৩৭১৬

পরিচ্ছেদঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক তাঁর প্রভুর কাছে এই মর্মে প্রার্থনা করা যে, তিনি যেন মদীনাকে তাঁর কাছে মক্কার মতো বা তার চেয়েও বেশি প্রিয় করে দেন

৩৭১৬. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাদীনায় আগমন করেন, তখন আবূ বকর ও বিলাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা জ্বরে আক্রান্ত হন।” তিনি বলেন, “অতঃপর আমি তাদের কাছে গিয়ে বলি, হে বাবা, আপনি কেমন অনুভব করছেন? হে বিলাল, আপনি কেমন অনুভব করছেন?”

আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা বলেন, “আবূ বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু জ্বরে আক্রান্ত হলে বলতেন,

كل امرىء مُصَبَّحٌ فِي أَهْلِهِ         وَالْمَوْتُ أَدْنَى مِنْ شِرَاكِ نَعْلِهِ

“প্রত্যেকটি মানুষ সকালে তার পরিবারের মাঝে অভিনন্দিত হয়, অথচ মৃত্যু তার জুতার ফিতার চেয়েও নিকটবর্তী।”

বিলাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু যখন জ্বর থেকে সেরে উঠতেন, তখন তিনি বলতেন,

أَلَا لَيْتَ شِعْرِي هَلْ أَبِيتَنَّ لَيْلَةً       بِوَادٍ وَحَوْلِي إِذْخِرٌ وَجَلِيلٌ

وَهَلْ أَرِدَنْ يَوْمًا مِيَاهَ مجنةٍ        وَهَلْ يَبْدُوَنْ لِي شَامَةٌ وَطَفِيلٌ

“হায়, যদি আমি একটি রাত এমন উপত্যকায় কাটাতে পারতাম, যেখানে আমার চতুষ্পার্শ্বে ইযখির ও জালীল ঘাস থাকতো, 
আমি কি কোন দিন মাজিনার পানিতে নামতে পারবো? আর আমার সামনে কি শামাহ ও তাফিল পাহাড় দৃশ্যমান হবে?”

আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা বলেন, “অতঃপর আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে গিয়ে বিষয়টি তাঁকে অবহিত করি। তখন তিনি বলেন, “হে আল্লাহ, আপনি মাদীনাকে আমাদের কাছে মক্কার মতো বা তার চেয়ে বেশি প্রিয় করে দিন। আমাদের জন্য (এর আবহাওয়া) অনুকূল করে দিন। আমাদের জন্য এর মুদ ও সা‘তে বারাকাহ দিন। এর জ্বরকে স্থানান্তরিত করে জুহফায় পাঠিয়ে দিন।”[1]

আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জ্বর জুহফায় স্থানান্তর করার দুআ করার কারণ হলো, জুহফাহ সেসময় ইয়াহুদি অধ্যুষিত ছিল, সেখানে কোন মুসলিম ছিল না। এজন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “এর জ্বরকে স্থানান্তরিত করে জুহফায় পাঠিয়ে দিন।”

ذِكْرُ سُؤَالِ الْمُصْطَفَى صلى الله عليه وسلم رَبَّهُ أَنْ يُحَبِّبَ إِلَيْهِ الْمَدِينَةَ كَحُبِّهِ مَكَّةَ أو أشدَّ

3716 - أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ سِنَانٍ بِمَنْبِجَ أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ عَنْ مَالِكٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا قَالَتْ: لَمَّا قَدِمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ وُعِكَ أَبُو بَكْرٍ وَبِلَالٌ قَالَتْ: فَدَخَلْتُ عَلَيْهِمَا فَقُلْتُ: يَا أَبَتِ كَيْفَ تَجِدُكَ؟ وَيَا بِلَالُ كَيْفَ تَجِدُكَ؟ قَالَتْ: وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ رضي الله عنه إِذَا أخذته الحمى يقول: كل امرىء مُصَبَّحٌ فِي أَهْلِهِ وَالْمَوْتُ أَدْنَى مِنْ شِرَاكِ نَعْلِهِ. وَكَانَ بِلَالُ رحمه الله إِذَا أُقْلِعَ عَنْهُ يرفع عقيرته ويقول: أَلَا لَيْتَ شِعْرِي هَلْ أَبِيتَنَّ لَيْلَةً بِوَادٍ وَحَوْلِي إِذْخِرٌ وَجَلِيلٌ وَهَلْ أَرِدَنْ يَوْمًا مِيَاهَ مجنةٍ وَهَلْ يَبْدُوَنْ لِي شَامَةٌ وَطَفِيلٌ. قَالَتْ عَائِشَةُ: فَجِئْتُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرَتْهُ فَقَالَ: (اللَّهُمَّ حَبِّبْ إِلَيْنَا الْمَدِينَةَ كَحُبِّنَا مَكَّةَ أَوْ أَشَدَّ وصحِّحها لَنَا وَبَارِكْ لَنَا فِي صَاعِهَا ومُدِّها وانقُل حُمَّاها وَاجْعَلْهَا بِالْجُحْفَةِ) الراوي : عَائِشَةُ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 3716 | خلاصة حكم المحدث: صحيح - ((تخريج فقه السيرة)) (173) ، ((الصحيحة)) (2584): ق. قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: الْعِلَّةُ فِي دُعَاءِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بْنَقْلِ الْحُمَّى إِلَى الجُحْفَةِ أَنَّ الْجُحْفَةَ حِينَئِذٍ كَانَتْ دَارَ الْيَهُودِ وَلَمْ يَكُنْ بِهَا مُسْلِمٌ فَمِنْ أَجْلِهِ قَالَ صلى الله عليه وسلم: (وَانْقُلْ حُمَّاها إِلَى الجحفة)