নফল রোযা হয়, তবে এতে তোমার কোন ক্ষতি হবে না।”[1]

আবূ মুহাম্মদ বলেন: এটিই আমার মত।

بَاب فِيمَنْ يُصْبِحُ صَائِمًا تَطَوُّعًا ثُمَّ يُفْطِرُ

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ عَنْ أُمِّ هَانِئٍ قَالَتْ لَمَّا كَانَ يَوْمُ فَتْحِ مَكَّةَ جَاءَتْ فَاطِمَةُ فَجَلَسَتْ عَنْ يَسَارِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأُمُّ هَانِئٍ عَنْ يَمِينِهِ قَالَتْ فَجَاءَتْ الْوَلِيدَةُ بِإِنَاءٍ فِيهِ شَرَابٌ فَنَاوَلَتْهُ فَشَرِبَ مِنْهُ ثُمَّ نَاوَلَهُ أُمَّ هَانِئٍ فَشَرِبَتْ مِنْهُ ثُمَّ قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَقَدْ أَفْطَرْتُ وَكُنْتُ صَائِمَةً فَقَالَ لَهَا أَكُنْتِ تَقْضِينَ شَيْئًا قَالَتْ لَا قَالَ فَلَا يَضُرُّكِ إِنْ كَانَ تَطَوُّعًا قَالَ أَبُو مُحَمَّد أَقُولُ بِهِ


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু হানী বিনতু আবূ তালিব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫৯. একজন নগন্য মুসলিমও মুসলিমদের থেকে কাউকে আশ্রয় দিতে পারে

২৫৪০. উম্মু হানী বিনতে আবূ তালিব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি মক্কা বিজয়ের বছর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গেলেন। অত:পর বললেন: হে আল্লাহর রাসূল! আমার সহোদর ভাই (’আলী) হুবাইরার অমুক পুত্রকে হত্যা করার সংকল্প করেছে, যাকে আমি আশ্রয় দিয়েছি। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে উম্মু হানী! তুমি যাকে আশ্রয় দিয়েছো, আমরাও তাকে আশ্রয় দিয়েছি।”[1]

بَاب يُجِيرُ عَلَى الْمُسْلِمِينَ أَدْنَاهُمْ

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ أَبِي النَّضْرِ أَنَّ أَبَا مُرَّةَ مَوْلَى عَقِيلِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ سَمِعَ أُمَّ هَانِئٍ بِنْتَ أَبِي طَالِبٍ تُحَدِّثُ أَنَّهَا ذَهَبَتْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْفَتْحِ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ زَعَمَ ابْنُ أُمِّي أَنَّهُ قَاتِلٌ رَجُلًا أَجَرْتُهُ فُلَانُ بْنُ هُبَيْرَةَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَجَرْنَا مَنْ أَجَرْتِ يَا أُمَّ هَانِئٍ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু হানী বিনতু আবূ তালিব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৪. ইসতিহাযাহ* বা রক্তপ্রদর রোগগ্রস্ত মহিলার গোসল ও তার সালাত প্রসঙ্গ।

৬৫১-(৭০/৩৩৬) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... উম্মু হানী (রাযিঃ) বিনতু আবূ তালিব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের বছর আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে গেলাম। তখন আমি তাকে এ অবস্থায় পেলাম যে, তিনি গোসল করছিলেন, আর তার কন্যা ফাতিমা একটি কাপড় দিয়ে তাকে আড়াল করে রেখেছিল*। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৬৫৫, ইসলামিক সেন্টারঃ ৬৭০)

باب الْمُسْتَحَاضَةِ وَغُسْلِهَا وَصَلاَتِهَا

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ أَبِي النَّضْرِ، أَنَّ أَبَا مُرَّةَ، مَوْلَى أُمِّ هَانِئٍ بِنْتِ أَبِي طَالِبٍ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أُمَّ هَانِئٍ بِنْتَ أَبِي طَالِبٍ، تَقُولُ ذَهَبْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ الْفَتْحِ فَوَجَدْتُهُ يَغْتَسِلُ ‏.‏ وَفَاطِمَةُ ابْنَتُهُ تَسْتُرُهُ بِثَوْبٍ ‏.‏

Chapter: The ghusl and the prayer of a woman who is suffering prolonged vaginal bleeding (istihadah)


Umm Hani b. Abu Talib reported: I went to the Messenger of Allah (ﷺ) on the day of the conquest (of Mecca) and found him take a bath. while his daughter Fatimah was holding a curtain around him.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু হানী বিনতু আবূ তালিব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৬. গোসল করার সময় কাপড় কিংবা অনুরূপ কিছু দিয়ে পর্দা করে নিবে।

৬৫২-(৭১/...) মুহাম্মাদ ইবনু রুমহ ইবনু আল মুহাজির (রহঃ) ..... উম্মু হানী বিনতু আবূ তালিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। মক্কা বিজয়ের বছর তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এলেন। তিনি তখন মক্কার উচু এলাকায় অবস্থান করছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গোসল করতে গেলে ফাতিমা তাকে আড়াল করেন। এরপর তিনি নিজের কাপড় নিয়ে পরিধান করলেন। তারপর আট রাকাআত চাশতের সালাত আদায় করলেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৬৫৬, ইসলামিক সেন্টারঃ ৬৭১)

باب تَسَتُّرِ الْمُغْتَسِلِ بِثَوْبٍ وَنَحْوِهِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحِ بْنِ الْمُهَاجِرِ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، أَنَّ أَبَا مُرَّةَ، مَوْلَى عَقِيلٍ حَدَّثَهُ أَنَّ أُمَّ هَانِئٍ بِنْتَ أَبِي طَالِبٍ حَدَّثَتْهُ أَنَّهُ، لَمَّا كَانَ عَامُ الْفَتْحِ أَتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ بِأَعْلَى مَكَّةَ ‏.‏ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى غُسْلِهِ فَسَتَرَتْ عَلَيْهِ فَاطِمَةُ ثُمَّ أَخَذَ ثَوْبَهُ فَالْتَحَفَ بِهِ ثُمَّ صَلَّى ثَمَانَ رَكَعَاتٍ سُبْحَةَ الضُّحَى ‏.‏

Chapter: Covering oneself with a garment and the like while performing ghusl


Umm Hani b. Abu Talib reported: It was the day of the conquest (of Mecca) that she went to the Messenger of Allah (ﷺ) and he was staying at a higher part (of that city). The Messenger of Allah (ﷺ) got up for his bath. Fatimah held a curtain around him (in order to provide him privacy). He then put on his garments and wrapped himself with that and then offered eight rak'ahs of the forenoon prayer.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু হানী বিনতু আবূ তালিব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৩. যুহার সালাত মুস্তাহাব আর তার সর্বনিম্ন (রাকাআতের পরিমাণ) হচ্ছে দু' রাকাআত আর সম্পূর্ণ হচ্ছে আট রাকাআত, মধ্যম পরিমাণ হচ্ছে চার অথবা ছয় রাকাআত এবং এগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করার ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান

১৫৫৪-(৮২/...) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... উম্মু হানী (রাযিঃ) এর আযাদকৃত দাস আবূ মুররাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিনি আবূ তুলিবের কন্যা উম্মু হানী (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছেন। (তিনি বলেছেন) মক্কাহ বিজয়ের বছরে আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে গিয়ে দেখলাম, তিনি গোসল করছেন আর তার কন্যা ফাতিমাহ একটি কাপড় দিয়ে তাকে পর্দা করে রেখেছেন। উম্মু হানী বলেন- আমি তাকে সালাম দিলাম। তখন তিনি জানতে চাইলেন, কে? আমি বললামঃ আমি আবূ তুলিবের কন্যা উম্মু হানী। তিনি (খুশীতে) বললেনঃ উম্মু হানীকে স্বাগতম। অতঃপর গোসল শেষ করে তিনি সালাতে দাঁড়ালেন এবং একটি মাত্র কাপড় গায়ে জড়িয়ে আট রাকাআত সালাত আদায় করলেন। সালাত শেষে আমি তাকে বললামঃ হে আল্লাহর রসূল! আমার ভাই আলী ইবনু আবূ তুলিব বলেছেনঃ তিনি আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ)-এর পুত্র অমুককে হত্যা করে ছাড়বেন অথচ আমি তাকে নিরাপত্তা দিয়েছি। সব শুনে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে উম্মু হানী! তুমি যাকে নিরাপত্তা দান করেছ আমিও তাকে নিরাপত্তা দান করেছি। উম্মু হানী বর্ণনা করেছেনঃ এ ঘটনা ছিল ’যুহা’ বা চাশতের সময়ের। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৫৩৯, ইসলামীক সেন্টার ১৫৪৬)

باب اسْتِحْبَابِ صَلاَةِ الضُّحَى وَأَنَّ أَقَلَّهَا رَكْعَتَانِ وَأَكْمَلَهَا ثَمَانِ رَكَعَاتٍ وَأَوْسَطَهَا أَرْبَعُ رَكَعَاتٍ أَوْ سِتٌّ وَالْحَثِّ عَلَى الْمُحَافَظَةِ عَلَيْهَا

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ أَبِي النَّضْرِ، أَنَّ أَبَا مُرَّةَ، مَوْلَى أُمِّ هَانِئٍ بِنْتِ أَبِي طَالِبٍ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أُمَّ هَانِئٍ بِنْتَ أَبِي طَالِبٍ، تَقُولُ ذَهَبْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ الْفَتْحِ فَوَجَدْتُهُ يَغْتَسِلُ وَفَاطِمَةُ ابْنَتُهُ تَسْتُرُهُ بِثَوْبٍ - قَالَتْ - فَسَلَّمْتُ فَقَالَ ‏"‏ مَنْ هَذِهِ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ أُمُّ هَانِئٍ بِنْتُ أَبِي طَالِبٍ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ مَرْحَبًا بِأُمِّ هَانِئٍ ‏"‏ ‏.‏ فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ غُسْلِهِ قَامَ فَصَلَّى ثَمَانِيَ رَكَعَاتٍ مُلْتَحِفًا فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ ‏.‏ فَلَمَّا انْصَرَفَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ زَعَمَ ابْنُ أُمِّي عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ أَنَّهُ قَاتِلٌ رَجُلاً أَجَرْتُهُ فُلاَنُ بْنُ هُبَيْرَةَ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ قَدْ أَجَرْنَا مَنْ أَجَرْتِ يَا أُمَّ هَانِئٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ أُمُّ هَانِئٍ وَذَلِكَ ضُحًى ‏.‏


Abu Murra, the freed slave of Umm Hani, daughter of Abu Talib, reported Umm Hani to be saying: I went to the Messenger of Allah (ﷺ) on the day of the Conquest of Mecca and found him taking a bath, and Fatimah, his daughter, had provided him privacy with the help of a cloth. I gave him salutation and he said: Who is she? I said: It is Umm Hani, daughter of Abu Talib. He (the Holy Prophet) said: Greeting for Umm Hani. When he had completed the bath, he stood up and observed eight rak'ahs wrapped up in one cloth. When he turned back (after the prayer), I said to him: Messenger of Allah, the son of my mother 'Ali b. Abu Talib is going to kill a person, Fulan b. Hubaira whom I have given protection. Upon this the Messenger of Allah (ﷺ) said: We too have given protection whom you have given protection, O Umm Hani. Umm Hani said: It was the forenoon (prayer).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু হানী বিনতু আবূ তালিব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৩. যুহার সালাত মুস্তাহাব আর তার সর্বনিম্ন (রাকাআতের পরিমাণ) হচ্ছে দু' রাকাআত আর সম্পূর্ণ হচ্ছে আট রাকাআত, মধ্যম পরিমাণ হচ্ছে চার অথবা ছয় রাকাআত এবং এগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করার ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান

১৫৫৫-(৮৩/...) হাজ্জাজ ইবনু শাইর (রহঃ) ... উম্মু হানী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। মক্কাহ বিজয়ের বছর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ঘরে একটি কাপড় গায়ে জড়িয়ে তার দু’ প্রান্ত দু’ দিকে উঠিয়ে আট রাকাআত সালাত আদায় করেছেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৫৪০, ইসলামীক সেন্টার ১৫৪৭)

باب اسْتِحْبَابِ صَلاَةِ الضُّحَى وَأَنَّ أَقَلَّهَا رَكْعَتَانِ وَأَكْمَلَهَا ثَمَانِ رَكَعَاتٍ وَأَوْسَطَهَا أَرْبَعُ رَكَعَاتٍ أَوْ سِتٌّ وَالْحَثِّ عَلَى الْمُحَافَظَةِ عَلَيْهَا

وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا مُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ، حَدَّثَنَا وُهَيْبُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي مُرَّةَ، مَوْلَى عَقِيلٍ عَنْ أُمِّ هَانِئٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى فِي بَيْتِهَا عَامَ الْفَتْحِ ثَمَانِيَ رَكَعَاتٍ فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ قَدْ خَالَفَ بَيْنَ طَرَفَيْهِ ‏.‏


Abu Murra narrated on the authority of Umm Hani that the Messenger of Allah (ﷺ) on the day of the Conquest of Mecca observed in her house eight rak'ahs of prayer in one cloth, its opposite corners having been tied from the opposite sides.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু হানী বিনতু আবূ তালিব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - নিরাপত্তা (আশ্রয়) প্রদান

৩৯৭৭-[১] উম্মু হানী বিনতু আবূ ত্বালিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমি মক্কা বিজয়ের বৎসর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে দেখলাম তিনি গোসল করছেন এবং তার কন্যা ফাত্বিমাহ্ একটি চাদর দিয়ে তাঁকে আড়াল করে রাখছেন। আমি তাকে সালাম করলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেন, কে এই মহিলা? উত্তরে বললাম, আমি আবূ ত্বালিব-এর কন্যা উম্মু হানী। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, হে উম্মু হানী! তোমার আগমন কল্যাণ হোক। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) গোসল শেষ করে এক বস্ত্রে সর্বাঙ্গ আচ্ছাদিত করে সালাত আদায় করতে দাঁড়ালেন এবং আট রাক্’আত সালাত আদায় করলেন।

অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সালাত আদায় শেষ করলে, আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসূল! আমার ভাই ’আলী এমন একজন লোককে হত্যা করতে চায় যাকে আমি আশ্রয় দিয়েছি। সে হলো, হুবায়রাহ্-এর পুত্র অমুক। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে উম্মু হানী! তুমি যাকে নিরাপত্তা দান করেছ, আমিও তাকে নিরাপত্তা দান করলাম। উম্মু হানী (রাঃ) বলেন, এটা ছিল পূর্বাহ্নের (চাশ্‌তের) সালাত। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

আর তিরমিযী-এর সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, উম্মু হানী (রাঃ) বলেন, আমি আমার স্বামীর পক্ষের দু’জন নিকটাত্মীয়কে আশ্রয় দিয়েছি। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিশ্চয় তুমি যাকে আশ্রয় দিয়েছ, আমরাও তাকে আশ্রয় দান করলাম।

بَابُ الْاَمَانِ

عَن أم هَانِئ بنت أَي طالبٍ قالتْ: ذهبتُ إِلى رسولِ الله عَامَ الْفَتْحِ فَوَجَدْتُهُ يَغْتَسِلُ وَفَاطِمَةُ ابْنَتُهُ تَسْتُرُهُ بِثَوْبٍ فَسَلَّمْتُ فَقَالَ: «مَنْ هَذِهِ؟» فَقُلْتُ: أَنَا أُمُّ هَانِئٍ بِنْتُ أَبِي طَالِبٍ فَقَالَ: «مَرْحَبًا بِأُمِّ هَانِئٍ» فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ غُسْلِهِ قَامَ فَصَلَّى ثَمَانِيَ رَكَعَاتٍ مُلْتَحِفًا فِي ثَوْبٍ ثُمَّ انْصَرَفَ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ زَعَمَ ابْنُ أُمِّي عَلِيٌّ أَنَّهُ قَاتِلٌ رَجُلًا أَجَرْتُهُ فُلَانَ بْنَ هُبَيْرَةَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «قَدْ أَجَرْنَا مَنْ أَجَرْتِ يَا أم هَانِئ» قَالَت أُمَّ هَانِئٍ وَذَلِكَ ضُحًى. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ. وَفِي رِوَايَةٍ لِلتِّرْمِذِيِّ: قَالَتْ: أَجَرْتُ رَجُلَيْنِ مِنْ أَحْمَائِي فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «قد أمنا من أمنت»

ব্যাখ্যা: ইবনুল মুনযির বলেনঃ মহিলা কর্তৃক নিরাপত্তা দান বৈধ হওয়ার ক্ষেত্রে সকল বিদ্বানগণ একমত। তবে ঐ উক্তি ছাড়া যা ‘আবদুল মালিক, অর্থাৎ- ইমাম মালিক-এর সাথী ইবনুল মাজিশূন যা বর্ণনা করেছেন তা ছাড়া। ইবনুল মাজিশূন বলেনঃ নিরাপত্তার বিষয় ইমামের কাছে। এর বিরোধী যা বর্ণিত হয়েছে তা তিনি বিশেষ ব্যাপার বলে আখ্যায়িত করেছেন। ইবনুল মুনযির বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উক্তি «يَسْعٰى بِذِمَّتِهِمْ أَدْنَاهُمْ» অর্থাৎ- তাদের যিম্মাদারিত্ব তাদের সর্বনিম্ন ব্যক্তিকেও পরিব্যপ্ত করবে। এতে এ কথকের উদাসিনতার উপর প্রমাণ আছে।

ইবনুল মাজিশূন-এর উক্তির মতো উক্তি সাহনূন থেকে এসেছে, তিনি বলেনঃ তা ইমাম পর্যন্ত, যদি তিনি তা বৈধতা দেন তাহলে তা বৈধ আর যদি তিনি তাকে ফিরিয়ে দেন তাহলে তাকে ফিরিয়ে দিতে হবে। (ফাতহুল বারী ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩১৭১)

‘আওনুল মা‘বূদে আছে, «صلى سبحة الضحى ثمانى ركعات» নববী বলেনঃ যুহার সালাতের হাদীসের মধ্যে এটাই সর্বাধিক স্পষ্ট যা সহীহাতে আছে। তিনি বলেন, এর দ্বারা চাশ্‌তের সালাত উদ্দেশ্য। এর দ্বারা অত্র হাদীসের মাধ্যমে দলীল গ্রহণের ক্ষেত্রে কাযী ‘ইয়ায ও অন্যান্যের অবস্থান প্রতিহত হচ্ছে। আর তাদের বক্তব্য এই যে, উম্মু হানী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সালাতের সময় সম্পর্কে সংবাদ দিয়েছেন তার নিয়্যাত সম্পর্কে নয়। সুতরাং সম্ভবত ঐ সালাতটি মক্কা বিজয়ের ব্যাপারে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায় স্বরূপ ছিল, আবূ দাঊদের এ হাদীসের সানাদ বুখারীর শর্তে বিশুদ্ধ।

আহমাদ ইবনু সালিহ বলেনঃ এর উদ্দেশ্য হলো- আহমাদ বিন সালিহ এবং আহমাদ বিন ‘আমর-এর শব্দের ভিন্নতা উল্লেখ করা। আহমাদ বিন সালিহ তার শব্দ سبحة الضحى উল্লেখ করেছেন, অর্থাৎ- তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মক্কা বিজয়ের দিন চাশ্‌তের আট রাক্‘আত সালাত আদায় করেছেন। ইবনুস্ সার্হ এটা উল্লেখ করেননি। বরং তিনি বলেছেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মক্কা বিজয়ের দিন আট রাক্‘আত সালাত আদায় করেছেন। (‘আওনুল মা‘বূদ ৩য় খন্ড, হাঃ ১২৮৬)

(ذَهَبْتُ إِلٰى رَسُوْلِ اللهِ عَامَ الْفَتْحِ فَوَجَدْتُه يَغْتَسِلُ وَفَاطِمَةُ ابْنَتُه تَسْتُرُه بِثَوْبٍ) অর্থাৎ- আমি মক্কা বিজয়ের বছর আল্লাহর রসূলের কাছে গেলাম, অতঃপর তাকে গোসলরত অবস্থায় পেলাম আর তাঁর কন্যা তাঁকে কাপড় দ্বারা আড়াল করছিল। এতে মাহরাম নারীর উপস্থিতিতে পুরুষের গোসল বৈধ হওয়ার দলীল রয়েছে, তবে শর্ত এই যে, ঐ পুরুষ ও মহিলার মাঝে কাপড় বা অন্য কিছুর পর্দা থাকতে হবে। (শারহে মুসলিম ৪র্থ খন্ড, হাঃ ৩৩৬)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু হানী বিনতু আবূ তালিব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৪২২২-[৬৪] উম্মু হানী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাছে এসে বললেনঃ তোমার নিকট খাওয়ার কিছু আছে কি? আমি বললামঃ শুক্না রুটি ও সিরকা ব্যতীত কিছুই নেই। তিনি বললেনঃ তাই দাও। বস্তুতঃ যে ঘরে সিরকা আছে, সে ঘর তরকারীশূন্য নয়। (তিরমিযী এবং তিনি বলেছেনঃ হাদীসটি হাসান ও গরীব।)[1]

الْفَصْلُ الثَّانِي

وَعَن أم هَانِئ قَالَتْ: دَخَلَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «أَعِنْدَكِ شَيْءٌ» قُلْتُ: لَا إِلَّا خُبْزٌ يَابِسٌ وَخَلٌّ فَقَالَ: «هَاتِي مَا أَقْفَرَ بَيْتٌ مِنْ أَدَمٍ فِيهِ خَلٌّ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ

ব্যাখ্যাঃ আল জাযারী (রহিমাহুল্লাহ) আন্ নিহায়াহ্ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, যে পরিবারে সিরকা রয়েছে সে পরিবার তরকারীহীন খাদ্য খাওয়ার মতো অভাবী নয়। এখানে القفار হলো তরকারীহীন খাদ্য। ব্যক্তি তখনই তরকারীহীন হয় যখন সে শুধুমাত্র রুটি খায় এবং তাতে অন্য কিছুর মিশ্রণ থাকে না। মূলত القفار (ক্বিফার) সে নির্জন ভূমিকে বলা হয় যাতে কোন ধরনের পানি না থাকে। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ১৮৪২)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু হানী বিনতু আবূ তালিব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো

৪৪৪৬-[২৮] উম্মু হানী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, (মক্কা বিজয়ের দিন) একদিন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাছে আসলেন, এ সময় তাঁর মাথার চুলে চারটি জুলফি ছিল। (আহমাদ, আবূ দাঊদ, তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ)[1]

وَعَن أم هَانِئ قَالَتْ: قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَيْنَا بِمَكَّةَ قَدْمَةً وَلَهُ أَرْبَعُ غَدَائِرَ. رَوَاهُ أَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ

ব্যাখ্যাঃ (قَدْمَةً) ব্যাকরণের দিক থেকে শব্দটি "قدم" ক্রিয়া এর মাফঊলে মুত্বলাক। অর্থাৎ আমাদের মাঝে একবার আসেন। হিজরত করে মদীনায় যাওয়ার পর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চার বার মক্কায় এসেছিলেন বলে বর্ণনায় পাওয়া যায়। তবে কোন কোন বর্ণনার আলোকে বুঝা যায়, এ আগমনটি ছিল মক্কা বিজয়ের সময়ের আগমন।

(غَدَائِرَ) কোন কোন বর্ণনার শব্দ "ضفائر"। এর অর্থ হলো, চুলের কিছু অংশকে অন্য কিছু অংশের ভিতর প্রবেশ করানো। এর মাধ্যমে চুলকে খোপা বা বেনী আকারে করা হয়। এর উদ্দেশ্য হলো, চুলের ভিতর ময়লা বা ধূলা-বালু প্রবেশ করতে না দেয়া। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ১৭৮২)

রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চুল লম্বা থাকায় ধূলা-বালি প্রবেশ না করার জন্য হয়ত রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার চুলকে চারটি গুচ্ছ বা বেনী আকার করে রাখতেন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু হানী বিনতু আবূ তালিব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩০১. সালাতুদ্-দুহা (চাশতের সালাত) আদায় করা প্রসঙ্গে

১২৯০। আবূ ত্বালিবের কন্যা উম্মু হানী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কাহ বিজয়ের দিন আট রাক’আত চাশতের সালাত আদায় করেছেন। তিনি প্রতি দু’ রাক’আতে সালাম ফিরিয়েছেন। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আহমাদ ইবনু সলিহ বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কাহ বিজয়ের দিন চাশতের সালাত আদায় করেছেন। অতঃপর পূর্ববর্তী হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। ইবনুস সারহ বলেন, উম্মু হানী বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট এলেন, কিন্তু এ হাদীসে চাশতের সালাতের উল্লেখ নেই। তবে তিনি পূর্বোক্ত হাদীসের ভাবার্থ বর্ণনা করেছেন।[1]

দুর্বল।

باب صَلَاةِ الضُّحَى

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، قَالَا حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي عِيَاضُ بْنُ عَبْدِ اللهِ، عَنْ مَخْرَمَةَ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ كُرَيْبٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ أُمِّ هَانِئٍ بِنْتِ أَبِي طَالِبٍ، أَنَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ الْفَتْحِ صَلَّى سُبْحَةَ الضُّحَى ثَمَانِيَ رَكَعَاتٍ يُسَلِّمُ مِنْ كُلِّ رَكْعَتَيْنِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ : قَالَ أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ : إِنَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ الْفَتْحِ صَلَّى سُبْحَةَ الضُّحَى فَذَكَرَ مِثْلَهُ ‏.‏ قَالَ ابْنُ السَّرْحِ : إِنَّ أُمَّ هَانِئٍ قَالَتْ : دَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ يَذْكُرْ سُبْحَةَ الضُّحَى بِمَعْنَاهُ ‏.‏

- ضعيف


Narrated Umm Hani ibn AbuTalib: The Messenger of Allah (ﷺ) prayed on the day of the Conquest (of Mecca) eight rak'ahs saluting after every two rak'ahs. Abu Dawud said: Ahmad b. Salih said that the Messenger of Allah offered prayer in the forenoon on the day of the Conquest of Mecca, and he narrated something similar. Ibn al-Sarh reported that Umm Hani said: The Messenger of Allah (ﷺ) entered upon me. This version does not mention the prayer in the forenoon.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু হানী বিনতু আবূ তালিব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪৯. তাশরীকের দিনসমূহে সওম পালন

২৪১৮। উম্মু হানী (রাযি.)-এর মুক্তদাস আবূ মুররাহ (রহ.) সূত্রে বর্ণিত। একদা তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু আমরের সাথে তার পিতা আমর ইবনুল আস (রাযি.)-এর নিকট যান। তিনি তাদের উভয়ের সামনে খাবার এনে তা খেতে বললেন। আব্দুল্লাহ (রাযি.) বললেন, আমি সওমরত আছি। আমর (রাযি.) বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দিনগুলোতে আমাদেরকে সওম ভাঙ্গার নির্দেশ দিয়েছেন এবং সওম রাখতে নিষেধ করেছেন। মালিক (রহ.) বলেন, তা হলো তাশরীকের দিনগুলো।[1]

সহীহ।

بَابُ صِيَامِ أَيَّامِ التَّشْرِيقِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ الْهَادِ، عَنْ أَبِي مُرَّةَ، مَوْلَى أُمِّ هَانِئٍ، أَنَّهُ دَخَلَ مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَلَى أَبِيهِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، فَقَرَّبَ إِلَيْهِمَا طَعَامًا، فَقَالَ: كُلْ، فَقَالَ: إِنِّي صَائِمٌ، فَقَالَ عَمْرٌو: كُلْ، فَهَذِهِ الْأَيَّامُ الَّتِي كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْمُرُنَا بِإِفْطَارِهَا، وَيَنْهَانَا عَنْ صِيَامِهَا، قَالَ مَالِكٌ: وَهِيَ أَيَّامُ التَّشْرِيقِ

صحيح


Abu Murrah, the client of Umm Hani, entered along with 'Abd Allah b. 'Amr upon his father 'Amr b. 'As and he brought food for him. He said: Eat. He said: I am fasting. 'Amr said: Eat, these are the days on which the Messenger of Allah (ﷺ) used to command us to break fast, and forbid us to keep fast. The narrator Malik said: These are the day of al-tashriq (i.e. 11th, 12th, and 13th of Dhu al-Hijjah).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু হানী বিনতু আবূ তালিব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৭৩. এ ব্যাপারে অনুমতি প্রসঙ্গে

২৪৫৬। উম্মু হানী (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন ফাতিমাহ (রাযি.) এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাম পাশে বসলেন আর উম্মু হানী (রাযি.) বসলেন তাঁর ডান পাশে। বর্ণনাকারী বলেন, এক দাসী এক পাত্র পানীয় এনে তাঁকে দিলে তিনি তা থেকে কিছু পান করার পর উম্মু হানীর দিকে পাত্রটি এগিয়ে দিলেন এবং তিনি তা থেকে পান করলেন। উম্মু হানী (রাযি.) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি যে এখন ইফতার করলাম, আমি তো সওম রেখেছিলাম! তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কি এগুলো কাযা করতে চাও? তিনি বললেন, না। তিনি বললেনঃ যদি তা নফল (সওম) হয় তাহলে কোনো ক্ষতি নেই।[1]

সহীহ।

بَابٌ فِي الرُّخْصَةِ فِي ذَلِكَ

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ أُمِّ هَانِئٍ، قَالَتْ: لَمَّا كَانَ يَوْمُ الْفَتْحِ فَتْحِ مَكَّةَ، جَاءَتْ فَاطِمَةُ، فَجَلَسَتْ عَنْ يَسَارِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأُمُّ هَانِئٍ عَنْ يَمِينِهِ، قَالَتْ: فَجَاءَتِ الْوَلِيدَةُ بِإِنَاءٍ فِيهِ شَرَابٌ، فَنَاوَلَتْهُ فَشَرِبَ مِنْهُ، ثُمَّ نَاوَلَهُ أُمَّ هَانِئٍ، فَشَرِبَتْ مِنْهُ، فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَقَدْ أَفْطَرْتُ، وَكُنْتُ صَائِمَةً، فَقَالَ لَهَا: أَكُنْتِ تَقْضِينَ شَيْئًا؟، قَالَتْ: لَا، قَالَ: فَلَا يَضُرُّكِ إِنْ كَانَ تَطَوُّعًا

صحيح


Narrated Umm Hani: On the days of the conquest of Mecca, when Mecca was captured, Fatimah came and sat on the left side of the Messenger of Allah (ﷺ), and Umm Hani was on his right side. A slave-girl brought a vessel which contained some drink; she gave it to him and he drank of it. He then gave it to Umm Hani who drank of it. She said: Messenger of Allah, I have broken my fast; I was fasting. He said to her: Were you making atonement for something? She replied: No. He said: Then it does not harm you if it was voluntary (fast).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু হানী বিনতু আবূ তালিব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৬৭. নারীর দেয়া নিরাপত্তা সম্পর্কে

২৭৬৩। উম্মু হানী বিনতু আবূ তালিব(রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি মক্কা বিজয়ের দিন মুশরিকদের এক লোককে আশ্রয় দেন। তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে তাঁকে বিষয়টি অবহিত করায় তিনি বললেনঃ তুমি যাকে আশ্রয় দিয়েছো ’আমরাও তাকে আশ্রয় দিলাম এবং তুমি যাকে নিরাপত্তা দিয়েছো, ’আমরাও তাকে নিরাপত্তা দিলাম।[1]

بَابٌ فِي أَمَانِ الْمَرْأَةِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عِيَاضُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ مَخْرَمَةَ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: حَدَّثَتْنِي أُمُّ هَانِئٍ بِنْتُ أَبِي طَالِبٍ، أَنَّهَا أَجَارَتْ رَجُلًا مِنَ الْمُشْرِكِينَ يَوْمَ الْفَتْحِ فَأَتَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لَهُ، فَقَالَ: قَدْ أَجَرْنَا مَنْ أَجَرْتِ، وَأَمَّنَّا مَنْ أَمَّنْتِ

صحيح


Ibn ‘Abbas said “Umm Hani daughter of Abu Talib told me that in the year of the conquest she gave protection to a man from the polytheists. She came to the Prophet (ﷺ) and mentioned it to him. He said “We have given security to those to whom you have given it.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু হানী বিনতু আবূ তালিব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ চাশতের নামাযের ফযীলত

(৮২০) উম্মে হানী ফাখেতাহ বিনতে আবু তালেব হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের বছরে আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবারে উপস্থিত হয়ে দেখি যে, তিনি গোসল করছেন। যখন তিনি গোসল সম্পন্ন করলেন, তখন আট রাকআত নামায পড়লেন। আর তখন ছিল চাশতের সময়।

وَعَن أُمِّ هَانِىءٍ فَاخِتَةَ بِنتِ أَبي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنهَا قَالَتْ : ذَهَبْتُ إِلَى رَسُوْلِ اللهِ ﷺ عَامَ الفَتْحِ فَوَجَدْتُهُ يَغْتَسِلُ فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ غُسْلِهِ صَلَّى ثَمَانِيَ رَكَعَاتٍ وَذَلِكَ ضُحىً متفقٌ عَلَيْهِ وهذا مختصرُ لفظِ إحدى روايات مسلم


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু হানী বিনতু আবূ তালিব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ পশু-পালন

(২৫২৬) উম্মে হানী (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বলেছেন, বাড়িতে ছাগল পালো। কারণ তাতে বরকত আছে।

عَنْ أم هَانِئٍ قَالَتْ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اتَّخِذُوا الْغَنَمَ فَإِنَّ فِيهَا بَرَكَةً


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু হানী বিনতু আবূ তালিব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ বাড়িতে প্রবেশ করার অনুমতি গ্রহণ ও তার আদব-কায়দা

(৩০৮৪) উম্মে হানী (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট হাযির হলাম, তখন তিনি গোসল করছিলেন। আর (তাঁর মেয়ে) ফাতেমা তাঁকে কাপড় দিয়ে আড়াল করছিলেন। সুতরাং তিনি বললেন, কে তুমি? আমি বললাম, ’আমি উম্মে হানী।’

وَعَنْ أُمِّ هَانِئٍ رَضِيَ اللهُ عَنهَا قَالَتْ : أَتَيتُ النَّبيَّ ﷺ وَهُوَ يَغْتَسِلُ وَفَاطِمَةُ تَسْتُرُهُ فَقَالَ مَنْ هذِهِ فَقُلتُ : أَنَا أُمُّ هَانِئٍ متفقٌ عَلَيْهِ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু হানী বিনতু আবূ তালিব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ (নারী-পুরুষের পারস্পরিক সালাম)

(৩২৬১) উম্মে হানী ফাখেতাহ বিনতে আবী ত্বালেব (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’মক্কা বিজয়ের দিন আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট হাজির হলাম। তখন তিনি গোসল করছিলেন। ফাতেমা তাঁকে একটি কাপড় দিয়ে আড়াল করছিলেন। আমি (তাঁকে) সালাম দিলাম।’ অতঃপর তিনি সম্পূর্ণ হাদীস বর্ণনা করেছেন।

وَعَنْ أُمِّ هَانِىءٍ فَاخِتَةَ بِنْتِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنهَا قَالَتْ : أَتَيتُ النَّبيَّ ﷺ يَوْمَ الفَتْحِ وَهُوَ يَغْتَسِلُ وَفَاطِمَةُ تَسْتُرُهُ بِثَوْبٍ فَسَلَّمْتُ وَذَكَرَتِ الحديث رواه مسلم


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু হানী বিনতু আবূ তালিব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ বিধর্মীকে নিরাপত্তা দান করা প্রসঙ্গে

১৩০০। ইবনু মাজাহ অন্য সূত্রে বর্ণনা করেছেন, মুসলিমদের একজন দূরতম ব্যক্তি অর্থাৎ নগণ্য লোকও সকল মুসলিমের পক্ষ হতে আশ্রয় প্রদানের অধিকার রাখে।[1]

বুখারী মুসলিমে উম্মু হানী (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত; হাদীসে আছে, তুমি যাকে আশ্রয় দেবে তাকে আমরাও আশ্রয় দিয়েছি বলে সাব্যস্ত হবে।

زَادَ ابْنُ مَاجَه مِنْ وَجْهٍ آخَرَ: يُجِيرُ عَلَيْهِمْ أَقْصَاهُمْ
وَفِي «الصَّحِيحَيْنِ» مِنْ حَدِيثٍ أَمِ هَانِئٍ: «قَدْ أَجَرْنَا مَنْ أَجَرْتِ

-

حسن. رواه ابن ماجه (2685) من طريق عمرو بن شعيب، عن أبيه، عن جده، ولكن لفظه ليس كما ذكره الحافظ، وإنما: « .. ويجير على المسلمين أدناهم، ويرد على المسلمين أقصاهم». ونحو الجملة الأخيرة عن ابن عباس عند ابن ماجه أيضًا (2683) ولكن رواه أبو داود (2751) باللفظ الذي ذكره الحافظ وأيضًا من طريق عمرو بن شعيب، به


Ibn Majah narrated with a different chain of narrators, 'And the most eminent gives protection on their behalf.’ Al-Bukhari and Muslim transmitted in the hadith of Umm Hani’, “We have given protection to whom you have granted (protection).”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু হানী বিনতু আবূ তালিব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৮. সালাতুয যুহা [চাশত ও ইশরাকের নামায]

রেওয়ায়ত ২৮. উম্মুহানী বিনতে আবি তালিব (রাঃ) বলিয়াছেনঃ আমি মক্কা বিজয়ের সালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে গমন করিলাম। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে গোসল করিতে দেখিলাম। তাহার কন্যা ফাতিমা (রাঃ) একটি কাপড় দিয়া তাহার জন্য পর্দা করিয়াছেন। তিনি বলিলেনঃ আমি গিয়া তাহার উদ্দেশ্যে আসসালামু আলাইকুম বললাম। তিনি ফরমাইলেন, ইনি কে? আমি বললামঃ আবু তালিবের কন্যা উম্মুহানী। তখন তিনি বললেনঃ উম্মুহনীর জন্য মারহাবা (খোশ আমদেদ)। তিনি যখন গোসল সমাপ্ত করিলেন, একটি মাত্র কাপড় জড়াইয়া আট রাকাআত নামায পড়িলেন। নামায হইতে প্রত্যাবর্তন করিলে আমি বলিলামঃ আমার ভাই আলী (রাঃ) বলিয়াছেন, সে এমন এক ব্যক্তিকে কতল করিবে, যাহাকে আমি আশ্রয় দিয়াছি। সে হইতেছে হুবায়রার সন্তান ’অমুক (তাবরানীর মতে সে হুবাইরার চাচাত ভাই)। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেনঃ হে ’উম্মুহানী, তুমি যাহাকে আশ্রয় দিয়াছ, আমিও তাহাকে আশ্রয় দিলাম। উম্মুহানী বলেন, সময়টি ছিল চাশতের।

بَاب صَلَاةِ الضُّحَى

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي النَّضْرِ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ أَنَّ أَبَا مُرَّةَ مَوْلَى عَقِيلِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ سَمِعَ أُمَّ هَانِئٍ بِنْتَ أَبِي طَالِبٍ تَقُولُ ذَهَبْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْفَتْحِ فَوَجَدْتُهُ يَغْتَسِلُ وَفَاطِمَةُ ابْنَتُهُ تَسْتُرُهُ بِثَوْبٍ قَالَتْ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ مَنْ هَذِهِ فَقُلْتُ أُمُّ هَانِئٍ بِنْتُ أَبِي طَالِبٍ فَقَالَ مَرْحَبًا بِأُمِّ هَانِئٍ فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ غُسْلِهِ قَامَ فَصَلَّى ثَمَانِيَ رَكَعَاتٍ مُلْتَحِفًا فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ ثُمَّ انْصَرَفَ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ زَعَمَ ابْنُ أُمِّيعَلِيٌّ أَنَّهُ قَاتِلٌ رَجُلًا أَجَرْتُهُ فُلَانُ بْنُ هُبَيْرَةَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَجَرْنَا مَنْ أَجَرْتِ يَا أُمَّ هَانِئٍ قَالَتْ أُمُّ هَانِئٍ وَذَلِكَ ضُحًى


Yahya related to me from Malik from Abu'n Nadr, the mawla of Umar ibn Ubaydullah, that Abu Murra, the mawla of Aqil ibn Abi Talib, told him that he had heard Umm Hani bint Abi Talib say, "I went to the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, in the year of the conquest and found him doing ghusl while his daughter Fatima, was screening him with a garment. I said to him, 'Peace be upon you' and he said, 'Who is that?' I replied, 'Umm Hani bint Abi Talib,' and he said, 'Welcome, Umm Hani!' When he had finished his ghusl, he stood and prayed eight rakas, covering himself with one garment, and then came away. I said, 'Messenger of Allah, the son of my mother, AIi, says that he is determined to kill so-and-so, son of Hubayra, a man I have placed under my protection.' The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, 'We give protection to whoever you have given protection to, Umm Hani.' " Umm Hani related that this incident happened in the morning.


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ উম্মু হানী বিনতু আবূ তালিব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ ৪১ থেকে ৬০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৬৭ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ « আগের পাতা 1 2 3 4 পরের পাতা »