১০৯৯

পরিচ্ছেদঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বক্তব্য “সে যেন তার লজ্জাস্থানে পানি ছিটা দেয়” এর উদ্দেশ্য হলো “সে যেন লজ্জাস্থান ধৌত করে”

১০৯৯. আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমি মযীপ্রবণ মানুষ ছিলাম, ফলে আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করলাম, জবাবে  তিনি বলেন, “যখন তুমি মযী দেখবে, তখন তোমার লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেলবে, আর যখন তুমি বীর্য দেখবে, তখন গোসল করবে।”[1]

আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “হতে পারে আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু মিকদাদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে আদেশ করেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করার জন্য, অতঃপর তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করেন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে উত্তর দেন অতঃপর মিকদাদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে উত্তরটি জানিয়ে দেন। তারপর আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু মিকদাদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক জানানো বিষয়টি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জানান, এভাবে দুই জায়গায় দুই বার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে যে দুই জায়গায় দুইবার প্রশ্ন করা হয়, তার দলীল হলো আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর প্রশ্নের জবাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বীর্য দেখলে গোসল করার নির্দেশ দেন, যা মিকদাদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর হাদীসে নেই, যা প্রমাণ করে যে হাদীস দুটি স্বতন্ত্র আলাদা হাদীস।”

ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ قَوْلَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (فَلْيَنْضَحْ فَرْجَهُ) أَرَادَ بِهِ: فَلْيَغْسِلْ ذَكَرَهُ

1099 - أَخْبَرَنَا الْفَضْلُ بْنُ الْحُبَابِ الْجُمَحِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ حَدَّثَنَا زَائِدَةُ بْنُ قُدَامَةَ حَدَّثَنِي الرُّكَيْنُ بْنُ الرَّبِيعِ الْفَزَارِيُّ عَنْ حُصَيْنِ بْنِ قَبِيصَةَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ قَالَ: كُنْتُ رَجُلًا مَذَّاءً فَسَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: (إِذَا رَأَيْتَ الْمَذْيَ فَاغْسِلْ ذكرك وإذا رأيت الماء فاغتسل) الراوي : عَلِيّ بْن أَبِي طَالِبٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 1099 | خلاصة حكم المحدث:. صحيح. قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: يُشْبِهُ أَنْ يَكُونَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ أَمَرَ الْمِقْدَادَ أَنْ يَسْأَلَ رسول الله صلى الله عليه وسلم عن هَذَا الْحُكْمِ فَسَأَلَهُ وَأَخْبَرَهُ ثُمَّ أَخْبَرَ الْمِقْدَادُ عَلِيًّا بِذَلِكَ ثُمَّ سَأَلَ عَلِيٌّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَمَّا أَخْبَرَهُ بِهِ الْمِقْدَادُ حَتَّى يَكُونَا سُؤَالَيْنِ فِي مَوْضِعَيْنِ مُخْتَلِفَيْنِ وَالدَّلِيلُ عَلَى أَنَّهُمَا كَانَا فِي مَوْضِعَيْنِ أَنَّ عِنْدَ سُؤَالِ عَلِيٍّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهُ بِالِاغْتِسَالِ عِنْدَ الْمَنِيِّ وَلَيْسَ هَذَا فِي خَبَرِ الْمِقْدَادِ يَدُلُّكُ هَذَا عَلَى أَنَّهُمَا غير متضادين.