১০৯৩

পরিচ্ছেদঃ ওযূ ভঙ্গের কারণসমূহ

১০৯৩. জাবির বিন আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে যাতুর রিকা‘ যুদ্ধে বের হয়েছিলাম। অতঃপর মুসলিমদের এক ব্যক্তি মুশরিকদের এক ব্যক্তির স্ত্রীকে হত্যা করেন। তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন যুদ্ধ থেকে ফিরে আসেন, তখন সেই মহিলার স্বামী বাড়িতে আসে, যুদ্ধের সময় সে বাড়িতে উপস্থিত ছিল না। অতঃপর যখন তাকে (তার স্ত্রী হত্যা হওয়ার ব্যাপারটি) জানানো হলো, তখন সে শপথ করলো যে, সে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথীদের মাঝে কাউকে হত্যা না করা পর্যন্ত সে ক্ষ্যান্ত যাবে না। ফলে সে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পদচিহ্ন অনুসরন করে রওয়ানা হলো।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাস্তায় এক জায়গায় যাত্রা বিরতি দিলেন এবং বললেন, “আজকের রাতে আমাদের কে পাহারা দিবে?” তখন একজন আনসারী ও একজন মুহাজির সাহাবী তাঁর আহবানে সাড়া দিলেন। তারা বললেন, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমরা পাহারা দিব।” তখন তিনি বলেন, “তবে তোমরা পাহাড়ের  গিরিপথে অবস্থান করবে।” অতঃপর তারা যখন গিরিপথে গেলেন, তখন আনসারী সাহাবী মুহাজির সাহাবীকে বললেন, “আপনার কাছে রাতের কোন অংশ অর্থাৎ প্রথম অংশ না শেষ অংশ প্রিয় যাতে আমি আপনার পক্ষে পাহারা দিব?” জবাবে তিনি বললেন, “আপনি আমার পক্ষে রাতের প্রথম অংশে পাহারা দেন। রাবী বলেন, “অতঃপর মুহাজির সাহাবী ঘুমিয়ে যান। আর আনসারী সাহাবী সালাতে দাঁড়িয়ে যান। এমন অবস্থায় ঐ মহিলার স্বামী আসে, অতঃপর সে যখন আনসারী সাহাবীর অবয়ব দেখতে পায়, তখন সে বুঝতে পারে যে, তিনি লোকদের পাহারাদার। ফলে তিনি তাকে একটি তীর মারে এবং তাকে তীরবিদ্ধ করে। আনসারী সাহাবী তীরটি খুলে ফেলে রেখে দেয় এবং স্থিরভাবে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় অব্যাহত রাখেন। তারপর সে আরেকটি একটি তীর মারে এবং তাকে তীরবিদ্ধ করে। আনসারী সাহাবী তীরটি খুলে ফেলে রেখে দেয় এবং স্থিরভাবে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় অব্যাহত রাখেন। তারপর সে তৃতীয়বার তাকে তীর মারেন এবং তাকে তীরবিদ্ধ করে। আনসারী সাহাবী তীরটি খুলে ফেলে রেখে দেয় তারপর তিনি রুকু করেন এবং সাজদা করেন। তারপর তিনি তাঁর সাথীকে জাগিয়ে তুলেন এবং বলেন, “উঠে বসুন, আমি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছি।” অতঃপর তিনি লাফিয়ে উঠেন। তারপর সে লোক যখন তাদের দুইজনকে দেখলো, তখন সে বুঝতে পারলো যে, সাহাবীরা (তার উপস্থিতি) টের পেয়েছেন, ফলে সে পলায়ন করলো। অতঃপর মুহাজির ব্যক্তি যখন আনসারী ব্যক্তির রক্তাক্ত অবস্থা দেখলেন, তখন বললেন, “সুবহানাল্লাহ!  সে প্রথম যখন আপনাকে  তীর মারে, তখনই কেন আমাকে জাগিয়ে দেননি?” জবাবে তিনি বলেন, “আমি একটি সূরা পাঠ করছিলাম। ফলে সেটা শেষ না করা পর্যন্ত তা ছেড়ে দেওয়াকে আমি পছন্দ করিনি! তারপর যখন সে পরপর আমাকে তীর মারছিল, তখন আমি রুকুতে যাই। অতঃপর আমি আপনাকে জানান দেই। আল্লাহর কসম, যদি এমন না হতো যে, আমি রাসূল (সা.) এর কর্তৃক নির্দেশিত প্রহরা নষ্ট করে ফেলবো, তবে অবশ্যই হয়তো আমি সূরাটির পাঠ শেষ করতাম নয়তো তা পাঠ করার জন্য আমার জীবন বিসর্জন দিয়ে দিতাম!”[1]

بَابُ نَوَاقِضِ الْوُضُوءِ

1093 – أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ الشَّيْبَانِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا حِبَّانُ بْنُ مُوسَى قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ قَالَ: حَدَّثَنِي صَدَقَةُ بْنُ يَسَارٍ عَنْ عَقِيلِ بْنِ جَابِرٍ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ في غزوة ذات الرقاع فأصاب رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ امْرَأَةَ رَجُلٍ مِنَ الْمُشْرِكِينَ فَلَمَّا انْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَافِلًا أَتَى زَوْجُهَا ـ وَكَانَ غَائِبًا ـ فَلَمَّا أُخْبِرَ حَلَفَ لَا يَنْتَهِي حَتَّى يُهْرِيقَ فِي أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَمًا فَخَرَجَ يتَّبع أَثَرَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ منزلاً فقال: (مَنْ رجل يكلأنا لَيْلَتَنَا هَذِهِ)؟ فَانْتُدِبَ رَجُلٌ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَرَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ قَالَا: نَحْنُ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (فَكُونَا بِفَمِ الشِّعْبِ) قَالَ: وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ نَزَلُوا إِلَى شِعْبٍ مِنَ الْوَادِي فَلَمَّا خَرَجَ الرَّجُلَانِ إِلَى فَمِ الشِّعب قَالَ الْأَنْصَارِيُّ لِلْمُهَاجِرِيِّ: أَيُّ اللَّيْلِ أَحَبُّ إِلَيْكَ أَنْ أَكْفِيَكَ أَوَّلَهُ أَوْ آخِرَهُ؟ قَالَ: اكْفِنِي أَوَّلَهُ قَالَ: فَاضْطَجَعَ الْمُهَاجِرِيُّ فَنَامَ وَقَامَ الْأَنْصَارِيُّ يُصَلِّي وَأَتَى زَوْجُ الْمَرْأَةِ فَلَمَّا رَأَى شَخَصَ الرَّجُلِ عَرَفَ أَنَّهُ رَبِيئَةَ الْقَوْمِ فَرَمَاهُ بِسَهْمٍ فَوَضَعَهُ فِيهِ فَنَزَعَهُ فَوَضَعَهُ وَثَبَتَ قَائِمًا يُصَلِّي ثُمَّ رَمَاهُ بِسَهْمٍ آخَرَ فَوَضَعَهُ فِيهِ فَنَزَعَهُ وَثَبَتَ قَائِمًا يُصَلِّي ثُمَّ عَادَ لَهُ الثَّالِثَةَ فَوَضَعَهُ فِيهِ فَنَزَعَهُ فَوَضَعَهُ ثُمَّ رَكَعَ فَسَجَدَ ثُمَّ أَهَّبَ صَاحِبَهُ وَقَالَ: اجْلِسْ فَقَدْ أُتيتُ فَوَثَبَ فَلَمَّا رَآهُمَا الرَّجُلُ عَرَفَ أَنَّهُ قَدْ نَذِرَ بِهِ هَرَبَ فَلَمَّا رَأَى الْمُهَاجِرِيُّ مَا بِالْأَنْصَارِيِّ مِنَ الدِّمَاءِ قَالَ: سُبْحَانَ اللَّهِ أَفَلَا أَهْبَبْتَنِي أَوَّلَ مَا رَمَاكَ!؟ قَالَ: كُنْتُ فِي سورة أقرأها فَلَمْ أحِبَّ أَنْ أَقْطَعَهَا حَتَّى أُنفذها فَلَمَّا تَابَعَ عَلَيَّ الرَّمْيَ رَكَعْتُ فَآذَنْتُكَ وَايْمُ اللَّهِ لَوْلَا أَنْ أُضَيِّعَ ثَغْرًا أَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِحِفْظِهِ لَقَطَعَ نَفْسِي قبل أن أقطعها أو أُنفذها. الراوي : جَابِر بْن عَبْدِ اللَّهِ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 1093 | خلاصة حكم المحدث:. حسن.